21/07/2025
এ আমার দেশ !! ছিঃছিঃ
১/ প্রাইমারী সেকশন নাকি ছুটি হয়ে গিয়েছিল। যেই বাচ্চাগুলো মারা গেছে তারা স্কুল শেষে কোচিং এর জন্য বসে ছিল। স্কুলের পর নাকি কোচিং করতে হয়, তাও স্কুলের ভেতরেই৷
২/ যে যুদ্ধ বিমানটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে, সেটি ১৯৭৬ সালের মডেলের
৩/ পুরো উত্তরায় কোন বার্ণ ইউনিট নেই।
৪/ বিমান দুর্ঘটনার পর যারা উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন - প্রচন্ড গরমে কলেজের ক্যান্টিনে গেলে তাদের পানি কিনতে বাধ্য করা হয়। চাপ বাড়লে মাইলস্টোন কলেজের ঐ ক্যান্টিন অফ করে দেয়া হয় যখন সবচেয়ে বেশি পানির দরকার ছিল। কারণ, পানির টাকা কে দিবে?
৫/ ছোট ছোট বাচ্চারা যখন পোড়া শরীর নিয়ে বের হচ্ছিল - তখন উতসুক জনতা মোবাইলে ভিডিও ধারণে ব্যস্ত ছিল। জনতার ভীড়ে ফায়ার সার্ভিসও ঠিকঠাক ভেতরে ঢুকতে পারে নাই।
৬/ আগুনের ফুলকিতে ঝলসে যাওয়া শরীর নিয়ে বের হয়ে এলেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো কোন সিএনজি বা রিকশা রাজি হচ্ছিল না। কাছাকাছি থাকা কোন প্রাইভেট কারকেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে দেখা যায় নি। কারণ, এরা কেউ তার নিজের সন্তান নয়।
৭/ মাইলস্টোন কলেজ থেকে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে সিএনজি দিয়ে আসতে ভাড়া গুনতে হয়েছে ১০০০ টাকা।
৮/ উত্তরা-উত্তর মেট্রোর নিচ থেকে মনসুর আলী মেডিকেলে রিকশা দিয়ে আসতে ভাড়া গুনতে হয়েছে ১০০ টাকা।
৯/ বার্ণ ইউনিটে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা "খোজ" নিতে গিয়েছেন, সাথে বিশাল দলবল নিয়ে। সাংবাদিকদের কান্নাজড়িত গলায় সাক্ষাতকার দিচ্ছেন।
১০/ মৃতের প্রকৃত সং্খ্যা নিয়ে নাকি রাজনীতি চলছে।
জ্বি, আমাদের দেশটা এমনই! আমরা এমনই!
এই জঘন্য দেশের সবচেয়ে কোমলমতি নিষ্পাপ বাচ্চাগুলোই এমন দুর্ভাগ্য বরণ করলো! দুর্ঘটনায় মৃত সকলকে মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন, আমিন।