ㅤ ㅤ ♡︎ 𝐐𝐮𝐫𝐚𝐧 𝐑𝐞𝐚𝐜𝐭𝐢𝐨𝐧 ♡︎
𑁍 𝐇𝐚𝐝𝐢𝐭𝐡 | 𝐈𝐬𝐥𝐚𝐦𝐢𝐜 𝐑𝐞𝐦𝐢𝐧𝐝𝐞𝐫 𑁍
I Want To Spread The Glorious Messages Of The Quran At All Levels With The Aim Of Liberating Humanity ♡︎ গনতন্ত্র (প্রজাতন্ত্র) রাজতন্ত্র সমাজতন্ত্রে নই আমি খেলাফতে বিশ্বাসী।
আল্লাহ ছাড়া আইন বিধান দেয়ার অধিকার কারো নেই !!
তাগুত হচ্ছে আল্লাহকে বাদ দিয়ে আল্লাহর বিপরীতে যাদের আনুগত্য করা হয়। যেমনঃ মানুষ সাধারণত রাজা, বাদশা, নেতা, শাসক, বিচারক,
এমপি, মন্ত্রী, আলেম-উলামা, পুরোহিত ইত্যাদির আনুগত্য করে থাকে। সেটা হতে পারে তাদের সরাসরি আদেশ মান্য করার মাধ্যমে কিংবা তাদের দেয়া আইন বিধান অনুযায়ী বিচার ফয়সালা করার মাধ্যমে। কিন্তু আল্লাহ ছাড়া কি আইন বিধান দেয়ার অধিকার অন্য কারো আছে?
আসুন আমরা দেখি আইন তৈরি করা কার এখতিয়ারে পড়ে আর আইনের সংজ্ঞাই বা কি?
সার্বভৌমত্ব মানেই হচ্ছে সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী, আইন রচনার সর্বোচ্চ শক্তি। আইনের সার্বজনীন সংজ্ঞা হল “Law is the will of the sovereign” “সার্বভৌম সত্তার ইচ্ছাই আইন”। সুতরাং পুরো সৃষ্টি জগতের সার্বভৌমত্বের মালিক যিনি, আইন বিধান দেয়ার অধিকার কেবল তাঁরই। চলুন আমরা পবিত্র কুরআন থেকে জেনে নেই, আসমান ও যমীনের সার্বভৌমত্বের মালিক কে?
এ ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেনঃ “আর মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌম কর্তৃত্ব আল্লাহরই আর আল্লাহর প্রতিই হচ্ছে প্রত্যাবর্তন স্থল”। [সূরা আন নূর, আয়াত ৪২]
“বলো, সুপারিশ সর্বতোভাবে আল্লাহরই জন্যে। মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব তাঁরই”। [সূরা যুমার, আয়াত ৪৪-৪৫]
“আর আল্লাহর জন্যই হল আসমান ও যমীনের সার্বভৌমত্ব। আল্লাহই সর্ব বিষয়ে ক্ষমতার অধিকারী”। [সূরা ইমরান, আয়াত ১৮৯]
“তুমি কি জান না যে, আল্লাহর নিমিত্তেই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সার্বভৌমত্ব। তিনি যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান”। [সূরা মায়েদা, আয়াত ৪০]
উপরোক্ত আয়াতের মত আরো বহু আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদেরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন যে, সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ। তিনিই সকল ক্ষমতার উৎস এবং সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী। আর এই সার্বভৌমত্বে আল্লাহর কোন শরীক নেই।
আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “বলুন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি না কোন সন্তান রাখেন, না তাঁর সার্বভৌমত্বে কোন শরীক আছে”। [সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত ১১১]
“তিনিই (আল্লাহ) মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব তাঁরই আর তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি আর সেই সার্বভৌমত্বে তাঁর কোন শরিকও নেই”। [সূরা ফুরক্বান, আয়াত ২]
যেহেতু সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ এবং যেহেতু এক্ষেত্রে তাঁর কোন শরীক নেই সেহেতু হুকুম বা আইন বিধান দেয়ার অধিকারও একমাত্র আল্লাহর। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “বিধান দেবার অধিকার শুধু আল্লাহর। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া আর কারোর উপাসনা করবে না”। [সূরা ইউসুফ, আয়াত ৪০]
“বিধান দেবার অধিকার শুধু আল্লাহর। তিনি সত্য বর্ণনা করেন আর মীমাংসাকারীদের মধ্যে তিনিই শ্রেষ্ঠ”। [সূরা আনআম, আয়াত ৫৭]
“বিধান তাঁরই ক্ষমতাধীন এবং তোমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে”। [সূরা ক্বাসাস, আয়াত ৭০]
সুতরাং হুকুম বা আইন বিধান দেয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহর এবং এক্ষেত্রে আল্লাহর কোন শরীক নেই। তার প্রমাণ নিম্নোক্ত আয়াতঃ “তিনি নিজ হুকুমে বা কর্তৃত্বে (সৃষ্টিজগতের জন্য আইন বিধান তৈরির ক্ষেত্রে) কাউকে শরীক করেন না”। [সূরা কাহাফ, আয়াত ২৬]
আল্লাহ ছাড়া এই অধিকার কিভাবে অন্য কারোর থাকতে পারে যেখানে আল্লাহই হলেন সমগ্র বিশ্বজাহানের সৃষ্টিকর্তা? আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। আল্লাহ বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক”। [সূরা আ’রাফ, আয়াত ৫৪]
এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা আমাদের সামনে যুক্তি উপস্থাপন করছেন যে, বিধান দেয়ার বিষয়টা সৃষ্টি করার সাথে সম্পর্কিত। সৃষ্টিজগতের জন্য বিধান দেয়ার ব্যাপারটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাকেই মানায়। কারণ সৃষ্টিজগত সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান কেবলমাত্র স্রষ্টার নিকটেই রয়েছে। সৃষ্টিজগতের জন্য কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ সেটা তিনিই সবচেয়ে ভাল জানেন। এজন্য আল্লাহ আমাদের জন্য যে দ্বীন বা বিধি-বিধান (ইসলামী শরীয়াহ) নির্ধারণ করেছেন সেটাই আমাদের জন্য সর্বোত্তম এবং পূর্ণাঙ্গ। কেবলমাত্র ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সমাজে ন্যায়বিচার এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
অপরদিকে একে তো কোন মানুষের আইন ও বিধি-বিধান তৈরী করার কোন অধিকার নেই। যদি কেউ এটা করে তবে সে নিজেকে আল্লাহর আসনে বসাবে এবং তার এই আইন মানার মাধ্যমে তারই ইবাদত করা হবে। আর সেটা হবে আল্লাহ তা’আলার সাথে সুস্পষ্ট শিরক। অন্যদিকে মানবসৃষ্ট যে কোন বিধানই অপূর্ণাঙ্গ এবং ত্রুটিযুক্ত। এর দ্বারা সমাজে ন্যায়বিচার ও শান্তির পরিবর্তে যুলুম, অন্যায়-অবিচার ও বিশৃঙ্খলাই তৈরী হবে। পৃথিবীতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে জীবনযাপন এবং পরকালে আল্লাহর প্রতিশ্রুত জান্নাত পেতে হলে ইসলামী শরীয়াহর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
“ফা ইন্না মা’আল ‘উসরি ইউসরান, ইন্না মা’আল ‘উসরি ইউসরা”
“হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল, নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান-নাসির।”