নেত্রকোনা

নেত্রকোনা Netrakona (নেত্রকোনা) is a district in northern Bangladesh. It is a part of Mymensingh.

আজ উকিল মুন্সীর জন্মদিন  (১১ জুন ১৮৮৫ - ১২ ডিসেম্বর ১৯৭৮) একজন বাঙালি বাউল সাধক। তার গুরু ছিলেন আরেক বাউল সাধক রশীদ উদ্দ...
11/06/2025

আজ উকিল মুন্সীর জন্মদিন
(১১ জুন ১৮৮৫ - ১২ ডিসেম্বর ১৯৭৮)

একজন বাঙালি বাউল সাধক। তার গুরু ছিলেন আরেক বাউল সাধক রশীদ উদ্দিন।

নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার নূরপুর বোয়ালী গ্রামে ১৮৮৫ সালের ১১ জুন একটি ধনাঢ্য মুসলিম পরিবারে উকিল মুন্সী জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পারিবারিক নাম সৈয়দ আব্দুল হক আকন্দ।

প্রেমে বাধা পেয়ে বাড়ি ছেড়ে শ্যামপুর, গাগলাজুর, জৈনপুরে ঘুরে বেড়ান। ১৯১৫ সালে মোহনগঞ্জের বরান্তর গ্রামের এক মসজিদে ইমামতি ও আরবি পড়ানোর কাজে নিযুক্ত হন। এই সময়ে ইমামতির পাশাপাশি গজল লিখতেন এবং রাত জেগে তা গাইতেন। এতে বিরক্ত হয়ে এক ব্যক্তি পুলিশের কাছে নালিশ করে। পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যেতে আসলে উকিল পুলিশ নিয়ে গান ধরেন। সে গানে পুলিশ তার নিজের ভিতরে লুকোনো কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় এবং পরে কয়েকটি পালাগানের মঞ্চে উকিলের গান শুনে পুলিশ উকিলের মুরিদ হয় যায়।

তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে- আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে, পূবালী বাতাসে/ আমার গায়ে যত দুঃখ সয়, বন্ধুয়ারে কর তোমার মনে যাহা লয়।

১৯৭৮ সালের মাঝামাঝিতে উকিল মুন্সীর স্ত্রী হামিদা খাতুন এবং এর কয়েক মাস পর ছেলে সাত্তার মুন্সী মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রী এবং পুত্রশোকে উকিল মুন্সি সে বছরই অসুস্থ হয়ে ১২ ডিসেম্বরে মৃত্যুবরণ করেন।

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের জৈনপুরে বেতাই নদীর পারে চিরনিদ্রায় শায়িত হন উকিল মুন্সি।

সেখানে মরমী বাউল সাধক উকিল মুন্সি স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়।

23/04/2025

গ্রামীন এক অপরূপ দৃশ্য।
দেখতে লড়াই হলেও, আক্ষরিক অর্থে গরু দুইটি খেলতেছে।
লোকেশন: খালিয়াজুরী উপজেলার, সাতগাঁও গ্রাম।
#নেত্রকোনা #বাংলারপ্রকৃতি #স্বপ্নেরচেয়েওসুন্দর

নেত্রকোনা জেলা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগে অবস্থিত একটি জেলা। এই জেলার প্রশাসনিক কাঠামো ও ভৌগোলিক অবস্থান নিচে বিস্তারিত...
21/04/2025

নেত্রকোনা জেলা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগে অবস্থিত একটি জেলা। এই জেলার প্রশাসনিক কাঠামো ও ভৌগোলিক অবস্থান নিচে বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো:

নেত্রকোনার উপজেলাসমূহ:

নেত্রকোনা জেলায় মোট ১০টি উপজেলা রয়েছে। এগুলো হলো:

1. নেত্রকোনা সদর

2. মোহনগঞ্জ

3. মদন

4. খালিয়াজুরি

5. বারহাট্টা

6. আটপাড়া

7. কেন্দুয়া

8. দুর্গাপুর

9. কলমাকান্দা

10. পূর্বধলা

নেত্রকোনা জেলার চতুর্দিকের সীমানা:

নেত্রকোনার চারদিকে নিচের জেলা ও সীমান্ত রয়েছে:

উত্তরে: মেঘালয় রাজ্য (ভারত)

দক্ষিণে: কিশোরগঞ্জ জেলা

পূর্বে: সুনামগঞ্জ জেলা

পশ্চিমে: ময়মনসিংহ জেলা

এভাবে নেত্রকোনা একটি সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এর উত্তর অংশে ভারতের সীমান্ত রয়েছে, বিশেষ করে মেঘালয়ের পাহাড়ি অঞ্চল। এছাড়াও, জেলার পূর্ব অংশ হাওর-বাওর এবং নদী দ্বারা পূর্ণ, যা একে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে।

💚
#নেত্রকোনা
#স্বপ্নেরচেয়েওসুন্দর

#বাংলারপ্রকৃতি

কলমাকান্দা: স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর এক স্বর্গনদী, পাহাড় আর সবুজে ঘেরা এক অপার বিস্ময় — নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা।প্রক...
20/04/2025

কলমাকান্দা: স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর এক স্বর্গ
নদী, পাহাড় আর সবুজে ঘেরা এক অপার বিস্ময় — নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা।
প্রকৃতি এখানে নিজের হাতে এঁকেছে রঙিন ছবি।
যেখানে গেলে মন হারিয়ে যায়, ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না।
এই ভূখণ্ড শুধুই একটি স্থান নয় — এটি এক অনুভব, এক ভালোবাসা।

দর্শনীয় স্থানসমূহঃ

বিজয়পুর পাহাড়

ধনু নদী ও নদীর ঘাট

লেঙ্গুরা পাহাড়

কৈলাটি রাজবাড়ি

পলাশকান্দি ও ডুমনা চর

গুমাই নদীর পাড়

আদিবাসী গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

প্রকৃতি ও সংস্কৃতির অপূর্ব মেলবন্ধন — এই হলো কলমাকান্দা।

#কলমাকান্দা #নেত্রকোনা #স্বপ্নেরচেয়েওসুন্দর #বাংলারপ্রকৃতি #নেত্রকোনা

20/04/2025

নেত্রকোনা নানা দিক থেকে বিখ্যাত—প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, লোকসংগীত, এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সব মিলিয়ে এটি একটি গৌরবময় জেলা। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরলাম:

১. মোহনগঞ্জ ও হাওর অঞ্চল:

নেত্রকোনার বড় অংশ হাওরবেষ্টিত। বিশেষ করে মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুড়ি ও মদন এলাকায় বর্ষায় সৃষ্টি হয় জলরাজ্য—যা নৌকাভ্রমণের জন্য বিখ্যাত।

২. বিজয়পুরের চীনামাটির খনি (দুর্গাপুর):

বাংলাদেশের একমাত্র চীনামাটির খনি নেত্রকোনার দুর্গাপুরে। এখানকার মাটি দিয়ে তৈরী হয় উন্নতমানের সিরামিক ও পোরসেলিন সামগ্রী।

৩. বিরিশিরি ও সাদা মাটির পাহাড়:

দুর্গাপুরে অবস্থিত বিরিশিরি পর্যটন এলাকা তার অপরূপ সৌন্দর্য ও নীল পানির জন্য পরিচিত। এখানে রয়েছে সাদা মাটির পাহাড় ও সোমেশ্বরী নদী।

৪. শিল্প-সাহিত্য ও সংগীত:

নেত্রকোনা লালন, হাছন রাজা ও আরও অনেক বাউল-লোকসংগীতশিল্পীর পদচারণায় সমৃদ্ধ। এটি বাউল সংস্কৃতির একটি প্রাণকেন্দ্র।

৫. মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস:

নেত্রকোনা ছিল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগ রয়েছে।

৬. গারো পাহাড় ও আদিবাসী সংস্কৃতি:

নেত্রকোনার উত্তরাঞ্চলে গারো জনগোষ্ঠীর বসবাস। তাদের নিজস্ব ভাষা, পোশাক ও উৎসব নেত্রকোনাকে বৈচিত্র্যময় করে তোলে।

নেত্রকোনা জেলার গর্ব করার মতো অনেক ইতিহাস আছে — সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং মানবিক সব দিক থেকেই। নিচে ধার...
18/04/2025

নেত্রকোনা জেলার গর্ব করার মতো অনেক ইতিহাস আছে — সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং মানবিক সব দিক থেকেই। নিচে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো নেত্রকোনার কিছু গর্ব করার মতো ইতিহাস:

---

১. সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কেন্দ্র:

নেত্রকোনা সংস্কৃতিচর্চার এক উজ্জ্বল কেন্দ্র।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম শক্তিশালী শাখা এখানে গড়ে ওঠে।
বাউল গান, পালা গান, লোকনাট্য এবং পল্লীগীতি এখানকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ।

---

২. নেত্রকোনা ট্রাজেডি (৮ ডিসেম্বর, ২০০৫):

উদীচীর অফিসে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছিল।
এই ঘটনায় প্রাণ হারান ৮ জন নিরীহ সাংস্কৃতিককর্মী।
তাদের আত্মত্যাগ নেত্রকোনার সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতীক হয়ে রয়েছে।

---

৩. মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল অবদান:

নেত্রকোনায় গড়ে ওঠে সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী।
জেলার প্রায় প্রতিটি থানাতেই সংঘটিত হয় গেরিলা যুদ্ধ ও পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সফল অপারেশন।
নেত্রকোনা সদর, দুর্গাপুর, মোহনগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধারা দাপটের সাথে যুদ্ধ করেন।

---

৪. বিরিশিরির পাহাড় ও গারো সংস্কৃতি:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবস্থিত বিরিশিরি

শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়,

আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সংগ্রামের চিরন্তন প্রতীক।

---

৫. ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ:

নেত্রকোনার ছাত্র-যুবকেরা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেন।
জেলার বিভিন্ন জায়গায় র‌্যালি ও প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত হয়।

---

৬. শিক্ষা ও সাংবাদিকতায় অগ্রগামী:

নেত্রকোনার সন্তান আহমদুল কবির “দৈনিক সংবাদ” পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
তিনি দেশের সাংবাদিকতা ও রাজনৈতিক জগতে অসামান্য অবদান রাখেন।

---

৭. কল্পনাতীত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:

বিরিশিরির নীল পানির লেক, সাদা মাটি, নদী-নালা ও হাওর অঞ্চল
শুধু পর্যটনের জন্য নয়, এই অঞ্চল ভূপ্রাকৃতিকভাবে বাংলাদেশে অনন্য।

---

৮. সংগীত ও সাহিত্য চর্চার ঐতিহ্য:

বিজয় সরকারের মতো কিংবদন্তী গীতিকারের জন্ম এই জেলায়।
এ ছাড়াও নানা পর্যায়ে কবি-সাহিত্যিক ও শিল্পীরা নেত্রকোনা থেকে উঠে এসেছেন।

---

৯. কৃষি ও মাছচাষে সাফল্য:

নেত্রকোনার হাওর অঞ্চল দেশের অন্যতম মাছ উৎপাদনকারী এলাকা।
এখানকার কৃষকরা যুগ যুগ ধরে ধান ও পাট চাষে অবদান রেখে চলেছেন।

---

১০. মানবিক চেতনা ও সহাবস্থানের প্রতীক:

নেত্রকোনায় বসবাস করে মুসলিম, হিন্দু ও আদিবাসী গারো সম্প্রদায় –
যারা যুগ যুগ ধরে সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের অনন্য নজির তৈরি করেছে।

16/04/2025

কৃষিতে যান্ত্রিকরণ প্রয়োগ।
চানপুর হাওর,খালিয়াজুরী নেত্রকোনা ।
#হাওর #খালিয়াজুরী #নেত্রকোনা #ধান #ফসল

Address

Netrokona

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নেত্রকোনা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share