26/06/2025
ধীরে ধীরে ডুবে যাই
নীল নয়, এক অদেখা কালোতে,
যেখানে আলো নিভে গেলে জন্ম নেয় কুয়াশার ঘুম
বাতাসেও মিশে যায় বিস্মৃত কণ্ঠস্বরের হাহাকার।
পাহাড় ডাকে না আর, শুধু দাঁড়িয়ে থাকে,
একটা প্রাচীন চিতা, যেন হাজার বছর ধরে
কারও প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় আছে...
জীর্ণ পাথরে, অশ্রুবিন্দুর মতো ক্ষয়ে যাওয়া চুপচাপ চিহ্নে।
বালুচরে নেই আর ঘর প্রতিমা,
শুধু ধুলো, ফাঁকা, ফিসফিস করে হেমন্তের বাতাস,
যেন সব ভালোবাসা আগুনে পুড়ে
চূর্ণ হয়ে ফিরছে গলার কাছে দলা পাকানো শ্বাস।
জোছনা এখন বিষণ্ণ,
তার আলোতে আর জেগে ওঠে না শরীরের কাঁপন,
একটা অচেনা স্পর্শ কেবল ভেসে আসে,
যেন কারও মৃত চিঠি, ওপার থেকে আসা, জলমগ্ন কাগজের মতন।
গহীন অরণ্যবাসী আমি,
গাছেরা নড়ে না, পাখিরা গান গায় না,
শুধু শীতল এক নিস্তব্ধতা বুকের ভেতর ঢুকে পড়ে
যেন মৃত্যুর মৃদু প্রথম চুম্বন!
আমি ফিরছি না আর...
ফেরার রাস্তা মুছে দিয়েছে অশরীরী জলের ঢেউ,
তবু একই জায়গায় আমি রয়ে যাই,
যেখানে আমার নাম কেউ ফিসফিস করে ডাকে,
-“সে ছিলো, সে নেই,. তবুও আছে।”
২৭ জুন ২০২৫
Diary of Statue