16/01/2025
'উপজাতি' ও 'আদিবাসী' বিষয়ে তালগাছবাদীদের কিছু কমন প্রশ্ন ও তার উত্তর -
#প্রশ্নঃ আপনারা তো উপজাতি। নিজেদেরকে এভাবে আদিবাসী বলছেন কেন?
#উত্তরঃ আচ্ছা ৷ প্রথম কথা হলো, ‘উপজাতি’ নামক শব্দটা যে বা যারাই প্রচলন করে থাকুক তাদের মাথায় হয়তো ছিলনা যে, যাদের উপর শব্দটি প্রযোজ্য হচ্ছে তারা সেই শব্দটাকে একমসয় কিভাবে নিবে, বিশেষত শিক্ষার বিস্তারের সাথে সাথে। এমনও হতে পারে শাসকশ্রেণী সচেতন ভাবেই কাজটি করেছে, উপজাতি বলতে ছোট, অধঃস্তন, নিম্নশ্রেণীর জাতিকে বোঝানো হয় এটা মাথায় রেখেই করেছে।
অন্যথায় ইংরেজি ট্রাইব শব্দের বাংলা কোন বিচারেই ‘উপজাতি’ হয় না। ‘উপ’ বলতেই চোখের সামনে ভাসে যারা এখনও জাতি হয়ে উঠেনি। জাতির ‘উপ’ কিভাবে হয়; আমার থেকে ভিন্ন একটি জাতিকে সংখ্যায় ছোট বলে আমি উপজাতি বলতে পারিনা। বিষয়টা যাদেরকে বলা হচ্ছে তাদের জন্য খুবই অপমানজনক এবং অসম্মানজনক, সেকারণেই যথাযথ নয়।
কথা হচ্ছে কেউ যদি না চায় আপনি তো তাকে সেই নামে ডাকতে পারেন না৷ ‘আদিবাসী’ সে তুলনায় কিছুটা সম্মানজনক। বাংলা সাহিত্যের লেখকরা শব্দটা বহু আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছেন৷ শব্দটার দ্বারা কাদের বুঝানো হয় তাও খুব স্পষ্ট।
#প্রশ্নঃ কিন্তু আদিবাসী মানে তো আদি বাসিন্দা। আপনারা তো এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা না।
#উত্তরঃ দেখুন আপনি যদি ‘আদিবাস’ হিসাব করে আগান তাহলে এদেশের মুল আদিবাসী হলো কিছু ছোট সম্প্রদায় যাদের আপনারা এখনও ‘উপজাতি’ আখ্যা দিয়ে রেখেছেন ভারতীয় উপমহাদেশের পটভূমিতে দেখলে সাঁওতাল, মুণ্ডা, ওঁরাও, ইরুলা ইত্যাদি জনগোষ্ঠীর মূল অস্ট্রো-এশিয়াটিক, প্রায় ৩০ হাজার বছর আগে ফিরে যেতে হবে- আর্য, নিষাদ বা দ্রাবিঢ়দের আগমনের বহু আগে থেকেই এরা এখানে ছিল।
কিন্তু আদিবাস হিসাব করে আদিবাসী শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি, অন্তত বাংলা ভাষায়। বিংশ শতকের প্রথম ভাগে সাঁওতাল বিদ্রোহ, তেভাগা আন্দোলন, কোচ-মুণ্ডা বিদ্রোহ– ইত্যাদি রক্তক্ষয়ী আন্দোলনকে নিখিল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রথম ‘আদিবাসী বিদ্রোহ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে; সেই সময় থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দটি সাহিত্য এবং লেখালেখিতে প্রচলিত হতে থাকে।
ভারতে তিব্বতি-বর্মী জনগোষ্ঠীর আগমন পরে হলেও তাদেরকে আদিবাসী বলে গণ্য করা হয়। এর মূল কারণ- যে সমস্ত জায়গায় তারা বসতি করেছে সেখানে ভারতের বৃহত্তর আর্য-দ্রাবিড় গোষ্ঠী আস্তানা গাড়ে নি। তাই নাগা, আপতানি ও খাসিদেরও সেখানে আদিবাসী বলে গণ্য করা হয়। … এদেশেও বহু জনগোষ্ঠি আ