18/09/2025
🎬 #চার_সতীনের_ঘর (২০০৫) – একটি ভিন্ন মাত্রার সিনেমা👌
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সামাজিক বার্তা ও মানবিক আবেগকে একসাথে গেঁথে তৈরি হয়েছিল নার্গিস আক্তার পরিচালিত বহুল আলোচিত সিনেমা “চার সতীনের ঘর”।
🌟 গল্পের সংক্ষেপঃ
================
কাশেম খান (আলমগীর) গ্রামের একজন ধনী ও সম্মানিত ব্যক্তি। কিন্তু এক দুঃখ তাঁর মনকে কুরে কুরে খায়—সন্তান নেই তাঁর জীবনে। প্রথম স্ত্রী (ববিতা) সন্তান দিতে ব্যর্থ, তাই তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন দিতিকে। তারপরও আশাভঙ্গ হলে তৃতীয়বার বিয়ে করেন ময়ূরীকে। শেষমেষ চতুর্থ স্ত্রী ফুলবানু (শাবনুর) আসেন তাঁর ঘরে।
স্ত্রীরা একে একে অপমানিত হয়েও সংসার টিকিয়ে রাখে। কিন্তু নাটকীয় মোড় আসে তখনই, যখন ডাক্তার (সুচরিতা) জানিয়ে দেন—আসলে সন্তানহীনতার জন্য দায়ী কাশেম খান নিজেই!
এই সত্য প্রকাশের পর ভেঙে পড়ে পুরুষতান্ত্রিক অহংকার, আর দর্শক পায় এক হৃদয়স্পর্শী শিক্ষা।
🎭 অভিনয়শিল্পী ও চরিত্রঃ
====================
কাশেম খান – আলমগীর
প্রথম স্ত্রী – ববিতা
দ্বিতীয় স্ত্রী – দিতি
তৃতীয় স্ত্রী – ময়ূরী
চতুর্থ স্ত্রী ফুলবানু – শাবনুর
মাঝি চরিত্রে – মাহফুজ আহমেদ
ডাক্তার চরিত্রে – সুচরিতা
সহশিল্পী: ড্যানি সিডাক, আমীর সিরাজী প্রমুখ
🎥 সিনেমার মূল বার্তাঃ
=================
👉 সন্তান না হওয়ার দায় কেবল নারীর নয়, পুরুষও সমানভাবে দায়ী হতে পারে।
👉 চার সতীনের সংসারের দ্বন্দ্ব ও বেদনার মধ্যে ফুটে উঠেছে নারীর সংগ্রাম, অপমান সহ্য করার গল্প এবং সামাজিক বাস্তবতা।
👉 সমাজে প্রচলিত ভুল ধারণা ও পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাধারার মুখোশ উন্মোচন করেছে এই সিনেমা।
🏆 অর্জনঃ
=========
২০০৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিভাগে সম্মাননা পেয়েছিল চার সতীনের ঘর।
✨ কেন এই সিনেমা বিশেষ?
=====================
এই সিনেমা শুধু চারটি বিয়ের গল্প নয়, বরং এটি নারী-পুরুষের সম্পর্ক, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিক মূল্যবোধকে ঘিরে এক গভীর শিল্পকর্ম। দর্শককে ভাবতে শেখায়—“অন্যায় বোঝা নারীর ওপর চাপানো কি সঠিক?”