12/09/2025
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার আর ছোট টিমগুলোর সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা টেকনিকাল স্কিল না, সফট স্কিলে।
কোডিং ইউটিউব দেখেই শেখা যায়। SEO শেখা যায় ব্লগ পড়ে বা কোর্স করে।
কিন্তু কাস্টমারের সাথে কথা বলার ধরন,
নিজেকে উপস্থাপন করার কনফিডেন্স,
কোন কিছু প্রেজেন্ট করার সময় ক্লিয়ারলি বোঝানোর স্কিল,
এই জিনিসগুলো বই পড়ে হয়তো জানতে পারবেন, কিন্তু কোনদিনই আয়ত্তে আসবে না।
আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার -
ক্লায়েন্টকে বুঝিয়ে আরও কীভাবে বেশি ভ্যালু দেওয়া যায়, কীভাবে কাজের পরিধি বাড়িয়ে ক্লায়েন্ট ধরে রাখার সাথে সাথে রিটেইনার বাড়ানো যায়, এই মাইন্ডসেটটাই অনেকের মধ্যে আসে না।
একটাই কারণ - কমিউনিকেশন স্কিল।
আপনি যদি প্রোঅ্যাক্টিভলি ক্লায়েন্টের বিজনেস বুঝে কিছু সাজেশন / ভ্যালু না দিতে পারেন, তাহলে তারা ভাববে, "ও শুধু keyword rank করায়, আর কিছু না।"
আমার নিজের কর্পোরেট ক্যারিয়ারের শুরুতে এগুলো নিয়ে অনেক ভুগেছি, অনেক ভুল করার অন্যদের দেখে, ধীরে ধীরে শিখেছি।
কথায় বলে Communication is ৫০% of freelancing, আমার কখনও কখনও মনে এটা তারচেয়েও হয়তো বেশি।
এই স্কিলগুলো বই পড়ে আসবে না, প্র্যাকটিস করতে হবে।
সমস্যা হল বাংলাদেশ, স্কুল কলেজে লোকে হয়তো টুকটাক ইংরেজি বলা শেখে, লেখা শেখে, কিংবা প্রেজেন্টেশন শেখে, কিন্তু যাদের থেকে শেখে তাদের প্রাক্টিকাল কোন এক্সপেরিএন্স নাই।
আবার স্কুল কলেজ শেষ, প্রাকটিসও শেষ। চাকুরী কিংবা ফ্রিলান্সিং এসে একদম ধরা।
তাহলে উপায়?
একজন ভালো ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার আগে একটু রিহার্স করতে হবে, প্রয়োজনে নিজের প্রেজেন্টেশন রেকর্ড করে দেখতে হবে, আর তারপর ভাবেন - আপনি নিজে একজন ক্লায়েন্ট হলে কি আপনার নিজের সার্ভিসটা কিনতেন?
টেকনিক্যাল স্কিল তো সবাই শিখতেছে।
নিজেকে তাদের থেকে আলাদা করবেন কিভাবে?
মনে রাখবেনঃ যে কথা বলতে পারে, সে সেল করতে পারে, আর সে'ই মার্কেটে টিকে যাবে।