স্মৃতি ছেড়া পাতা Sriti Chera Pata

স্মৃতি ছেড়া পাতা Sriti Chera Pata কিছু ভালো লাগা কথা, কিছু ভালোবাসার কথা, কিছু কষ্টের কথা, মন কে ভালো রাখার জন্য কিছু সময় কাটানো। সব কিছু ভরপুর

বিয়ের সাতদিন পর আমার বউকে গন/ধ/র্ষণ করা হয়েছিল। এই জঘন্য কাজটা আমার সামনেই করা হয়েছিলো কিন্তু আমি কিছু করতে পারিনি। আমাক...
19/10/2025

বিয়ের সাতদিন পর আমার বউকে গন/ধ/র্ষণ করা হয়েছিল। এই জঘন্য কাজটা আমার সামনেই করা হয়েছিলো কিন্তু আমি কিছু করতে পারিনি। আমাকে বেঁধে রেখে আমার সামনেই ন.রপিশাচ.রা আমার বউকে ধ'র্ষণ করেছিল। আমি অনেক আকুতি মিনতি করেছিলাম কিন্তু তাদের কানে আমার আকুতি পৌছায়নি। ওরা ছিলো চার জন। বিয়ের পর আমি নিজেই আমার বউ এর কাছে যাইনি। কারণ সে অসুস্থ ছিলো। কিন্তু ওরা অসুস্থ্যতা দেখেনি। ওরা চলে যাওয়ার পরেও পাঁচ ঘন্টা আমার স্ত্রী আমার সামনে ন/গ্ন, র'ক্তা/ক্ত অবস্থায় পড়েছিলো। তাঁর কান্না আমার ভিতর পর্যন্ত পৌছে গিয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের বেডে দিন গুনতে থাকে। আর আমি ধ'র্ষক'দের শাস্তির জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে থাকি। একসময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে কেস চালাতে হয়েছে আমাকে। আমার সবকিছু আমি বিক্রি করে দিয়েছিলাম শুধু ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য কিন্তু আমি পাইনি।

তিনমাস পর তারা জামিনে বের হয়ে আসে। আর সেদিনই আমার স্ত্রী গ'লায় দ'ড়ি দিয়ে আ"ত্মহ'ত্যা করা। চিঠিতে লিখে গিয়েছিল।
এই দেশে ধ'র্ষকের শাস্তি হয় না কিন্তু ধ/র্ষিতার মানসিক শাস্তি ঠিকই হয়।

আমার সামনে দিয়ে যখন আমার বউকে ধ"র্ষণ করা মানুষগুলো হেঁটে যেতো তখন ম'রে যেতে ইচ্ছে করতো। ওরা ছিল প্রভাবশালী তাই ওদের কে কিছু করা যাবে না সেটা জানি আমি।

একটা মেয়ের সাহায্য নিয়ে ওদের চারজনকে আমি কিড'ন্যাপ করি। কারণ ওরা ছিলো সে"ক্স পাগল। সে"ক্সের জন্য কোনো মেয়ে বললে যেখানেই হোক না চলে যেতো। চারজন মানুষকে একা কিডন্যাপ করা কখনো সম্ভম না। কিন্তু আমি করেছিলাম। তার জন্য ব্যবহার করেছিলাম একজাতীয় স্প্রে যেটা নাকে ধরলে চব্বিশ ঘন্টা অজ্ঞান থাকবে।
ওরা যখন চোখ খুলে তখন একটা অন্ধকার রুমের ভিতর হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়েছিল।

ওদের জ্ঞান ফেরার পরেই আমি ছুটে যাই ওদেরকে চিরতরে শেষ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তখন আমার মনে হয় আমার বউ এর মৃ'ত্যু য/ন্ত্রণা। কতোটা কষ্ট দিয়েছিলো তাকে। হাসপাতালের বেডে কতোটা যন্ত্রণা সহ্য করেছিল।

তখন আমার মনে হলো এদেরকে শুধু দুইমিনিটের মৃ/ত্যু দিলে আমার বউ এর আত্মা শান্তি পাবে না। এদের আমি পৃৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর আর কষ্টকর মৃ/ত্যু উপহার দেবো।

সাতদিন ওদেরকে আমি বাঁচিয়ে রেখেছিলাম। সাতদিন ওদের সাথে আমি নর"পিশা"চের মতো ব্যবহার করেছিলাম।

ওদের শরীরের প্রতি ইঞ্চি পরপর শুই **ঢু'কিয়ে'ছিলাম। শুই দিয়ে মুখের সমস্ত জায়গায় **ছিদ্র করেছিলাম। তারপর সমস্ত গায়ে **ল'বণ ম'রিচ মাখিয়ে দিয়েছিলাম নিজ হাতে।

দ্বিতীয় দিন তাদেরকে টানা দুই ঘন্টা **ধ'র্ষণ করিয়েছিলাম। তারা কান্না করে চিৎকার করেছিল। সহ্য করতে পারছে না। তখন আমি এক পৈ'শাচি'ক আনন্দ ভোগ করেছিলাম।

তৃতীয় দিন আমি তাদের মাথার চুলগুলো **টেনে **টেনে তুলি। এটা করতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছিলো। চতুর্থ দিন আমি তাদের কান দুটো প্লাস দিয়ে টেনে টেনে **ছিঁড়ে/ছিলাম। তারা সেদিন আমার কাছে মৃ/ত্যু ভিক্ষা চেয়েছিল। খুব করে আকুতি করেছিলো তারা আর সহ্য করতে পারছে না। মৃ/ত্যু চায় তারা। কিন্তু আমি তাদের মৃ/ত্যু দেয়নি। পঞ্চম দিন আমি তাদের **চোখদুটো তুলে ফেলি। তুলে ফেলার আগে চোখে **মরিচের গুড়া দিয়েছিলাম। তারা পঞ্চম দিনে অজ্ঞান হয়ে যায়। আমি ভেবেছিলাম ওরা মা/রা গিয়েছে। তাই নিজের প্রতি অনেক রাগ হয়েছিলো সেদিন। কিন্তু সাতদিনের দিন তাদের জ্ঞান ফিরে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম তারা বেশি সময় বাঁচবে না। তাই তাদের চির'তরে **শে'ষ করার সিদ্বান্ত নেই।

তাদের **লি/ঙ্গে/র অর্ধেক **কে/টে ফেলেছিলাম। তারপর তাদের বাকি **লি/ঙ্গতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলাম। সেখান থেকে আস্তে আস্তে পুরো শরীরে **আগুন ছড়িয়ে যায়। তবে অনেক সময় লেগেছিলো তাদের শ'রীরে **আ'গুন ছ'ড়াতে। তারা প্রায় বিশ মিনিটের মতো **আগুনে **পু"ড়েছে আর **মৃ/ত্যু যন্ত্র/ণায় চি/ৎকার করেছে।
পুরো সাতদিনে আমি একটা ভিডিও বানাই। সাতান্ন মিনিটের একটা ভিডিও। যেটাতে সাতদিনের ভয়ংকর শাস্তিগুলো রেকর্ড করা ছিলো। আমি জানতাম ভিডিওটা ফেসবুকে ছাড়লে ভাইরাল হবে। তাই ফেসবুকে ছেড়ে দেই।

ভিডিওটা দেখার পর বারো জন **ধ/র্ষক **আত্ম"হ'ত্যা করে। কিছু মানুষ দেখে স্ট্রো**ক করে। কিছু মানুষ ভিডিওটা দেখার সাহস পায়নি।

ভিডিওটা দেখার পর ধ'র্ষণ অনেকটা কমে এসেছে।

তবে আদালত আমার ফা"সির রায় দিয়েছে। আমি এমন একটা দেশে বাস করি যেখানে **ধ"র্ষণ করার জন্য জেল,ফাসি কিছু হয় না। কিন্তু ধ"র্ষক"দের শাস্তি দেওয়ার অপরাধে ঠিকই আদালত আইন প্রয়োগ করে।

বিয়ের দিন।বরযাত্রী নিয়ে গেলাম ২৪৬ জন।মেয়ের বাবা আড়ালে আমাকে ডেকে নরম স্বরে বললেন—“বাবা, তোমাদের তো ১০০ জন বরযাত্রী আসার ...
17/10/2025

বিয়ের দিন।
বরযাত্রী নিয়ে গেলাম ২৪৬ জন।

মেয়ের বাবা আড়ালে আমাকে ডেকে নরম স্বরে বললেন—
“বাবা, তোমাদের তো ১০০ জন বরযাত্রী আসার কথা ছিল? এতজন কেনো?”

আমি হাসিমুখে বললাম—
“বাবা, আমি পরিবারের ছোট ছেলে। সবাই শখ করে আসতে চেয়েছে। বললে কি করে না করি বলুন?”

তিনি একটু থেমে বললেন—
“তা ঠিক আছে, তবে আগে থেকে জানালে ভালো হতো। এখন ওদেরকে বলে দাও, খাবারে সামান্য দেরি হবে। আমরা সবার জন্য একসাথে আয়োজন করছি।”

আমি বললাম—
“বাবা, আপনি টেনশন করবেন না। আমি বলে দিচ্ছি।”

এভাবেই বিয়েটা হয়ে গেল।
আমি আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব—কাউকে বাদ দিইনি। মনে হয়েছিল, এরা-ই আমার আপনজন।

বছর ঘুরে এলো স্ত্রীর ডেলিভারির দিন।
হাসপাতালে দাঁড়িয়ে আমার নিঃশ্বাস আটকে আসছে।
চরম জরুরি অবস্থায় দরকার এ নেগেটিভ রক্ত।

আত্মীয়-স্বজন অনেকের সাথেই রক্ত মিলে যায়, কিন্তু তারা নানান অজুহাতে পাশ কাটিয়ে গেলো।
হতাশায় রিকশায় উঠে ছুটলাম কলেজের দিকে, ভাবলাম হয়তো কোনো স্বেচ্ছাসেবক সাহায্য করতে পারবে।

আমার ছটফটানি দেখে রিকশাওয়ালা মামা জিজ্ঞেস করলো—
“মামা, এত চিন্তিত কেন? কী হইছে?”

আমি বললাম—
“স্ত্রীর ডেলিভারি, এ নেগেটিভ রক্ত লাগবে। কোথাও পাই নাই।”

রিকশাওয়ালা মামা কিছু না ভেবেই বললো—
“মামা, আমার রক্তই তো এ নেগেটিভ। আমারটা নিবেন?”

অবশেষে, সেই অচেনা রিকশাওয়ালা মামার রক্তেই আমার স্ত্রীর ডেলিভারি হলো।
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবলাম—
বিয়েতে যাদের দলে দলে নিয়ে গিয়ে খাওয়ালাম, যাদের আপন ভেবেছি, আজ সেই বিপদে কেউ নেই। পাশে দাঁড়ালো কেবল একজন অচেনা মানুষ—রিকশাওয়ালা মামা।

তারপর থেকে যখনই বাসায় ভালো খাবার রান্না হয়, আমি তাকে ফোন করে ডেকে আনি। কারণ, আপন বলতে তিনিই প্রমাণ দিয়েছেন।

মানুষের ভিড়েই সবসময় আপনজন পাওয়া যায় না।
আসল আপনজন সেই, যে বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ায়।
অচেনা মানুষও আপন হয়ে উঠতে পারে, আর যাদের আপন ভেবেছিলাম তারা অনেক সময় দূরে সরে যায়।

আমরা বিয়ে করেছি। কিন্তু বাসায় জানে না। বাসায় জানলে ৩ টা সমস্যা হবে। আব্বু আম্মু মা%&ইর লাগাবে। দ্বিতীয় সমস্যা, বাসা থেকে...
15/10/2025

আমরা বিয়ে করেছি। কিন্তু বাসায় জানে না। বাসায় জানলে ৩ টা সমস্যা হবে। আব্বু আম্মু মা%&ইর লাগাবে। দ্বিতীয় সমস্যা, বাসা থেকে বের করে দেবে। তখন সবে ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট সেমিস্টার। বাসা থেকে বের করে দিলে কোথায় থাকবো, কি খাবো?
তৃতীয় সমস্যা সবচেয়ে ভয়ংকর। পুলিশ। আমি যখন বিয়ে করি, তখন সার্টিফিকেট অনুযায়ী আমার বয়স ১৯। বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেরা দারুন বৈষম্যের শিকার। ২১ বছর না হলে তাদের বিয়ে বেআইনি হয়ে যায়। কাজেই বাসায় যদি জানে যে আমরা বিয়ে করেছি এবং ছেলে নাবা&%লক, তাহলে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যাবে।

এজন্য আমি আর মিতু বিয়ে করলাম। কিন্তু বাসায় জানালাম না।যে যার বাসায় থাকি। ইউনিভার্সিটিতে আসি। মিতুকে আমি বলি, বউ। মিতু বলে, ওগো আমার স্বামী। আমরা ক্লাসে পাশাপাশি বসি। ক্যান্টিনে গিয়ে চা খাওয়ার সময় মিতু ওড়না দিয়ে চায়ের কাপ মুছে দিয়ে স্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে। পরীক্ষার হলে মিতুকে আমি খাতা দেখিয়ে স্বামীর দায়িত্ব পালন করি। অতি সুখের সংসার।

ক্লাস শেষ হলে আমরা দুজন গাছতলায় বসি। মিতুকে আমি কথা দিয়েছিলাম, বিয়ের পর দুচোখ যেদিকে যায়, চলে যাবো। গাছের তলায় ঘর বাঁধবো।

কাজেই গাছের তলায় বসতে পেরে মিতু খুবই খুশি। তার স্বামী প্রতিশ্রুতি রেখেছে। বিয়ের পর গাছতলায় সংসার ফেঁদেছে।

এর মধ্যে মিতুর বাসায় কি যেন এক ঝামেলা হলো। মিতুর বাবা ঝা&%ড়ি মে&%রে ওকে বলল, আমার খাও, আমার পড়ো, আর আমার সাথে বেয়াদবি ?

বিয়ের পর মেয়েরা আসলেই পর হয়ে যায়। এই সামান্য কথায় মিতু দারুনভাবে আহত হলো। খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিলো। সে আর পিতার অন্ন মুখে তুলবে না। ক্লাসে এসে বলল, বাজার করে দাও।

আমি আকাশ থেকে পড়লাম। বাজার মানে? টাকা পাবো কোথায়? প্রথম আলোতে লিখে তখন কয়েকশত টাকা পেতাম। সেই টাকা তোলা হলো। কারওয়ান বাজার থেকে দুই কেজি চাল, আধা কেজি আলু এবং ডাল কেনা হলো। মিতু ব্যাগ ভর্তি করে বাজার নিয়ে বাসায় চলে গেলো। নিজে রান্না শুরু করলো। ভাত, আলু ভর্তা, ডাল। নিজেই রান্না করে, নিজেই খায়। সে এক কঠিন ব্রত।

আমি ভেবেছিলাম, এইভাবে মিতু একদিন মারা যাবে। না মিতু মারা যায়নি। বরং অতি সাধাসিধে খাওয়াদাওয়ার চর্চা করায় মিতু অল্প দিনেই শুকিয়ে গেলো। রাতারাতি তাকে অপ্সরীর মতো লাগতে লাগলো।

মিতুকে কখনো বলিনি, মিতু যতদিন ডালভাত কর্মসূচী চালিয়েছে, আমিও বাসায় মাছ মাংস ঠেলে সরিয়ে শুধু ডাল ভাতই খেতাম। আমার মা বলতেন, তোর কি হইছে?

আমি চোরের মতো মাথা নিচু করে বলতাম, কিছুই না, কিছুই না।

মাকে আমার বলতে ইচ্ছে করতো মিতুর কথা। কে বলে মেয়েরা লাজুক হয়? আমি যখন প্রথম আম্মুকে মিতুর কথা বলি, তখন আমি লাইট নিভিয়ে বলেছিলাম, আম্মু , আমার সাথে একটা মেয়ে পড়ে, ওর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তুমি আর আব্বু একটু যাবা, ওদের বাসায়?

আমার কথা শুনে আম্মু লাফ দিয়ে উঠলো। চট রুমের লাইট জ্বালিয়ে বলল, কোন মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, তাতে তোর কি? এসব তুই কি কইতাছোস? তোর কি মাথা খারাপ হইয়া গেছে?

আমি যখন বাসা থেকে পালালাম। একটা ফার্মেসি থেকে মিতুদের বাসার ল্যান্ড ফোনে কল দিলাম। মিতুকে বললাম, মিতু তুমি চলে এসো। আমি বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি।

মিতু ছোট্ট করে বলল, আচ্ছা।

সব মিলিয়ে ১৫ সেকেন্ড।

টিএসসিতে আমি দাঁড়িয়ে আছি। তখন মোবাইল ফোনের যুগ না। অস্থির হয়ে বার বার ঘড়ি দেখছি। মিতু আসবে তো? দেরি করছে কেন? কখন আসবে? আমার চোখ জ্বালা করছে। সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যত। পকেটে একটা টাকাও নেই। মাঝে মাঝে মায়ের কথা মনে পড়ছে। মাথার রগ টন টন করছে। চোখ অকারণে আর্দ্র হচ্ছে।

এমন সময় হুড তোলা রিকশায় করে মিতু আসলো। রিকশা থেকে নেমেই আমাকে দেখে হাসলো।

আমার ১৫ সেকেন্ডের একটা অনুরোধে একটি মেয়ে সব ফেলে চলে এসেছে। তার ১৮ বছরের বাবা, মা, ভাই, বোন। সবকিছু। কোথায় যাবে জানে না, কি খাবে, সেটাও জানে না।

কিন্তু রিকশা থেকে নেমেই এমন উজ্জলভাবে হাসলো ... যেন সে সব পেয়েছে। যেন সে পুরো বিশ্ব জয় করেছে।

আমি ভ্যালেন্টাইন ব্যাপারটা ঠিক বুঝিনা। ভালবাসা, প্রেম এগুলোও ঠিক মাথায় ঢোকে না।

আমার কাছে প্রেম মানে, ওই উজ্জল, নির্মল, সুখী একটা হাসি। কি পরম নির্ভরতাই না ছিল সেই হাসিতে। কি গাঢ় বিশ্বাসে মাখা ছিলো সেই হাসি।

এটাই আমার ভালবাসা। আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারবো, আমি নিজের চোখে ভূত দেখিনি, কিন্তু ভালবাসা দেখেছি। কে বলে ভালবাসা বলে কিছু নেই? ওই এক মুহুর্তের হাসিই আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।

পুনশ্চ: আমি আর মিতু একসাথে ১৫ অথবা ১৬ বছর ধরে সংসার করছি। আগে বছর গুনে মনে রাখতাম। এখন গোণাগুনির ঝামেলায় যাই না। ওই হবে একটা। প্রতিদিন ঝগড়া করি, সপ্তাহে একদিন কথা বন্ধ থাকে, মাসে একবার ডিভোর্সের চিন্তা করি।

কিন্তু কিছু করতে গেলে, ওই হাসিটাই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

একসময় কলা বিক্রি করে সংসার চালাতেন।ঘরে ছিল স্ত্রী আর একমাত্র ছেলে।সংসার ভালো মতনই চলছিল চিরঞ্জিত সেনগুপ্তর।হঠাৎই ছন্দপতন...
30/09/2025

একসময় কলা বিক্রি করে সংসার চালাতেন।ঘরে ছিল স্ত্রী আর একমাত্র ছেলে।সংসার ভালো মতনই চলছিল চিরঞ্জিত সেনগুপ্তর।হঠাৎই ছন্দপতন।স্ত্রী হৃদরোগে মা*রা যাওয়ার পরই একমাত্র ছেলে হৃদরোগে মা*রা যান।আর তাঁর ক্যা*ন্সার ধরা পড়ে।কোনদিকে যাবে ভেবে উঠতে না পেরে একসময় আ*ত্মহ*ত্যা করবেন বলে ঠিক করেন।এরপর তিনি ভাবেন ছেলে বউ তো চলে গেছে তাহলে তাঁর নাতনিকে কে দেখবে?তিনি আজ অসুস্থ শরীর নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় সাহায্য চেয়ে বেড়াচ্ছেন।দুর্গাপুজোতে ভিড়ে পা রাখার জায়গা নেই হাতিবাগানে, আর সেই জায়গায় বিনোদিনী সিনেমা হলের সামনে দেখা গেল হাতে বাটি নিয়ে পা ঘষতে ঘষতে লাঠি নিয়ে হাঁটছেন এক বৃদ্ধ। মহাচতুর্থীর রাতে এমনই দৃশ্য দেখা গেল।যেখানে দেবী দুর্গাকে দেখতে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীরা নতুন জামা পরে ঘুরছেন সেখানে এই প্রৌঢ় মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে বেড়াচ্ছেন।পরিস্থিতি কার কখন কোন দিকে যাবে সত্যিই কেউ বলতে পারে না।

26/09/2025

ভালোবাসি জয়তুন ❤️

গত বছর, আজকের দিনে আমি নৌবাহিনী কাপ্তাই ঘাঁটিতে যোগদান করেছিলাম ৭ই আগস্ট থেকে ৪৫ দিন গুম থাকার পর।• আমার জন্য এই ৪৫ দিন ...
25/09/2025

গত বছর, আজকের দিনে আমি নৌবাহিনী কাপ্তাই ঘাঁটিতে যোগদান করেছিলাম ৭ই আগস্ট থেকে ৪৫ দিন গুম থাকার পর।

• আমার জন্য এই ৪৫ দিন ছিল নতুন সত্যের ইতিকথা। একাকীত্বের জেল খানায়, আমার জুনিয়র অফিসার দের দিয়ে আমার পাহারা দাওয়ানো হতো। আমাকে বলেছিল আমার জীবনের নিরাপত্তায় ঘরে রেখেছে, দ্বিতীয় সপ্তাহ এর মধ্যে বুঝে গেলাম মুলা খেয়ে ঢুকেছিলাম, তাই প্রশ্ন করাই বন্ধ করে দেই।

• রোজা রাখি, নামাজ পড়ি, কুরআন পড়ি, সালাওয়াত পড়ি, হামদ গাই জেল এর কয়েদির মতো, তজবী গুনি, গুনতে গুনতে আবার ৮-১১ বছর একটা রুমে মানুষ কেমন করে কাটিয়ে দেয় এইটা চিন্তা করি। তাও, আমার ঘর তো ঘরের মতো। একটা ফ্যান, একটা বিছানা, একটা বসার জায়গা, একটা বাথরুম, সবই ছিল আলহামদুলিল্লাহ। মানুষ ভাববে ac নাই, ফ্রিজ নাই, টিভি, ফোন, ইত্যাদি ছাড়া কেমনে? আমি বলি মাত্র ৪৫ দিন তো। কেউ বলে "ভাই আমি পারতাম না", আমি বলি, তাইলে ভাবেন "অন্যরা কেমন করে কাটিয়েছে?", আমিও নিজেকে এই কথাই জিজ্ঞেশ করে স্থির রাখতাম। মাত্র ১ দিন, মাত্র ১ সপ্তাহ, মাত্র ১ মাস, এরপর ধরে নিলাম হয়তো মাত্র এক বছর বলা লাগবে কিছুদিন পর। বলা লাগেনাই আলহামদুলিল্লাহ।

• খাওয়া দাওয়ায় সমস্যাও হতো না তেমন। শুধু রোজা রাখবো জীবনের শেষ কয়টা দিন ভেবে এক পিস চিকেন, একটা সিদ্ধ ডিম এর সাথে লেবু পানি চিনি ছাড়া খেয়ে রোজা খুলতাম, আর সেহেরির সময় এক পিস চিকেন অথবা কোন দিন সিদ্ধ সবজি খেয়ে রোজা শুরু করতাম আলহামদুলিল্লাহ। গল্প আরো আছে যদিও, এইখানে বলে শেষ করা যাবেনা। কষ্ট ছিল যে গরম লাগতো যেহেতু বাইরের বাতাস ভিতরে ঢুকার উপায় ছিল না, বাইরের আলোও ডাইরেক্টলি দেখা বা ছোঁয়ার উপায় নেই। তাও ভাল ছিল আলহামদুলিল্লাহ। এই ৪৫ দিন মা, বাবা, বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন কারো কোন খোজ নেই, আদৌ কি তারা জানে আমি কই? আমি কি বাইরের দুনিয়ার জন্য বেঁচে আছি? এইগুলা প্রশ্ন করতাম যখন রাতে জানালার বাইরের ইন্টেরিয়র এর স্পট লাইট আমার দিকে দিয়ে রাখা হতো রুম অন্ধকার যেন না থাকে এই বলে।

• এই ছবিটাও আমার ভোরের নির্ঘুম তাহাজ্জুদে দাঁড়ানো অবস্থায় তুলেছিল আমার কোন এক জুনিয়র অফিসার/সৈনিক তবে সে কিছুদিন আগে লুকিয়ে আমাকে এইটা দিয়েছে। এইটাও প্রমাণ যে তখনও এরা সবাই আমার পক্ষেই ছিল যেমন সেই সময় ডিউটিরত আমার এক জুনিয়র বলেছিল, "স্যার আমাদেরকেও বলে না কয়দিন ডিউটি করা লাগবে, আমরাই পাগল বোধ করছি। আপনাকে মনে হয় পাগল বানায় ছাড়বে, এইভাবে একটা রুমে বন্দী এতদিন তো পুলিশের জেইল এর কয়েদিও থাকেনা।"

আমি বললাম "কদ্দর আল্লাহু মাশা ফা'আল"

•এরপর বের করল, করে বলল আগের সব ভুলে যাও। নতুন শুরু। চাকরি কর ঠিক করে। আরেকজন আমার মায়ের সামনে বলল এরপর আমার মৃত্যুদণ্ড দিতে কারো দ্বিধাবোধ হবে না, চাকরি করতে না চাইলে নিয়ম অনুযায়ী ইস্তফা দিবা অথবা ঠিক করে চাকরি কর। কিছু মানুষের বিরুদ্ধে মান হানির মামলাও করতে চাইলাম, বলা হল, এইসব ভুলে যাও, সব ঠিক হয়ে যাবে, ঠিক করে চাকরি কর। বুঝেছিলাম মুলা দিচ্ছে যেইটা প্রমাণ পেলাম ১৮ মে ২০২৫।

বিধির বিধান বোঝা বড় দায় যেমনটি ঘটেছিল  # হুমায়ুন ফরিদীর ১৯৮০ সালে দীর্ঘ দিনের প্রেকিকাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হুমায়ুন ...
25/09/2025

বিধির বিধান বোঝা বড় দায় যেমনটি ঘটেছিল # হুমায়ুন ফরিদীর
১৯৮০ সালে দীর্ঘ দিনের প্রেকিকাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হুমায়ুন ফরিদী - তার নাম #নাজমুনআরাবেগমমিনু
তাদের সেই ভালোবাসার আলো ঝলমলের রাজমহলে জন্ম হয় #রাজকুমারী - শারাফাত ইসলাম দেবযানী র তাদের সংসারে সুখের বন্যা বইয়ে শুরু করে। হাসি আনন্দে দিন কাটতো সুমধুর। কিন্তু ৪ বছর পর সেই - সুখের সুর হয় বেদনার সুর - কারন হুমায়ুন ফরিদী ভালোবেসে ফেলেন - বিখ্যাত অভিনেতা গোলাম মোস্তাফার মেয়ে অভিনেত্রী #সুর্বনামোস্তফাকে ব্যাস,
১৯৮৪ সালে #হুমায়ুনফরিদী তার ভালোবাসার স্ত্রী মিনুকে তালাক দেন, আর তখন তার সেই ভালোবাসার স্ত্রী মিনু ছাতক পাখির মতো ফরিদীর দিকে তাকিয়ে থাকেন - আর অঝরে কেঁদে বুক ভাসান, যেন বাকরুদ্ধ হয়ে যান মিনু ।
ঠিক ঐ বছরই 1994 সালে
ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেত্রী সুর্বনা মোস্তফাকে। এই সংসার ফরিদীর ভালোই চলছিল, একটানা ২৪ বছর তারা সংসার করেছেন, বহু নাটকে ছবিতে অভিনয় করেছেন।
কিন্তু এই সংসারেও বেদনার সুর বেজে উঠে যখন সুর্বনা মোস্তফা নাট্য পরিচালক সৌউদ কে ভালোবেসে ফেলেন।
ব্যাস
দীর্ঘ ২৪ বছরের সুখের সংসারের ইতি টেনে ফরিদীকে নিজেই তালাক দেন সুর্বনা মোস্তফা - তারপর দ্রুত বিয়ে করে নেন #নাট্য পরিচালক #সৌউদ কে আর
মিনুর মতো #হুমায়ুন ফরিদী #ছাতক পাখির মতো সুর্বনার দিকে চেয়ে চেয়ে দেখেছেন - এবং বাকরুদ্ধ হয়েছেন।
সেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে
২০১২ সালের ১৩ ই ফেব্রয়ারী নিজ বাসায় নিসঙ্গ অবস্হায় একাই ধুকে ধুকে মারা যান - এই বিখ্যাত অভিনেতা। তাই তো বলি - বিধির বিধান বোঝা পড় দায়, অন্য কাউকে ঠকালে - একদিন নিজে কেও ঠকতে হয়।
স্টিল ছবিতে হুমায়ুন ফরিদী, তার প্রথম স্তী মিনু এবং তার মেয়ে - দেবযানী

২৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড...আমার আর্মিতে জয়েনের দিনই আমাকে কিছু কড়া ইন্সট্রাকশন দেয়া হয়। কটু কথাও শুনতে হয় আমার ফিটনেস নিয়ে। ল...
24/09/2025

২৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড...
আমার আর্মিতে জয়েনের দিনই আমাকে কিছু কড়া ইন্সট্রাকশন দেয়া হয়। কটু কথাও শুনতে হয় আমার ফিটনেস নিয়ে। লম্বার দিক দিয়ে খারাপ না থাকলেও, আমার স্বাস্থ্য আর্মিসূলভ ছিল না। এমনিতেও বাড়িতে খাওয়া দাওয়াতে প্রচুর অনিয়ম করেছি। সেই অনিয়মের জন্য কোনও কথা শুনতে হয় নি। আজ শুনতে হচ্ছে।
ইন্সট্রাকশনের কতগুলো পয়েন্ট এখানে তুলে ধরি,
নিজের মোবাইল ফোন অফিসে জমা রাখতে হবে। তিন মাসের ট্রেনিং এ একবারও মোবাইল চাওয়া যাবে না।
অফিসারের প্রত্যেকটা কথা শুনতে হবে। অফিসার যদি বলে পাহাড়ে উঠে লাফ দিয়ে মরে যাও, পাহাড়ে উঠে লাফ দিয়ে মরে যেতে হবে। প্রশ্ন করা যাবে না।
বাড়িতে ফোন করার জন্য বারবার রিকুয়েস্ট করা যাবে না ও খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে আসা ফোন ওকে দেয়া হবে না ট্রেনিং সেশনের সময়। এ জন্য কোনও কমপ্লেইন করা যাবে না। অসুস্থ্য হওয়া যাবে না। অজুহাত নামের হাত কেটে ফেলে দিতে হবে।

আমার জন্য অন্যরকম একটা ইন্সট্রাকশন দেয়া হলো। সারাদিনে ২০০ টা পুশ আপ দিয়ে অফিসার কে রিপোর্ট করতে হবে। এই দুইশো পুশ আপের জন্য আমাকে এক ঘন্টা সময় দেয়া হবে।dc

প্রথমদিনেই আমি কুপোকাত। ৩০ টা পুশ আপ দিয়ে আমি আর নড়তে পারছিলাম না। নির্দেশ ছিল ২০০ পুশ আপ শেষ করলেই দুপুরে খেতে পারবো। সেইদিন দুপুরে না খেয়ে ছিলাম। রাতে অবশ্য খাবার পাই।
দিনে আবার সেই একই কাজ। পুশ আপ, ২০০ টা। এবার ১০ টা পুশ আপ দিতে গিয়ে মনে হলো হাত ভেঙে যাবে। আজ ইন্সট্রাকশন ছিল এক ঘন্টার মধ্যে ২০০ পুশ আপ না দিতে পারলে পানিশমেন্ট আছে। পানিশমেন্টের জন্য রাজি হয়ে গেলাম। তবুও অন্তত দুপুরের খাবার দিক!
পানিশমেন্ট ছিল এক পায়ে দাঁড়িয়ে খাবার খাওয়া।
অনেক কষ্টের কথা বললাম, তাই না? আসেন আসল কষ্টের গল্প করি।

নওরিন কে আমি চিনি তিন বছর ধরেই। ভার্সিটিতে থাকাকালীন ওর সাথে রিলেশন। প্রচন্ড পছন্দ করতাম ওকে। ভালোবাসতাম। আমাদের প্রেম ভালোবাসা লুকানো ছিল না। আমার আব্বা আম্মা জানতো। ওর বাবা মায়ের সাথে আমাকে ও পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো। বাবা রিটায়ার্ড সরকারী কর্মকর্তা, ছেলে আর্মিতে, ছোট ছেলেও আর্মিতে যাবে, এগুলো শোনার পর নওরিনের বাবা মা আমাকে তাদের ছেলের আসনে বসিয়ে দিলো।
আমাদের ব্যাপারে কথা হয়। সিদ্ধান্ত হয় আমি আর্মিতে জয়েন করবো, ও তার এক বছর পর আমাদের বিয়ে হবে। আংটি বদল হয়ে গেলো ওইদিনই।

এক সপ্তাহ পর আমি এখানে, ২০০ টা করে পুশ আপ দিচ্ছি আর মরে যাচ্ছি। এখানে আসার আগে আমাকে নওরিন বলেছিলো, ওখানে পৌছেই একটা ফোন করে ওকে যেন জানাই। ওকে ফোন করতে পারি নি। বাসায় জাস্ট জানানো হয়েছে যে আমি এখানে পৌছেছি, ব্যাস।dc
দেখতে দেখতে সপ্তাহ পার হয়ে গেলো। কোনও পানিশমেন্টেই আমার ডেভেলপ করানো সম্ভব হচ্ছিলো না। আমাকে অফিসার হুট করে একদিন একটা অদ্ভুত প্রশ্ন করলেন।
‘ প্রেম টেম করো নাকি? ’
‘ না স্যার। ’
‘ মিথ্যা বললে ১০০ পুশ আপ আরও করাবো। আবার বলছি, প্রেম টেম করো? ’
‘ না স্যার। আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। ’
‘ ওর নাম কি নওরিন? ’
আমি পুশ আপ বন্ধ করে অফিসারের দিকে তাকিয়ে রইলাম। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন। তারপর আমাকে ইন্সট্রাকশন দিলেন।
প্রতিদিন ২০০ পুশ আপ দিলে ২০০ সেকেন্ড করে নওরিনের সাথে কথা বলতে পারবো। ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড। দুইদিন পর কথা বললে ৬ মিনিট ৪০ সেকেন্ড। ২০০ পুশ আপ এর কম পুশ আপ দিলে এক সেকেন্ডও কাউন্ট হবে না। ২০০ পুশ আপ এর বেশি পুশ আপ দিলে সেটা কাউন্ট হবে।
আমি ‘ ওকে স্যার! ’ বলে একটা চিৎকার দিলাম ও পুশ আপ দিতে শুরু করলাম। সেদিন অনেক কষ্টে ৭৯ টা পুশ আপ দেই আমি। আমার সর্বকালের রেকর্ড।
এক মাস ধরে আমি এই সেশনে আছি। অন্যান্য ট্রেনিংগুলোও করছি। তবে আগের চেয়ে পুশ আপ একটু সহজ হয়ে গেছে। প্রতিদিন অবশ্য ২০০ পুশ আপ দেয়ার আগেই আমার স্ট্যামিনা একদম শেষ হয়ে যায়। অফিসারের ঘড়িতে এখনও এক মিনিট যোগ হয় নি।
দুই মাস পর সেই শুভক্ষণ আসলো। জীবনে প্রথমবার ২০০ টা পুশ আপ দিলাম। প্রচন্ড খুশিতে তালে বেলাতে অফিসারকে জড়িয়ে ধরলাম।

আমার ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড অফিসারের ঘড়িতে এড হয়ে গেলো।
সেইদিন রাতে অফিসার আমার সামনে দাঁড়িয়ে স্টপওয়াচে সময় দেখছে আর আমি নওরিনের সাথে কথা বলছি দূরে দাঁড়িয়ে। শেষে আমরা টানা ৩৮ সেকেন্ড একে অপরকে ভালোবাসি বলে গেলাম। তারপর ফোন রেখে দিলাম। আমার সময় শেষ।dc

পরের দিন আবার ২০০ পুশ আপ কমপ্লিট। তার পরের দিন। তার পরের দিন। আমরা তিন মিনিট, চার মিনিট আর কয়েক সেকেন্ডের জন্য অপ্রয়োজনীয় কথা বলতাম। কয়েক সেকেন্ড একে অপরকে ভালোবাসি বলতাম। কিন্তু কয়েক মিনিট কথা বলে আমাদের পুষতো না।
আমি একটানা এক সপ্তাহ পুশ আপ দিলাম। অতিরিক্ত পুশ আপও দিতে থাকলাম। আমার ঘড়িতে জমলো ২৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড। অনেক সময়।

তারপরের দিন বাসা থেকে ফোন আসলো। ইন্সট্রাকশন বলে, প্রচন্ড ইমার্জেন্সি না হলে বাড়ি থেকে ফোন আমি রিসিভ করতে পারবো না। কিন্তু আমাকে সেদিন বলা হলো, শিহাব ইটস এন ইমার্জেন্সি।
আমার বুক ধুকপুক করতে লাগলো। আমার ভাই থাকে সোমালিয়াতে (মিশনে)। যুদ্ধাবস্থাতে সেখানে কত লোক মারা যাচ্ছে। আমি ভাবলাম ভাই কে নিয়ে খুব খারাপ কিছু শুনতে যাচ্ছি।
ফোন রিসিভ করে জানতে পারলাম, ভাই ভালো আছে। নওরিন একসিডেন্ট করেছে, অবস্থা খারাপ। ভাই আমার তিন দিনের ছুটির ব্যবস্থা করেছেন। আমাকে আসতে হবে।dc
হাসপাতালে যাওয়ার আগেই নওরিন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য মারা যায়। রেইপ এন্ড মার্ডার কেস। দিনে দুপুরে, তাও বাসের ভিতর। নওরিনের কথামতে, সব যাত্রী কে নীলক্ষেত নামিয়ে দেয়া হয়। ওকে বলা হয় শেষে নামতে, সবাই নামলে আরামে নামতে পারবে সে। সবাই নেমে যাওয়ার পরপরই বাস এক টানে জায়গা ত্যাগ করে। নওরিন বাস থেকে নামতে পারে নি।
তিন দিনের ছুটি কাটাতে ইচ্ছে হলো না। দুই দিনের মাথায় ক্যাম্পে ফেরত আসলাম। অফিসার জানতে চাইলেন, কেমন আছে নওরিন। আমি কিছু বলতে পারলাম না।

রাতে হুট করে অফিসারের তাবুতে গিয়ে বললাম, ঘড়িটা দিতে। আমার নামে ২৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড মজুদ আছে। অফিসার এই প্রথমবার আমার হাতে ঘড়িটা দিয়ে দিলেন, আমার সাথে আসলেন না। আমি নির্বিকার ভাবে বের হয়ে আসলাম।
জায়গাটা খোলামেলা, উপত্যকার মত উঁচু নিচু। আমি ঘড়িটা চালু করি আর নওরিন কে ফোন দেই। ওপাশ থেকে জানায়, ফোন বন্ধ আছে। আমি ওই ফোন বন্ধের বার্তা শুনতে থাকি আর মূর্তির মত চোখ বড় বড় করে চোখের পানি ফেলি। আমার ২৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড যেন শেষ হওয়ার নয়।

"আগামীকাল আপনি মারা যাবেন - এটা জানতে পারলে আপনি কি করবেন?", একটা ভাইভা বোর্ডের প্রশ্ন ছিল এরকম।  প্রার্থী জবাব দিল, বেছ...
23/09/2025

"আগামীকাল আপনি মারা যাবেন - এটা জানতে পারলে আপনি কি করবেন?", একটা ভাইভা বোর্ডের প্রশ্ন ছিল এরকম।

প্রার্থী জবাব দিল, বেছে বেছে আমার শত্রুদের সাথে সাক্ষাৎ করব।

উত্তর শুনে ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা তো অবাক। একজন জানতে চাইলেন, কেন? আপনি এমনটা কেন করবেন?

জবাবে প্রার্থী বলল, যারা আমার আপনজন, তাদের ওপর আর মায়া বাড়ানোর মানে হয় না - তাতে তাদের আর আমার কষ্টই বাড়বে। এর বদলে আমার প্রতি যাদের রাগ, তাদের সাথে একটু ভালো ব্যবহার করলে শেষ সময়ে তারাও হয়তো আমার জন্য দোয়া আর আশীর্বাদ করবে।

ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার সব কাজ যেন নিজের জন্য না হয়! কিছু কাজ শত্রুর কথা ভেবেও করুন, তাতে আখেরে আপনারই লাভ। যে লোকটা আপনার বানান ভুল ধরে, সে আপনার লেখার প্রশংসাকারীর চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তার ভয়ে সঠিক বানান লিখুন, আপনার লেখার মান বেড়ে যাবে।

প্রতিটা অর্জনের চেষ্টার পেছনে শত্রু থাকলে সেটা দ্রুত পাওয়া যায়। শত্রুদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন, কিন্তু তাদেরকে ঘৃণা করবেন না। একটা মানুষ যখন আপনাকে গালি দেয়, তখন সে আপনার কাছ থেকেও একটা পাল্টা গালি শোনার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। আপনি গালি দিয়ে দিলেন তো শেষ; ব্যাপারটা চূড়ান্ত নোংরামি হয়ে গেল আর তার উদ্দেশ্য সফল হল। আর যদি গালির জবাবে হাসিমুখে তাকে 'শুভকামনা' জানান, সে আপনাকে নতুন করে আবিষ্কার করবে। কাউকে তর্কে হারানো মানেই জয়ী হওয়া নয়, কখনো কখনো অন্যের যুক্তি মেনে নেওয়াই প্রকৃত বিজয়।

আমি যখন কিছু লিখি, তখন 'সহমত' কমেন্ট দেখলে খুশি হই। তবে কেউ যৌক্তিকভাবে দ্বিমত দিলেও অখুশি হই না। সমালোচকদের ভালোবাসুন; দিন শেষে তারা আপনাকে নিয়ে ভাবতে বসে যাবে - এটা পরীক্ষিত সত্য। মনে রাখবেন প্রত্যেক শত্রুই আপনার জন্য এক একটা সতর্ক বার্তা। আর সতর্কতা সফলতার জন্য প্রচন্ড দরকারি! কেউ অমুকের ভাতিজা বলে পাওয়ার দেখালে, আপনি নিজেকে তমুকের ভাগ্নে হিসেবে পরিচয় না দিয়ে লোকটাকে সালাম দিয়ে চলে আসুন। এতে আপনি ছোট হবেন না; বরং বড় হবেন।

ভালো থাকুক চারপাশের মানুষগুলো। ভালোবাসার, ঘৃণার, কাছের, দূরের, সবাই।

゚viralシfypシ゚viralシalシ

ছুটি কাটিয়ে দেশ থেকে আসার তিন মাস পরে জানলাম, আমি নাকি বাপ হবো! ফোনে খবরটা দিতে গিয়ে বউডা আমার লজ্জায় মইরা যাইতেছিলো। ছে...
22/09/2025

ছুটি কাটিয়ে দেশ থেকে আসার তিন মাস পরে জানলাম, আমি নাকি বাপ হবো! ফোনে খবরটা দিতে গিয়ে বউডা আমার লজ্জায় মইরা যাইতেছিলো।
ছেলে হইবো নাকি মেয়ে- এই নিয়ে রোজ খুনসুটি করতাম দুইজনে। ইচ্ছা করতো, চাকরি ফেলে এক্ষণই দেশের বিমানে উঠে বসি, চলে যাই বউয়ের কাছে।

কিন্ত সেটা করলে তো নতুন মেহমানরে না খেয়ে থাকা লাগবে। কোম্পানীতে বলে রাখলাম ছুটির কথা। তাদের আবার নিয়ম, একবার ছুটি কাটানোর এক বছর পার হওয়ার আগে আবার ছুটি নেয়া যায় না। হিসাব করে দেখলাম, বাচ্চার বয়স দুইমাস হইলে পরে আমি দেশে যাইতে পারব।

জুন মাসে আমার মেয়েটা দুনিয়ার আলো দেখলো, ভিডিও কলে আমিও দেখলাম আমার মায়েরে। আকিকা দিয়া নাম রাখা হইলো লামিয়া। আগস্টের শেষ সপ্তায় দেশে আসবো, ছুটি পাইলাম ১৫ দিনের, বিমানের টিকেটও করা শেষ। মেয়ের জন্যে কি কিনবো, মেয়ের মায়েরে কি উপহার দিব সেই চিন্তায় পেরেশান হয়ে আছি, কারো বুদ্ধিই মনে ধরে না। প্রথম বাবা হওয়ার অনুভূতি বলে কথা।

ঢাকায় তখন ডেঙ্গু ছড়াইতেছে, হাজার হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি। আমি তখনও কিছু জানি না, নিজের চিন্তায় ব্যস্ত। একদিন ফোনে বউ বললো, মেয়েটার নাকি জ্বর দুইদিন ধরে। ডেঙ্গুর কথা মাথায়ও আসে নাই, এই সর্বনাশা "ঘা ত ক" যে ঢাকা থেকে এতদূরে গিয়া হাজির হবে, কে জানতো? বউরে বললাম, ডাক্তার দেখাইতে। আরও একদিন গেল, শুনলাম জ্বর নামছে, কিন্ত বাচ্চার খাওয়াদাওয়া বন্ধ, শরীর খুব দুর্বল, কান্নাকাটিও করে না।

একদিন পরে শুনি, আমার মেয়েটার নাকি ডেঙ্গু হইছে, তারে ভর্তি করা হইছে হাসপাতালে! আমার মাথার উপরে যেন গোটা আসমান ভেঙে পড়লো, দুনিয়াটা ছোট হইয়া আসলো এক মূহুর্তে! দেড়মাসের বাচ্চাটা যখন হাসপাতালে যু-দ্ধ করতেসে ডেঙ্গুর সাথে, আমি তখন কাতারে যু - দ্ধ করতেসি প্লেনের টিকেট আগায়ে আনার জন্যে।

অফিসে জানাইলাম, ছুটি না আগাইলে আমি চাকরি ছাইড়া দিব। মেয়ের চাইতে দামী কিছু আমার কাছে নাই। তারা রাজী হইলো। তিনদিন পরের টিকেটও ম্যানেজ করে ফেললাম। আর তিন-চারটা দিন পরেই আমি আমার মেয়েটারে কোলে নিতে পারবো! ফোনে খবর পাই, মেয়ের অবস্থা নাকি ভালো না, তারে আইসিইউতে রাখা হইছে। আমার কাছে প্রতিটা মিনিটরে তখন একেকটা দিনের সমান লম্বা মনে হয়!

যেদিন প্লেনে উঠবো, তার আগেরদিন ফোনটা আসলো। মেয়েটা আমার মা-রা গেছে, ডেঙ্গুর কারনে,, ফোনে আমি শুধু বললাম, আমার বউটারে একটু দেখে রাইখেন, আমি আসতেছি। দুইদিন পরে আমি বাড়ির উঠানে পা রাখলাম, ঘর থেকে শুধু আগরবাতির গন্ধ নাকে আসে।

এই বাড়িতে একটা ফুটফুটে ফেরেশতা জন্ম নিছিলো, আমার বাচ্চা, আমার সন্তান। সেই সন্তানরে আমি একটাবারের জন্যে কোলে নিতে পারি নাই, একটু আদর করতে পারি নাই। আমার মেয়েটা দেড়মাস পৃথিবীতে থাকলো, হাসলো, কান্না করলো, রোগে ভুগে দুনিয়া ছেড়ে চইলাও গেল, অথচ একটাবার সে তার বাবার স্প'র্শ পাইলো না! বাপ হইয়া আমি নিজেরে কেমনে ক্ষমা করি বলেন?

কাতারে থাকি শুনলে অনেকেই ভাবেন টাকার বিছানায় ঘুমাই বুঝি। আমরা প্রবাসীরা আসলে ক'ষ্টের সাগরে ভাসতে থাকি। কাজের ক'ষ্ট, খাওয়ার ক'ষ্ট, এগুলা তো গায়ে লাগে না। ক'ষ্ট লাগে আপনজনের কাছ থেকে দূরে থাকতে, প্রিয় মানুষগুলার কাছ থেকে হাজার মাইল দূরে থাকার যে কি য'ন্ত্রণা, সেইটা সবাই বুঝবে না। নিজের সন্তানরে একটাবারও না দেখে তার ক'ব'র জেয়ারত করার যে কি ক'ষ্ট, সেইটা কাউরে বলে বুঝানো যাবে না! কাউরে নাহ।

মুম্বাই থেকে কল এলো DY Stadium এ কনসার্টে আধাঘন্টা গাইতে হবে, দেওয়া হবে ১০ কোটি রুপি ৷ আরজিৎ উত্তরে বললেন, বৃষ্টির দিনে ...
20/09/2025

মুম্বাই থেকে কল এলো DY Stadium এ কনসার্টে আধাঘন্টা গাইতে হবে, দেওয়া হবে ১০ কোটি রুপি ৷ আরজিৎ উত্তরে বললেন, বৃষ্টির দিনে তার বউ খিচুড়ি, ইলিশ রান্না করেছে সেটা খেয়ে তিনি ঘুমানো পছন্দ করবেন ৷
বর্তমানে আরজিৎ সিং একটি কনসার্টের জন্য ১৪ কোটি রুপি চার্জ করেন যা ভারতীয় ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৷ ২য় অবস্থানে AR Rahman তিনি চার্জ করেন ২ কোটি রুপি ৷ আরজিৎ এর কাছে প্রতিবছর ১০০'র উপরে কনসার্টের রিকুয়েস্ট আসে কিন্তু তিনি খুব কম কনসার্টে যেতে রাজী হন ৷ তিনি ভারতের সবচেয়ে ধনী গায়ক হতে পারতেন কিন্তু ইচ্ছে করে হন নি ৷ তার লাইফস্টাইল তিনি একেবারে সিম্পল রেখেছেন ৷ তার বাড়ি ঘর দেখলে বোঝার উপায় নেই এতো জনপ্রিয় ব্যক্তি এখানে থাকেন ৷ প্রয়োজন ছাড়া চড়েন না দামী গাড়িতে ৷ মাঝে মধ্যে বিকেল হলে পুরানো জামা পড়েই এলাকার মাঠে ক্রিকেট খেলতে চলে যান ৷

হানি সিং, বাদশা, নেহা কাক্কার'দের মতো ছা** পড়িরা দামী জামাকাপড়, দামী গাড়ি, বেশি বাজেটে ভিডিও বানিয়ে নিজেদের ভারতের সবচেয়ে বড়লোক আর্টিস্ট দেখানোর চেষ্টা করে ৷ আরজিৎ সিং এদের ১০বার কিনে, ১০বার বেঁচার ক্ষমতা রাখে ৷

⚡চা বেচে অমুক দিনে ১০ হাজার কামাচ্ছে""বেগুনের খেত করে মাসে ২ লাখ টাকা ইনকাম""চাকরি ছেড়ে গোবর ছেনে কোটিপতি"এসব গল্প এখন অ...
17/09/2025

⚡চা বেচে অমুক দিনে ১০ হাজার কামাচ্ছে"
"বেগুনের খেত করে মাসে ২ লাখ টাকা ইনকাম"
"চাকরি ছেড়ে গোবর ছেনে কোটিপতি"
এসব গল্প এখন অনেকেই শোনায়।

তরুণদের জন্য পরামর্শ, এই ফাঁদে পড়বেন না। একদম নিজের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা — আমাদের বয়সী একজন — ওয়েল পেইড জব ছেড়ে এইসব কুইক ক্যাশের নেশায় পড়ে গেল, এখন হাউমাউ করে মরছে।

আপনি যাই করেন, সেটার এক্সপান্ডিবিলিটি থাকতে হবে। ধরুন, একজন রিকশাওয়ালা, সে ডিসেন্ট আয় করে, এন্ট্রি লেভেল চাকরিজীবীর চেয়ে বেশি। রিকশাওয়ালারা মাসে ৩০ হাজার কামায় আর জবে নতুন হলে স্যালারি মাত্র ১৫ হাজার — ভিউ শিকারীরা আপনাকে এটুকুই বলবে।

এবার পরের হিসাবটা! ভাবুন, ওই রিকশাওয়ালা তার ইনকাম ডাবল করতে চায় বা নিদেনপক্ষে আর একটু বাড়াতে চায়। তার জন্য একমাত্র অপশন রিকশা চালানোর সময় বাড়িয়ে দেওয়া। ডাবল করতে চাইলে তাকে ১০ ঘন্টার জায়গায় ২০ ঘণ্টা রিকশা চালাতে হবে। এটা কী ফিজিক্যালি পসিবল? রোদ, বৃষ্টি তো আছেই, ছুটির দিনে কাজে না গেলে আয় নেই।

কিন্তু এন্ট্রি লেভেলের জবে ৪/৫ বছরে বেতন ডাবল হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক, কোনো অতিরিক্ত ঘন্টা না বাড়িয়েই।

আপনি যে কাজটা করতে চান সেটা তো আগে ভালো লাগতে হবে। ফেসবুকের এক লাইকখোরের লেখা পড়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন বাজারে বসে চা বেচবেন, চাকরির ডাবল ইনকাম। ভেবে দেখুন, আগামী ৩০ বছর আপনি কাপ পিরিচ আর চুলা নিয়ে চা বানাতে রাজি আছেন কিনা।

লাইফস্টাইলের ব্যাপার তো আছেই। আপনার যখন তেমন ইনকাম ছিল না, তখন আপনি বাইক চালাতেন। সামনে টাকা হবে, গাড়ি কিনবেন। কিন্তু এসব কাজে গাড়ির ভূমিকা কি? গাড়ি চালিয়ে কি আপনি ঝালমুড়ি বেচতে যাবেন?

চাকরিজীবি বা ডিসেন্ট লেভেলের উদ্যোক্তা হলে আপনি তার সাথে একটা লাইফস্টাইল আর নেটওয়ার্ক বাই ডিফল্ট পাবেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন, আপনি একটা স্টেশনারি কোম্পানির মার্কেটিংয়ে জব করেন। আপনি আজ এই ভার্সিটিতে, কাল ওই ঝকঝকে অফিসে বি-টু-বি ডিল করতে যাবেন। কত হাই স্কিল লোকের সাথে পরিচিতি হবে, কন্টাক্ট বিনিময় হবে।

কিন্তু আপনি টাকা দেখে রাস্তায় বাদামের ঝুড়ি নিয়ে দাঁড়ালেন। আপনার নেটওয়ার্ক হবে পাশের ফুচকাওয়ালা, আইসক্রিম বিক্রেতা ইত্যাদি। ওই ফুচকাওয়ালার ওই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় চিন্তা সে কতক্ষণে তার সব মাল বিক্রি করে ঘরে যাবে। আগামীকালও সে একই কাজ করবে। আপনার মতো তার অ্যাম্বিশন নেই, বড় কিছু করার ইচ্ছে নেই, দেশের মানুষের উপকারে আসার খায়েশ নেই।

মনে রাখবেন, Your network is your net-worth. আর ওই সমস্ত পেশায় যে খুব বেশি ইনকাম হয় তাও কিন্তু না। খবরের শিরোনামে লেখা "চাকরি ছেড়ে বেগুন চাষে লাখপতি", ভিতরে থাকে ১ বছরে আয় সর্বসাকুল্যে ৩ লাখ টাকা। মানে ওই লোক মাসে মাত্র ২৫ হাজার টাকা কামায়, এটা নিয়ে আবার নিউজও হয়!

তাই এইসব ভুয়া মোটিভেশনের ফাঁদে পড়বেন না। প্রতি বছর মিডিয়াগুলো নিজেদের স্বার্থেই এসব নিউজ করে। গত ৫ বছরে নিউজ তো কম দেখেননি, আইফোন হাতে চানাচুরওয়ালা, ডিএসএলআর হাতে চটপটি বিক্রেতা, আরো কত কি! প্রশ্ন হলো তারা এখন কোথায়? তারা এখনও কেন সেই রাস্তায় বসছে না আর ওরকম আয় করছে না? তাহলে এগুলো রিলায়েবল পেশা হয় কিভাবে?

কোনো কাজই ছোট নয়। কিন্তু সব কাজই যে আপনার ফিল্ড, তা-ও নয়। আপনার কাছে খুব ভালো একটা প্ল্যান আছে, কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য আপনি এগোতে পারছেন না। এখন আপনি যদি মাছ কুটে, চানাচুর বেচে ওই ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলতে পারেন, তাহলে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু যেভাবে এসব পেশাকে সরাসরি একটা ওয়েল পেইড জবের বিকল্প হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তা মোটেও রিয়েলিস্টিক নয়।

কার্টেসিঃ বেকার সমস্যার সহজ সমাধান পেইজ
Posted on Mohammad Hanif

#সংগৃহীত

Address

Sylhet
Sylhet
3100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when স্মৃতি ছেড়া পাতা Sriti Chera Pata posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to স্মৃতি ছেড়া পাতা Sriti Chera Pata:

Share