ল্যাম্প পোস্ট - lamp post

ল্যাম্প পোস্ট - lamp post Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from ল্যাম্প পোস্ট - lamp post, No.15, Bankim Chatterjee St,College Square, Kolkata , India, KOLKATA.

এভাবে রান্না করতে করতেও মে রে ফেলা যায়, মেয়ে মানুষ তো…এদের সাথে যা খুশি তাই করা যায়! অনেক বাবা-মা মেয়ের কষ্ট বোঝেন ন...
15/08/2025

এভাবে রান্না করতে করতেও মে রে ফেলা যায়, মেয়ে মানুষ তো…এদের সাথে যা খুশি তাই করা যায়!
অনেক বাবা-মা মেয়ের কষ্ট বোঝেন না, শুধু একটাই কথা বলেন— যা-ই হোক, সংসারটা করতেই হবে।"

আজ একটা ঘটনা মনটা টুকরো টুকরো করে দিল।
একজন মা… চার সন্তানের মা… বাচ্চাদের জন্য রান্না করছিলেন। মাংস পাশে, আলু কেটে রাখা,
হাঁড়িতে চুলা জ্বলছিল। হয়তো ভাবছিলেন— আজ বাচ্চারা খুশি হবে, পেট ভরে খাবে। কিন্তু সেই রান্না আর শেষ হলো না…
কত সুন্দর সাজানো ঘর সাজানো সংসার সব পড়ে আছে 🥲

হঠাৎ আপুটার মায়ের ফোনে খবর এলো—
“আপনার মেয়ে সুই*সাইড করেছে…” 🥲 এই ফোনটা মেয়ের হাজব্যান্ড করেছিল।

যে মেয়ে রান্না করছে বাচ্চাদের জন্য ,সে নিজে গিয়ে জীবন শে*ষ করতে পারে না।
সে মর*তে চায় না… তাকে মা*রা হয়েছে
শুধু মৃ*ত্যুর নামটা বদলে দেওয়া হয়— “সুই*সাইড”।

সে মা বাবাকে বলেছিল—
“হাজবেন্ড অনেক সময় মার*ধর করে… প্রচণ্ড রাগী…”
এই সংসার আর করতে চায় না 🥲
কিন্তু মা বাবার উত্তর ছিল—
“মা, ধৈর্য ধরো… চারটা সন্তান আছে… সংসার করো… সব ঠিক হয়ে যাবে।”

আমরা মেয়েদের ক্ষেত্রে সবসময় এটাই বলি না?
ধৈর্য ধরো… মেনে নাও… চুপ থাকো… একদিন দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু জানি না, সেই ধৈর্য কবে মৃ*ত্যুর দোরগোড়ায় গিয়ে থামবে।

আজ চারটা শিশু এতিম হয়ে গেল।
তারা বুঝতেও পারছে না— তাদের মা কোথায় গেল।

মেয়েদের জীবন যেন সবসময় এক চুপচাপ লড়াই…
শুরুর দিনগুলোতে হাসি, স্বপ্ন, সাজগোজ…
তারপর ধীরে ধীরে সহ্য, সহ্য, সহ্য…
শেষে কোথায় যেন হঠাৎ ইতি টেনে দেওয়া হয়—
কখনো হাত দিয়ে, কখনো সময় দিয়ে, কখনো সমাজের চাপ দিয়ে…

মাঝে মাঝে খুব অসহায় লাগে নিজেকে আসলেই মেয়েদের জীবনটা জানি কেমন 🥲

আল্লাহ… এই চারটা ছোট্ট প্রাণকে তুমি আগলে রেখো 🤲🏾
আর প্রতিটি মেয়েকে দাও সেই সাহস, যাতে “ধৈর্য ধরো”র নামে মৃ*ত্যুর দিকে ঠেলে না দেওয়া হয়…

24/07/2025
সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বার্ন ইনস্টিটিউট এর আইসিইউতে ডিউটি করছি। হয়তো জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ের একটা পার করছি। এই ছবিটা কে তুল...
22/07/2025

সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বার্ন ইনস্টিটিউট এর আইসিইউতে ডিউটি করছি। হয়তো জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ের একটা পার করছি।
এই ছবিটা কে তুলেছে জানিনা। তবে আমার পাশে যেই মা দাঁড়িয়ে আছেন তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে গতকাল রাতে মা*রা গেছেন। আর ৯ বছর বয়সী ছেলেটার ৯৫% বার্ন, আইসিইউতে ভর্তি। উনি সকাল থেকে একটাই প্রশ্ন সবাইকে হাজারবার করেছেন, "বাচ্চাটার শ্বাস আছে তো?" যদি কেউ বলে হ্যাঁ আছে উনি তাতেই খুশি। মাঝেমধ্যে বলছেন ওর হাত পা অনেক ঠান্ডা হয়ে আছে ওকে জেনো ঠিকমতো কম্বল গায়ে দিয়ে দেওয়া হয়। তাকে শেষ পর্যন্ত স্বান্তনা দেওয়ারও কোনো ভাষাই আমাদের কারও কাছে ছিল না।
আরেকজন মা ছিলেন। তিনি মাহতাবের মা। মাহতাবও অনেক ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছে। ও মায়ের খুব সম্ভবত এই একটাই সন্তান। আইসিইউ থেকে ডাক্তাররা যদি কোনো কারণে পরিবারের খোঁজ করেন তখন তাদের চোখে যে আতঙ্ক তা দেখার মতো না।
এইযে এনাদের মতো আরও মায়েরা যারা এখানে আছেন, এনারা শুধু এটুকুতেই খুশি যে তাদের সন্তানদের শরীরে প্রাণ আছে। তারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন, এই দেশে শুধু দেহে প্রাণ থাকাটাই জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন!

- রওনক তাবাসসুম

24/04/2025

আপনার একটা মেয়ে সন্তান হলো, অবশ্যই আপনি তাকে আদর যত্ন ভালোবাসা দিয়ে মানুষ করলেন। সে যাই বলে আপনি তাই হাজির করেন। এরপর মেয়ে বড় হলো, আদরের রাজকন্যাকে তুলে দিলেন আরেকজনের হাতে বাকি জীবনের জন্য। ৪ ভাগের একটা ভাগ জীবন কেবল সে আপনার কাছে থাকার পরে বাকি ৩ ভাগ জীবন কাটাতে অন্যের হাতে সোপর্দ হলো।

আপনি ভেতরে কন্যা বিদায়ের যন্ত্রণা নিয়েও একটা ছোট আশা রাখলেন মেয়েটা সুখে থাকবে হয়তো। আশা করলেন আমার মতোই তাকে যেন যত্ন করে কেউ।

কিন্তু এরপর কি হলো? আপনার মেয়ের প্রতি কাজের মধ্যে ভুল! পান থেকে চুন খসলেই যা তা ব্যবহার। যাকে আপনি একটা একটা শব্দ শিখিয়েছেন বলতে, পরের ঘরে সে কথা বললেই তাকে হুমকি দেয়- "জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলবো একেবারে "। এসব জানার পরে হয়তো ইচ্ছে হবে ওই মানুষের বাচ্চার কলিজা ছিড়ে নিতে কিন্তু আপনি জানবেন না। আপনার মেয়ে আপনাকে এসব জানাবে না।

এরপর মনে করেন গালাগাল থেকে গায়ে তোলা। কোনো একদিন শুনলেন মাছের তরকারিতে আঁশের গন্ধ পাওয়াতে আপনার মেয়েকে খুন হতে হলো!!!! কি আশ্চর্য! চিরতরে হারিয়ে ফেললেন আপনার আদরের মেয়েকে, যার গায়ে ফুলের টোকাও দেন নি তাকে কত নির্মমতার স্বীকার হতে হলো। জানে মেরে ফেলার আগেও যে কত হাজার বার মেরে ফেলেছে সংসার জীবনে তার কিচ্ছুটি আপনার জানা হলো না।

আমি তাই মেয়ের মা হতে চাইনা কখনো। আমার মেয়ের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলার হুমকি যে দেবে তাকে তো জ্যান্ত পুতে না দিলে আমি শান্তি পাব না। এত ধৈর্য্য এত সহ্য শক্তি আমার নেই। তাই আল্লাহর কাছে কখনো মেয়ে সন্তানের মা হতে চাই না। এত কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন আমাকে আল্লাহ না করুক। আমার ফুলের মতো কোমল মেয়েকে কারো কাছে গিয়ে লাঞ্চিত হতে হবে, দিনের পরে দিন মানসিক নির্যাতনে থাকতে হবে। এসব কখনো সে আমাকে বলবেও না, আমি কিভাবে সহ্য করব?

নিজের জীবন থেকে বুঝলাম, আমি বিয়ের ৫ বছরে আমার পরিবারে কখনো কিছু বলিনি। কিছুই কি ঘটে নি? কিছুই কি আমাকে শুনতে হয়নি? আমি কি এতটাই ভালো আছি সুখী আছি সংসারে??
আমি কিভাবে আশা করবো আমার মেয়েকে কেউ যত্নে রাখবে? মানুষকে কি খেয়ে বোঝা যায়?

আমার ছেলের জন্য অনেক বেশি দোয়া সে কোনো মেয়ের জীবনকে তুচ্ছ না করুক। সে সর্বোচ্চ সহ্যশীল হোক তার নিজের নারীর ব্যাপারে। তার সর্বোত্তম ব্যবহারটাই তার নারী যেন ১০০% পায়। আমিন।

লেখা-ওয়ারদি নাওয়াল আতিকা
২৩-০৪-২০২৫

আমি একজন বিধবা মহিলা। আমার বয়স এখন ৬৬ বছর। দীর্ঘদিন স্কুলে শিক্ষিকতা করার পর এখন অবসর জীবন যাপন করছি। আমার একটাই ছেলে, ন...
09/03/2025

আমি একজন বিধবা মহিলা। আমার বয়স এখন ৬৬ বছর। দীর্ঘদিন স্কুলে শিক্ষিকতা করার পর এখন অবসর জীবন যাপন করছি। আমার একটাই ছেলে, নাম রাজু। ওর বয়স ৪২, থাকে ইংল্যান্ডে। আমার স্বামী যখন মারা যান, তখন আমার বয়স ছিল ৩৬ বছর আর আমার ছেলের ১২। ছেলের কথা ভেবে আমি আর বিয়ে করিনি।
রাজুকে আমি একাই বড় করেছি। কখনো কোনো কিছুর অভাব বুঝতে দিইনি ওকে। সবসময় চেয়েছি ওর সব আবদার মেটাতে। ও যেন না ভাবে আমার বাবা থাকলে এই ইচ্ছাটা অপূর্ণ থাকত না। ছেলেকে দেশের সবচাইতে ভালো স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়িয়েছি। তারপর ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়ে ইংল্যান্ডে চলে গেল। সব খরচ একা হাতে সামলেছি, কারো কাছে হাত পাতিনি আমি। এতকিছুর মাঝে নিজের দিকে একদম খেয়াল করার সুযোগ হয়নি! সবসময় সন্তানের সাফল্য দেখতে চেয়েছি। তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করাই ছিল আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। আমাকে সবাই সফল মা বলে। এই নিয়ে আমারও একধরনের চাপা গর্বও আছে।
গত সপ্তাহে লাবণী নামে আমার এক পুরোনো বান্ধবীর সাথে দেখা হলো। ওর ছেলে আকাশ আমার ছেলের সাথে একই স্কুলে পড়ত। আকাশের সাথে রাজুর খুব একটা মিল ছিল না।
এর কারণ অবশ্য আমি। আমি সারাক্ষণ চাইতাম রাজু শুধুমাত্র যারা ভালো স্টুডেন্ট আর সবসময় পড়ালেখা নিয়ে কম্পিটিশন করে, তাদের সাথে মিশুক। তাতে করে ও পড়াশোনার প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হয়ে উঠবে।
মাঝে মাঝেই লাবণী বলত, "দেখ, আমরা দুজন কত ভালো বন্ধু। আর আমাদের ছেলেরাও একই স্কুলে পড়ে, তার পরেও ওদের মধ্যে বন্ধুত্ব হলো না।"
লাবণীর ছেলে আকাশ প্রত্যেক ক্লাসে এ্যাভারেজ পাশ করত। খেলাধুলায় খুব আগ্রহ ছিল আকাশের। সে স্কুলের সমস্ত এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজে অংশগ্রহণ করত। স্কুলের ওয়াল ম্যাগাজিনে ওর লেখা থাকত, ছবি আঁকত, এগুলো নিয়েই লাবণী খুশি ছিল। আমি মনে মনে হাসতাম, এগুলো দিয়ে হবে কি?
লাবণীর কথা, আমার ছেলে তো আর ফেল করে না! সবাই তো আর ফার্স্ট হয় না। আমার ছেলেটা পড়ালেখায় তেমন ভালো না, কিন্তু ওর অন্য কাজগুলো কত সুন্দর!

আমার কাছে লাবণীর এই কথাগুলো আদিখ্যেতা মনে হতো। ছেলের মাথায় তো গোবর আছেই, তার চাইতে বেশি গোবর মায়ের মাথায়! তা না হলে যে ছেলে পড়ালেখায় এত পিছিয়ে, তাকে কোনো মা স্কুলের এক্সটা কারিকুলার এক্টিভিটিজ নিয়ে সময় নষ্ট করতে দেয়!

রাজু স্কুল পার করে নামী একটি কলেজে ভর্তি হলো আর আকাশ খুব সাধারণ এক কলেজে। তারপর যেমনটা হয়, ওদের সাথে আমার যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গেল।
গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই শপিং মলে ওদের সাথে দেখা। প্রথমে আমি ওদের দেখিনি। আকাশ আমাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে এসে বলল, "আন্টি, আমাকে চিনতে পেরেছেন? আমি আকাশ।"

আমি আকাশকে আসলেই চিনতে পারছিলাম না। শেষবার ওকে যখন দেখি তখন মাত্র স্কুল ছেড়ে কলেজে যাবে। ছেলেমানুষি তখনো চোখেমুখে। আর এখন রীতিমতো ভদ্রলোক। তারপর আকাশ আমাকে লাবণীর কাছে নিয়ে যায়।

লাবণী একটা দোকানে বসা ছিল। ওর ছেলে ওকে নিয়ে শপিংয়ে এসেছে। ছেলে তার মায়ের জন্য কি সব রংচঙে থ্রিপিচ দেখছে! আমি আর লাবণী সবসময় শাড়ি পড়তাম, তাই আমি একটু অবাকই হলাম। লাবণী আমার কাছে বার বার জানতে চাইছিল, "তুই বল, আমি কোনটা কিনব, আমাকে কোনটায় মানাবে?" ওদিক থেকে আকাশ বলে বসে, "আন্টি আপনি যেটা পছন্দ করবেন, মা সেটাই কিনবে।" আমি একটা থ্রিপিচ পছন্দ করে দিলাম। আকাশ কখন সেই একই থ্রিপিচ দুইটা কিনেছে আমি খেয়ালই করিনি। আমি আর লাবণী গল্প করছিলাম কেনাকাটার ফাঁকে ফাঁকে।

এরপর আরো কিছু টুকিটাকি কেনাকাটা করে ওরা। ওদের দেখে মনে হচ্ছিল ওরা কোথাও বেড়াতে যাবে। আমি চোখের কোণ দিয়ে আকাশকে খেয়াল করছিলাম, ও ওর মায়ের সাথে কত সহজ স্বাভাবিকভাবে কথা বলে! যেন মনে হয় আকাশ ওর মাকে নয়, মেয়েকে নিয়ে বের হয়েছে শপিং করতে।

কেনাকাটা শেষে আকাশ আমাদের নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে যায়। মেনু দেখে পছন্দের খাবার অর্ডার দিয়ে মায়ের উদ্দেশ্যে বলে, "মা খাওয়ার পরে কফি খাবে, নাকি আইসক্রিম?" লাবণী হেসে বলে, "আগে কফি খাব, তারপর আইসক্রিম খেতে খেতে বাসায় যাব।"
আমি বললাম, "আমার জন্য স্রেফ কফি।"
লাবণী সঙ্গে সঙ্গে বলল, "তাহলে আইসক্রিম বাদ।"
খেতে খেতে শুনলাম, আকাশ বেড়াতে যাচ্ছে কক্সবাজার, সেখান থেকে সেন্টমার্টিন। সাথে লাবণীকেও নিয়ে যাবে, যদিও সেটা একটা অফিসিয়াল ট্যুর।

আকাশের একটা বায়িং হাউস আছে। হাবভাবে বুঝতে পারলাম অনেক টাকা ইনকাম করে। আমাদের সাথে বসা অবস্থায় কতবার যে হোয়াটসঅ্যাপ চেক করল! মাঝে মাঝে টুকটাক অফিসিয়াল কল আসছিল। তার মানে শত ব্যস্ততার মধ্যেও মাকে নিয়ে শপিংয়ে এসেছে।

গল্পে গল্পে জানা হয়ে গেল আকাশের বউয়ের কথা। মেয়েটা একটা মাল্টি ন্যাশনাল কম্পানির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছে। তাদের এক ছেলে, সে এখন স্কুলে। ছেলেটা নাকি লাবণের ভিশন ন্যাওটা। লাবণী ওর ছেলে বৌয়ের সাথেই থাকে‌।
আমি একটা বিছানার চাদর আর কিছু দৈনন্দিন এটাসেটা বাজার করতে এসেছিলাম। যদিও কিছুই কেনা হয়ে ওঠেনি সেদিন। কেন জানি কিনতে ইচ্ছে হচ্ছে না আর। আমি শুধু আকাশকে দেখছিলাম। ও কত যত্নে আগলে রেখেছে ওর মাকে! স্যান্ডেলের দোকানে নিজে হাতে মায়ের পায়ে স্যান্ডেল পরিয়ে দিল। লাবণী অত দাম দিয়ে স্যান্ডেল কিনবে না। আকাশ তখন বলল, "মা, তুমি দাম দেখো কেন? তুমি শুধু দেখবে আরাম পাও কিনা?"

আকাশের কত খেয়াল তার মায়ের জন্য। সবশেষে ও সানগ্লাস কিনল মায়ের জন্য। লাবণী সানগ্লাস কিনবে না কিছুতেই। তখন আকাশ বলল, "মা, সানগ্লাস কিনতে হবে। কারণ তুমি যখন সমুদ্রের ধারে হাঁটবে, তোমার চোখে রোদ লাগবে।"

ওদের মা-ছেলেকে দেখে আমার এমন লাগছে কেন? ভেতরে ভেতরে এতটা ছোট হয়ে যাচ্ছি কেন? বারবার মনে হচ্ছে, আমি হেরে গেছি জীবনের কাছে। আমি একজন ব্যর্থ মা, যে তার ছেলেকে সবচাইতে সফল আর বড় বানাতে গিয়ে এত বড় বানিয়ে ফেলেছে যে, সেই ছেলের নাগাল আর কখনো পাবে না!
এর মধ্যে কয়েকবার আকাশ রাজুর কথা জানতে চেয়েছে। রাজুর নম্বর চেয়েছে, আমি দিইনি। বলেছি বাসায় আছে, ডায়েরিতে লেখা। আসলে রাজুর অনুমতি না নিয়ে ওর নম্বর কাউকে দিলে ও রাগ করে। আমাকে বলে, "মা, আমি অনেক বিজি থাকি, যখন তখন কল দেবে না। এতে আমার ডিসটার্ব হয়। তুমি এখনো ইংল্যান্ড আর বাংলাদেশের সময় এ্যাডজাস্ট করতে পারো না কেন?"

আকাশ আমাকে আমার বাসায় নামিয়ে দিল। বিদায় নেবার সময় আমার হাতে একটা শপিং ব্যাগ দিয়ে বলল, "আন্টি, এটা আপনার জন্য।" আমি দেখলাম ঠিক লাবণীর মতো আমার জন্যও একটা থ্রিপিচ কিনেছে ও। আকাশ বলল, "আপনারা দুই বান্ধবী একসময় একই রকম থ্রিপিচ পরে বেড়াতে বের হবেন।"
আমি অনেক কষ্টে অশ্রু গোপন করলাম। আকাশ আরো বলল, "আন্টি, আমার মোবাইল নম্বরটা রাখুন, আপনার যখন খুশি কল দেবেন, আমি এসে আপনাকে আমাদের বাসায় নিয়ে যাব।"
আমি তখন বললাম, "তুমি তো বিজি থাকো।" আকাশ সাথে সাথে জবাব দিল, "আন্টি, আপনার জন্য আমি সব সময় ফ্রি আছি।"
তারপর আরো বলল, "আপনি তো একা থাকেন, আপনিও চলেন না আমাদের সাথে কক্সবাজার। আমার মায়ের একজন সঙ্গী হবে।"

আমি মনে মনে কতক্ষণ থেকে বলছি, "লাবণী, আমাকে নিবি তোদের সাথে কক্সবাজার? আমি সমুদ্র দেখব না। আমি শুধু দেখব একজন ছেলে তার মাকে কত আদর যত্ন করে তা!"
আমি আকাশকে বললাম, "লাবণীর সাথে কতদিন পরে দেখা আমার। আমারও ভালো লাগবে তোমাদের সাথে বেড়াতে গেলে। কিন্তু রাজুকে তো বলতে হবে। আমি আজ রাজুর সাথে কথা বলে কাল তোমাকে জানাব।"

লাবণী মনে হয় আমার কথায় অবাক হলো। আমি এত সহজে ওদের সাথে যেতে রাজি হবো এটা ও ভাবতেই পারেনি। লাবণী আমার হাত জড়িয়ে ধরে বলল, "শিলা, প্লিজ চল, আমার অনেক ভালো লাগবে।"

তারপর ওরা চলে গেল। আমি আমার আলোহীন ঘরে ঢুকে আজ আরো বেশি অন্ধকার দেখতে পেলাম। গতকাল রাতের বেলা রাজুর সাথে হওয়া কথাগুলো ভাবতে লাগলাম। বিয়েটা ও একা একা করল ইংল্যান্ডে, নিজের পছন্দের মেয়েকে। ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আসা নাকি অনেক ঝক্কি। তাই দেশে এসে বিয়ের করার প্রশ্নই আসে না। আমি টেলিফোনে ওদের কনগ্রাচুলেশন জানালাম। ওদের একটা মেয়ে হলো। এখন অনেক ছোট, বাংলাদেশের আবহাওয়া নাকি ওর সহ্য হবে না, তাই আসা যাবে না। এবছর আমার ইংল্যান্ডে যাওয়ার কাগজপত্র ঠিক করার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল ও ফোন দিয়ে বলল, এবার ছুটিতে ও ওর শ্বশুর শাশুড়ি সহ আমেরিকা যাবে বেড়াতে।

ও আরো বলল, "মা আমরা সবাই চেষ্টা করবো আগামী বছর দেশে আসার। তুমি মন খারাপ করো না।"
না, আমি মন খারাপ করিনি। আমি আজ আকাশকে দেখে বুঝতে পেরেছি, শুধু ভালো ছাত্র আর ফার্স্ট হওয়া ছেলেরাই সেরা সন্তান হয় না। আমি শুধু আমার ছেলেকে শিখিয়েছি ফার্স্ট হতে হবে পরীক্ষার খাতায় আর চাকরির বাজারে। সেরা মানুষ হতে হবে এটা আমি কখনো শেখাইনি। আমি ওকে কখনো বলিনি, বিপদে তোমার বন্ধুদের পাশে দাঁড়াবে। আমি ওকে কখনো বলিনি, দেশকে ভালোবাসবে, দেশের সেবা করবে। আমি শুধু শিখিয়েছি প্রতিযোগিতা।

ওর কিসে উন্নতি হবে সেটা ওকে শিখিয়েছি, কিন্তু সবাইকে নিয়ে ভালো থাকাটা শেখাতে পারিনি। আমি সবসময় রাজুকে ভালো জিনিস কিনে দিয়েছি, ওর চাহিদা পূরণ করেছি। কিন্তু আমার নিজেরও ইচ্ছা অনিচ্ছা আছে বা থাকতে পারে তা ওকে শিখাইনি।

আমি রাজুকে কল দিব না কক্সবাজার যাওয়া নিয়ে। এটা আকাশকে বলার জন্য বলা। আজ লাবণীর সাথে দেখা হওয়ায় ভালো হলো। এখন থেকে আমি আমার ভালো লাগা মন্দ লাগা নিয়ে ভাবব। ছেলেকে নিয়ে আমার ভাবনা শেষ।
ছেলেকে তার ভালো থাকার জন্য আমার সবকিছু দিয়েছি। ওর আর আমার কাছ থেকে কিছু পাওয়ার নেই।

আশায় ছিলাম ছেলে আমাকে তার কাছে ইংল্যান্ডে বেড়াতে নিয়ে যাবে। গত দুই বছর ধরে আমার চলার টাকা থেকে একটু একটু করে জমিয়েছি ওদের জন্য কত কিছু কিনব বলে!
এবার থেকে আমি আমার জীবনের ছোট ছোট চাওয়াগুলো পূরণ করব। বাঁচব আর ক'টা দিন। খুব শখ ছিল হিমালয় আর মিশরের পিরামিড দেখব! একা একা কি এগুলো দেখা যাবে? তার চাইতে আগে লাবণীদের সাথে কক্সবাজার আর সেন্ট মার্টিন ঘুরে আসি, তারপরেরটা তারপর।
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

08/03/2025

বিচার হবে ?

07/03/2025

বিচার চাইবেন না কেউ?

জামিন পেয়ে গেছে।
06/03/2025

জামিন পেয়ে গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে হে/ন/স্তা/র অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

Ten Unknown Facts About
1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s.
2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizing a spinning propeller against a clear blue sky.
3. Innovation in Technology: BMW is renowned for its innovations in automotive technology. It introduced the world's first electric car, the BMW i3, in 2013, and has been a leader in developing advanced driving assistance systems (ADAS) and hybrid powertrains.
4. Performance and Motorsport Heritage: BMW has a strong heritage in motorsport, particularly in touring car and Formula 1 racing. The brand's M division produces high-performance variants of their regular models, known for their precision engineering and exhilarating driving dynamics.
5. Global Presence: BMW is a global automotive Company
6. Luxury and Design: BMW is synonymous with luxury and distinctive design, crafting vehicles that blend elegance with cutting-edge technology and comfort.
7. Sustainable Practices: BMW has committed to sustainability, incorporating eco-friendly materials and manufacturing processes into its vehicles, as well as advancing electric vehicle technology with models like the BMW i4 and iX.
8. Global Manufacturing: BMW operates numerous production facilities worldwide, including in Germany, the United States, China, and other countries, ensuring a global reach and localized production.
9. Brand Portfolio: In addition to its renowned BMW brand, the company also owns MINI and Rolls-Royce, catering to a diverse range of automotive tastes and luxury segments.
10. Cultural Impact: BMW's vehicles often become cultural icons, featured in fi

দেশে এসব কি শুরু হলো!
05/03/2025

দেশে এসব কি শুরু হলো!

এই লোকটা আজকে আমাকে শাহবাগ থেকে আসার পথে হ্যারাস করেছে। সে আমাকে হুট করে রাস্তায় দাঁড় করায় দিয়ে বলতেসে আমার ড্রেস ঠিক নাই আমি পর্দা করি নাই ইত্যাদি ইত্যাদি এবং তার আচরণ খুবই আগ্রেসিভ ছিল। পরবর্তীতে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করি আপনি কোন হলে থাকেন কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন। সে বলে সে এই ক্যাম্পাসের কেউ না। উল্লেখ্য আমি সালওয়ার কামিজ পরে ঠিক মত ওড়না পরে ছিলাম। সে আমাকে বলে আমার নাকি ওড়না সরে গেছে। Then আমি তাকে বললাম এইটা তো আপনার দেখার বিষয় না আর আপনার তাকানো ও জাস্টিফাইড না। এরপর আমি প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে সে দৌড় দিয়ে চলে যায়। - তাহমিনা তাহিনের ফেসবুক থেকে
Ei loker id pelam matro.
https://www.facebook.com/profile.php?id=100008024655481&mibextid=ZbWKwL

পুরা লেখাটা পড়ে গা শিউরে উঠলো  !
04/03/2025

পুরা লেখাটা পড়ে গা শিউরে উঠলো !

বেঁচে থাকাটাই আসলে আশ্চর্য !

সকালে ঘুম থেকে উঠে কোলগেট পেস্ট নিলাম-তার মধ্যে ক্যান্সারের উপাদান!

তারপর নাস্তায় পরোটা খাইলাম- তার মধ্যে অ্যামোনিয়ার তৈরি সল্টু মিশানো!

তারপর কলা খাইলাম - কার্বাইড দিয়ে পাকানো!

তারপর কফি নিলাম - এতে তেঁতুলের বিচির গুড়া মিশানো!

তারপর বাজারে গেলাম টাটকা শাক সবজি কিনলাম-
কপার সালফেট ছিটায়ে সতেজ করা, হাইব্রিড সার দিয়ে ফলানো!

মসলা আর হলুদের গুড়া নিলাম - লেড এবং ক্রোমাইট ক্যামিকেল মিশানো!

গরমের দিন বাসায় এসে তরমুজ খাইলাম - পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট দিয়ে লাল করা!

আম এবং লিচু বাচ্চাকে দিলাম খেতে - কার্বাইড দিয়ে পাকানো এবং ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষিত!

দুপুরে ভাত খাবো - ইউরিয়া দিয়ে সাদা করা!

মুরগী নিলাম প্লেটে- ক্রমাগত এন্টিবায়োটিক দিয়ে বড় করা!

সয়াবিন তেলে রান্না সব - ভিতরে অর্ধেক পাম অয়েল মেশানো!

খাওয়ার পর মিষ্টি জিলাপি নিলাম - পোড়া মবিল দিয়ে মচমচে করা!

রোজা থাকলে সন্ধ্যায় রুহ আফযা নিলাম - ক্যামিকেল আর রং ছাড়া কোন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়নি পরীক্ষায়!

খেজুর খাইলাম - বছরের পর বছর স্টোরেজে ফরমালিন দিয়ে রেখেছিলো!

সরিষার তেল দিয়ে মুড়ি মাখানো খাইলাম- মুড়ি ইউরিয়া দিয়ে ফুলানো আর সাদা করা এবং সরিষার তেলে ঝাঁঝালো ক্যামিকাল মিশানো!

রাতে আবার একই বিষ ডবল খাইলাম!

ঘুমানোর আগেও বাদ যাবেনা। গরম দুধ আর হরলিক্স খাইলাম- গাভীর পিটুইটারি গ্রন্থিতে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর অতিরিক্ত দুধ দোওয়ানো হয়, এরপর ইউরিয়া মেরে সাদা করা হয়।আর হরলিক্সে পরীক্ষা করে ক্যামিকাল ছাড়া কোন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়নি!

এত ভেজাল খেয়ে দু একটা ঔষধ না খেলে তো শরীর টিকবেনা। ৭০ ভাগ ঔষধ কোম্পানি দেশে মান সম্মত ঔষধ তৈরি করেনা।

এইসব খাওয়ার পর ভাবতেছি, কেমনে বেঁচে আছি!..মানুষের ঈমান তো নাই নাই, দুর্নীতির ভিতরেও এরা দুর্নীতি করে। আসলে আমরা কেউই বেঁচে নাই।

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন পোস্ট টা।

20/02/2025

মনে করুন,আপনি ঢাকায় ছোট খাটো চাকরি করা এক জন নারী।মফস্বল থেকে মোটামুটি যুদ্ধ ঝামেলা পার করে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় এসেছেন পরিবারের হাল ধরতে।বাবা মা চায় বিয়ে করে আপনি সংসারী হন,কিন্তু আপনি চান আগে পরিবারের অবস্থা একটু পরিবর্তন করতে।মনে মনে হয়তো কাউকে পছন্দও করেন।কিন্তু সে সব ভাবনা পরে।আগে টিকে থাকতে হবে।

এর মাঝেই এক সন্ধ্যায় খবর আসলো,আপনার বাবা খুবই অসুস্থ।আপনার মা ফোনের ওপাশ থেকে কান্নায় ভেঙে পড়ে আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফিরতে বললেন।আপনি আগ পিছ আর কিছু না ভেবে ওই রাতেই দশটার বাসে বাড়ির পথে রওনা দিলেন।বাস ভালো না খারাপ,এত রাতে একা যাওয়া টা নিরাপদ কিনা, কিছুই আপনার মাথায় নাই।আপনি শুধু বাড়ি পৌঁছাতে চান।

কিন্তু আপনার জন্য সেটা এতটা সহজ হলো না।বাস মাঝপথে থামানো হলো।বাসে উঠে আসলো একদল পশুর চেয়েও হিংস্র মানুষ।বাস ডাকাতি করা উদ্দেশ্য হলেও সেখানেই তারা ক্ষান্ত হলো না।তাদের চোখ পড়লো আপনার উপর।মাঝরাতে হাতের কাছে পাওয়া মেয়ে মানুষ তারা ছাড়বে কেন?
তারা ছাড়লো না আপনাকে।ভালো মেয়েরা কি আর এত রাতে বাসে উঠে?রাস্তায় থাকে?তাই এটাই তো হওয়ার কথা।

তারা কিংবা কেউই জানতে চাইলো না - আপনি কেন বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন।

এতক্ষণ যা লিখলাম,পুরা টাই গল্প।গত পরশু রাতে গাবতলি থেকে রাজশাহী গামী বাসে ডাকাতির পর যেই দুই নারী কে ধর্ষণ করা হয়,তাদের সঠিক পরিচয় বা তথ্য আমি জানি না।হতে পারে সেটা এমনই কিছু,বা আরও অন্যরকম কিছু।

যেটাই হোক,যা হয়েছে,তা ভয়ংকর রকম কদর্য এবং কুৎসিত।

বাস ভর্তি বাকি মানুষের শুধু জানের ভয় ছিলো।কিন্তু মেয়ে মানুষ হয়ে জন্ম নেয়ার মুহূর্ত থেকেই জানের সাথে সাথে মান রাখার দায় মাথায় নিয়ে প্রতিটা কদম ফেলতে হয়।আমাদের সম্মান কে পুঁজি করে আমাদের পরিবার কে জিম্মি করা যায়,আমাদের মানসিক শান্তি কে জিম্মি করা যায়।
এই দেশে ভূমিকম্প টের পেলে আমরা দৌড় দিয়ে আগে ওড়না খুঁজি কারণ মরার পরেও আমাদের শরীর নিয়ে কি হবে আমরা জানি না।

বাকি সবার জান বেঁচে গেছে হয়তো,কিন্তু ওই দুই নারী জানের আগে মান খুইয়েছেন বলে সমাজ বাকি জীবন তাদের বাঁচিয়ে রেখে জানে মেরে ফেলতে কোন কার্পণ্য বোধ করবে না,জানা আছে।

© Tanjin Rubaiyat

Address

No.15, Bankim Chatterjee St,College Square, Kolkata , India
Kolkata
700073

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ল্যাম্প পোস্ট - lamp post posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share