10/08/2024
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে এ
ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
অর্থ: “হযরত হুযায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যতদিন ইচ্ছা করেন ততদিন আপনাদের মাঝে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান থাকবে। অতঃপর তিনি এক সময় তা তুলে নিবেন। তারপর দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত খিলাফত আ’লা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যতদিন ইচ্ছা করেন ততদিন দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত খিলাফত আ’লা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক প্রতিষ্ঠিত থাকবে। অতঃপর একসময় এই সম্মানিত খিলাফত মুবারক বিদায় নিয়ে এমন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, যেখানে অত্যাচারী রাজা—বাদশাহরা ক্ষমতা লাভের জন্য একে অপরের সাথে কামড়াকামড়ি করবে এবং তা টিকিয়ে রাখার জন্য যে কোনো উপায় বেছে নিবে। অর্থাৎ রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। তারপর হবে অত্যাচার, অবিচার, যুলুম—নির্যাতন, স্বৈরাচার, গুমরাহী, বিভ্রান্তি, পথভ্রষ্টতা ও বেইনসাফীতে পরিপূর্ণ শাসন ব্যবস্থা, জোর—জবরদস্তিমূলক শাসন ব্যবস্থা, যুলুমতন্ত্র তথা সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র। মহান আল্লাহ পাক তিনি এক সময় তা মিটিয়ে দিবেন, নিশ্চিহ্ন করে দিবেন। অতঃপর পুনরায় দুনিয়ার যমীনে ‘সম্মানিত খিলাফত আ’লা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক’ প্রতিষ্ঠিত হবে।” সুবহানাল্লাহ!
(মুসনাদে আহমদ ৪/২৭৩, মুসনাদে ত্বয়ালসী ১/৩৪৯, বাযযার ১/৪২৮, বাইহাক্বী শরীফ ৬/৪৯১, আল মু’জামুল কাবীর ১/১৫৯, আহকামুশ শরী‘য়াহ ৪/৫২৫, মাজমা‘উঝ ঝাওয়াইদ ৫/২২৬, জামি‘উল আহাদীছ ৯/১৩২, খছাইছুল কুবরা ২/১৯৭, ইযালাতুল খফা ১/২৯৩, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)