02/04/2025
শুভ সকাল বন্ধুরা নিচে একটি ট্র্যাজেডি ভালোবাসার গল্পের খসড়া দিলাম, যা আপনি আরও পরিমার্জন করতে পারেন।
---
চিরকালের অপেক্ষা
সন্ধ্যার মিষ্টি হাওয়া বয়ে যাচ্ছিল, আর নদীর ধারে বসে অপূর্ব তাকিয়ে ছিল সূর্যাস্তের দিকে। পাশে বসে ছিল তার ভালোবাসার মানুষ, তিথি। তারা দুজন একসঙ্গে অসংখ্য স্বপ্ন বুনেছিল, কিন্তু জীবন কি আর স্বপ্নের মতো চলে?
তিথি হঠাৎই চুপচাপ হয়ে যায়। অপূর্ব বুঝতে পারে কিছু একটা বলার আছে তার। কিছুক্ষণ পর তিথি ফিসফিস করে বলে, "আমি হয়তো তোমার সাথে থাকতে পারব না অপূর্ব। বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে।"
অপূর্ব হতভম্ব হয়ে যায়। সে জানত, তিথির পরিবার খুব রক্ষণশীল, কিন্তু এত দ্রুত এই সিদ্ধান্ত নেবে, তা সে ভাবেনি।
তারা পালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবে, কিন্তু তিথি জানে, পরিবারের অমতে গেলে তার মা-বাবা কখনোই ক্ষমা করবে না। অপূর্ব সব হারিয়ে ফেললেও তিথির চোখে জল দেখতে চায় না।
শেষ বিদায়
তিথির বিয়ের দিন, অপূর্ব দূর থেকে দেখছিল তাকে। সাদা শাড়িতে তাকে স্বর্গীয় লাগছিল, কিন্তু সেই সাজ ছিল শেকলের মতো। তিথির চোখে জল ছিল, অপূর্বর মন ভেঙে গিয়েছিল।
কয়েক বছর পর…
নদীর ধারে একাকী বসে ছিল অপূর্ব। চারদিকে শীতল বাতাস বয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু তার হৃদয়ের জ্বলন নিভছিল না। হঠাৎ, কারো পায়ের শব্দ পেল সে। পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে তিথি দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু আগের মতো উজ্জ্বল নয়।
"আমি আর পারলাম না অপূর্ব…"
তিথির চোখে শুধু শূন্যতা। অপূর্ব কিছু বলার আগেই সে ঝড়ের মতো চলে যায়। পরদিন খবর আসে, তিথি আর বেঁচে নেই।
অপূর্ব নদীর ধারে এসে বসে থাকে। এবার সে জানে, তিথি সত্যিই চলে গেছে। কিন্তু একদিন, কোথাও না কোথাও, তারা আবার মিলিত হব