Muslim Beliefs

Muslim Beliefs সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক মোহ👽👽

এমন মেয়ে যেন আর কোন মা বাবার গর্ভে থেকে সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে না পাঠায়।যে সন্তান নিজের বাবার চোখের পানি বুঝল না,যে নিজে...
08/11/2025

এমন মেয়ে যেন আর কোন মা বাবার গর্ভে থেকে সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে না পাঠায়।

যে সন্তান নিজের বাবার চোখের পানি বুঝল না,
যে নিজের জন্মদাতার মান-সম্মান ভুলে অন্য কারও টানে চলে গেল,তার জন্য বাবার মন গলানো উচিত নয়।
বাবা ১৮ বছর ধরে লামিছাকে আগলে রেখেছিলেন,
এক ফোঁটা কষ্ট যেন না পায় সেই চিন্তায় দিন কাটিয়েছেন।

সম্পর্ক এমন কারো সঙ্গে করা উচিত ছিল যে ছেলেকে মা-বাবা মেনে নেবে ‌।কারণ, মা-বাবার ও স্বপ্ন থাকে ছেলেমেয়ে কে নিয়ে।

কিন্তু আজ সেই মেয়েই সোহাগ নামের এক ছেলের হাত ধরে সবকিছু পেছনে ফেলে চলে গেছে। বাবা চুপ আছেন, কিন্তু তাঁর নীরবতা হাজারটা কান্নার থেকেও বেশি কষ্টদায়ক।আর সেই কান্না শুধু একজন বাবার নয়,এটা প্রতিটি বাবা-মায়ের হৃদয়ের আর্তনাদ,
যারা সন্তানের জন্য সব দিয়েছে, অথচ শেষে পেয়েছে অবহেলা আর কষ্ট।

তবে এই মুহূর্তে মা-বাবার উচিত যে মেয়ে অবাধ্য তাকে ছেড়ে দেয়া । হয়রানি না করে। কারণ, দিন শেষে তাদেরই সন্তান।মেয়ে যদি কলাপাতার ঘরে, ডাল ভাত খেয়ে শান্তি খুঁজে পায় তাহলে তো মেয়ের সুখে তাদের সুখ অনুভব করা উচিত।

আমি সেই বাবার পাশে আছি
কারণ, সব কিছু ক্ষমা করা যায়, কিন্তু বাবার চোখের পানি ভুলে যাওয়া যায় না।বাবা মেনে না নেওয়া মানে ঘৃণা নয়,এটা এক বাবার আত্মসম্মান,যে এখনো নিজের ভালোবাসাকে অপমান হতে দেয়নি।

07/11/2025

“নিশ্চয়ই, আমরা আল্লাহর জন্য, এবং আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব।”

আল-বাকারা [২:১৫৬]

জুমা মোবারক 😌

05/11/2025
04/11/2025

তোমাকে জিততে হবে
মনে রেখো ফেরার সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে!

কাউকে তোমার পৃথিবী বানানোর আগে হাজার বার ভাবো। একটা মানুষ কখনোই কারো পৃথিবী হতে পারে না, হওয়া সম্ভব না।এই পৃথিবীর পুরোটা...
03/11/2025

কাউকে তোমার পৃথিবী বানানোর আগে হাজার বার ভাবো। একটা মানুষ কখনোই কারো পৃথিবী হতে পারে না, হওয়া সম্ভব না।

এই পৃথিবীর পুরোটা জল হলে তুমি ভেসে যেতে, পুরোটা স্থল হলে তুমি তৃষ্ণায় মরে যেতে – সব জায়গাতেই ব্যালেন্স লাগে। তোমাকে পরিমাণটা বুঝতে হবে, তুমি কতটুকু দিচ্ছ একটা মানুষকে – কতটুকু দেয়া দরকার? সময় থাকতেই প্রশ্ন করো নিজেকে।

ভালো লাগা থাকবেই, কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভালো লাগা মানুষকে অন্ধ করে দেয়, আর অন্ধ মানুষ একটা হাত পেলেই তাকে ভরসা করতে শুরু করে। সে জানে না, ওই হাতটা তাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে নাকি মাঝপথে ছেড়ে চলে যাবে।

অন্ধ মানুষগুলো হেরে যায় দিনশেষে। ভুল মানুষকে বিশ্বাস করে, তার ওপর ভরসা করে নিঃশেষ হয়ে যায়! তাই চোখ থাকার পরও অন্ধ হয়ে যেও না, এই পৃথিবী হেরে যাওয়া মানুষদের মনে রাখে না।

কাউকে তোমার পুরো পৃথিবী বানিয়ে ফেলো না, কাউকে তোমার পুরো পৃথিবী দিয়েও ফেলো না। একজন মানুষকে এক আকাশ সমান ভালোবাসা দেবার আগে ভেবে নিও, ওই আকাশের নিচে তারা গোনার স্বপ্ন দেখেছিলে যে মানুষটার সাথে, সেই মানুষটা থাকবে তো? হয়ত একদিন ওই মানুষটা তোমার আকাশটাই চুরি করে চলে যাবে, তোমার বুকের ভেতর জমে থাকা মেঘগুলো কিন্তু রয়ে যাবে তখনো।

সেই মেঘ ঝরে ঝরে সমুদ্র সমান অশ্রু হবে, আর সেই সমুদ্রের তীরে তুমি একা দাঁড়িয়ে থাকবে। তুমি তখন টের পাবে, তোমার আকাশ বিহীন পৃথিবীতে তুমি কি ভীষণ একা! কারণ, একটা মানুষকে পুরো পৃথিবী বানানোর সময়, তাকে হৃদয় নিংড়ে ভালোবাসা দিয়ে, অন্য মানুষগুলোকে তুমি নিজের অজান্তেই সরিয়ে দিয়েছিলে দূরে, অনেক অনেক দূরে!

নিজের "সব" কাউকে দিয়ে দিতে হয় না। "কিছু" দিতে হয়, ওই "কিছু" নিয়ে কেউ চলে গেলে "কিছু" থেকে যায়, সেই বাকি "কিছু"কে আকড়ে ধরে বাকি জীবনটা বাঁচা যায়। কেউ সব নিয়ে চলে গেলে, কেবল শূন্যতাই থেকে যায়! শূন্যতা আকড়ে ধরে বেঁচে থাকা যায় না, একদমই বেঁচে থাকা যায় না।

নেন এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুরমার সাথে এই চাইনিজ ছেলের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এপ্স থেকে পরিচয় মাত্র ১ মাস। কেউ কারো ভাষা বুঝে...
02/11/2025

নেন এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুরমার সাথে এই চাইনিজ ছেলের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এপ্স থেকে পরিচয় মাত্র ১ মাস। কেউ কারো ভাষা বুঝে না। ইংরেজি জানে না। ভয়েস ট্রান্সলেটর দিয়ে কথা বলে!!

যেখানে গত ২৫ মে, ঢাকার চীনা দূতাবাস থেকে নিজ নাগরিকদের সতর্ক করেছে এই ধরণের বিয়েতে না জড়াতে! বিশেষ করে তাদের দেশের নিঃসঙ্গ পুরুষরা যেন, বিদেশী স্ত্রী কেনায় না জড়ায়, অনলাইন ডেটিং, সোলম্যাট সাইট স্ক্যামে না জড়ায়/এজেন্টদের ফাঁদে না পড়ে।

মানে সরাসরি, স্বীকার করে নাই যে, চীনা পাত্রগুলোই এমন! বুঝিয়েছে, পাত্ররা স্ক্যামে পড়তে পারে। অথচ এই পাত্ররাই মেয়েগুলোকে বিয়ে করে নিয়ে যায় এবং বিক্রি করে দেয়। এতকিছুর পরেও দেশের মূর্খ, লোভী মেয়েগুলো তা শুনছে না।

মাসখানেক আগে, চাইনিজদের 'নারী পাচার' নিয়ে সতর্ক করে একটি পোস্ট করেছিলাম। যেন লেখাটি আমার পরিচিত ঐ মেয়ের চোখে পড়ে। তার বিয়েটা বন্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু পোস্টটি মেয়েটি দেখার পরও বলেছিলো, 'তাঁর বয়ফ্রেন্ড এমন নয়। ভিডিওকলে ওর বাবা মাকে আমরা দেখেছি। উনারাও বিয়েতে রাজী।'

ভাবেন একবার , ছেলের বাড়িঘর কিছুই দেখেনি। ভিডিওকলে যে কাউকে বাবা মা হিসেবে সাজালেও কী ঐ মেয়ের বুঝার কথা?

যেখানে এদের পরিচয় মাত্র দুই সপ্তাহ!!! দুই সপ্তাহের পরিচয়ে বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত!!

অথচ এই মেয়ের মুখেই শোনা তার ঐ বয়ফ্রেন্ড তাকে বলেছিলো, 'তোমার পরিচিত কোন গরীব ঘরের মেয়ে হবে? আমার এক সিনিয়র ফ্রেন্ড, একটু বয়স্ক, পাত্রী খুঁজছেন। দেখো না পাত্রী পাও কীনা। পাত্রী ম্যানেজ করে দিতে পারলে, টাকাও দিবেন।'

এত বড় প্রমাণের পর মনে হয় না আসলে কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ চাইনিজদের এই ফাঁদে পা দিবে। ঐ মেয়েটি তারপরেও দিয়েছে। বিয়েও করেছে।

আজকে ১৮ বছর ধরে প্রায় ইন্টারনেট চালাই। সোশ্যাল মিডিয়া বলতে ফেসবুকটাই চালানো হয়। ইন্সটা, টুইটার একাউন্ট থাকলেও তেমন ব্যবহার করি না।

আর আমাদের দেশের এই ওভারস্মার্ট মেয়েগুলো **** Talk,**** Talk ইত্যাদি বেনামী এপ্স চালায়! এদের বেশীরভাগই দরিদ্র, মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে। গ্রাম গঞ্জের।

মেয়েগুলো এপ্স যখন ইন্সটল করে, তখনই মাথার মধ্যে এই প্লান নিয়েই করে যে, এই এপ্স থেকে কোন ছেলেকে পটিয়ে বিয়ে করবো! এখন এই এপ্সগুলোর নাম এরা জানে কীভাবে? নিশ্চয়ই ইউটিউব, ফেসবুকের মুখরোচক বিজ্ঞাপন দেখেই সন্ধান পায়।

এরপর চাইনিজ স্ক্যামার ছেলেদের ফাঁদে পড়ে। প্রেম হয়। ছেলে জানায়, আমি নাস্তিক। ইসলাম ধর্ম বা তোমার গ্রহন করতে রাজী আছি। মেয়ে আরও গলে যায়। এরপর ছেলে ছুটে আসে। এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কিন্তু এদের মধ্যে বিন্দুমাত্র ভয় ভীতি, লজ্জাবোধও কাজ করে না। এরা আরও ভাইরাল হওয়ার জন্য মিডিয়ার কাছে ইন্টারভিউও দেয়। যেন অনেক বড় ভালো কাজ করে ফেলেছে।

দুই সপ্তাহ আগের কথা। এক মেয়েকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। এভাবেই প্রেম। বিয়ে। নিজে বিয়ে করার পর। আপন খালাতো বোনকেও বিয়ে দিয়ে চীনে নিয়ে যান। যাওয়ার পর টের পান এরা ফাঁদে পড়ে গিয়েছে। জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করানো হচ্ছে। নিজে পালিয়ে আসতে পারলেও খালাতো বোন এখনও ওখানে বন্দি।

লেখা আর বড় করবো না।

'গত কয়েক মাস বা বছর ধরে বাংলাদেশে চীনা ছেলেরা আসছে। বেনামী এপ্সের *** Talk, **** Talk এর মাধ্যমে আমাদের দেশের মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করে। অতঃপর বাংলাদেশে এসে ইসলাম ধর্ম বা মেয়ের যেই ধর্ম সেটি গ্রহণ করে ইম্প্রেস করে। হিন্দু ধর্মের মেয়ে পটিয়েছে এমন কেস সম্ভবত একটি পেয়েছিলাম।

অতঃপর বিয়ে করে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের দেশে।

নিউজসূত্রের মতে, এদেরকে চীনের গ্রামগুলোতে কোন বুড়ো লোকের স্ত্রী হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছে, নয়তো জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করাচ্ছে। এক সন্তাননীতির কারণে চীনের গ্রামগুলোতে প্রচণ্ড নারী সংকট! বিয়ে করার জন্য বুড়োরা মেয়ে পাচ্ছে না।

সেই সংকট পূরণের জন্য মানব পাচার করা হচ্ছে। এদের টার্গেট দেশ: বাংলাদেশ, নেপাল, ভারতের দরিদ্র বা লোভী মেয়েগুলো! যাদের পটানো অনেকটা সহজ।'

সতর্ক করার দরকার ছিলো: আবারও সতর্ক করে দিচ্ছি। ভুলেও কেউ চাইনিজদের ফাঁদে পা দিবেন না।

আমার তো মনে হচ্ছে: ✅ Save Our Bangladeshi Sisters from Chinese Men ক্যাম্পেইন চালানো জরুরী

এইমাত্র ৩ পিচ্চি এসে বলল তারা পড়ে থাকা সমস্ত পাতা পরিস্কার করে দিবে বিনিময়ে ১৫ ডলার নিবে, তারমানে প্রতিজন পাবে ৫ ডলার ...
02/11/2025

এইমাত্র ৩ পিচ্চি এসে বলল তারা পড়ে থাকা সমস্ত পাতা পরিস্কার করে দিবে বিনিময়ে ১৫ ডলার নিবে, তারমানে প্রতিজন পাবে ৫ ডলার করে। তার মানে এই বয়সে সে শিখবে পাঁচ ডলার কামাতে কি রকম পরিশ্রম করতে হবে, খুব ভালো লাগলো সেই সাথে মনে পরল আলমানযোর সেই গল্প

সর্টকাটে পাওয়া টাকা কোনসময়ই ভালো কিছু আনে না। যে জন্য দেখবেন এই যে হঠাৎ শত কোটি টাকার মালিক হওয়া লোকেরা নিজেদের জীবনটা যেমন শান্তিতে উপভোগ করতে পারে না, তেমন তাদের একটা সন্তানও মানবিক হয় না। নিজেদের সন্তানও তাদের দেখে না। এই নিয়ে ছোট্ট বেলার বন্ধু আলমানযো আমায় যে শিক্ষা দিয়েছিল, সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি, একটু মন দিয়ে পড়লেই হয়তো একমত হবেন। --

উত্তরের ঠাণ্ডা এলাকায় থাকে ওরা , কিন্তু গ্রীষ্মকালে আয়োজিত মেলায় গেছে ক্ষুদে আলমানযো তার বাবা-মা-ভাই-বোনদের নিয়ে। এটা সেই মেলার অমূল্য অভিজ্ঞতা- তার ও আমাদের জন্য-

"এক জায়গায় গোলাপী লেমোনেড বিক্রি হচ্ছে, এক নিকেলে এক গ্লাস। শহরের ছোকরারা ভিড় করেছে দোকানটার আশেপাশে। আলমানযো দেখল ওর চাচাতো ভাই ফ্র্যাঙ্কও আছে ওদের মধ্যে। শহরের পাবলিক পাম্প থেকে পানি খেল আলমানযো, কিন্তু ফ্র্যাঙ্ক বলল ও লেমোনেড খাবে। এক নিকেল দিয়ে এক গ্লাস গোলাপী লেমোনেড কিনে ধীরে সুস্থে তারিয়ে তারিয়ে খেল ও, তারপর ঠোঁট চেটে বলল, 'দারুণ! তুমিও খাও না এক গ্লাস?' 'নিকেল কোথায় পেলে?' জিজ্ঞেস করল আলমানযো। '

কেন, বাবা দিয়েছে,' বড়াই করে বলল ফ্র্যাঙ্ক। 'যখনই চাই তখনই দেয়।'

'আমি চাইলে আমার বাবাও দিত,' বলল আলমানযো।

'তা হলে চাইছ না কেন?' তামাশা করে বলল ফ্র্যাঙ্ক। বিশ্বাস করেনি সে আলমানযোর কথা।

'কারণ, আমার চাওয়ার ইচ্ছে নেই।'

'আসলে দেবে না, তাই না? চাইলেও দেবে না!' বাঁকা হাসছে ফ্র্যাঙ্ক।

'দেবে।'

'তা হলে চেয়ে দেখো দেয় কি না।' ফ্র্যাঙ্কের বন্ধুরাও কৌতূহলী হয়ে শুনছে

ওদের কথোপকথন।

দুই পকেটে হাত ভরে আলমানযো ঘোষণা করল, 'আমার ইচ্ছে হলে

চাইব।'

'বুঝেছি। চাইলেও পাবে না!' বলল ফ্র্যাঙ্ক। 'চাওয়ার সাহসই নেই তোমার, কারণ, জানো, দেবে না।'

কিছুটা দূরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মিস্টার প্যাডকের সঙ্গে কথা বলছে বাবা। ওয়‍্যাগন তৈরির বড়সড় এক কারখানার মালিক উনি। ধীরপায়ে ওদের দিকে এগিয়ে গেল আলমানযো। যতই এগোচ্ছে ততই ভয় বাড়ছে, যদি বাবা সত্যিই নিকেল না দেয়? এর আগে কোনদিন পয়সাকড়ি চায়নি ও বাবার কাছে, দরকারই পড়েনি।

চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকল ও। কথা শেষ করে ওর দিকে ফিরল বাবা।

'কী হয়েছে, বাপ?'

ভয়ে ভয়ে আলমানযো বলল, 'বাবা...' শুকিয়ে আসছে গলাটা।

'হ্যাঁ, বলো, বাপ।'

'বাবা, তুমি কি... তুমি কি চাইলে আমাকে একটা নিকেল দেবে?' বাবা আর মিস্টার প্যাডক, দুজনেই তাকিয়ে আছে ওর দিকে। আলমানযোর

মনে হলো এক দৌড়ে ছুটে পালায়। কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে বাবা বলল,
'কী করবে?'

পায়ের মোকাসিনের উপর দৃষ্টি, মরে যাচ্ছে অস্বস্তিতে, কোনমতে বলল আলমানযো, 'ফ্র্যাঙ্কের কাছে একটা নিকেল ছিল, গোলাপী লেমোনেড কিনেছে ও।'

'বেশ,' ভেবেচিন্তে বলল বাবা, 'ও যদি তোমাকে খাইয়ে থাকে, তোমার উচিত ওকে কিনে খাওয়ানো।' পকেটে হাত ভরল বাবা, তারপর হঠাৎ দোত সরাসরি প্রশ্ন করল, 'ও তোমাকে লেমোনেড খাইয়েছে?'

নিকেলটা পাওয়ার আগ্রহে মাথা ঝাঁকাল আলমানযো। পরমুহূর্তে ছটফট কা উঠে মাথা নাড়ল, নিচু গলায় বলল, 'না, বাবা।'

অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকল বাবা ওর দিকে। গোটা ব্যাপারটা আন্দাজ করা নিয়ে পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে খুলল। ধীরেসুস্থে বের করল রুপে একটা গোল আধডলার। জিজ্ঞেস করল, 'আচ্ছা, আলমানযো, এটা কী বলছে পারো?'

'আধডলার,' জবাব দিল আলমানযো.।

'ঠিক। কিন্তু আধডলার আসলে কী তা জানো?'

আলমানযো মাথা নাড়ল, আধডলার ছাড়া আর কী হতে পারে জানে না।

'এটা হচ্ছে কাজ,' বলল বাবা, 'টাকা হচ্ছে কাজ, কঠিন শ্রম।'

মিস্টার প্যাডক মৃদু হাসলেন। 'খুবই ছোট বাচ্চা,' বললেন তিনি।

'এসব বোঝার কি বয়স হয়েছে ওর, ওয়াইল্ডার?'

'দেখো না,' জবাব দিল বাবা, 'আসলে যা ভাবছ তার চেয়ে অনেক বুদ্ধিমা

ছেলে ও।'

জবাব না দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকল আলমানযো। একটা নিকেল চাইছে এসে এমন বিপদ হবে জানলে আসতই না। এখন পালাতে পারলে বাঁচে।

'আলুর চাষ কী করে করতে হয় তুমি জানো, তাই না, আলমানযো?' 'জানি,' ঝটপট জবাব দিল আলমানযো

। 'ধরো, বসন্তকালে একটা বীজ-আলু পেলে, কী করবে ওটা দিয়ে?' 'কেটে টুকরো করব, দু'তিনটে মুখ থাকবে প্রতিটা টুকরোয়,' বলল আলমানযো।

'তারপর? বলতে থাকো।'

'খেতে সার দিয়ে লাঙল দিতে হবে, তারপর মই দেওয়ার পর দাগ টানা জমিতে। আলু লাগিয়ে লাঙল আর নিড়ানি দিতে হবে দুই বার।'

'ঠিক। তারপর?' 'তারপর ওগুলো খুঁড়ে তুলে তলকুঠুরিতে রেখে দেব। গোটা শীতকাল থাকে ওগুলো ওখানে, মাঝে মাঝে ছোট আর পচা বেছে ফেলতে হবে। পরের বছরে গাড়ি ভর্তি আলু এনে বিক্রি করব এই শহরে।'

'হ্যাঁ। যদি ভাল দাম পাও তা হলে আধ-বুশেল আলুর জন্য কত পাবে?'

'আধডলার,' বলল আলমানযো।

'ঠিক বলেছ, বাপ,'খুশি হলো বাবা। 'আধ-বুশেল আলু চাষ করার খাটুনি
রয়েছে এই আধডলারে।

রুপোর চাকতিটার দিকে চেয়ে খাটুনির তুলনায় খুবই ছোট মনে হলে আলমানযোর।

'এটা এখন তোমার,' বলল বাবা।

নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছে না আলমানযো। কিন্তু বাবা সত্যিই ওটা এগিয়ে দিচ্ছে দেখে হাত বাড়িয়ে নিল। 'এটা তোমার,' আবার বলল বাবা। 'ইচ্ছে করলে ছোট্ট একটা মাদী শুয়োর কিনতে পারো এটা দিয়ে। যদি পেলেপুষে বড় করতে পারো, একগাদা বাচ্চা দেবে ওটা-বড় হলে ওগুলো প্রত্যেকটার জন্য পাবে চার কি পাঁচ ডলার করে। আবার ইচ্ছে করলে পুরো আধডলার দিয়ে লেমোনেড কিনে খেতে পারো। কেউ
কিচ্ছু বলবে না, তোমার যা খুশি। তোমার টাকা দিয়ে যা খুশি তাই করতে পারো তুমি। যাও।'

আধডলারের মুদ্রাটা হাতে নিয়ে কয়েক সেকেন্ড বিহ্বল ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকল আলমানযো, তারপর ওটা পকেটে পুরে চলে এল লেমোনেড স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো ছেলেদের কাছে।

লেমোনেড বিক্রেতা হাঁকছে: "এদিকে আসুন, এদিকে আসুন! ঠাণ্ডা
লেমোনেড, শীতল গোলাপী লেমোনেড! এক গ্লাস মাত্র পাঁচ সেন্ট! মাত্র আধ ডাইমে বরফ-শীতল গোলাপী লেমোনেড! আসুন, আসুন!'

'কই, নিকেল কোথায়? দেখি?' সাগ্রহে এগিয়ে এল ফ্র্যাঙ্ক।

'নিকেল দেয়নি বাবা,' বলল আলমানযো।

টিটকারির হাসি হেসে উঠল ফ্র্যাঙ্ক। 'ইয়াহ্, ইয়াহ্! আমি বলেছিলাম না,

দেবে না? দেখলে?'

'নিকেল দেয়নি, চাইতেই আধডলার দিয়েছে,' নিচু, নরম গলায় বলল আলমানযো।

'মিথ্যে কথা!' বলল ফ্র্যাঙ্ক। অন্য ছেলেরা চাপ দিল, 'তা হলে দেখাও।'

সত্যি সত্যিই ওর হাতে আধডলার দেখে হাঁ হয়ে গেল সবার মুখ, দুচোখ যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসবে ফ্র্যাঙ্কের। সবাই ঘনিয়ে এল, দেখবে এত টাকা আলমানযো কীসে খরচ করে। কিন্তু নির্বিকার ভঙ্গিতে মুদ্রাটা পকেটে রেখে দিল ও।

'বাচ্চা একটা শুয়োর কিনব এটা দিয়ে-পুষব।'''

উপরের অনুবাদটুকু লরা ইঙ্গলস ওয়াইল্ডারের ' ফার্মার বয়' থেকে প্রিয় কাজী আনোয়ার হোসেনের রূপান্তরিত অংশ। বইটি প্রকাশিত হয়েছে সেবা প্রকাশনী থেকে।

মায়ের অফিসে ( রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে) প্রথম দেখা হয়েছিল আলমানযোর সাথে স্কুল জীবনেই। ভাগ্যিস হয়েছিল ।

এই সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখার সাথে আপনার দ্বিমত থাকলে কারণ সহ জানাতে পারেন-

এক গ্রামে এক যুবক আর তার সুন্দরী স্ত্রী বাস করত। একদিন গ্রামের মোড়লের নজর পড়ে যুবকের স্ত্রীর প্রতি।মোড়ল মনে মনে ফন্দি...
31/10/2025

এক গ্রামে এক যুবক আর তার সুন্দরী স্ত্রী বাস করত। একদিন গ্রামের মোড়লের নজর পড়ে যুবকের স্ত্রীর প্রতি।

মোড়ল মনে মনে ফন্দি আঁটে, কীভাবে যুবকটিকে কিছুদিনের জন্য বাড়ি থেকে দূরে পাঠানো যায়।

কয়েকদিন পর এক আসরে মোড়ল আলোচনা তোলে, "শহরে আমার পরিচিত এক ফ্যাক্টরিতে কিছু লোক নেবে। কে কে যেতে চাও?"

এরপর সে ৪ জন লোক বাছাই করে, যার মধ্যে যুবকটিও ছিল। পরদিন ওই ৪ জন শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

সেদিন রাতে মোড়ল চুপিচুপি যুবকের বাড়ির দিকে এগোয়। অন্ধকার বারান্দায় বাঁশের খুঁটিতে ধাক্কা খেয়ে সে শব্দ করে ফেলে। যুবকের স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায়। ভয় পেয়ে সে জিজ্ঞাসা করে, "কে ওখানে?"

মোড়ল নিজের পরিচয় দিলে মেয়েটি অবাক হয়ে বলে, "এত রাতে? সবকিছু ঠিক আছে তো?"

মোড়ল তখন নিজের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করে, "তোমাকে দেখার পর থেকে মনে শান্তি নেই! তোমাকে আমি চাই।"

মেয়েটি একটুও রাগে না। স্বভাবজাত ধীরস্থির কণ্ঠে বলে, "ভালোবাসা চাইলে ঠিক আছে, তবে আগে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিন। যদি সঠিক উত্তর দিতে পারেন, তবে আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ হবে।"

মোড়ল খুশি হয়ে বলে, "বলো, বলো!"

মেয়েটি তখন বলে, "মাংসকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করতে আমরা লবণ ব্যবহার করি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, লবণই যদি নষ্ট হয়, তাহলে মাংসকে পচন থেকে রক্ষা করব কীভাবে?"

মোড়ল গভীর চিন্তায় ডুবে যায়। একদিন একরাত পেরিয়ে যায়, কিন্তু সে কোনো উত্তর খুঁজে পায় না। পরের দিন আসরে সে সবার উদ্দেশ্যে প্রশ্নটি করে, কিন্তু কারো কাছ থেকেই সন্তোষজনক কোনো উত্তর আসে না। আসরের এক কোণে এক বৃদ্ধ চুপচাপ বসে মাথা নাড়ছিল। মোড়ল তাকে জিজ্ঞেস করে, "কি ব্যাপার, আপনি অকারণে মাথা নাড়ছেন কেন?"

বৃদ্ধ উত্তর দেয়, "কারণ, এটা কেবল একটা প্রশ্ন নয়, এটা একটি নীরব বার্তা! পুরো ঘটনাটা আমি জানি, মেয়েটি আমাকে সবকিছু খুলে বলেছে। সে চাইলে তোমাকে অপমান করতে পারত। কিন্তু তা না করে তোমার বিবেক জাগিয়ে দিল।"

তারপর বৃদ্ধ ব্যাখ্যা করে, "লবণ মাংসকে পচে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। কিন্তু লবণ যদি নিজেই নষ্ট হয়ে যায়, তবে মাংসকে রক্ষা করবে কে? অর্থাৎ, সাধারণ মানুষ ভুল করলে নেতা তাদের সঠিক পথ দেখায়, কিন্তু নেতা যদি নিজেই বিপথগামী হয়, তখন জনগণকে কে রক্ষা করবে?"

মোড়ল লজ্জায় মাথা নিচু করে।

পিতা-মাতা যদি বিপথে যায়, কে সন্তানকে পথ দেখাবে? যদি শিক্ষক পথ হারায়, কে জ্ঞানের আলো ছড়াবে? যদি বিচারক, নেতা, সেনাবাহিনী, পুলিশ পথভ্রষ্ট হয়, কে জাতিকে রক্ষা করবে?

#সংগৃহীত

আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুক🤲🤲
28/10/2025

আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুক🤲🤲

আহ দেশের কি করুন অবস্থা আল্লাহুম্মাগফীরলি
23/10/2025

আহ দেশের কি করুন অবস্থা আল্লাহুম্মাগফীরলি

শান্তিপুরের এক পুরনো টালির বাড়িতে থাকে অরিন্দম—হাসিখুশি, সহজ-সরল মানুষ। পেশায় স্কুল মাস্টার। সকাল শুরু হয় মন্দিরের ঘণ...
22/10/2025

শান্তিপুরের এক পুরনো টালির বাড়িতে থাকে অরিন্দম—হাসিখুশি, সহজ-সরল মানুষ। পেশায় স্কুল মাস্টার। সকাল শুরু হয় মন্দিরের ঘণ্টার শব্দে, শেষ হয় ছাদের পায়রার ডানার আওয়াজে।

বছর কুড়ি আগে ওর ঠাকুরদা প্রথম পায়রা পোষার নেশা ধরিয়েছিল। তখন থেকেই অরিন্দমের জীবনে পায়রা মানে শান্তি, ভালোবাসা, ঘরের প্রাণ। এখন তার ছাদে প্রায় আশিটা পায়রা—সাদা, ধূসর, বাদামী, রঙে রঙে ভরা।

প্রতিদিন ভোরে সে দানার হাঁড়ি হাতে ছাদে যায়।
মুহূর্তের মধ্যে আকাশ ভরে যায় ডানার শব্দে।

ও ওদের নাম রেখেছে “মেঘ”, “ঝড়”, “সাদা রাজা”, “গোলাপি রানী”—যেন নিজের সন্তানদের মতো। এমনকি ওদের জন্য বানিয়েছে বাঁশের খোপ, খড়ের বিছানা, জলের হাঁড়ি।
সব নিজের হাতে।

একদিন হঠাৎ রাতে হালকা কাশি সবকিছু বদলে দিল। প্রথমে ভেবেছিল ঠান্ডা লেগেছে। হোমিওপ্যাথির বড়ি খেলে ঠিক হবে।
কিন্তু ঠিক হলো না। কাশি দিন দিন ঘন হল। হাঁটলে হাঁপাচ্ছে, রাতে ঘুমের মধ্যে বুক ধড়ফড় করছে।

স্ত্রী একদিন বলল, “তুমি সারাদিন ওই পায়রার ধুলো-মল-এর মধ্যে থাকো, কিছু হবে না?”

অরিন্দম হেসে বলল, “ওরা তো আমার বাচ্চা, ওদের দ্বারা আমার কেনো ক্ষতি হবে?”

কিন্তু কাশি থামল না। একদিন স্কুলে ক্লাস নিতে গিয়ে এত জোরে কাশল যে ছাত্ররা ভয় পেয়ে গেল। সহকর্মীরা সবাই মিলে ধরে নিয়ে গেল হাসপাতালে।

এক্স-রে, HRCT, রক্তপরীক্ষা—সব দেখে ডাক্তার ভ্রু কুঁচকে বললেন, “Mr. Arindam, you have chronic hypersensitivity pneumonitis. Likely from bird exposure.”

অরিন্দম স্তব্ধ।

“মানে? আমার পায়রার জন্য?”

ডাক্তার শান্ত গলায় বললেন, “আপনি বছরের পর বছর পায়রার পালক, মল, ধুলো—এসবের microscopic কণায় ঘেরা থেকেছেন। আপনার শরীরের ইমিউন সিস্টেম এগুলোকে শত্রু ভাবে। প্রথমে সামান্য অ্যালার্জি, তারপর lung-এ প্রদাহ। সময়ের সঙ্গে সেই প্রদাহ ফুসফুসের টিস্যুকে শক্ত করে ফেলে—fibrosis। একবার শুরু হলে ফেরে না।”

অরিন্দম কিছু বলতে পারল না। সে জানত না, তার এত ভালোবাসার পাখিরাই তার নিঃশ্বাস কেড়ে নিচ্ছে।

বাইরে তখন সন্ধ্যা নামব নামব ভাব। জানালার বাইরে কয়েকটা পায়রা উড়ছে—ওদের চোখে সেই চেনা বিশ্বাস।

তখনই ছাদে উঠল অরিন্দম।
খোপের ভেতর ওরা গুটিসুটি মেরে বসে আছে।
অরিন্দম নিচু গলায় বলল, “তোরা জানিস না, আমি তোদের কত ভালোবাসি… কিন্তু তোরা আজ আমাকে ছেড়ে উড়ে যা।”

এক এক করে সব খোপ খুলে দিল।
পায়রাগুলো আকাশে উঠল। সাদা মেঘের মতো ছড়িয়ে পড়ল আলো-আঁধারির আকাশে।
ডানার শব্দ মিশে গেল বাতাসে।
অরিন্দমের বুকের ভেতরও যেন কিছু দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে গেল—অদৃশ্য কিছুর আঘাতে।

তারপর থেকে ছাদ ফাঁকা। ও বুঝল, ওদের ছাড়াই বাঁচতে হবে, কিন্তু প্রতিদিন সকালে জানালার বাইরে যখন ডানার শব্দ শোনে, বুকটা হু হু করে ওঠে—যেন ফুসফুসের কোথাও এখনো একটা পালক আটকে আছে।

রোগ বাড়ল।
স্টেরয়েড, ইনহেলার, অক্সিজেন সিলিন্ডার—সবই এল জীবনে।
কিন্তু fibrosis আর ফেরে না। শেষ দিকে কথা বলাও কষ্টকর হয়ে উঠল।

তবুও মুখে একই কথা, “ওরা খারাপ না, আমিই ওদের অত ভালোবেসেছি।”

এক সকালে স্ত্রী ঘরে ঢুকে দেখে—অরিন্দম জানালার পাশে বসে, চোখ বন্ধ, হাতে একটা সাদা পালক ধরা, ঠোঁটে হালকা হাসি।
ওর বুক আর ওঠানামা করছে না।

বাইরে পায়রার ডাক ভেসে আসছে।

মনে পড়ে গেল ডাক্তারবাবুর কথা— “যখন ভালোবাসা সীমা ছাড়ায়, তখন শরীর বুঝে না—কি বিষ, কি প্রেম।”

এই গল্প শুধু অরিন্দমের নয়। আমাদের চারপাশে এরকম অনেক অরিন্দম আছে—যারা ভালোবাসা আর অভ্যাসের টানে নিজের শরীরকে ধীরে ধীরে ক্ষয় করে ফেলছে।

মেডিক্যালে এই রোগের নাম Bird Fancier’s Lung — একধরনের ক্রনিক হাইপারসেন্সিটিভ নিউমোনাইটিস। এর কারণ পাখির পালক, মল, শুকনো ধুলো—যেগুলো চোখে দেখা যায় না, কিন্তু নিঃশ্বাসের সঙ্গে ঢুকে ফুসফুসের টিস্যুতে ক্ষতি করে।

পায়রা, টিয়া, বাজরিগার, এমনকি ঘরের বারান্দার কাক বা চড়ুই—যে কোনও পাখির সঙ্গে দীর্ঘ সংস্পর্শেই এই রোগ হতে পারে।
শুরুতে সামান্য কাশি বা জ্বর দিয়ে বোঝা যায় না, কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা স্থায়ী হয়ে যায়—যেখান থেকে আর ফেরার পথ নেই।

ভালোবাসা থাকুক, কিন্তু দূরত্বও থাকুক।
নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাই ভালোবাসার সবচেয়ে গভীর রূপ।

✍️ ডাঃ সৌভিক মহাপাত্র
সংগ্রহে : An Animesh (পরিমার্জিত)
📷 প্রতীকী

Address

Dubai
Marsa Dubai
00000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Muslim Beliefs posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Muslim Beliefs:

Share