Adbhut Ajana -অদ্ভুত অজানা

Adbhut Ajana -অদ্ভুত অজানা Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Adbhut Ajana -অদ্ভুত অজানা, Digital creator, Dubai.

গল্প পড়ুন, গল্প পাঠান, কারন আপনার পাঠানো গল্পই আমাদের অনুপ্রেরণা। আর ফলো করে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ
For Ads & paid promotion🧿
Please Inbox message or
Contact: [email protected]

আচ্ছা বলেন তো হাজবেন্ড এর সাথে মাসে কতবার ফি*জি*ক্যা*ল সম্পর্ক হওয়া স্বাভাবিক?  আমি বিয়ের ৯ মাসের মাথায় প্রেগনেন্ট হই। এ...
25/09/2025

আচ্ছা বলেন তো হাজবেন্ড এর সাথে মাসে কতবার ফি*জি*ক্যা*ল সম্পর্ক হওয়া স্বাভাবিক? আমি বিয়ের ৯ মাসের মাথায় প্রেগনেন্ট হই। এই ৯ মাস সবকিছু স্বাভাবিকই ছিলো তারপর প্রেগনেন্ট অবস্থায় যা হয় সাবধানে থাকতে হয় সে এতোই সাবধান যে বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত সে শা*রিরীক সম্পর্ক করেনি।
যাক সেই কথা এখন বাদ। এখন আলহামদুলিল্লাহ বাবুর বয়স ২ বছর।এখন প্রতিরাতে একসাথে থাকি অথচ সে সারাক্ষন ফোনে ভিডিও দেখে, খবর শোনে, নাটক দেখে তারপর ঘুমায়। আর মন চাইলে ৭দিন ১০ দিন পর কাছে আসে। এটা কি স্বাভাবিক ?
আমার অনেক ইচ্ছা হয় কিন্তু বলতে পারিনা লজ্জা লাগে। তার শারিরীক সমস্যা নাই আবার অন্য কারো সাথে যে সম্পর্ক আছে তেমনও না। তাহলে কেন এই অনিহা!?
অবশ্য সে নরমালি অনেক অলস। আমি দিন দিন হতাস হয়ে যাচ্ছি। কেবল আমার বয়স ২৬ বছর এখনই একসাথে থেকে এটা মেনে নিতে কষ্ট হয়। আমার মনে হয় দুনিয়া থেকে যদি স্মার্ট ফোন উঠে যেত তাহলে হয়তো স্বামী স্ত্রী একটু নিজেদের সময় দিতো।
এমতাবস্থায় আমার করনীয় কি, কিভাবে আমি আমার অধিকার আদায় করে নিতে পারি?

#সংগৃহীত

একটি সাদা থান পড়া ছোট্ট ৬/৭ বছরের মেয়ে দৌড়ে এসে বাবাকে বলছে........."বাবা বাবা,  মা কে বলোনা, আমার খুব খিদে পেয়েছে। দাদা...
25/09/2025

একটি সাদা থান পড়া ছোট্ট ৬/৭ বছরের মেয়ে দৌড়ে এসে বাবাকে বলছে.........
"বাবা বাবা, মা কে বলোনা, আমার খুব খিদে পেয়েছে। দাদারা লুচি খাচ্ছে, আর আমি চাইলেই মা বলছে, 'ছিঃ আজ একাদশী না।খাবার কথা বলতে নেই মা।' কিন্তু বাবা,আমি সকাল থেকে কিচ্ছু খাইনি। একটু জল পর্যন্ত না। তুমি, মা, দাদারা কেউ একাদশী করোনা। আমায় কেন করতে হবে! আমার বুঝি খিদে পায়না?"

সালটা ১৮৫৩। হুগলী বর্ধমান সীমান্ত অঞ্চলে দশঘরার কাছে এক অভিজাত বাড়ি।বেলা ১১টা হবে। ঘরের মধ্যে আয়োজন করা হয়েছে এক আলোচনা সভার। পাড়ার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত, রয়েছেন গৃহকর্তা স্বয়ং। জলখাবারের লুচি ছোলার ডাল নানা মিষ্টি পরিবেশিত হচ্ছে। সুখাদ্যের সুঘ্রানে ঘর মাতোয়ারা। আহার সমাপনে হবে আলোচনা। বিষয়বস্তু একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা যাতে মেয়েদের জন্যও শিক্ষার সুযোগ থাকবে। গৃহকর্তা উদার মানসিকতা সম্পন্ন। তিনি খুবই উদ্যোগী এই ব্যাপারে। কিন্তু গ্রামের মানুষেরা মেয়েদের বাইরে আসতে দিতে নারাজ। তাই আজ তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে আমন্ত্রন জানিয়ে এনেছেন মানুষকে বোঝানোর জন্য। চলছে তারই প্রস্তুতি।

এমন সময় একটি সাদা থান পড়া ছোট্ট ৬/৭ বছরের মেয়ে দৌড়ে এলো ঘরে।

"বাবা বাবা, মা কে বলোনা, আমার খুব খিদে পেয়েছে। দাদারা লুচি খাচ্ছে, আর আমি চাইলেই মা বলছে, 'ছিঃ আজ একাদশী না।খাবার কথা বলতে নেই মা।' কিন্তু বাবা,আমি সকাল থেকে কিচ্ছু খাইনি। একটু জল পর্যন্ত না। তুমি, মা, দাদারা কেউ একাদশী করোনা। আমায় কেন করতে হবে! আমার বুঝি খিদে পায়না?"

সকলের সামনে লজ্জায়, আর মেয়ের প্রতি মায়ায় করুন হয়ে ওঠে জমিদার বাবুর মুখ। আস্তে করে বলেন,

*"এখানে সভা চলছে মা, তুমি ঘরে যাও।"*

করুন দৃষ্টিতে সকলের পাতের দিকে তাকিয়ে বিফল মুখে ভেতরের ঘরে ঢুকে যায় একরত্তি অভাগা মেয়েটি। আর তার পরেই রূপোর থালা বাটিতে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্য সুখাদ্য সাজিয়ে ঘরে আসে বামুন ঠাকুর। বিদ্যাসাগর বলেন,

*"শরীরটা ঠিক নেই, আমি খাবোনা কিছু। নিয়ে যাও৷"*

বামুন ঠাকুর নিয়ে যান থালা ধরে। গৃহকর্তার অনুরোধ উপরোধেও দাঁতে কাটেন না কিচ্ছু।

শুরু হয় সভা। গ্রামের মানুষদের কাছে প্রথমেই তিনি তুলে ধরেন নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা। সমাজে নারীদের অবদানের কথা। ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে ধরেন পশুপালন, কৃষিকাজ সবকিছুরই সূত্রপাত নারীদের হাত ধরে, সেই অমুল্য তথ্য। এক এক করে বলে চলেন ইউরোপে কিভাবে শিক্ষিত নারীরা বিপ্লবে, সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে তার উদাহরন। জোরালো আপত্তি ওঠে গ্রামের মানুষগুলির কাছ থেকে।ইউরোপের কথা বাদ দিন, আমাদের ধর্মে সমাজে নারীদের বাইরে বেরনো, শিক্ষা নেওয়া পাপ। ব্রহ্মাস্ত্র ছাড়েন বিদ্যাসাগর। কালিদাস কার বরপুত্র?শিক্ষার জন্য আমরা কার কাছে প্রার্থনা করি? দেবী সরস্বতী, তিনি একজন নারী। এর পরেও বলবেন পাপ?তারপর বেদের পাতা থেকে তুলে আনেন অপালা, ঘোষা, গার্গী, লোপামুদ্রাদের। নারী শিক্ষা বিষয়ে শ্লোকগুলি বলতে থাকেন একের পর এক। তীক্ষ্ণ যুক্তি, উদাহরন আর বাগ্মীতার সামনে ভেঙে পড়ে সংস্কারের দেওয়াল। সকলে সম্মত হন নারী শিক্ষার বিষয়ে। বিদ্যাসাগর মহাশয় উপলব্ধি করেন, _ইউরোপ নয়, সংস্কার ভাঙতে হবে বেদ কে হাতিয়ার করেই।গৃহকর্তার মুখে তখন বিজয়ীর গৌরব।_

সকলে চলে যাবার পর গৃহকর্তা বলেন,

*"এবার আপনার ভোজনের ব্যবস্থা করি। একাদশী তাই অন্নের ব্যবস্থা নেই। এইবার লুচি খান কয়েকটা। শরীর আশাকরি সুস্থ হয়েছে।"*

বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন,

*"শরীর আমার সুস্থই আছে, ক্ষত আমার মনে। আমি নারীদের শিক্ষার জন্য ছুটছি, কিন্তু এই বিধবা নারীরা, তাদের দুঃখ, তাদের প্রতি এই ধর্মীয় অমানবিকতা -- এই দিকে সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলাম আমি। ছিঃ ছিঃ, ভাবতেই আমার গ্লানি হচ্ছে। রামমোহন রায় মহাশয় তাদের বাঁচিয়ে ছিলেন জ্বলন্ত চিতা থেকে। কিন্তু ওরা মরছে, রোজ জ্বলছে খিদেয়, অবহেলায়, অমানবিকতায়। আপনার কন্যা আজ চোখ খুলে দিয়েছে। আচ্ছা, আপনি পারেন না, মেয়ের পুনর্বিবাহ দিতে? ওর সামনে তো সারা জীবনটা পড়ে আছে। ও বাঁচুক নতুন করে। বিদেশে তো কতো হচ্ছে। আপনি শুরু করুন।"*

গম্ভীর হয়ে উঠলো গৃহকর্তার মুখ। তিনি বললেন,

*"প্রথমত সমাজ মানবে না। আমাদের প্রাচীন ধর্মেও এর কোন স্বীকৃতি নেই। তারপর হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টেও রি-মেরেজের কোন আইন নেই। তাই ওর কপাল নিয়েই ওকে এইভাবেই বাঁচতে হবে। আমি নিরুপায়।"*

বিদ্যাসাগর মহাশয় বললেন,

*"স্ত্রী শিক্ষার পাশাপাশি আমার নতুন লড়াই শুরু হোল। এদেশের ছোট ছোট অসহায় বিধবা কন্যাদের বাঁচানোর লড়াই। সমাজ এবং আইন দুটোই পরিবর্তন করবো। শপথ নিলাম আজ। আমায় বিদায় দিন।"*

জলগ্রহন না করে বেরিয়ে পরলেন তিনি।

শুরু হোল লড়াই, আক্ষরিক অর্থেই লড়াই। একদিকে কলেজে অধ্যাপনা,বই ছাপানোর কাজ, তাঁর গড়ে তোলা বিদ্যালয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ, সেগুলিকে তো আর বন্ধ হতে দেওয়া যায়না, তার সঙ্গে রাতের পর রাত জেগে বেদ উপনিষদ পুরান মনু সংহিতা ঘেঁটে চলা, কোথায় আছে নারীর পুনর্বিবাহের বিধান। সিন্ধুর থেকে মুক্তো তোলার মতোই কঠিন সে অনুসন্ধান। দিনের পর দিন,রাতের পর রাত।অবসরের সময় কই? এর সঙ্গে কলকাতার শিক্ষিত সমাজের স্বাক্ষর সংগ্রহ, সরকারের কাছে বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য পিটিশন জমা দেওয়া।

এদিকে শুরু হয়েছে নতুন বিপত্তি। কলকাতার রক্ষনশীল দল, পুরোহিত সমাজ বিধবা বিবাহের ঘোর বিপক্ষে। তারা কিছুতেই মেনে নেবেনা এই অনাচার। তারা পাল্টা আবেদন করেছে সরকারের কাছে, ধর্মবিরোধী এই আইন চালু হলে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে তারা। বিদ্যাসাগরের বাড়ির সামনে চলছে প্রতিবাদ ব্যঙ্গ বিদ্রুপের ঝড়। নারীদের প্রতি তাঁর সহানুভুতি নিয়ে অশ্লীল কটূক্তি। বাড়িতে যখন তখন পড়ছে ঢিল, ময়লা, আবর্জনা। একদিন বিদ্যাসাগরকে হামলার মুখেও পড়তে হয়েছে রাস্তায়। বঙ্কিমচন্দ্র বিষবৃক্ষ উপন্যাসে সূর্যমুখীকে দিয়ে বলালেন-

*"যে বিধবা বিবাহের ব্যবস্থা করে, সে যদি পণ্ডিত হয়, তবে মূর্খ কে!"*

এইসব কটাক্ষেও কিন্তু বিদ্যাসাগর অনড়। লড়াই তাঁর জীবনে। যিনি ওই দারিদ্র কাটিয়ে কলকাতায় ছাপাখানার ব্যবসা খুলতে পারেন, যিনি উত্তাল নদী সাঁতরে পার হতে পারেন দুর্যোগের রাত্রে, যিনি নিজ খরচে ২১টি বালিকা বিদ্যালয় চালানোর সাহস দেখান, যিনি স্পর্ধা রাখেন ব্রিটিশের সামনে জুতো পড়া পা তুলে ধরার, তার কাছে কোন বাধাই বাধা নয়। কিন্তু বড়লাটের দপ্তর বলেছে বেদ পুরানে কী কোন উদাহরন আছে পুনর্বিবাহের? না হলে আইন পাশ করা মুশকিল। রক্ষনশীলদের চটিয়ে কিছু করার ইচ্ছা নেই ডালহৌসির।

তাই রাতের পর রাত জেগে পুঁথি পত্র পড়ছেন তিনি। কম আলোয় চোখের সমস্যা হচ্ছে, ক্লান্তিতে অনিদ্রায় শরীর ভেঙে পড়ছে, হতাশা আসছে মনে। কিন্তু পরক্ষনেই চোখে ভাসছে ওই একরত্তি বিধবা মেয়েটির করুণ মুখখানি, সারা দেশের হাজার হাজার বিধবা নাবালিকার অসহনীয় জীবনের দীর্ঘশ্বাস শুনতে পাচ্ছেন তিনি। আবার শুরু হচ্ছে তাঁর অন্বেষণ। তারপর, তারপর পাওয়া গেলো সেই মুক্তো। পরাশর সংহিতার অমর সেই শ্লোক

*"নষ্টে মৃতে প্রবরজিতে ক্লীবে চ পতিতে পতৌ/ পচস্বাপতসু নারীনাং পতিরন্যো বিধয়তে।"(স্বামী মারা গেলে, সন্ন্যাস নিলে, নিখোঁজ হলে, সন্তানগ্রহনে অক্ষম হলে, অধার্মিক ও অত্যাচারী হলে পত্নী আবার বিবাহ করতে পারে।)*

তিনি ছুটলেন সরকারের দ্বারে। প্রমান করলেন বিধবা বিবাহ শাস্ত্রসম্মত। আর বাধা রইলো না কিছুই। ১৮৫৬ সালের ১৬ই মতান্তরে ২৬ শে জুলাই পাশ হোল বিধবা বিবাহ আইন। লক্ষ লক্ষ বাল্য বিধবা পেলো মুক্তির আশ্বাস। শুধু চালু করেই ক্ষান্ত থাকলেন না। নিজের পুত্রের বিধবার সাথে বিবাহ দিয়ে দেখিয়ে দিলেন সমাজকে। এখানেই তিনি অনন্যসাধারন। সিংহহৃদয় এর মধ্যে কুসুমকোমল অনুভুতির প্রকাশ। আমরা আজ বহু বছর পরেও যে সংস্কার কাটিয়ে উঠতে পারলাম না, তিনি সেই যুগে দাঁড়িয়ে করে দেখালেন তা।

তিনি চলে গেছেন সেই ১৮৯১ সালে। কিন্তু রয়ে গেছে তাঁর লড়াই, তাঁর আদর্শ, তাঁর অবদান। যে আদর্শ আলো দেখিয়েছে আপামর বাঙালিকে। যার হাত ধরে আমাদের অক্ষর চিনতে শেখা। সেই মহামানবকে জানাই শত প্রনাম।

"বেঁচে থাকো বিদ্যাসাগর চিরজীবী হয়ে।

এটা দেবারতি মুখোপাধ্যায় এর "ঈশ্বরের অন্তিম শ্বাস বই থেকে নেওয়া। "

#সংগৃহীত

সদ্য বিবাহিত যুবকটি ফরজ গোসলের জন্য হাম্মাম খানায় প্রবেশ করলেন!তাঁর কর্ণযুগল উৎকর্ণ হলো!বাড়ির সামনের অপ্রশস্ত রাস্তাটি ধ...
25/09/2025

সদ্য বিবাহিত যুবকটি ফরজ গোসলের জন্য হাম্মাম খানায় প্রবেশ করলেন!
তাঁর কর্ণযুগল উৎকর্ণ হলো!

বাড়ির সামনের অপ্রশস্ত রাস্তাটি ধরে কে যেন বিলাপ করে বলে যায়।

-ক্বুতিলা মুহাম্মাদুন!মুহাম্মাদ(সাঃ)নাই!
উহুদের যু /দ্ধে তিনি শহীদ হয়েছেন!

যুবক প্রস্তর মূর্তির মত কিছুক্ষন পানির পাত্র ধরে দাঁড়িয়ে রইলেন।
তাঁর র'ক্তে যেন আ'গুন ধরে গেল!মদিনার বিখ্যাত আউস গোত্রের যুবক তিনি!পিতা ইবনে আমর,মক্কার কাফেরদের বিশ্বস্ত বন্ধু এবং কাফের।

বদরের যু/দ্ধে শামিল হতে পারেন নি তিনি।ফাসিক পিতাকে হ*ত্যার জন্য রাসুল(সাঃ)এর অনুমতি চেয়েও পান নি।

মাত্র গতকাল বিকেলেই রাহমাতাল্লিল আ'লামীন স্বয়ং তাঁর বিবাহ পড়িয়েছেন!
নিজ হাতে উপস্থিত মেহমানদের মাঝে খেজুর বিলিয়েছেন।
এমন আনন্দের দিনে তিনি তার ছুটি মঞ্জুর করেছেন।উহুদের যু/দ্ধে তাঁকে যেতে হবে না বলে জিহাদ থেকে দায়মুক্তি দিয়েছেন।

যার জন্য এত কিছু তিনিই তো নাই।কি হবে আর এ জীবন রেখে!যে জমিনে রাসুল(সাঃ) নাই সে জমিনে বেঁচে থেকে এ মুখ তিনি কারে দেখাবেন?

ঝড়ের বেগে গৃহে প্রবেশ করলেন যুবক।

-জামিলা!জামিলা!আমার তরবারি দাও।

স্ত্রীর হাত থেকে দ্রুত তরবারি খানা নিয়ে অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় ছুটলেন উহুদের ময়দানে।পিছন থেকে চিৎকার করে কি যেন বলছিলেন জামিলা।তার চিৎকার ধ্বনি যুবকের কর্ণযুগল ছুঁয়েছিল কিনা জানা গেল না!

ছুটন্ত যুবক শুধু চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলছিলেন-জামিলা!বেঁচে যদি ফিরি দেখা হবে এই মদিনায়…আর যদি না ফিরি দেখা হবে হাশরের ময়দানে!

যু/দ্ধের সেনাপতি রাসুল(সাঃ)এর নির্দেশের কথা ভুলে গিয়ে মতান্তরে অমান্য করে পাহাড় থেকে রিজার্ভ ফোর্স-তীরন্দাজ বাহিনীর দ্রুত নীচে নেমে আসা এবং এই অরক্ষিত প্রান্ত দিয়ে খালিদ বিন ওয়ালিদের অশ্বারোহী বাহিনীর আকস্মিক আক্রমনে মুসলিম বাহিনী চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে এবং এক পর্যায়ে পরাজিত হয়!

এই যু/দ্ধে রাসুল(সাঃ)ও আঘাত প্রাপ্ত হন।
নিহত হন তাঁর চাচা আমির হামজা(রাঃ)সহ সত্তর জন সাহাবী।

কাফেরদের পক্ষে সাইত্রিশ জন কাফের নি*হত হয়।

ঠিক এক বছর পুর্বে বদর যু/দ্ধে আবু জেহেল সহ মক্কার অনেক বড় বড় কাফির নিহত হয় এবং কাফেররা শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়!

বলতে গেলে মুখ রক্ষার এ যু;দ্ধে এসে কাফিরদের প্রাপ্তিযোগ ছিল খুবই সামান্য!

তৎকালীন যুদ্ধরীতি অনুযায়ী বিজিত প্রান্তরে কমপক্ষে তিন দিন অবস্থান না করেই আবু সুফিয়ানের বাহিনী উহুদ প্রান্তর ত্যাগ করে!

যু/দ্ধ শেষে শহীদদের বিনা গোসলে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।পেয়ারা নবী,উহুদ যু/দ্ধের সিপাহশালার,মুহাম্মদ(সাঃ) এর পবিত্র চক্ষু যুগল জলে টলমল।একে একে লা শ গোনা হচ্ছে।

দু'টি লা শ পাওয়া যাচ্ছে না!একটি প্রিয় চাচা আমির হামজা(রাঃ)এর অন্যটি আরেক নাম না জানা সাহাবীর।

নবীজি হঠাৎ দেখেন তার সম্মুখে এক যুবতী দাঁড়িয়ে!হাতে মেহেদীর রঙ!

-কে গো তুমি?কি চাই?

-ইয়া হাবিব আল্লাহ!আমি জামিলা বিনতে উবাই,আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইর বোন,
আপনার প্রিয় সাহাবী হানযালা(রাঃ)এর স্ত্রী।গতকাল বিকেলেই আপনি আমাদের বিয়ে পড়িয়েছেন!

-কি হয়েছে হানযালার?

-হুজুর!তিনি উহুদে শহীদ হয়েছেন!
আপনি শহীদদের বিনা গোসলে দাফন দেন;আমার অনুরোধ আমার স্বামীকে আপনি বিনা গোসলে দাফন দিয়েন না।
তাঁর উপর গোসল ফরজ ছিল!

রাসুল(সাঃ) বিস্মিত হলেন!হানযালাকে আমি বিবাহের ছুটি মঞ্জুর করেছিলাম……!

জামিলা বিনতে উবাই গত রাতের সমস্ত ঘটনা রাসুল(সাঃ)এর কাছে সবিস্তারে বর্ণনা করলেন,তার চক্ষুও জলে টলমল।

রাসুল(সাঃ)পবিত্র জবানে এলান করে দিলেন।
-ও আমার প্রিয় সাহাবীরা!
হানযালাকে বিনা গোসলে দাফন দিওনা।

হানযালা(রাঃ)এর লা শ খোঁজাখুঁজি চলছে;কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না!বেশ কিছুক্ষন খোঁজাখুঁজি শেষে পাহাড়ের পাদদেশে লা শ পাওয়া গেল!

নবীজির চাচার লা /শও পাওয়া গেছে ইতোমধ্যেই।

হানযালা(রাঃ)এর লাশ গোসলের প্রস্তুতি চলছে!হযরত জিবরাইল(আঃ) নবীজিকে বিনয়ের সাথে জানিয়ে দেন-
-হানযালা(রাঃ)কে আল্লাহর হুকুমে তৃতীয় আকাশে ফেরেশতারা গোসল দিয়েছেন!

রাসুল(সাঃ)সাহাবীদের এই সুসংবাদ তৎক্ষণাৎ দিয়ে দেন!গোসল বন্ধ হয়ে যায়।কৌতুহলী সাহাবীরা দেখেন হানযালা(রাঃ)গাল বেয়ে বেয়ে তখনো পানি গড়িয়ে পড়ছে!

রাসুল(সাঃ)উহুদের ময়দানে দাঁড়িয়ে বলেন আমার হানযালা 'গাসিলুল মালাইকা' অর্থাৎ ফেরেশতারা যাকে গোসল দিয়েছেন।

তখন সাহাবীদের মুখে মৃদু কন্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল কোরানের সেই অমিয় বাণী-'লা ত্বা ক্বুলু লি মাইয়ুক্বতালু ফি সাবিলিল্লাহি আমওয়াত্ব।বাল আহইয়ায়ু অলা ক্বীল্লা তাশউরুন'!
'আল্লাহর রাস্তায় জীবন দান কারীদের তোমরা মৃ ত বলোনা বরঞ্চ তাঁরা আল্লাহর নিকট জীবিত'!

ইসলাম গ্রহনের পর এটিই ছিল হানযালা(রাঃ)এর প্রথম এবং শেষ যু দ্ধ!

শেষ
**"সোর্ড অফ অ্য হিরো"**

#-সাইফুল আলম

#সংগৃহীত

শুভ দুপুর
25/09/2025

শুভ দুপুর

পাঁচ বছর পর UK থেকে পড়াশোনা শেষ করে বাড়ি ফিরছে খান বাড়ির বড় ছেলে অধির খান।বাড়ির সবাই আজ অনেক খুশি,।খান বাড়িতে যেন ...
21/09/2025

পাঁচ বছর পর UK থেকে পড়াশোনা শেষ করে বাড়ি ফিরছে খান বাড়ির বড় ছেলে অধির খান।
বাড়ির সবাই আজ অনেক খুশি,।খান বাড়িতে যেন ঈদ লেগে গেছে।রান্না বান্নার তুরজোর চলছে।

ছেলে আসার খবর শুনে মনুয়ারা খান আজ অনেক খুশি।কতদিন পর তার ছেলেকে দেখবেন তিনি।তার খুশি দেখে কে।তাইতো তিনি ছেলের সব পছন্দের খাবার রান্না করছে।
আর অধির এর চাচি ইয়াসমিন খান ,তিনিও আজ খুব খুশি,কারন অধির ছিলো তার খুব আদরের,ছোট বেলায় অধির বেশির ভাগ সময় তার সাথেই থাকতো।ইয়াসমিন খুব মনুযোগ সহকারে অধির এর রুম গু*চাচ্ছে,অধির এর পছন্দের জিনিস দিয়ে রুমটা সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
তিনি রুম গুছানোর কাজ সেরে অধির এর পাশের রুমে ডুকলো
সাদা জামা পরিহিত এক রমনি,খুব মনোযোগ দিয়ে
রং তুলিতে সুন্দর দৃশ্য ফুটিয়ে তুলছে ,তার সমস্ত ধ্যান যেন ঐ পেন্টিংয়ে,রমনির হাটু পর্যন্ত লম্বা চুলগুলো ফ্যানের বাতাসে দুল খাচ্ছে,সাদা জামা পরায় যেন মেয়েটির সৌন্দর্য দিগ্বুন বেরে গেছে।
আল্লাহ যেন তাকে নি*খুত ভাবে সৃষ্টি করেছে। রুপের কোনো কমতি নেই তার।ইয়াসমিন খান এর মনে হচ্ছে জান্নাতের কোনো হুর দাড়িয়ে আছে।

তিনি মেয়ের মাথায় সূরা বলে ফু দিয়ে নিজের ন*জর কাটিয়ে নেয়,কেননা তিনি শুনেছেন মায়েদের নজর নাকি সবার আগে লাগে তাই।

ইয়াসমিন মেয়েকে বলে
আরিশা সকাল থেকে কিছু খাসনি,এসে কিছু খেয়ে নে মা।আর শুন অধির আসছে,একটু সাবধানে থাকিস,জানিসেই তো ঐ ঘটনার পর থেকে তকে একদম স*হ্য করতে পারেনা।তাই অধিরের সামনে তুই যাসনা মা।

অধিরের কথা শুনে আরিশা ভয় পেয়ে যায়,তার কলিজা কেঁ*পে উঠে,মনে পরে যায় সেই বি*ভর্ষ অতীত,।
তার চোখ থেকে পানি গড়ায়,সে অপরাধি না হয়েও
আজ সে অপরাধি।
ইয়ার পোর্টে দাড়িয়ে আছে অধির খান।
সাদা শার্টে মোড়ানো তার শক্ত পো*ক্ত দে*হখানি,চোখে কালো চশমা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি,মুখে তার গা*ম্বি*র্যতা স্প*ষ্ট বিরাজমান।ঠোটে নেই কোনো হাসি।সে এগিয়ে আসছে।

অধিরকে আসতে দেখে আরমান খান গিয়ে জরিয়ে ধরে বলে
কেমন আছিস বাবা
অধির বলে,
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি,তুমি কেমন আছো
আরমান খান,
এতোদিন ভালো ছিলাম না,তুই এসে গেছিস এখন থেকে ভালো থাকবো।
কুশল বিনিময় করে রোওনা হয় খান ভিলার উদ্দেশ্য। প্রাইভেট কার এসে থামে খান বিলার বিশাল বড় গেইটের সামনে।
চার চলা বিশিষ্ট এই খান ভিলা যেন রাজ প্রাসাদের মতো দেখতে।
গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে ডুকে যায় অধির।

অধির কে দেখা মাত্রই মনুয়ারা খান এসে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে।
মাকে কোনোভাবে বুঝিয়ে শান্ত করে, এবং সবার সাথে কুশল বিনিময় করে নিজের রুমে চলে যায়।

সকাল বেলা
আরিশা উঠে নামাজ পড়ে নেয়। কোরআন তেলাওয়াত করে,রুমের বাহিরে বের হয়,কেউ এখনো উঠেনি,তাই সে রান্না ঘরে যায় নিজের জন্য চা বানাতে।
আরিশা চা বানাচ্ছিলো এমন সময় রান্না ঘরে প্রবেশ করে মনুয়ারা খান।তিনি আরিশা কে দেখে বলেন
কী রে মা কী করছিস?
আরিশা বলে
চা বানাচ্ছি মামনি।
মনুয়ারা চুলায় কফি বসায় অধির এর জন্য,।
আরিশা চলে যাচ্ছিল চা নিয়ে তার রুমে,তখন মনুয়ারা বলে উঠে

আরিশা অধির এর কফিটা দিয়ে আয়তো মা।
এই কথা শুনে আরিশার অন্ত*রাত্মা কেঁপে উঠে,
আরিশা বলে উঠে
আমি যাবো মামনি।
মনুয়ারা খান বলেন-হে মা একটু নিয়ে যা।
আরিশা আর কী করবে মামনির কথা তো আর ফেলতে পারেনা তাই কফিটা নিয়ে হাটা দিলো অধির এর রুমের দিকে।
অধির রুমের কাছে গিয়ে দরজায় নক করলো কিন্তু ভিতর থেকে কোনো সারা শব্দ এলো না।
তাই একটু উকি দিয়ে দেখার চে*ষ্টা করলো,
অধির রুমে নেই।আরিশা মনে মনে ভাবলো এই সুযোগে সে কফিটা রেখে চলে যাবে।

আরিশা কফিটা রেখে যেই পিছনে ঘুরতে যাবে।
ঠা*সসসসস করে থা*প্পর পরে আরিশার গালে,
এতো জোরে থা*প্পর দিয়েছে যে ঠোট কে*টে র*ক্ত বের হচ্ছে,।
চলবে,,,

#প্রেম_মানেনা_বাঁধা
পর্ব:১
লেখনিতে: জান্নাত

Good Night
21/09/2025

Good Night

Good Night ❤️
14/09/2025

Good Night ❤️

08/09/2025
তখন ১ টাকায় ৪টা চকলেট 🍬পাওয়া যেতো। হসপিটালে গেলে ফ্রি ফ্রি চুলকানির ওষুধ পাওয়া যেত। ব্রিজের উপর থেকে ঝাপ দিলে ঘন্টা দুয়ে...
06/09/2025

তখন ১ টাকায় ৪টা চকলেট 🍬পাওয়া যেতো। হসপিটালে গেলে ফ্রি ফ্রি চুলকানির ওষুধ পাওয়া যেত। ব্রিজের উপর থেকে ঝাপ দিলে ঘন্টা দুয়েক পর নাকের নিচে কাদার গোফ পাওয়া যেত। কিন্তু হাজার খুঁজলেও এখনকার মত পকেট ভর্তি ইয়াবা আর ফোন ভর্তি পর্ণ পাওয়া যেত না। ও হ্যা, আমরা মাছ ধরতাম। ঠ্যালা জাল চেনো? তিনকোণা নীল রঙা জাল। তখন পুটি মাছ🐟 পেয়ে যেন ইলিশের আনন্দ নিতাম।

সন্ধ্যে হওয়ার আগেই বাসাই ফিরতে হত রোজ হারিকেন 💡টা মুছে তৈল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার দ্বায়িত্ব টা আমার উপর ছিল,একসাথে চাটায়ে বসে পড়তে বসতাম ভাই বোন মিলে, , আর সন্ধ্যায় যখন আশেপাশে কেউ থাকতো না, তখন বইয়ের ভেতরের ময়ূর বের করে মাপতাম। এরপর তাকে চকের গুঁড়ো খেতে দিয়ে আবার যথাস্থানে রেখে দিতাম। আমরা ভাবতাম ময়ূর বড় হয়। যার কাছে যত ময়ূর তাকে ততো সমীহ করে চলতাম যদি সে দয়া করে একটা ময়ূরের বাচ্চক দেয়! এভাবেই আমাদের গল্পে ময়ূর আর চকের গুঁড়ো মিশে আছে যার গন্ধ আমরা এখনো পাই প্রতিটা বইয়ের পাতায়। তোমরা যখন চিনি দেখলে কোকেন বলে মনে কর, আমরা ৯০ এর দশকের ছেলেরা প্রথমে তাকে চকের গুঁড়ো ভাবি। এটাই আমাদের সরলতা। রাত পেরিয়ে সকাল হলে দল বেধে যাইতাম মক্তবে কোরআন শিক্ষা টা যতাযত ভাবে নিতে ,,, দিন হলে বা দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হলে আমরা পলিথিন জোগাড় করতাম। আগুন জ্বালাবার জন্য। মা বলতো উলের সোয়েটারে নাকি আগুন লাগে তাই সোয়েটার খুলে আমরা আগুনের কাছে যেতাম। আগুনের ভেতর থেকে হাত পা ঘুরিয়ে আনা আর সুচ 📌দিয়ে আঙুল এর চামড়া ফুটো করে গেথে রাখা ছিল তৎকালীন সময়ে স্মার্টনেসের সর্বোচ্চ নিদর্শন। আগুন জ্বালালে তাতে নষ্ট কলম ✏️পোড়ানো ছিল ট্রেন্ড। এই জেনারেশন কখনওই জানবে না পলিথিন আর কলম পোড়ার গন্ধ, কিভাবে চামড়ায় সুচ আটকে রাখা যায় তা তারা শিখে নিতে পারবে কিন্তু রোমাঞ্চকর কোন অনুভূতি পাবেনা। কারণ তারা এখন রোমাঞ্চ পায় ইরোটিক ক্লিপ আর সবজী লাল পানি খাওয়াতেই।

আমরা দেখেছি কিভাবে কেরোসিন আনার জন্য কাচের স্প্রাইটের বোতলের মাথায় দড়ি বাধা হতো। আস্তে আস্তে কিভাবে দড়ি কালো হয়ে যেত আর বোতলের গায়ে ময়লার আবরণ পড়তো।ডাংগুলি খেলা তো এখনকার জেনারেশন চিনে কিনা সন্দেহ আছে,, কত যে রোমাঞ্চকর ছিল পরিবেশ টা জায়গাই জায়গাই, মারবেল খেলা,সিগারেটের পেকেট এর নকল টাকা দিয়ে কত রকম যে খেলা ছিল,,, ২০০০ সাল কখনওই জানবে না ষ্টোভ নেভানোর পর কেরোসিন পুড়ে কেমন সুঘ্রাণ বের হয়, সন্ধ্যাবেলায় প্রতিটা বাড়ি থেকে কিভাবে এক এক্কে এক, দুই এক্কে দুই পড়ার আওয়াজ ব্যাঙ এর ঘেঙর ঘেঙরকে হার মানায়, এরা কখনওই ধারাপাত বই চিনবে না। এরা জানে ইউটিউবের টিউটোরিয়াল, সারাদিনের স্কুলে পরে থাকা মোজার গন্ধ আর বিদেশী রাইটারের বই।


সময় পাল্টেছে, আমি যুগের দোষ দেবোনা, সময়ের দোষ দেব না, এই জেনারেশনের দোষ দেব না। দোষ দেব আমাদের, 😒দোষ দেব এই ৯০ এর দশককে। কেন তারা এত সুন্দর ছিল যে পরবর্তী দিনগুলোকে তাদের ধারে কাছেও আসতে দিল না? সেই দিনগুলো ফেসবুক ইউটিউবে বন্দী ছিল না তাই আমাদের শৈশব কেটেছে মাঠেঘাটে, হাওড় বাওড়ে, আগুনে পানিতে, 💦জলাজঙ্গলে🌳তোমরা তোমাদের গেম অফ থ্রোনস, ইউটিউব আর ফেসবুক দিয়ে আমাদের ম্যাকগাইভার, আলিফ লায়লা 📺আর নতুন কুঁড়িকে চাপা দিতে পারবা কখনো? কি মনে হয়? পারবা?


আমি ৯০ এর দশক বলছি

লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার দিয়ে সাথে থাকুন!ধন্যবাদ

Md Mazharul Haque Himu

#সংগৃহীত

🥀🥀বউমা। নাতি নাতনির মুখ না দেখেই আমরা ওপারে চলে যাবো, এটাই কি তোমরা চাইতেছো? পাঁচ বছর তো হইলো এবার একটা চিন্তা ভাবনা করো...
06/09/2025

🥀🥀বউমা। নাতি নাতনির মুখ না দেখেই আমরা ওপারে চলে যাবো, এটাই কি তোমরা চাইতেছো? পাঁচ বছর তো হইলো এবার একটা চিন্তা ভাবনা করো। আমাদেরও তো বয়স হয়েছে।'

শাশুড়ির কথায় একটুও মন খারাপ হয়নি। বরং সাফিনের উপর বেজায় রাগ হলো। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য যতবার বলেছি, ততবারই সাফিন বিভিন্ন অজুহাতে বিষয়টা এড়িয়ে গিয়েছে।সবার ধারণা আমরা ইচ্ছে করেই বা'*চ্চা নিচ্ছি না।আসল কারণ কেউ জানে না।

'সাফিন, তোমার সঙ্গে আমার কথা আছে?'

আমার বলার ভঙ্গিতেই সাফিন বুঝে নিয়েছে, আমি বেশ রেগে আছি৷

একগাল হেসে সাফিন আমার পাশে এসে বললো, 'জ্বী, বেগম সাহেবা। আপনার মূল্যবান বক্তব্য শ্রবণ করার জন্য প্রস্তুত।'

'শোনো, একদম ঢং করবে না। ডাক্তারের কাছে কবে যাচ্ছি আমরা?'

'আগামী মাসে। এ মাসে হাতে একদমই সময় নেই গো।'

'তোমার এই আগামী মাস কখনোই আসবে না, আমার ভালো করে জানা আছে।'

'ডাক্তারের কাছে গিয়েই বা কী হবে?'

'কী হবে এটা তুমিও জানো। অবান্তর প্রশ্ন করো না।'

সাফিন চুপ করে রইলো। আমি সাফিনের হাতের মধ্যে হাত গুঁজে দিয়ে বললাম, 'আমাদের নিশ্চিত হওয়া দরকার আমরা আসলেই কখনো বাবা-মা হতে পারবো কি না! যদি না পারি সেটা সবাইকে জানিয়ে দিলে আর কেউ অযথা প্রশ্ন করে মন খারাপ করে দিবেনা এবং কেউ প্রত্যাশায়ও থাকবে না।'

আমার হাতটা চেপে ধরে সাফিন প্রশ্ন করলো, 'যদি সমস্যাটা আমার হয়, তবে কী তুমি আমায় ছেড়ে চলে যাবে?'

'পাঁচ বছরে এই আমাকে চিনলে সাফিন?'

সাফিন চুপ করে তাকিয়ে রইলো। আমি সাফিনের কাঁধে মাথা ঠেকিয়ে বললাম, 'তুমি ছাড়া আমি?....এমন কথা আমি কখনো কল্পনাতেও আনি না।'

'তোমাকে খুব ভালোবাসি জুলিয়া।'

'যদি সমস্যাটা আমার হয় তখনো কি বাসবে?'

',হুম,আজীবন।'

'সত্যি করে বলো তো, সমস্যাটা তোমার হতে পারে শুধু এই ভয়েই কি তুমি ডাক্তারের কাছে যেতে চাওনি?'

'আমার কেন যেন মনে হয়, সমস্যাটা আমারই। আর আমি তোমাকে হারাতে চাই না।'

'এসব ভাবার কোনোই দরকার নেই। চলো সামনের সপ্তাহেই ডাক্তারের কাছে যাই। বাবা-মা অস্থির হয়ে উঠেছেন। প্রায়ই আমাকে প্রশ্ন করেন।'

সাফিন রাজি হলে আমরা পরের সপ্তাহে ডাক্তারের কাছে গেলাম। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হলে জানা যায়, সমস্যাটা আসলে সাফিনের নয়, আমার। যদিও ডাক্তার পুরোপুরি হতাশ করেননি। বলেছেন, সম্ভাবণা রয়েছে তবে খুব কম। কিন্তু আমি ডাক্তারের এই কথাটাকে কেবল সান্ত্বনা হিসেবেই ভাবছি।

সাফিনকে নিয়ে ভয় হচ্ছে না। কিন্তু শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে। তাদের ছেলের সমস্যা নেই জানলে নিশ্চয়ই তারা আমার বিপরীতে কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন। বং-*শের ধারা বহাল রাখতে নতুন সদস্য তো তারা চাইতেই পারেন, তাদেরই বা কী দোষ!

তবে কী সাফিনের ভালোবাসা ভাগ হয়ে যাবে! ভাবতেই চোখ জোড়া ছলছলিয়ে উঠলো। সাফিন আমার হাতটা শক্ত করে ধরে আছে৷ এতদিন ওর চোখ জুড়ে শঙ্কা দেখেছি। আর এখন স্বস্তি দেখছি। যেনো কোনো কলঙ্কের দায় থেকে মুক্তি পেয়েছে সাফিন।

বাড়ি ফিরলাম। সাফিনকে বললাম, বাবা-মাকে বিষয়টা জানানো প্রয়োজন। সাফিন বললো, পরে জানানো যাবে। তাই আর এ নিয়ে এখন কিছু ভাবছি না৷

নিজের মধ্যে কেমন একটা অসম্পূর্ণতা অনুভব করছি। দিন যত যেতে লাগলো অস্থিরতা বাড়তে লাগলো। একসময় শ্বশুর শাশুড়িকে বিষয়টা জানালাম। তারা বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন। আমাকে তারাই পছন্দ করে বেশ আগ্রহ সহকারে এ বাড়িতে নিয়ে আসেন। আমার কষ্ট হয়, এমন সিদ্ধান্ত নিতেও তারা বেশ হিমসিম খাচ্ছেন।

শাশুড়ি মা বললেন, 'চিন্তা করো না। আল্লাহ নিশ্চয়ই নিরাশ করবেন না৷ তাকে ডাকো।'

আমিও এই কথাই বিশ্বাস করি। সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই সুখবর দিবেন৷

দেখতে দেখতে আরও একটা বছর কেটে গেলো। কিন্তু সুখবরের দেখা মিলছে না। ইদানীং সাফিন বেশ দেরি করে বাড়ি ফেরে। সবসময় ব্যস্ত থাকে, সবকিছুতে যেন ওর তাড়াহুড়ো। সকালের নাস্তাটাও প্রায়ই না করে বের হয়। অথচ আগে আমার হাতের নাস্তা দিয়েই ওর দিন শুরু হতো।

'জুলিয়া, অফিসের কাজের জন্য কয়েকদিন আমাকে ঢাকার বাহিরে থাকতে হবে।'

'আমাকেও নিয়ে চলো না।'

'অফিসের আরো সহকর্মীরা যাচ্ছে৷ তোমায় নিয়ে যেতে পারছি না। তুমি দয়া করে মন খারাপ করো না। তবে কথা দিচ্ছি, কাজ শেষ করে এসে তোমায় নিয়ে ঘুরতে যাবো।'

'তোমায় ছাড়া থাকতে খারাপ লাগবে সাফিন। অভ্যেস নেই তো।'

সাফিন আমায় ওর বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে বললো, 'আমি যতদূরেই থাকি না কেন,আমার চিন্তা চেতনা জুড়ে সবসময় তুমিই আছো।'

সাফিন চলে গেলে বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা লাগতে শুরু করে। রাতে ঘুমও হয় না ঠিকঠাক। সাফিনকে কল করলেও তেমন কথা হয় না, কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় পার করছে।

টানা পাঁচ দিন পর বাড়ি ফেরে সাফিন। বেশ ফুরফুরে লাগছে ওকে। ওর চোখে মুখ জুড়ে আনন্দ আর খুশি লেগে আছে। সাফিন মুখে খুব বললেও আমার কেনো যেনো মনে হচ্ছে না, ও এতদিন আমার জন্য মন খারাপ করেছে। বরং কেনো যেনো বারবার মনে হচ্ছে আমি ছাড়া ওর সময়টা আরও ভালো কেটেছে।

তারপর থেকে সাফিনকে সবসময় বেশ খুশি খুশি লাগতে শুরু করে। মানুষ প্রেমে পড়লে যেমন তার ভেতরকার খুশি তার চেহারায় ফুটে ওঠে, সাফিনের বেলাও ঠিক তেমন মনে হচ্ছে। হয়তো অফিসে পদোন্নতি হতে চলছে খুব শীঘ্রই। আমাকে সারপ্রাইজ দিবে বলেই হয়তো বিষয়টা লুকিয়ে রেখেছে। আমি উপরওয়ালার কাছে খুব প্রার্থনা করি, যেনো সাফিনের মনোবাসনাটা পূর্ণ হয়।

সাফিনের প্রায়ই রাত করে বাড়ি ফেরা, সারাদিন ফোনে ব্যস্ত থাকা, বাড়ি ফিরলেও ফোন নিয়ে পড়ে থাকা, কখনো কখনো বাড়িই না ফেরা, ওর এই ব্যস্ততাগুলো আমার থেকে ওকে ক্রমশ দূরে নিয়ে যাচ্ছে। আমায় নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা তো বেমালুম ভুলে বসে আছে। তবে কী সাফিন তার ভেতরের দুঃখ ভোলার জন্য নিজেকে ব্যস্ত রাখার প্রয়াস চালাচ্ছে! বাবা না হওয়ার দুঃখটা যে অনেক বড় একটা যন্ত্রণা।

কেটে যাচ্ছে সময় বিষন্নতায়। সাফিনকে কাছে পাই খুব কম সময়। দিন রাত খেটে চলছে অফিসের পেছনে। এত কষ্ট করে কী লাভ! কী হবে এত টাকা দিয়ে! আমাদের তো কোনো ভবিষ্যৎ নেই।

'বউমা, সাফিন বাড়ি ফিরেছে?'

'না, মা। আজ মনে হয় ফিরবে না।'

'কী যে হয়েছে ছেলেটার! নিজের দিকে খেয়াল নেয় না একটুও।'

চুপ করে রইলাম। সাফিনকে কল করলে দেখি নাম্বার বন্ধ। অন্ধকার গিলে খাচ্ছে আমায়। এখন যেনো একা থাকতেই আমার অভ্যেস হয়ে যাচ্ছে।

পরদিন সকালে সাফিন ফোনে জানায়, 'অফিসের কাজে সাত দিনের জন্য চট্টগ্রাম যাচ্ছে। সঙ্গে সহকর্মী আরিফ সাহেব যাচ্ছেন।'

জিজ্ঞেস করলাম, 'ব্যাগ গুছিয়ে রাখবো। এসে নিয়ে যাবে?'

'দরকার হবে না। ওখানে গিয়ে ব্যবস্থা করে নিবো।'

শেষ কবে সাফিন ফোনে আমার সঙ্গে একটু সময় নিয়ে কথা বলেছে, আমি একদম ভুলে গিয়েছি। ব্যস্ততার অজুহাতে আমি আমাকে সামলে নিচ্ছি।

পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলো, সাফিন আমাকে একবারের জন্যও মনে করেনি। আমি ফোন করলেও কথা বলার যেনো তার সময়ই নেই।

বেশ কয়েকদিন যাবৎ শরীরটা একদম ভালো লাগছে না। ভাবলাম, সাফিন ফেরার আগে ডাক্তার দেখিয়ে আসি। শাশুড়ি মা'কে সঙ্গে নিয়ে বের হলাম।

ডাক্তার বললেন, পরদিন এসে টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে যেতে। ডাক্তারের ওখান থেকে বের হয়ে আমি আর শাশুড়ি মা কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে শপিংমলে এলাম। হঠাৎ সাফিনের সহকর্মী আরিফ সাহেবের সঙ্গে দেখা।

কুশল বিনিময় শেষে জিজ্ঞেস করলাম, 'কবে এলেন চট্টগ্রাম থেকে?'

আমার কথায় আরিফ সাহেব বিস্মিত হলেন।
'চট্টগ্রাম তো যাইনি ভাবী।'

'কেন আপনি আর আপনার সাফিন ভাই কয়েকদিন আগেইতো চট্টগ্রামে গেলেন অফিসের কাজে! সাফিন তো এখনো ফেরেনি।'

'কী বলেন ভাবী! সাফিন ভাই তো সাত দিনের জন্য ছুটি নিয়েছেন অফিস থেকে।'

আমার চোখ কপালে উঠলো। সাফিন আমার সঙ্গে মিথ্যা কথা বলবে না। আরিফ সাহেবেরই হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে।

'সাফিনতো এর আগেও একবার অফিসের কাজে ঢাকার বাহিরে গিয়েছিলো।'

'ভাবী আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। সাফিন ভাইকে কিংবা আমাকে এখনো অফিস ঢাকার বাহিরে কোথাও পাঠায়নি।'

মাথা ঘুরিয়ে এলো। সাফিন তাহলে মিথ্যা বলেছে আমার সঙ্গে। কিন্তু কেন! সন্দেহের কাটা বইছে মস্তিষ্ক জুড়ে। শরীরটা আরও খারাপ লাগছে। নিজেকে সামলে অপেক্ষা করতে লাগলাম সাফিনের ফেরার।

ডাক্তারের কাছ থেকে রিপোর্ট আনতে গিয়ে জানলাম, সত্যিই এবার আমি মা হতে চলছি। মুহুর্তেই যেন সব মন খারাপেরা দূরে সরে গেলো। খুশিতে চোখে জল জমে গেলো। আগামীকাল সাফিন বাড়ি ফিরবে। তখন ওকে এই খুশির খবরটা নিজেই জানাবো। তার আগে আর কাউকে জানাবো না বলে ঠিক করেছি। ও নিশ্চয়ই ভীষণ খুশি হবে। আমাদের মধ্যেকার সব দূরত্ব ঘুচবে এবার, ভাবতে আনন্দ যেনো বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে।

পরদিন সাফিন বাড়ি ফেরে। সাফিনের চালচলন সবই আমার কাছে সন্দেহজনক লাগে। যেনো এ এক অন্য সাফিন, আমার সাফিন নয়। বারবার মনে হয় সাফিন কিছু লুকাচ্ছে। এদিকে খবরটা জানানোর জন্য ভেতরে ভেতরে ছটফট করে চলছি কিন্তু সঠিক সময়টাই যেনো পাচ্ছি না।

সাফিন ওয়াশরুমে গেলে আমি ওর ফোনটা হাতে নেই। এত বছরে আমি কখনোই ওর ফোন এভাবে সন্দেহ নিয়ে ধরিনি। আজ প্রথমবার সাফিনের ফোনে তল্লাশি চালাচ্ছি। মনে মনে প্রার্থনা করে চলছি, যেন আমার সব সন্দেহ ভুল প্রমাণিত হয়।

মেসেজ বাক্সে চোখ রাখতেই কেঁপে উঠলাম। একটার পর একটা করে মেসেজগুলো পড়ে চলছি। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। শরীরটা খুব দুর্বল লাগছে। নিজের চোখেই বিশ্বাস হচ্ছে না।

সাফিন হয়তো ভেবেছে আমি কখনোই ওকে সন্দেহ করতে পারি না। তাই ফোনের একটা ফোনকল, মেসেজও ডিলিট করেনি। আমার কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না, সাফিন অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এতদিন আমাকে বো-*কা বানিয়ে সাফিন ওর সময়গুলো অন্য কারো সঙ্গে কাটিয়েছে।

সাফিন ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আমার হাতে ওর ফোন দেখতেই আঁতকে ওঠে। আমার চোখ ভিজে জল গড়াচ্ছে। সাফিন অপরাধীর মত চুপ করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।

চোখের জল মুছে প্রশ্ন করলাম, 'বিয়ে করেছো??নাকি শুধুই সময় কা'*টিয়েছো?'

মাথা নিচু করে উত্তর দিলো সাফিন,'বিয়ে করেছি। তুমি অনুমতি দিলে এ বাড়িতে নিয়ে আসবো।'

তীরের মত বিধলো কথাটা বুকের মধ্যে। এই সাফিনকে আমি দিনের পর দিন এতটা বিশ্বাস করে গিয়েছি।

'আমি মা হতে পারবো না বলেই কী এমনটা করেছো? নাকি আরও কারণ আছে?'

'জুলিয়া, আমাকে ভুল বুঝো না। সবারই তো বাবা হতে ইচ্ছে করে।'

'সবার মা হতে বুঝি ইচ্ছে করেনা সাফিন! অথচ তুমি আমাকে একসময় হারানোর ভয় পেতে। কিন্তু তুমি অপেক্ষা করতে পারলে না।'

'অপেক্ষা করেই বা কি হতো? লাভ হতো কোনো?'

চোখে টলমল করে উঠলো জলেরা। ভেতরে যন্ত্রণারা ছটফট করছে। ভাঙচুর হচ্ছে ভেতর জুড়ে।

'তুমি তোমার স্ত্রীকে এ বাড়িতে নিয়ে আসতে পারো।'

কথাটা বলেই ওয়াশরুমে ঢুকে পানির ট্যাপটা ছেড়ে দিলাম। হাউমাউ করে কাঁদার শব্দ আর বাহিরে বের হচ্ছে না। এ কষ্ট কোনো সান্ত্বনাই আটকাতে পারবে না।

চোখ মুখ ধুয়ে বের হয়ে দেখি সাফিন বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছে। নিজের সবকিছু গুছিয়ে ব্যাগে ঢুকালাম।

শাশুড়ি আর শ্বশুর বারবার প্রশ্ন করে চলছেন, 'কী হয়েছে বউমা? কেনো এমন করছো?কোথায় যাচ্ছো?'

শান্ত গলায় বললাম, 'বাড়িতে আপনার নতুন বউমা আসছে আর পুরাতন বিদায় নিচ্ছে।'

ডাক্তারের থেকে পাওয়া রিপোর্টের কাগজটা শ্বশুরের হাতে দিয়ে বললাম, 'এটা আপনার ছেলেকে দিবেন। বলবেন, তার বিয়েতে এটা আমার প্রথম উপহার। আর দ্বিতীয় উপহারের কাগজটা খুব শীঘ্রই পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো, যাতে স্বাধীনভাবে সংসারটা সে করতে পারে।'

শাশুড়ি আমাকে আটকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হলেন। আমার সামনের সময় কাটিয়ে দেওয়ার জন্য একজন সঙ্গী আমি পেয়ে গিয়েছি, আমার শত কষ্টের মাঝেও সে সুখের বার্তা হয়ে জীবনে এসেছে। তাকে ঘিরেই তো এখন আমার আগামী।

চলবে.......

👉 গল্প: আগামী

👉 লেখিকা: মাহফুজা রহমান অমি

👉 পর্ব: 1

Address

Dubai

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Adbhut Ajana -অদ্ভুত অজানা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Adbhut Ajana -অদ্ভুত অজানা:

Share