Mahedi Hasan Wali

  • Home
  • Mahedi Hasan Wali

Mahedi Hasan Wali History enthusiast | Doctor | Traveller

19/09/2024

সরকারী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা তুলে দেয়া উচিত! চাকরিতে জবাবদিহিতা চালু করা এবং দোষী সাব্যস্ত হলে / দায়িত্বে অবহেলার দায়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি চালু করা সাথে আইনের আওতায় বিচার করার নিয়ম চালু হোক।

যেকোনো পদোন্নতি, নিয়োগ হোক স্বচ্ছ এবং যোগ্যতা নির্ভর। তবেই দেশ মেধাকে মূল্যায়ন করতে পারবে, সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। আমলা তন্ত্র থেকে দেশকে বাঁচানোর এটাই সঠিক সময়।

25/08/2024

বিগত স্বৈরাচার সরকার যে পরিমান টাকা পয়সা লুট করেছে, পাচার করেছে, টাকার অঙ্ক বিবেচনা করলে আসলেই এ দেশ সিঙ্গাপুরের মতই উন্নত হওয়ার কথা ছিল, ২০১৪ তেই পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার কথা, মেট্রো ঢাকা ছাড়িয়ে অন্য বিভাগেও এতদিনে চালু হয়ে যেতো!

এক্সপ্রেসওয়ে, উন্নত রেল ব্যবস্থায় ঢুকে যেতো বাংলাদেশ, কুমিল্লা থেকে এসেও অফিস করে বাসায় ফিরতে পারতো, শিক্ষা ও গবেষণায় কমপক্ষে পনেরো থেকে বিশ শতাংশ বাজেটের দিলেও আমাদের চলতে সমস্যা হতো না, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো আধুনিক এবং জনবান্ধব করা যেতো। নিজেরাই এতদিনে উন্নত প্রযুক্তির সামরিক অস্ত্র, যানবাহন বানাতে পারার কথা ছিল, আইটি সেক্টরে ভারতের কাছাকাছি চলে যাওয়ার কথা!
নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন, পরিবেশ বান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত আধুনিক শহর গড়ে তোলা হত সাথে গ্রামগুলোতে আরো উন্নত, গোছানো পরিবেশ বান্ধব জীবন ব্যবস্থা গড়ে উঠার কথা ছিল!
উন্নত এবং পরিবেশ বান্ধব একটা গণ পরিবহণ ব্যবস্থা সেই ২০১৮ সালে দাঁড়িয়ে যাওয়ার কথা ছিল আরো কত কিছুই না হয়ে যাওয়ার কথা ছিল! কিন্তু আসলে হয়েছে টা কী?

হয়েছে প্রতারণা এদেশের খেটে খাওয়া মানুষদের হালাল উপার্জনের সাথে, বিদেশে দিন রাত পরিশ্রম করা প্রবাসীদের সাথে, কৃষকদের সাথে, দিন মজুরদের সাথে!

সাধারণ এ জনগোষ্ঠীর হক মেরে খেয়েছে একটা শ্রেণী, প্রতিবাদ করলেই শুনতে হয়েছে গুম, খুনের ভয় কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি!
মানে এভাবেও প্রহসন হয়েছে যেটা ইতিহাসে লেখা থাকবে,এবং এই ইতিহাস এ জাতিকে সহস্র বাঁধা উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সত্যিকার অর্থেই জনবান্ধব, আধুনিক উন্নত স্ব-নির্ভর একটা দেশ হয়ে উঠতে সহায়তা করবে বলেই দৃঢ় বিশ্বাস করি। "সবার আগে দেশ" - এ মূলমন্ত্রই হোক আজকের বাংলাদেশর মূলনীতি!

২৫.০৮.২০২৪

15/08/2024
15/08/2024

"If he had asked us to eat grass or to dig the earth with our bare hands we would have done it for him. But look how he behaved! "
- Major Farook Rahman (One of the army officers who was involved in killing of Seikh Mujib, in 1975)

পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের আশার আলো,
নতুন জীবনের আহবান, শেষ ভরসার জায়গা, যার কথা শুনার জন্য অধীর আগ্রহে লাখো জনতা অপেক্ষার প্রহর গুনতো সে আর কেউ নয় তিনি ছিলেন 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'।

এই পরাধীন বাংলার অবিসংবাদিত এক নেতা হয়ে উঠে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান যাকে "বাংলার-বন্ধু" রূপে গ্রহণ করেছিল আপামর জনসাধারণ, মাওলানা ভাসানীর মত জননেতা থাকার পরও।

প্রেক্ষাপট বদল হলো পূর্ব পাকিস্তান হয়ে গেলো স্বাধীন নাম "বাংলাদেশ "! সদ্য জন্ম নেয়া এ দেশে যার জন্য সবাই অপেক্ষা করছিলেন। সবার আস্থার মানুষ কবে আসবেন এই স্বাধীন বাংলায়, তিনি এসেছেন, পরম ভালোবাসায় বাংলার মানুষ তাকে গ্রহণ করলো, চারদিকে আনন্দ, উচ্ছ্বাস, আমাদের নেতা, আমাদের বন্ধু ফিরে এসেছেন। কি রূপকথার মত সব কিছু হচ্ছে এবং এগুলো এদেশের মানুষ দেখেছে, উপভোগ করেছে সে আনন্দ।

শুরু হলো দায়িত্ব নেয়া এবং দেশ পরিচালনার কাজ এরপর ধীরে ধীরে সব কিছুই বুমেরাং হতে লাগলো, সীমাহীন দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ, বিচার বহির্ভূত হত্যা*কান্ড, বাকশাল প্রতিষ্ঠা(BKSL-Bangladesh krishak Sramik Awami League, a one party system of government announced by Mujib on 26th March 1975) , সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া, নিতান্তই আওয়ামীলীগ ছাড়া কেউই আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারবে না ইত্যাদি সংঘটিত হলো উনার শাসন আমলে।

১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুর ডাকে অনুপ্রাণিত হয়ে যে মানুষগুলো সম্মুখ যুদ্ধ করেছে, বঙ্গবন্ধু যাদের বিভিন্ন উপাধি দিয়েছেন যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য, যারা বঙ্গবন্ধুর কথায় "ঘাস খেতেও রাজি " (মেজর ফারুক এর উক্তি) এরকম কিছু সেনা অফিসার সেদিন বঙ্গবন্ধ র বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে উনাকে এবং সেখানে উপস্থিত আত্মিয়-স্বজনদের হত্যা করা হয়। ইতিহাসের পাতায় যেটা স্থান করে নেয় একটা নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড হিসেবেই।

এবার আসা যাক ২০০৮ এর নির্বাচনের দিকে 'শেখ হাসিনার' নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনপ্রিয় দল হিসেবে সরকার গঠন করে। তরুণদের প্রায় অধিকাংশই শেখ হাসিনা কে মেনে নেয় আনন্দের সাথে এবং বেশ উচ্ছ্বসিত ছিল মানুষজন যে এবার দেশে ভালো কিছুই হবে। যদিও শুরু হয় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যাকান্ডের পটভূমি "পিলখানা ট্রাজেডি" দিয়ে, এরপর দিন দুপুরে কু*পিয়ে "বিশ্বজিৎ" হত্যা*কান্ড, ২০১৩ সালের ৫ মে হত্যাকান্ড, ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের দলীয় কর্মীদের বিশেষ করে ছাত্রলীগ দিয়ে মারা, অত্যাচার করা, মোদীর বাংলাদেশে সফর কেন্দ্র করে মুসলিমদের মিছিলে গুলি চালিয়ে হত্যাকান্ড, আইন বহির্ভূত হত্যাকান্ড, গুম, অপহরণ, মিথ্যা মামলা, সাধারণ জনগণের মত প্রকাশে চূড়ান্ত বাঁধা প্রদাণ করা, সংবাদ মাধ্যমগুলোকে দলীয় করন করা, লাখ লাখ কোটি টাকা দুর্নীতি এবং পাচার, প্রশাসন কে সম্পূর্ণ দলীয়করন এবং নিজেদের কাজে পরিপূর্ণ ব্যবহার আর অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা তিনটা ভোটহীন নির্বাচন আয়োজন করার মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকা।

যদি ও কয়েকটা স্থাপনা কেন্দ্রিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় অসীম দুর্নীতির বিনিময়ে। পরিণতি কি হলো ৫ আগস্ট, ২০২৪ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে দ্রুত দেশ পলায়ন, মৃত্যু আসন্ন ভেবে!

বাবা শেখ মুজিব কিংবা উনার মেয়ে শেখ হাসিনা দুজনেই এদেশ শাসন করেছেন, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে কিংবা আদর্শগত দিক থেকে মিল থাকবে সেটাই স্বাভাবিক, অতিরঞ্জিত করার কিছুই নেই।

আসলে কোনো রাজনৈতিক ফায়দা নিতে নয়, তর্কে জিততে নয়, বরং নিজেদের বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকার জন্য, প্রতিটা বাংলাদেশীর উচিত দেশের অস্তিত্ব, ইতিহাস এইগুলা জানা। ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় ভবিষ্যত আমাদের কোথায় নিয়ে যেতে পারে।

কয়েকটা ঐতিহাসিক আলোচনা / সমালোচনা/বিতর্ক সবসময়ই থাকবে যেমন,

- কেনো বঙ্গবন্ধু ৭ ই মার্চ, সরাসরি স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণা দিলেন না, উনি বার্তা দিয়েছিলেন "মুক্তির সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম"(এই ভাষণ নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে এবং হবে কারণ এরকম ভাষণ পৃথিবী তেমন একটা অবলোকন করে নাই)

- ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ কেনো বঙ্গবন্ধুর মতো তর্কাতিত জনপ্রিয় নেতাকে এরকম পরিণতি বরণ করতে হলো?
- চার নেতাকে কেনো জেলে হত্যা করা হলো
- জেনারেল জিয়াউর রহমান কিভাবে নতুন রাজনৈতিক দল করলেন এবং কেনই বা তিনি নির্মম হত্যাকান্ডের স্বীকার হলেন!
- জেনারেল এরশাদ এর ভূমিকা দেশ গঠনে এবং তার পতনের কারণ
- এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের পটভূমি এবং বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা
- বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামীর উত্থান
- ফখরুদ্দিন, মঈন উদ্দিনের শাসন এবং মাইনাস টু ফর্মুলা.
-২০২৪ এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি এবং ফলাফল

শেখ মুজিবুর রহমান একটা কথা বলতেন "Nobody understands what I do for my country"

এই একটা লাইন অনেক কিছু ব্যাখ্যা করে, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য এ লাইনটা বেশ দিক নির্দেশনামূলক, যদিও সাবেক স্বৈরশাসক ও একই কথা বলেছেন।

ধন্যবাদ।

১৫ আগস্ট, ২০২৪!

এ লজ্জা জাতি হিসেবে আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে আজন্ম। এ শিশু শহিদ দের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
29/07/2024

এ লজ্জা জাতি হিসেবে আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে আজন্ম। এ শিশু শহিদ দের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।



17/07/2024

সীমান্তে যখন ফেলানিরা মরে ঝুলে থাকে কিংবা নিরীহ কোনো বাংলাদেশিকে গুলি করে পাখির মত মারে তখন তাদের হাতে থাকে সাদা পতাকা দেখলে মনে হয় জীবনে সর্বোচ্চ লাঠি বা বাঁশ দিয়েই আত্মরক্ষার দীক্ষা নিয়েছিল কিন্তু আজকে নিজেদের স্ব-জাতির ছেলে, মেয়ে, ভাই, বোনদের বিপক্ষে সম্মোহিত ভাবে বুলেট ছুরতে, প্রহার করতে এতটুকুও কি বিবেকে বাঁধে না?

বিস্মিত হতে হয় এই ভেবে এরাও নিজেদের মানুষ আর বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দেয়!

16/07/2024

"সভ্য" নাকি "অসভ্য" এটা নির্ভর একটা দেশে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ কতটুকু বিদ্যমান সেটার উপর।

16/07/2024

যোগ্যতা যেখানে থাকে না সেখানে তেল তেলে কথার চর্চা হবে সেটাই অনুমেয়। প্রধানমন্ত্রী একটা সরকার প্রধান, আঠারো কোটি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। তিনি রাজনৈতিক দলের ঊর্ধ্বে গিয়ে দেশের জনগণের কল্যাণ যেভাবে হয় সে অনুযায়ী কাজ করবেন সেটাই হওয়ার কথা ছিল কিন্তু আসলে হচ্ছে টা কি?
দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনের মর্যাদা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দিলেন সেক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান যে উনি দেশের জনগণ কে বিন্দু পরিমাণ গুরুত্ব দেন না । যে তেল তেলে লোকজনদের উনি আসে পাশে রাখেন সেটার দায় উনি কিভাবে এড়িয়ে যাবেন?
যে কাপুরুষ সাংবাদিক প্রশ্নটা করলেন, প্রধানমন্ত্রী কি পারতেন না ওকে সেখানে সংশোধন করতে বা আরেকটু ভেবে উত্তর দিতে।

কেনো করবেন এত কিছু? এ দেশে সবচেয়ে সহজ হলো ক্ষমতায় যাওয়া!

আজকে আবু সাঈদ শাহীদ হয়েছেন, তাঁর রক্তের কি কোনো মূল্য নেই? যারা ক্ষত বিক্ষত হয়েছে তারা তো আমাদেরই সন্তান, ভাই, বোন,ছেলে, মেয়ে। তাঁরা তো এ দেশে জন্ম নেয়া বাংলাদেশী সর্বোপরি মানুষ।

এ হত্যার দায় রাষ্ট্রকে, রাষ্ট্র নেতা কে, যারা মেরেছে তাদের নির্দেশ দাতা হিসেবে ক্ষমতাসীন সরকার কে নিতেই হবে।

08/07/2024

শিক্ষা; মূল্যবোধ; জবাবদিহিতা!!!
একটা সরকারী চাকরী কেনো এতো গুরুত্বপূর্ণ সেটা সবাই জানে কারণ নিশ্চিন্ত জীবন, মাস শেষে বেতন অ্যাকাউন্টে আসবেই হোক ভূমিকম্প কিংবা জলচ্ছাস। কিন্তু যে বেতন কাঠামো সেটা কি বর্তমান বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন? একজন এক লাখ টাকা বেতন পেলে তার নজর বা চলা ফেরা থাকে এক কোটি টাকার উপর, সে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না কারণ তার সুযোগ আছে টাকার পরিমাণটা ইচ্ছে অনুযায়ী বাড়িয়ে নেওয়ার। এই যে ফ্ল্যাট, জমির দাম কিংবা গাড়ির দাম এত বেড়েছে, ক্রেতা আছে বলেই কিন্তু না হয় কে কিনবে এক কোটি টাকা কাঠা মূল্যের জমি কিংবা কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট। এ আয় আর ব্যায়ের যে অসামঞ্জস্যতা সেটা দেশের অর্থনীতির যে স্বাভাবিক মানদন্ড সেটাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করার কথা কারণ এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা সাধারণ ক্রেতাদের তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে বাঁধাগ্রস্থ করছে বা করতেই থাকবে।
বাসযোগ্য শহরের তালিকায় একদমই তলানিতে থাকা একটা দেশে এক কাঠা জায়গা বা একটা ফ্ল্যাটের যে দাম সেটা কখনোই নাগরিক সুযোগ সুবিধা বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য নয়। অতি ধনী কিংবা অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে, এবং বিষয়টা একটা শ্রেণী পরিকল্পনা করেই করছে কেননা এতে একটা দেশকে একদম নিঃস্ব করে ফেলা সম্ভব।
এখন আশা যাক শিক্ষার বিষয়ে, এই যে দেশে কোনো যুতসই শিক্ষা ব্যবস্থা নেই, স্বচ্ছ নিয়োগ নেই এর ফলে হচ্ছেটা কি আসলে? দেশের মেরুদণ্ড বিলীন করে দেয়া হচ্ছে, দেশে গনতন্ত্র থাকুক বা ভারতের অঙ্গ-রাজ্য হোক এইগুলা নিয়ে ভাববার মানুষ থাকবে না কিংবা বিশ্ব দরবারে প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে গণ্ড মূর্খ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করবে। কোনো অধিকার পর্যন্ত আদায় করার সামর্থ্য থাকবে না, এই যে পাখির মত সীমান্তে মানুষ মারে প্রতিবাদ তো দূরে থাক উল্টো নিজেরা ক্ষমা চেয়ে ফেরত আসার উপক্রম - এইগুলা কেনো হয় আমি আপনি রাগে ফেটে যাই, ওখানে কি এরকম কেউ নাই যে রেগে ফুঁসে উঠে না? অবশ্যই উঠে তাহলে করণীয় কি তাদের কে সরিয়ে ফেলেন তা যত নাটক সিনেমা করেই হোক, ঝামেলা শেষ। শিক্ষার সৌন্দর্য্যই হলো উদারতা, নিজেদের ভুল বুঝতে পারা এবং সংশোধন করা আর মূল্যবোধ, ঠিক এই বিষয়গুলোই এখন নাই করে দেয়া হয়েছে। এ কারণেই কার হক কে মেরে খেলো এটা এখন তেমন একটা গুরুত্ব বহন করে না।
সততা, দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা, আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ - এইগুলা কি স্বপ্নই থেকে যাবে এ জাতির জন্য?

06/01/2024

কি বীভৎস, অমানবিক আচরণ এদেশের মানুষদের সাথে এদেশেরই মানুষরা করছে শুধু রাজনৈতিক মত-পার্থক্যের জন্য। একই দেশে জন্ম, একই ভাষা কিংবা একই জাতীয় সঙ্গীত অথচ কী বর্বর চিন্তা ভাবনা। আমাদের মত এরকম চরম স্বার্থপর আর বেঈমান জাতি মনে হয় না দ্বিতীয়টা আছে। এই যে মানুষগুলো ট্রেনে পুড়ে মারা গেলো তারাও কি ভেবেছিল যে তাদেরও একই পরিনতি হবে যেমনটা হয়েছিল এর আগে তার মতোই আমাদের মতই মানুষদের সাথে। এই যে আমরা এখন ভাবছি আমাদের সাথে তো হয় নাই, আমি তো ট্রেনে যাতায়াত করি না কিংবা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করি না আমার এসব ঝুঁকি নেই।
আজকের এই পরিণতির জন্য আমরাই দায়ী, এ দেশের প্রতিটা মানুষ দায়ী কারণ আমরা আজও একটা ব্যবস্থা তৈরী করতে পারি নাই যেখানে সবার উপরে থাকবে দেশের স্বার্থ আর দেশের মানুষের কল্যাণ। আমরা শুধু নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিকিয়েছি মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য "মনুষ্যত্ব"।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mahedi Hasan Wali posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mahedi Hasan Wali:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share