Ranna Recipes

  • Home
  • Ranna Recipes

Ranna Recipes Hello..Friends,welcome to my cooking page Ranna Recipes.please visite my You Tube Link- https://www.youtube.com/channel/UCpUhtttwPGp_zx5fZG1fHsw

03/07/2025

আশুরার রোজা কবে রাখতে হবে?

আশুরার রোজার ফজিলত জেনে নিন

"হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

ফরজ নামাজের পর (নফল নামাজের মধ্যে) শ্রেষ্ঠতম নামাজ হচ্ছে গভীর রাতের নামাজ, আর রমজান মাসের রোজার পর (নফল রোজাগুলোর মধ্যে) সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রোজা হচ্ছে মুহাররম মাসের রোজা।

[মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ২৮১৩]

আশুরার রোজা কবে রাখব?

সহীহ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল বারী-তে হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. লিখেছেন : আশুরার রোজা তিন স্তরের। সর্বনিম্ন স্তর হলো মুহাররমের ১০ তারিখ একদিন রোজা রাখা, এর উপরের স্তর দশ তারিখের আগে নয় তারিখেও রোজা রাখা, এর উপরের স্তর হলো নয়-দশ-এগার এ তিন দিন রোজা রাখা। [বাবু সিয়ামি ইয়াওমি আশুরা]

সে হিসাবে এ বছরের রোজার তারিখগুলো হচ্ছে:

৯ মুহাররম - ৫ জুলাই

১০ মুহাররম - ৬ জুলাই

১১ মুহাররম - ৭ জুলাই

সম্ভব হলে ৩ দিনই রাখি। যদি ২দিন রাখতে চাই তাহলে ৫ ও ৬ জুলাই কিংবা ৬ ও ৭ জুলাই রাখতে পারি। যারা ১ দিন হলেও রাখতে পারব তারা ৬ জুলাই আশুরার দিন রাখব ইনশাআল্লাহ।

আশুরার রোজার ফজিলত

আশুরার রোজা বিগত এক বছরের সগিরা গুনাহ মাফ করে দেয়।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসের ফরজ রোজা ছাড়া অন্য যেসব দিনে রোজা রাখতেন, সেসব রোজার কোনোটিকেই আশুরার রোজার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে তাঁকে আমি দেখি নি। [বুখারী শরীফ, হাদীস নং ২০০৬]

মক্কায় থাকাকালীন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশদের সাথে সাথে আশুরার রোজা রেখেছেন, তবে তিনি তখন কাউকে এ রোজা রাখতে আদেশ করেন নি। পরে যখন মদীনায় আসলেন, তখন নিজে রাখার পাশাপাশি অন্যদেরকেও রোজাটি রাখতে আদেশ করলেন।

বুখারী ও মুসলিম শরীফের কোনো কোনো হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী—রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রোজাটির উপর এতই জোর দিতেন যে, একবার তিনি আশুরার দিনে মদীনার ঘরে ঘরে সংবাদ পাঠালেন যে আজ সকাল থেকে কিছু খায় নি কিংবা পান করে নি, সে যেন আজকের রোজা রাখে, আর যদি কেউ কিছু খেয়েও থাকে, তবু যেন অবশিষ্ট সময়টুকু সে না খেয়েই কাটায়। এ থেকে কেউ কেউ বলেন, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্বে আশুরার রোজাই ফরজ ছিল। পরে যখন রমজান মাসের রোজাই ফরজ হয়ে গেল, তখন আশুরার রোজাটি ঐচ্ছিক হয়ে যায়—কেউ চাইলে রাখে, কেউ রাখে না।

তাই আসুন, আমরা প্রত্যেকেই আশুরার রোজাটি রাখি। পরিবারের ছোট সন্তানদেরকেও এই রোজাটি রাখতে উৎসাহিত করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন।

09/02/2025

চলুন একটু ইস্তেগফার পাঠ করি..

আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলাওয়ালা কুয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযিম

আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযিম

সুবহানাল্লাহ!
সুবহানাল্লাহ!
সুবহানাল্লাহ!
সুবহানাল্লাহ!

সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!

আস্তাগফিরুল্লাহ ইন্নালাহা গাফুরুর রাহিম!
আস্তাগফিরুল্লাহ ইন্নালাহা গাফুরুর রাহিম!
আস্তাগফিরুল্লাহ ইন্নালাহা গাফুরুর রাহিম!
রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়াতারহামনা লানা কুনান্না মিনাল খাসিরীন

রব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়াতারহামনা লানা কুনান্না মিনাল খাসিরীন

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম!
সুবহানআল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম সুবহনাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম!

ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু, বিরাহমাতিকা আস্তাগীস
ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু, বিরাহমাতিকা আস্তাগীস
ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু, বিরাহমাতিকা আস্তাগীস

হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'আমাল ওয়াকিল!
হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'আমাল ওয়াকিল!
হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'আমাল ওয়াকিল!!

রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাছানা ওয়া ফিল আখিরাতি হাছানা ওয়া কিনা আজাবান্নার

ইয়া আল্লাহ, ইয়া রহমানু, ইয়া রাহিমু, ইয়া জাব্বারু,ইয়া বাসিতু,ইয়া ওয়াদুদু,ইয়া যুল যালালি ওয়াল ইকরাম,ইয়া আরহামার রহিম।

পড়া শেষ হলে বলি আলহামদুলিল্লাহ 🌸

05/08/2024

খায়বার যুদ্ধে এক ব্যক্তি গণিমতের মাল থেকে কিছু একটা সরিয়ে রেখেছিল। পরে সে যখন মারা যায়, রাসূল সা. তার জানাযা পড়ালেন না। সাহাবীরা এতে খুব অবাক হলেন। কারণ, সেও তাদের মতো একজন মুজাহিদ ছিল।
নবিজি সা. তখন বলেন, "সে সম্পদ আত্মসাৎ করেছে।" সাহাবীরা তল্লাসি চালিয়ে দেখলো, আসলেই সে একটি রেশমি বস্ত্র আত্মসাৎ করেছিল। (তিরমিযী, মিশকাত, পৃ. ২৪২)
আরেক হাদীসে রাসূল (সা) সরাসরি বলেছেন, "নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে সম্পদ দখল করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নাম রয়েছে।" (বুখারী, মিশকাত হা/৩৯৯৫)।
অথচ আজকে আমরা অনেকেই বিজয়ের খুশিতে উল্লাসিত হতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করছি, লুট করছি। ভুলে যাচ্ছি রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করা কবিরা গুনাহ। এর ফলে কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, কেউ কেউ এই সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য অমুসলিমদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। এর ফলে ইসলাম এবং মুসলিমদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। অথচ হাদীসে এসেছে-
‘যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিম নাগরিককে (অন্যায়ভাবে) হত্যা করল, সে জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না, অথচ তার সুগন্ধ ৪০ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়।’ (বুখারী, হাদিস : ২৯৯৫)
বরং ঈমানের দাবী হচ্ছে, জনসাধারণের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। হাদীসে এসেছে, "যাকে মানুষ তাদের জান ও মালের জন্য নিরাপদ মনে করে সে-ই প্রকৃত মুমিন।" (তিরমিযী ২৬২৭)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বোঝার তাওফীক দিক এবং বিজয়ের আনন্দ প্রকাশের সঠিক পন্থা অবলম্বনের তাওফীক দিক।

Collected

05/06/2024
৮ জুন থেকে ১৭ জুন ইনশাআল্লাহ...এই ১০ দিন একটা মুহুর্তও অবহেলা করে কাটাবেন না। যার যা চাওয়ার চেয়ে নিন। ❤️🔴 জিলহজ্জ মাসের ...
05/06/2024

৮ জুন থেকে ১৭ জুন ইনশাআল্লাহ...এই ১০ দিন একটা মুহুর্তও অবহেলা করে কাটাবেন না। যার যা চাওয়ার চেয়ে নিন। ❤️

🔴 জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলঃ

১.অধিক পরিমাণে তাকবির পড়া।
২. ৯ দিন রোজা (না পারলে অন্তত শেষের ২ দিন)।
৩. আওয়াল ওয়াক্তে ৫ ওয়াক্ত নামাজ।
৪. প্রতিদিন কমপক্ষে ২ রাকাআত তাহাজ্জুদ।
৫. ইশরাক, চাশত, সালাতুদ দুহার নামাজ আদায় করা।
৬. সামর্থ্য অনুযায়ী গোপনে দান সাদাকা।
৭. যথাসম্ভব নফল নামাজ পড়া।
৮. কমপক্ষে ১ পারা কুরআন তেলাওয়াত।
৯.অনবরত জিকির ইস্তেগফার ,তাসবীহ ,তাহলীল,দুরুদ পড়া।
১০. অধিক পরিমাণে তওবা করা।
১১. অধিক পরিমাণে জিকির করা (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্,লা ইলাহা ইল্লালাহ, আল্লাহু আকবার, আস্তাগফিরুল্লহ, আল্লাহুম্মাগফিরলি, সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম)।
১২. সুরা বাকারার শেষ ২আয়াত পাঠ করা রাতে ঘুমানোর আগে।
১৩. সুন্নাহ অনুযায়ী সব কাজ করা।

__আলহামদুলিল্লাহ..!! ❤️

05/06/2024

৮ জুন থেকে ১৭ জুন
বেশি বেশি নফল আমল করা , এই ১০ দিন আপনাদের জন্য। একটা মুহুর্ত ও অবহেলা করে কাটাবেন না। যার যা চাওয়ার চেয়ে নিন।

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল
১.অধিক পরিমাণে তাকবির পড়া
২.৯ দিন রোজা (না পারলে অন্তত শেষের ২ দিন)
৩.আওয়াল ওয়াক্তে ৫ ওয়াক্ত নামাজ
৪.প্রতিদিন কমপক্ষে ২ রাকাআত তাহাজ্জুদ

৫.ইশরাক, চাশত, সালাতুদ দুহার নামাজ আদায় করা
৬.সামর্থ্য অনুযায়ী গোপনে দান সাদাকা
৭.যথাসম্ভব নফল নামাজ পড়া

৮.কমপক্ষে ১ পারা কুরআন তেলাওয়াত
৯.অনবরত জিকির ইস্তেগফার ,তাসবীহ ,তাহলীল, ১০.দুরুদ পড়া
১১. অধিক পরিমাণে তওবা করা
১২. অধিক পরিমাণে জিকির করা (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্,লা ইলাহা ইল্লালাহ, আল্লাহু আকবার, আস্তাগফিরুল্লহ, আল্লাহুম্মাগফিরলি, সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবেহানাল্লাহিল আজিম)
১৩. সুরা বাকারার শেষ ২আয়াত, সুরা মুলক পাঠ করা রাতে ঘুমানোর আগে
১৪, সুন্নাহ অনুযায়ী সব কাজ করা।
আল্লাহ্ তা' আলা আমাকে সহ আপনাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুক

আমিন🤲🤲

05/05/2024

আল্লাহ তায়ালা হচ্ছেন উত্তম পরিকল্পনাকারী,,তিনি বান্দার জন্য যে সিদ্ধান্ত নেন তা সবসময়ই উত্তম হয়,,অনেক সময় আমরা বান্দারা আল্লাহ থেকে যা চাই,তা আমাদের জন্য কল্যানময় হয়না,,কিন্তু তা বুঝার ক্ষমতা আমাদের নাই,,রব্ব কিন্তু ঠিকি জানেন,,তার বান্দা যে জিনিস টা প্রাপ্তির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, তা তার জন্য কষ্টদায়ক হবে,,তাই প্রায়ই দেখা যায়,, আমরা যা চাই,,আল্লাহ তা না দিয়ে,, অন্য কিছু দেন,,,

ঠিক তখন আমরা অনেকেই হতাশ হই,,ভাবি কেন যা চাইলাম তা পাইনি,,এখানেই শুরু হয়, রাব্বুল আলামিনের ফায়সালার বিরোধীতা,, উত্তম মুমিন কখনোই রব্বের ফায়সালায় অসন্তুষ্ট হয়না।।

তারা সব ক্ষেত্রে শুধু আলহামদুলিল্লাহ বলেই যায়।।

রব্ব যখন দেখেন,,তার বান্দা তার রব্বের ফায়সালায় খুশি,,যদিও তার বান্দা উক্ত জিনিস টা আশা করেনি,সে অন্যকিছু চেয়েছিল,,ঠিক তখন রব্ব তার বান্দার তাওয়াক্কুল দেখে খুশি হয়ে যান।।

রব্ব এর খুশি থেকে বড় সুসংবাদ একজনের মুমিনের জন্য আর কি বা হতে পারে?

তাই সবসময় রব্বের ফায়সালাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে,,কারন তিনি জানেন আমাদের জন্য কোনটা উত্তম আর কোনটা অনুত্তম❤️

30/04/2024

মোট ১১ টা আমল দেয়া আছে। প্রথম ৪ টা কোনমতেই বাদ দিবেন না।
১। আয়াতুল কুরসী – প্রতি ফরজ নামাযের পরই একবার করে পড়বেন
অবশ্যই অবশ্যই। আর রাতে ঘুমানোর আগে একবার।

২। সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়া – রাতে ঘুমানোর আগে ১ বার (বিঃ দ্রঃ
অনেকে মুখস্ত করেন নি। দ্রুত করে নিবেন। লিখে দিচ্ছি, বাংলা
উচ্চারণে। আরবী ফন্ট অনেকের কাজ করেনা।

"আ-মানার-রাসুলু বিমা- উনজিলা ইলাইহি মির রাব্বিহি ওয়াল মু’মিনুন। কুল্লুন আমানা
বিল্লাহি ওয়া মালা-ইকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি, লা নুফার-রিকু বাইনা আহা’দিম-মির
রুসুলিহ। ওয়া 'ক্বলু সামি’না, ওয়া আতা’ না, গুফরা নাকা, রব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসির।
লা~ ইউ কাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উস-আ’হা। লাহা মা কাসাবাত ওয়া আ’লাইহা মাক
তাসাবাত। রব্বানা লা~ তু আখিজনা- ইন্ নাসিনা- আও আখত্বা’না। রাব্বানা ওয়ালা তাহ’মিল
আ’লাইনা ইসরান কামা হা’মালতাহু আ’লাল্লাজিনা মিন ক্ববলিনা। রব্বানা ওয়ালা তুহা’ম্মিল
না মা-লা~ ত্ব কতালানা বিহ। ওয়া আ’ফু আ’ন্না, ওয়াগ ফিরলানা, ওয়ার হা’মনা। আনতা
মাওলানা, ফানসুরনা আ’লাল ক্বওমিল কা-ফিরিন"

(এটার ফযিলত তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সমতুল্য!!! আর কি চাই বলুন! এত মর্যাদাপূর্ণ
ইবাদাত, না করতে পারলেও করার সমান সওয়াব হয়ে যাবে এটা পড়লেই!!
সুবহান আল্লাহ্। কতই না বরকতময় এই দুই আয়াত! )

৩। সুরা ইখলাস পাঠ করা – ১০ বার, না পারলে ৩ বার। ( প্রতি ৩ বার পড়লে
একবার কুরআন খতমের সওয়াব হয় ইন শা আল্লাহ)

৪। দশবার দরুদ
শুধু "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" পড়লেও হয়ে যাবে। (একবার দরুদ
পড়লে দশবার আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়, রাসূল ﷺ খুশি হন; বিচার দিবসে তাঁর
শাফায়াত পাওয়া সহজ হবে ইন শা আল্লাহ)

সাথে রাসূল (স) এর ঘুমানোর দুয়া "আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আমূতু ওয়া আহইয়া"
পড়ে নেয়া। ডান কাধ হয়ে শোয়া।

২,,
৫। ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ, ৩৩ বার আলহা’মদুলিল্লাহ ,৩৪ বার আল্লাহু আকবার
পড়া

৬। দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক সূরা নাস পড়ে
তাতে ফুঁ দিবেন: তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতটা অংশ সম্ভব
মাসেহ করবেন। মাসেহ আরম্ভ করবে মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের
সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার।)

৩,,
৬। ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি
যে ব্যাক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী’
পড়বে।তার গোনাহ মাফ হইয়া যাইবে,যদিও তা সাগরের ফেনা থেকেও
বেশী হয়’। (বুখারী ও মুসলিম)

৭।
প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুন (আশ্হাদু আন লা-~ইলাহা
ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা~ শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া
রাসূলুহূ) ।
এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে
পারবেন। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৩৪।

৪,,
৮। ঘুমাচ্ছেন, ঘুম যখন ভেঙ্গে যাবে---- তখন এইটা পড়ে নিবেন--
« ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ
ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛﺒَﺮُ، ﻭَﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲِّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ‏» ‏« ﺭَﺏِّ
ﺍﻏْﻔﺮْ ﻟِﻲ ».
লা~ ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া
হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর। সুবহা-নাল্লাহি, ওয়ালহামদুলিল্লাহি, ওয়া লা~ ইলা-হা
ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হিল
‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগফির লী
অর্থ- “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো
শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর
ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র। আল্লাহ ছাড়া
কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সুউচ্চ সুমহান
আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং
(সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব্ব ! আমাকে ক্ষমা
করুন”।

উবাদা ইবনু সামিত (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ ( ﷺ ) বলেছে‘ন, “যদি কারো
রাত্রে ঘুম ভেঙ্গে যায় অতঃপর সে উপরের যিকিরের বাক্যগুলো পাঠ
করে এবং এরপর সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় অথবা কোনো প্রকার
দু‘আ করে বা কিছু চায় তবে তার দু‘আ কবুল করা হবে। আর যদি সে এরপর
উঠে ওযু করে (তাহাজ্জুদের) সালাত আদায় করে তাহলে তার সালাত কবুল
করা হবে।”
(সহীহ বুখারী, ১/৩৮৭, নং ১১০৩)
৯। প্রত্যেক সকাল ও সন্ধ্যায় সাইয়িদুল ইস্তিগফার পড়া। ক্ষমার শ্রেষ্ঠ দুয়া।
~~~~~
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ
করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে
মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’।
ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻰْ ﻵ ﺇِﻟﻪَ ﺇﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻰْ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ، ﺃَﻋُﻮْﺫُﺑِﻚَ
ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ، ﺃﺑُﻮْﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻭَﺃَﺑُﻮْﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻰْ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْﻟِﻰْ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻻَﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮْﺏَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ -
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রববী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খলাক্বতানী, ওয়া
আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন
শাররি মা সানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বি যাম্বী ফাগফিরলী
ফা ইন্নাহূ লা~ ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।
১০। সূরা মুলক (কবরের আযাব থেকে রক্ষা করে)১১, তাহাজ্জুত সালাত। ( এসময় খুব বেশি দোয়া কবুল হয়)

আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে
সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং মন্দ কাজ করতে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম।

- (সুরা ইমরান ৩:১০৪ )

30/03/2024

বিসমিল্লাহীর রহমানির রহীম
যা করবো ৮৩ বছর দিয়ে গুন হবে! সুবহানঅাল্লাহ!❤
১.ফরজ সালাহ অনেক মনোযোগ সহকারে, যত্ন নিয়ে পড়া।

২.তিনবার সুরা ইখলাস =১বার কুরআন খতমের সওয়াব!যা গুন হবে ৮৩ বছর দিয়ে মানে ৮৩ বছর ধরে আমি একবার করে কুরআন খতম দিচ্ছি!

৩.দশবার সুরা ইখলাস =জান্নাতে ১ টি বাড়ি নিরমান হবে!×৮৩ বছর!

৪.শুকুরানার সিজদা (দীর্ঘ করে)=আল্লাহর শোকরগোজারী বান্দার অন্তর্ভুক্ত ×৮৩ বছর!

৫.আল্লাহর ৯৯ নাম পড়তে পারি =৮৩ বছর ধরে পড়ছি!

৬.সুরা মুলক= ৮৩ বছর ধরে কবরের ফিতনা থেকে বাচার চেষ্টা!

৭.সুরা কাহাফ(১ম ১০ আয়াত) =৮৩ বছর ধরে দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাচার চেষ্টা!

৮.সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত=ঐ রাতের জন্য যথেষ্ট আমল!

৯.মিনিমাম ১ টা কুরআনের আয়াত মুখস্থ /হিফয করা=৮৩ বছর ধরে হিফয করার চেষ্টার সওয়াব!

১০.মিনিমাম ১ টা হাদিস পড়া=৮৩ বছর ধরে হাদিস পড়ার (তালিবে ইলম) সওয়াব!

১১.সাদাকা করা= ৮৩ বছর ধরে করছি!

১২.দুই রাকাত তওবার সালাহ=৮৩ বছর ধরে তওবা করছি!

১৩.যিকির করা=৮৩ বছর ধরে করছি! (বিশেষ করে-কালেমা,দুরুদ,ইস্তেগফার,সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার, সুবহানঅাল্লাহ,অালহামদুলিল্লাহ,আল্লাহুঅাকবার)

১৪.কদরের দুয়া শুদ্ধভাবে পড়ব=৮৩ বছর ধরে পড়ছি!

১৫.সুরা বাকারার ১২৭ নং দুয়াটা পড়তে পারি,ইবাদতে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে আল্লাহ মাফ করবেন ইনশাআল্লাহ! (ইব্রাহিম (অাঃ) কাবাঘর যখন পুনঃস্থাপন করেন তখন এই দুয়া পড়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন) Dua of acceptance!
❤️প্রার্থনা কবুলের দোয়া :

‎ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
‎وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
রাব্বানা- তাকাব্বাল্ মিন্না--- ইন্নাকা আন্তাস্ সামী-‘উল ‘আলী---ম্। ওয়াতুব্ ‘আলাইনা--- ইন্নাকা আন্তাত্ তাওওয়া-বুর্ রাহি---ম্। হে আমাদের রব! আমাদের থেকে আপনি কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী। দয়ালু।[২:১২৭-১২৮]

১৬.মজলিস/বৈঠক শেষের দুয়াটা পড়তে পারি(রাসুল সাঃ সালাহ, কুরআন / যেকোনো আমলের শেষে কাফফারা হিসেবে এ দুয়াটা পড়তেন!)
হিসনুল মুসলিম এপ্স এ পাবেন ৮৫ নং দুয়া।
বৈঠকের কাফ্‌ফারা (ক্ষতিপূরণ)

‎196- «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ».
(সুব্‌হা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা)।
১৯৬- “হে আল্লাহ! আমি আপনার প্রশংসা সহকারে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া হক্ব কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার নিকট তওবা করি।”[হাদীসটি সুনান গ্রন্থকারগণ সবাই সংকলন করেছেন। আবু দাঊদ, নং ৪৮৫৮; তিরমিযী, নং ৩৪৩৩; নাসাঈ, নং ১৩৪৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫৩। তাছাড়া এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই কোনো মজলিসে বসেছেন, অথবা কুরআন তেলাওয়াত করেছেন, অথবা সালাত আদায় করেছেন, তখনই একে কিছু বাক্যের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছেন। …। হাদীসটি নাসাঈ তাঁর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ গ্রন্থে নং ৩০৮ এ বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে আহমাদ, ৬/৭৭, নং ২৪৪৮৬। আর ড. ফারূক হাম্মাদাহ, ইমাম নাসাঈ এর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ গ্রন্থের তাহকীকের সময় এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। পৃ. ২৭৩।

ইয়া যুলফাদ্বলিল আযীম!
আমাদের সকলকে কবুলযোগ্যভাবে শেষ ১০ দিন অন্তরের তৃপ্তি মিটায়, ইবাদাতের স্বাদ নিয়ে নিয়ে আমল করার তৌফিক দিন।এমন স্বাদ এই অন্তরে বাকি দিনগুলোতে দিন, যাতে করে রামাদানের চলে যাওয়া দিন,সময় ও মুহূর্তগুলার জন্য আর এতটুকুও আফসোস না হয়!

ইয়া আরহামুর রহিমীন!এই রামাদানে কদর রাত আমাদের কবুলযোগ্যভাবে পাওয়ায় দিন,সেই রাতে পৃথিবীতে যতটুকু কল্যাণ আপনি নাযিল করবেন তার সবটুকু আমাদের পাওয়ায় দিন,স্বাদ নিয়ে যেন জীবনের সর্বোওম ইবাদাত যা আপনার অনেক পছন্দ হবে,করতে করতে যেন সেই রাত অতিবাহিত করতে পারি সেই তৌফিক দিন আপনার অনুগ্রহে। আমীন❤

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মা আয়েশা রা. কে শিখিয়েছিলেন।
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দুয়াটি পাঠ করব? তিনি বললেন, তুমি বল:
‎اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারীম তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী।
“হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করা পছন্দ করেন। অত:এব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।”
(তিরমিযী, অনুচ্ছেদ, কোন দুয়াটি শ্রেষ্ঠ। তিনি বলেন: হাদিসটি হাসান, সহীহ, শাইখ আলবানী রহ. এ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। দ্র: সহীহুত তিরমিযী, হা/৩৫১৩)।
মুসনাদে আহমাদে كريمٌ ”কারীমুন” শব্দ ছাড়া বর্ণিত হয়েছে। উভয়টি সহীহ।সংগৃহীত

02/03/2024

এক ব্যক্তি ইব্রাহীম বিন আদহাম রহ. কে বললেন, তিনি রাতে তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতে পারেন না। তিনি তাহাজ্জুদ পড়তে চান।
====================================================
ইব্রাহীম বললেন, তুমি দিনে গুনাহ করো তাই রাতে তাহাজ্জুদ পড়তে পারো না। রাতে তাহাজ্জুদে দাঁড়ানো মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি সম্মান যা গুনাহগারদের দেয়া হয় না।
বিখ্যাত তাবেঈন সুফিয়ান আস সাওরি রহ. বলেন, তিনি একবার টানা ৫ মাস তাহাজ্জুদ পড়তে পারেননি। কারণ তিনি বলেছেন তিনি গুনাহ করেছেন! সুবহানাল্লাহ!
অথচ সুফিয়ান আস সাওরি রহ. ছিলেন উনার যুগের একজন শ্রেষ্ঠ বুযুর্গ!
এক ব্যক্তি হাসান আল বসরি রহ. এর কাছে এসে বলল, আমার ভাল ঘুম হয়, ভাল বিশ্রাম হয়, আমার কোন অসুস্থতা নেই। কিন্তু এতো প্রস্তুতির পরও আমি শেষ রাতে ক্বিয়ামের জন্য দাঁড়াতে পারি না।
হাসান রহ. বললেন, তোমার গুনাহ তোমাকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে। তোমার দিনের গুনাহ তোমাকে রাতের ক্বিয়াম থেকে বিরত রাখে। দিনের গুনাহর ফলে একজন মুসলিম রাতের ক্বিয়ামের সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়।
আবু জাফর রহ. বলেন, আমি আহমাদ ইবন ইয়াহিয়ার রহ. কাছে গেলাম এবং দেখলাম তিনি কাঁদছেন। আমি কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলাম।
আহমাদ বললেন, আমি তাহাজ্জুদ মিস করেছি।
আবু জাফর বললেন, ঠিক আছে। আল্লাহ্ আপনাকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছেন। আবু জাফর বললেন, আমি যতই উনাকে সান্ত্বনা দিতে লাগলাম তিনি ততই কাঁদতে লাগলেন।
আহমাদ বললেন, এটি আমার গুনাহের কারণেই হয়েছে।
ক্বিয়াম হল আল্লাহর আহবানে সাড়া দেয়া।
আল্লাহর ডাকে আমরা কীভাবে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারি?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সবাইকে তাহাজ্জুদ গুজার তাওফিক দান করুন।
"শাইখ আহমাদ মুসা জিব্রিল হাফিযাহুল্লাহ-এর লেকচার থেকে অনূদিত"
Collected

31/12/2023

'জান্নাতীদের কেউ কেউ জাহান্নামীদের দেখে বিস্ময় প্রকাশ করবে। বলবে, আরেহ, আপনারা জাহান্নামে গেলেন কী করে? অথচ আমরা আপনাদের কাছ থেকেই আদব কায়দা শিখেছিলাম, দ্বীনের জ্ঞান পেয়েছিলাম। এগুলোর বরকতেই তো আমরা জান্নাত পেয়েছি। কিন্তু আপনাদের এই অবস্থা কেন?'' তখন উত্তরে তারা বলবে, 'আমরা আমলের কথা বলতাম ঠিকই, কিন্তু নিজেরা করতাম না।'

— ইমাম শাবী (রহ.)
[মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবাহ, ১৩/৪]

OHEE - ওহী

25/06/2023

#পিরিয়ড ও নিফাস অবস্থায় নিষিদ্ধ ও করণীয় আমল -
পিরিয়ড অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবেনা, এবং তিলাওয়াতের নিয়তে ছোট এক আয়াতও পড়া যাবেনা। এব্যাপারে হাদীসে আছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১)

অনেকেই মনে করেন কুরআন দেখে পড়া না গেলেও ওজীফার বই ও মোবাইল ফোন থেকে কুরআন পড়া যাবে, এটি ভুল ধারণা। এসময় কুরআন তিলাওয়াতই নিষিদ্ধ। চাই কুরআন দেখে পড়েন বা মোবাইল, কম্পিউটার জাতীয় অন্য কোনো ডিভাইস থেকে। এমনকি মুখস্থ সূরা বা কোনো আয়াতও তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য পড়া যাবেনা। তবে কুরআন শিখার উদ্দেশ্যে, বাচ্চাদের শিখানোর জন্য ও মুখস্থ জন্য স্পর্শ ব্যাতিত অল্প অল্প করে ভেঙ্গে শব্দ উচ্চারণ করে পড়তে পারবেন। কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পারবেন।

কুরআন পড়া নিষেধ হলেও কুরআনের যে সমস্ত আয়াত দোয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয় সে আয়াত গুলো দোয়ার জন্য পড়া যাবে। যেমনঃ রব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ইত্যাদি ইত্যাদি।
বিপদ আপদ বা বালা মুসিবত হতে মুক্তির জন্যে কুরআনে যে সমস্ত আয়াত রয়েছে, নিজেদের রক্ষার্থে মহিলারা এঅবস্থায় সেগুলোও পড়তে পারবে। যেমনঃ তিন কুল (সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস), আয়াতুল কুরসী, দোয়া ইউনুস ইত্যাদি। কিন্তু সুরা কাফিরুন পড়া যাবে না।
অনেকেই মনে করেন এসময় হাদীস বা অন্যান্য আরবী লিখিত বই, ইসলামিক বই পড়া ও স্পর্শ করা যাবেনা। অন্যান্য ভাষার মত আরবী একটি ভাষা। অতএব কুরআনের আয়াত ছাড়া আরবী ভাষায় লিখা অন্য যেকোনো কিছুই পড়া ও স্পর্শ করা যাবে। নিষিদ্ধতা কেবল কুরআন তিলাওয়াত ও স্পর্শের ক্ষেত্রে।

পিরিয়ড হলে অনেক মহিলারাই কোনো ইবাদত বন্দেগী করতে পারবেন না মনে করে হীনমন্যতায় ভুগেন। পিরিয়ড মহিলাদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক উপকারী রীতি তাই পিরিয়ড হলে অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। এসময় যেহেতু নামাজ ও তিলাওয়াত করার সুযোগ হচ্ছেনা সেহেতু বেশি পরিমাণে দোয়া দুরুদ, যিকির ও ইস্তেগফার বাড়িয়ে দিবেন। কেননা সূরা আনকাবুতের ৪৫ নাম্বার আয়াতে যিকিরকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে।
এছাড়াও, আল্লাহর অধিক যিকিরকারী পুরুষ ও যিকিরকারী নারীর জন্য আল্লাহ প্রস্ত্তত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। (সূরা আহযাব : ৩৫)
পিরিয়ডের গ্যাপের কারণে নামাজ শুরু হলে অনেকের নামাজের প্রতি গাফলতি চলে আসে, নামাজ পড়তে ইচ্ছে করেনা। বা পড়লেও অনেক হেলে দুলে কোনো রকমে নামাজ শেষ করে। এই অনীহা দূর করতে এবং নামাজের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে প্রতি ওয়াক্তে নামাজের সময়টাতে জায়নামাজে বসে তাসবীহ, দোয়া দুরুদ ও যিকির করতে পারন। এতে করে ইনশাআল্লাহ সুস্থ হওয়ার পর অনীহা ভাবটা আসবেনা।

✍️Sadia Samha
(দাওরায়ে হাদীস)

#এডমিন

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ranna Recipes posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share