Jui Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Jui, Social Media Agency, Dubai.

যখন উমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর উপর হত্যার চেষ্টা করা হলো এবং তিনি গুরুতর আহত হলেন, তখন তার ক্ষত চিকিৎসার জন্য দুধ পান করা...
08/02/2025

যখন উমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর উপর হত্যার চেষ্টা করা হলো এবং তিনি গুরুতর আহত হলেন, তখন তার ক্ষত চিকিৎসার জন্য দুধ পান করানো হয়। কিন্তু সেই দুধ তার ক্ষত থেকে বের হয়ে আসতে লাগল। এ অবস্থায় চিকিৎসক বললেন, “হে আমিরুল মুমিনিন! আপনার জীবনসীমা শেষ হয়ে আসছে। আপনি কোনো ইচ্ছা বা ওসিয়ত করে নিন।”

উমর (রা.) তার ছেলে আব্দুল্লাহকে ডেকে বললেন,
“হুযাইফা ইবনে ইয়ামানকে আমার কাছে নিয়ে আসো।”

হুযাইফা (রা.) ছিলেন সেই সাহাবি, যাকে রাসুলুল্লাহ (সা.) মুনাফিকদের নাম জানিয়েছিলেন। এই গোপন বিষয় কেবল আল্লাহ, রাসুলুল্লাহ (সা.), এবং হুযাইফা (রা.)-এর জানা ছিল।

যখন হুযাইফা (রা.) এলেন, তখন উমর (রা.) রক্তক্ষরণ সত্ত্বেও তাকে বললেন,
“হে হুযাইফা! আমি তোমাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) কি আমাকে মুনাফিকদের মধ্যে উল্লেখ করেছিলেন?”

হুযাইফা (রা.) চুপ করে থাকলেন এবং তার চোখ অশ্রুতে ভরে গেল। উমর (রা.) পুনরায় জোর দিয়ে বললেন,
“আল্লাহর কসম, আমাকে বলো, তিনি কি আমার নাম নিয়েছিলেন?”

হুযাইফা (রা.) কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
“আমি এই গোপন বিষয় কাউকে জানাতে পারি না। তবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) আপনার নাম মুনাফিকদের মধ্যে উল্লেখ করেননি।”

এ কথা শুনে উমর (রা.) তার ছেলে আব্দুল্লাহকে বললেন,
“এখন দুনিয়াতে আমার শুধু একটি ইচ্ছা বাকি আছে।”

আব্দুল্লাহ (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন,
“তা কী, আব্বা জান?”

উমর (রা.) বললেন,
“আয়েশা (রা.)-এর কাছে যাও এবং তাকে বলো, উমর ইবনে খাত্তাব সালাম পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাকে বলো না যে ‘আমিরুল মুমিনিন’ সালাম পাঠিয়েছেন, কারণ আজ আমি আর মুমিনদের আমির নই। তাকে বলো, উমর অনুরোধ করছেন যেন তাকে তার দুই সঙ্গীর (রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং আবু বকর (রা.)) পাশে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।”

আব্দুল্লাহ (রা.) গেলেন এবং আয়েশা (রা.)-এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তখন আয়েশা (রা.) কাঁদছিলেন। কিন্তু তিনি বললেন,
“আমি এই জায়গাটি আমার জন্য রাখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আজ আমি এটি উমরের জন্য উৎসর্গ করছি।”

আব্দুল্লাহ (রা.) খুশি মনে ফিরে এসে সংবাদটি জানালেন। কিন্তু উমর (রা.) তখনও মাটিতে মুখ রেখে ছিলেন। আব্দুল্লাহ তার মুখ নিজের হাঁটুর ওপর রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উমর (রা.) বললেন,
“আমার মুখ মাটিতে থাকতে দাও, যাতে আমি আমার রবের সামনে বিনীতভাবে হাজির হতে পারি। উমরের জন্য আফসোস, যদি তার রব তাকে ক্ষমা না করেন।”

উমর (রা.) তার ওসিয়ত করলেন,
“যখন আমার জানাজা হবে, তখন হুযাইফার প্রতি নজর রাখো। যদি তিনি আমার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন, তবে বুঝে নিও আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন। এরপর আমাকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কক্ষের দরজায় নিয়ে গিয়ে বলো, ‘হে মা! আপনার ছেলে উমর অনুমতি চাচ্ছে।’ যদি তিনি অনুমতি দেন, তাহলে আমাকে সেখানে দাফন করো। অন্যথায় আমাকে সাধারণ মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করো।”

অতঃপর যখন হুযাইফা (রা.) জানাজায় অংশগ্রহণ করলেন, তখন উমর (রা.)-কে আয়েশা (রা.)-এর কক্ষের দরজায় নিয়ে যাওয়া হলো এবং অনুমতি চাওয়া হলো। তিনি অনুমতি দিলেন। এভাবে উমর (রা.) তার দুই সঙ্গীর পাশে দাফন হলেন।

আল্লাহ উমর (রা.)-এর প্রতি দয়া করুন। যিনি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত হয়েও আল্লাহর ভয়ে কাঁপতেন। কিন্তু আজ আমরা গাফলত ও নির্ভীকতায় জীবনযাপন করছি। আমরা আমাদের কাজের হিসাব করি না, আমাদের আখিরাতের কথাও ভাবি না।

اللهم احسن خاتمتنا ولا تقبض ارواحنا الا وانت راض عنا

বিয়ে করতে যাওয়া ছেলেকে বাবা কাছে ডেকে মাথায় হাত রেখে বললেন, "আগেকার দিনে নতুন বৌকে পালকি চড়ানো হতো কেন জানিস? তাকে তো ...
01/02/2025

বিয়ে করতে যাওয়া ছেলেকে বাবা কাছে ডেকে মাথায় হাত রেখে বললেন, "আগেকার দিনে নতুন বৌকে পালকি চড়ানো হতো কেন জানিস? তাকে তো গরুর গাড়িতেও আনা যেত। তা না করে পালকিতে উঠানো হতো — সে কতটা সম্মানিত তা বোঝানোর জন্য। পালকি থেকে নামানোর পর এ সম্মান কমানো যাবে না। সারাজীবন পালকির সম্মানেই তাকে রাখতে হবে।

নতুন বউ পালকিতে উঠে কী করে জানিস?
কাঁদে।
কেন কাঁদে?
শুধু ফেলে আসা স্বজনদের জন্য না, নতুন জীবন কেমন হবে সেই ভয়েও কাঁদে। তোর চেষ্টা হবে পালকির কান্নাই যেন তার জীবনের শেষ কান্না হয়।
এরপর আর মাত্র দুটো উপলক্ষ্যে সে কাঁদবে।
এক, মা হওয়ার আনন্দে।
দুই, তুই মারা গেলে।
মাঝখানে যত শোক আসবে তুই তার চোখের পানি মুছে দিবি।

বৌ সবচেয়ে কষ্ট পায় কিসে জানিস?
স্বামীর খারাপ ব্যবহারে।
দেখ আমি খুবই বদমেজাজি, কিন্তু কেউ বলতে পারবে না আমি তোর মায়ের সাথে কোনোদিন উঁচু গলায় কথা বলেছি। বিয়ে মানে আরেকটি মেয়ের দায়িত্ব নেওয়া। এটা ঠিকভাবে পালন না করলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দায়ী থাকতে হয়।

বৌয়ের মা-বাবাকে কখনো "আমার শ্বশুর", "আমার শাশুড়ি" এগুলো ডাকবি না। মা-বাবা ডাকবি। আগের ডাকগুলো কোনো মেয়ে পছন্দ করে না। তুই ওগুলো ডাকলে বৌও আমাদের ওই নামেই ডাকবে। এটাই নিয়ম।

মনে রাখিস, সৃষ্টিকর্তার পাল্লা সমান। এক পাল্লায় তুই যা রাখবি, তিনি অন্য পাল্লায় ঠিক তাই রেখে দুই দিকের ওজন সমান রাখবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে,

(সত্য_ঘটনা_অবলম্বনে)এক ভোরে ঘুম থেকে তুলে বাবা আমার হাত দু'টি শক্ত করে চেপে ধরে বললেন, " আজ থেকে আমিই তোর বাবা এবং আমিই ...
12/12/2024

(সত্য_ঘটনা_অবলম্বনে)
এক ভোরে ঘুম থেকে তুলে বাবা আমার হাত দু'টি শক্ত করে চেপে ধরে বললেন, " আজ থেকে আমিই তোর বাবা এবং আমিই তোর মা। " বাবার কথার অর্থ না বুঝলেও সেদিন আমি ভীষণ খুশী হয়েছিলাম। এ যেন দীর্ঘদিন খাঁচায় বন্ধী থাকার পর মুক্ত হওয়ার আনন্দ। মায়ের ছায়া কোনোদিনও আমার উপরে ছিল না। তাকে খুব ভয় পেতাম।

মা'কে কখনো আমি হাসতেও দেখি নি। সারাক্ষণ গম্ভীর হয়ে থাকতেন। দিনের পর দিন, কখনো সপ্তাহ পাড় হয়ে যেতো মায়ের সাথে আমার কোনো কথা হতো না। মা সবার সাথে খুব মেপে মেপে কথা বলতেন।
আমাকেও যে দু'টি কথা বলতেন তা ছিল,

" পড়াশোনা কি কিছু করো? না-কি বাপের মতো অন্যের পায়ের তলায় পড়ে থাকার খেয়াল করছো ? "

বাবার সাথেও মায়ের তেমন একটা কথা হতো না। প্রয়োজনে যে কয়টা কথা হতো তাতে স্পষ্ট বাবার প্রতি মায়ের ঠাট্টা-বিদ্রুপ, কটাক্ষ ফুটে ওঠত। বাবা সেসব গায়ে মাখান না। এমন ভান করেন যেন খুব তুচ্ছ ব্যাপার। মা তার সাথে মশকরা করছেন।

মা'কে আমি কাছে পাই নি। তিনি তার চাকুরী নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। আমার বেড়ে ওঠা বাবার সাথে। যত্ন-আত্তি, গল্পগুজব সবকিছুর জন্য আমি শুধু বাবাকে পেয়েছি। বাবা আমাকে দিয়েছিলেন স্বাধীন এক জীবন৷ যে জীবনে নেই ক্লান্তি-অবসাদ, কিংবা পড়াশোনার চাপ।

পড়াশোনায় তেমন একটা ভালো করি নি। পড়তে একদমই ভালো লাগতো না। বাবা এ নিয়ে কোনোদিন চাপ দেন নি৷ প্রতিবার পরীক্ষার সময়ে ফলাফল খারাপ আসতো৷ তা দেখে বাবা হেসে বলতেন,

" এটা কিছুই না। পরীক্ষার ফলাফল কখনো জীবন নির্বাচন করে না। "

মা এ কথা শুনে গম্ভীরমুখে বলতেন, " পরীক্ষার ফলাফল জীবন নির্বাচন করে বলেই আমি এখানে, আর তুমি এখানে। আমি আছি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। আর তুমি পায়ের নিচে। তোমার কথাবার্তার ধরণ বুঝিয়ে দেয়, তুমি কতোটা অযোগ্য। যে জীবন অন্যের দ্বারে নত হয়ে কাটিয়ে দিচ্ছো, যদি চাও মেয়েও তাই করুক, তোমার মতো হোক, তবে তাই বানাও৷ আমার আপত্তি নেই। রক্তের দোষ কখনোই যায় না। "

মায়ের কথা শুনে বাবার মুখটা মলিন হয়ে যেতো। আমার দিকে তাকিয়ে ফেকাসে হাসি দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যেতেন। বাবা একজন গৃহস্থ কর্মী। তার কতো কাজ! আমরা যেখানে থাকি সেটা আমার নানাবাড়ি। বাবা নানাবাড়ির সমস্ত কাজ দেখাশোনা করেন।

নানা ছিলেন গ্রামের গণ্যমান্য ধনাঢ্য একজন ব্যক্তি। মা হলেন তার একমাত্র সন্তান। সে হিসেবে শৈশব থেকেই মায়ের অর্থ-প্রাচুর্যতার মধ্যে বেড়ে ওঠা। চলার পথে বাধা-বিপত্তি ছিল না। তার কোনো চাওয়া অপূর্ণ থাকে নি। একমাত্র সন্তান হিসেবে তার অন্যায় আবদারও মেনে নেওয়া হতো। জীবনে তিনি যা চেয়েছেন, তাই পেয়েছেন। কলেজ শেষ করার পরেই নানা চাইলেন মায়ের বিয়ে দিতে। কিন্তু, মা রাজি হলেন না। তার আকাঙ্খা তিনি চাকুরী করবেন।

নানা তা মানতে নারাজ। অঢেল সম্পত্তি থাকার পরেও কীসের চাকুরী? মা জেদ ধরে রইলেন। তিনি তার জীবন সংসারে নষ্ট করার আগে ভালোভাবে উপভোগ করতে চান।
বন্ধুত্ব-আড্ডা এগুলো নিয়েই মায়ের দিনকাল ছিল।

নানারও এককথা, এখন বিয়ে বসতে হবে। কিন্তু, মা অনেক কান্নাকাটি করায় সিদ্ধান্ত হলো অন্তত মা কেবল পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে একটাই শর্ত, নানার পছন্দে বিয়ে করতে হবে। মা বাধ্য হয়ে মেনে নিলেন।

আমার বাবা হলের নানার দূরসম্পর্কের ভাগিনা। বাবা শৈশব থেকেই এতিম৷ একূল-অকূল তার কেউ নেই। চৌদ্দ বছর বয়সে নানার বাড়িতে আশ্রয় খুঁজে পান। প্রথম জীবনে নানার কয়েকটি গরুর দেখাশোনা করতেন। পরবর্তীতে একে একে সব কাজের দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে তুলে নেন। বাবা বেশ সাদাসিধা, নরম মনের মানুষ ছিলেন। তার চেহারার মধ্যে আভিজাত্য ভাব ছিল।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাবা আরো সুদর্শন হয়ে ওঠলেন। তাকে দেখে বুঝার উপায় নেই, তার জীবন কতোটা ম্লান।

তিনি ছিলেন নানার বিশস্ত সেবক। চোখ বন্ধ করেও নানা-নানি তাকে বিশ্বাস করতেন। এককথায় বাবার আচার-আচরণ, ভদ্রতা, বিশস্ততায় নানা-নানি দু'জনেই মুগ্ধ ছিলেন৷ তারা আকাঙ্খা করলেন এমন একজন সৎ পাত্র যদি পাওয়া যেতো!

নিজের সেবকের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে দিবেন কীভাবে? কোনোভাবে হলেও মেয়ে কি তা মানতে পারবে? সব মিলিয়ে এগুলো নিয়ে তারা খুব চিন্তিত ছিলেন। একদিকে তাদের বয়স বাড়ছে, নানান রোগ এসে শরীরে বাসা বেঁধেছে। অপরদিকে দিন যত যাচ্ছে, মেয়ে ততই তাদের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। দিনদিন বেপরোয়া হয়ে ওঠছে। মেয়েকে তারা কোনোভাবেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। ইচ্ছে হলেই মেয়ে তার বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করতে চলে যায়। ইচ্ছে হলেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

নানা একদিন কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন। মা'কে এনে কঠোরভাবে বলে দিলেন এই ছেলেকে বিয়ে করতে হবে। এতদিন যাবত যা যা করেছো, এটাই তার শাস্তি। মা অনেক ক্ষমা চাইলেন, তাদের বাধ্য মেয়ে হয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন, যেন এই বিয়ে না হয়। কিন্তু, নানা রাজি হলেন না। তার বিশাল সম্পত্তি এবং একমাত্র মেয়েকে দেখে রাখার উপযোগী পাত্রকে তিনি হারাতে চান না।

তার চোখে বাবার মতো ছেলে আর হয় না। এমন লোভ-লালসাহীন পাত্র সাধনায়ও মিলে না।

অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মাকে এই বিয়ে করতে হলো। তিনি মেনে নিলেন। তবে শর্ত দিলেন তাকে চাকুরী করতে দিতে হবে।

তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না। নানা তা মেনে নিলেন। ভাবলেন, একবার বিয়ে হয়ে গেলে মেয়ে এমনিও বশে চলে আসবে। সংসারে মন দিবে, স্বামীর প্রতি মনযোগী হবে। তখন এসব চাকরি-বাকরি তাকে টানবে না। মেয়ে নিজে থেকেই সংসার আঁকড়ে ধরে রাখবে। বাকি জীবন নিজের সংসার সাজানোতে ব্যস্ত থাকবে।

দীর্ঘ একটা সময় বাবা ও মায়ের একে-অপরের সাথে দেখা হলেও কখনোই ভালোভাবে দু'টো কথা হয় নি। মা প্রচণ্ড বিরক্তবোধ করতেন। তিনি নিরক্ষর মানুষ দু'চোখে সহ্য করতে পারতেন না। অথচ, এখন সেই নিরক্ষর মানুষটাকে বিয়ে করতে হলো!

রাগে-দুঃখে মা না-কি সেদিন খুব কাঁপছিলেন। তার মতো উচ্চ শিক্ষিত মেয়ের কপালে এই ছিল? নিজের অনাগ্রহে, অমতে মা দাঁতে দাঁত পিষে নামমাত্র সংসার শুরু করলেন। তিনি কোনোদিন বাবাকে সম্মান দেন নি, গুরুত্ব দেন নি। কখনোই বাবার জন্য একবেলা রান্না করেন নি। মায়ের চাকরি হওয়ার পর তিনি অন্যত্র চলে যান।

নানা-নানী তাদের দূরত্ব টের পেয়েছেন বলে পুনরায় জোর করে তাদের মেয়েকে নিয়ে আসেন। এরপর সরাসরি বলেন, মৃত্যুর আগে তারা নাতি/নাতনি দেখে যেতে চান। তাই হয় তাদের ইচ্ছে পূর্ণ করবেন, নয়তো পরিত্যক্ত হবেন।

চলবে…

ঝরা_পাতা

Samiha_Jannat

নিশিতা প্রথম এক মাস বিশ্বাস করতে পারলো না আমাদের বিয়ে হয়েছে। অমন ফাজিল একটা মেয়ে, বিয়ের পরদিন ভোরে চোখ খুলে পাশে আমায় কা...
12/12/2024

নিশিতা প্রথম এক মাস বিশ্বাস করতে পারলো না আমাদের বিয়ে হয়েছে। অমন ফাজিল একটা মেয়ে, বিয়ের পরদিন ভোরে চোখ খুলে পাশে আমায় কাত হয়ে শুয়ে ঘুমাতে দেখে চিৎকার। ভাবী দৌড়ে এলেন। দরজায় জোরদার ঠক ঠক।
‘কী হলো? কী হলো?’
আমি লজ্জায় শেষ। নিশিতা জিহ্বায় কামড় দিলো। দু’হাতে কান ধরে মুখটা অমন লাজুক করে তুলল, আমি তখনই ক্ষমা করে দিলাম তাকে। মাথায় বালিশ চেপে শুয়ে পড়লাম তারপর। ভাবখানা অমন- চিৎকার তোমার ছিল, সামলাবেও তুমি। নিশিতা মাথার বালিশ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করল। আমি শক্ত করে বালিশ আঁকড়ে শুয়ে রইলাম। সে ফিসফিস করল, ‘কী বলবো ভাবীকে?’
‘তুমি জানো।’
‘একটা বুদ্ধি তো দাও।’
‘পারবো না। আমার বুদ্ধি কম।’
নিশিতাকে প্রথমবার দেখে আমি বেকুব হয়েছিলাম। আমার ধারণা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ সরল নিষ্পাপ মেয়েটি একই কলেজের একই ডিপার্টমেন্টের একই ক্লাসের একই বেঞ্চিতে আমার পাশে বসে। কি সৌভাগ্য আমার। চতুর্থ পিরিয়ডের পর টের পেলাম, পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ সরল নিষ্পাপ মানুষটি আমি নিজে। একমাত্র চূড়ান্ত হাবা না হলে নিশিতাকে সহজ সরল ভাবা কারোর পক্ষে সম্ভব না। চতুর্থ পিরিয়ডের পর নিশিতা সৌমিকের সাথে ঝগড়া বাঁধিয়ে বসলো। কারণ সৌমিক ক্লাসের সবার জন্য চুইংগাম এনেছে। সবাই হুড়মুড় করে কেড়ে নিয়েছে সব। কয়েকজন চার-পাঁচটে করেও নিয়েছে। আমিও একটা পেয়েছি। কিন্তু নিশিতার জন্য নেই। একটা চুইংগামই তো। দু’টাকা দাম। আমি হা করে তাকিয়ে দেখলাম, নিশিতাকে কয়েকজন বান্ধবী টেনে ধরে রাখছে, সে ওদের ঝাড়া দিয়ে সৌমিককে মারতে যাচ্ছে। পাশাপাশি পুঙ্খানুপূঙ্খ বর্ণনা করে যাচ্ছে কিভাবে চুইংগাম চিবিয়ে নরম করে সৌমিকের শরীরের বিশেষ ছিদ্র দিয়ে ঢুকিয়ে বর্জ্য নিষ্কাশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেবে তার। কি ভয়ংকর! কি ভয়ংকর!
সৌমিক পালালো চতুর্থ পিরিয়ডের পর। পঞ্চম পিরিয়ডে যখন নিশিতা চুইংগাম চিবুতে চিবুতে আমার পাশে এসে বসলো, আমি ভয়ে আর তাকালাম না ওদিক। সৌমিকের রাগ কখন আমার উপর এসে না পড়ে। নিশিতা নিজ থেকেই আমায় সাধলো, ‘চুইংগাম খাবে?’
‘না।’
‘নাও।’
আমি চট করে হাত পেতে নিলাম। হয়তো দ্বিতীয়বার মানা করলে, না থাক। নিশিতা আমায় বলল, ‘তোমায় আগে দেখিনি।’
‘আমি নতুন।’
‘নাম কী?’
‘আসাদ।’
‘আমি নিশিতা। তুমি আমায় আমার পুরো নাম ধরে ডাকবে। আমার সব বন্ধুরা আমায় নিশি ডাকে। কিন্তু নিশি আমার পছন্দ না। নিশি হচ্ছে একটা ভুতের নাম। রাতে এর ওর নাম ধরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। যাকে ডেকে নিয়ে যায়, সে আর ফেরত আসে না। বুঝেছো?’
আমি মাথা ওপর নিচ করলাম। নিশিতা আমায় আরেকটা চুইংগাম সাধলো। আমি হাত পেতে নিলাম। মানা করলে যদি ডেকে নিয়ে যায়। ষষ্ঠ পিরিয়ডের পর নিশিতা আমায় টেনে নিয়ে তার আর সব বন্ধু বান্ধবের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। সবচেয়ে হর্নি বান্ধবীকে চোখ টিপে ইশারাও করে দিলো, আমার সাথে যেন উল্টাপাল্টা কিছু না করে। কেন? আমি জানি না। আমি শুধু জানি, সপ্তম পিরিয়ডের পর আমি নিশিতাকে ভালোবেসে ফেললাম। এক আকস্মিক নাটকীয় ভালোবাসা। আমি লক্ষ্য করলাম, পাশের বেঞ্চিতে অস্থির বসে থাকা এক চঞ্চলা হাওয়া, মুখের সাথে সাথে চোখ দিয়েও কথা বলা যার, এদিক ওদিক তাকানো, পলক ফেলা টুপ টুপ, নিচের ঠোঁট কামড়ে চোখ বুজে আনমনে কোনো একটা গানের সূর মনে করে মাথা দুলানো- আমায় পেয়ে বসলো খুব। আমি সেদিন জানলাম, অমন আলোর গতিতেও মানুষের প্রেম হয়। আদৌ প্রেম? আমি তো বলতে পারবো না কোনোদিন তাকে। বলার প্রয়োজনও হয়নি। আমি তাকে বলিনি, সে আমায় বলেনি অথচ পুরো কলেজ মাত্র দুই সপ্তাহের ভেতর জানলো আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে। সিনিয়র ছেলেপেলে আমায় নিয়ে হাসলো। একজন বলল, পুরো কলেজে যদি এই একটা মেয়েও থাকে, পুরো কলেজ বাদ দে, পুরো দেশে যদি এই একটাই মেয়ে অবশিষ্ট থাকে, তাও আমি তার প্রেমে পড়তাম না। তুই কি ভোদাই?
আমি বোধহয় ভোদাই। কারণ আমার চারপাশ অসম্ভব নির্জন, আমি থাকি একটা বদ্ধ রুমে, আমার পছন্দ নিরবতা, আমি মধ্যাকর্ষণের টানবিহীন কোনো এক নদীর মধ্যিখানের চূড়ান্ত স্থির জল। অথচ আমি ভালোবাসলাম অস্থির ফড়িং কোনো। এক দণ্ড বিশ্রাম নেই যার কোথাও সারাদিন। যার তার সাথে যখন তখন ঝগড়া। হৈ-হুল্লোড়। মাতামাতি। গালাগালি। মারামারি। যখন কলেজে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে আলাপ আলোচনা তুঙ্গে, তখন একদিন নিশিতা এসে আমায় বলল, ‘তুমি কি মজা পাচ্ছো?’
‘কী নিয়ে মজা?’
‘এই যে তোমার আমার সম্পর্ক নিয়ে একটা গুজব ছড়ালো।’
আমার বুকটা অতদিনে বেলুন হয়েছিল ফুলে, নিশিতা একটা আলপিন এনে ঠুস করে ফুটিয়ে দিলো তা। আমি চুপসে যাওয়া স্বরে বললাম, ‘আমি পাত্তা দিই না।’
‘কেন পাত্তা দাও না?’
‘এমনিই।’
‘আমাদের সম্পর্ক, আমার প্রেমে পড়া তোমার কাছে পাত্তা না দেওয়ার মতোন কোনো ঘটনা?’
নিশিতার গলার স্বরেও রাগ, চোখেও। আমার বুকটা ফুলতে আরম্ভ করল আবার। আমি আনন্দে থতমত খেলাম। বললাম, ‘না না না। তা বলছি না। মানে, আমি বলতে চাচ্ছি..’
‘আমি একটা ভোদাই।’
নিশিতা স্বীকার করল সে ভোদাই। শুধু স্বীকার করল না, সে ভোদাই কারণ আমার প্রেমে পড়েছে সে। আমি প্রেমে পড়ার মতোন কোনো ছেলে না। পাত্রপক্ষের দশটা ছবির ভেতর কনে এক দেখায় যার ছবি প্রথম বাদ দেবে, ওটা আমার ছবি। ভোদাই না হলে কোনো মেয়ে আমার প্রেমে পড়বে না। নিশিতা আমার কানে ফিসফিস করল, ‘প্রেম করেছো কোনোদিন?’
‘ছোটবেলায় করেছিলাম।’
‘বড়ো হওয়ার পর করোনি?’
‘না।’
‘আমি ছোটবেলায়ও করিনি। আমি জানিও না প্রেম কিভাবে করতে হয়। আমার ঐ হর্নি বান্ধবী ছয়টা প্রেম করে ফেলেছে ইতোমধ্যে।’
আমি চুপ করে রইলাম। দুইজন অনভ্যস্ত প্রেমিক প্রেমিকা আমরা, কোনোরকম অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রেমে পড়েছি একে অপরের। স্বীকার করছি না একদম। কলেজের শ্যাওলা পড়া ঐ বিল্ডিং-এর ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ইতিউতি এদিক ওদিক তাকিয়ে ফিসফিস করে কথা বলা আমরা দুইজন কোনোদিন ভাবিনি, চার বৎসর পর এমন একটা রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে আমাদের বিয়ে হবে আয়োজন করে। কলেজের সমস্ত বন্ধু বান্ধব উপস্থিত থাকবে। মজা করবে। হৈ-হুল্লোড়ে ভরে যাবে বাড়ি। সৌমিকের আনা গিফট নিয়ে বিয়ে বাড়িতেই এক প্রস্থ মারামারি হবে ফের। নিশিতা গিফট ছুঁড়ে মেরে চিৎকার করবে, ‘প্লাস্টিকের থালা! তুই আমাকে বিয়েতে প্লাস্টিকের থালা দিচ্ছিস? এই থালা দিয়ে আমরা কী করবো? ভিক্ষা?’
সৌমিক এক কাপড়ে পালাবে বাড়ির ভেতর। বিয়েতে শিক্ষক শিক্ষিকারাও আসবেন। কয়েকজন গল্প জুড়ে দিবেন, ‘কত দেখেছি ওদের একসাথে। আমাদের কলেজের প্রথম প্রেমিক প্রেমিকা ওরা। প্রেম যে কত শুদ্ধ হয়, ওদের না দেখলে বিশ্বাস হতো না। কি সুন্দর দু’টো ছেলেমেয়ে এত বৎসর প্রেম করে সংসার শুরু করলো। দেখেন। কি মায়া মায়া।’
কলেজে আমরা সবসময় পাশাপাশি বসতাম। আমার পাশের জায়গা খালি থাকলেও কেউ এসে ওখানে বসতো না। ওর পাশের জায়গা খালি থাকলেও একই অবস্থা। কলেজের প্রতিটি কীট পতঙ্গ জানতো আমাদের কথা। আমার স্পষ্ট মনে আছে, একটা ক্লাসে নিশিতা পেছনের বেঞ্চিতে বসেছিল কোনো একটা বন্ধুর সাথে জরুরি আলাপের জন্য। আমি একলা বসে। শিক্ষক এসে আমার দিকে তাকালেন। পেছনে তাকালেন। এবং কোনোদিনও পাঠ্যপুস্তকের বাইরে একটা অপ্রাসঙ্গিক শব্দও না করা ঐ শিক্ষক আমায় জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের ঝগড়া হয়েছে?’
চার বৎসরে আমাদের মধ্যে তুমুল কোনো ঝগড়া হয়নি। মনোমালিন্য হয়েছে বেশ। প্রথমবার হলো যখন সৌমিকের সাথে আবার মারপিট করল সে। সম্ভবত সেকেন্ড ইয়ার। আমি জানি না, কেন ওর ওপর এত রাগ। সৌমিক নিতান্তই চমৎকার একটা ছেলে। আমার ধারণা, হাত চুলকালেই নিশিতা সৌমিককে খুঁজে মারার জন্য৷ তেমন কোনো কারণ ছাড়াই। এক দুপুরে সৌমিক দৌড়ে কমন রুমের পাশে এলো। আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম একজন বন্ধুর সঙ্গে। আমার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো সে। ফিসফিস করল, ‘আমায় বাঁচা।’
‘কী হয়েছে?’
‘ডাইনিটা আসতেছে ভাই। ওর হাতে ইটের টুকরা। ছোটখাটো হলে ভয় পেতাম না। বড়ো ইটের টুকরা। মাথায় লাগলে অক্কা পাবো।’
আমি ভাবলাম তিলকে তাল বলছে সৌমিক। নিশিতাকে দেখার পর মনে হলো তালকে তিল বলেছে সৌমিক। ক্যাম্পাসে আনিয়ে রাখা ইটের স্তুপ থেকে আকারে প্রায় অর্ধেক একটা ইট হাতে ছুটে এলো নিশিতা। কেন? কারণ জানার পর আমি অবাক হলাম না। নিশিতার সাথে পরিচয়ের পর আমার অবাক হওয়ার ক্ষমতা লোপ পেয়েছিল। সৌমিক টিফিন পিরিয়ডে সিঙ্গাড়া এনেছিল কয়েকটা। বন্ধু বান্ধব সবাই খেয়েছে। নিশিতা ওয়াশরুমে ছিল। এসে দেখল সবার খাওয়া শেষ। প্যাকেটে সিঙ্গাড়া নেই। তাই মারপিট। চুইংগাম, সিঙ্গাড়া! মানুষ তুচ্ছ খাদ্যের জন্য বন্ধুর মাথা ফাটিয়ে দিতে পারে, নিশিতা চোখে আঙুল গুঁতিয়ে জানালো আমায়। ইটের টুকরো উঁচু করে বলল, ‘সরো।’
আমি সরলাম না। নিশিতা ইটের টুকরা ছুঁড়ে মারলো সত্যি সত্যি। আমি হতভম্ব। কস্মিনকালেও ভাবিনি নিশিতা ছুঁড়ে মারবে ওটা। কি রাগ! চট করে বসে পড়ায় সৌমিকের হাতে গিয়ে লাগলো। ব্যান্ডেজ করা লাগলো পুরো হাত। এক সপ্তাহ হাত ঝুলিয়ে হাঁটলো হতভাগা। আমি নিশিতার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিলাম। প্রথম একদিন টের পেল না। আমরা একই বেঞ্চিতে পাশাপাশি বসলেও মাঝখানে দুই বিগত দূরত্ব থাকে এমনিতেও। দ্বিতীয় দিন নিশিতা বেঞ্চিতে এইদিক খসকে খসকে এসে দূরত্ব এক বিগত কমিয়ে আনলো। ফিসফিস করল, ‘তুমি কি আমার ওপর রাগ করেছো?’
আমি চুপ।
‘কথা বলবা না?’
আমি চুপ।
‘আচ্ছা। মাফ চাই।’
আমি চুপ।
‘এখন যদি কথা না বলো, আজকে ইটের টুকরো দিয়ে সৌমিকের মাথা থেঁতলে দেবো।’
আমি আঁতকে উঠে কথা বললাম। ব্ল্যাকমেইল যদি কোনো শিল্প হয়, নিশিতা ঐ শিল্পের ভিঞ্চি। একবার ব্যবহারেই দারুণ ফলাফল তাকে অনুপ্রেরণা দিলো খুব। পরবর্তীতে আমাদের সবরকম মনোমালিন্যে সৌমিক চলে আসতো মাঝখানে। নিশিতা আনতো ওকে। উদাহরণ দিই। বৃষ্টিতে জোর করে ভিজে গায়ে জ্বর আনার জন্য আমি রাগ করে নিশিতার সাথে কথা বলা বন্ধ করেছি একদিন। পরদিন সে আমার কানে ফিসফিস করল, ‘এখন যদি কথা না বলো, ইচ্ছা করে ঝগড়া লাগিয়ে সৌমিকের হাড়গোড় ভেঙে দেবো আমি। খোদার কসম।’
আমাদের বিয়ের সমস্ত আয়োজন সৌমিকের হাতে ছিল। দুপুরের দিকে খাওয়ার টেবিলে পেলাম তাকে। মুরগীর রানের গোশত কামড়ে ধরে হাসতে হাসতে বলল, সবকিছু ফিটিং করে দিলাম। আমি বাঁচলাম। এখন তুই কেমনে বাঁচবি তুই জানিস। নিশিতাকে ইঙ্গিত করা হলো। আমি মনে মনে হাসলাম। হতভাগা কোনোদিন জানতেও পারবে না, কতবার বাঁচিয়েছি আমি তাকে।
‘ভাবীকে কী বলবো?’
আমি বালিশ মাথায় চেপে শুয়ে রইলাম। নিশিতা স্বরুপে ফিরে গেলো তার। বালিশের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করল, ‘যদি বুদ্ধি না দাও, আমি ভাবীকে বলবো তুমি আমার বুকে কামড়ে দিয়েছো।’
আমি তড়াক করে উঠে বসলাম। কারণ আমি জানি, নিশিতা এই কথা খুব হেসে হেসে ভাবীকে বলে দিতে পারবে। কোনোরকম সভ্যতা, ভদ্রতা, লজ্জা কিংবা নম্রতার বালাই না করে। আমায় তড়াক করে উঠতে দেখে নিশিতা খিলখিল করে হাসলো। আমি উঠে দরজা খুললাম। ভাবী ভেতরে উঁকি দিয়ে বললেন, ‘নিশি চিৎকার করল যে?’
‘তেলাপোকা দেখে ভয় পেয়েছে।’
‘ও। আচ্ছা, দরজা বন্ধ করে দাও। আর তেলাপোকা দেখে আস্তে চিৎকার করতে বলো ওকে। সাউন্ডপ্রুফ রুম না। বাসায় মেহমান।’
আমার ইচ্ছে করল একটা গর্ত খুঁড়ি, আর তাতে ধুপ করে ঝাঁপ দিয়ে নিজেই নিজেকে মাটি চাপা দিয়ে দিই। ভাবী নিশিতার চিৎকারের পেছনে আমার দাঁড় করানো চিরকাল ধরে বহমান ঐতিহাসিক যৌক্তিক কারণ পাত্তা না দিয়ে যা ভাবার ভেবে উপদেশ দিয়ে চলে গেলেন। আমি দরজার হুক আটকে ফিরে এলাম বিছানায়। নিশিতা হাসতে হাসতে বিছানায় গড়ালো কয়েকপাক। তারপর উপুড় হয়ে ইশারা করল আমায়, ‘পিঠ চুলকে দাও।’
‘আমি?’
‘তো কি ভাবীকে ডাকবো পিঠ চুলকে দেওয়ার জন্য?’
আমি শুয়ে পড়লাম। সারা রাত্তির জেগে ভোর ভোর চোখ খোলা রাখার চেয়ে মাটি কাটা বেশী সহজ কর্ম। আমার ঘুম দরকার। নিশিতা খিলখিল করে বলল, ‘চুলকাবা নাকি ইয়েস ইয়েস বলে জোরে চিৎকার করবো?’
আমি আঁতকে উঠলাম। তারপর পাশ ফিরে নিশিতার পিঠ চুলকালাম। নিশিতা একটু পরই আমার দিকে ফিরল। আমার চোখজোড়া নিভু নিভু, নাকের ডগায় ঘুম, গালে হাত রেখে আদুরে স্বরে বলল, ‘আমার চঞ্চলতা নিয়েছো তুমি, নির্জনতা নিতে পারবে?’
‘তোমারও বুঝি নির্জনতা আছে?’
‘আছে বৈকি।’
‘অথচ গত চার বৎসর ধরেও আমি হদিস পাইনি তার।’
নিশিতা হাসলো। সারা রাত্তির জেগে থাকার পরও এই মেয়ের চোখে ঘুম নেই একফোঁটা। কি আশ্চর্য সুন্দর। কি উথাল পাথাল স্নিগ্ধতা। রোজ দেখি। চার চারটে বৎসর। কোনোদিন মনে হয়নি এই মেয়েটিকে ঠিক গতকালের মতোন লাগছে আজ। প্রতিদিন অন্যরকম। প্রতি মুহূর্ত আলাদা। প্রতিটি ক্ষণ নতুন। নিশিতা আমার কাছে আসলো খুব। দু’হাতে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটের খুব কাছে ঠোঁট এনে ফিসফিস করল, ‘চার বৎসর আগে সতেরবার সুইসাইড এটেম্প নিয়েছিলাম আমি। একদিন গলায় দড়ি বেঁধে লটকেও গিয়েছিলাম। যখন শ্বাস আটকে আসলো, চোখ কোটর থেকে বের হয়ে আসলো, জিহ্বা বের হয়ে আসলো প্রায়, আব্বু দরজা ভেঙে আমায় বাঁচালেন।’
আমার ঘুম কেটে গেল আচমকা। বাইরে সূর্য উঁকি দিচ্ছে ধীরে। জানালার ফাঁক গলে ফিনকি মেরে ঢুকছে নরম আলো। নড়ে উঠতে দেখে নিশিতা আরও শক্ত করে আঁকড়ে ধরল শরীর আমার। ফিসফিস করল পুনরায়, ‘আমার ওপর রাগ হচ্ছে তোমার?’
আমি তাকিয়ে রইলাম শুধু।
‘রাগ কোরো না। স্কুল থেকে ফেরার পথে আমি আমার একটা বন্ধুকে রাগ করে পরিত্যক্ত একটা কুয়ায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলাম বহু বৎসর আগে। বন্ধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল পরদিন। কাত হয়ে দুই হাঁটু গুঁজে শুয়ে থাকা একটা লাশ। আমি সতেরবার নিজেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছি ঐ কুয়া থেকে। সবকিছু জানার পর তুমি আমায় ভালোবাসবে আসাদ?’
আমি দু’হাতের বাঁধন শক্ত করলাম। ঠোঁট জোড়া নির্বাক, তবে আমার চোখ জোড়া কথা বলল। ছলছল ভাষা। হাতজোড়া কথা বলল। আঙুলগুলো এঁটে বসলো শরীরে আরও। নিশিতা আমার ঠোঁটে আলতো একটা চুমু খেয়ে বলল, ‘কেউ জানে না, আমি একটা কুয়ায় পড়ে আছি আসাদ। আমার উঠা দরকার। হোক অন্দর খানিক অন্ধকার, তুমি আমায় একটু ভালোবেসো। ওতে কোনো ক্ষতি নেই। সূর্য তার সবটুকুন রোদ দেবী খুনী সবার জন্যই বরাদ্দ রাখে।’

🧿সমাপ্ত

⛔‘কুয়া’
🖊️Shakhawat Hossen

স্যালাইনকে শরবত বা জুস ভাবা বন্ধ করুন এবং অবশ্যই ঔষধ মনে করুন।আজকে সোনাগাজীতে ২১ বছর বয়সের একজন ছেলের রক্তে সোডিয়াম লবণ ...
12/11/2024

স্যালাইনকে শরবত বা জুস ভাবা বন্ধ করুন এবং অবশ্যই ঔষধ মনে করুন।

আজকে সোনাগাজীতে ২১ বছর বয়সের একজন ছেলের রক্তে সোডিয়াম লবণ পেয়েছি ১৬০ (স্বাভাবিক হল ১৩৫ -১৪৫ )। তার ইতিহাস থেকে জানলাম পড়শু দিন গরম বেশি লাগায় সে ৩ টি স্যালাইন একসাথে মিশিয়ে এক গ্লাসে খেয়েছে। এরপর থেকে তার অস্থিরতা , মাংস ব্যথা ,মাথা ঘুরানো এবং তীব্র বমি ভাব হচ্ছে।

জটিলতায় চরম পর্যায়ে ব্রেইন কোমায় যেতে পারে , অতঃপর মৃত্যু । মৃত্যুর কারণ কেউ জানবেনা , বলবে কিভাবে কিভাবে যেন মরে গেল!!!!

কি করতে হবে ?

স্যালাইন খেতে হলে অবশ্যই ৫০০ মিলি পানিতে একটি স্যালাইন মিশিয়ে খেতে হবে।

-ডা. তানভীর মাহমুদ তৌহিদ

কথা তিতা হলেও সত্য -বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গৌরব অর্জিত হচ্ছে, আর এই গৌরবের অনেকটা অংশীদার আমাদের ...
31/10/2024

কথা তিতা হলেও সত্য
-
বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গৌরব অর্জিত হচ্ছে, আর এই গৌরবের অনেকটা অংশীদার আমাদের দেশের নারী ফুটবলাররা। তাদের মধ্যে তিনজন আদিবাসী নারী—মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, ও রুপনা চাকমা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মনিকা প্রথম গোল করে আমাদের মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে গেছেন, আর ঋতুপর্ণা জয়সূচক গোলটি করে জয় নিশ্চিত করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গোলরক্ষকের পুরষ্কারও অর্জন করেছেন রুপনা চাকমা। এছাড়া জয়া চাকমা ফিফা রেফারির মর্যাদা পেয়েছেন, যা বাংলাদেশের জন্য আরও এক সম্মানের বিষয়। এ সকল অর্জন বাংলাদেশের খেলাধুলার মর্যাদাকে বিশ্বদরবারে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে।

কিন্তু এ কথা অনস্বীকার্য যে, যখন কোনো সাম্প্রদায়িক বা আঞ্চলিক সমস্যা দেখা দেয়, তখন সমাজের কিছু মানুষ তাদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতে পিছপা হয় না। পার্বত্য আদিবাসীদের কটাক্ষ করে “চুং চ্যাং ফুং” ধরনের অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করা হয়, যা মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। অথচ এই আদিবাসী নারীরাই যখন দেশের গৌরব বাড়ান, তখন তাদের অবদান সহজেই ভুলে যাওয়া হয়।

একটি উন্নত সমাজ গঠনের জন্য আমাদের দরকার বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানো এবং সবাইকে সমান মর্যাদা দেওয়া। আদিবাসী বা অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে অবজ্ঞা না করে, তাদের দেশপ্রেম ও অবদানের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। মনিকা, ঋতুপর্ণা, রুপনা, জয়া—এরা শুধু আদিবাসী নন, তারা আমাদের দেশের বীর কন্যা, যারা বাংলাদেশকে আরও উজ্জ্বল করেছেন।
-

*কবিতায়- পারিবারিক সমস্যা*-*পারিবারিক সমস্যা, হায়, তামাশা নয়,  এটা যে এক কঠিন বোঝা, বোঝ না কেউ সহজে,  যে হৃদয়ে ক্ষত, যে ...
29/10/2024

*কবিতায়- পারিবারিক সমস্যা*
-
*পারিবারিক সমস্যা, হায়, তামাশা নয়,
এটা যে এক কঠিন বোঝা, বোঝ না কেউ সহজে,
যে হৃদয়ে ক্ষত, যে জীবনে অশান্তি,
সেখানে সুখের কোনো চিহ্ন নেই,
শুধু মেঘের গাঢ় ছায়া।*

*মা-বাবার ঝগড়া, ভাইবোনের মনমালিন্য,
এই বিষময় সম্পর্কের জালে জড়িয়ে যায় জীবন,
সুখের দিনগুলো যেন সরে যায় দূরে,
বিরান মরুভূমিতে একা হাঁটে মানবতা,
ভাঙনের শব্দে গুনগুনায় সুর।*

*তবুও আশা হারাবো না,
নতুন সূর্য উঠবে, নতুন আলো ছড়াবে,
সংঘর্ষের মাঝে সেতু গড়তে হবে,
মনের বাঁধন ভেঙে নতুন পথ খুঁজে নিতে হবে,
একটি শান্তিপূর্ণ ঘর, যেখানে মিলন হবে অমল।*

*কিন্তু হায়, যদি অজ্ঞতা অব্যাহত থাকে,
এখনো যদি আঘাত লুকিয়ে থাকে অন্তরে,
তাহলে ঘরে বসে থাকা ক্লান্ত শরীর,
মনের গহীনে যাবে অন্ধকারের দিকে,
পারিবারিক সমস্যা, তুমি ধ্বংসের বীজ।*
-
*লেখনীতে ফরিদা খাতুন ঋতু।*

**মাটি থেকেই শুরু, মাটিতেই শেষ**    -মাটি থেকেই শুরু, মাটিতেই শেষ,  এই জীবনের কাহিনী মাটিরই দেশ।  মাটির ঘ্রাণে বুক ভরে য...
29/10/2024

**মাটি থেকেই শুরু, মাটিতেই শেষ**
-
মাটি থেকেই শুরু, মাটিতেই শেষ,
এই জীবনের কাহিনী মাটিরই দেশ।
মাটির ঘ্রাণে বুক ভরে যায়,
জন্মবীজ বুনে মাটিতেই সজায়।

মাটির কোলে আলো ফোটে ভোর,
মাটি জানে জীবন কী অপরূপ ডোর।
ধূলির ভিতরেই খুঁজে পাই পথ,
এই ধরণীর বুকে জীবনের রথ।

মাটির চরণে রেখেছি মন,
সেই মাটিতেই শেষে রাখব এই প্রাণ।
সৃষ্টির উত্থানে যে মাটির ডাক,
শেষে ফিরব তবু সেই মাটির ছায়াতেই পাক।

কত দিন, কত রাত এ পথে চলা,
মাটি জানে সবার হৃদয়ের কথা।
মাটির বুকে সব আশা মেশে,
এই ধূলির দেশে মিলিয়ে যায় শেষে।

মাটি থেকে উঠি, মাটিতেই মিশি,
এই চিরন্তন গানে মাটিই সবিশেষ,
মাটি থেকেই শুরু, মাটিতেই শেষ।
-
লেখনীতে মোহাম্মদ কামরুল হোসেন।

"প্রেম একবার এসেছিল জীবনে... ❣️❣️ছয় ফুটেরও বেশি লম্বা সেই মানুষটি গ্রেগরি পেক, *রোমান হলিডে* ছবিতে একজন সাংবাদিকের ভূমিক...
28/10/2024

"প্রেম একবার এসেছিল জীবনে... ❣️❣️

ছয় ফুটেরও বেশি লম্বা সেই মানুষটি গ্রেগরি পেক, *রোমান হলিডে* ছবিতে একজন সাংবাদিকের ভূমিকায়। তার পাশে অড্রে হেপবার্ন, বাড়ি থেকে পালানো এক রাজকুমারী। এক রাতের অসাধারণ সব ঘটনা, যা কেবল গ্রেগরির নোটবুকে ধরে রাখা রইল—পত্রিকায় প্রকাশিত হল না একটিও। এই সিনেমা, যা অনেকেরই প্রিয়, আজও মন ভালো করে দেয়। ♦️

আমাদের কৈশোরে সুদর্শন পেক ছিলেন হলিউডের এক প্রিয়মুখ, তার ব্যারিটোন কণ্ঠ ও অভিনয়ের শক্তিমত্তায় সারা বিশ্বের দর্শকদের হৃদয় জয় করেছিলেন। কিন্তু তার খ্যাতির পরও, ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতার কারণে বক্সার মোহাম্মদ আলীর মতোই মার্কিন প্রশাসনের রোষের শিকার হয়েছিলেন।

গ্রেগরি পেক এবং অড্রে হেপবার্ন, এক অবিস্মরণীয় জুটি, অনেক হিট ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন, তাদের সম্পর্কের রসায়ন ছিল সেসময়ের আমেরিকান ট্যাবলয়েডগুলোর হেডলাইন। শুধু রোমান্টিক চরিত্রেই নয়, থ্রিলার ছবিতেও পেক তার প্রতিভা প্রমাণ করেছেন, যেমন *গানস অফ নাভারন* এবং *মবিডিক*। চারবার মনোনয়ন পেলেও, ১৯৬২ সালে *টু কিল এ মকিংবার্ড* ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য অস্কার জয় করেন।

কিন্তু প্রকৃত চমক আসে ১৯৯৩ সালের ২০ জানুয়ারি। আগের দিনই, ৬৩ বছর বয়সে ক্যান্সারে অড্রে হেপবার্ন মারা গেছেন। তার শেষকৃত্যে এসে দীর্ঘদিনের সহ-অভিনেত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পেক আবৃত্তি করলেন একটি কবিতা:

‘আমি যেন শতরূপে শতবার তোমাকেই ভালোবেসেছি,
জন্মে জন্মে, যুগে যুগে, চিরকাল।’

অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? কিন্তু চমক এখানেই—কবিতাটি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! বাংলা মূল, *অনন্ত প্রেম*, শুরু হয়, *“তোমারেই যেন ভালোবেসিয়াছি শতরূপে শতবার, জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।”* গ্রেগরি পেক সেদিন এই কবিতাটিরই ইংরেজি অনুবাদ আবৃত্তি করেন। এবং হ্যাঁ, অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন ছিলেন রবীন্দ্রনাথের একজন ভক্ত!

*কলমে 🖌️ স্বপন সেন 🌲
তথ্য সহায়তা: সনৎ সেন*"
-----------
"Love visited my life once... ❣️❣️

Standing over six feet, Gregory Peck—the man himself—played a journalist in *Roman Holiday*, alongside Audrey Hepburn as the runaway princess. One night filled with unforgettable adventures, captured solely in Gregory’s notebook, leaving no trace in the press. This movie, an all-time favorite, still has the power to lift the spirits of those who watch it. ♦️

In our teenage years, the dashing Peck was a Hollywood heartthrob, captivating audiences worldwide with his powerful baritone voice and remarkable presence. Despite his fame, Peck faced backlash from the U.S. administration, much like boxer Muhammad Ali, for opposing the Vietnam War.

He and Audrey Hepburn, an unforgettable duo, starred in multiple hits, their chemistry often fueling American tabloids. Peck proved his versatility beyond romance, leaving his mark in thrillers like *The Guns of Navarone* and *Moby Dick*. Though nominated four times, he finally won an Oscar in 1962 for *To Kill a Mockingbird*.

But the real surprise came on January 20, 1993. The day before, Audrey Hepburn had passed away at 63, taken by cancer. At her funeral, Peck paid tribute to his long-time co-star by reciting a heartfelt poem:

‘I seem to have loved you in numberless forms, numberless times,
In life after life, in age after age, forever.’

Surprising, isn’t it? But here’s the twist—those words were penned by Rabindranath Tagore! The Bengali original, *Ananta Prem*, begins with, *“Tomarei jeno bhalobasiyachhi shotorupe shoto baar, jonome jonome juge juge onibar.”* Peck recited an English translation of this timeless verse. And yes, Audrey Hepburn was, indeed, an admirer of Rabindranath Tagore.

*Written by 🖌️ Swapan Sen 🌲
With assistance from: Sanat Sen*"

 # # # সফল হতে চাইলে—পরিশ্রম আর মনোভাবের সমন্বয় জরুরিসফলতার পথে চলতে গেলে প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্ব রাখে। আপনার আশেপাশের...
28/10/2024

# # # সফল হতে চাইলে—পরিশ্রম আর মনোভাবের সমন্বয় জরুরি

সফলতার পথে চলতে গেলে প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্ব রাখে। আপনার আশেপাশের অনেকেই হয়তো ইতিমধ্যেই নিজেদের জায়গা তৈরি করে ফেলেছে—কেউ ব্যাংকের ম্যানেজার, কেউ ব্যবসার মালিক, আর আপনিও হয়তো সবে শুরু করছেন। কিন্তু এই পার্থক্যই সব নয়; মূল বিষয় হলো **পরিশ্রমের গুণগত মান**। যারা সামনে এগিয়ে গেছে, তারা শুধু বেশি সময় দেয়নি, বরং সঠিকভাবে সেই সময়টা কাজে লাগিয়েছে।

# # # # 🕰️ সময়ের সদ্ব্যবহার:
- প্রতিটি মানুষের দিন ২৪ ঘণ্টা—কিন্তু সবাই সমান অর্জন করতে পারে না। যারা বাড়তি কিছু করে, তারাই সামনে থাকে। যেমন, আউটসোর্সিং করার সময় অনেকেই রাতে কাজ করে। রাতের এই প্রচেষ্টা তাদের অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রাখে।

# # # # 📚 স্কিল ডেভেলপমেন্টের প্রয়োজন:
- শুধু পরিশ্রম করলেই হবে না, **দক্ষতাও বাড়াতে হবে**। সফল ব্যক্তিরা নিরলসভাবে নতুন কিছু শেখে, জীবনে ব্যর্থতার মধ্য থেকেও শিক্ষা নেয়। ফ্যারাডে শুধু বই বাঁধাইয়ের দোকানে কাজ করেনি—সে প্রতিনিয়ত শিখেছে, তাই বিজ্ঞানী হতে পেরেছে।

# # # # 🎯 লক্ষ্য ঠিক রাখা আর ধৈর্য ধরা:
- সফলতার সহজ কোনো শর্টকাট নেই। বিল গেটস কিংবা স্টিভ জবস এক দিনে তাদের জায়গায় পৌঁছায়নি। **শৃঙ্খলা ও ধারাবাহিক পরিশ্রম** তাদের সফলতার চাবিকাঠি। তাই নিজের স্কিল বাড়ান, বই পড়ুন, নতুন কিছু জানুন।

# # # # 🌱 ব্যর্থতার ভয় নয়, শিক্ষা নিন:
- সফল হতে ব্যর্থতার মধ্যেও সম্ভাবনা খুঁজতে হয়। ব্যর্থতা মানে থেমে যাওয়া নয়, বরং প্রতিটি ব্যর্থতা শেখার নতুন সুযোগ।

# # # # 🔥 উপসংহার:
জীবনটা হাহাহিহি করে কাটিয়ে দিলে মাটির নিচে দাঁড়ানোর জায়গা খুঁজে পাবেন না। তাই এখন থেকেই নিজের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিন। **পরিশ্রম, শৃঙ্খলা, এবং ধৈর্য**—এই তিনটি গুণই আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এগিয়ে যান, **থামবেন না!** আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ১০০০ বার ব্যর্থ হলে ১০০১ বার চেষ্টা করুন, সফলতা ঠিক আপনার অপেক্ষায় আছে।

---

এই পথ চলা সহজ হবে না, কিন্তু প্রতিটি পদক্ষেপ আপনাকে সাফল্যের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
-
লেখনীতে মোহাম্মদ কামরুল হোসেন।

**তুমি দেখতে কালো, তবে মনটা ভালো**  -তোমার রঙ নিয়ে কে করে কথা,  মনটা যে মধুর—সেই তো ব্যাখ্যা।  কালো শরীর আলো হয়ে যায়,  য...
28/10/2024

**তুমি দেখতে কালো, তবে মনটা ভালো**
-
তোমার রঙ নিয়ে কে করে কথা,
মনটা যে মধুর—সেই তো ব্যাখ্যা।
কালো শরীর আলো হয়ে যায়,
যখন ভালোবাসা অন্তরে জায়গা পায়।

দেখা নয় আসল, মনটাই বড়,
স্নিগ্ধতা ছুঁয়ে যায় যতই ধরা।
যে রঙে মিশে হৃদয়ের তাপ,
সেই তো জীবনের আসল শাপ্লাপ।

তুমি কালো, তাতে কী আসে যায়?
ভালো মনের ছোঁয়া জীবনে সায় দেয়।
রঙ শুধু বাহির, হৃদয় তার রাণী,
তোমার ভালোবাসা থাকে চিরকালই জানি।

শুভ্র আলো ঝরে তোমার স্নেহে,
তোমায় দেখে মন হাসে গোপনে।
তুমি কালো হলেও মনটা যে স্বর্ণ,
তোমার মতো মানুষ জীবনে অনন্য।
-
*লেখনীতে জেসমিন আক্তার জুঁই।*

**চাকুরীজীবি**  *লেখনীতে জেসমিন আক্তার জুঁই*-চাকরির বোঝা বয়ে তবু পথ চলা যায়,  তুমি ক্লান্ত হলে মন, একটু থেমে হাওয়া খা...
28/10/2024

**চাকুরীজীবি**
*লেখনীতে জেসমিন আক্তার জুঁই*
-
চাকরির বোঝা বয়ে তবু পথ চলা যায়,
তুমি ক্লান্ত হলে মন, একটু থেমে হাওয়া খাওয়ায়।
স্বপ্নেরা ধোঁয়াটে হলে একটু সময় দাও,
হয়তো নতুন ইচ্ছারা মনের দরজায় কড়া নেড়ে যাবে—আশা পাও।

ক্লান্তি এলে বলে না, সব শেষের গান,
ক্লান্তির মাঝে লুকায় বিশ্রামেরই আহ্বান।
তুমি দাঁড়াও, একটু জিরিয়ে নাও,
দেখো আবার মন চায় নতুন পথ খুঁজে পাও।

জীবন এক বহতা নদী—ক্লান্তি তার ঢেউ,
তবুও চলবে সে, যতক্ষণ তুমি আশা রাখো ঢেউয়ের বুকে। 🌊

"চাকরি" যে হোক কেবল যাত্রার এক ধাপ,
নতুন গন্তব্যে পৌঁছবে তুমি—এই তো ভবিষ্যতের চাপ।

Address

Dubai

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jui posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jui:

Share