Irfana's Learning Time

  • Home
  • Irfana's Learning Time

Irfana's Learning Time বাচ্চাদের ইসলামিক এবং শিক্ষনীয় বিষয়ের পৃষ্ঠাবলি।
জীবন ছোট্ট,হিংসা নয়,ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন-❤হিজাবী আফা❤
(72)

স্বামীর সাথে যত ঝ গ ড়া হোক,মনমালিন্য হোক কখনো কোনোদিন নিজের শ্বশুরবাড়ির কাউকে জানাবেন না। আপনাদের মধ‍্যকার সম্পর্ক ভাল...
03/09/2025

স্বামীর সাথে যত ঝ গ ড়া হোক,মনমালিন্য হোক কখনো কোনোদিন নিজের শ্বশুরবাড়ির কাউকে জানাবেন না। আপনাদের মধ‍্যকার সম্পর্ক ভালো নেই,আপনারা সুখী নন এই জিনিস বাইরের মানুষ যত জানবে ততই খুশি হবে।
কি মনে করেন? তাদের ছেলে সম্পর্কে আপনি তাদের কাছেই নিন্দা করছেন আর তারা আপনার পক্ষ নিবে? মিল মহব্বত করিয়ে দিবে? ছেলের দোষ মেনে নিবে? বরং আপনি হবেন আলোচনার খোরাক। তারা বলবে আপনি মানিয়ে নিতে ব‍্যর্থ এবং তাদের ছেলে সোনা বাচ্চা।

এমনকি নিজের স্বামীকে নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ বান্ধবীকেও বলবেন না। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত মনের দিক থেকে স্থির থাকবেন এই স্বামীর সংসারই করতে হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাপের বাড়িতেও নিজের অসুবিধার কথা জানাবেন না। পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই যে আপনার সমস্যা সমাধান করে দিবে।

একসময় একটি কথা খুব প্রচলিত ছিলো, দুঃখ ভাগ করে নিলে কমে যায় এবং সুখ শেয়ার করলে বেড়ে যায়। ক্রমাগত তা উল্টে গিয়েছে। এখন আপনি সুখী হলেই বরং মানুষ কষ্ট পাবে! আপনাকে দুঃখের সাগরে দেখলে সামনাসামনি বলবে উফফ্-পেছনে বলবে বেশ!!
এটাই সত‍্য।

যত কষ্ট হোক, কাউকে বলবেন না। আপনার চোখের পানিতে কারো কিচ্ছু যায় আসবেনা। আপনি যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন এডজাস্ট করে চলার।তাই কেবল আপনি এবং আপনার রব জানুন আপনি ব‍্যর্থ নন!

শিশু মানেই নিষ্পাপ, হাসিখুশি আর কৌতূহলী প্রাণ। কিন্তু সেই কিউট চেহারার আড়ালেই মাঝে মাঝে থাকে জেদ, কান্নাকাটি আর অবিরাম দ...
02/09/2025

শিশু মানেই নিষ্পাপ, হাসিখুশি আর কৌতূহলী প্রাণ। কিন্তু সেই কিউট চেহারার আড়ালেই মাঝে মাঝে থাকে জেদ, কান্নাকাটি আর অবিরাম দাবিদাওয়া। অনেক সময় এটা বাবা-মায়ের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে — শিশুর এই জেদ আসলে তার বেড়ে ওঠার স্বাভাবিক অংশ।

কেন বাচ্চারা জেদ করে?

1. নিজের স্বাধীনতা প্রকাশ – বাচ্চা বড় হতে হতে বুঝতে শেখে, সে-ও কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

2. মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা – বাবা-মা বা আশেপাশের মানুষকে আকর্ষণ করতে জেদ ধরা।

3. কৌতূহল মেটানো – নতুন কিছু চাওয়ার পেছনে থাকে শেখার প্রবল ইচ্ছা।

4. অভ্যাস গড়ে ওঠা – একবার চাওয়ার পর পেলে, পরের বারও সে একইভাবে জেদ করবে।

বাবা-মা কীভাবে সামলাবেন?

✅ ধৈর্য ধরুন – রাগ দেখালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
✅ মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিন – সে খেলনা চাইলে গল্প, গান বা অন্য খেলা দিয়ে ব্যস্ত করুন।
✅ ভালো অভ্যাস তৈরি করুন – প্রতিবারই জেদে কিছু না দিয়ে, যুক্তি দিয়ে বোঝান।
✅ ভালো কাজের প্রশংসা করুন – যখন বাচ্চা সুন্দরভাবে কিছু চায় বা শোনে, তাকে প্রশংসা করুন।
✅ সময় দিন – অনেক সময় বাচ্চার জেদের পেছনে লুকানো থাকে আপনার সাথে একটু বেশি সময় কাটানোর চাহিদা।

বাবা-মায়ের জন্য মোটিভেশন

শিশুর জেদ মানেই খারাপ নয়, বরং এটি তার ব্যক্তিত্ব গঠনের ধাপ।

ধৈর্য, ভালোবাসা আর নিয়মিত গাইডলাইন বাচ্চাকে সঠিক পথে রাখবে।

আজকের জেদী বাচ্চাই একদিন আত্মবিশ্বাসী মানুষ হয়ে উঠবে।

👉 তাই প্রশ্ন হলো— “বাচ্চার এমন জেদ আর দাবিদাওয়া কি বিরক্ত করে?”
হ্যাঁ, মাঝে মাঝে করে। কিন্তু এটাকে বিরক্তি না ভেবে যদি আমরা দেখি এটি তার শেখার, বেড়ে ওঠার ও ব্যক্তিত্ব গঠনের অংশ— তাহলে আমাদের মনও হালকা হবে, আর সন্তানও পাবে সুন্দর দিকনির্দেশনা।

সন্তাকে ভয় দেখাবেন না।1. ভয় ও আতঙ্ক তৈরি হয় – বারবার ভয় দেখালে শিশু ছোট ছোট বিষয়েও ভয় পেতে শুরু করে।2. আত্মবিশ্বাস কমে য...
02/09/2025

সন্তাকে ভয় দেখাবেন না।

1. ভয় ও আতঙ্ক তৈরি হয় – বারবার ভয় দেখালে শিশু ছোট ছোট বিষয়েও ভয় পেতে শুরু করে।

2. আত্মবিশ্বাস কমে যায় – বাচ্চা ভাবে সে সবসময় ভুল করছে, ফলে নিজের ওপর ভরসা হারায়।

3. মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়ে – শাস্তি বা মার খাওয়ার ভয়ে বাচ্চা সত্যি লুকাতে শুরু করে।

4. মনের ভেতর রাগ জমে – শিশুর মনে অভিমান ও ক্ষোভ জমতে থাকে, যা পরবর্তীতে বিদ্রোহী স্বভাব তৈরি করতে পারে।

5. পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায় – ভয় পেলে শেখার ইচ্ছা ও আগ্রহ নষ্ট হয়।

6. সম্পর্ক দুর্বল হয় – বাবা-মায়ের প্রতি বিশ্বাস ও ভালোবাসার জায়গায় ভয়ের দেয়াল তৈরি হয়।

7. সামাজিক দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় – সবসময় ভয় পাওয়া শিশুরা অন্যদের সঙ্গে সহজে মেলামেশা করতে পারে না।

8. মানসিক রোগের ঝুঁকি বাড়ে – দীর্ঘমেয়াদে উদ্বেগ, বিষণ্নতা বা আত্মসম্মানহীনতা তৈরি হতে পারে।

9. শিশু আক্রমণাত্মক হতে পারে – ভয় থেকে শেখা আচরণ হিসেবে সে-ও অন্যকে ভয় দেখানো বা মারধর করা শুরু করতে পারে।

10. শিশুর সৃজনশীলতা নষ্ট হয় – ভয় পেলে নতুন কিছু ভাবা বা চেষ্টা করার সাহস কমে যায়।

সন্তানকে ভয় দেখানোর পরিবর্তে ভালোবাসা, যুক্তি দিয়ে বোঝানো, ছোটখাটো পুরস্কার বা ইতিবাচক প্রশংসা ব্যবহার করলে তার মানসিক বৃদ্ধি ও চরিত্র অনেক সুন্দর হয়।

💜💮বর্তমানে আমাদের পরিবারে এখনো অনেক জায়গায় দেখা যায়—শিশুরা মা–বাবার সঙ্গে একই ঘরে বা একই বিছানায় ঘুমায়। প্রথম দিকে এটা প...
01/09/2025

💜💮বর্তমানে আমাদের পরিবারে এখনো অনেক জায়গায় দেখা যায়—শিশুরা মা–বাবার সঙ্গে একই ঘরে বা একই বিছানায় ঘুমায়। প্রথম দিকে এটা প্রয়োজনীয় হলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে শিশুকে আলাদা ঘরে দেওয়া কেন জরুরি, তা অনেকেই জানেন না।

👶 ০–৬ মাস:

নবজাতককে মায়ের খুব কাছেই রাখতে হয়।
বুকের দুধ খাওয়ানো, ডায়াপার বদলানো, সারাক্ষণ যত্ন—সবকিছু মায়ের হাতের নাগালে থাকতে হবে।
👉 তাই এই সময়ে শিশুকে আলাদা করা একেবারেই উচিত নয়।
---

👶 ৬ মাস – ২ বছর:
এই বয়সে শিশু ধীরে ধীরে রুটিন তৈরি করে।
তবে এখনো মা–বাবার কাছাকাছি থাকাটা নিরাপদ।
👉 আলাদা কট বা ছোট বিছানা ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু মায়ের ঘরের ভেতরেই রাখা ভালো।

---

👦 ২–৩ বছর:

শিশু কথা বলা, হাঁটা, খেলা—এসব শিখে যায়।
ধীরে ধীরে স্বাধীনতা ও নিজের জায়গার প্রয়োজন অনুভব করে।
👉 এসময় থেকে আলাদা ছোট বিছানা দেওয়া শুরু করা যায়।
---

👦 ৪–৬ বছর:

শিশু মানসিক ও সামাজিকভাবে অনেকটা পরিপক্ক হয়।

সে বুঝতে শেখে—“এটা আমার ঘর, এটা আমার জিনিস।”
👉 এই বয়সে আলাদা রুমে ঘুমানোর অভ্যাস করানো সবচেয়ে ভালো।
---

👦 ৭ বছর বা তার বেশি:

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৭ বছর বয়স পার হলে শিশুকে অবশ্যই আলাদা ঘরে রাখা উচিত।
কারণ, এসময় থেকে শিশু তার গোপনীয়তা (privacy) ও ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে।
👉 একই ঘরে মা–বাবার ব্যক্তিগত জীবনেও তখন অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।
---

🌿 কেন শিশুকে আলাদা করতে হবে?

1. স্বাধীনতা তৈরি হয় – শিশুর নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে।
2. আত্মবিশ্বাস বাড়ে – আলাদা ঘরে ঘুমালে সাহসী হয়।
3. গোপনীয়তা শেখে – বড় হওয়ার সাথে সাথে privacy বোঝা জরুরি।
4. শৃঙ্খলা তৈরি হয় – নিজের ঘর গুছানো ও নিজের জিনিসপত্র সামলানো শেখে।
5. মা–বাবার সম্পর্ক সুস্থ থাকে – দাম্পত্য জীবনে ব্যক্তিগত পরিসর (personal space) বজায় থাকে।
---

🚨 দেরি করলে কী ক্ষতি?

শিশু অতি নির্ভরশীল হয়ে যায়।
আত্মবিশ্বাস কমে যায়।
বাবা–মায়ের সঙ্গে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়।
ভবিষ্যতে decision making-এ দুর্বল হয়ে পড়ে।
---

✅ শেষ কথা:

👉 জন্মের পর প্রথম কয়েক বছর মা–বাবার কাছে থাকাটা জরুরি।
👉 তবে ৪–৬ বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে আলাদা রুমে অভ্যস্ত করানো সবচেয়ে ভালো সময়।
👉 এতে শিশুর স্বাস্থ্য, মানসিক বিকাশ ও ব্যক্তিত্ব—সবকিছু ইতিবাচকভাবে গড়ে ওঠে।

31/08/2025

বদনজর খাল কেটে কুমির আনার মতো।
ঘরে বালামুসিবত টেনে আনার অন্যতম উপায় হল, পরিবারে বাচ্চাদের হাসিখুশি ছবি অনলাইনে প্রকাশ করা।
🤍🌼

আমাদের সবার জীবনেই নানুর (মায়ের মা) কমবেশি অবদান থাকে। এমনকি আমাদের সন্তানের ক্ষেত্রেও তাই। কারণ যুগের পর যুগ ধরেই মায়ের...
31/08/2025

আমাদের সবার জীবনেই নানুর (মায়ের মা) কমবেশি অবদান থাকে। এমনকি আমাদের সন্তানের ক্ষেত্রেও তাই। কারণ যুগের পর যুগ ধরেই মায়ের মা আমাদের অর্ধেক মা হয়ে যায়।
আমাদের জীবনে তাদের অবদান অনস্বীকার্য।
যখন মায়েরা ক্লান্ত হয়ে যায় তখন অন্য কেউ তা পাত্তা না দিলেও নানু পাত্তা দেয়। মেয়েকে একটু রিলিফ দেওয়ার জন্য তাঁরা হয়ে উঠে আমাদের দ্বিতীয় মা। গোসল করানো, তেল মালিশ করা, ঘুম পাড়ানো হয়ে যায় নানুর দায়িত্ব।

মায়ের পর যদি কারও কাছে আমি সবচেয়ে বেশি আপন হই, সে আমার নানু। ❤️ নানুর কোলে সব দুঃখ হারিয়ে যায়, সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। 🌸 নানু – যিনি আমার ছোট ছোট চাওয়াগুলো বুঝতে পারেন, বলার আগেই পূর্ণ করেন। মায়ের শাসন শেষে যে আদরে জড়িয়ে ধরে, সে আমার নানু। পৃথিবীর সব সুখ-শান্তি মিলে এক শব্দে – নানু। রাত জেগে গল্প শোনানো থেকে অসুস্থ হলে কপালে হাত রাখা – সবকিছুর নাম নানু। নানুর দোয়াই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। নানু – ভালোবাসার আরেক নাম, ত্যাগের আরেক রূপ।

ভালো থাকো পৃথিবীর সকল নানুরা।

একজনের বাবা মারা গেছেন। অথচ সে শোকের পরিবর্তে মেকআপ করে, সাজগোজ করে, মানুষের সামনে এমনভাবে এসেছে যেন কোনো দুঃখই নেই।তারা...
30/08/2025

একজনের বাবা মারা গেছেন। অথচ সে শোকের পরিবর্তে মেকআপ করে, সাজগোজ করে, মানুষের সামনে এমনভাবে এসেছে যেন কোনো দুঃখই নেই।তারা দুইভাই ছেলে হয়েও মেয়েদের মতো ড্রেসে উপস্থিত হয়েছে।আবার জানার নামাজে দাঁড়িয়েছে সবার মাথায় টুপি থাকলেও সেই সন্তানের মাথায় টুপি নাই।আসলে এটা বাবা-মায়েরই ব্যর্থতা। কারণ আমরা সন্তানকে শৈশব থেকেই দ্বীনের শিক্ষা না দিয়ে শুধু দুনিয়ার শিক্ষা দেই।

আমরা সন্তানদের দ্বীনের আলো থেকে দূরে সরিয়ে রাখছি। তাদেরকে কুরআন-হাদিসের শিক্ষা না দিয়ে কেবল দুনিয়ার সাজসজ্জা, ফ্যাশন আর ভোগ-বিলাসের শিক্ষা দিচ্ছি। তাই তারা জানেই না, কখন কিভাবে আচরণ করতে হয়, কার মৃত্যুতে কি করা উচিত, কোন সময়ে কি বলা উচিত।

একবারও ভেবেছি কি,কাল কিয়ামতের দিন যখন সন্তান আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, আমার বাবা-মা আমাকে সঠিক শিক্ষা দেয়নি তখন আমরা কী জবাব দেব আল্লাহর কাছে?

সৃষ্টিকর্তা কে ভয় করা মানুষ জন আমার ভালোই লাগে।।তারা আমার কাছে কমফোর্ট জোন।।আল্লাহ কে ভয় পাওয়া মানুষ গুলো সহজে অন্যকে কষ...
29/08/2025

সৃষ্টিকর্তা কে ভয় করা মানুষ জন আমার ভালোই লাগে।।তারা আমার কাছে কমফোর্ট জোন।।

আল্লাহ কে ভয় পাওয়া মানুষ গুলো সহজে অন্যকে কষ্ট দিয়ে কথা বলবেনা,অন্যের হক নষ্ট করবেনা,অন্যের ভালো থাকা নিয়ে হিংসা করবেনা, নিজে যেমন আছে ঠিক সেভাবেই সুকরিয়া আদায় করে।। তাদের না থাকলেও হা-হুতাস আলাপ করেনা আবার অনেক থাকলেও অন্যকে ছোট করে কোনো কথা বলেনা!!এই ধরনের মানুষ গুলোর সাথে পরিচয় থাকলে বা সময় কাটালে বেশ মনটা ভালো হয়ে যায় হোক সে আত্নীয় বা জাস্ট পরিচিত কোনো ব্যক্তি🙂🙂

29/08/2025

তুলনা নয়, আত্ম-উন্নয়নই সাফল্যের চাবিকাঠি।

27/08/2025

শিশুর সাথে মজা করার আগে দেখুন সেও কি মজা পাচ্ছে? না শুধু আপনার কাছেই ব্যাপারটা মজার?
বড়দের কিছু অমূলক "মজা" করার উদাহরণ দেই:

"তোমার জামাটা আমাকে দিয়ে দিবা?"
"তোমাকে তো ডাস্টবিন থেকে তুলে এনেছি। "
"তুমি আমার কাছে আসো না কেন? তোমার আম্মু না করেছে?"
"এটা খাচ্ছ না কেন আম্মু না করে দিয়েছে খেতে? "
"তোমার খেলনাটা আমি নিয়ে যাই।"
"এই যে তোমার জুতা পরে ফেললাম।"
"তোমার আম্মু কিন্তু তোমাকে রেখে চলে গেছে।"
"তোমার বাবা তো হারিয়ে গেছে!"
"আম্মু চক্লেট দেয় না? আম্মু পচা।"
"বাবা বাইরে নিয়ে যায় নি? বাবা পচা।"
"তোমার যে ছোট ভাই/বোন আসলে তোমার সব আদর নিয়ে নিবে।"

শিশুরা সাধারণত মজা পায় না এসব কথায়। উদাহরণগুলোর কয়েকটা হয়তো একটু বড় বাচ্চারা ধরতে পারে। কিন্তু ২-৩ বছর বয়সী বাচ্চারা এতে কান্না করে, মন খারাপ করে, ওদের জিনিস বড় কেউ নিয়ে যাবে ভেবে ভয় পায়। ওদের মন খারাপ করানোটা কীভাবে কারো কাছে মজার বিষয় হয় এটা আমি বুঝি না!

আবার অনেককে দেখেছি "মজা করে" বাচ্চাদের ইচ্ছে করে কাঁদায়। বাচ্চাদেরকে কাঁদতে দেখতে নাকি মজা লাগে! এ কেমন অমানবিক ফান?! বাচ্চাটার তো মানসিক ক্ষতি হচ্ছেই, আবার সে এটাও শিখছে যে অন্যকে কষ্ট দিয়ে মজা পাওয়া যায়। সে তার ভাই/বোন কে কাঁদাচ্ছে "মজা" পাবার জন্য। রাস্তার পশুপাখির গায়ে ঢিল মারছে, তাড়া করছে "মজা" পাবার জন্য। তার মধ্যে empathy গড়ে উঠছে না।

বাচ্চাদের সাথে/সামনে মজা করতে একটু সাবধানে করেন প্লিজ। আপনার কাছে যেটা fun, বাচ্চাদের কাছে সেটা ফানি নাও হতে পারে, অনেক ক্ষেত্রে ওরা ভুল জিনিসও শিখে ফেলে। বড়দের আর শিশুদের হিউমার যে সেইম না, সেই বোধ্টাই অনেকের মধ্যে নেই! আপনারা আপনাদের বড়দের করতে দেখেছেন, এখন নিজেরাও করছেন। ভেবে দেখছেন না উচিত-অনুচিত। বড়দের ভুল সাইকেল ব্রেক করতে শিখুন।

26/08/2025
আপনার শিশু কি গৃহবন্ধি ?এর প্রভাব কতটা ক্ষতিকর হতে পারে জানেন?বর্তমানে অনেক অভিভাবক কাজের জন্য বা অন্য কোনো কারণে তাদের ...
26/08/2025

আপনার শিশু কি গৃহবন্ধি ?

এর প্রভাব কতটা ক্ষতিকর হতে পারে জানেন?
বর্তমানে অনেক অভিভাবক কাজের জন্য বা অন্য কোনো কারণে তাদের শিশুদেরকে বাইরে খেলাধুলা করতে না দিয়ে বেশিরভাগ সময় ঘরের মধ্যে রাখেন হয় তো ঘরে বসে টিভি বা মোবাইল দেখে। এর ফলে শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

শারীরিক প্রভাব:
স্থূলতা: ঘরের মধ্যে থাকলে শিশুদের দৌড়ঝাঁপ বা খেলাধুলার সুযোগ কমে যায়। এর ফলে তাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে এবং ওজন বেড়ে যায়, যা স্থূলতার কারণ হতে পারে।
ভিটামিন ডি-এর অভাব: সূর্যের আলোতে খেলাধুলা করলে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়, যা হাড়কে মজবুত করে। কিন্তু গৃহবন্দী থাকলে এই ভিটামিনের অভাব দেখা যায়। সাধারণত প্রতিদিন ৩০ মি. সূর্যের আলোয়ে থাকা উচিত।
দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: বাইরে খেলাধুলা করলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কিন্তু ঘরের মধ্যে থাকলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।

মানসিক ও সামাজিক প্রভাব:
একাকীত্ব ও বিষণ্ণতা: শিশুদের জন্য বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গৃহবন্দী থাকলে তারা একাকীত্বে ভোগে এবং বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতে পারে।
সামাজিক দক্ষতার অভাব: বাইরের পরিবেশে শিশুরা অন্যদের সাথে মিশতে এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জন করতে শেখে। কিন্তু ঘরের মধ্যে থাকার কারণে তাদের সামাজিক দক্ষতাগুলো ঠিকমতো বিকশিত হতে পারে না।
মনোযোগের অভাব: দীর্ঘক্ষণ টিভি, কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে সময় কাটানোর কারণে তাদের মনোযোগ কমে যায়। এর ফলে লেখাপড়ায় মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

সমাধানের উপায়:
সময় ভাগ করুন: শিশুদের জন্য বাইরের খেলার একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিন।
শারীরিক কার্যকলাপ: যদি বাইরে খেলা সম্ভব না হয়, তবে ঘরের মধ্যে কিছু খেলাধুলার ব্যবস্থা করুন, যেমন - হালকা ব্যায়াম বা নাচের মাধ্যমে তাদের সচল রাখুন।
সামাজিকতা বাড়ান: মাঝে মাঝে বন্ধুদের বাড়িতে বা পার্কে নিয়ে যান, যাতে তারা অন্যদের সাথে মিশতে পারে।
স্ক্রিন টাইম কমান: তাদের টিভি দেখা বা মোবাইল ব্যবহারের সময়সীমা বেঁধে দিন এবং এর পরিবর্তে বই পড়া বা সৃজনশীল কোনো কাজে উৎসাহ দিন।

মনে রাখবেন, একটি শিশুর সুস্থ বিকাশের জন্য শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা দুটোই অপরিহার্য। তাই তাদের ঘরের বাইরে মুক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিন।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Irfana's Learning Time posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share