GREENify Organic Agro

  • Home
  • GREENify Organic Agro

GREENify Organic Agro Contract for business :
Whatsapp Number - 01762178514
Mail: mjhhasan14@gmail

23/06/2025

বাছুরের টিকা ব্যবস্থাপনা ও গরুর কয়েকটি প্রাণঘাতী রোগ: সম্পূর্ণ নির্দেশিকা!

গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন গবাদিপশু-পাখির নানা ধরনের রোগবালাই হয়ে থাকে, যা খামারিদের দুশ্চিন্তার কারণ। তবে সময়মতো সঠিক টিকা প্রদান এবং রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকলে অনেক রোগই প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে বাছুরের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ প্রকাশের আগেই টিকা দিয়ে দিলে তাদের রোগমুক্ত রাখা যায়।

প্রথমেই, বাছুরের টিকা ব্যবস্থাপনা জানার আগে গরু ও অন্যান্য গবাদিপশুর কিছু প্রাণঘাতী রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১. তড়কা রোগ (উবামড়কি/গলি/ধড়কা/তীরাজ্বর):
এটি একটি অত্যন্ত মারাত্মক রোগ যা দ্রুত প্রাণহানির কারণ হয়।

কারণ: গ্রাম পজেটিভ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এই রোগ হয়। বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। গরু, ছাগল, মহিষ এবং ভেড়ার এই রোগ হতে পারে।

লক্ষণ:
দেহের লোম খাড়া হয়ে যায়।
দেহের তাপমাত্রা ১০৬-১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ওঠে।
শরীরে কাঁপুনি ওঠে, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত ও গভীর হয়।
নাক, মুখ ও মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
পাতলা ও কালো পায়খানা হয়।
ঘাড়ের পিছনে চামড়ার নিচে তরল পদার্থ জমে ফুলে ওঠে।
ক্ষুধামন্দা, পেট ফাঁপা এবং পেটের ব্যথা হয়।
লক্ষণ প্রকাশের ১-৩ দিনের মধ্যেই পশু ঢলে পড়ে এবং মারা যায়।
মৃত্যুর পরপরই পেট দ্রুত ফুলে ওঠে এবং রক্ত জমাট বাঁধে না।

প্রতিরোধ:
পশুর বয়স ৬ মাস হলে প্রথমবার তড়কা রোগের টিকা দিতে হবে। এরপর প্রতি বছর একবার করে এই টিকা দিতে হবে।
আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা রাখতে হবে।
পশুর মল, রক্ত এবং মৃতদেহ ভালোভাবে মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে হবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, জীবাণুমুক্ত এবং শুষ্ক স্থানে পশুকে লালন-পালন করতে হবে।

চিকিৎসা:
পেনিসিলিন, বাইপেন ভেট, জেনাসিন ভেট বা এম্পিসিন ভেট ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও, স্ট্রেপটোমাইসিন বা এন্টিহিস্টাভেট ইনজেকশন ব্যবহার করা যেতে পারে। (তবে যেকোনো ঔষধ প্রয়োগের আগে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।)

২. খুরারোগ (বাতা, জ্বারা, তাপা, এসো, খুরাপাকা):
এটি জোড়া খুরবিশিষ্ট পশুর একটি পরিচিত ভাইরাসঘটিত রোগ।

কারণ: পিকরনা নামক ভাইরাস দ্বারা এই রোগ হয়। গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদিতে এর সংক্রমণ দেখা যায়। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এই রোগ বেশি ছড়ায়।

লক্ষণ:
মুখে, জিহ্বায় এবং খুরে ফোস্কা পড়ে।
ফোস্কা ফেটে ঘা হয়।
নাক ও মুখ দিয়ে লালা ঝরে।
পশু খুঁড়িয়ে হাঁটে।
পশু শক্ত কিছু খেতে পারে না।
ওলানের বাঁটে ক্ষত হয়, দুর্গন্ধ বের হয় এবং কষ ঝরে।
ধীরে ধীরে পায়ের খুর খসে পড়তে পারে।
পশু দুর্বল হয়ে পড়ে।
দেহের তাপমাত্রা বাড়ে।
গাভীর দুধ কমে যায়।

প্রতিরোধ: তড়কা রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থার মতোই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও টিকা প্রদান জরুরি।

চিকিৎসা:
হালকা গরম পানির সাথে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মিশিয়ে ক্ষতস্থানে দিনে ২-৩ বার ধুয়ে দিতে হবে।
সোহাগা (বোরাক্স) বা বরিক পাউডার মধু বা গ্লিসারিনের সাথে মিশিয়ে ক্ষতস্থানে লাগাতে হবে।
পশুকে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন (যেমন: প্রোনেপেন, এসপিভেট, ডায়াডেট, সুমিডভেট, জেনসিনভেট) দিতে হবে।
জ্বর কমানোর জন্য ডিক্লোডেট ব্যবহার করা যেতে পারে।
নারকেল তেল ও তারপিন তেল ৪:১ অনুপাতে মিশিয়ে ক্ষতে লাগানো যেতে পারে।
পশুকে নরম খাদ্য খাওয়াতে হবে।

সতর্কতা:
কাদামাটি বা পানিতে পশুকে রাখা যাবে না।
ক্ষতস্থান ঘষা যাবে না।

৩. বাদলা রোগ (কালো, জহরত, সুজওরা, কৃষজঙ্গ রোগ):
এটি মূলত তরুণ গবাদিপশুর একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ।

কারণ: গ্রাম পজেটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এই রোগ হয়। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সে এর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। দেহের ক্ষত বা মলের মাধ্যমেও এটি সংক্রমিত হতে পারে।

লক্ষণ:
পশুর দেহের মাংসপেশি ফুলে যায় এবং গায়ের চামড়া খসখসে হয়।
ফোলা স্থানে গরম অনুভূত হয় এবং হাত দিলে চটচট শব্দ হয়।
ফোলা স্থানে পচন ধরে এবং পশু মারাও যেতে পারে।
দেহের তাপমাত্রা ১০৫-১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত বাড়ে।
কখনো পশুর পেট ফাঁপে এবং পশু খোঁড়াতে থাকে।
খাওয়া ও জাবর কাটা বন্ধ হয় এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়।
দেহের পশম খাড়া হয় এবং পশু নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
আক্রান্ত স্থানে কাটলে গাঢ় লাল, দুর্গন্ধযুক্ত ফেনা বের হয়।
প্রতিরোধ: তড়কা রোগের প্রতিরোধ পদ্ধতির মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

চিকিৎসা:
পশুর শিরা বা ত্বকের নিচে প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ হাজার ইউনিট পেনিসিলিন ইনজেকশন দিতে হবে।
অথবা, ৩-৫ মিলিগ্রাম টেট্রাসাইক্লিন ইনজেকশন দিতে হবে।

বিকল্প হিসেবে বাইপেনভেট, এম্পিসিনভেট বা এন্টিহিস্টাভেট ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। (চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যক।)

৪. ওলান ফোলা/প্রদাহ রোগ (ওলান পাকা, ঠুনকো ইত্যাদি):
দুগ্ধবতী গাভীর একটি সাধারণ কিন্তু মারাত্মক সমস্যা।

কারণ: ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়ে এই রোগ হয়। অস্বাস্থ্যকর, স্যাঁতসেঁতে বাসস্থান, ময়লা হাতে দুধ দোহানো এবং ওলানে আঘাত প্রভৃতি কারণে রোগজীবাণু সংক্রমিত হয়।

লক্ষণ:
ওলান লাল হয়ে ফুলে যায়।
ওলান শক্ত ও গরম হয় এবং ওলানে ব্যথা হয়।
দুধ ছানার মতো ছাকা ছাকা হয়।
দুধের সাথে রক্ত বের হতে পারে।
ওলান ও বাঁট নষ্ট হয়ে গাভীর দুধ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

প্রতিরোধ:
পশুকে শুকনো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থানে লালন-পালন করতে হবে।
ওলান সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে।
দুধ দোহনের আগে হাত জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ওলান গরম হলে ঠান্ডা সেক এবং ঠান্ডা হলে গরম সেক দিতে হবে।

চিকিৎসা:
আক্রান্ত পশুকে জেনাসিনভেট, এম্পিসিন ভেট, ক্লোফেনাক ভেট বা এন্টিহিস্টাভেট ইনজেকশন দিতে হবে।
সরিষার তেল ও কর্পূর তেল মিশিয়ে ওলানে মালিশ করা যেতে পারে। (চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ ব্যবহার করবেন না।)

৫. ডায়রিয়া/পাতলা পায়খানা/উদরাময় রোগ:
এটি বাছুর ও বয়স্ক গরু উভয়েরই একটি সাধারণ রোগ।

কারণ: ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়া জাতীয় জীবাণু দ্বারা এই রোগ হয়। বর্ষার সময় দূষিত খড়, পচা লতাপাতা, পচা পানি বা পচা খাদ্য খেয়ে এর সংক্রমণ ঘটে।

লক্ষণ:
ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়।
মুখ দিয়ে লালা ঝরে।
মলের সাথে রক্ত বের হতে পারে।
পেটের ডান দিকে চাপ দিলে পশু ব্যথা পায়।

প্রতিরোধ:
পশুকে পরিষ্কার ও টাটকা খাদ্য খাওয়াতে হবে।
বাছুর জন্মের পরই ২% আয়োডিন দিয়ে নাভি মুছে দিতে হবে।
জন্মের পর ২ ঘণ্টার মধ্যে শাল দুধ (কলোস্ট্রাম) বাছুরে কে খাওয়াতে হবে।
জীবাণুমুক্ত বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে।

চিকিৎসা:
স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
সালফা প্লাস ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রয়োজনে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। (চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।)

৬. নিউমোনিয়া:
শ্বাসতন্ত্রের এই রোগটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে।

কারণ: বিভিন্ন জীবাণু (ব্যাকটেরিয়া, রিকেটশিয়া, ভাইরাস) ছাড়াও অ্যালার্জেন, আঘাত, ক্লান্তি, ঠান্ডা লাগা, বৃষ্টিতে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ এবং আর্দ্র আবহাওয়া ইত্যাদি কারণে এই রোগ হয়।

লক্ষণ:
আক্রান্ত পশুতে প্রথমে অল্প জ্বর ও কাশি দেখা যায়, পরে ঘন ঘন কাশি দেয়।
নাক ও মুখ দিয়ে সাদা সর্দি বের হয়।
দ্রুত ও গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় শব্দ হয়।

প্রতিরোধ:
বৃষ্টি, ঠান্ডা, আর্দ্র ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে পশু রাখা যাবে না।
শুকনো ও গরম স্থানে রাখতে হবে।

চিকিৎসা:
পশুকে জেনাসিনভেট, ওটেট্রাভেট বা কোট্রিমভেট ইনজেকশন দিতে হবে। (চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ঔষধ প্রয়োগ করা উচিত নয়।)
বাছুরের বয়স অনুযায়ী যেসব টিকা দিতে হয়:
গরুর বাছুরকে সময়মতো টিকা প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা তাদের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে এবং খামারকে রোগমুক্ত রাখে। নিচে বাছুরের বয়স অনুযায়ী প্রয়োজনীয় টিকার একটি তালিকা দেওয়া হলো:

৪৫ দিন: ক্ষুরারোগ
৪ মাস: ক্ষুরারোগ (বুস্টার ডোজ)
৬ মাস: বাদলা
৬ মাস ২১ দিন: তড়কা
৭ মাস ১৪ দিন: গলাফুলা
৮ মাস ৭ দিন: প্লেগ
১০ মাস: ক্ষুরারোগ (বুস্টার ডোজ)

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
গরুর মধ্যে যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ দেখলে দ্রুত উপজেলা পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।

#বাছুরেরটিকা #গরুরোগ #খামারি #পশুপালন #প্রাণিস্বাস্থ্য #টিকাকরণ #তড়কা #খুরা #বাদলা #ওলানপ্রদাহ #ডায়রিয়া #নিউমোনিয়া

23/06/2025

৩ মাসে খাসি ও ছাগল মোটাতাজাকরণ: আপনার লাভজনক খামারের নিশ্চিত গাইডলাইন!

প্রিয় ভাই/বোন
একটি সফল ছাগল বা খাসি মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের জন্য চাই সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা আর সঠিক যত্নের কৌশল। মাত্র ৩ মাসে আপনার ছাগলের ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দারুণ লাভ করতে চাইলে নিচের এই সহজ ও কার্যকর গাইডলাইনটি অনুসরণ করুন:

🌱 ১. খামারের পরিবেশ ও প্রস্তুতি

* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: আপনার খামার যেন থাকে ঝকঝকে পরিষ্কার আর শুষ্ক। ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ ছাগলের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ধুলোবালিহীন আর পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন।
* পর্যাপ্ত জায়গা: প্রতিটি ছাগল বা খাসির জন্য কমপক্ষে ১০–১৫ বর্গফুট খোলা ও নির্দিষ্ট স্থান রাখুন। এতে তারা আরামদায়কভাবে ঘোরাফেরা করতে পারবে এবং অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমবে।

🍽️ ২. খাদ্য ব্যবস্থাপনা: আপনার ছাগলের পুষ্টির মূলমন্ত্র
🕐 প্রথম মাস:
* সকালের নাস্তা ও রাতের খাবার: ভোর ও সন্ধ্যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে নেপিয়ার, সিগন্যাল বা দেশি ঘাস দিন। তাজা সবুজ ঘাস ছাগলের হজমে সাহায্য করে ও পুষ্টি জোগায়।
* দুপুরের কনসেনট্রেট: দুপুরের খাবারে কনসেনট্রেটের পরিমাণ ও মান বাড়ান।
* ভাঙা ভুট্টা: ৩০%
* গমের ভুসি: ৩০%
* সরিষা/খেসারি খৈল: ২০%
* সয়াবিন খৈল: ১৫%
* মিনারেল মিক্স (খনিজ মিশ্রণ): ৫%
* পরিমাণ: প্রথম মাসে দৈনিক ২০০–৩০০ গ্রাম কনসেনট্রেট দিন।

🕑 দ্বিতীয় মাস:
* ঘাস: ভোর ও সন্ধ্যায় ঘাস আগের মতোই চালু রাখুন।
* কনসেনট্রেট বৃদ্ধি: এই মাসে দৈনিক কনসেনট্রেটের পরিমাণ বাড়িয়ে ৩৫০–৫০০ গ্রাম করুন।
* উচ্চ-প্রোটিন যুক্ত করুন: ছোলার খেসারি, কলা খৈল, খেসারি খৈলের মতো উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত খাবার যোগ করুন। এটি দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।

🕒 তৃতীয় মাস:
* সর্বোচ্চ কনসেনট্রেট: এই মাসে কনসেনট্রেটের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে ৫০০–৬০০ গ্রাম/দিন করুন।
* প্রোটিনের নিশ্চয়তা: ভোর ও সন্ধ্যায় ঘাসের সাথে প্রোটিনভিত্তিক খাবার নিশ্চিত করুন, কারণ এ সময় ছাগলের পুষ্টি চাহিদা তুঙ্গে থাকে।

৩. পানি ও সাপ্লিমেন্ট: পুষ্টির পরিপূরক
* বিশুদ্ধ পানি: আপনার ছাগলকে সবসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করুন। পানির পাত্র যেন সব সময় ভর্তি থাকে।
* লবণ ও মিনারেল ব্লক: খামারে সব সময় লবণ ও মিনারেল ব্লক রাখুন, যাতে ছাগল ইচ্ছেমতো চাটতে পারে। এটি তাদের খনিজ চাহিদা পূরণ করবে।
* ভিটামিন সিরাপ: প্রতি সপ্তাহে ১–২ বার ভিটামিন সিরাপ (যেমন AD3E) দিন। এটি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে ও দ্রুত মোটাতাজাকরণে সহায়তা করবে।

🩺 ৪. স্বাস্থ্যসেবা: রোগমুক্ত ও সুস্থ ছাগলই সফলতার চাবিকাঠি
* কৃমিনাশক: প্রতি ৬০ দিনে অবশ্যই কৃমিনাশক ব্যবহার নিশ্চিত করুন। কৃমিমুক্ত না থাকলে খাবার থেকে ছাগল পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে না।
* টিকাদান: সময়মতো PPR ও FMD (খুরা রোগ) টিকা প্রদান করুন। এই দুটি রোগ ছাগলের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক।
* ওজন পরিমাপ: প্রতি সপ্তাহে আপনার ছাগলের ওজন পরিমাপ করুন এবং একটি রেকর্ড খাতায় লিখে রাখুন। এতে আপনি তার ওজন বৃদ্ধির হার পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

🎯 ৫. লক্ষ্য ও প্রত্যাশা: আপনার পরিশ্রমের ফল
সঠিক যত্ন, সুষম খাদ্য এবং দায়বদ্ধ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাত্র ৩ মাসে একটি সুস্থ ছাগলের ওজন ১০–১৫ কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এটিই আপনার খামারের সাফল্যের প্রতিচ্ছবি।

✅ কাজটি সহজে করার কিছু টিপস:
* দৈনিক রেকর্ড: প্রতিদিনের ওজন এবং খাদ্যের পরিমাণ রেকর্ড করুন। এটি আপনাকে ছাগলের অগ্রগতি বুঝতে এবং প্রয়োজনে খাদ্য তালিকা সমন্বয় করতে সাহায্য করবে।
* সঠিক অনুপাত: ঘাস ও কনসেনট্রেটের অনুপাত সময়মতো সমন্বয় করুন, যাতে ছাগলের শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত হয়।
* বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা: যেকোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বা রোগ দেখা দিলে অবিলম্বে পশু ডাক্তার বা একজন পশুস্বাস্থ্য কর্মীর সহযোগিতা নিন। নিজেরা চিকিৎসা করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না।

23/06/2025

🐄 গাভী গর্ভধারণ না করার প্রধান কারণগুলো কি কি? 🐄

আপনার খামারের গাভীটি কি বারবার চেষ্টা করেও গর্ভধারণ করছে না? এটি খামারিদের জন্য একটি হতাশার কারণ হতে পারে। গাভী গর্ভধারণ না করার পেছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ থাকতে পারে। আসুন, জেনে নিই প্রধান কারণগুলো:

১. অপুষ্টি বা পুষ্টিহীনতা:

🐂শক্তি ও প্রোটিনের অভাব: পর্যাপ্ত শক্তি ও প্রোটিন না পেলে গাভীর প্রজননতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করে না।

🐂খনিজ ও ভিটামিনের অভাব: ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার, জিঙ্ক এবং ভিটামিন এ, ডি, ই এর অভাব প্রজনন ক্ষমতা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।

২. প্রজননতন্ত্রের সমস্যা:

🐄নীরব গরম (Silent Heat): গাভী গরম হলেও বাহ্যিকভাবে লক্ষণ প্রকাশ পায় না, ফলে কৃত্রিম প্রজনন বা প্রাকৃতিক প্রজননের সময় পার হয়ে যায়।

🐄হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: বিভিন্ন হরমোনের (যেমন - ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন) অভাবে ডিম্বাণু উৎপাদন, ডিম্বস্ফোটন বা জরায়ুর সঠিক প্রস্তুতি ব্যাহত হয়।

🐄জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের সমস্যা: জরায়ুতে সংক্রমণ (মেট্রাইটিস), সিস্ট (Follicular/Luteal Cyst), জরায়ুর দুর্বলতা অথবা ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা হ্রাস এর কারণ হতে পারে।

🐄জন্মগত ত্রুটি: প্রজননতন্ত্রে জন্মগত ত্রুটি থাকলে গাভী গর্ভধারণ করতে পারে না।

৩. পরিবেশগত ও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি:
তাপমাত্রা জনিত চাপ (Heat Stress): অতিরিক্ত গরমে গাভীর ডিম্বাণুর গুণগত মান কমে যায় এবং প্রজনন চক্র ব্যাহত হয়।

অপরিষ্কার পরিবেশ: নোংরা গোয়ালঘর বা প্রজননের সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ জরায়ুতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

অদক্ষ প্রজনন: ভুল সময়ে প্রজনন করানো (কৃত্রিম বা প্রাকৃতিক), ভুল পদ্ধতিতে সিমেন প্রয়োগ অথবা সিমেনের মান খারাপ হলে গর্ভধারণ হয় না।

৪. রোগব্যাধি:
* **সংক্রামক রোগ: ব্রুসেলোসিস, লেপটোস্পাইরোসিস, ভিবরিওসিস, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, আইবিআর (IBR) এর মতো রোগগুলো গর্ভপাত বা গর্ভধারণ না করার কারণ হতে পারে।
* **মেটাবলিক রোগ: কিটোসিস বা মিল্ক ফিভারের মতো বিপাকীয় রোগ প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৫. অতিরিক্ত মোটা বা অতিরিক্ত রোগা:
শরীরের অতিরিক্ত ওজন অথবা খুব বেশি রোগা হওয়া উভয়ই গাভীর প্রজনন ক্ষমতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

করণীয়:
যদি আপনার গাভী গর্ভধারণ না করে, তবে দেরি না করে একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি সার্জনের সাথে পরামর্শ করুন। তিনি সঠিক কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার পরামর্শ দিতে পারবেন।

৬ মাস মেয়াদি খাসি ছাগল মোটাতাজাকরন খাবার তালিকা৬ মাস বয়সী খাসি ছাগলকে মোটাতাজা করার জন্য একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য তাল...
16/05/2025

৬ মাস মেয়াদি খাসি ছাগল মোটাতাজাকরন খাবার তালিকা

৬ মাস বয়সী খাসি ছাগলকে মোটাতাজা করার জন্য একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা তৈরি করা জরুরি। নিচে প্রতিদিনের ভিত্তিতে একটি খাদ্য পরিকল্পনা দেওয়া হলো:

খাবার তালিকা (প্রতি দিন):
১. শুকনো ঘাস ও কাঁচা ঘাস (মূল খাদ্য):
নপিয়ার ঘাস, বাজরা ঘাস বা দেশি ঘাস – ১.৫–২.৫ কেজি

শুকনো খড় (যেমন ধান/গম খড়) – ০.৫–১ কেজি

খড়ে একটু ইউরিয়া+গুড় মিশিয়ে দিলে হজমে সহায়ক হবে।

২. দানাদার খাদ্য (পুষ্টিকর):
গম ভাঙ্গা বা ভূষি – ২০০–৩০০ গ্রাম

ভুট্টা গুঁড়া – ১০০–১৫০ গ্রাম

সরিষার খৈল / তিল খৈল / সয়াবিন মিল – ১০০ গ্রাম

চিটাগুড় বা গুড় – ৫০–১০০ গ্রাম

লবণ – ৫–১০ গ্রাম

চুন (Ca) – ৫–১০ গ্রাম (প্রয়োজনে)

এই দানাদার খাবার মিশিয়ে দিনে ২ বার (সকাল ও বিকেল) খাওয়াতে হবে।

৩. পানি:
পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি দিনভর নিশ্চিত করতে হবে (৬–৮ লিটার/দিন)।

৪. অতিরিক্ত খাদ্য/সাপ্লিমেন্ট (প্রয়োজনে):
ভিটামিন ও খনিজ সাপ্লিমেন্ট (B-complex, ADE, Ca, P) – পশু চিকিৎসকের পরামর্শে

প্রোবায়োটিক বা হজম শক্তি বাড়ানোর ওষুধ – মাঝে মাঝে

বিশেষ টিপস:
নতুন খাবার ধীরে ধীরে পরিচয় করিয়ে দিন।

ছাগল যেন সবসময় ছায়ায় ও পরিষ্কার জায়গায় থাকে।

নিয়মিত প্যারাসাইট (পেটের কৃমি) প্রতিরোধে ওষুধ দিন (প্রতি ৩ মাসে একবার)।
#ছাগল_মোটাতাজাকরন
#খাসি_ছাগল_মোটাতাজাকরন_খাবার

12/05/2025

🐄 গরুর স্বাস্থ্য রক্ষা শুরু হোক সময়মতো টিকা থেকে! ধারাবাহিক টীকার তালিকা মনে রাখতে শেয়ার করে রাখুন। ধন্যবাদ।

একটা গরু মানে শুধু মাংস বা দুধ নয়—এটা একটা পরিবারের স্বপ্ন, একজন খামারির জীবিকার ভরসা। কিন্তু একটু অসচেতনতাই এই স্বপ্নে ধরিয়ে দিতে পারে ভয়াবহ রোগের ছায়া। তাই গরুর রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত টিকা দেওয়া কোনো অপশন নয়—এটা আবশ্যক।

আমাদের দেশের খামারগুলোতে বহু গরু প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে এমন সব রোগে, যা চাইলে খুব সহজেই প্রতিরোধ করা যেত—শুধু সময়মতো কিছু নির্ধারিত টিকা দিয়ে। যেমনঃ

🔹 FMD (খুরা-মুখের রোগ): প্রতি ৬ মাসে ১ বার
🔹 BQ (ব্ল্যাক কোয়ার্টার): বছরে ১ বার
🔹 HS (হেমোরেজিক সেপটিসেমিয়া): বর্ষার আগে ১ বার
🔹 Anthrax (তড়কা): বছরে ১ বার
🔹 Brucellosis (বকনা গরুর জন্য): ৪-৮ মাস বয়সে ১ বার
🔹 L*D (লাম্পি স্কিন ডিজিজ): বছরে ১ বার

এই টিকাগুলো যথাসময়ে দিলে গরু থাকবে সুস্থ, দুধ বা মাংস উৎপাদন বাড়বে, এবং আপনি লাভবান হবেন। ভুলে যাবেন না—একটি টিকা দিতে দেরি মানেই আপনার খামারে ঝুঁকি বাড়ানো।

📌 প্রতিটি টিকা দেওয়ার আগে একজন অভিজ্ঞ পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
📅 টিকা দেওয়ার সময়সূচি লিখে রাখুন—এটাই সফল খামারির বুদ্ধিমত্তা।

👍 পোস্টটি ভালো লাগলে লাইক দিন
💬 কমেন্টে আপনার মতামত জানান
📢 শেয়ার করুন পরিচিত খামারিদের সঙ্গে
👥 Agriculture TV পেজে ফলো দিয়ে পাশে থাকুন—নিত্য নতুন খামার বিষয়ক টিপস পেতে

🔖 #গরু_টিকা #গরুর_রোগ_প্রতিরোধ #পশু_স্বাস্থ্য
#খামার_পরিকল্পনা #খামারি_পরামর্শ #বাংলাদেশ_খামার
#কৃষি_ব্যবসা #ফার্মিং_টিপস

11/05/2025

🐃 মহিষ দিনে কত লিটার দুধ দেয়?

মহিষ দিনে কত লিটার এবং বছরে কত লিটার দুধ দেয়, আর সেই দুধের বাজারদর কত—এই প্রশ্ন অনেকেই করেন। বিশেষ করে যারা খামার শুরু করতে চান, তাদের জন্য এই তথ্য জানা খুব জরুরি।

🐃 মহিষ দিনে কত লিটার দুধ দেয়?

বাংলাদেশে সাধারণত দুই ধরনের মহিষ দেখা যায়—দেশি ও উন্নত জাত (যেমন মুরাহ, নিলি-রাভি)।
👉 দেশি মহিষ দৈনিক গড়ে ৪ থেকে ৫ লিটার দুধ দেয়
👉 আর উন্নত জাতের মহিষ দৈনিক গড়ে ১০ থেকে ১২ লিটার বা তারও বেশি দুধ দেয়

⚡ বছরে মহিষ কত দিন দুধ দেয়?

একটি সুস্থ মহিষ সাধারণত বছরে ২৭০ থেকে ৩০০ দিন পর্যন্ত দুধ দেয়। এটাকে ল্যাকটেশন পিরিয়ড বলা হয়। অর্থাৎ, গর্ভধারণ ও বাচ্চা প্রসবের পর দুধ উৎপাদনের সময়কাল।

🧮 তাহলে বছরে কত লিটার?

একটি উন্নত জাতের মহিষ যদি প্রতিদিন ১০ লিটার দুধ দেয় এবং ধরে নেওয়া হয় যে তা বছরে ৩০০ দিন দুধ দিচ্ছে, তাহলে:
🔹 ১০ × ৩০০ = ৩,০০০ লিটার দুধ (বাৎসরিক)

যদি দেশি মহিষ হয় এবং গড়ে প্রতিদিন ৫ লিটার করে দুধ দেয়, তাহলে বছরে:
🔹 ৫ × ২৭০ = ১,৩৫০ লিটার দুধ (বাৎসরিক)

💰 প্রতি লিটার দুধের বাজারদর কত?

মহিষের দুধ গরুর দুধের চেয়ে ঘন ও ফ্যাটযুক্ত বলে এর দাম তুলনামূলক বেশি।
👉 সাধারণত প্রতি লিটার মহিষের দুধ বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১২০ টাকা দামে
👉 শহরাঞ্চলে খাঁটি মহিষের দুধ অনেক সময় ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়

🎯 উদাহরণ:
ধরুন আপনার একটি উন্নত জাতের মহিষ আছে, সে বছরে ৩,০০০ লিটার দুধ দিল। গড়ে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি করলেন ১০০ টাকায়। তাহলে এক বছরে আপনার আয়:

✅ ৩,০০০ × ১০০ = ৳৩,০০,০০০

অর্থাৎ, শুধু একটি মহিষ থেকেই আপনি বছরে তিন লক্ষ টাকারও বেশি আয় করতে পারেন—যদি ঠিকমতো যত্ন করেন এবং খাঁটি দুধ বাজারে পৌঁছাতে পারেন।

#মহিষ #মহিষ_চেনার_উপায় #মাংসের_জন্য_মহিষ #স্বাস্থ্যবান_মহিষ #বাংলাদেশ_খামার #মহিষ_কেনা_বিক্রি #প্রাণিসম্পদ_বাংলাদেশ

11/05/2025

🐐 “ছাগল বাঁচলেই লাভ, সময়মতো টিকাই খামারির শেষ ভরসা!”

ছাগল পালন করছেন অথচ টিকা দেন না—এটা যেন মাটিতে ধান বুনে পানি না দেওয়া!
অনেক খামারি ছাগলের মৃত্যুর পেছনে ‘ভাগ্য’কে দায়ী করেন, অথচ সময়মতো একটি ছোট টিকাই বাঁচাতে পারে আপনার হাজার টাকার ছাগল!

ছোট-বড় যেই খামারি হোন না কেন, এই পোস্ট আপনার খামারের জন্য হতে পারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর একটি।

✅ ছাগলের টিকা দেওয়ার সময় ও তালিকা (খুব সহজ করে)
🔹 ১. পিপিআর (PPR)
👉 ছাগলের জন্য সবচেয়ে ভয়ানক রোগ
📅 বয়স: ৩–৪ মাস
🔁 প্রতিবছর ১ বার

🔹 ২. এন্টারোটক্সেমিয়া
👉 খাবারের পরিবর্তনে হঠাৎ মৃত্যুর অন্যতম কারণ
📅 বয়স: ২–৩ মাস
🔁 বছরে ১ বার

🔹 ৩. খুর ও মুখ রোগ (FMD)
👉 ভাইরাসজনিত মারাত্মক রোগ
📅 বয়স: ৪–৬ মাস
🔁 বছরে ২ বার (মার্চ ও সেপ্টেম্বর)

🔹 ৪. গোটপক্স (Goat Pox)
👉 ছাগলের শরীরে ঘা ও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে
📅 বয়স: ৪–৫ মাস
🔁 বছরে ১ বার

🔹 ৫. টেটানাস টক্সয়েড
👉 অপারেশন বা খৎনার পর প্রয়োজন হয়
📅 প্রয়োজন অনুযায়ী

🔹 ৬. ব্রুসেলোসিস (Brucellosis)
👉 বন্ধ্যাত্ব ও গর্ভপাত রোধে
📅 বয়স: ৪–৮ মাস
🔁 একবারই যথেষ্ট

🔹 ৭. হেমোরেজিক সেপটিসেমিয়া (HS)
👉 বর্ষায় মারাত্মক আকার নেয়
📅 বর্ষার আগে
🔁 বছরে ১ বার

📌 অতিরিক্ত কিছু দরকারি টিপস:
✔️ টিকা দেয়ার আগে ছাগল যেন সুস্থ থাকে
✔️ সরকারি প্রাণিসম্পদ অফিস বা অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি থেকে টিকা দিন
✔️ গর্ভবতী ছাগলকে PPR ও FMD টিকা না দেওয়াই উত্তম
✔️ প্রতিটি টিকা ও তারিখ খাতায় লিখে রাখুন

#ছাগল_টিকা #ছাগল_খামার #ছাগল_চাষ #প্রাণিসম্পদ #খামার_পরামর্শ #প্রান্তিক_খামারি #বাংলাদেশ_খামার

কেন ভেটেরিনারিয়ানকে সরাসরি রোগী (প্রাণী) দেখে রোগ নির্ণয় করতে হয়১. Symptom শুধু আংশিক তথ্য দেয়:প্যারাভেট বা খামারি প্রাণ...
29/04/2025

কেন ভেটেরিনারিয়ানকে সরাসরি রোগী (প্রাণী) দেখে রোগ নির্ণয় করতে হয়

১. Symptom শুধু আংশিক তথ্য দেয়:

প্যারাভেট বা খামারি প্রাণীর যা যা গুরুত্বপূর্ণ Sign (যেমন: পালমোনারি শব্দ, পালস, তাপমাত্রা, ফোসকার অবস্থান, চোখের রঙ) তারা হয়ত বুঝতেই পারবে না বা ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবে না।

২. Symptom ভুল হতে পারে:

খামারি বা প্যারাভেট ভুল বোঝাতে পারে বা ভুল তথ্য দিতে পারে।

যেমন: গরু খায় না = এটা হতে পারে দাঁতের সমস্যা, হতে পারে গলা ফোলা, হতে পারে দম সমস্যা — শুধু শোনা দিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় না।

৩. বিভিন্ন রোগের Symptom একরকম হতে পারে:

*অনেক রোগে একইরকম উপসর্গ থাকে (যেমন: জ্বর, খাওয়া কমে যাওয়া)।

*রোগ নির্ণয়ে সূক্ষ্ম পার্থক্য (sign) দেখা জরুরি, যা ভেটেরিনারিয়ান চোখে দেখবে, হাতে টের পাবে, স্টেথোস্কোপ দিয়ে শুনবে, প্রয়োজনে টেস্ট করবে।

৪. সঠিক চিকিৎসার জন্য সঠিক রোগ নির্ণয় অপরিহার্য:

ভুল রোগ নির্ণয় মানে ভুল চিকিৎসা।

ভুল চিকিৎসা প্রাণীর জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে এবং খামারির বড় আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।

ভেটেরিনারিয়ানদের প্রশিক্ষণই হলো রোগ নির্ণয়ে sign, symptom, history, clinical examination, এবং প্রয়োজনে lab test সবকিছু একত্র করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

প্যারাভেট বা খামারি শুধুমাত্র সীমিত পর্যবেক্ষণ করতে পারে, চিকিৎসা পরিকল্পনা করতে পারে না।

অর্থাৎ
"শুধু symptom শুনে চিকিৎসা দিলে রোগ নির্ণয়ে ভুল হবে,
রোগ নির্ণয়ে ভুল হলে চিকিৎসায় ভুল হবে,
চিকিৎসায় ভুল হলে প্রাণীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।"

তাই একজন ভেটেরিনারিয়ানকে নিজ হাতে ও নিজ চোখে রোগী পর্যবেক্ষণ করেই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করতে হয়।

28/04/2025

হাঁস পালনকারীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেডিসিন :

১। থায়াবিন বি১ বি২ -হাঁসের ঘার বাকা এবং পা প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এই মেডিসিন এবং পাশাপাশি আরো অনেক কাজ করে। প্রতি ১০ দিনে ৩দিন এই ভিটামিন খাওয়াতে পারেন ১ লিটার পানিতে ১গ্রাম

২। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স - হাঁসের ভিটামিন বি যাবতীয় সকল ভিটামিন এর অভাব পুরন করে উল্লেখযোগ্য আমরা যখন চিনা হাঁস কুচে বসাই অনেক সময় দেখা যায় ডিমের ভিতরে চিনা হাঁসের বাচ্চা মারা যায় তাই আপনি যুদি আপনার হাঁসকে এই ভিটামিন খাওয়ান তাহলে বাচ্চার মান ভালো থাকবে এবং খুব সুন্দর ভাবে ডিম থেকে বের হতে অনেক সাহায্যে করে এই ভিটামিন তাই রানিং ডিমের হাঁসকে এই ভিটামিন সপ্তাহে ৩ দিন খাওয়ান।

৩। ক্যালসিয়াম - হাঁসকে সুস্থ রাখতে ক্যালসিয়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে, বিশেষ করে হাঁস থেকে ভালো পরিমান প্রডাকশন পাওয়ার জন্য এই ক্যালসিয়াম ব্যবহার করতে পারে। এবং ডিমের খুশা পাতলা হওয়া ডিম আকাবাকা হওয়া থেকেও সমাধান পাবেন এবং হাঁসের শরীরের ক্যালসিয়াম এর সমস্যা দূর হবে, প্রতি ১ লিটারে ২মিলি দিবেন ১০দিন ৩ দিন দিতে পারেন।

৪। রেনামাইসিন - হাঁস মুরগি সুস্থ রাখতে এই মেডিসিন এর গুরুত্ব অপরিসীম প্রতি ১০ দিনে ৩ দিন দিতে পারেন ১লিটারে ২গ্রাম বাচ্চা হাঁস হলে ১গ্রাম।

৫। পেক্সাসিন -হাঁসের চুনা পায়খানা হলে এই মেডিসিন ব্যবহার করতে পারেন ম্যাজিক এর মত কাজ করে ১ লিটারে ১গ্রাম পাউডার।

৬। ইরোকট - হাঁসের সবুজ পায়খানা হলে/ঠান্ডা লাগলে ইরোকট খাওয়াতে পারেন অনেক ভালো কাজ করে ১লিটারে ১গ্রাম।

৭। ইএসবি৩০ - হাঁসের যদি আমাশয় দেখা দেয় তাহলে এইটা খাওয়ান ১ লিটারে ১গ্রাম।

৮। জিংক - হাঁস খাবার না খেলে মুখে রুচি না থাকলে এবং পালক না গজালে এবং হাঁস বয়স অনুযায়ী না বাড়লে এই মেডিসিন খাওয়ান ১ লিটারে ২মিলি।

৯। এনরোসিন - বাচ্চা হাঁসের ঠান্ডা লাগলে এই মেডিসিন খাওয়াবেন ম্যাজিক এর মত কাজ করবে ১ লিটারে ১ মিলি।

১০। মাইক্রোনিড - বড় হাঁসের ঠান্ডা লাগলে মাথা চোখ ফুলে গেলে এইটা খাওয়ান ১ লিটারে ১গ্রাম।

১১। এসিলিং ভেট - হাঁসের নাক দিয়ে পানি পরলে এসিলিং ভেট খাওয়ান ১ লিটারে ১গ্রাম।

১২। লাইসুভিট - সকাল প্রকার হাঁস মুরগি সুস্থ রাখতে এই মেডিসিন এর কোন বিকল্প নাই প্রতি ১লিটারে ১গ্রাম দিয়ে খাওয়াবেন।

১৩। এভিনেক্স - হাঁসের কৃমি ডোজ করানোর জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন ভালো কাজ করে।

GREENify Organic Agro

খামারের পশুদের ক্ষেত্রে এই সাধারণ ইনজেকশন ভুলগুলি এড়িয়ে চলুনইনজেকশন দেওয়া পশু স্বাস্থ্যসেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তব...
27/04/2025

খামারের পশুদের ক্ষেত্রে এই সাধারণ ইনজেকশন ভুলগুলি এড়িয়ে চলুন

ইনজেকশন দেওয়া পশু স্বাস্থ্যসেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে, এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সাধারণ ভুলগুলি ব্যথা, সংক্রমণ বা চিকিৎসার কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে। নীচে গুরুত্বপূর্ণ ভুলগুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকা এবং সেগুলি কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় তা দেওয়া হল।

১. সূঁচ পুনঃব্যবহার
কখনও কখনও পশুদের মধ্যে সূঁচ পুনঃব্যবহার করবেন না। এটি রোগ এবং ব্যাকটেরিয়া স্থানান্তর করতে পারে, যা আপনার পুরো পশুপালকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। প্রতিটি প্রাণীর জন্য সর্বদা একটি জীবাণুমুক্ত সূঁচ ব্যবহার করুন এবং ব্যবহারের পরে নিরাপদে ফেলে দিন।

২. ভুল স্থানে ইনজেকশন
বিভিন্ন ওষুধের জন্য বিভিন্ন ইনজেকশন পদ্ধতির প্রয়োজন হয়: ত্বকের নীচে (ত্বকের নীচে), পেশীতে (ইন্ট্রামাসকুলার), অথবা সরাসরি শিরায় (শিরাপথে)। ভুল স্থানে ইনজেকশন দিলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায় এবং পশুর ক্ষতি হতে পারে। সর্বদা ওষুধের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন অথবা একজন পশুচিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

৩. ভুল ডোজ
খুব কম ডোজ কিছুই করতে পারে না, অন্যদিকে অতিরিক্ত মাত্রায় পশুর বিষক্রিয়া হতে পারে। সর্বদা পশুর শরীরের ওজনের উপর ভিত্তি করে সাবধানে পরিমাপ করুন। সন্দেহ থাকলে, ডোজ চার্ট দেখুন অথবা একজন পশুচিকিৎসকের কাছ থেকে নির্দেশনা নিন।

৪. তাড়াহুড়ো করে পদ্ধতিটি সম্পন্ন করা
খুব দ্রুত প্রাণীর কাছে যাওয়া বা রুক্ষ আচরণ তাদের ভয় দেখাতে পারে। এর ফলে ইনজেকশন মিস হয়ে যেতে পারে বা আঘাত পেতে পারে। প্রাণীর উপর চাপ কমাতে শান্ত থাকুন, আস্তে আস্তে নড়াচড়া করুন এবং মৃদুভাবে কথা বলুন।
৫. দুর্বল সংযম
একটি দুর্বল সংযমযুক্ত প্রাণী হঠাৎ ঝাঁকুনি দিতে পারে, যার ফলে আঘাত লাগতে পারে অথবা ভুল জায়গায় ইনজেকশন দেওয়া হতে পারে। ইনজেকশন দেওয়ার আগে পশুটিকে নিরাপদে সুরক্ষিত করুন। প্রয়োজনে কাউকে সাহায্য করুন।

৬. নোংরা ত্বকের মধ্য দিয়ে ইনজেকশন দিন
কখনই নোংরা বা কর্দমাক্ত ত্বকের মধ্য দিয়ে ইনজেকশন দেবেন না। ময়লা রক্তপ্রবাহে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করাতে পারে। ইনজেকশনের স্থানটি সর্বদা পরিষ্কার জল বা অ্যালকোহল সোয়াব দিয়ে পরিষ্কার করুন।

৭. ঠান্ডা ওষুধ ব্যবহার
অত্যধিক ঠান্ডা ওষুধ ইনজেকশন দিলে ব্যথা এবং জ্বালা হতে পারে। ওষুধগুলিকে ঠান্ডা, শুষ্ক জায়গায় সংরক্ষণ করুন, তবে ব্যবহারের আগে ঘরের তাপমাত্রায় গরম হতে দিন।

🔸🔹কেঁচো কে প্রাকৃতিক লাঙ্গল বলা হয়।কেঁচো প্রকৃতপক্ষে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সবজি চাষের ক্ষেত্রে। এখানে তাদের কিছু...
22/01/2025

🔸🔹কেঁচো কে প্রাকৃতিক লাঙ্গল বলা হয়।
কেঁচো প্রকৃতপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সবজি চাষের ক্ষেত্রে। এখানে তাদের কিছু অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে:

🔰সুবিধা:

১. মাটির বায়ুচলাচল: কেঁচো গর্ত করে, টানেল তৈরি করে যা মাটির বায়ুচলাচল, জলের অনুপ্রবেশ এবং শিকড়ের বৃদ্ধিকে উন্নত করে।

২. পুষ্টির সাইকেল চালানো: কেঁচো জৈব পদার্থকে ভেঙে ফেলে, পুষ্টির পুনর্ব্যবহার করে এবং উদ্ভিদের জন্য উপলব্ধ করে।

৩. মাটির গঠন: কেঁচো মাটির গঠন উন্নত করে, এর জল ধারণ ক্ষমতা এবং উর্বরতা বৃদ্ধি করে।

৪. ইকোসিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং: কেঁচো তাদের পরিবেশ পরিবর্তন করে, অন্যান্য জীবের জন্য বাসস্থান তৈরি করে।

৫. জীববৈচিত্র্য: কেঁচো জটিল খাদ্য জালকে সমর্থন করে জীববৈচিত্র্যে অবদান রাখে।

৬. কৃষি: কেঁচো ভার্মি কম্পোস্টিং-এ ব্যবহার করা হয়, যা কৃষির জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ কম্পোস্ট তৈরি করে।

৭. পরিবেশগত সূচক: কেঁচো মাটির স্বাস্থ্য এবং বাস্তুতন্ত্রের মানের সূচক হিসাবে কাজ করে।

🔰খরচ:

১. মাটির ক্ষয়: কেঁচো মাটির ক্ষয় ঘটাতে সাহায্য করতে পারে, যা মাটিকে জল এবং বায়ু ক্ষয়ের জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে।

২. ফসলের ক্ষতি: বিরল ক্ষেত্রে, কেঁচো শস্যের ক্ষতি করতে পারে, যেমন আলফালফা বা ক্লোভার, শিকড়ের মধ্যে গুঁজে দিয়ে।

সামগ্রিকভাবে, কেঁচোগুলির উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সুবিধা রয়েছে এবং বাস্তুতন্ত্রে তাদের গুরুত্বকে বাড়াবাড়ি করা যায় না। এগুলি মাটির বাস্তুতন্ত্রের একটি মূল্যবান উপাদান এবং তাদের কার্যক্রম কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে।

 #ফসফরাস_সার_এর_অভাবজনিত_লক্ষণ। *ধান গাছের পাতা খাড়া হয়, পাতা গাঢ় সবুজ বর্ণ থাকে। *ফসফরাসের অভাবে গাছের কান্ড ও মূলের ...
16/01/2025

#ফসফরাস_সার_এর_অভাবজনিত_লক্ষণ।

*ধান গাছের পাতা খাড়া হয়, পাতা গাঢ় সবুজ বর্ণ থাকে।

*ফসফরাসের অভাবে গাছের কান্ড ও মূলের বৃদ্ধি হয় না।

*উদ্ভিদের কোষ বিভাজন হার কমে যায়।

*গাছে পাতা ছড়ানো থাকে (বাঁধাকপি) অর্থাৎ বাঁধাকপি পাতা বাধে না।

*উদ্ভিদে আমিষের পরিমাণ কমে যায়।

*ফুল ও ফলের সংখ্যা কম হয় এবং আকারে ছোট হয়।

*বেগুনের পাতা নিলাভ হয় এবং ফল ধরেনা।

*দানা জাতীয় ফসলে চিটা বেশি হয়।

*গাছের পাতা অনেক সময় গাড়ো সবুজ থাকে অথচ বৃদ্ধি থেমে যায়।

*ভুট্টা গাছের পাতা নীলচে বর্ণ ধারণ করে।

*গাছে খুশির সংখ্যা কমে যায়।

#ফসফরাস










Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when GREENify Organic Agro posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share