
13/04/2025
শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ) বলেন:
গত তিন শতাব্দী ধরে ইসলামী অঞ্চল এক গভীর পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে, যা শুরুতে ধীরগতিতে চলছিল, পরে ধীরে ধীরে তা তীব্র হতে থাকে, এমনকি বিশ শতকের প্রথমার্ধে পৌঁছে এই পরিবর্তন তার চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। তখন পশ্চিমা অনুকরণের ধারা এতটাই প্রবল হয়ে ওঠে যে, প্রথম দৃষ্টিতে দেখে মনে হতো এই স্রোতের মুখে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। বরং এর মোকাবিলার চেষ্টা করা মানে হয় এক প্রকার বৃথা আত্মত্যাগ কিংবা সুস্পষ্ট আত্মহত্যা।
এই পরিবর্তনের লড়াই তিনটি ধাপে সংঘটিত হয়েছে:
প্রথম ধাপ: পশ্চিম ও পূর্বের মুখোমুখি সংঘর্ষ যুদ্ধক্ষেত্রে ঘটে।
দ্বিতীয় ধাপ: পশ্চিম ও পূর্বের মধ্যে চিন্তা-চেতনা, সংস্কৃতি এবং ধর্মের ক্ষেত্রে সংঘর্ষ ।
তৃতীয় ধাপ: প্রাচ্যের নিজেদের মাঝে চিন্তা, ধর্ম ও রাজনীতির ময়দানে সংঘর্ষ।
২য় ধাপের বিষয় শায়েখ বলেন,
এই যুগের মূল কাজকে ব্রিটিশ প্রাচ্যবিদ জব -এর একটি বক্তব্য দ্বারা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা যায়:
"শিক্ষাই হল ইসলামী দেশগুলোকে পশ্চিমাকরণের একমাত্র উপায়। আমাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি শ্রেণি সৃষ্টি করা, যারা ধর্মের প্রভাবমুক্ত (সেকুলারিজম ও অন্যান্য মতবাদ)দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবে। তখনই আমরা তাদের দেশ থেকে চলে যেতে পারব এবং ক্ষমতা তাদের হাতে ছেড়ে দিতে পারব, কারণ তারা (উপনিবেশকারীর) চিন্তাধারারই সম্প্রসারণ করবে।"
একই কথা বলেছেন ভারতের ব্রিটিশ শিক্ষা কমিশনের প্রধান লর্ড ম্যাকলে, তিনি বলেন:
"আমাদের এমন একটি গোষ্ঠী তৈরি করতে হবে, যারা আমাদের ও আমাদের লক্ষাধিক প্রজার মধ্যে দোভাষীর ভূমিকা পালন করবে। এই গোষ্ঠীটি বর্ণে ও রক্তে ভারতীয় হবে, কিন্তু রুচি, মতামত, ভাষা ও চিন্তায় ইংরেজ হবে।"