সালাহউদ্দীনের ঘোড়া ২

সালাহউদ্দীনের ঘোড়া ২ ❝ নববী মানহাজের দাওয়াহ আল্লাহর জামিনে ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। ❞

শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ) বলেন:গত তিন শতাব্দী ধরে ইসলামী অঞ্চল এক গভীর পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে, যা শুরুতে ধীরগ...
13/04/2025

শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ) বলেন:

গত তিন শতাব্দী ধরে ইসলামী অঞ্চল এক গভীর পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে, যা শুরুতে ধীরগতিতে চলছিল, পরে ধীরে ধীরে তা তীব্র হতে থাকে, এমনকি বিশ শতকের প্রথমার্ধে পৌঁছে এই পরিবর্তন তার চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। তখন পশ্চিমা অনুকরণের ধারা এতটাই প্রবল হয়ে ওঠে যে, প্রথম দৃষ্টিতে দেখে মনে হতো এই স্রোতের মুখে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। বরং এর মোকাবিলার চেষ্টা করা মানে হয় এক প্রকার বৃথা আত্মত্যাগ কিংবা সুস্পষ্ট আত্মহত্যা।

এই পরিবর্তনের লড়াই তিনটি ধাপে সংঘটিত হয়েছে:

প্রথম ধাপ: পশ্চিম ও পূর্বের মুখোমুখি সংঘর্ষ যুদ্ধক্ষেত্রে ঘটে।

দ্বিতীয় ধাপ: পশ্চিম ও পূর্বের মধ্যে চিন্তা-চেতনা, সংস্কৃতি এবং ধর্মের ক্ষেত্রে সংঘর্ষ ।

তৃতীয় ধাপ: প্রাচ্যের নিজেদের মাঝে চিন্তা, ধর্ম ও রাজনীতির ময়দানে সংঘর্ষ।

২য় ধাপের বিষয় শায়েখ বলেন,

এই যুগের মূল কাজকে ব্রিটিশ প্রাচ্যবিদ জব -এর একটি বক্তব্য দ্বারা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা যায়:

"শিক্ষাই হল ইসলামী দেশগুলোকে পশ্চিমাকরণের একমাত্র উপায়। আমাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি শ্রেণি সৃষ্টি করা, যারা ধর্মের প্রভাবমুক্ত (সেকুলারিজম ও অন্যান্য মতবাদ)দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবে। তখনই আমরা তাদের দেশ থেকে চলে যেতে পারব এবং ক্ষমতা তাদের হাতে ছেড়ে দিতে পারব, কারণ তারা (উপনিবেশকারীর) চিন্তাধারারই সম্প্রসারণ করবে।"

একই কথা বলেছেন ভারতের ব্রিটিশ শিক্ষা কমিশনের প্রধান লর্ড ম্যাকলে, তিনি বলেন:

"আমাদের এমন একটি গোষ্ঠী তৈরি করতে হবে, যারা আমাদের ও আমাদের লক্ষাধিক প্রজার মধ্যে দোভাষীর ভূমিকা পালন করবে। এই গোষ্ঠীটি বর্ণে ও রক্তে ভারতীয় হবে, কিন্তু রুচি, মতামত, ভাষা ও চিন্তায় ইংরেজ হবে।"

20/03/2025

()হা()* কি ফারদ কিফায়া নাকি ফারদ আইন?

অধিকাংশ আলেমের মতে কাফিরদেরকে তাদের ভূমিতে আক্রমণ করা ফারদে কিফায়া। কিন্তু ইবন মুসায়াব এবং ইবন শুবরুমাহ বলেন যে এটি একটি দায়িত্ব (ফারদ আইন) যা প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর অর্পিত।

জি()হা()* সর্বনিম্ন অংশ গ্রহণ হল বছরে একবার এর অধিক হল সর্বদাই উত্তম। কোন বিশেষ প্রয়োজন যেমন, মুসলিমদের দুর্বলতা এবং শত্রুদের অধিক সংখ্যা অথবা তাদেরকে প্রথম আক্রমণ করলে পুরোপুরি ধ্বংস হওয়ার আশংকা অথবা সঞ্চিত সম্পদের অভাব অথবা এর সদৃশ কোন ওজর ছাড়া একটি বছর যুদ্ধবিহীন পার করার অনুমতি নেই নতুবা, যদি কোন প্রয়োজন না পড়ে তবে এক বছরের বেশী সময়ের জন্য অবিশ্বাসীদের আক্রমণ করার ক্ষেত্রে বিলম্ব করার অনুমতি নেই। এটি ইমাম শফিঈ – র বক্তব্য।

আল-হারামাইন – এর ইমাম বলেনঃ

আমি উসুলের উপর থাকা আলেমদের মন্তব্য গ্রহণ করি।

জি()হা()* হল একটি আদেশমূলক ডাক এবং এটি অবশ্যই প্রতীক্ষিত হবে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী; ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত না পৃথিবীতে একজন মুসলিম ব্যতীত আর কেউ অবশিষ্ট না থাকে অথবা এমন ব্যক্তি থাকে যে নিজেকে ইসলামে সমর্পণ করে। এতদনুযায়ী জি()হা()* এক বছরে একবার ই সীমাবদ্ধ নয়। সম্ভব হলে এটি আরো অনেকবার করা উচিৎ যা ফিকাহ শাস্ত্রের আলেমগণ বলেন। তার কারণ হল সাধারণত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের যে সময় লাগে তা বছরে একবারের যুদ্ধ চালানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হতে পারে।

হাম্বলী মতের অনুসারী ‘আল-মুগনীর’ লেখক বলেন “জি()হা()* সর্বনিম্ন সংখ্যা হল বছরে একবার সুতরাং বছরে একবার জি()হা()* চালানো বাধ্যতামূলক। যদি কখনো বছরে একবারের বেশী জি()হা()* চালানোর প্রয়োজন দেখা দেয় তবে মুসলিমদের সেই চাহিদা পূরণ করতে হবে।”

আল-কুরতুবী তার তাফসীরে বলেনঃ “ইমামের উপর এটা জরুরী যে সে বছরে একবার মুসলিমদের একটি সেনাদল শত্রুর ভূমিতে প্রেরণ করবে এবং এমন যুদ্ধাভিযানে ইমাম অংশগ্রহণ করবে। যদি তা না হয়, তবে ইমামের উচিৎ একজন সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে প্রেরণ করা যাকে তিনি বিশ্বাস যোগ্য মনে করবেন এবং যে শত্রুদেরকে ইসলামের দিকে আহবান জানাবে। তাদের ক্ষতি দুরে সরিয়ে রাখবে, আল্লাহর ধর্মকে বিজিত করার জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা ইসলামে প্রবেশ করে অথবা জিযিয়া প্রদান করে।”

মাশারী আল-আশওয়াক্ব ইলা মাশারী আল-উশাক্ব – ইবনে নুহাস রহঃ

19/03/2025

শায়খ উ_____সা_____()মা বিন মুহাম্মাদ বিন লা()দে()* রহ. (মৃত্যু ১৪৩১ হি.)

وقد أجمع علماءُ الإسلامِ على أنَّ الولايةَ لا تنعقد لكافرٍ، فاذا طرأ عليه الكفرُ سقطتْ ولايتُه فوجَبَ القيامُ عليه بالسلاح.

“উলামায়ে ইসলাম একমত পোষণ করেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার কাফেরকে প্রদান করলে তা কার্যকর হয় না। যদি শাসকের উপর কুফর আপতিত হয়, তবে তার কর্তৃত্ব শেষ হয়ে যায় এবং তার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেয়া ফরজ হয়ে যায়।”

অতঃপর এ সংক্রান্ত দলিল উল্লেখ করে শায়খ বলেন,

إذن فالقول بالخروج على الإمام الكافر ليس قولَنَا، وانما هو قولُ إجماع الأئمة، وهذا هو حكمُ الشرع في مثل حالنا. )الــنــزاع بين حكام آل سعود والمسلمين والسبيل إلى حله، ص: ১২)

“সুতরাং কাফের শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা, আমাদের নিজেদের কথা নয়; বরং তা আইম্মায়ে কেরামের ইজমা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি মত। আর আমাদের মতো বর্তমান অবস্থার ক্ষেত্রে শরয়ী বিধান এটাই।” (আন নিযাউ বাইনা হুক্কামি আলে সাউদ ওয়াল মুসলিমীন, পৃষ্ঠা: ১২)

19/03/2025

মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন, لَا يَنَالُ عَهْدِي الظَّالِمِينَ‘আমার প্রতিশ্রুতি যালিমদের জন্য প্রযোজ্য নয়।’সূরা বাকারা: ১২৪

ইমাম জাস্সাস রহ. (মৃত্যু ৩৭০ হিজরি) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,

فثبت بدلالة هذه الآية بطلانُ إمامة الفاسق، وأنه لا يكون خليفة، وأن من نَصَبَ نفسَه في هذا المنصب وهو فاسق لم يَلْزَمِ الناسَ اتباعُه ولا طاعتُه؛ وكذلك قال النبي صلى الله عليه وسلم: لا طاعةَ لمخلوقٍ في معصيةِ الخالقِ. ودلَّ أيضًا على أن الفاسقَ لا يكون حاكمًا، وأنَّ أحكامَه لا تَنْفُذُ إذا وَلِيَ الحُكْمَ...

وكان قولُه وجوبَ الأمرِ بالمعروفِ والنهيِ عن المنكر فرضٌ بالقَولِ، فإن لم يَؤْتَمَرْ لَه فبالسيفِ، على ما رُوِيَ عن النبي صىلى الله عليه وسلم؛ وسأله إبراهيمُ الصَّائِغُ -وكان من فقهاءِ أهلِ خراسانَ و رَوَاةِ الأخبار ونَسَّاكِهم- عن الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر، فقال: هُو فرضٌ. وحدَّثَه بحديثٍ عن عِكْرِمَةَ، عن ابنِ عبَّاسٍ أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: أفضلُ الشهداء حمزةُ بنُ عبدِ المطَّلِبِ، ورجلٌ قام إلى إمامٍ جائرٍ فأمَرَه بالمعروف ونهاهُ عن المنكر، فَقُتِلَ. (أحكام القرآن للجصَّاص ১/৮৫ دار الكتب العلمية(

“এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, ফাসিকের ইমামত (রাষ্ট্রশাসন) বাতিল। সে খলিফাহ্ও হতে পারবে না। যদি কোনো ব্যক্তি ফাসিক অবস্থায় এই দায়িত্ব গ্রহণ করে, তাহলে জনসাধারণের উপর তার অনুসরণ ও আনুগত্য আবশ্যক হবে না। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তেমনটিই বলেছেন, ‘স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির কোনো আনুগত্য নেই।’ আয়াতটি এই প্রমাণও বহন করে যে, ফাসেক ব্যক্তি বিচারক হতে পারবে না। যদি সে বিচারক নিযুক্ত হয়, তাহলে তার রায় কার্যকর হবে না।...

ইমাম আবূ হানিফা রহ. এর মত হলো, ‘আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার’ যবান দ্বারা ফরজ। যদি তা মান্য করা না হয় তাহলে তরবারি দ্বারা। যেমনটি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে। ইবরাহীম আস-সায়েগ রহ. যিনি খুরাসানের একজন ফকীহ, হাদীসের রাবি এবং বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন; তিনি আবূ হানীফা রহ. কে ‘আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এটি ফরজ। অতঃপর তিনি তাকে ইকরিমা রাযি.-এর সূত্রে ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করেন। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদ হলেন হামজা বিন আব্দুল মুত্তালিব এবং ঐ ব্যক্তি, যে কোনো জালিমের সামনে দাঁড়িয়ে যায় এবং তাকে ‘আমর বিল মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার’ তথা সৎ কাজের আদেশ করে ও অন্যায় কাজ থেকে বারণ করে, ফলে তাকে হত্যা করা হয়।”(আহকামুল কুরআন: ১/৮৪-৮৫, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ)

#আমল #আবুহানিফা #হানাফি #তাফসির

সংস্কার ও আধুনিকায়নের (تطوير) নামে ইসলামকে দুর্বল করাএর মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও বিধানগুলোকে দুর্বল করা, ...
13/03/2025

সংস্কার ও আধুনিকায়নের (تطوير) নামে ইসলামকে দুর্বল করা

এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও বিধানগুলোকে দুর্বল করা, ধর্মীয় গ্রন্থের ব্যাখ্যায় সন্দেহ তৈরি করা এবং পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তাধারাকে এমনভাবে উপস্থাপন করা, যাতে তা আকর্ষণীয় ও আধুনিক মনে হয়। উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যায় আল-আজহারের সংস্কার আইন, যা জামাল আব্দুল নাসেরের শাসনামলে চালু হয় এবং এটি ঐতিহ্যবাহী ইসলামি শিক্ষার জন্য একটি মারাত্মক আঘাত ছিল।

এছাড়া, পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে যে পার্থক্য ইসলাম তৈরি করেছিল, তা মুছে ফেলার জন্য সংস্কারের নামে একটি সেতু তৈরির চেষ্টা চালানো হয়। এর লক্ষ্য ছিল পশ্চিমা ও ইসলামি সংস্কৃতির মাঝে সমঝোতা ও সংলাপ তৈরি করা, যা শেষ পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বকে বিভক্ত করে ফেলবে। এই পরিকল্পনার পিছনে থাকা পশ্চিমা চিন্তাবিদ গিব (Gibb) বলেছিলেন:

"নতুন চিন্তা ও জীবনের প্রয়োজনীয়তা শেষ পর্যন্ত মুসলিম সমাজকে বিভক্ত করবে এবং এর ঐক্য ছিন্ন করবে।"

এছাড়া, সংস্কারের নামে গ্রিক দর্শনের সাথে ইসলামের সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়, যা আসলে ইসলামি ভাবধারাকে দুর্বল করার একটি কৌশল।

স্বাধীনতার নামে ধর্মীয় মূল্যবোধ দুর্বল করা

পশ্চিমা বিশ্বের তত্ত্বাবধানে ইসলামি বিশ্বে ধর্মনিরপেক্ষ সরকারগুলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক মুক্তচিন্তার সুযোগ দিয়েছে, তবে তা কেবল তখনই স্বীকৃত হয়েছে, যখন তা ধর্মের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে।

ধর্মীয় ঐক্যের নামে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা

ধর্মীয় ঐক্যের নামে নতুন মতবাদ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়। যেমন, "আসিফ আলী" নামে একজন ব্যক্তি দাবি করেন, ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম ও অন্যান্য ধর্মকে একত্রিত করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনও আয়োজিত হয়।

ইসলামের বিভিন্ন শ্রেণিবিন্যাস করা

ইসলামকে বিভক্ত করার জন্য একাধিক ধরনের ইসলামিক মতবাদ সৃষ্টি করা হয়, যেমন:

ক্লাসিক্যাল ইসলাম বনাম আধুনিক ইসলাম (যা পশ্চিমা দর্শন দ্বারা প্রভাবিত)।
ভারতীয় ইসলাম, পাকিস্তানি ইসলাম, তুর্কি ইসলাম— বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী ইসলামের ধারণা তৈরি করা হয়।
আহমদ খান ও ফজলুর রহমান ইসলামি চিন্তাকে পশ্চিমা মতাদর্শের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার তত্ত্ব দেন।

ধর্মনিরপেক্ষতা (Secularism) প্রতিষ্ঠা করা

ইসলামকে খ্রিস্টধর্মের মতো কেবল ব্যক্তিগত বিশ্বাসের স্তরে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়, যাতে এর রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ভূমিকা কমিয়ে দেওয়া যায়। যেমন, আলী আব্দুর রাজ্জাক তার "ইসলাম ও শাসনব্যবস্থার মূল" গ্রন্থে দাবি করেন যে, ইসলামের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় শাসনের কোনো সম্পর্ক নেই।

#দাওয়াতুলমুকাওয়ামাহ #দাওয়াহ #বুদ্ধিবৃত্তিক

সংস্কার ও আধুনিকায়নের (تطوير) নামে ইসলামকে দুর্বল করাএর মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও বিধানগুলোকে দুর্বল করা, ...
13/03/2025

সংস্কার ও আধুনিকায়নের (تطوير) নামে ইসলামকে দুর্বল করা

এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও বিধানগুলোকে দুর্বল করা, ধর্মীয় গ্রন্থের ব্যাখ্যায় সন্দেহ তৈরি করা এবং পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তাধারাকে এমনভাবে উপস্থাপন করা, যাতে তা আকর্ষণীয় ও আধুনিক মনে হয়। উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যায় আল-আজহারের সংস্কার আইন, যা গামাল আব্দেল নাসেরের শাসনামলে চালু হয় এবং এটি ঐতিহ্যবাহী ইসলামি শিক্ষার জন্য একটি মারাত্মক আঘাত ছিল।

এছাড়া, পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে যে পার্থক্য ইসলাম তৈরি করেছিল, তা মুছে ফেলার জন্য সংস্কারের নামে একটি সেতু তৈরির চেষ্টা চালানো হয়। এর লক্ষ্য ছিল পশ্চিমা ও ইসলামি সংস্কৃতির মাঝে সমঝোতা ও সংলাপ তৈরি করা, যা শেষ পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বকে বিভক্ত করে ফেলবে। এই পরিকল্পনার পিছনে থাকা পশ্চিমা চিন্তাবিদ গিব (Gibb) বলেছিলেন:

"নতুন চিন্তা ও জীবনের প্রয়োজনীয়তা শেষ পর্যন্ত মুসলিম সমাজকে বিভক্ত করবে এবং এর ঐক্য ছিন্ন করবে।"

এছাড়া, সংস্কারের নামে গ্রিক দর্শনের সাথে ইসলামের সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়, যা আসলে ইসলামি ভাবধারাকে দুর্বল করার একটি কৌশল।

স্বাধীনতার নামে ধর্মীয় মূল্যবোধ দুর্বল করা

পশ্চিমা বিশ্বের তত্ত্বাবধানে ইসলামি বিশ্বে ধর্মনিরপেক্ষ সরকারগুলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক মুক্তচিন্তার সুযোগ দিয়েছে, তবে তা কেবল তখনই স্বীকৃত হয়েছে, যখন তা ধর্মের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে।

একটি বিশ্বজনীন ধর্মের ধারণা প্রচার

বিশ্বের ধর্মগুলোকে একীভূত করার নামে ইসলামকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। যেমন "কালগারলি" (Kalgarli) নামের চিন্তাবিদ একটি বিশ্বধর্মের ধারণা দেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করে তাকে আন্তর্জাতিক ইহু()দিবা()দে মিশিয়ে ফেলা।

ধর্মীয় ঐক্যের নামে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা

ধর্মীয় ঐক্যের নামে নতুন মতবাদ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়। যেমন, "আসিফ আলী" নামে একজন ব্যক্তি দাবি করেন, ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম ও অন্যান্য ধর্মকে একত্রিত করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনও আয়োজিত হয়।

ইসলামের বিভিন্ন শ্রেণিবিন্যাস করা

ইসলামকে বিভক্ত করার জন্য একাধিক ধরনের ইসলামিক মতবাদ সৃষ্টি করা হয়, যেমন:

ক্লাসিক্যাল ইসলাম বনাম আধুনিক ইসলাম (যা পশ্চিমা দর্শন দ্বারা প্রভাবিত)।
ভারতীয় ইসলাম, পাকিস্তানি ইসলাম, তুর্কি ইসলাম— বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী ইসলামের ধারণা তৈরি করা হয়।
আহমদ খান ও ফজলুর রহমান ইসলামি চিন্তাকে পশ্চিমা মতাদর্শের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার তত্ত্ব দেন।

ধর্মনিরপেক্ষতা (Secularism) প্রতিষ্ঠা করা

ইসলামকে খ্রিস্টধর্মের মতো কেবল ব্যক্তিগত বিশ্বাসের স্তরে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়, যাতে এর রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ভূমিকা কমিয়ে দেওয়া যায়। যেমন, আলী আব্দুর রাজ্জাক তার "ইসলাম ও শাসনব্যবস্থার মূল" গ্রন্থে দাবি করেন যে, ইসলামের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় শাসনের কোনো সম্পর্ক নেই।

(( দাওয়াতুল মুকাওয়াম গ্রন্থ থেকে অনুবাদ করা। ))

ইসলামী বিশ্বে পরিবর্তন তিনটি সমান্তরাল ধারায় সংঘটিত হয়েছে:১. প্রথম ধারা: নৈতিক অবক্ষয়।২. দ্বিতীয় ধারা: ইসলামী আইনের ...
12/03/2025

ইসলামী বিশ্বে পরিবর্তন তিনটি সমান্তরাল ধারায় সংঘটিত হয়েছে:

১. প্রথম ধারা: নৈতিক অবক্ষয়।
২. দ্বিতীয় ধারা: ইসলামী আইনের উৎসগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই এবং ইসলামী বিধানগুলোর অর্থ বিকৃত করা।
৩. তৃতীয় ধারা: মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করা।
প্রথম ধারা: নৈতিক অবক্ষয়

এটি সংক্ষেপে প্রকাশ পায় জুইমার (প্রচারকদের প্রধান) এর কথায়, ১৯৩৪ সালে জেরুজালেম সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন:

"আমরা এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করতে চাই, যাদের আল্লাহর সাথে কোনো সম্পর্ক থাকবে না এবং যারা সেই নৈতিকতাকে প্রত্যাখ্যান করবে, যা জাতিগুলোর ভিত্তি।"

এজন্য নারীদের উপর ফোকাস করা হয়েছিল। নারীদেরকে ঘর থেকে বের করে আনা, নারী সংগঠন, থিয়েটার, গান, অভিনয়, চারুকলা ইনস্টিটিউট, মেয়েদের জন্য ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান, অশ্লীলতা, ফ্যাশন শো, নগ্ন ছবি এবং সাজসজ্জার দোকান ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। মোরোবার্গার তার বই "আরব বিশ্ব আজ"-এ বলেছেন:

"শিক্ষিত (সেকুলার) মুসলিম নারী সমাজের এমন সদস্য, যারা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে সবচেয়ে দূরে এবং সমাজকে ধর্ম থেকে দূরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।"

(দাওয়াতুল মুকাওয়ামাহ আল ইসলামিয়া আল আলামিয়া, পৃষ্ঠাঃ ৫৪৮

credit: Bengal News
11/03/2025

credit: Bengal News

আল্লাহ তালা বলেন, আর এমন কিছু লোক রযেছে যাদের পার্থিব জীবনের কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করবে। আর তারা সাক্ষ্য স্থাপন করে ...
11/03/2025

আল্লাহ তালা বলেন,

আর এমন কিছু লোক রযেছে যাদের পার্থিব জীবনের কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করবে। আর তারা সাক্ষ্য স্থাপন করে আল্লাহকে নিজের মনের কথার ব্যাপারে। প্রকৃতপক্ষে তারা কঠিন ঝগড়াটে লোক। যখন ফিরে যায় তখন চেষ্টা করে যাতে সেখানে অকল্যাণ সৃষ্টি করতে পারে এবং শস্যক্ষেত্র ও প্রাণনাশ করতে পারে। আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না। আর যখন তাকে বলা হয় যে, আল্লাহকে ভয় কর, তখন তার পাপ তাকে অহঙ্কারে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং তার জন্যে দোযখই যথেষ্ট। আর নিঃসন্দেহে তা হলো নিকৃষ্টতর ঠিকানা।

সুরা বাকারাঃ ২০৪-২০৬

শাইখ আবু মুসাব হাফিজাহুল্লার অসাধারণ কিতাব দাওয়াতুল মুকাওয়ামার কিছু অংশের সংক্ষিপ্ত অংশ নিজ ভাষায় নিচে লেখা হল। মূলত শাই...
28/02/2025

শাইখ আবু মুসাব হাফিজাহুল্লার অসাধারণ কিতাব দাওয়াতুল মুকাওয়ামার কিছু অংশের সংক্ষিপ্ত অংশ নিজ ভাষায় নিচে লেখা হল। মূলত শাইখ বর্তমান মুসলিমদের দুনিয়াবি কষ্টকর অবস্থা তুলে ধরতে এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন। মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ আজ দারিদ্র্য, দুর্দশা ও ধর্মীয় অবক্ষয়ের মধ্যে জীবনযাপন করছে। মুসলিম বিশ্বের এই দুর্দশার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

১. মুসলিম সম্পদের লুটপাট:
মুসলিম বিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষত তেল ও গ্যাস, পশ্চিমা দেশগুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও লুটপাট করা হচ্ছে। এই সম্পদ মুসলিম দেশগুলোর জনগণের কল্যাণে ব্যবহার না হয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করছে। উদাহরণস্বরূপ, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার তেল সম্পদ পশ্চিমা কোম্পানিগুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এবং এই সম্পদ থেকে মুসলিম দেশগুলো খুব কমই উপকৃত হচ্ছে।

২. সম্পদের অসামঞ্জস্যপূর্ণ বণ্টন:
মুসলিম দেশগুলোর অভ্যন্তরে সম্পদ অত্যন্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বণ্টিত হচ্ছে। কিছু শাসক ও তাদের পরিবার এবং ঘনিষ্ঠরা সম্পদের বিশাল অংশ কুক্ষিগত করছে, অন্যদিকে সাধারণ জনগণ চরম দারিদ্র্য ও দুর্দশায় জীবনযাপন করছে। উদাহরণস্বরূপ, সৌদি আরবের কিছু রাজপরিবারের সদস্যদের দৈনিক ব্যয় সাধারণ মানুষের বার্ষিক আয়ের চেয়েও বেশি।

৩. অর্থনৈতিক শোষণ ও ঋণের বোঝা:
মুসলিম দেশগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা হারাচ্ছে। এই ঋণের শর্তগুলো এতই কঠোর যে তা মুসলিম দেশগুলোর অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এবং তাদের অর্থনীতি পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

৪. সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা:
সম্পদের লুটপাট ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ বণ্টনের কারণে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এই অস্থিরতা আরও বেশি করে পশ্চিমা দেশগুলোর হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি করছে, যা মুসলিম বিশ্বের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

৫. ইসলামী ঐক্যের অভাব:
মুসলিম বিশ্বের সম্পদ ও সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে ইসলামী ঐক্য ও ন্যায়বিচারের অভাব রয়েছে। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী সম্পদ সুষমভাবে বণ্টিত হওয়া উচিত এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে মুসলিম দেশগুলো তাদের সম্পদকে জাতীয় সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে, যা ইসলামী ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের পরিপন্থী।

উপসংহারে বলা যায়, মুসলিম বিশ্বের বর্তমান দুর্দশার মূল কারণ হলো সম্পদের লুটপাট, অসামঞ্জস্যপূর্ণ বণ্টন, পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক শোষণ এবং ইসলামী ঐক্য ও ন্যায়বিচারের অভাব। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য মুসলিম বিশ্বকে ইসলামী শরিয়াহর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং তাদের সম্পদকে সুষমভাবে বণ্টন ও ব্যবহার করতে হবে।

তাসনিম খলিলের সাংবাদিকতা নিঃসন্দেহে বিভিন্ন সময়ে মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে। ফলে সমাজে তাদের একটি অবস্থান রয়েছে। তো তারা চাই...
26/02/2025

তাসনিম খলিলের সাংবাদিকতা নিঃসন্দেহে বিভিন্ন সময়ে মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে। ফলে সমাজে তাদের একটি অবস্থান রয়েছে। তো তারা চাইলে ন্যারেটিভ বা দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে পারে। নিচের স্ট্যাটাসে পরিষ্কারভাবে উনি দেশের ভবিষ্যৎ সমস্যার মূল উপাদান হিসেবে ইসলামপন্থীদের চিহ্নিত করেছেন। এ দৃষ্টিভঙ্গিটা বোঝাই যাচ্ছে সামনে অনেকেই পোষণ করবে এ ধরনের সাংবাদিকদের জন্য এবং এরপর ইসলামপন্থীদের উপর জুলুমের বৈধতা করে দিবে। আর ইসলামপন্থীদের উপর জুলুম করা তো সব রাষ্ট্রের অধিকারের মাঝে পরে যায়।

এখন যাদের বিপ্লবে সাহায্যকারী হিসেবে জনগণ মনে করছে ইসলামের প্রশ্ন আসলে তাদের আপনারা বিপরীত শিবিরে দেখতে পাবেন হয়ত। সবার নিকট অনুরোধ থাকবে শারিয়া পরিষ্কারভাবে চায় এবং সে অনুযায়ী কাজ করছেন এরকম মানুষ ব্যতীত আপনারা নির্ভর করবেন না বিশ্বাস করবেন না।

উল্লেখ্য জানামতে আয়নাঘর ২ বের করার কথা ছিল এবং এ পর্বটি ছিল সিটিটিসিকে নিয়ে এবং জঙ্গি গেম খেলে যাদের ধরা হত তাদের বিষয়ে। এ পর্বটি সম্ভবত ইচ্ছা করেই তিনি রিলিজ করেনি। হয়ত বের করলে ইসলামপন্থীদের উপর জুলুম একটু কমে যেত। তিনি প্রকৃত কোন কারণে বের করেন নাই আল্লাহ ভাল জানেন। বিভিন্ন সময় তাসনিম খলিলের নাস্তিক্যবাদ ফুটে উঠেছে তার ফেসবুক ওয়ালে।

25/02/2025

ছাত্ররা চাইলে শাতিম ইস্যুতে তৌহিদি জনতার পাশে দাড়াতে পারত এবং ইস্যুটাকে আরও গরম বানাতে পারত। কিন্তু তারা এটা একবারের জন্যও করে নাই, ফলে তাদের কর্মপদ্ধতি, মূল্যবোধ, আদর্শ একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। কিছু দরকার হলে ইসলামপন্থীদের ডাকবেন আর আল্লাহ ও রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের অবমাননাতে চুপ থাকবেন এতে আপনাদের দলকে ইসলামপন্থীরা ভাল চোখে দেখবে না।

যদি রাজনীতি বুঝত তাহলে ইসলামপন্থীদের এ দাবীতে এসে এক কাতারে আন্দোলন করত। ইসলামপন্থীরা যেন ছাত্রদের দল হলে ভাল কিছু আশা না রাখে। কারণ ছাত্রদের দলটি পাঁচ মিশালী মতাদর্শের অনুসারীদের ধারা পরিচালিত হবে। ইসলামপন্থীদের জন্য উত্তম হল নিজেরাই প্রচলিত গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্তিশালী রাজনৈতিক আন্দোলন তৈরি করা। কিন্তু এক্ষেত্রে গণতন্ত্র ও নির্বাচন চর্চা করা যাবেনা কোন ভাবেই।

Address

Kandahar
547

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সালাহউদ্দীনের ঘোড়া ২ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category