05/09/2025
রবিউল আউয়াল মাসটি তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে | Rashedul islam-rasel
রবিউল আউয়াল মাস :
মাসটি তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে-এর প্রথম কারণ হলো বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত নবি করিম (সা.)-এর পৃথিবীতে আগমন। দ্বিতীয় কারণ হলো-এ মাসেই আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা (রা.)কে বিয়ে করেন আল্লাহর রাসূল (সা.)। তৃতীয় কারণ হলো-এ মাসেই মুসলমানদের জন্য প্রথম মসজিদ তৈরি করা হয় কুবা নামক স্থানে এবং এটিই ইসলামের ইতিহাসে নির্মিত প্রথম মসজিদ।
চতুর্থ কারণ হলো-এ মাসে আল্লাহর রাসূল (সা.) প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন এবং যেদিন তিনি মদিনায়ে পৌঁছান তা ছিল সোমবার ১২ রবিউল আউয়াল। পঞ্চম কারণ হলো-এ মাসেই বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওপর আরোপিত রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে দ্বীন-ইসলাম পূর্ণতার মাধ্যমে নিজের প্রভুর আহ্বানে সাড়া দেন তিনি।
কুরআন হাদিসে এ মাসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো আমল বা ইবাদত পাওয়া যায় না। তবে কিছু আমল আছে অন্যান্য মাসের মতো এ মাসেও করা যায়। যেমন, প্রতি সোমবারে রোজা রাখা। সোমবারে রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-হজরত আবু কাতাদা (রা.) বলেন, সোমবারের রোজা সম্পর্কে নবি করিম (সা.)কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, এ দিন আমি জন্মলাভ করেছি এবং এ দিনেই আমি নবুওয়াতপ্রাপ্ত হয়েছি বা আমার ওপর (কুরআন) নাজিল করা হয়েছে। (মুসলিম, হাদিস, ১১৬২)।
অন্য হাদিসের মধ্যে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার (আল্লাহতায়ালার দরবারে) আমল পেশ করা হয়। আমার আমলগুলো রোজা অবস্থায় আল্লাহর সামনে পেশ করা হোক এটাই আমি পছন্দ করি। (তিরমিজি, হাদিস, ৭৪৭)। এছাড়া প্রতি চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিজের তিনটি রোজা রাখার কথা এসেছে হাদিসে। এর প্রতি যত্নশীল হওয়া যেতে পারে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর ইবনে আ’স (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়াম পালন, সারা বছর ধরে সিয়াম পালনের সমান।’-(বুখারি, ১১৫৯, ১৯৭৫)।
#রবিউল_আউয়াল_মাসটি
#তাৎপর্যপূর্ণ_হওয়ার_কারণ
িউল_আউয়াল
#রবিউল
#আরবী
#নবীর_জীবনী
#ইসলামিক_ভিডিও
#ইসলামিক_কাহিনী