23/08/2024
বন্যাদুর্গতদের চাহিদা নিরুপন করা, Emergency Response এর প্রথম ধাপ। তাদের যা দরকার তা না জেনে যদি আমরা আমাদের ধারণা থেকে ত্রাণ নিয়ে যাই, সেটা কিন্তু খুব বেশী কাজে দিবে না। আমাদের দেশে যখন প্রথম রোহিংগা জনগোষ্ঠী এসেছিলো, আমরা এমনটা দেখেছি। মানুষ ট্রাক ভরে ভরে পুরানো কাপড় নিয়ে গেছে, কিন্তু সেগুলো তাদের দরকার ছিলো না, পরে টেকনাফের পুরো রাস্তা জুড়ে শুধু পুরানো কাপড়ের স্তুপ ছিলো।
মনে রাখবেন, বন্যা কবলিত এই মানুষ গুলোর পাশে কিন্তু আমাদের ৩-৪ মাস থাকতে হবে। কারণ পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে তাদের পূনর্বাসনের জন্যেও আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন।
আরেকটা বিষয় খুবই জরুরি, তা হচ্ছে ত্রাণের জিনিস গুলো সবার মাঝে সমভাবে বন্টন করা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যেই এলাকাতে সহজে যাওয়া যায়, সেখানে সবাই গিয়ে ত্রাণ দিয়ে আসে। ফলে দূরবর্তী এলাকার মানুষ গুলো বঞ্চিত থাকে।
তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে, সবার কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা খুবই জরুরি।
দেশ এখন এক ক্রান্তিকালীন সময় অতিবাহিত করছে। তবে আশার কথা হলো, আমরা নতুন এক বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষ এখন যেকোন সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশী সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে এই পরিস্থিতিও মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।