Aruu

Aruu “লেখা মানেই নিজের না-বলা কথাগুলোর একটুখানি মুক্তি।”

বিকেল সাড়ে পাঁচটা।লোকাল ট্রেনটা ঠিক সময়ে স্টেশনে ঢুকলো — সাদামাটা একটা স্টেশন, নামটা কেউ কষ্ট করে মনে রাখে না।কিন্তু ক...
07/07/2025

বিকেল সাড়ে পাঁচটা।
লোকাল ট্রেনটা ঠিক সময়ে স্টেশনে ঢুকলো — সাদামাটা একটা স্টেশন, নামটা কেউ কষ্ট করে মনে রাখে না।
কিন্তু কেউ একজন আছে, যে প্রতিদিন ঠিক এই স্টেশনেই এসে দাঁড়ায়।

তার নাম নীরা।
হাতে একটা পুরোনো ডায়েরি, তাতে লেখা —
“সে আসবে। আমি জানি।”

ছোটবেলা থেকে চিঠি লেখে সে, এমন একজনকে যাকে কখনো দেখেনি।
বন্ধুরা হাসে। বলে, “ইন্টারনেটের যুগে তুমি কাকে চিঠি লিখছো?”
নীরা হাসে, কিছু বলে না। তার মন জানে — ভালোবাসা সবসময় দেখতে হয় না, অনুভব করলেই হয়।

অন্যদিকে, একটা ছেলেও আছে — নাম ইহান।
সে কলকাতা থেকে চিঠিগুলোর উত্তর পাঠায় —
একটা পোস্টবক্স থেকে।
সে কোনোদিন জানেনি, সেই মেয়েটি ঠিক কেমন দেখতে, কেমন হেসে উঠে, কিংবা কীভাবে বারান্দা দিয়ে চাঁদ দেখে।

তবু প্রতিদিন সে উত্তর লেখে —
কারণ ওই অচেনা চিঠিগুলোর মাঝে, সে তার নিজের একটা জীবনের ছায়া খুঁজে পায়।

একদিন, হঠাৎ করে, ইহান সত্যিই ঠিক করলো,
“আজ আমি যাবো। নীরাকে দেখতে।”

স্টেশনে ট্রেন থামে।
নীরার চোখ খোঁজে, বহু চেনা মুখের ভিড়ে একটা অচেনা চোখ।

ইহান নামলো। ব্যাগে পুরোনো সব চিঠি। সামনে দাঁড়ানো মেয়েটার মুখে এক ধরনের নিশ্চিন্তি —
যেন সে জানতো, আজই সেই দিন।

ইহান বললো, “আমি দেরি করে ফেলেছি?”

নীরা হেসে বললো, “ভালোবাসা কখনো দেরি করে না। ও শুধু সময় নিতে জানে।”

ওদের কোনো ছবি নেই।
কিন্তু প্রথমবার দেখা করার দিনটা ঠিক লেখে রাখে,
ডায়েরির পাতায়,
“আজও স্টেশনঘণ্টা বাজলো… ঠিক সময়মতো।”



তুমিও কি এমন কাউকে অপেক্ষা করো?
যাকে হয়তো কখনো দেখোনি, তবু মনে হয় — সে ঠিক কোনো এক স্টেশনে তোমারই জন্য নামবে?

আর আমি অনুভূতি”আমাদের সম্পর্কের সূত্রটা হয়ে ছিলো আমাকে দিয়েই অতপর হাজারো বিচ্ছেদ হাজারও ভুল বুঝা বুঝির পর ও আমরা এক সা...
20/06/2025

আর আমি অনুভূতি”
আমাদের সম্পর্কের সূত্রটা হয়ে ছিলো আমাকে দিয়েই

অতপর হাজারো বিচ্ছেদ হাজারও ভুল বুঝা বুঝির পর ও আমরা এক সাথে ছিলাম বলতে পারেন খানিকের জন্য কারণ এর পর একটা ধাক্কা আমার মন থেকে তাকে চিরতরে বের করে দেয়

আর তখন?

আমি তাঁকে ভালোবাসিনি….সে ভালোবাসতে বাধ্য করেছিল তার ব্যবহার আমাকে বাধ্য করেছিল নতুন করে ভালোবাসতে…..এক এক সেকেন্ড,এক এক মাস,এক এক বছর লেগেছিল
তার ওপর বিশ্বাস আনতে

সে?

সে আমার সব কথার খেয়াল রাখতো আমার প্রত্যেকটা হাসি,প্রত্যেকটা চোখের জলের হিসাব রাখতো …আমাকে বুঝানোর জন্য এতো ভালোবাসা দেয় সে আমাকে যে আমি আবারও ভালোবেসে ফেলি তাকে আমি আগের মতো তার জন্য পাগলের মতো হয়ে পরি এখন দেখি আমি তাঁকে…সময়ের সাথে কিভাবে পরিবর্তন হয়ে যায় মানুষ,,,

না জানি সে প্রথম থেকেই এমন ছিলো নাকি আমার থেকে তার মন ভরে গেছে এখন বলতে হাসি পায় হয়তো…তবে
আমি চাইনি কাউকে ভালবাসতে…আমি চাইনি কষ্ট আমার জীবনে আসুক কিন্তু তার পরিবর্তনে সব ভুলে যাই আমি ,,তার মিষ্টি কথায় না জানি কেন গলেছিলাম

এখন হয়তো সে আমার হয়নি তবে…

আমি??

আমি না চাইতেও পুরোটাই তার হয়ে গেলাম✨

🌸 জানালার ধারে মেয়েটা 🌸সন্ধ্যে নেমেছে। চারদিক নরম আলোয় ঢেকে যাচ্ছে।রিমি জানালার পাশে বসে বাইরে তাকিয়ে ছিল। প্রতি সন্ধ্...
13/06/2025

🌸 জানালার ধারে মেয়েটা 🌸

সন্ধ্যে নেমেছে। চারদিক নরম আলোয় ঢেকে যাচ্ছে।
রিমি জানালার পাশে বসে বাইরে তাকিয়ে ছিল। প্রতি সন্ধ্যায় এই সময়টাতে সে জানালার ধারে বসে থাকে। খুব নির্দিষ্টভাবে কারও জন্য অপেক্ষা করে না, তবু যেন কারও আসার সম্ভাবনা থাকে—এমন একটা অভ্যেস তৈরি হয়ে গেছে।

আজ হাওয়াটা একটু অন্যরকম। বইয়ের পাতা ওলটাচ্ছে না, চুপচাপ যেন কিছু বলছে…

তখনই হঠাৎ তার জানালার নীচে কিছু একটা পড়ে।
রিমি নিচে তাকিয়ে দেখে, একটা ছোট্ট খাম।
সে দৌড়ে নিচে যায়, খামটা তুলে আনে।

খামের ওপরে কোনও প্রেরকের নাম নেই। শুধু লেখা:
“তুমি যে রোজ এই জানালার পাশে বসে থাকো, আমি জানি।”

রিমির বুক কেঁপে ওঠে।
কে এটা লিখেছে? কে ওকে এতদিন ধরে দেখছে?
কেন জানালার ধারে বসা সেই ছোট্ট অভ্যেসটা কেউ লক্ষ্য করেছে?

চিঠির ভিতরে আরও লেখা ছিল—
“তোমার নিঃশব্দ অপেক্ষা আমাকে সাহস দেয়।
আমি আসব, একদিন ঠিক আসব।
ততদিন তুমি জানালার ধারে বসে থেকো…
কারণ জানালার ধারের মেয়েটাকেই আমি ভালবেসে ফেলেছি।”

রিমির চোখে জল চলে আসে।
সে জানে না কে লিখেছে, জানে না সেই মানুষ আসবে কিনা।
তবু তার জানালার পাশে বসে থাকার অভ্যেসটা এবার একটা নতুন মানে পেল।



চুপচাপ ভালোবাসার মতো নিঃশব্দে কেউ যদি তোমাকে দেখে, তোমার অপেক্ষা বোঝে—তখনই হয়ত সবচেয়ে সত্যিকারের ভালোবাসা তৈরি হয় 🌷

দুপুর ১২টার দেখা”বছরের এক নিঃশব্দ গ্রীষ্মের দিন। রোদটা মাথার উপর কড়াকড়ি, তবু বাতাসে একটা অদ্ভুত শান্তি। চারপাশে ঘাসের গন...
22/05/2025

দুপুর ১২টার দেখা”

বছরের এক নিঃশব্দ গ্রীষ্মের দিন। রোদটা মাথার উপর কড়াকড়ি, তবু বাতাসে একটা অদ্ভুত শান্তি। চারপাশে ঘাসের গন্ধ, দূরে একটা ছোট নদী ধীরে বয়ে চলেছে। পাখিরা ডাকছে না, গাছগুলো নিঃশব্দ, শুধু মাঝে মাঝে পাতার নড়াচড়া যেন বলে—কারো জন্য অপেক্ষা চলছে।

তখন ঠিক দুপুর ১২টা। আকাশটা রং তুলির মতো নীল, মেঘ গুলো সাদা তুলোর মতো হেঁটে বেড়াচ্ছে। সেই সময়টাতেই তুমি এলে। হাওয়ার সাথেই যেন এসে দাঁড়ালে আমার পাশে।

“তুমি আসবে বলেছিলে,” আমি বলি চুপচাপ।

তুমি মুচকি হাসো। “তুমি অপেক্ষা করবে জেনেই বলেছিলাম।”

দুজনেই নীরব হই। পাশেই নদীর ধারে বসি। আমি তোমার দিকে তাকাই, তুমি আকাশের দিকে। তোমার চোখে আকাশ, আর আমার চোখে শুধু তুমি।

একসময় তুমি বলো, “জানো, যদি সময়টা থেমে যেত… এই দুপুর ১২টা যেন চিরকাল থাকত…”

আমি বলি, “তাহলে হয়তো ভালোবাসাও সময়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে চিরন্তন হয়ে যেত।”

তুমি চুপ করে থাকো। আমি তোমার হাতটা নিঃশব্দে ধরে ফেলি। সময় থামে না, নদীও থামে না। তবু আমাদের সেই দুপুর ১২টার দেখা—চোখে চোখ, নিঃশব্দে—থেমে থাকে মনের এক কোণে, ঠিক চিরন্তনের মতো।

আমি বুঝি।তুমি যেটা বলো না, যেটা শুধু চোখের নিচে জমে থাকা ঘুমের মতো—সেটাও আমি বুঝি।তোমার সেই “হাসি”র ভেতরে লুকানো হাঁপিয়ে...
21/05/2025

আমি বুঝি।

তুমি যেটা বলো না, যেটা শুধু চোখের নিচে জমে থাকা ঘুমের মতো—
সেটাও আমি বুঝি।

তোমার সেই “হাসি”র ভেতরে লুকানো হাঁপিয়ে ওঠা কষ্ট,
তোমার সেই “আমি ভালো আছি”র পেছনে জমে থাকা রাতের নিঃশব্দ কান্না…
সবটাই বুঝি।

তুমি যদি আজ বলতে না পারো ,
তাও আমি থাকি—
চুপচাপ, পাশে, তোমার মনের দরজার কাছে বসে।

কারণ কিছু সম্পর্ক এমন হয়,
যেখানে “বোঝা”টা কথার অপেক্ষা করে না—
শুধু মনটা টের পায়… “এই মানুষটার এখন একটু নরম ছায়া দরকার।”

আর আমি,
golper maya ,
তোমার সেই ছায়াটা হয়েই থাকি।

🖤
(চুপ করে আছি… তুমি যখন বলবে তখন শুনে যাব— কোনো বিচার ছাড়াই।)

21/05/2025

“দুপুরবেলার নীরবতা”

ঘড়িতে বাজে ২টা।
রোদটা বেশ চড়া, জানালার কাঁচ গরম হয়ে গেছে।
পাখার আওয়াজ ছাড়া ঘরটা পুরো চুপচাপ।

আরু একা বসে আছে খাটে, একটা বই পাশে পড়ে আছে খোলা,
কিন্তু পড়া আর হচ্ছিল না।
মনটা কোথাও হারিয়ে গেছে— পুরোনো কোনো গলিতে,
হয়তো এমন এক দুপুরে,
যেখানে কেউ বলেছিল,
“খুব কষ্ট হলে, চোখ বন্ধ করে এই রোদটাকেই অনুভব করো । আমি থাকব।”

কিন্তু সে তো আর থাকে না।

এই দুপুরে সবার চোখ ভারী হয়ে আসে,
কেউ ঘুমায়, কেউ কাঁদে, কেউ গল্প লেখে,
আর কেউ ঠিক আরুর মতো চুপ করে ভাবে—
“ভালোবাসা কি সত্যিই শেষ হয়ে যায়?
নাকি দুপুরবেলার রোদের মতো—
চোখে ঝলসায়, কিন্তু মনে থেকে যায়…”

চায়ের কাপে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া শেষ চুমুকটা নিয়ে আরু জানালার দিকে তাকায়।
বাইরে একলা একটা পাতাও নড়ে না।
তবু তার বুকের ভেতর ঝড়…
একটা অদৃশ্য দুপুর,
যা সে কাউকে দেখাতে পারে না।



এই দুপুরগুলো খুব নীরব, খুব গভীর,
আর একদম নিজের মতো।

তুমি জানো ,
কখনো যদি মনটা হঠাৎ খালি খালি লাগে,
দুপুরবেলা একা লাগলে,
এক কাপ চা নাও , চোখ বন্ধ কর,
আর আমি তোমার পাশে নিঃশব্দে বসে থাকব।

🥀
(এই রোদে আমি তোমার ছায়া হয়ে…)

“আজ সকালটা নিজের জন্য”ঘড়িতে বাজে ঠিক ৬টা।শহরটা এখনও পুরো জেগে ওঠেনি,রাস্তা ফাঁকা, পাখির ডাক আস্তে আস্তে জেগে উঠছে চারপা...
21/05/2025

“আজ সকালটা নিজের জন্য”

ঘড়িতে বাজে ঠিক ৬টা।
শহরটা এখনও পুরো জেগে ওঠেনি,
রাস্তা ফাঁকা, পাখির ডাক আস্তে আস্তে জেগে উঠছে চারপাশে।

তৃণা আজ একটু তাড়াতাড়ি উঠেছে।
মোবাইলটা পাশে রেখেছে, সোশ্যাল মিডিয়া খুলেনি, কারো মেসেজ দেখেনি।
আজ না… আজ সকালে ও শুধু নিজের সাথে থাকবে।

চায়ের কাপে ধোঁয়া উঠছে, আর বারান্দার জানালা দিয়ে হালকা রোদ এসে পড়ছে মুখে।
তৃণা ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে,
বুঝতে পারছে— অনেকদিন পর এমন একটা সকাল পেয়েছে,
যেখানে কেউ কিছু চাইছে না, কেউ কিছু বলছে না…
শুধু একটা নিরব ঘর, আর একটা শান্ত মন।

তৃণা চুপচাপ নিজের পুরোনো ডায়েরিটা খুলল।
লিখে রাখল একটা লাইন—
“সকালটা আজ কেবল আমার। আর আমি বেঁচে আছি, ধীরে ধীরে, ধুলো মুছে ফেলা আলোয়।”

সেদিনের সকালটা হয়তো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট হয়নি,
কিন্তু তার মনের ভেতর একটা দাগ কেটে গেল—
একটা নতুন শুরু, খুব ছোট হলেও খুব নিজের মতো।



এমন সকাল মাঝে মাঝে দরকার, তাই না?
যেখানে তুমি কাউকে ভালো রাখার চাপে নেই—
শুধু নিজেকে একটু জড়িয়ে ধরো,একটু নিঃশ্বাস নাও , একটু বাঁচো ।

Golper maya☀️
(তোমার চা-এর পাশে বসে থাকি, গল্প না বলে শুধু অনুভব করি…)

“রাতটা আজ একটু আলাদা”রাত প্রায় ১২টা।ছাদের ওপর বসে আছে মেহার। একা।চারপাশটা নীরব, কিন্তু মনের ভিতর অদ্ভুত এক কোলাহল।চাঁদটা...
20/05/2025

“রাতটা আজ একটু আলাদা”

রাত প্রায় ১২টা।
ছাদের ওপর বসে আছে মেহার। একা।
চারপাশটা নীরব, কিন্তু মনের ভিতর অদ্ভুত এক কোলাহল।

চাঁদটা আজ বেশ বড়, হালকা হাওয়ায় ওড়ানো একটা পুরনো স্মৃতির মতো লাগছে।
হাতে মোবাইল, স্ক্রিনে শেষবারের মতো ভেসে আছে সেই মেসেজটা—
“তুমি ঠিক থাকো , মেহার।”

চোখে জল নেই। কষ্টের অনেক আগেই কাঁদা শেষ।
এখন কেবল একটা শূন্যতা,
যেটা অনেকটা সেই বন্ধ জানালার মতো—
খুললেও বাতাস ঢোকে না।

স্মৃতিরা আজ একটু বেশি জেগে আছে।
তার হাসি, তার বলা কথা, সেই পুরনো ট্রেনের সিট, সেদিনের হালকা বৃষ্টি—
সব কিছু একসাথে মনে পড়ছে।

মেহার মাথা তুলে চাঁদের দিকে তাকায়।
চাঁদ আজ আর রোমান্টিক না, বরং যেন চুপচাপ সাথী হয়ে বসে আছে।

একটা কথা খুব জোরে মনে হয়—
“ভালোবাসা না থাকলেও, কিছু অনুভব কখনো মরে না। তারা শুধু রাতে জেগে উঠে…”

সেদিন মেহার কিছুই লেখেনি তাকে।
শুধু একটা স্টোরি পোস্ট করেছিল—
“চাঁদ আজও আছে, শুধু কেউ আর দেখে না…”



রাতটা এখনও শেষ হয়নি,
আরও অনেক মনের জানালায় আলো জ্বলছে…
কেউ মেহার মতো, কেউ তোমার মতো, কেউ হয়তো একেবারে চুপচাপ…

Golper meye 🌒
(চাঁদের নিচে বসে গল্প শুনি, আর কারা যেন নিঃশব্দে ভালোবাসে আজও…)

“বৃষ্টি পড়ে, আর আমার মনের ভেতর তুমি হেঁটে যাও পায়ের শব্দ ফেলে…জানো, তখন চারপাশ ভিজে না, ভিজে শুধু আমার ভালোবাসা।”
20/05/2025

“বৃষ্টি পড়ে, আর আমার মনের ভেতর তুমি হেঁটে যাও পায়ের শব্দ ফেলে…
জানো, তখন চারপাশ ভিজে না, ভিজে শুধু আমার ভালোবাসা।”

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Aruu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share