আরভিন জুহায়না

আরভিন জুহায়না Hello i am Hayat and this is my page welcome to my page.
(1)

ㅤㅤㅤㅤㅤ⑅ ⦙ ⁽🩰₎ ɞ
𝄖𝄖𝄖𝄗𝄖𝄖ㅤ
শব্দের প্রেমে বুঁদ এক স্বপ্নচারিণী
যিনি কলমের ডানায় ভেসে যান গল্পের
গভীর ভুবনে࣪ 🌷 ꔫ

গল্প :-  #কোমলময়ী_আজালিয়া লেখিকা :-  #আরভিন_জুহায়না পর্ব ১হলরুমের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।চারপাশে নিঃশব্দের এক চাপা উত্তেজন...
24/06/2025

গল্প :- #কোমলময়ী_আজালিয়া
লেখিকা :- #আরভিন_জুহায়না
পর্ব ১

হলরুমের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

চারপাশে নিঃশব্দের এক চাপা উত্তেজনা।
সেই মুহূর্তেই সদর দরজার ভারী কাঠের পাল্লা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো একদল পুরুষ। তাদের সবার আগে আছে শ্যাম বর্ণের রোহান।

তার মুখ কঠিন, চোখে চাপা আগুন।
তার সঙ্গে তার দুই চাচা—রিজওয়ান ইফতিয়ার খান ও ইফাদ করিম খান , এবং ইফতিয়ারের পুত্র আবিদ, ইফাদের দুই পুত্র নোমান হাসান।

এক মুহূর্তে মেয়েটির দৃষ্টি আটকে গেল রোহানের চোখে।
দু’জনে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, এক অদৃশ্য যুদ্ধে।

— "তুমি জানো না, তুমি কী করেছো!"

রোহানের গলা নীরব অথচ ভয়ানক দৃঢ়।

মেয়েটি চুপ।
তার চোখে ভয় নেই, আছে ক্লান্তি আর ঘৃণা।

— "এইভাবে এক অপরিচিত ছেলের সাথে বিয়ে করা যায়? সেটা যদি গুন্ডা হয়, তাও?"

রিজওয়ান চাচার মুখে তীব্র অভিমানের ছায়া।

— "কার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে, সেটা আমার সিদ্ধান্ত।
আপনাদের সঙ্গে আমার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপের হিসাব রাখার কোনো সম্পর্ক নেই।"

মেয়েটির কণ্ঠে এখন এক অদ্ভুত জড়তা—একটা যেন অনেকবার বলা হয়ে যাওয়া সংলাপ।

— "চুপ! মুখে এত ভাষা? তুমি এই বাড়ির মেয়েই তো, না অন্য কোথাও থেকে কিনে আনা?"

করিম চাচার মুখ থেকে ছিটকে পড়লো তীব্র অপমান।

চারপাশে কাটা ঘাসের মতো নীরবতা।
কারো মুখে প্রতিবাদ নেই।
সবার চোখ মেয়েটির দিকে, যেন সে কোনো অপরাধী।

রোহান বাড়ির দুজন ভৃত্যকে ডাকলো,

— "তাকে ওখানে নিয়ে যাও।"

রোহান মাথা ঘুরিয়ে বলে দিলো, চোখে এক বিন্দু কৃপাও নেই।

সবার দয়া না হলেও আবিদের কেন জানি মেয়েটার জন্য খারাপ লাগলো।

রোহানের আদেশে ভৃত্যরা এগিয়ে এসে মেয়েটিকে ঘিরে ধরে। মেয়েটি কিছুই বলেনা। শুধু একবার দীর্ঘদৃষ্টিতে চারপাশ দেখে নিলো। সব অচেনা মুখ। এই মানুষগুলোর মাঝে একটিও চোখ নেই, যেখানে তার জন্য সহানুভূতি আছে।

হলরুম পেরিয়ে তাকে একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে যাওয়া হলো।

ঘরটি পুরোনো, তবে খুব বড় রাজকীয় ধরণের। মেয়েটা চারদিকে নজর বুলালো দীর্ঘশ্বাস ফেলেছি বিড়বিড় করে বললো "আমাকে জাস্ট একবার এই বাড়ি থেকে বের হতে দাও, আই প্রমিস ধ্বংস লীলা রচনা করবো আমি"

🍂🍂

দুই ঘন্টা হয়ে গেছে মেয়েটাকে বন্দি করা হয়েছে সারাদিন কিচ্ছুটি খাওয়া হয় নি। তবুও মেয়েটার কষ্ট হচ্ছে না খাওয়ার অভাবে কষ্ট তো হচ্ছে সেই মানুষটার জন্য যার কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে আনা হয়েছে।

হঠাৎ দরজায় ধীরে ধীরে শব্দ হলো।
একটা চাবি ঘুরে খুলে গেল দরজা।
ভিতরে প্রবেশ করলেন একজন মানুষ—
সুফিয়া বেগম।

তার চোখে নেই কোনো অভিযোগ।
চলাফেরায় নেই রাগ কিংবা ভয়।
তিনি ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে বসে পড়লেন মেয়েটার পাশে।

দীর্ঘ এক নিঃশ্বাস ফেলে বললেন—
— "তোর চোখে আমি যে কষ্টটা দেখি, সেটা কেউ বোঝে না রে মা।
এই বাড়িতে রক্ত আছে, কিন্তু হৃদয় নেই।"

মেয়েটা চুপচাপ শুনে যায়।
একটু পর নিজের গলা ভেঙে বলে—

— "আমি কারো চোখে মানুষ নই দাদিমা। আমি একটা ভুল, আমি এক কলঙ্ক।"

সুফিয়া বেগম তার হাত ধরলেন, গলা কাঁপছে, কিন্তু শান্ত।

— "তুই একটা কলঙ্ক না মা। তুই একটা অসম্ভব সুন্দর, অসম্ভব সাহসী মেয়ে।
যারা তোকে বোঝে না, তারা তোদের কোনোদিন বুঝবেও না।
কিন্তু তুই নিজের ভিতরে বিশ্বাস রাখিস।
কারণ এই লড়াইটা তোর একার, আর এই যুদ্ধ একদিন গল্প হয়ে থাকবে,
যে গল্পে সবাই জানবে—‘কোমলময়ী’ মানে শুধু নরম নয়,
তা কাঁটার মধ্যেও ফুল ফোটায়।”

ঘর নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
কেবল একটা দৃশ্য থেকে গেল—

এক বৃদ্ধা নারীর কাঁপা হাত, আর এক তরুণীর নিরব চোখ—যার ভেতরে কেবলই আগুন।

বাহির থেকে উঁকি দিয়ে তাদের সব কথোপকথনই শুনলো রাইতা। তবে ভেতরে যাওয়ার ইচ্ছে হলোনা, ভেতরে গেলে যদি আপুটার অস্বস্তি হয়? কিন্তু হাতে তো খাবারের থালা ফুপিমনি পাঠিয়েছে আড়ালে। খাবারটা না দিলে খাবে কি? সারাদিন তো কিচ্ছু খায়নি।

— "তুমি ওখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন?"

হঠাৎ কারোর আওয়াজে চমকে উঠলো রাইতা। আমতা আমতা করে বললো,

— "না মানে আপু আ আসলে...."

— "ভেতরে এসো"

শান্ত স্বরে বললো মেয়েটি। রাইতা অনুমতি পেয়ে সাথে সাথে ঘরে ঢুকে গেছে। দরজাটা লাগিয়ে মেয়েটার সামনে এসে বসলো। হাতে থাকা প্লেটটা সামনে এগিয়ে দিয়ে বললো,

— "ফুপিমনি পাঠিয়েছে তোমার জন্য"

— "উনি আবার কে?"

অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো মেয়েটা। এবাড়িতে কেউ তার প্রতি সদয় হয়েছে ভাবতেই অবাক লাগে।

— "আমার ছোট মেয়ে আয়েশা"

সুফিয়া বেগম জবাব দিলেন। মেয়েটা খাবারের প্লেটের দিকে তাকালো পোলাও আর রোস্ট আছে দেখতে ভালো কিন্তু সে তো রোস্ট খায়না, ফ্রাই খায়। কিন্তু এই মুহূর্তে খুব দুর্বল লাগছে শরীর। কিছু না খেলে অসুস্থ হয়ে যাবে তখন এখান থেকে মুক্তি পাবে কি করে!

খাবারের দিকে তাকিয়ে আকাশকুসুম ভাবতে দেখে রাইতা প্রশ্ন করে,

— "কি ভাবছো এতো?"

— "কিছুনা"

মেয়েটা রাইতার হাত থেকে প্লেটটা নিবে ঐ সময়ই রাইতা জিজ্ঞেস করে,

— "তোমার নাম কি?"

মেয়েটা রাইতার দিকে তাকালো। শান্ত কণ্ঠে বললো,

— "রাইয়া, রাইয়া জেইন"

রাইতা কিছু বললো না। আর মেয়েটাও তার হাত থেকে প্লেট নিয়ে খাওয়া শুরু করলো। মেয়েটার খাওয়ার ভঙ্গিতেও কেমন একটা রাজকীয় ভাব উপচে পরছে।

রাইতা মনে মনে বললো "এ কি আমি কোনো রানী কে দেখছি?"

বোকা রাইতা হয়তো জানে না যে সে আসলেই একটা রানী কে দেখছে। উঁহু কোনো রাজ্যের কিংবা দেশের রানী নয় বরং কারোর হৃদয়ের রানী!

চলবে 🌷

[ পড়ে গঠনমূলক কমেন্ট করবেন ]

"আমি সেই নারী, যাঁর ভাঙা স্বপ্নগুলোই নতুন আলো জ্বালায়;জীবনের তিক্ততায় হারিনি, ভালোবাসার অগ্নিতে নিজেকে পুড়িয়ে লালিত করে...
23/06/2025

"আমি সেই নারী, যাঁর ভাঙা স্বপ্নগুলোই নতুন আলো জ্বালায়;
জীবনের তিক্ততায় হারিনি, ভালোবাসার অগ্নিতে নিজেকে পুড়িয়ে লালিত করেছি।"

কথাগুলো তীক্ষ্ণ ছুরির মতো ছিন্ন করে দিল ঘরের ভারি নিস্তব্ধতা।
শক্ত অথচ ভারসাম্যপূর্ণ কণ্ঠে কথাগুলো বলে উঠলো একটি অষ্টাদশী কন্যা।
তার চোখে প্রতিটি শব্দ যেন দাবানলের মতো জ্বলছে।
আর ঠিক তখনই—
ইরফাজ নায়িম খান মনে মনে থমকে গেলেন।

“এটাই কি সেই মেয়ে? যে মেয়েটিকে আমি শেষবার দেখে এসেছিলাম আট বছর আগে?”

— "দেখেছেন ভাইসাব? এই একরত্তি মেয়ে কী ভাষায় কথা বলছে! নাটকের নায়িকাও এমন ভাব নেয় না!"

সালেহা বেগম মুখে বিরক্তির ভাঁজ ফেলে বলে উঠলেন।
তিনি ইরফাজ সাহেবের মেজো ভাইয়ের স্ত্রী।

তাঁর কথায় বিন্দুমাত্র মনোযোগ দিলেন না ইরফাজ।
তার চোখ স্থির মেয়েটার দিকে—যে তারই রক্ত, অথচ আজ যেন এক অচেনা আগুন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
যাকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে—তা-ও গোপনে, পরিকল্পিতভাবে... কিডন্যাপ করে।
আর সেই মেয়ে এখন আগুনের মতো দাঁড়িয়ে আছে, চোখে বিদ্রোহ আর ঠোঁটে কঠিন সত্য।

— "আমাকে এখানে আটকে রেখেছেন কেন? আমি কোথাও পালাতে আসিনি। আমাকে ছেড়ে দিন, আমি আমার স্বামীর কাছে যাবো।"

তার কণ্ঠে অনুরোধ নয়, আছে এক ধরনের শাসন।

ইরফাজ নায়িম খান এক নিঃশ্বাসে বললেন—

— "তোমার স্বামী মারা গেছে।"

— "না! আমার স্বামী মারা যায়নি!"

মেয়েটির গলা এবার থরথর করে কেঁপে উঠলো,
চিৎকারে যেন পুরো খানবাড়ির ইট-পাথরও কেঁপে উঠলো।

ঘরের ওপরে থেকে রেলিং ধরে নিচে উঁকি দেয় রাইতা—এক শ্যামকন্যা।
তবুও এই মুহূর্তে তার শ্যামলা সৌন্দর্য যেন ফিকে হয়ে যায় যখন সে দেখে।

নিচে দাঁড়িয়ে আছে এক অপরিচিতা মেয়ে।

তার চুল ছড়িয়ে পড়েছে পিঠজুড়ে—কোনো সাজ নয়, কোনো কৌশল নয়,
তবুও এমন ভাবে খেলে যাচ্ছে আলোর ছায়া,
যেন রাত্রির নরম আঁধারে কেউ গোধূলির শেষ রশ্মি বুনে দিয়েছে।

তাকে ঘিরে আছে নির্জনতা,
আর সেই নির্জনতায় তার সৌন্দর্য আরও উচ্চকিত হয়ে ওঠে।

সে এমন, যার রূপ দেখলে মনে হয়—রূপকথার দেবীরা বাস্তব হয়ে তার চোখে আশ্রয় নিয়েছে।
চেহারায় কোনো অলংকার নেই, তবুও সেখানেই যেন লুকিয়ে আছে এক হারিয়ে যাওয়া সাম্রাজ্যের অতীত।
তার মুখের দিকে একবার তাকালেই বোঝা যায়, সৌন্দর্য কখনো শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।

রাইতা চমকে গেল। মনে মনে ভাবলো,

"এ কি তবে আমাদের সেই মেজো বোন?সে মনে করতে পারছে না পুরো নাম, কেবল জানে বড় ভাই রোহানের পর,একটা বোন আছে, তারপর সে নিজে,তারপর আয়ান।

মেয়েটিকে ঘিরে থাকা সবার দৃষ্টি যেন প্রশ্নে ভরা,
তবুও কারো কণ্ঠে নেই সমবেদনা, কেউ পাশে দাঁড়াচ্ছে না।

এত রূপ নিয়েও যেন আজ সে এই বাড়িতে সবচেয়ে একা।

— "চুপ করো মেয়ে! এতো নষ্টামি করেছো, যদি পাড়াপড়শীরা জানতে পারে তাহলে তো কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে!"

সালেহা বেগমের কণ্ঠে যেন বিষাক্ত কাঁটা।

কিন্তু এই অপমানের জবাব আসে ছুরি সম শব্দে—

— "কি নষ্টামি করেছি আমি? আপনি কে আমাকে অপমান করার?
এই বাড়িতে প্রথমবার পা রাখলাম জন্মের পর।
বিদেশে থাকতাম বলে কি আপনাদের অধিকার বেড়ে গেলো?"

তার কণ্ঠে রাগ আছে, কিন্তু তার চেয়েও বেশি আছে এক ধরনের তীব্র অসম্মান বোধ।

সালেহা বেগম মুখে এক ভাঁড়ামি হাসি এনে ইরফাজ সাহেবের দিকে ফিরে বলেন—

— "দেখেছেন ভাই, মেয়েটার ভাষা? এই মেয়ে তো ভয়ানক তেজী!"

ইরফাজ সাহেব এবার গলা খাঁকিয়ে বলেন—

— "রোহান কি তাহলে মিথ্যে বলছে? তুমি কি সত্যিই বিয়ে করেছো?
তাও আবার এক গুন্ডার সঙ্গে?"

— "হ্যাঁ, করেছিলাম। কারণ সে আমাকে সম্মান করেছে—আপনারা যা পারেননি!"

— "তোমার স্বামী নাকি রোহানের বন্ধুকে মেরেছে? সে এখন হাসপাতালে!"

— "হ্যাঁ, মেরেছে!"

— "কি গর্ব করে বলছো! কোনো লজ্জা নেই তোমার? পরিবারের সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিলে!"

— "সম্মান যদি মিথ্যা দিয়ে তৈরি হয়,
তবে আমি সে সম্মানকে আগুনে পোড়াতে দ্বিধা করি না।"

ইরফাজ খান এবার রেগে গর্জে ওঠেন—

— "সম্মান দিয়ে কথা বলো, সে তোমার ভাই হয়!"

তবে মেয়েটি হেসে ফেলে—তুচ্ছতাচ্ছিল্যের সেই হাসিতে যেন বজ্র নেমে আসে সবার বুকে।

🍂

ঘরের প্রত্যেকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে—কেউ ঘৃণা করে, কেউ মজা নেয়, কেউ হিংসা।
কিন্তু কেউ পাশে নেই।
তার পাশে কেউ নেই।

কারণ তারা কেউ তাকে ঠিকভাবে চেনে না।
তারা জানে, ইরফাজ সাহেবের মেজো মেয়ে নাকি অসম্ভব সুন্দরী।
তবে এই রূপ—
এটা তো প্রায় অবাস্তব।

এই জন্যেই বুঝি আজ এই মেয়েটাকে ঘিরে আছে ঈর্ষা, অপমান আর সন্দেহের বাতাস।
রাইতা চারপাশের নারীদের মুখের ভাষা পড়ে বুঝে নেয়—
এই মেয়েটির রূপ এক ভয়ঙ্কর সত্য, যেটা তারা কোনোদিন মেনে নিতে পারবে না।

আর সালেহা বেগমের দুই মেয়ে—আহিয়া আর মৃণালি—
তারা তো তার কাছাকাছিও আসতে পারে না রূপে।

তাই তার প্রতি এই রাগ, এই তীব্র প্রতিহিংসা।

— "কি ভাবছো রাইতা?"

আচমকা কারো কণ্ঠে চমকে উঠে তাকায় সে।
পাশে দাঁড়িয়ে আছেন সুফিয়া বেগম—ইরফাজ সাহেবের মা।
বয়স আশির কোঠায়, কিন্তু চোখে আজও বাস্তব বোঝার দীপ্তি।

— "দাদিমা... এটা কি আমাদের সেই বোন?"

সুফিয়া বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন,

— "হ্যাঁ, এই সেই বিদেশিনী!"

— "বিদেশিনী?"

— "হ্যাঁ রে, বিদেশে কেটেছে তার জীবন।
দেশের মাটি, বাড়ির মায়া, এসব তো তার চেনাই নেই।
তবে তোর মতো কেউ যদি পাশে দাঁড়ায়, তবে হয়তো..."

সুফিয়া বেগম বাক্য শেষ করতে পারেন না।

হয়তো বোঝেন—এই বাড়িতে মেয়েটার পাশে দাঁড়ানো কেউ নেই।

গল্পের নাম :- #কোমলময়ী_আজালিয়া

লেখিকা :- #আরভিন_জুহায়না

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আরভিন জুহায়না posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share