Next In

Next  In Top Motivational nasheed I am student

নফস কি?নফস শব্দটি আরবি। নফস শব্দের অর্থ প্রাণ, আ*ত্মা। যা সকল প্রাণির দেহেই বিরাজমান।নফস হলো সেই অলৌকিক বস্তু, যা মানুষে...
21/12/2023

নফস কি?

নফস শব্দটি আরবি। নফস শব্দের অর্থ প্রাণ, আ*ত্মা। যা সকল প্রাণির দেহেই বিরাজমান।

নফস হলো সেই অলৌকিক বস্তু, যা মানুষের দেহে ফুঁ দিয়ে প্রাণের সঞ্চার করা হয়।

অথবা নফস সেটাই যা আল্লাহ মানব দেহে ফুঁকে দিয়েছেন। মৃ*ত্যু*র সময় যা দেহ থেকে বেরিয়ে যায়।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলছেনঃ- কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল ম*উত। অর্থাৎ প্রত্যেক নফস তথা প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। (সূরা: আলে-ইমরানঃ-১৮৫)।

আবার কোরআনের বর্ণনা থেকে পাই নফস তিন প্রকারঃ-

১। নফসে আম্মারাহ।

২। নফসে লাউয়ামাহ।

৩। নফসে মুত্বমাইন্নাহ।

১। নফসে আম্মারাহ: এর স্বভাবগত চাহিদা হলো মন্দকামনা, শয়তানের অনুসরণ-কু-প্রবৃত্তির বাসনা, চরিতার্থ করা। যাতে করে হারাম কাজ করা তার জন্য সহজ হয়।

যেমন: আল্লাহ তায়ালা বলেন,

وَمَا أُبَرِّىءُ نَفْسِي إِنَّ النَّفْسَ لأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلاَّ مَا رَحِمَ رَبِّيَ إِنَّ رَبِّي غَفُورٌ رَّحِيمٌ-

অর্থ: ‘আমি নিজেকে নির্দোষ বলি না। নিশ্চয় মানুষের মন মন্দ কর্মপ্রবণ কিন্তু সে নয়-আমার পালনকর্তা যার প্রতি অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় আমার পালনকর্তা ক্ষমাশীল, দয়ালু।’ (সূরা: ইউসুফ, আয়াত: ৫৩)।

২। নফসে লাউয়ামাহ বা ধিক্কার দানকারী আত্না: এ প্রকারের আত্নায় ও মন্দ-শয়তানি কুমন্ত্রনা, কু-প্রবৃত্তির বাসনা ইত্যাদি জিনিসের উদয় হয়। তবে পরক্ষনেই এই নাফসের অধীকারী ব্যক্তি তার কৃত কর্মের জন্য নিজেকে অধিক ধিক্কার দেয়, ও লজ্জাবোধ করে। কারণ তাতে সামান্যতম হলেও ঈমানের জ্যোতি বিদ্যমান।

যেমন: আল্লাহ তায়ালা বলেন,

لَا أُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيَامَةِ-

وَلَا أُقْسِمُ بِالنَّفْسِ اللَّوَّامَةِ-

অর্থ: ‘আমি শপথ করি কেয়ামত দিবসের। আরো শপথ করি সেই আত্নার যে নিজেকে ধিক্কার দেয়।’ (সূরা: আল-কিয়ামাহ, আয়াত: ১-২)।

৩। নফসে মুত্বমাইন্নাহ বা প্রশান্ত আত্না: এই প্রকারের আত্না আল্লাহর আনুগত্য ও জিকির দ্বারা মনে প্রশান্তি অনুভব করে, এবং সব প্রকার আনুগত্যের কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে ঈমানের পরিপূর্ণ স্বাদ লাভ করে এবং সমস্ত অন্যায় থেকে সে পরিপূর্ণ রুপে মুক্ত থাকে।

যেমন: আল্লাহ তায়ালা বলেন,

يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ-

ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً-

فَادْخُلِي فِي عِبَادِي-

وَادْخُلِي جَنَّتِي-

অর্থ: ‘হে প্রশান্ত আত্না- তুমি প্রশান্ত চিত্তে তোমার পালনকর্তার দিকে ফিরে চলো।🍂

আমরা পশ্চিমা মুভি দেখি না। কারণ,আমাদের মুসলিম ইতিহাসে অনেক সাহসী বীর যোদ্ধা রয়েছে।🥰🖤
21/12/2023

আমরা পশ্চিমা মুভি দেখি না। কারণ,
আমাদের মুসলিম ইতিহাসে অনেক সাহসী বীর যোদ্ধা রয়েছে।🥰🖤

আলহামদুলিল্লাহ, বিকল্প এসে গেছে!🇦🇫ই|মার|তে ইসলামিয়ার স্বনামধন্য পামির গ্রুপের প্রোডাক্ট। এই গ্রুপের রয়েছে লোভে পড়ে যা...
20/12/2023

আলহামদুলিল্লাহ, বিকল্প এসে গেছে!

🇦🇫ই|মার|তে ইসলামিয়ার স্বনামধন্য পামির গ্রুপের প্রোডাক্ট। এই গ্রুপের রয়েছে লোভে পড়ে যাওয়ার মতো অনেকগুলো প্রোডাক্ট। বিশেষ করে তাদের আনার-জুসগুলো দেখলে জিভে জল এসে যায়। এক কথায় লাজিজুন জিদ্দান😋 সম্প্রতি জেনারেল মুবিন তাদের ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করেছেন। দেখলাম, অসাধারণ উৎপাদন-প্রক্রিয়া। যেখানে নিশ্চিত করা হয় সর্বোচ্চ গুণগতমান। এর পক্ষে একটি প্রমাণই যথেষ্ট, অতি সম্প্রতি তারা তাদের নিয়মিত রপ্তানির অংশ হিসেবে আমেরিকায় ৪৫ টন আনার-জুস পাঠিয়েছে।

মাগদুবদের বর্বরতার কারণে যখন বিশ্বব্যাপী পশ্চিমা পণ্য বর্জনের জোয়ার চলছে তখন বিকল্প পণ্য নির্দেশ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সেজন্যই মূলত আমরা এই প্রচারণায় অংশ নিয়েছি।

পামির গ্রুপের পণ্যগুলো বাংলাদেশে যদি কেউ আমদানি করেন অর্থাৎ, এদেশে কান্ট্রি-এজেন্ট হয়ে পরিবেশনার দায়িত্ব নেন তাহলে আমাদের বিশ্বাস, খুব সহজেই মার্কেট ধরতে পারবেন। যাদের সামর্থ্য আছে ভেবে দেখতে পারেন। আর হ্যাঁ, এই পোস্টটির প্রচার-প্রচারণায় যে-কেউ অংশ নিতে পারেন।

10/12/2023

#পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে ,,,,

Bf __দেখো একদম ভয় পাবে না,,যেইটা কমন পড়বে সেইটা আগে লিখবে তারপর বাকি গোলা যা পারো লিখে খাতা ভরাট করে আসবে,,,
Gf __আচ্ছা , ঠিক আছে ,,
পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হওয়ার পর
Gf __জানো স্যার যা প্রশ্ন দাগিয়ে দিছিলো সবগুলো প্রশ্ন কমন পড়ছিলো,কি.....
Bf _বাহ ,তাই নাকি ,তাহলে তো পরীক্ষা অনেক ভালো হইছে বলো,,
Gf __আগে পুরা কথা টা তো শুনবে ,,
Bf ___হুমম বলো ,,
Gf ___আসলে কমন তো পড়ছিলো কিন্তূ আমি একটাও শিখে আসি নাই
Bf ___কিহ, তাহলে খাতায় এতক্ষণ কি লিখলে ,,
Gf ___ক নাম্বার গোলা বান্ধবীর থেকে দেখে লেখছি আর বাকি গোলাতে উদ্দীপকের সাথে তুমার আমার প্রেম কাহানি লিখে দিছি🙂
Bf ___বাহ, ভালা কাম করছো 😐
নিব্বির পরীক্ষা

মজার মজার গল্প পড়তে ফলো করে রাকতে পারেন 👉 in

10/12/2023

#ধোঁয়াশা_আকুতি
্ব


হঠাৎ দরজার কলিং বেল বেজে উঠলে সকলের ভাবনার অবসান ঘটে। আসিয়া বেগম দরজাটা খুলে দিলে একজন যুবক ঘরে প্রবেশ করে। তাকে দেখে সকলের মুখে বিশেষ করে মুমুর মুখে হাসির রেখা ফুটে ওঠে। যুবকটি আর কেউ না মুসা। সে রাফির পড়ার টেবিলে গিয়ে চেয়ার টেনে বসে পড়ে । রাফি আসলে তার পড়া শুরু করে। এদিকে মুমু আবার লুকিয়ে তাকে দেখতে থাকে। এবার মুসা বলে ওঠে ।

-রাফি এভাবে লুকিয়ে একজন বেগানা পুরুষকে দেখা যিনা করার শামিল। কেউ যদি এটা করে থাকে তাহলে তার তওবা করা উচিত এবং এ কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
-স্যার আমি কি করলাম?
-যে বুঝার সে বুঝবে তুমি পড়ো ।

মুমুর বুঝতে সমস্যা হলো না বাক্যটি তাকে ছুড়ে দেয়া হয়েছে। একহ্রাস হতাশা এবং দুঃখ নিয়ে সে উক্ত স্থান ত্যাগ করে। নিজের রুমে গিয়ে নামাজে বসে পড়ে। এদিকে তার মা বাবা বুঝতে পারে কি হয়েছে।তাই আসলাম সাহেব মুসার কাছে যায়।

-আসসালামুআলাইকুম। কেমন আছো বাবা?
-ওয়ালাইকুম আসসালাম ওরাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতু ওমাগফিরাতুহু ও হায়াতুহু। আলহামদুলিল্লাহ ।আপনারা?
-কিছু মনে না করলে তোমাকে একটা কথা বলি?
-জি বলেন।
-আসলে আমার মেয়েটা না বুঝে হয়তো ভুল করেছে ওকে ক্ষমা করে দিও। ওর এমন কিছু করা উচিত হয়নি। ওর হয়ে আমরা ক্ষমা চাইছি।
-আরে আংকেল। ছি ছি এসব কি করছেন? আপনি আমার বাবার বয়সি । এমনটা করবেন না।
-ও আসলে ছোট মানুষ তাই কিছু না বুঝে এসব করছে।
-হুম এ বয়সে এমনটা হয় । আমি কিছু মনে করি নি।ওনাকে বোঝাবেন এ ধরনের কাজ গুলো গুনাহ এর কাজ।
-আসলে জানিনা তুমি বিষয়টা কিভাবে নেবে। ও নাকি তোমার চলাফেরা ,আচার- আচরন এগুলো পছন্দ করে। জানো ও তোমাকে
দেখে নামাজ শুরু করেছে । ওর অশান্ত মনটা শান্ত হয়ে গেছে। আমি জানি না এটা কেমনে হলো । যাকে কখনো নামাজ নামটা উচ্চারণ করতে দেখিনি সে আজ নামাজ পড়ছে ।

-আসলে এখানে আপনার আমার কোনো হাত নেই সব আল্লাহর ইচ্ছা। ওনাকে ইসলাম সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিবেন তাহলে উনি ও ভালোভাবে দ্বীন মানতে পারবে ইনশাআল্লাহ ।
-হ্যাঁ তাই যেনো হয়। আচ্ছা বাবা কিছু মনে করো না। পারলে ক্ষমা করো।
-আরে আরে আপনারা আমাকে কেনো লজ্জিত করছেন? মানুষের ভুল হতে পারে। সমস্যা নেই।
আমি কিছু মনে করিনি

এভাবে টুকিটাকি কথা বলে মুমূর বাবা সেখান থেকে চলে আসে। মুমুর রুমের সামনে গিয়ে দেখে সে নামাজে বসে কাঁদছে।
তিনি মেয়ের এ অবস্থা দেখে কান্না থামিয়ে রাখতে পারলেন না। এদিকে মুসাকেও কিছু বলতে গিয়ে আটকে যাচ্ছেন। সম্মান এর ভয়ে।কিন্তু একমাত্র মেয়ের কষ্টও সহ্য করতে পারছেন না। মুসাও কিছু ভাবতে পারছে না। রাফিকে ছুটি দিয়ে সেদিনের মতো বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আজকের ঘটনা গুলো যেনো ওর চোখে ভাসছে ।

কি কারনে ওর সাথে এমন হয়? আগের বারের ছাত্রীটা তার দিকে নজর দিয়েছিলো । প্রেমের নজর। কিন্তু মুসা বুঝতে পেরে কোনোরকম পালিয়েছে। আর কোনোদিন মেয়ে ছাত্রী পড়াবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেয় । এমনকি এ টিউশনিটাও ছেড়ে দেয়ার অংক কষছে

ছাত্র পড়াতে গিয়ে সেখানে ছাত্রের বড় বোন এবার ঝামেলা করছে। এটাই ওর একমাত্র টিউশনি। এটা ছাড়লে ওর কিছু করার থাকবেনা। পরবর্তী টিউশনি কখন পাবে আল্লাহ্ ভালো জানেন।

এসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে সে তার বাসায় এসে পড়ে। বাসা বলতে মেস।একটা বাসা দুজন ভাড়া করে থাকে। বাসার মালিক খিটখিটে মেজাজের । মুসা যেই ওনার সামনে পড়ে ওমনি ওনি দারোগাগিরি শুরু করে। আজ তাকে চোখে পড়েনি। তাই মুসা যেনো হাফ ছেড়ে বাচলো

বাসার দরজা ভিতর থেকে লক । মানে তার রুমমেট আদি চলে এসেছে। এখন আরেক অশান্তি শুরু হবে।

দরজায় বারি দিতেই
-yo bro কেমন আছো?
- দেখছনা এই মাত্র বাহির থেকে এলাম
-সেটাতো দেখছিই। তা কোথায় গিয়েছিলে?
- টিউশনিতে । এখন ঢুকতে দিবে নাকি বাহিরে দাড়িয়ে থাকব?
-No no . Come in . Why are you being angry . অনেকদিন পর দেখা তো তাই ।
-হুম ঠিকাছে । একদম পাগল কেনো যে এর সাথে থাকি কে জানে।(মনে মনে)।

মুসা ক্লান্ত থাকায় সোজা ওয়াশরুম এ চলে যায় । ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা টা এলিয়ে দেয়।
এখনো ভাবছে আজকের ঘটনা গুলোর বেপারে । ভাবতে ভাবতে একটু চোখ লেগে যায় ।
হঠাৎ কারো ডাকে সদ্য আসা ঘুমটা ভেঙ্গে যায় ।

-মুসা। এই মুসা
-কি হয়েছে ডাকছে কেন ?
-কিছু খেয়েছো?
-না । কিন্তু কেনো?
-bro বলিস না ঐশি আমায় প্রপোজ করেছে।
-তো এর সাথে আমার খাবারের কি?
-ভাবলাম খুশি হবি। আচ্ছা রেডি হ ট্রিট দিবো।
-তার দরকার নাই। আর তোমাকে কতবার বলেছি এগুলো ভালো না । তুমি যেটাকে বৈধ মনে করছ সেটা অবৈধ এবং হারাম। আর ভাই আদনান তুমি যদি হারামকে হালাল মনে কর তাহলে তুমি কাফের হয়ে যাবে।
-Hey you don't call me Adnan. Say me Adi. And stop your f..kin rubishes. সবসময় জ্ঞান দেয়। তুই যাবি কিনা বল?
-না আমি যাব না।আমার আরেক জায়গায় কাজ আছে ।
-Ok . fine. আমার টাকা বেচে গেলো । তুই আজীবন সিঙ্গেলই থাকবি। তোর এ ধারনা নিয়ে এ যুগে কিছু করতে পারবিনা।Goddamn fellow.

বলেই আদনান মানে আদি সেখান থেকে চলে যায় । আর এদিকে মুসা তাচ্ছিল্যের এক হাসি দিয়ে ভাবছে, এদের কি হবে?
আর কিছু না ভেবে সে বেরিয়ে পরে । উদ্দেশ্য জোবাইদ ভাইয়ের বাসা। জোবাইদ ভাই নুসার একজন পরিচিত সিনিয়র ভাই। তার সাথে সেই কলেজ লাইফ থেকে পরিচয়। তার বাসায় পৌঁছাতে ই মুসাকে দেখে সে খুশি হয়ে জরিয়ে ধরে ।
-আসসালামুআলাইকুম মুসা সাহেব কি খবর ?
- ওয়ালাইকুমুসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ । আপনার কি খবর?
-আমারও আলহামদুলিল্লাহ । তো কি মনে করে এই অধমের কাছে আসা হুম?
-কেনো আসতে পারি না?
- তা তো অবশ্যই । এসো ভিতরে এসো।
-জি
এরপর মুসা ভিতরে আসলে কোথা থেকে এক পুচকি এসে
-আংকেল কেমন আচ?
-এই তো মামনি তুমি কেমন আছো?
-কিরে মা আংকেলকে সালাম দাওনি কেন ?
-ও ও চরি। আস সালাইকুম
-হয়নি । বলবে আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতু ।
-আব্বু তুমি বলচ না । আমার আর বলতে হবে না।
-আচ্ছা যাও মায়ের কাছে যাও । পাকনা বুড়ি।
-তুমাকে বলচি আমি বুলি বলবে না।

এই বলে সে চলে গেলো

পুচকিটা হলো জোবাইদের দুই বছর বয়সী মেয়ে। একটু আধটু কথা বলে। সে চলে গেলে মুসা আর জোবাইদের আলোচনা শুরু হয়।
-তা কি সমস্যা হুম?
-আচ্ছা ভাই আপনি কেমনে বুঝলেন আমার কোন সমস্যা হয়ছে?
-আমি বুঝি । তুমি কখনো দরকার ছাড়া এখানে আসো?
-আসলে সেটা না । সময় হয় না।
-আজ যেমন সময় হয়েছে সেরকম কয়েকবার সময় করে এখানে এসো। এখন বলো কি খবর ।
-আসলে কিছু মনে করবেন না। আমি আসলাম সাহেবের বাসায় দীর্ঘ তিন মাস ধরে তার ছেলেকে পড়াই। আর সেখানে ••••••
(মুসাকে থামিয়ে দিয়ে)
-আর সেখানে তার মেয়ে তোমাকে লুকিয়ে দেখে ঠিক তো?
-হূম । আপনি কেমনে জানলেন?
-আসলাম সাহেব আমাকে সব বলেছে। দেখো ওই মেয়েটা তোমার মধ্যে দ্বীন দেখেছে । অন্য কিছু না । তোমার দ্বীন ওকে আকৃষ্ট করেছে।শোনো ওই মেয়েটা তোমাকে দেখে নিজের দ্বীন খুঁজে নিচ্ছে। একটা মানুষের মোনাজাতে থাকা অনেক ভাগ্যের । সে তোমাকে আল্লার কাছে চাইছে । বুঝতে পারছো কি বলতে চাইছি?
-হুম কিন্তু
-জানি তুমি কি বলবে । আরে তুমি চিন্তা করো না । আল্লাহ চাইলে ও পরিপূর্ণ দ্বীনদার হয়ে উঠবে।
- সেটা ঠিক আছে।কিন্তু আমি ওর দ্বায়িত্ব নিবো কিভাবে। আমার তো কোনো ইনকাম নেই।
-তুমি একটু বেশিই ভাবছো। জানো তোমার চাকরি হয়ে গেছে ? শুকরিয়া করো । আসলাম সাহেব তোমার এ উপকার করেছে। আর কি বলছিলে তুমি ওর দ্বায়িত্ব কিভাবে নেবে ? তোমার ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন ভাবলে। রিজিকের মালিক আল্লাহ্ । দেখো ও তোমার লাইফে আসতে না আসতেই তোমার উন্নতি শুরু হয়ে গেছে।
-আলহামদুলিল্লাহ । আমি যে আপনার আর আসলাম সাহেব এর উপর ঋণি হয়ে পড়লাম।
-ধুর কি যে বলো। আর হ্যাঁ তুমি গিয়ে ইস্তেখারা করবে তাহলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।আশা করি আমার শ্যালিকাটা একটা ভালো মানুষের স্ত্রী হবে। কি বল ?
-শ্যলিকা মানে?
-শ্যালিকা মানে বউ এর বোন ।
-তার মানে ও আপনার শ্যালিকা?
-হুম । তা আপনাকে আজ না খাইয়ে চারদিন
-না আমার যেতে হবে।
-বেশি কথা বললে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবেনা।
-আরে আমি কি বলছি নাকি ভাবনা?
-পথে এসো বাছা। এখন তো এখানে এক রাত থেকে তারপর যেতে হবে
-হুম । তা ঠিক আছে।

তাদের কথার মাঝে হঠাৎ কলিং বেল বেজে ওঠে।একজন লোক ঘরে প্রবেশ করে । জোবাইদ তাকে সালাম দিয়ে তার স্ত্রীকে ডাকে
-আয়েশা । বাবা এসেছে।
-থাক ওকে ডাকতে হবেনা । আমি এসেছি অন্য কাজে।
বলেই মুসার দিকে রাগী দৃষ্টিতে এগিয়ে আসেন। মুসা ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে নেই

চলবে••••••

10/12/2023

#ধোঁয়াশা_আকুতি
্ব

রাতে আসলাম সাহেব (মুমুর বাবা) বাড়িতে আসেন । আসিয়া বেগম মুমুর ব্যপারে সব কিছু বলেন। এমন বাক্য উক্ত ব্যক্তির পিতৃ মানসিকতায় ভাবনার প্রসার ঘটায়।
মুমুর মাও স্বামীর এমন আচরনে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েন । তারপর মুমুর বাবা বলে উঠেন
-ওকে ডাকো।
-দেখো ও এখনো ছোট ।কিছু না বুঝে হয়তো এমন করছে।
- আমি এতো কিছু বোঝাতে বা বুঝতে চাই না।ওকে ডাকো।

মুমুর মা তাকে ডেকে নিয়ে আসে। মুমু তার বাবার মুখের দিকে তাকাতে পারছে না। কিভাবে তাকাবে ও আজ এতবড় একটা কাজ করে ফেলেছে। ভাবনার ছেদ ঘটে বাবার ডাকে।
- মুমু আমি এসব কি শুনছি?
-•••••••••••••••
-এই মুমু
- হুম।(হকচকিয়ে)
-মুমু মা দেখ তোর একটা ভবিষ্যত আছে । ওই ছেলেটারও একটা ভবিষ্যত আছে।এখন ও ছেলেটা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি । ও পাস করে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হোক তারপর কিছু একটা দেখা যাবে।আর তুই খুঁজে খুঁজে ওই হুজুরটাকে পেলি। তোর জন্য আরো ভালো ছেলে আসবে। তোর পিছে•••••••••।

(কথাটা শেষ না করে)

বাক্যটা যেনো মুমুর হৃদয়ে আঘাত করলো।হনহনিয়ে প্রস্থান করে উক্ত জায়গা।এদিকে মুমুর
বাবা হেসে বলেন
-মেয়ে পুরা তোমার মতো হয়েছে । শেষে কিনা ভাইয়ের শিক্ষক ।(মুমুর মাকে উদ্দেশ্য করে)হা হা হা।
-হাসি তোমার বার করছি । আগে দেখো গিয়ে তোমার সুকন্যা কি করছে।
-চ্যত কেনো যাচ্ছি । এতোদিন এক পেত্নিকে সামলাতাম এখন আরেকটা। (কথা গুলো ভাবতে ভাবতে মুমুর রুমের সামনে গিয়ে)এই মুম দরজা খোল। তোর এই বুড়া ছেলেটার কথা একবার শোন।

মুমুর বাবার কথা শেষ হবার দেরী নেই দরজা খুলে গেলো।
- আমার মা টা রাগ করেছে ? ঠিক আছে মুসা কে পাঠিয়ে দি•••••(কথা শেষ হবার আগে মুমু বাবার সামনে থেকে দৌড়ে রাফির পড়ার রুমে গিয়ে)
- আসসালামুআলাইকুম । {বাবা বলল ও এসেছে এখানেতো কেউ নেই । আরে আজকে তো ওনি আর আসবেনা। বিকেলে পড়িয়ে চলে গেছে। বুইরা আমারে বোকা বানাল। (মনে মনে) }।

মুমু এতোটা আবেগ প্রবন হয়ে পরেছিল যে সে কি করছে সেটা বুঝে ওঠতে সময় লেগে যায় ।
ভাবনার ছেদ ঘটলে ফিরে যেতেই ধাক্কা লাগলো কিছু একটার সাথে ।
-হা হা হা হা । আমার মা তো দেখি পাগল হয়ে যাচ্ছে । কি কেমন লাগলো। হাহাহা।
-(চোখ গরম করে) তুমি আমাকে বোকা বানালে । দাঁড়াও তোমার আজকে বারোটা না পনেরোটা বাজাবো। মাআআআআ উমমমমমম উমমম
-আস্তে আস্তে (মুমুর মুখ চেপে)।এই অসহায় ছেলেকে মার খাওয়াবি ? আচ্ছা চল ছাদে যায় ।

বাপ বেটি ছাদে গিয়ে >
-দেখ মা তুই জানিস না এটা তোর আবেগ। এই বয়সে এমন হয়।
-না বাবা এটা আবেগ না । এটা এক অনুভূতি । যেটা ঈষৎ পিড়ন । আর ঈষৎ ভালো লাগার মিশ্রন। ওনাকে প্রথমে বিরক্ত লাগতো। কিন্তু একদিন নাস্তা দিতে গেলে আমার দিকে তাকায়নি পর্যন্ত জানো? তখনই
তার প্রতি কৌতুহল জন্মে। রূমির ভাইকে চেনো?
-কে হারুন এর মেয়ে?
-হ্যাঁ । ওর ভাই আর ওনি এক বিভাগের। ওনার থেকে জানতে পারি ওনি অনেক দ্বীনদার। কখনো পরোনারীর দিকে তাকায়নি । আর জানো মাঝ রাতে নাকি নামাজে কাঁদে । তখন একটু একটু করে••••••।
-তা কখন থেকে এসব। হুম?
- সেটা দিয়ে কি করবে?
-না এমনি
-শশশশ। আজান পড়ছে।
দূর থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে এলো । আজান শেষে মুমু দৌড়ে গিয়ে নিচে চলে আসে।
সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে দোয়া করে।আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তার কাংক্ষিত ব্যক্তিকে। এদিকে আসলাম সাহেব তো মহা খূশি মেয়ের এমন পরিবর্তন দেখে। কিঞ্চিত হাসির রেখা টেনে তিনি মনে মনে বলেন--

-আসলেই ছেলেটার মধ্যে কিছু একটা আছে। যে মেয়েকে কখনও নামাজের নাম নিতে শুনিনি।সে আজ নামাজ পড়ছে। আল্লাহ্ চাইলে কি না পারেন।

ভাবনাই ছেদ ঘটলো আসিয়া বেগমের ডাকে

-তা কি ভাবলে?
-ভাবছি জামাই বাবাজিকে কি বলব ?
-হুম সেটাই । ও যদি রাগ করে?
-কি জানি ।আচ্ছা এখন খেতে দাও।

পরদিন বিকেলে মুসা রাফিকে পড়াতে আসেনি দেখে সকলের কপালে চিন্তার রেখা উদিত হয়। বিশেষ করে মুমুর । সে সবার চেয়ে বেশি চিন্তিত।
-তাহলে সে কি আর আসবে না।আমাদের কথা কি সে শুনে ফেলেছে?সেদিন মায়ের সাথে তো একটু সরে কথা বলেছিলাম । (মনে মনে)

হঠাৎ দরজার কলিং বেলের আওয়াজে সকলের ভাবনার অবসান ঘটে।

দৌড়াবে••••••• .

Address

Kabul

Telephone

+8801977327123

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Next In posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Next In:

Share