13/07/2025
ডেসটিনির fokinni বিশ্ব বাটপার রফিকুল আমিনের ব্যাপারে কথা বলার সময় নাই।
যারা বলতেছে, তাদের অনেকেই কার্যকরি কিছু যুক্তিযুক্ত পয়েন্ট নিয়েই বলতেছে।
আমার হাতে এখন অন্য টাস্ক!
আওয়ামীলীগের চাইতেও খারাপ এবং জঘন্য কোন দল যদি বাংলাদেশে থাকে সেটা হচ্ছে জামায়েতে ইসলামী বাংলাদেশ। এরা ইসলামের লেবাসধারী এবং দুনিয়াবি ক্ষমতালোভী। ফাসেক।
জামাত শিবিরের সকল কর্মকান্ড একটু বিশ্লেষণ করলেই যেকেউ বুঝে যাবেন, "ইসলামের নাম বিক্রি করে এরা ক্ষমতায় যেতে চায়। যেকোন উপায়ে বাংলাদেশের ক্ষমতা হাতে পাওয়াকেই এরা এদের সফলতা মনে করে। এটাই ওদের নিয়ত।
মহান আল্লাহ্, এদেরকে এদের নিয়ত গুণে বরকত দান করুক। কোরআনের ভাষ্যমতে, এদের দুনিয়ার জিবনে আছে লাঞ্ছনা, পরকালেও আছে কঠিন আযাব।
জামায়েতে ইসলামের দুই একটা ফকিন্নীকে একবার ধরেছিলাম। এদের নেতাকর্মীদের ইসলামিক ভাওতাবাজি, ধান্ধাবাজি এবং মূর্খতা ধরিয়ে দিতে চেষ্টা করায় এরা বলতে শুরু করেছিল, "কোন ব্যক্তির দোষে পুরো দলকে বিচারকরা ঠিক নয়"।
ব্যস, এই কথা দিয়েই এরা নিজেদের দোষ ঢেকে, পরকালের চিন্তা ভুলে গিয়ে, আমার বিরুদ্ধে কিছু অপদার্থদের লেলায়ে দিতে চেষ্টা করেছিল। পাশাপাশি, সেই সময়ে আমাকে আওয়ামীলীগের দালাল বানায়ে এও বুঝাতে চেয়েছিল যে, "আমি আসলে বখে যাওয়া একজন"। এরা এদের যেকোন সমালোচনার সঠিক জবাব দিতে পারে না। এবং, এদের নির্বুদ্ধিতা প্রমাণ করলেই, এরা কোন ব্যক্তির অপরাধকে আলাদা করে, দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখবার অনুভূতি পুঁজি করে, নিজেদের মিথ্যা লুকিয়ে, সত্য মেনে নিতে না পেরে উল্টো আপনাকেই ঘায়েল করবার চেষ্টা করবে।
আওয়ামীলীগের আমলে, আমি চাইলেই জামাতে ইসলামের প্রত্যেকটা নেতার বিচি চাপ দিয়ে হাতে নিতে পারতাম। আমি সেটা করি নাই। নিজের ঈমানী বুঝ থেকেই আমি সেই সময়েই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, "কোনদিন আওয়ামীলীগের পতন হলেই, আমি এই জামায়েতে ইসলামের কুলাঙ্গারদের অজ্ঞতার মুখোশ উন্মোচন করবো"।
আলহামদুলিল্লাহ!
আওয়ামীলীগের পতন হয়েছে!!
এবার জামায়েতে ইসলাম যে মূলত আওয়ামীলীগের চাইতেও জঘন্য একটা দল, সেটা প্রমাণ করবার উপযুক্ত সময় এসেছে।।
ডেসটিনির প্রতারক রফিকুল আমীন, একটা নতুন রাজনৈতিক দল করবে শুনেই, আমি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কিছু ব্যক্তিদের জ্ঞাতার্থে রেখেই, তার সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করি। এবং, একান্তই তার উপকারের স্বার্থেই তাকে নিজের সীমাবদ্ধ গণ্ডি বজায় রেখেই বিভিন্ন পরামর্শ দিতে শুরু করি। উল্লেখ্য, আমাদের টিমে সকলের নিষেধ উপেক্ষা করেই আমি রফিকুল আমিনের সাথে দেখা করি। এটাকে আমি একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলাম।।
অবশেষে, প্রমাণ হলো, আমিই ভুল! 😥
ডেসটিনির রফিকুল আমীন এক মস্তবড় বাটপার। রান্নাবান্না ছাড়া যেমন তেল আর পানি সহজেই একসাথে মিশে যেতে পারে না, ঠিক তেমনি, সততা/স্বচ্ছতা আর রফিকুল আমীন কোনোদিনই এক হবে না। অথচ, ধূর্ত আহাম্মক এই বাটপার, বাংলাদেশে তার সকল প্রতারণামূলক ব্যবসায়ের কার্যক্রম শুরু করেছিল, এই Honesty দিয়ে গলাবাজি করেই।।
একদম শুরু থেকেই যারা ডেসটিনির সাথে যুক্ত, তারা খুব সহজেই বলতে পারবে, রফিকুল আমীন তখন মানুষের ব্রেইন ওয়াশ করত একটা ডায়ালগ দিয়ে, "Honesty is not the best policy. Honesty is the only policy."
আমার আরেকটা ব্যক্তিগত গোপন উদ্দেশ্য ছিল, রফিকুল আমীন যদি আসলেই সঠিক থাকে, অন্তত তার কথা এবং কাজের মিলও যদি থাকে, তবেই আমি আমার নিজের সততা এবং শুদ্ধতা নিয়েই তার পক্ষে দাঁড়াবো। লড়াই করবো। সকল কিছুর জবাব বাংলদেশে সকল পর্যায়ে তুলে ধরবো। পাশাপাশি, তার রাজনৈতিক দল দিয়েই একটা নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করবো। এতে, ব্যক্তিগতভাবে জামায়েতে ইসলামকে আমার জবাব দিতেও একটু সুবিধা হতো।।
তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সকল সঠিক জবাব আমি এমন ভাবে দিতে পারতাম, যেটা রফিকুল আমীন নিজেও নিজের পক্ষে (আমার মতন গুছায়ে) বলতে পারবে না। কারণ, তার আহাম্মকি গুলো আমি অনেক আগে থেকেই জানতাম। কিন্তু, আমার সকল কথা সে তার চৌকশ মেধা দিয়ে একটুও ধরতে পারে নাই। বুঝতেও পারে নাই।
হালায়, আমারে ভেজা কাঠের টুকরা বানায়ে নিজের সুবিধা মতন ব্যবহার করতে চেষ্টা করে ধরা খেয়ে গেছে। এই ধূর্ত প্রতারক, খুব সুকৌশলে মানুষকে গোঁজামিল দিতে খুব পছন্দ করে। আফসোস, সে তার দুর্বলতা গুলোকে শক্তিতে রূপান্তর না করে, বরং, সেগুলো সে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে; কিংবা, আড়াল করে রাখে।
মনে রাখবেন, একটা মানুষের জীবনে সবচাইতে বড় দুর্বলতা হচ্ছে, যখন সে তার নিজের দুর্বলতা গুলো লুকায় বা আড়াল করে রাখতে চেষ্টা করে।।
বুদ্ধিমানেরা কোনোদিনই তার নিজের দুর্বলতা লুকায় না। আড়াল করেও রাখে না। বরং, তারা তাদের দুর্বলতা গুলো আইডেন্টিফাই করে, সেগুলোকে overcome করবার চেষ্টা করে।
নিজের দুর্বলতা আইডেন্টিফাই করে, সেটাকে নিজের শক্তিতে রূপান্তর করতে পারাই, পৃথিবীর সবচাইতে বড় শক্তি। একজন মানুষের এটাই আসল হচ্ছে আসল "জ্ঞান"। এই কারণেই বলা হয়, "জ্ঞানই শক্তি"।
ধূর্ত রফিকুল আমীন তার আশেপাশে তার চাইতেও জ্ঞানী মানুষ দেখলে, সে তাকেও ঘায়েল করে ফেলার চেষ্টা করে।। তাকে যারা খুব কাছ থেকে দেখেছেন বা চিনেছেন, তারা আমার প্রত্যেকটা কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলাতে পারবেন। তার জীবদ্দশায়, সে কখনও অন্যের সঠিক কোন প্রশংসা করে না। তার আশেপাশে, তার চাইতেও চালাক এবং বিচক্ষণ কেউ থাকে না। তার সাথে যাকেই দেখবেন, নিশ্চিত বুঝে নেবেন, "সে ঐ মানুষটাকে বোকা বানায়ে নিজের আয়ত্বে নিয়ে নিয়েছে"। রফিকুল আমিনের সাথে বা আশেপাশে যাকেই দেখবেন, সেগুলো হয় কোন বিশেষ সুবিধাভোগী, স্বার্থপর লোভী কিংবা অকর্মা, আহাম্মক, বলদ, আর, অপদার্থ। এই লাইনটা আবার পড়েন, রফিকুল আমিনের সাথে যারাই থাকবে, তারা যেকোন এক ক্যাটাগরিতে পড়বেই।
১) সুবিধাভোগী কিংবা স্বার্থপর লোভী!
২) অকর্মা, আহাম্মক, বলদ, আর, অপদার্থ!
রফিকুল আমিনের পক্ষ নিয়ে যারাই আমাকে ডিফেন্ড করতে আসবে, তারা এই দুইটার যেকোন একটা!!! এদেরকে, আমলে নেয়ার কিছুই নেই। অন্তঃসারশূন্য আপাদমস্তক এসব ইঞ্চি সহিদগং নিয়ে ভাববার সময়টুকুই আমার নাই।।
রফিকুল আমীন জেল থেকে ছাড়া পাবার পর, একমাত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে তার সাথে উল্লেকজনক ভাবে দুইবার দেখেছি। ভাবতেছি, নেক্সট ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবের সাথে দেখা হলেই, তাকে জিজ্ঞেস করবো, "সাজাপ্রাপ্ত একটা চাক্ষুষ প্রতারকের সাথে নিজের ইমেজ আর চেহারা দেখায়ে কি কি ফায়দা হাসিল করেছেন?"
রফিকুল আমীন ইহুদীদের মতন, একমাত্র নিজেই নিজেকে সেরা ও বুদ্ধিমান মনে করে।।
সে খুব সুন্দর করে, মানুষকে, সিস্টেমকে, এমনকি রাষ্ট্রকেও বোকা বানাতে চেষ্টা করে।।
প্রতারণা আর ধান্ধাবাজি করে জীবনে সে অনেক সম্পদ বানায়েছে ঠিকই; কিন্তু, নিজের সম্মান এবং আদর্শকে কলঙ্কিত করে ফেলেছে।।
সে এতটাই বুদ্ধিমান যে, আমার মতন এই "পাগল"কে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝায়ে দেবার পরও সঠিকভাবে মাপতে পারে নাই।।
-----------
যাইহোক, অনেক গুলো কথা লিখেছি!!!
যারা আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছেন, ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে রেখেছেন, আশাকরি সকলেই অনেক কিছু বুঝে নেবেন।।
ফালতু পিএইচডি ধারী, (ভুলকরে কেউ PSD ভাইবেন না!🤣), ভন্ড, প্রতারক, ধূর্ত রফিকুল আমীন নিজেও চাইলে এই পোস্ট পড়ে, নিজের দুর্বলতা/ব্যর্থতা গুলো আগে আইডেন্টিফাই করে (অর্থাৎ, স্বীকার করে, মেনে নিয়ে), এরপর সেগুলোকে কিভাবে নিজের শক্তিতে রূপান্তর করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবতে পারেন।।
জীবনে, মানুষ সর্বোচ্চ আর কয়দিনই বা বাঁচে???
জীবনের এই পর্যায়ে এসেও, হুদাই, বাংলাদেশের আপামর বলদ মানুষ গুলোকে সপ্তাহে লাখ টাকা কামানোর স্বপ্ন না দেখায়ে, কিভাবে নিজেকে নিজেই আবিষ্কার করা যায়!? কিভাবে নিজের ব্রেইনের স্বাধীনতা অর্জন করা যায়!? কিভাবে আইডিয়া জেনারেট করা যায়!? ...এসবের স্বপ্ন দেখান!!
সপ্তাহে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখে যারা নতুন করে আবার রফিকুল আমিনের অনুসারী হবে, তারা প্রত্যেকেই সপ্তাহে লাখ টাকা না, কোটি টাকা ইনকাম করলেও, বলদ বলদই থেকে যাবে। ঐ বলদ কোনোদিন "রফিকুল আমীন" হতে পারবে না।।
------------------------
আমি নিজের খেয়ে কখনও বনের মহিষ তারাই না। ডেসটিনির রফিকুল আমীন"কে নিয়ে একটা এ্যাসাইনমেন্ট আমি ব্যর্থ হয়েছি। আমি তাকে ভেবেছি সৎ, কিন্তু, সে আসলেই অসৎ।।
বারো বছর জেল খাটার পরও যে মানুষটা এখনও বেঁচে আছেন, এখনও নতুন করে স্বপ্ন দেখতে পারতেছেন, সেই মানুষটার হেদায়েতের জন্য দোয়া কামনা করাই, তার জন্য সবচাইতে শ্রেষ্ঠ দোয়া।।
শত হলেও, উনাকে নিয়ে আমার মায়া হয়!