Ratish Barua

Ratish Barua Life is beautiful

15/06/2025

আমি তোমায় ভুলে যেতে চাই

আমি তোমায় ভুলে যেতে চাই—
একটি গোধূলির ক্লান্ত নিঃশ্বাসে,
যেমন সূর্য হারায় দিগন্ত রেখায়,
তেমনি হারিয়ে যাক তুমিও আমার স্মৃতির পাতায়।

তোমার হাসি, তোমার কণ্ঠ,
তোমার চোখের সেই চিরচেনা ভাষা,
আজও আমার নিঃসঙ্গ রাতে
অতিথির মতো এসে বসে পাশে।

আমি চাই—
তোমার নামটা আর না উচ্চারিত হোক,
চাই না কেউ জানুক,
তোমার স্পর্শ ছিল আমার দেহে আগুনের মতো জ্বলন্ত।

তুমি ছিলে বাতাসে মিশে থাকা সুগন্ধির মতো,
যার অস্তিত্ব নেই, তবু মনে হয়—
এই তো, পাশেই আছো…
এই তো, আজও আমায় দেখছো নিরবে।

আমি তোমায় ভুলে যেতে চাই,
সেই পুরনো বইয়ের পাতার গন্ধের মতো—
যা একদিন ছিল প্রিয়,
আজ শুধুই ধূলিধূসর স্মৃতি।

তোমার চলে যাওয়ার শব্দ আজও
ঘুরে ফিরে বাজে আমার কানের ভেতর,
সেই শেষ ‘বিদায়’ শব্দটি—
আমার হৃদয়ের চিরন্তন প্রতিধ্বনি হয়ে রয়ে গেছে।

আমি কেঁদেছিলাম, হয়তো তুমি দেখোনি,
হয়তো দেখেও ফিরিয়ে নিয়েছিলে চোখ,
তবু বিশ্বাস করো, আমি ভেবেছিলাম—
ভালোবাসা মানেই চিরস্থায়ী হবে।

আমি তোমায় ভুলে যেতে চাই—
কিন্তু তুমি বসে আছো আমার প্রতিটি নীরবতায়,
তুমি আছো চায়ের কাপে, জানালার কাচে জমে থাকা বৃষ্টির ফোঁটায়,
তুমি আছো আমার প্রতিটি লেখার আড়ালে, এক অদৃশ্য ইঙ্গিতে।

তুমি ছিলে, আছো, থাকবেই—
আমি জানি, আর সে কারণেই
আমি চাই তোমায় ভুলতে,
কারণ ভালোবাসা যদি বন্দি করে, তবে সে মুক্তি নয়।

তাই প্রতিটি ভোরে আমি প্রার্থনা করি—
তোমার ছায়া যেন ধুয়ে যায় আলোয়,
তোমার নাম যেন হারিয়ে যায় বাতাসে,
তোমার গল্প যেন মুছে যায় সময়ের আঙিনায়।

আমি তোমায় ভুলে যেতে চাই—
এইবার সত্যি, একবারের জন্যে,
নিজেকে ফিরে পেতে চাই,
একটি নামহীন, বেদনাহীন আগামীতে ....

24/05/2025
18/02/2025

মুল লেখা Nijhoom Majumder

রাশিয়া সংকেত আগেই দিয়েছিলো।

যুক্তরাষ্ট্রের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে বর্তমান প্রজন্ম।

আমি নিশ্চিত আপনারা ভুলে গেছেন ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বরের কথা।
এই দিনে আচমকাই রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া যাখারোভা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বললেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে যদি শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করবে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের জন্য।

যুক্তরাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা বলতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বললেন, যুক্তরাষ্ট্র 'এরাব স্প্রিং' অর্থাৎ আরব বসন্তের মতো একটি সিনারি তৈরি করবে। যে আরব বসন্ত আনতে ব্যাবহার করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের, কলেজ,স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের।

ডোনাল্ড লু ও পিটার ডি হাস তাদের বন্ধুত্বের সময়কাল প্রায় ৩১ বছর ।বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ছিলেন পিটার ডি হাস। আপনারা নিশ্চই সেটা ভুলে যাননি।

এই পিটার হাসকে যখন বাংলাদেশে নিয়োগ দেয়া হয় তখন তার উপর স্পেশাল এসাইনমেন্ট ছিলো ইন্দো প্যাসিফিক রিজিয়নে চায়নার প্রভাবকে হ্রাস করা এবং বাংলাদেশকে সদস্য কিংবা স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে যুক্ত করা।

কিন্তু পিটার ডি হাস কোন সাফল্য ঘরে তুলতে পারেননি। এরপর বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে কয়েকবার এসেছিলেন ডোনাল্ড লু। নানাবিধ চেষ্টা চরিত্র করেছিলেন ইলেকশন নিয়ে। সাফল্য পাননি।

যুক্তরাষ্ট্র সব সইতে পারে কিন্তু ফরেন পলিসিতে অপমান মনে রাখে হাজার বছর।

যুক্তরাষ্ট্র ফরেন পলিসিতে বাংলাদেশের নিকট মারাত্মক ভাবে পরাজিত হয়। এই অপমান তারা সহ্য করে নেবে এটা ভাবা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। পিটার হাস ও ডোনাল্ড লু অর্থাৎ মার্কিন প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশ একটি পরাজয়ের নাম।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই পরোক্ষভাবে তাঁর মৃত্যুর কথা বলেন।কারন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশোধ স্পৃহার কথা জানেন। তিনি বলেন মৃত্যুকে তিনি ভয় পান না। কেন বলেন, আমরা এখন তা বুঝতে পারি।

রাশিয়া ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলো যে নির্বাচনের পর বাংলাদেশে ছাত্র-বিক্ষোভ হবে এবং আরব বসন্তের মত অবস্থা তৈরী হবে।

চলমান জুলাইতে এসে এই বিক্ষোভের দেখা আমরা পেলাম।
এর আগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সি আই এ তাদের সমস্ত সহযোগীদের মাঠে নামাবার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে দিয়েছিলো। এই সহযোগীরা কেউ কেউ প্রতিষ্ঠান, কেউ কেউ ব্যাক্তি।

লক্ষ্য করার বিষয় হলো, ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনা।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা কিভাবে কোটার বিষয়টিকে নজরে রেখেছিলো। কিভাবে আদালতে দায়ের করা রিটের দিকে নজর রেখেছিলো।

কিভাবে হাইকোর্টের দিকে নজর রেখেছিলো। কিভাবে এই বিষয়টিকে একটি ক্ষোভের কন্টেন্ট হতে পারে, তা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলো।

রাষ্ট্র নিশ্চই এই রিট দায়ের, রিটের পরে রায়, হাইকোর্ট সমস্ত কিছুই ক্রনোলজিকালী মিলিয়ে ও খতিয়ে দেখবেন এবং প্রতিটি যায়গায় তথ্য সংগ্রহ করবেন।

মার্কিনিদের ষড়যন্ত্রে এই প্রজন্মের সন্তানেরা পা দিয়েছেন কোন কিছু না বুঝেই। আসলে এই গভীর ডিপ্লোম্যাসি তাদের বোঝার কথাও নয়।

আমাদের তরুনেরা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, মুক্তিযুদ্ধের পরের সময় দেখেনি। মার্কিন-পাকিস্তান ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড এবং তার পরবর্তী ঘটনাও খুব জানে বলে আমার অন্তত মনে হয়না।

একটা সময় মানুষ বুঝতে পেরেছিলো যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড কি কি হিসেব নিকেশের মধ্যে হয়েছিলো এবং মার্কিন-পাকিস্তানি সংস্থাগুলো আসলে কি চেয়েছিলো। কিন্তু ততদিনে যা ক্ষতি হবার এই দেশের হয়ে গিয়েছিলো।

এবারো তারা এখন যা বুঝতে পারছেনা, বুঝবে কুড়ি বছর পরে। তখন মাথা চাপড়াবে আর কাঁদবে কিন্তু কিছু করার থাকবে না।

তারা বিলাপ করবে, আক্রান্তবোধ করবে এবং বলতে থাকবে আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে। কিন্তু কেউ তাদের বাঁচাতে আসবে না।

প্রজন্ম আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারে, কই আমরা তো মিছিলে গিয়েছি, সভাতে গিয়েছি রায় জেনে। এখানে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা আসবে কিভাবে?

এই যায়গাতেই তো অংক। ভাবতে হবে এখানেই।

কেন রিট হয়েছে? হাইকোর্টের রায় কেন এমন হলো? কারা রাস্তায় নেমেছিলো আগে? কেন নেমেছিলো আপীলেট ডিভিশানের রায়ের আগে?

কারা পানি দিলো? কারা নেট দিলো? কারা এত সাহায্য করলো নেপথ্যে? কারা কাছে এসে উষ্কে দিলো? সমন্বয়কদের গত ৫ বছরের হিসেব নিকেশ কি? কারা এরা?

কোন পত্রিকা এত কাভারেজ দিলো শুরুতে? কেন দিলো? কারা ফোন করে বার বার খোঁজ নিয়েছে? কারা সব ধরনের সাহায্য দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়েছিলো? কেন ছিলো?

শেখ হাসিনাকে প্রজন্ম ভুল ভাবে অনুবাদ করলে সেটার একটা লম্বা দায় এই অস্থির জেনারেশনকেই চুকোতে হবে পরবর্তীতে।

আমাদের কৈশোরে আমাদের বাবা ছিলো আমাদের অন্যতম প্রধান শত্রু। বন্ধুদের সাথে মিশতে দেয়না, কনসার্টে যেতে দেয়না, বন্ধুদের সাথে ট্যুরে যেতে দেয়না, একা ঘর থেকে বের হতে দেয়না। কত অভিযোগ...

আজ সব বুঝি। সব অনুধাবন করি। কিন্তু আব্বার হাত ধরে দেখি তাঁর বয়স ৮৩। সময় গিয়েছে চলে স্রোতের মতন...

আমার এই লেখাটা সংরক্ষন করে রাখুন। কাজে লাগবে। আমি এই প্রজন্মের সাথে এই মুহুর্তে দ্বিমত পোষন করছি বলে তাদের অনেকেই আমার বিরুদ্ধে। কিন্তু তারা জেনে রাখুক, আমি স্পস্টবাদী একজন মানুষ। ( ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার)

আমাকে এখন খারাপ লাগবে। কিন্তু এক সময় আমাকে এরা খুঁজে বের করে পড়বে। আমার কাছে এসে তাঁরা অনুতপ্ত হবে।

আমি আর যাই করি,এই প্রজন্মকে অন্তত মিসগাইড করবোনা।

মূল লেখা - Nijhoom Majumder-নিঝুম মজুমদার”
সংগৃহিত

18/02/2025

১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস | 1971 Muktijuddher Itihas | Documentary | Special Program | ATN Bangla #1971 ATN Bangla==========...

07/02/2025

ছাত্রসমাজের উদ্দেশে দেওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতির সম্পূর্ণ বক্তব্য
——-

বাংলাদেশ একটা ক্রান্তিলগ্নের মধ্য দিয়ে চলছে। বাংলাদেশকে নিয়ে একটা ধ্বংসের খেলা শুরু হয়েছে। যে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল ছিল, উন্নয়নের বিস্ময় ছিল সেই বাংলাদেশ চরমভাবে ধ্বংস করে জঙ্গী সন্ত্রাসীদের দেশ হিসেবে পরিচিত করা হয়েছে।

আগস্ট মাস আমাদের শোকের মাস। সেই আগস্ট মাসে আবার এদেশের অধিকার কেড়ে নেয়ার জন্য যে চক্রান্ত করা হয়েছিল তার শিকার সারা দেশ। বাংলাদেশের কৃষক, শ্রুমক, ছাত্র-জনতা, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, পুলিশ কেউ এদের ধ্বংসের খেলায় রেহাই পাচ্ছে না। আজকের ধ্বংসের খেলা, রক্তের খেলায় ক্ষত বিক্ষত করে দিচ্ছে।

২০১৮ সালে ছাত্রদের কোটা আন্দোলন শুরু হয়। আমি তাদের দাবি পূরণ করেছিলাম। এরপরে মুক্তিযোদ্ধা কয়েকটা পরিবার কোর্টে মামলা করে এবং তার রায় হয়। সেই রায়ে কোটা আবার চালু করে তখন সরকারের পক্ষ থেকে আমরা রিট করে স্থগিত করে দেই। প্রকৃতপক্ষে কোটা আন্দোলন বা কোটা ইস্যু ছিল না। এটা যে কোটা আন্দোলন ছিল না, এটা যে ভিন্ন ষড়যন্ত্র সেটা আমি বার বার বলেছি। এটা ছিল ক্ষমতালোভী তার মেটিক্যুলাস ডিজাইনের অংশ, সেই অংশ হিসেবে সে ছাত্র হত্যা করেছে, জনগণকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, সাংবাদিক হত্যা, সাংস্কৃতিক কর্মী হত্যা, সারা দেশটাকে ক্ষতবিক্ষত করা, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা।

আজকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদের বের করে দেয়া হচ্ছে, তাদের সার্টিফিকেট বাতিল করা হচ্ছে, শিক্ষাবর্ষ বাতিল করা হচ্ছে। কি অপরাধ তাদের? আমরা বৃত্তি দিয়েছি, সহযোগিতা করেছি, আমরা কোন দল দেখিনি। দল-মত নির্বিশেষে যারা মেধাবী তারাই চাকরি পেয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখেছি।

একটি দেশে মাল্টি পার্টি সিস্টেম থাকে, বহুদলীয় গণতন্ত্র থাকে, মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, তারমানে এই না যে তাদের অধিকার কেড়ে নিতে হবে। শিক্ষার অধিকার এটা শিক্ষার্থীদের অধিকার। দলমত নির্বিশেষে সবার অধিকার। সেই অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিক করার মত অন্যায় আর কিছু হতে পারে না। দুর্ভাগ্যের বিষয় বৈষম্যহীন আন্দোলনের মাধ্যমেই আজকে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, শিক্ষকদের অপমান করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। কেন এই অবস্থার সৃষ্টি হবে?

বাংলাদেশে ২০২৪ সালে যে ঘটনা ঘটলো, সেখানে পুলিশদের পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হলো। একটা অন্তস্বত্তা নারী পুলিশ যে বার বার বলছে ভাই আমাকে মারবেন না, আমার পেটে বাচ্চা… মানুষ এত অমানুষ হয় কিভাবে যে তাকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হলো। আগুন দিয়ে পুলিশ ফাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া, মানুষকে মেরে পা বেধে ঝুলিয়ে রাখা.. কসাইখানায় যেভাবে পশু জবাই করে ঝুলিয়ে রাখে ঠিক সেইভাবে ঝুলিয়ে রাখা। এমনকি কি তাদেরকে কাপড় খুলে নিয়ে তাদেরকে বেইজ্জতি করা.. যারা এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের মধ্যে কি এতটুকু মানবিকতা নেই, শালিনতাবোধ নেই? কি করে একটা মানুষ একটা মানুষকে অত্যাচার করতে পারে? আমরা তো ১৫ বছর ৭ মাস ক্ষমতায় ছিলাম। এভাবে কাউকে অপমান করিনি, এভাবে দলীয়করণ করিনি। ব্যবসা বাণিজ্য কেউ করতে পারছে না। ব্যবসায়ীদের উপর অনবরত আক্রমণ, গ্রেফতার, কলকারখানা বন্ধ, হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যচ্ছে। আজকে কৃষক চাষ করতে পরছে না। সার নেই, বিদ্যুৎ নেই, সেচ দিতে পারে না। এ অবস্থা বাংলাদেশে ছিল না, এ অবস্থা আমি বাংলাদেশে রেখে আসিনি। মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। উত্তরবঙ্গে মঙ্গা লেগে থাকতো মঙ্গা দূর করেছি। যারা এক বেলা খাবার পেত না, তারা তিন বেলা খাবার পেত। বিদেশ থেকে পুরানো কাপড় এনে পরানো হতো, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর বিদেশ থেকে পুরানো কাপড় এনে পরানো লাগেনি। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সব ব্যবস্থাই করেছিলাম। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হতো। আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল তৈরি করেছি, বেসরকারি খাত উন্মক্ত করেছি। প্রায় ৪৪ হাজার নার্স ও ২২ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছি। মানুষ যাতে সেবা পায় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। আজকে যেন সব বৃথা হয়ে গেল?

অপরাধটা কি আমার? আমি সেটাই জানতে চাই। আজকে আমাকে যারা স্বৈরাচার বলেন, গণহত্যাকারী বলেন, আজকে আসার জিজ্ঞাসা আজকে বাংলাদেশে যে অবস্থা চলছে… এই যে পুলিশ হত্যা, আওয়ামী লীগের প্রায় ৪০০ নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হাত কেটে, পা কেটে, গলা কেটে ছাত্র, যুবক মহিলা কেউ ছাড় পাচ্ছে না। ছেলে কে পায় না বলে মাকে গ্রেফতার করা, মাকে গাছের সাথে বেধে অপমান করা, জায়নামাযের উপর কুপিয়ে মারা অথবা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা- এ কেমন বর্বরতা! এরা কারা, এরা কি গণহত্যাকারী না? এরা কি স্বেচ্ছাচারী না?

একজন.. যাকে সবচেয়ে বেশি সহযোগীতা আমি করেছিলাম, গ্রামীন ব্যাংকের ম্যানেজারের পদ ৬ হাজার টাকা বেতনের চাকরি ৯০ সালে পেয়েছিলেন। আমি ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই গ্রামীন ব্যাংকে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে এই গ্রামীন ব্যাংকটাকে দাঁড় করিয়ে দেই। শুধু তাই না গ্রামীন ফোনের ব্যবসাটাও ড. ইউনূসকে দিয়েছিলাম, আমার কাছে বারবার ধন্না দিয়েছিল। বলেছিল ওখান থেকে যে লাভ হবে সেই লাভের অংশটা যাবে গ্রামীন ব্যাংকে। সেটা কিন্তু যায়নি। বরং এগুলো বেঁচে খেয়েছে, মানি লন্ডারিং করেছে, দুর্নীতি করেছে। তার ক্ষমতার লোভ আজকে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে এসেছে। একটি মানুষের ক্ষমতার লোভ বাংলাদেশকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। তার মধ্যে কি একটুকু মনুষত্যবোধ নেই, কৃতজ্ঞতাবোধ নেই? যে তার উপকার করে তার মাথায় আঘাতটা করতে হবে। কেন?

ক্ষুদ্র ঋণ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ছিল না। এই ড. ইউনূসের অনুরোধে আমি নিজে তার সম্মেলনে উপস্থিত হই। যেখানে স্পেনের রানী কুইন সোফিয়া এবং হিলারি ক্লিনটন উপস্থিন হন, আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপস্থিত ছিলাম বলেই। ক্ষুদ্রঋণ জাতিসংঘে যেন স্বীকৃতি পায় সেই ব্যবস্থাও আমি করেছিলাম। কিন্তু কতবড় বেইমান মোনাফেক যে তার ক্ষমতার লোভ এত পর্যায়ে চলে গেল যে সে আমাকে ও রেহানাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করলো। এবং তার বক্তৃতায় তিনি ধরা পড়ে গেছেন। বিল ক্লিনটন ফ্উন্ডেশনে সে মোটা টাকা দেয়। আমাদের দেশের কোন দুর্যোগ, দুর্বিপাকে কোন দিন মানুষকে এক পয়সা সাহায্য সহযোগিতা করেনি। কিন্তু সেখানে মোটা টাকা দিয়েছেলেন। গত সেপ্টেম্বরে যখন জাতিসংঘ অধিবেশনে যায় তখন বিল ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে দাড়িয়ে ইউনূস সাহেব কি বক্তব্য দিলেন? যে এই আন্দোলন কোন ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল না। এটা ছিল তার ম্যাটিক্যুলাম ডিজাইনের আন্দোলন যা তার মাস্টারমাইন্ডের মাধ্যমে করা। ওই মাহফুজ আলমকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে। তার অর্থটা কি? ছাত্রদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। আমাদের ছাত্ররা কোমলমতি।ঠিক কোনটা সঠিক তারা সেটা সবসময় বুঝতে পারে না। তারা ঝুকে চলে এসেছে। আবার আরেকজন সমন্বয়ক বললো কি? যে গণভবন আক্রমনের আগে বেশি ছাত্র পায়নি তাই ফলস আইডি কার্ড করে ভুয়া ছাত্র বানিয়ে নিয়ে এসেছিল। তারমানে এদের উদ্দেশ্য কি ছিল, আমি জাতির কাছে আজ জানতে চাই। জাতির কাছে আমি বলবো ১৫ই আগস্ট আমরা দুই বোন বেঁচে গিয়েছিলাম এটাই কি আমাদের অপরাধ? বাবা মা ভাই সব হারিয়েছিলাম। সব হারিয়েও সেই শোক ব্যাথা বুকে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছি।

৩২ নম্বর আমরা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করিনি। মিউজিয়ামে সারা বিশ্বের নেতারা এসেছেন, রাষ্ট্রপ্রধানরা এসেছেন, সরকারপ্রধানরা এসছেন। ওই বাড়ি ভিজিট করেছেন। আজকে সেই বাড়িটা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কেন? বাড়িটার কি অপরাধ? ওই বাড়িটাকে কেন এত ভয়? আমি দেশের মানুষের কাছে বিচার চাই, দেশের জনগনের কাছে বিচার চাই। বলুন আপনারা আমি কি আপনাদের জন্য কিছুই করিনি? আমি কি আপনাদের অন্ন বস্ত্র বাসস্থান, চিকিৎসার ব্যবস্থা করিনি? আপনাদের ঘরে আলো জ্বলাইনি? আপনাদের ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার সুব্যবস্থা করিনি? রাস্তাঘাট পুল ব্রিজ করে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেই নি? তাহলে কেন এই অপমান? কেন এই বাড়িটাকে ভাঙা হবে? এই বাড়িটা থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল জাতির পিতা। আর স্বাধীন দেশ হয়েছিল বলেই তো বাংলাদেশ এত উন্নত হয়েছে। তাহলে এই বাড়ি কারা ভাঙে? আপনি আপনাদের কাছে, দেশের জনগণের কাছে বিচার চাই।

ছাত্র সমাজের কাছে বলবো যারা বিভ্রান্ত করে, তোমদেরকে বিভ্রান্তির পথে নিয়ে গিয়েছিল

সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি আমাদের কোন রাগও নেই, কোন অভিযোগও নেই। কারণ আমি জানি তোমাদের বয়সটাই এরকম। সকলেই এর মধ্যে ঢোকেনি। যারা মানুষ হত্যা করেছে, যারা ধ্বংস করেছে তারা তো খুনি হিসেবে চিহ্নিত হবে। এখানে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। আমি মনে করি এর থেকে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের দূরে থাকা ভাল, এদরে এই ধ্বংসযজ্ঞে যেন অংশ না নেয়। বরং লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরে আসুক, আরো উন্নত জীবন তোমরা পাও আমি সেই দোয়া করি।

আমাদের যে ইতিহাস রক্তের অক্ষরে লেখা সেই ইতিহাস ভূললে নিজেদের অস্তিত্ব থাকবে না, সেই ইতিহাস ভূললে পরে বিশ্বের বুকে আমরা মাতা উচু করে দাঁড়াতে পারবো না। ১৫ ই আগস্টের পরে আমরা পারতাম না। খুনের জাতি হিসেবে পরিচিত ছিল এই দেশ, ভিক্ষার জাতি হিসেবে পরিচিত ছিল। আমি সেখান থেকে বাংলাদেশকে উন্নত করে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মান নিয়ে এসেছিলাম। সারা বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়নকে বিস্ময় বলে স্বীকার করতো। কিন্তু ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে এই বাংলাদেশ আবার সেই ধ্বংসের দেশ।

আমার একটা প্রশ্ন জুলাই ১৫ তারিখ থেকে যত রকমের হত্যাকাণ্ড পুলিশ হত্যা, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী হত্যা, ছাত্র হত্যা, শিশু হত্যা- যত হত্যা হয়েছে কেন ইনডেমনিটি দেয়া হলো? অপরাধ করলে অপরাধীদের শাস্তি পেতে হবে। অগ্নি সংযোগ করা হলো মেট্রো রেল, এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভি ভবন বা প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া হলো। একজন সমন্বয়ক বলেছে পুলিশ হত্যা না করলে আর মেট্রো রেলে আগুন না দিলে বিপ্লব সফল হতো না। কিসের বিপ্লব? এই হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসলীলাই কি বিপ্লব? বিপ্নবের অর্থ বোঝে? তারা নিজেরাই স্বীকার করছে এবং সেখানে তাদের ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে। অপরাধ যারা করে তারাই দায় মুক্তি পায়। অপরাধীন বিচার একদিন না একদিন হবেই, এটা মনে রাখতে হবে।

ছাত্রসমাজকে বলবো পড়াশোনায় মনোযোগী হও, নিজের পায়ে দাঁড়াও, নিজের পিতামাতাকে সম্মান করো, শিক্ষকদের সম্মান করো। নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন জঙ্গীদের হাতে তুলে দিও না। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেক কষ্ট করেই আমরা শিক্ষার পরিবেশ এনেছিলাম। যেখানে প্রতিদিন বোমাবাজি এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল সেটা মুক্ত করে চমৎকার পরিবেশ করে দিয়েছিলাম। কোন সেশনজট ছিল না। কিন্তু আজকে আবার সেই সেশন জটের দুঃসময় যাচ্ছে। আমাদের তরুন সমাজই পারে এখান থেকে পরিবর্তন আনতে। যে চেতনা নিয়ে লাখো শহীদ রক্ত দিয়েছে সেই চেতনাকে ধ্বংস হতে দিওনা। তাহলে বিদেশেও নিজেরা মুখ দেখাতে পারবে না। দেশেও না। মানুষের ধিক্কার ছাড়া কিছুই জুটবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বলবো তোমরা দেশকে ভালোবাস, দেশের মানুষকে ভালোবাসো, মানুষের কল্যানে কাজ করো। যারা জঙ্গী সন্ত্রীসী, অগ্নিসংযোগ মানুষ হত্যা করতে পারে, ইতিহাস মুছে ফেলতে চায়, তাদেরকে ধিক্কার জানাও।

দেশের মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা যারা মানুষ হত্যা করে, ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা ফ্যাসিবাদি নাকি যারা মানুষের কল্যান করে, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে, ঘরে ঘরে আলো জ্বালে, দেশের মানুষের উন্নত জীবন দেয় তারা ফ্যাসিবাদী? কারা স্বৈরাচার সেটা দেশের মানুষই বিচার করবে। আমি আপনাদের কল্যানেই কাজ করেছি।⁩
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Address


Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00

Telephone

+971523187577

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ratish Barua posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Opening Hours
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share