28/06/2024
রাজারা এই ভাবেই ফিরে আসে
আপনি তাকে কখনই ঘৃনা করতে পারবেন না ❤️❤️
কেভিন ডি ব্রুইনার বয়স যখন ১৫, তখন গেঁক ফুটবল ক্লাবের একাডেমিতে চান্স পেয়ে যায় ট্রায়াল দিয়ে কিন্তু সমস্যা বেঁধে যায় আরেক জায়গায়। বাড়ি থেকে ১৫০ কিমি দূরে একাডেমিতে প্রতিদিন আসা যাওয়া সম্ভব ছিলনা।
একারণে ক্লাবের পক্ষ থেকে দত্তক নিতে ইচ্ছুক এক পরিবারের কাছে কেভিনকে দিয়ে দেওয়া হয়। ওই পরিবার কেভিনের দেখাশোনা করলেও ছয়মাস পর ইন্ট্রোভার্ট হওয়ার কারণে কেভিনকে আর রাখতে চায়নি।
এদিকে গেঁক কেভিনকে আরেকটা পরিবার খুঁজে দিতে পারছিলনা, ফুটবল ক্যারিয়ারের প্রথম ধাক্কাটা এখানেই খেয়েছিলো কেভিন। এই ধাক্কায় আরো মানসিকভাবে শক্ত হয়ে গিয়েছিল সে, দত্তক নেওয়া পরিবারের ঘটনা জানার পরের ম্যাচে খেলতে নেমেই ৫ টা গোল করলো।
মাইকেল এমানেলোর স্কাউটিং হান্ট এর প্রোডাক্ট হিসেবে চেলসিতে এসে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি কিংবা মরিনহো সেই সুযোগ দেয়নি। চেলসি ছেড়ে তাই স্বেচ্ছায় জার্মানিতে গেলো নিজেকে প্রমাণ করতে।
প্রমাণ করে যখন সিটির রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে ইংল্যান্ডে ফিরল, তখন ব্রিটিশ মিডিয়া ' ফিউচার ফ্লপ' , ' সাদা হাতি' এসব ট্যাগ দিলো কিন্তু সেই কেভিন ডি ব্রুইনাই আজ প্রিমিয়ার লীগের সেরা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, প্রিমিয়ার লীগের সম্ভাব্য সব ব্যক্তিগত ও দলগত অর্জন আছে তাঁর নামের পাশে।
সাবেক গার্লফ্রেন্ড চিট করেছিলো বেলজিয়ান টিমমেট ও তখনকার ফ্রেন্ড থিবো কর্তয়ার সাথে মিলে 💔। এই ধাক্কা সামলে জীবনে মিশেলের মতো লাইফ পার্টনার পেয়েছে।
কথাবার্তা বেশি বলেন না ইন্ট্রোভার্ট হওয়ার কারণে। তাঁকে যেই বন্ধুটা খুব ভালো বুঝতো, সেই বন্ধুকে হারিয়েছেন কয়েক বছর আগেই।
এতগুলা ধাক্কা সামলে টিকে থাকার মতো শক্ত মানসিকতা খুব কম মানুষেরই আছে। কেভিনের আছে বলেই সে ব্যতিক্রম, অনুসরণযোগ্য।
এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার