Al Bakky Al Mizan

Al Bakky Al Mizan Its about farmer farming and modern agriculture.

05/05/2024

" বাড়ি ঘর জায়গা জমি সন্তানদের লিখে দিবেন না । আপনার ঘরে আপনি বসবাস করবেন । দরকার হলে ছেলে মেয়েরা বাড়ি ঘর তৈরি করে 'যৌবনাশ্রমে ' থাকবে " :

পরিণত বয়সে এসে আমাদের অনেকেরই হয়তো কাজেও লাগতে পারে গল্পটি!!!

"যৌবনাশ্রম খুঁজে দেখো!"

আব্দুর রহমান সাহেব ক'মাস ধরেই কিছু আঁচ করছিলেন। উনি তিন বছর হয় রিটায়ার করেছেন। সরকারী উচ্চপদে ছিলেন। ভাল অঙ্কের পেনশন পান। স্ত্রী গত হয়েছেন বহুদিন আগে।

দুটি ছেলেকে বড় যত্নে মানুষ করেছেন। বাবা এবং মায়ের দুজনের স্নেহ দিয়ে ভালভাবে লেখাপড়া করে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারপর বড় ছেলের বিয়ে দিলেন। একটি নাতি হল। উনার মনে আর আনন্দ ধরে না ।

এরপর ছোট ছেলে নিজের পছন্দের মেয়ে খুঁজে বাবাকে জানালে তিনি সানন্দে সেই মেয়েকে ঘরে নিয়ে এলেন। রিটায়ারের আগেই বড় ছেলের বিয়ে হয়েছিল। তারপর ছোট বৌমা এল।

আব্দুর রহমান সাহেব এখন নাতিকে নিয়ে বেশ সময় কাটান। সংসারের অনেকটা ব্যয় ভার বহন করেন।

একদিন ইজি চেয়ারে বসে সকালে কাগজ পড়ছেন বড় বৌমার গলা পেলেন, আজ বাজার শর্ট আছে.রাতে রান্না হবে না। সে চাকরী করে। বলছে জা কে।

এ বাড়িতে ছেলেদের জন্মের আগে থেকে কাজের মেয়ে জয়নব আছে। সে তাঁর ছেলেদের থেকে বেশ কিছুটা বড়। জয়নব মাতৃহারা দুই ছেলেকে অপার স্নেহে আগলে রেখেছিল।

সে বলল--ভাইজানরা কেউ এনে দেবে।

বড় বৌ বলল--কেন বাবা তো বসে আছেন বাজারটা রোজ করলেই পারেন।

আব্দুর রহমান সাহেবের কানে কথাটা বাজল। বুঝলেন সংসারে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে।

নিজের মনকে বললেন-- মন তুই তৈরী থাক।

এরপর থেকে বৌদের নানা আচরণে তাঁর প্রতি বিরূপতা প্রকাশ পেতে থাকল।

একদিন সকালে বড় ছেলে রাগত গলায় বৌকে বলছে--আমার শার্টটা লণ্ড্রী থেকে আনা হয়নি?

বড় বৌ বললো-- না যাবার সময় হয়নি।

বড় ছেলে -বাবা একটু আনতে পারল না? সারাদিন তো বসেই থাকে।

আব্দুর রহমান সাহেবের কানে গেলে ভাবলেন-- যুগধর্ম!

এরপর একদিন এক ছুটির দিনে সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে এসে দেখলেন--সবাই আগে ভাগেই উপস্থিত।

জয়নব প্লেটে গরম লুচি, আলু ভাজি আর সন্দেশ পরিবেশন করছে।

বড় ছেলে বলল --বাবা একটা কথা ছিল।

আব্দুর রহমান সাহেব বুঝলেন এরা সকলে কিছু প্ল্যান করেছে। বললেন, বল।

বড় ছেলে বললো, জানো বাবা কাল অফিসের কাজে গাজীপুর গিয়েছিলাম। কাজের ফাঁকে সময় পেয়ে ওখানকার দর্শনীয় জায়গা গুলো দেখতে বেড়িয়েছিলাম। দেখলাম নদীর ধারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে একটা সুন্দর বৃদ্ধাশ্রম চালু হয়েছে। দেখেই ভাবলাম তুমি ওখানে মনোরম পরিবেশে শেষ জীবনটা থাকতে পারো। আমরা যাব আসব। কিরে ভাই কি বলিস?

ছোট ছেলে বলল, বেশ ভালো হবে।

আব্দুর রহমান সাহেব হেসে বললেন--সব তো শুনলাম। কিন্তু বাবারা তোমরা যেমন আমার জন্য ভাবো, আমিও তোমাদের জন্য ভাবি। তাই আমারও একটা প্রস্তাব আছে তোমাদের জন্য। তোমরাই বরং যুতসই এবং মনোরম পরিবেশের একটা যৌবনাশ্রমের খোঁজ করে নিয়ে সেখানে গিয়ে থাকোনা কেন। বাড়ীটাতো আমারই, পেনশনও পাই ভাল। জয়নব মাকে নিয়ে আমরা বাপ বেটিতে বেশ ভালই থাকব। তোমরাও আসবে যাবে।

এই ভাবে তিনি এক ছক্কায় বাজীমাত করে দিলেন। জয়নবকে বললেন--জয়নব মা, লুচিগুলো ঠাণ্ডা হয়ে গেল। গরম গরম নিয়ে আয় তো।

ছেলেরা আর ছেলেদের বৌয়েরা রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গেল, বাকরুদ্ধ হয়ে বসে রইলো.....!!

দিন কাল পালটাচ্ছে। তাই যোগ্য জবাব দেবার জন্য তৈরী থাকা উচিৎ ........

তা নাহলে ভবিষ্যতে বড় বিপদে পড়তে হতে পারে।

জাফর সাহেবকে দাফন করবার কিছু সময় পর জাফর সাহেবের মনে হলো, যাহ্ শালা... এই তাহলে জীবন ছিলো!  তরুণ বয়সে সুমির সাথে তুমুল প...
05/05/2024

জাফর সাহেবকে দাফন করবার কিছু সময় পর জাফর সাহেবের মনে হলো, যাহ্ শালা... এই তাহলে জীবন ছিলো!

তরুণ বয়সে সুমির সাথে তুমুল প্রেম, অতঃপর তার সাথে বিয়ের পিড়িতে বসে সংসারের মায়াজালে আটকে গিয়ে নিজেকেই নিজে বোঝানো- সংসারী তো একটা সময় আমার হবারই ছিলো!

প্রথম বাবা হয়ে লজ্জা পেয়েছিলেন জাফর সাহেব।

এই তো সেদিনও বন্ধুরা, কলেজে সহপাঠীরা তাকে গুড ফর নাথিং ঢিলা জাফর ডাকতো।

এখন তার কতো দায়িত্ব। সে বাবা হয়েছে!

অফিসে বস একদিন ডেকে বললেন, চুল বাল অর্ধেক তো পাকিয়ে ফেলেছেন জাফর সাহেব। কাজকর্মে প্রফেশনাল আরো কবে হবেন বলেন তো? আপনি আজ ঝেড়ে কাশুন!

আত্মসম্মানের দিকে না তাকিয়ে মধ্যবিত্ত ভীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে বসের সামনে তিনি মাথা নিচু করে ছিলেন।

ঘরে বউটা আছে। সেদিন জন্মেছে ছেলেটা বড় হয়ে তিনমাস পর মেট্রিক পরীক্ষা দিবে। বসকে মুখের উপর বলা হয়নি... অমন আঘাত করে কথা বলতে হয়না রে জানোয়ারের বাচ্চা। আমারো কষ্টবোধ আছে। দিনশেষে লেগুনায় সূর্যের মরা আলো ঘাড়ে করে ফিরবার সময় খারাপ লাগে। ঘামে ভেজা ফরমাল শার্টটা কাঁদে ক্যামন এক বিচিত্র উপলব্ধিতে। তুই দেখতে পাস না!

পেনশনের অর্ধেক টাকা তুলে মফস্বলে টিনের চাল উপরে দেয়া পাকা দালান তুলেছিলেন। কয়েক ঘর ভাড়া দিয়ে বাকিটুকুতে কষ্টেসৃষ্টে পরিবার নিয়ে থাকতেন। ছেলেটা বড় হয়ে আর মানুষ হয়নি।

ছানির অপারেশনটা সময়মতো করতে না পারায় একটা চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। বাকি চোখ দিয়ে ঝাপসা দেখতেন। ইচ্ছে ছিলো শেষ বয়সে রবীন্দ্র রচনাবলি পড়ে অবসর কাটাবেন। কিসের কি!

সূর্যের মরা আলো উঠানে বসে অক্ষম আধখানি ঠিক আছে চোখে আরো বেশি প্রহসনের ঠেকতো।

যৌবনে চলচ্চিত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। খুব চাইতেন, চমৎকার কিছু ছবি বানিয়ে দেশের টিপিক্যাল মানুষগুলোর গোটা মানসিকতাই দিবেন বদলে!

কিন্তু সেই ভয় থেকে বেরুতে পারেননি। চাকরি না করলে মানুষ কি বলবে? প্রেমিকাকে সময়মতো বিয়ে করে ঘরে না তুললে জাগতিক প্রাসঙ্গিক কষ্টগুলো বুকে পুষে কি করে বেঁচে থাকবেন?

ক্যামেরার মায়া বেচে দিয়ে একদিন কিনলেন বৈধ সঙ্গম, সংসার, গতানুগতিক নিরাপত্তার জীবন।

শুধু সময় নামে একজন তার কথা রেখেছিলো। জাফর সাহেবকে নিজ দায়িত্বে পৌঁছে দিয়েছিলো তার অবধারিত বার্ধক্যে।

বখে যাওয়া সন্তানও তার বাবাকে ভালোবাসে। শেষ সময়ে জন্মদাতার বুড়ো হাতটা ধরে নরম গলায় বলেছিলো, আমাকে ক্ষমা করে দিও বাবা। আমি তোমার কোন স্বপ্ন পুরণ করতে পারিনি।

জাফর সাহেব সিলিং এর দিকে শুন্য দৃষ্টি দিয়ে অদ্ভুত হেসেছিলেন।

বিড়বিড় করে দুর্বোধ্য স্বরে বলছিলেন- মানুষ তার নিজের স্বপ্নটাই পূরণ করবার পিছে আজীবন ছোটে রে ব্যাটা! শেষ নিঃশ্বাস ফেলার কিছু আগে এসে উপলব্ধি করে, যাহ্ শালা... চুল বাল পাকিয়ে ফেললাম। এখনো আসল কাজগুলোই তো করা হয়নি!

"উপলব্ধি"
২৮ এপ্রিল, ২০১৭

লিখেছেন: Taimoor Mahmud Shoumik

ছোট খাট একটা চাকরি করি। গত মাসে বড় মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছি, ধার দেনা ক‌রে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে। একটু আগে মেয়ের ফোন।বাবা...
05/05/2024

ছোট খাট একটা চাকরি করি। গত মাসে বড় মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছি, ধার দেনা ক‌রে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে। একটু আগে মেয়ের ফোন।বাবা কেমন আছো?
-হ্যাঁ মা ভাল। তুই ভাল আছিস তো?
আছি বাবা ভাল।
-এইভাবে বলছিস কেন??তোর শ্বশুর রা খুশি হয়েছে তো?
ওরা কিছু বলেনি। শাশু‌ড়ি বলেছে বি‌য়ে‌তে যে অাসবাবপত্র গু‌লো দি‌য়ে‌ছো ওগু‌লো না‌কি নিম্নমা‌নের ।
-(তখন আমার চোখের জলটলটল করছিল) আচ্ছা মা তোর শাশু‌ড়ি কে ব‌লিস প‌রে না হয় তা‌দের পছন্দমত কি‌নে দেব ।
বাবা শোনো। তুমি আমাদের বাড়িতে পুজার কাপড় দেবে না?
-হ্যা মা দেব। কেন?
তুমি কাপড় দিওনা। ননদ(জামাইয়ের বোন) বলেছে কাপড় দিলে সবার পছন্দ হবে না।কাপড় না দিয়ে টাকা দিয়ে দিতে। ৩০,০০০ টাকা দিলে,সবার নাকি হয়ে যাবে।
-আচ্ছা মা। তুই চিন্তা করিস না। আমি এখন ও বেঁচে আছি।
(আমার বুঝতে দেরি হলনা, এতক্ষনে মেয়ের চোখের অনেক জল গড়িয়ে পড়েছে)
আচ্ছা বাবা,এখন রাখি।
-আচ্ছা মা ভাল থাকিস।
রাতে ছোট ছেলে বা‌ড়ি ফি‌রে আমা‌কে বল‌ছে।
বাবা তুমি আছো ?
-হ্যাঁ আছি। কিছু বলবি?
হ্যাঁ, অামার একটা ল্যাপটপ কিন‌তে হ‌বে। আমার টিউশনির কিছু টাকা আছে। তুমি ৫০ হাজার দিলে হয়ে যাবে ।
-আচ্ছা দেখছি । খেয়ে ঘুমিয়ে পর।
না বাবা,লেট হলে এক্সাম দিতে পারব না।
এইখানে শেষ নয়,, নি‌জের বা‌ড়ি‌তে পুজোর জামা কাপড় কিনতে অা‌রো ১৫ -২০ হাজার টাকা লাগ‌বে। আরো রয়েছে মেয়ের বাড়িতে দেওয়ার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আয়োজন।
এই সব চিন্তা করতে করতে না খেয়ে শুয়ে পড়েছি। অ‌নিতার মা অনেক কিছু জিজ্ঞেস করেছিল,কিছু না বলে শুয়ে পড়েছি।
মাথায় একটা বিষয় কাজ করছে। টাকা!!টাকা!! আর মেয়ের সুখ।

এইভাবে রাত ১২ টা। হঠাৎ করেই বুকের ব্যথাটা বেড়ে গেছে। ধীরে ধীরে আমি দুর্বল হয়ে যাচ্ছি। আমার হাত-পা গুলো অকেজো হয়ে আসছে। আমার সারা জীবনের অনেক স্বপ্ন অসমাপ্ত রয়ে গেছে। সেই চিন্তা গুলো এখনো আমার পিছু ছাড়ছেনা।

পরদিন সকাল বেলা। সবাই কান্না কাটি করছে। আমার ছোট মেয়ে আর আমার স্ত্রী সব চেয়ে বেশি কাঁদছে। শুনলাম বড় মেয়ে অামার অসুস্থতার খবর পে‌য়ে ইতি এরই মধ্যে এসে গেছে। সবার দিকে চেয়ে থাকলাম। অনেক কিছু বলতে চাইছি। কিন্তু কিছুই বলতে পারছিনা। ঠিক ২ মিনিট পর আর কিছু জানিনা। সব শেষ!!!

এইভাবে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক বাবা। আর বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শত শত ছেলে মেয়ে। হয়ত অনেকে এখন ও জানে না,তাদের বাবার মৃত্যুর রহস্য।

এইভাবে প্রতিনিয়ত আমরা হারাচ্ছি আমাদের প্রিয় বাবাদের।।
😢😢😢😢

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত পোস্ট

এই লোকটি সব কিছু ছেড়ে শুধু ভাঙ্গা রাস্তা ঠিক করে বেড়ায়। মানে সে পাকা রাস্তার যেখানেই গর্ত দেখে সিমেন্ট বালি খোয়া দিয়ে তা...
05/05/2024

এই লোকটি সব কিছু ছেড়ে শুধু ভাঙ্গা রাস্তা ঠিক করে বেড়ায়। মানে সে পাকা রাস্তার যেখানেই গর্ত দেখে সিমেন্ট বালি খোয়া দিয়ে তা সমান করে দেই। কারো কাছথেকে কোনোরকম টাকা পয়সা না নিয়ে সে শুধু রাস্তাই ঠিক করে বেড়ায়। আসলে তার সাথে একটা খুব দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। যার ফলে সে এমনটা করে বেড়ায়। এটা শুধু গল্প নই, এটি মহারাষ্ট্রের একটা সত্য ঘটনা।

লোকটির নাম মনোজ পাটিল। তার পরিবারে আছে তার স্ত্রী আর তার ছোট্ট মেয়ে। তার মেয়ের বড়ো হয়ে মহিলা ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন আছে। তাই তার বাবা মেয়ের সপ্ন পূরণের জন্য সব কিছুই করে, তাকে ট্রেনিং সেন্টার এ অ্যাডমিশন করে দেই, যা যা দরকার সব কিছুই করায়। তার মেয়ের সপ্ন যেনো তারও সপ্ন হয়ে গিয়েছে। সব কিছুই ঠিক ঠাক চলছিল। কিন্তু একদিন রাস্তায় সে তার মেয়েকে স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ জলে ভর্তি রাস্তার এক গর্তে স্কুটির চাকা পরে তারা দুজনেই পরে যায়। তার মেয়ের মাথায় খোয়া লেগে রক্ত বেরিয়ে যায়। তাড়াতাড়ি করে তাকে হসপিটাল এ নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় তার মেয়ে মারা গিয়েছে। তার পুরো পৃথিবী যেনো থেমে যায়। সে পাগলের মত রাস্তা রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। এরপর থেকেই সে মেয়েকে হারানোর শোকে যেখানেই ভাঙ্গা রাস্তা দেখে সিমেন্ট বালি দিয়ে তা সমান করে বেড়ায়, যাতে আর কোনো বাবা নিজের মেয়েকে না হারায়। 😭

১৯০৭ সালের পূজার ছুটি। কবিগুরুর কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথ বন্ধু সরোজচন্দ্রের সঙ্গে তাঁর মামার বাড়ি মুঙ্গের যাত্রা করেন ১৬...
05/05/2024

১৯০৭ সালের পূজার ছুটি। কবিগুরুর কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথ বন্ধু সরোজচন্দ্রের সঙ্গে তাঁর মামার বাড়ি মুঙ্গের যাত্রা করেন ১৬ই অক্টোবর বিজয়াদশমীর দিন। ছূটি-শেষে শান্তিনিকেতন বিদ্যালয় খোলার মুখে কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের কাছে দুঃসংবাদ পৌঁছল শমীর কলেরা হয়েছে। তক্ষুণি (১৭ই নভেম্বর) তিনি ডাক্তার সহ ছুটলেন মুঙ্গের। চিকিত্‍সার কোনো ত্রুটি রাখেন নি রবীন্দ্রনাথ - কিন্তু রাখতে পারলেন না। সকলের প্রচেষ্টা নিষ্ফল করে ৭ অগ্রহায়ণ (ইংরেজি মতে ২৪ নভেম্বর) মাত্র এগারো বত্‍সর বয়সে শমী শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন। ঠিক পাঁচ বছর আগে এমনই এক সাতই অগ্রহায়ণ শমীর মা মৃণালিনী দেবীর মৃত্যু ঘটেছিল। কী আশ্চর্য যোগ!
পুত্র শোকাতুর রবীন্দ্রনাথ পরের দিনই মুঙ্গের থেকে শান্তিনিকেতনের দিকে রওনা দিলেন। রাত্রে ট্রেনে আসতে আসতে দেখলেন জ্যোত্‍স্নায় আকাশ ভেসে যাচ্ছে, কোথা কিছু কম পড়েছে তার লক্ষণ নেই। তাঁর মন বললে, কম পড়েনি - সমস্তের মধ্যে সবই রয়ে গেছে, আমিও তারি মধ্যে। সমস্তর জন্যে আমার কাজও বাকি রইল। যতদিন আছি সেই কাজের ধরা চলতে থাকবে। সাহস যেন থাকে, অবসাদ যেন না আসে, কোনোখানে কোনো সূত্র যেন ছিন্ন হয়ে না যায় - যা ঘটেছে তাকে যেন সহজে স্বীকার করি, যা কিছু রয়ে গেল তাকেও যেন সম্পূর্ণ সহজ মনে স্বীকার করতে ত্রুটি না ঘটে।
এই সংকল্প নিয়ে শোকাহত শান্তিনিকেতনে পৌঁছলেন রবীন্দ্রনাথ। স্বাভাবিকভাবেই কথাবার্তা বলেছেন আশ্রমিকদের সঙ্গে। তাঁর শান্ত সংযত ব্যবহারে সকলে স্তম্ভিত। কেবল তাঁর বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ যখন দেখা করতে এলেন, রবীন্দ্রনাথের চোখে দেখা গেছে জলের রেখা। বড়দাদাও শোকবিমূঢ় কেবল ছোটভাইয়ের পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন আর বারবার অস্ফুট স্বরে বলেছেন 'রবি! রবি!' এরই মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ডেকে পাঠালেন অধ্যাপক যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে - যাঁর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ভুবনডাঙায় পড়াতে যেতেন বালক শমী। একটি পুঁটলি তাঁর হাতে তুলে দিয়ে বললেন, শমীর এই কাপড়-জমাগুলো ভুবনডাঙ্গার ছাত্রদের মধ্যে বিলিয়ে দিও।
নিদারুণ সংবাদ পেয়ে পুত্র-প্রতিম ভ্রাতুষ্পুত্র সুরেন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে চলে আসেন - শোকাচ্ছন্ন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যান কলকাতায়। সেখান থেকে প্রকৃতির শুশ্রূষা ও সান্নিধ্যলাভের জন্য শিলাইদহ। জ্যেষ্ঠপুত্র রথীন্দ্রনাথ তখন আমেরিকায় পাঠরত - দুই কন্যা মাধুরীলতা ও মীরা শিলাইদহে তাঁদের বাবাকে সঙ্গদানের দায়িত্ব নেন॥

Nature and science can make better together ❤️
14/10/2023

Nature and science can make better together ❤️

নন এমপিও ভুক্ত একটি দাখিল মাদ্রাসায় কৌশলে প্রায় ৬ বছর শিক্ষকতা করেছি। উদ্দেশ্য ছিলো মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এন্টি ব্রেইন...
24/09/2023

নন এমপিও ভুক্ত একটি দাখিল মাদ্রাসায় কৌশলে প্রায় ৬ বছর শিক্ষকতা করেছি। উদ্দেশ্য ছিলো মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এন্টি ব্রেইন ওয়াশ করা! মাদ্রাসার পড়ার পরিবেশ, মাদ্রাসায় কেমন পরিবারের সন্তানরা পড়ে, কেনো পড়ে।এখানে শিক্ষার্থীরা পড়ে কেমন বোধ করে। বিদ্যালয়, কলেজ, ভিন্ন শিক্ষা নিয়ে তারা কি ভাবে।দেশ,দেশের মানুষ, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি তারা কিভাবে দেখে। ভিন্ন ধর্মের, ভিন্ন মতের, নারীর প্রতি তাদের মনোভাব কেমন। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে তাদের আগ্রহ কেমন- ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমার খুব আগ্রহ ছিলো।
এই মাদ্রাসা আমার প্রবেশ করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। নামমাত্র বেতন ছিলো। আমার মূল প্রফেশন রেখে এখানে প্রায় ৫ ঘন্টা সময় দিতে হতো। শারিরীক মানসিক অর্থনৈতিক কষ্ট হতো আমার। তারপরও আমি এখানে ছয় বছর কাজ করেছি। এখানের শিক্ষকরা আমাকে প্রথম প্রথম মেনে নেয়নি।একজন বাদে প্রায় ১২ জন শিক্ষকের সবাই জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। মাদ্রাসার সুপার(প্রধান) উপজেলা জামায়াতের রোকন।
এই রকম একটা মাদ্রাসা ঢুকতে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। এখানে আমি অনেক প্ল্যান নিয়ে কাজ করেছি। যারা মোটামুটি মেধাবী ছিলো কৌশলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে আলাপ করে স্কুলে ভর্তি করাতাম। দাখিল(এসএসসি)
পাস করার পর বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি করতে উৎসাহ দিতাম। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী কলেজেই ভর্তি হতো দুই/তিনজন ছাড়া। পাঠদান ছাড়াও শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতাম।
তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে দিতাম। আমি যতোদিন ছিলাম ততোদিন এখানে শিবির শত চেষ্টা করেও ঢুকতে পারেনি।কৌশলে তাদেরকে রুখে দিতাম। শিক্ষার্থীদের শিবির সম্পর্কে সতর্ক করেছিলাম। জামাত-শিবিরের রাজনীতি সম্পর্কে, একাত্তরে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে অনেক আলাপ করেছিলাম।
আগে এই মাদ্রাসায় এসেম্বলি হতো না। জাতীয় সংগীত হতো না।
মাদ্রাসার প্রধানকে একদিন ভয় লাগিয়ে দিলাম,বললাম উপর থেকে প্রতিটি স্কুল মাদ্রাসা মনিটরিং হচ্ছে। আপনারা এমপিও হওয়ার জন্য আবেদনও করেছেন। এখন যদি দেখে এই মাদ্রাসা এসেম্বলি হচ্ছে না, শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত পারে না। তাহলে এই মাদ্রাসা জীবনেও এমপিও ভুক্ত হবে না! তারপর থেকে এসেম্বলি হতো। শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত গাইতো। এসেম্বলিতে জাতীয় সংগীত কিভাবে সুর করে গাওয়া হয়, দরদ দিয়ে গাওয়া হয় সে অনুশীলন করাতাম ক্লাসে ।
গতবছর একটা ছেলে জিপিএ ৫ পায়। ছেলটাকে সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি করে দিয়েছি। ওর পিছনে আমার অনেক শ্রম ছিলো। অনেক কাউন্সিলিং করতে হয়েছে। ও এখন রাজনীতিও বুঝে মোটামুটি। ওর চিন্তা চেতনা দেখে,ওর ম্যাসিউরিটি দেখে আমি অভিভূত।
আমি গত ডিসেম্বরে চাকুরীটা ছেড়ে দেই। পিছুটান আছে আমার!
মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের গল্প আরেকদিন বলবো।

পুনশ্চ : তানজিম সাকিবদের যদি পাইতাম, ওর ব্রেইন ওয়াশ কিছুতেই হতো না!

কার্টেসি: Sohel Mahmood

মজিদের চাচা লন্ডন থাকেন। চাচার কাছে মজিদ আবদার করেছে একটি ইলেক্ট্রিক  স্কুটার নিয়ে আসতে। মজিদের চাচা লন্ডন প্রবাসী মির্জ...
16/09/2023

মজিদের চাচা লন্ডন থাকেন। চাচার কাছে মজিদ আবদার করেছে একটি ইলেক্ট্রিক স্কুটার নিয়ে আসতে। মজিদের চাচা লন্ডন প্রবাসী মির্জা ফখরুল এ বিষয়ে জানতে চাইলেন বাংলা এভিয়েশনের কাছে।

ইলেক্ট্রিক স্কুটার নিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকেই জানতে চান। ইলেক্ট্রিক স্কুটার শুল্ক মুক্ত পণ্য নয়। ফলে ইলেক্ট্রিক স্কুটার আনলে আপনাকে শুল্ক দিতে হবে। ইলেক্ট্রিক স্কুটারের শুল্ক হার হচ্ছে ক্রয় মূল্যের ওপর প্রায় ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ স্কুটারের মুল্য ১০০ টাকা হলে আপনাকে শুল্ক দিতে হবে ৯০ টাকা।

কাস্টমস সংক্রান্ত বিষয়ে আরও কোন প্রশ্ন থাকলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
রাজস্ব ভবন
প্লট # এফ ১/এ আগারগাঁও, শের-এ-বাংলা নগর, ঢাকা-১২১৭ বাংলাদেশ
টেলিফোন: ০২২২২২১৭৭০০-০৯
ই-মেইল: [email protected]

ইলেক্ট্রিক স্কুটার আনার ক্ষেত্রে আরও একটি বিশেষ সর্তকতা আছে। ইলেক্ট্রিক স্কুটারের ভেতরে বড় আকারের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি থাকে। ইলেক্ট্রিক স্কুটার আপনি হাত ব্যাগে নিতে পারবেন না। আপনাকে চেন ইন লাগেজ/কার্টনে দিতে হবে। কিন্তু অনেক এয়ারলাইন চেক ইন লাগেজে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি বহনের অনুমতি দেয় না। ফলে আপনি যে এয়ারলাইনে আসবেন তাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে নিশ্চিত হোন।

অনেকেই ব্যাটারির বিষয়ে না জানিয়ে চেক ইন লাগেজে ইলেক্ট্রিক স্কুটার দিয়ে দেশে আনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু যে দেশ থেকে আনার চেষ্টা করেছেন, সেদেশের নিরাপত্তা তল্লাশিতে ব্যাটারির কারণে সেই কার্টনটি আর ফ্লাইটে দেয়নি। ফলে পুরো ইলেকট্রিক স্কুটার সেদেশের বিমানবন্দরেই রয়ে গেছে। ফলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন যাত্রী।

কার্টেসি: Aviation Bangla

রাস্তার ফুটপাতে হলুদ লাইন কেন দেওয়া হয়আমরা ফুটপাতে হাঁটার ক্ষেত্রে অনেক সময় হলুদ একটি লাইন দেখা যায়। দুই পাশে  একই রঙের ...
15/09/2023

রাস্তার ফুটপাতে হলুদ লাইন কেন দেওয়া হয়
আমরা ফুটপাতে হাঁটার ক্ষেত্রে অনেক সময় হলুদ একটি লাইন দেখা যায়। দুই পাশে একই রঙের থাকলেও মাঝে দিয়ে হলুদ লাইন টানা হয়। কিন্তু এর কারণ আমরা অনেকেই জানিনা।
এই ফুটপাত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বান্ধব। এই হলুদ টাইলসে সোজা স্ট্রাইপ থাকে এবং একটু উচু। একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সহজেই পা ফেলে সোজা বরাবর হেটে যেতে পারবে।
আবার দেখা যায়, ফুটপাত যেখানে ঢালু হয়েছে, সেখানে একটা টাইলসে ছয়টি গোলাকার বৃত্ত। পা ফেললে সহজেই বুঝা যায় এখানে ফুটপাত নেমে গেছে।
Source: Science

বলা হয় যে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে একটা এস্টেরয়েড এসে ওই সময়ের ৭৫% প্রানি ধ্বংস করে ফেলেছিল। এই এস্টেরয়েড পৃথিবীর যেই এলাকায় এস...
09/09/2023

বলা হয় যে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে একটা এস্টেরয়েড এসে ওই সময়ের ৭৫% প্রানি ধ্বংস করে ফেলেছিল। এই এস্টেরয়েড পৃথিবীর যেই এলাকায় এসে পড়েছিল সেটা মেক্সিকোর য়ুকাটান পেনিনসুলায়। আজ য়ুকাটান পেনিনসুলায় প্রায় ১০,০০০ এর ও বেশি ছোট ছোট এই গর্ত আছে যেখানে পানি পাওয়া যায়। এদের বলা হয় "চেনোতে"।

ওই এস্টেরয়েড আঘাতের রিং এএ মধ্যেই এদের অধিকাংশ পাওয়া যায়। মায়ান সভ্যতায় এই চেনোতে থেকে পানি ব্যবহার করা হতো, আবার এদের ধর্মিয় কাজেও ব্যবহৃত করা হতো। এই চেনোতের নাম চিচিকান, এবং এটা ২৪ মিটার উচুঁ এবং পানির গভিরতা ৮ মিটার। সুন্দর একটা ওয়াটারফল ও আছে ওপরদিকে।

#কেলেক্টেড

যিনি টক আমকে মিষ্টি জাতে পরিণত করেনস্বাদ নেই বা টক, অথবা গাছ আম ধরার উপযোগী হয়েছে, কিন্তু ধরছে না—এমন সমস্যায় ডাক পড়ে আব...
08/09/2023

যিনি টক আমকে মিষ্টি জাতে পরিণত করেন

স্বাদ নেই বা টক, অথবা গাছ আম ধরার উপযোগী হয়েছে, কিন্তু ধরছে না—এমন সমস্যায় ডাক পড়ে আবদুল মান্নানের। ‘অকেজো’ এমন আমগাছে ‘টপ ওয়ার্কিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে জাত পরিবর্তন করেন তিনি। শুরুতে নিজের গাছে পরীক্ষা চালিয়ে সাফল্য পান। এখন আমের জাত পরিবর্তন করতে তাঁর ডাক পড়ে মিরসরাইসহ আশপাশের উপজেলায়ও। আমগাছের ডাক্তার হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। কৃষি উদ্যোক্তা আবদুল মান্নান মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোরের বাজার এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।

৩৮ বছর বয়সী আবদুল মান্নান মিরসরাইয়ের স্থানীয় স্নাতক (ডিগ্রি) পাস করেছেন। কৃষি বা উদ্ভিদবিজ্ঞানের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তাঁর। পুরোদস্তুর এই কৃষি উদ্যোক্তা নিজের বাগানের আমগাছের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে এই দক্ষতা অর্জন করেছেন। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা তাঁকে নানাভাবে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন।

আবদুল মান্নানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আমগাছে টপ ওয়ার্কিং হচ্ছে একটি বিশেষ পদ্ধতি, যার মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্ক আমগাছ ৪-৫ ফুট উচ্চতা পেলে কেটে ফেলতে হয়। এরপর কাটা অংশের চারপাশে কচি ঢাল গজায়। এক মাসের মাথায় গজানো সেসব ঢাল থেকে ৪-৫টি রেখে অন্যগুলো ছেঁটে ফেলে বাছাই করা ডালগুলোতে পছন্দসই জাতের আমের সায়ন দিয়ে গ্রাফটিং করতে হয়। এরপর এসব ডাল বড় হতে থাকে। গ্রাফটিং করার এক বছরের মাথায় গাছে ফল আসা শুরু করে। তবে ভালো ফলন পেতে প্রথম বছর মুকুল ছিঁড়ে ফেলতে হয়। এ পদ্ধতিতে একটি গাছে ৫-৭টি ভিন্ন জাতের আম ফলানো সম্ভব।

গতকাল মঙ্গলবার মিরসরাইয়ের সাহেরখালী ভোরের বাজার এলাকায় দেখা হয় আবদুল মান্নানের সঙ্গে। মো. সেলিম নামের এক ব্যক্তির বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ের ২০টি আমগাছে টপ ওয়ার্কিংয়ের কাজ করছিলেন আবদুল মান্নান। সেখানে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

কী করে শিখলেন এ পদ্ধতি, জানতে চাইলে আবদুল মান্নান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বইপড়া জ্ঞান নেই। এলাকায় আমার নিজের আমবাগান আছে। চার বছর আগে ঝড়ে একটি গাছ ভেঙে গেলে সে গাছ থেকে নতুন করে গজানো কচি ডালে ভিন্ন জাতের আমের সায়ন গ্রাফটিং করে সফল হয়েছিলাম। এরপর বাড়ির আশপাশের কিছু টক আম হয়, এমন গাছে জাত পরিবর্তন করেও ভালো ফলন পাই। এটি দেখে এলাকায় অনেকেই টপ ওয়ার্কিং পদ্ধতি প্রয়োগে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এখন বিভিন্ন এলাকা থেকে আমের জাত পরিবর্তন করে দিতে প্রতিদিন ডাক পড়ে আমার। গত তিন বছরে মিরসরাই ও পাশের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অন্তত ৪০০ আমগাছের টপ ওয়ার্কিং করে সফলভাবে আমের জাত পরিবর্তন করে দিয়েছি। এ বিষয়ে আরও দক্ষতা বাড়াতে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছি।’

আবদুল মান্নানকে দিয়ে নিজেদের অনুন্নত জাতের ১০টি আমগাছের জাত পরিবর্তন করিয়েছেন মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবুল হোসেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি দারুণ একটি ব্যাপার। যে গাছগুলোর আম ছিল টক আর পানসে স্বাদের, আবদুল মান্নানের হাতে টপ ওয়ার্কিং করিয়ে জাত পরিবর্তনের পর সেসব গাছে এখন উন্নত জাতের আম ফলছে। এ মৌসুমেও এসব গাছ থেকে আমরা ৫-৬ মণ সুস্বাদু আম পেয়েছি। এমনটা সম্ভব তা আমার জানা ছিল না। মান্নানের এ উদ্যোগ এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে।’

মিরসরাইয়ের বাসিন্দা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ ভূঞা আবদুল মান্নানকে দিয়ে তার বাড়ির ১২টি আমগাছের টপ ওয়ার্কিং করিয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হর্টিকালচার সেন্টারে কাজ করার সময় আমগাছে টপ ওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে জাত পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত থাকায় মিরসরাইয়ের আবদুল মান্নানের আমগাছের টপ ওয়ার্কিং করার বিষয়টি আমি জেনেছি। এ বিষয়ে মাঝেমধ্যে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। টপ ওয়ার্কিং আমের জাত উন্নয়নে খুবই কার্যকরী একটি পদ্ধতি। দেশের খুব কম জায়গায় এটি বিস্তার লাভ করেছে। আমি সীতাকুণ্ড উপজেলায়ও এ পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে চাইছি। মান্নানের উদ্যোগটি অবশ্যই অনুকরণীয়।’

#কালেক্টেড

১৯৫৬ সালে তিব্বত স্নোর একটি বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলেন তৎকালীন বিখ্যাত নায়ক সন্তোষ কুমার । তাঁর প্রকৃত নাম ছিল স...
02/09/2023

১৯৫৬ সালে তিব্বত স্নোর একটি বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলেন তৎকালীন বিখ্যাত নায়ক সন্তোষ কুমার । তাঁর প্রকৃত নাম ছিল সৈয়দ মুসা আব্বাস রাজা। পাকিস্তান চলচ্চিত্র ইতিহাসের প্রথম রোমান্টিক হিরো হিসেবে খ্যাত সন্তোষ কুমার। ব্রিটিশ ভারতের উত্তর প্রদেশে তাঁর জন্ম । মেধাবী এই অভিনেতা সাফল্যের সাথে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু তিনি চলচ্চিত্রেই মনোনিবেশ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর পাকিস্তানে চলে যান। তাঁর অভিনীত দো আসুঁ, ওয়াদা , সারফারোশ , ইন্তেজার সিনেমা গুলি তৎকালীন পাকিস্তানের দুই অংশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
বিজ্ঞাপনটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত আজাদ পত্রিকায় ১৯৫৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ছাপা হয়।

Address

Sharjah

Telephone

+971555889566

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Al Bakky Al Mizan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share