23/03/2025
খাওয়ার জন্য বাচা
নাকি
বাচার জন্য খাওয়া?
চলছে রমজান মাস, বছরের সবচেয়ে মহিমান্বিত এবং গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাসে একেক শ্রেণী পেশার মানুষদের জন্য একেক রকম গুরুত্বপূর্ণ। শ্রেণী ও পেশাভেদে এইমাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য। যা হচ্ছে ইবাদত করা এবং আল্লাহর স্বান্যিন্ধে আসার সর্বোৎকৃষ্ট সময়। কিন্তু আমরা সেসব ভুলে সবাই নিজ নিজ পকেটভারি এবং দৃষ্টিগোচর হতে ব্যস্ত থাকে আমরা এককথায় ভাইরাল বলে থাকি।
রমজান হচ্ছে সিয়াম সাধনার মাস যা আপামর মুসলিমবাসী কে সংযত থাককে শিখায়। কিন্তু আমরা সংযত থাকার পরিবর্তে সবাই দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছি। যেখানে কতশত মানুষ শুধুমাত্র পানি দিয়ে ইফতার করবে সেটাও পাচ্ছে না। ফিলিস্তিন বাসী তো জীবন নিয়ে বাচতেই পারছে না। আর অন্যদিকে সামর্থবানরা তো খাবারের পশড়া সাজিয়ে বসে। ইফতার, সেহরি কেন্দ্রিক ইভেন্ট ঘোষনা করে, বাহারি খাবার ভক্ষণ করেন। খেতে খেতে নামাযের কোনও খোঁজ থাকে না এ প্রজন্মের লোক দেখানো আয়োজন দেখাতে।
এ সময়ে আমরা কতো খাবার অপচয় করি, কতো অখাদ্য খাই এবং ফেলে দিই। কিন্তু বৃত্ত থেকে বের হয়ে অনাহারী কে খাবার দিতে পারি না। আর যদিও বা দিই তা হয় লোক দেখানো এবং ক্যামেরা সাজানো।
আমরা ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতারের কথা যদি বলি, পুরোটাই একটা ভন্ডামি এবং সাজানো। "বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙ্গা ভইরা লৈয়া যায়" এটা একটা ফালতু কথা। আপনি সেটা কিনলে বড় বাপের পোলা হবেন না বা না কিনলে ছোট বাপের পোলা হয়ে যাবেন না। চকবাজারের কোনও খাবার মানসম্মত না। অধিকাংশ খাবার কয়েকদিন আগের, অস্বাস্থ্যকর এবং আনহাইজেনিক। তাছাড়া কৃত্রিম রংচং মিশিয়ে উচ্চমূল্য রাখছে ভেলকিবাজি দেখিয়ে। আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন, তবে এতো মানুষ কেনো কিনে নিয়ে যাচ্ছে? আমি বলবো পুরোটাই হাইপ আর ভাইরাল হওয়ার নেশা।
"খাসী/ছাগল নাকি শিক্ষিত, স্কুলের আশেপাশেই বড় হৈছে।" এগুলি মানুষ কিভাবে শোনে? যারা শোনে, এবং যারা এসব দেখতে যায়, সবাই ভাইরালের নেশায়। আমি নিজে গিয়ে দেখেছি, কিনে খাওয়ার মতো কিছু পাইনি। একটা জিনিস নিয়েছি, মুখে একবার দেয়ার পর আর কখনোই মনে হয়নি যে মুখে আবার দিবো। ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছি। আপনারা যেটা ভালো মনে করেন, সমস্যা নাই, কিন্তু এসব খেয়ে অসুস্থতা, নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না প্লিজ।
এসব দেখে আমার মনে হয়, আমরা বাংলাদেশীরা বাচার জন্য খাই না, খাওয়ার জন্য বাঁচি। না হলে মানুষ কিভাবে পারে?