Shabz Diary

Shabz Diary ....where i keep all my random thoughts

First attempt at making my childhood favourite 'Chicken bun'! অনেকদিন ধরে দেশি স্টাইল ফাস্টফুড খাওয়ার ক্রেভিং হচ্ছিলো! ন...
13/07/2025

First attempt at making my childhood favourite 'Chicken bun'! অনেকদিন ধরে দেশি স্টাইল ফাস্টফুড খাওয়ার ক্রেভিং হচ্ছিলো! নাইন/টেনে থাকতে ঈদের সময় টাকা জমায়, বাসার কাছাকাছি 'চেরিশ' নামে একটা ফাস্টফুড শপ ছিলো, ওখানে যেতাম ফাস্টফুড খেতে! আমার সবচেয়ে পছন্দ ছিল এই চিকেন বানটা! নরম তুলতুলে রুটির ভেতর ইয়াম্মি চিকেনের পুর, টমেটো কেচাপ মেখে কামড় দিলেই মনে হতো 'বেহেশতি খাবার'! তখন এই বানের দাম পড়তো পনেরো/বিশ টাকা!

আজকে হাতে সময় থাকায় মনে হলো ট্রাই করা যাক! বাসায় ময়দা ছিলো না। স্বাস্থ্যকর জন্য সবসময় আটাই কিনি। মুরগীর কিমা আগেই কেনা ছিলো। আটা দিয়ে ডো বানাতে গিয়ে, ডো নরম বানানোর টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো নিয়ে আসলে শিওর ছিলাম না। আর আমি জীবনে কখনো রুটি বানিয়েও খাইনি। তাই আটা দিয়ে বান বানানোর পুরো প্রসেসটাই চ্যালেঞ্জিং ছিলো আমার জন্য। ইস্ট দিয়ে আটা মেখে দুই ঘন্টা রেস্টে রেখে দিয়েও দেখি খুব একটা ফুলেফেঁপে একাকার হচ্ছে না। কিন্তু কি আর করা। আল্লাহর নামে নেমে পড়লাম এই জিনিস বানাতে।
কিমা রেডি করে, আটার লেচি কেটে হাতে হাতেই ছোট্ট রুটি বানিয়ে, কিমা ভরে চেপে চেপে আবার বল বানালাম।

তারপর তিরিশ মিনিটের মতো ওভেনে বেক করে ফাইনালি আমার 'চিকেন বান' রেডি! ময়দা ব্যাবহার না করায় দোকানের সেই সফট, ফ্লাফি ভাবটা মিসিং ছিলো। কিন্তু খেতে মজা হয়েছে। ইনফ্যাক্ট স্বাস্থ্যকর ভেবে খেলে 'ময়দা মিসিং' অনুভূতিটা কিছুটা ভুলে থাকা যায়😞! কিন্তু মন থেকেতো আর মুছে ফেলা যায়না🥺! যদিও এরিশা খেয়ে নম্বর দিয়েছে দশের ভেতর এগারো। তার এতোই মজা লেগেছে। এইটা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকরটা আগে কখনো না খাওয়ার সুফল। আর ওমর দিয়েছে দশে সাত! সফট টেক্সচার আর ফ্লাফিনেসের অভাবে। তবে আমি নিজেকে দিয়েছি দশে দশ। কারন এই জিনিস আমি ঘরে ট্রাই করবো আর বানিয়েও ফেলতে পারবো, সেটা ছিলো ধারণার বাইরে! সেই effort আর accomplishment এর জন্য আমারতো ফুল মার্কস পাওয়াই উচিৎ, তাইনা!😄

গতকাল শেষ পর্যন্ত 'উৎসব' দেখা হলো! আমি মনেপ্রাণে 'অতীত ঘেঁষা' মানুষ! আশি, নব্বই দশকের গল্প, গান, কবিতা, মানুষ, প্রেম ভাল...
05/07/2025

গতকাল শেষ পর্যন্ত 'উৎসব' দেখা হলো! আমি মনেপ্রাণে 'অতীত ঘেঁষা' মানুষ! আশি, নব্বই দশকের গল্প, গান, কবিতা, মানুষ, প্রেম ভালোবাসা সওওওওওব কিছুই আমাকে খুব বেশি টানে! আর সেই সময়ের অভিনেতা, অভিনেত্রীদের একটা মুভি আসবে আর তা দেখবো না, সেটাতো হতেই পারেনা।
মন ভরে, মানে মন পুরো কানায় কানায় পুর্ণ হওয়া অভিনয় যাকে বলে, তা দেখলাম। এবং আবারও অনুভব করলাম সেই সময়ের নাটক, গল্প, ছবি কেন এখনো আমাদের মনে মননে মিশে আছে। জাহিদ হাসানের অভিনয় নতুন করে প্রশংসা করার কিছু নাই। আমি বলবো He is a living legend in Bangladesh media! কি অসাধারণভাবেই না 'খাইষ্টা জাহাঙ্গীর' এর চরিত্রে মিশে গিয়েছিলো।

সাদিয়া আয়মানের অভিনয় আমার এমনিতে ভালোই লাগে। এখানেও ভালো লেগেছে। কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে, পুরাতন অভিনেতাদের সাথে তুলনা করার মতো মনে হয়নি। নব্বইয়ের অভিনেতা, অভিনেত্রীদের অভিনয় এর depth অন্য লেভেলের! তার মাঝেও সাদিয়া আয়মান চেষ্টা করেছে তার বেস্টটা দেওয়ার!

ইয়াং জাহাঙ্গীর এর চরিত্রে সৌম্যকে দেখতে খুব ভালো লেগেছে। জাহিদ হাসানের সাথে কোথায় যেন একটু একটু মিলও লাগছিলো চেহারায়। বাস্তবেও দেখতে ভীষন মায়াকাড়া আর সুদর্শন সৌম্য! কিন্তু মনে হয়েছে আরও অনেক অনেক প্র‍্যাকটিস করতে হবে অভিনয়ের। ক্যারেক্টারের ইমোশনের সাথে পুরোপুরি মিশে যেতে পারেনি মনে হচ্ছিলো! তাই অভিনয়কে অভিনয়ই লাগছিলো! কিন্তু আমি আশাবাদী এই দুই ভাইকে নিয়ে। যাদের মা, বাবা দুজনেই এতো দূর্দান্ত অভিনয় করে, তাদের জন্য অভিনয় শেখাটা খুব কঠিন কিছু হবে না। আমি চাই দুই ভাইই দারুণ কিছু করুক মিডিয়াতে!

আর আফসানা মিমি ☺️☺️🥰! ফর এভার সুইটহার্ট 💞! কথা শুনলে মনে হয় সারাক্ষণ শুনতেই থাকি!🥰🥰💖
জেসমিনের চরিত্রে অনেকদিন পর এক্স-হাজব্যান্ডের সাথে দেখা হওয়া, সন্তানের কথা প্রকাশ করা, অতীতকে ফিরে দেখার মতো complex মুহুর্তের এক্সপ্রেশন আর অনুভুতিগুলো কিভাবে চোখ, মুখ, কন্ঠ, শারীরিক ভাষায় প্রকাশ করতে হয়, আর তাও with absolute subtly তা এখনকার নায়িকাদের মিমির কাছ থেকে শেখা উচিৎ! যদিও মিমির এতো স্বল্প স্ক্রিন প্রেজেন্সে আমার তৃপ্তি মেটেনি! আফসোস হচ্ছিলো, আরও কেন দীর্ঘ হলোনা জেসমিনের চরিত্রটা! আর শেষের দৃশ্যে গাড়ি থেকেই যখন জেসমিন বিদায় নিচ্ছিলো, আমার নিজের ভেতরেই কেমন যে এক হাহাকার কাজ করছিলো!

আমার কাছে উৎসব মুভির আরও কিছু স্ট্রং পয়েন্টস লেগেছে নব্বইয়ের অভিনেতা অভিনেত্রীদের মুখে বিশুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ শুনতে পাওয়া, শিল্প সাহিত্যের হারিয়ে যাওয়া 'ক্লাস' কে আবার ফিল করতে পারা আর খুব সামান্য সময় স্ক্রিনে থেকেও কিভাবে দর্শকের মন জয় করে নিতে হয়, তার perfect demonstration মিমি, চঞ্চল, জয়া আহসান, অপি করিমকে দিয়ে প্রত্যক্ষ করা! মুভি শেষ হওয়ার পরও মনে হচ্ছিলো-শেষ হইয়াও হইলো না শেষ! যেনো সেই নব্বই দশকেই আবার আটকে গিয়েছি! হল থেকে বের হয়ে মনে হচ্ছিলো সময় কেন যে এতো দ্রুত চলে যায়! Overall UTSAB is a great feel good, nostalgic movie to cherish good old 90s! 9/10!

©মুনলীন

এই যে অল্প বয়সে লোকজন হুটহাট মরে যাচ্ছে। ডক্টর বুঝে উঠতে না পারলেই কোনোটাকে বলছে হৃদরোগ, কোনোটা নিউ/মোনিয়া, ব্যাপারটা কি...
27/06/2025

এই যে অল্প বয়সে লোকজন হুটহাট মরে যাচ্ছে। ডক্টর বুঝে উঠতে না পারলেই কোনোটাকে বলছে হৃদরোগ, কোনোটা নিউ/মোনিয়া, ব্যাপারটা কি কেউ লক্ষ্য করছে! আমি সেই ২০২০ থেকে লক্ষ্য করছি, যেই মুহুর্তে গনহারে ভ্যা/ক্সিন দেয়া শুরু হলো নিয়মিত ভাবে পত্রিকায় নিউজ হতো ভালো, ভালো এ্যাথলেট, এক্সট্রা অর্ডিনারি ফিটনেসের ফুটবল প্লেয়াররা হুটহাট স্ট্রো/ক করছে! হার্ট ফেই/লিওর হচ্ছে! এমনকি সে সময় বাংলাদেশেও বর্ন চক্রবর্তী নামে এক গায়ক ৩৩/৩৪ বছরে হুট করে মা/রা গেলো!

আমার কলিগের এক পরিচিত কদিন আগে মা/রা গেলো, ডাক্তার বললো নিউমোনিয়া। কিন্তু আগে কখনো কেউ শুনেছে কোন সিম্পটম ছাড়াই সাইলেন্ট নিউমোনিয়া এ্যা/টা/কে ধুপধাপ মানুষ মা/রা যাচ্ছে! মৃ/ত্যুর পর বলছে লাংস এর অবস্থা খুব খারাপ ছিলো! কলিগ নিজেও সেই ব্যাখ্যা বিশ্বাস করেনি। কারন আমার এই কলিগ নিজেও কো/ভি/ড ভ্যা/ক্সি/ন নেয়ার পর থেকে নানারকম শারীরিক সমস্যা ফেইস করছে।

আমি নিজে যখন অসুস্থ হয়ে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলাম, ডাক্তার প্রথমেই এক্সরে করে আমার লাংস দেখে বললো, হয় আমার খুব খারাপ ধরনের নিউমোনিয়া হয়েছে, না হলে টিবি। তা না হলে এক্সরে তে লাংস এর অবস্থা এমন ভয়াবহ দেখাচ্ছে কেনো! ৮০% ড্যামেজড! অথচ আমার তেমন কোন ভয়ংকর কাশি, জ্বর, কোল্ড, ফ্লু কোন সিম্পটমই ছিলো না।
জাস্ট শেষের দিকে ছিলো প্রচন্ড ড্রাই কাশি, যেন গলার কাছে কিছু একটা আটকে আছে কিন্তু বের হতে পারছে না! সেখান থেকেই বাড়তে বাড়তে শ্বাসকষ্ট!

লোকাল হাসপাতালের ইমারজেন্সি ডিপার্টমেন্ট কিছুই ধরতে না পেরে, তারা ডিসিশন নেয় আমাকে বড় রিসার্চ হাসপাতালে পাঠানোর। কারন আমার সিম্পটম পুরোপুরি নিউমোনিয়া বা টি/বি কোনটাই না। কিন্তু লাংস অলমোস্ট গন কেইস।

বড় হাসপাতালে ইমিউনোলজিস্ট, রেস্পিরোলজিস্ট সবাই মিলে আরও পরিক্ষা নিরিক্ষা করে আমাকে এই রেয়ার ডায়াগনোসিস করে-ANCA + Anti-GBM Vasculitis. কিন্তু এখনো তারা পুরোপুরি কনক্লুশনে পৌঁছাতে পারেনি এই ডায়াগনোসিস নিয়ে। এখনো তাদের কাছে অনেক অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা।

আমি আমার স্পেশালিষ্টকে বলেছিলাম কো/ভিড ভ্যা/ক্সি/ন নেয়ার পর থেকে আমার হার্ট পালপিটিশন শুরু হয়। তারপর থেকেই আমার শরীরের ওভারঅল দুর্বলতা আমি ফিল করা শুরু করি। তারমধ্য এই পালপিটিশন ছিলো মেইন। এখনো শরীর খারাপ লাগলে এই পালপিটিশান আমি ফিল করি। বা আপহিল হাঁটতে গেলে হাঁপিয়ে উঠি!

যে আমার কোন হেলথ ইস্যু কোনদিন ছিলো না। না ডায়বেটিস, না হাই ব্লাড প্রেশার, না কিডনি ইস্যু, সে কিনা কথা নাই, বার্তা নাই ড্রাই কফ নিয়ে সরাসরি ICU তে চলে গেলো! এখন তার সম্পুর্ণ ইমিউন সিস্টেম এমনভাবে ক্রাশ করেছে যে তাবৎ সব বড় ডাক্তার কুলকিনারা না পেয়ে, আমার রোগ এখন হয়ে গেছে তাদের রিসার্চ টপিক!তারপরও ভাবি, শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া ছিলাম বলে হয়তো এখনো বেঁচে আছি। দেশে থাকলে হয় হা/র্ট এ্যাটাক বা নিউমোনিয়া বলে ডাক্তাররা আমাকে ডে/থ সার্টিফিকেট দিয়ে দিতো!

আর বিদেশে ম্যানডেট করে সবাইকে কো/ভি/ড ভ্যা/ক্সি/ন নেয়ানো, তারপর সেই ভ্যা/ক্সি/নেরই প্রতিক্রিয়ায় নানারকম নতুন নতুন ডায়াগনোসিস আর চিকিৎসা দেয়ার কান্ড দেখে মনে মনে ভাবি 'তুমি সর্প হইয়া দংশন করো, ওঝা হইয়া ঝাড়ো'! যদিও লিগ্যালি কোন ডাক্তার এখানে এডমিট করতে পারবে না যে এগুলো আসলে ভ্যা/ক্সি/নেরই ফল।

© মুনলীন

27/06/2025

***I wrote this piece on 27/6/24, but never posted it! Not sure why! Today FB memory brought this back to me! But, now i feel i should leave this memory for my dearest daughter for when she needs her mother's warmth & assurance!

# # This evening Erisha suddenly became overly emotional, teary & clingy as if she needed her reassurance only from me!

Prior to this, i asked her to complete her homework! Knowing very well that she doesn’t like her studies, i decided to lock her phone while she completes her work!

As soon as i did that, i could hear her sniffling, talking to herself as if she is extremely annoyed & disappointed as well as using cuss words to describe herself!

After few minutes i decided to go downstairs to check up on her....seeing me there she started crying as if she needed this tiny nudge of my presence to let loose! Kept telling me to hug her tightly & asking me if she could vent?

Before i could answer, Erisha blurted out how dumb, uncool & unlikable she is! I asked 'who said that'?

E: myself!

Me: why you think so about yourself?
E: pointing to her math homework, stating with frustration 'it doesn’t make sense, Mummy! I dont understand them! Im so dumb Mummy!

Me: no one is fully smart or dumb in everything Erishi! That's how it is! We all are good at something and bad at something! We are a mixture of good & bad, dumb & smart!

E: But i want to be smart at everything! I want everybody to like me!
Me: that's not a good thing either Erishi! No one is liked by all! And you shouldn’t be wanting to please everybody. You need to keep a balance!

E: but i like being liked by all! I want to please everyone!
Me: if you keep pleasing everyone, then they wont think about you or try to please you too! Because they would think its Erisha's job to keep us happy!
E: im sure not everyone is like that mummy!
Me: Yes, not everyone!

E: Now tell me, am i your favourite person Mummy?
Me: ofcourse you are! You are my child! You can vent & share everything with me even when im no longer around!
E: but i want you to be around for longer!
Me: i will be around even after my death! From being your mum, i will become part of mother nature! Maybe i would become air, or a tree or flower or bird! Whenever you need me or miss me or want to talk to me, go into the nature & talk to them, you would be able to vent & talk to me!

***Last few years i have been feeling a strong urge to teach Erisha about emotional resilience instead of putting pressure on her about selective school preparation or how to be a doctor or engineer, or which pathways to choose to earn lots of money! As a mother, my utmost priority is to raise a daughter who is emotionally resilient, can see the life as it is & still be kind & content with herself! Coz when the party is over, all we are left with is only ourselves!

P.S: I miss her toddler self a lot!💖

এরি মামীর বাড়ি ইয়ামানাশিতে ঘুরতে গিয়ে, সেখানকার ফেমাস রেসিপি-Hoto Noodles Soup ট্রাই করেছিলাম। একদিন টোকিওতে মেজোমামার স...
25/06/2025

এরি মামীর বাড়ি ইয়ামানাশিতে ঘুরতে গিয়ে, সেখানকার ফেমাস রেসিপি-Hoto Noodles Soup ট্রাই করেছিলাম। একদিন টোকিওতে মেজোমামার সাথে দেখা করে ফিরতি ট্রেনে ইয়ামানাশিতে ব্যাক করে দেখি আজুসা আর এরি মামী আমাদের পিক আপ করার জন্য অপেক্ষা করছে। স্টেশন থেকে বের হয়ে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে কাঁপতে কাঁপতে দেখি এরি মামী ডিনার করানোর জন্য এক শপে নিয়ে গেলো! ভেতরে গিয়ে ধিরে সুস্থে টেবিলে বসার পর মামী বললো ইয়ামানাশির এই ফেমাস আইটেম খাওয়ানোর জন্য নিয়ে আসছে এই শপে!

আমি আর আজুসা অর্ডার করলাম মাশরুম হোটো স্যুপ! এরি মামী চিকেন হোটো আর এরিশা অর্ডার করলো সয়াসস বেইজ হোটো স্যুপ। কারন মিসো বেইজ ব্রথ নাকি তার অতোটা পছন্দ না। বিশাল বাটি ভর্তি স্যুপ খেতে গিয়ে দেখি পেট ভরে যাচ্ছে কিন্তু স্যুপ আর শেষ হয়না। কিন্তু মামীর পয়সাতো উসুল করতেই হবে। রয়ে সয়ে স্যুপ খাই, টয়লেটে গিয়ে ব্লাডার একটু খালি করি, এই করতে করতে গলা পর্যন্ত স্যুপে টইটম্বুর! কিন্তু মাশরুম, সব্জি আর হোটো নুডলসের স্বাদটা দারুন লেগেছিলো! আর সত্যি বলতে, মিষ্টি কুমড়া যে স্যুপেও দেওয়া যায় আর সেটা খেতে এতো ইয়াম্মিও লাগতে পারে সে ব্যাপারে কোন ধারনাই ছিলো না।

যাইহোক, অস্ট্রেলিয়া ফেরার সময় এক প্যাকেট ফ্রেশ Hoto Noddles এর প্যাকেট নিয়ে এসেছিলাম। মামী আমাকে সুপার মার্কেটে নিয়ে পরে স্যুপ ব্রথ বানানোর জন্য জাপানিজ Dashi আর Kelp ও কিনে দিয়েছিলো। ফাইনালি সাহস করে নিজেই এই স্যুপ বানিয়ে ফেললাম। দোকানের রেসিপির মতো সব সবজি ব্যাবহার না করলেও, মিস্টি কুমড়োটা ঠিকঠাক মতো এড করেছি! কারন এটা Hoto Soup এর একটা প্রধান উপাদান। সাথে ছিলো গাজর, মুলা, চাইনিজ ক্যাবেজ, স্প্রিং অনিয়ন, ফ্রায়েড টফু আর শিমেজি মাশরুম!

প্রথম দিনের রান্নায় সবজির পরিমান অল্প করে দিয়েছিলাম স্বাদ কেমন হয় বোঝার জন্য! মিসোর পরিমান একটু বেশি হওয়ায় হালকা সল্টি লাগছিলো! আজকে তাই এক প্যাকেট মিসো ব্যাবহার করেছি! সাথে সবজির পরিমানও আরও বেশি ছিলো। বিশেষ করে মিষ্টি কুমড়ো। যা ছিলো পুরোটাই দিয়ে দিয়েছিলাম। আর Hoto এর বদলে ইউজ করেছি Udon noodle। তারপর এই ঠান্ডা দিনে ব্রাঞ্চে গরম গরম Udon soup! এরিশাও গপগপ করে কোন অভিযোগ ছাড়াই একবাটি সবজি সহ স্যুপ খেয়েছে।
মনে হচ্ছে এবারের শীতটা এই স্বাস্থকর প্লাস মজার এই স্যুপের উপরেই কাটিয়ে দেবো!

নিচের লিস্টটা দেখে ভাবছিলাম আসলেইতো কয়টা লাক্সারি আছে আমার জীবনে! কথায় আছেনা 'জীবন খাতায় হিসাব নিকাশ মেলানো'! সেটা মেলাত...
17/06/2025

নিচের লিস্টটা দেখে ভাবছিলাম আসলেইতো কয়টা লাক্সারি আছে আমার জীবনে! কথায় আছেনা 'জীবন খাতায় হিসাব নিকাশ মেলানো'! সেটা মেলাতে গিয়েই মনে হলো, আরে, খাতাতো একদমই শুন্য না!

১.সময় কার হাতে কতটুকু আছে সে কেই বা জানে। ২৫ বছরের টগবগে যুবক বা যুবতী, কি নব্বই বছরের অশতিপর বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা, কে যে কার আগে যাবে তা ভাগ্য ছাড়া আর কারই বা নিয়ন্ত্রণে আছে! হয়তো আপাতঃদৃষ্টিতে বয়স যত কম, তার হাতে সময় তত বেশি! কিন্তু আসলেই কি তাই! সময় হাতে থাকলেই কি মানুষ সবকিছু তার মনমতো পূরণ করতে পারে!

২. আমার হেলথ কম্প্লিকেশনের পুরোটাই একটা অনিশ্চিত যাত্রা! কিন্তু তারপরও আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ, কারন চাইলে এরচেয়েও বেশি খারাপ অবস্থায় আমাকে রাখতে পারতেন! বা হয়তো আমার সময়টা আরও আগেই কেড়ে নিতে পারতেন! সে হিসেবে আমিতো আসলেই অনেক ভাগ্যবান!

৩. অসুস্থতা আর একটা দীর্ঘ সময় হাসপাতালে কাটানোর অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে মন শান্ত রাখতে হয়! আর মন শান্ত বলেই হয়তো মানুষ বা চারপাশের জগৎকে পড়তে বা অবজার্ভ করতে ভালো লাগে। মনেহয় অনেক কিছুর ইকুয়েশন অনেক সহজে এখন মিলে যায়।
তারপরও পারিপার্শ্বিক বা বাইরের অনেক প্রভাবক এখনো আমাকে মাঝেমধ্যেই অস্থির করে তোলে। প্রাণপন চেষ্টা করছি সে অস্থিরতা থেকে বের হয়ে আসার। সো এটা এখনো লাক্সারি না।

৪. স্লো মর্নিং এর লাক্সারি এখনো ভাগ্যে জুটেনি। সাতসকালে উঠেই মেয়ের স্কুলের নাশতা বানানো, স্কুলে ড্রপ করা, সকালের ব্যাস্ত ট্রাফিক পার হয়ে আবার ড্রাইভ করে বাসায় ফেরা, কাজ শুরু করা, সবমিলিয়ে মর্নিং একদমি স্লো না।

৫.আলহামদুলিল্লাহ! ট্রাভেল করার মতো শারীরিক সক্ষমতা এখনো আছে। এটা যে কত বড় সৌভাগ্য! কোনদিন বাংলাদেশে যেতে পারবো না ভাবলেই আমার নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় মানুষ মনে হয়!

৬.ইয়েস! কোন গিল্টি ফিলিং ছাড়াই আমি ইচ্ছেমতো রেস্ট করতে পারি! ওমর এর উপর ঘরের সব কাজ ছেড়ে দিয়ে ইচ্ছেমতো ঘুমাতে পারি! ওমর এসে মাঝেমধ্যে চা বানিয়ে দিয়ে যায়। বা খোঁজখবর নেয় কিছু লাগবে কিনা! He is a great homemaker আলহামদুলিল্লাহ!

৭. শরীর খারাপ না থাকলে ইউজ্যুয়ালি আমার রাতের ঘুম ভালোই হয়! কিন্তু কোন কারনে যদি ঘুম ঠিকঠাক না হয়, তাহলেই আমার বারোটা বেজে যায়। অল্প ঘুমিয়েও সুন্দরমতো ফাংশন করতে পারা মানুষ আমি না!

৮.জীবনের দুই তৃতীয়াংশ পার করে দিয়ে, ফাইনালি 'calm' এবং 'boring days' এর মর্মার্থ আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি! And I actually love my absolutely boring & calm days! সুখ বা আনন্দ বলতে যারা সবসময় হৈচৈ, এক্সাইটমেন্ট বা মিনিংলেস সম্পর্কের মাঝে ইনভেস্ট করা বোঝে, তাদের কাছে অবশ্য এগুলো লাক্সারি না। কিন্তু ঘুরেফিরে শেষ পর্যন্ত সবাইকেই হয়তো এর মর্মার্থ বুঝতে হয়! জীবন কাউকেই ছাড় দেয়না!

৯.দুঃখজনকভাবে আমি এখন পর্যন্ত দেশে থাকা বা দেশে এডাল্ট লাইফ পার করে আসা কোন বাংলাদেশি মানুষ পাইনি, যার সাথে মিনিংফুল কনভারসেশন চালানো যায়! যাদের সাথে চেষ্টা করেছি, খুব অল্প সময় পরেই বুঝে গেছি তারা শুধু কিছুক্ষণের জন্য 'তাল মেলানোর' চেষ্টা করছে বা শুধুই নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছে। কনভারসেশনটা আর টু-ওয়ে থাকেনি তখন। মিনিংফুলতো না ই না!
কিন্তু বাংলাদেশিদের বাইরে অনেক মানুষ পেয়েছি যাদের সাথে আমি লং-টাইম মিনিংফুল কনভারসেশন চালাতে পেরেছি, পারি! এদের মাঝে কিছু বাংলাদেশি আছে যাদের জন্ম দেশের বাইরে বা যারা খুব ছোটবেলায় দেশ ছাড়ায়, ভিন্ন ভাবে ভাবতে পারে! এরা সবাই আমার ভাবনার জগতকে সমৃদ্ধ করেছে, করছে! আমি তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ!

১০. আমি রান্না করতে ভীষন ভালোবাসি। আমার নানী (বরিশালের মেয়ে ছিলেন), দাদীর বাড়ি (শরিয়তপুর) আর নিজের হাতের রান্না করা খাবার অনেক পছন্দ! বাংলাদেশ, কলকাতার বিভিন্ন ট্র্যাডিশনাল (নানী, দাদীর রান্না) আমি ট্রাই করতে পছন্দ করি। সো হোম কুকড মিলের লাক্সারি আমার আছে, আলহামদুলিল্লাহ! মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যেনো আমি নিজে রান্না করে খেতে পারি এটাই আমার চাওয়া!

১১. আমার ভালোবাসার মানুষরা আমার চারপাশেই থাকে। এরিশা, ওমর, আম্মু, আমার বোন, আমার অফিস কলিগরা! আমার ভালোবাসা আমি খুব একটা প্রকাশ করতে পারিনা। কিন্তু তারপরও এরা আমাকে ভালোবাসে! ব্যাপারটা ভাবলেই আমার অবাক লাগে!

১২.ফ্যামিলির বাইরে আমার কলিগদের দেখেছি, কি প্রবলভাবে তারা তাদের ভালোবাসা আমার জন্য প্রকাশ করেছে যখন আমি অসুস্থ ছিলাম। আমার সিলেটি লন্ডনি ফ্রেন্ড, কাশেম-বিলিভার না হয়েও দিনরাত আমার জন্য দোয়া করেছে, এমনকি মা'কে নিয়ে হজ্ব করতে গিয়ে, আমার জন্য ওমরাহ করে এসেছে! আমার অল্প কদিনের লেখক জীবনের দু একজন পাঠক, আমার স্কুল ফ্রেন্ডস যাদের সাথে হয়তো স্কুল লাইফে খুব কাছ থেকে মেশাও হয়নি, কিন্তু তাদের ভালোবাসা দূর থেকেও আমি অনুধাবন করতে পেরেছি!

©মুনলীন

ঈদের দিন! এবারের ঈদের সময়টা কেন যেনো ভালো লাগছিলো না। সব কিছু কেমন গুমোট লাগছিলো! যেনো খুব খারাপ কিছুর জন্য মন অপেক্ষা ক...
13/06/2025

ঈদের দিন! এবারের ঈদের সময়টা কেন যেনো ভালো লাগছিলো না। সব কিছু কেমন গুমোট লাগছিলো! যেনো খুব খারাপ কিছুর জন্য মন অপেক্ষা করছে! একবার মনে হচ্ছিলো আমি নিজে কি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পরবো! নাকি কাছের কারো কোন দুঃসংবাদ পেতে যাচ্ছি! কোনভাবেই মনের ভারবোধটা কাটাতে পারছিলাম না।

এরপর ঈদের দিন প্রথম একজনের মৃত্যু সংবাদ শুনলাম! আর ঈদের আমেজ শেষ হতে না হতে আরও কত কত প্রানের মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাওয়ার সংবাদ! জীবন যে খুব ক্ষনস্থায়ী এ বোধ এখন এমনিতেই আমার প্রতি মুহুর্তের সংগী! তাই হয়তো অন্য সবার মতো জীবনের চাওয়া, পাওয়া, এ্যাচিভমেন্ট, র‍্যাট রেস, কার থেকে উপরে থাকতে হবে, কাকে দরকার শেষে ল্যাং মেরে ফেলে দিতে হবে, কাকে মুখে মুখে ভালোবাসা দেখাতে হবে এইসব নেগেটিভ tendency গুলো শারীরিক, মানসিক কোনভাবেই টলারেট করতে পারিনা।

মন যখন নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকে, তখন পুকুরের পরিষ্কার, স্বচ্ছ পানির মতো টলটলে থাকে। জগতের সব কিছুই তখন অনেক বেশি পরিষ্কার দেখা যায় আর বোঝা যায়। মাঝে মাঝে নিজের মনের আচার আচরন এখন ঐরকমই লাগে। নিজে বুঝে ওঠার আগেই মন অনেক কিছু আগাম ফিল করতে থাকে। একেই হয়তো বলে অবচেতন মন!

যাইহোক মন ভালো করার জন্যই এই লাল টকটকে শাড়ি পরা! ২০২২ এ কেনা শাড়ি, ফাইনালি ২০২৫ এ এসে পরা হলো! আমি আজীবন বাঙালী শাড়ি আর সাজগোজে অভ্যস্ত! বলিউড টাইপ ঝাকানাকা হাতে গোনা দু একবার পরা হয়েছে। সেটা অবশ্যই এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে আর কম্ফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে। বলাইবাহুল্য তেমন একটা উপভোগ করিনি! আর মনে হয়েছে আমাকে মানায়ওনি! তাই আমার সবসময়ের পছন্দ, স্বস্তি আর আরামের জায়গা এই বাঙালীয়ানা সাজ! মন খুব একটা হালকা না হলেও, শাড়ি পরে ভালো লাগছিলো, আরাম লাগছিলো! আর পরে ছবিতে টকটকে লাল রঙটা দেখে নিজের চোখই জুড়িয়ে গেছে! 😊

Address

Barangaroo, NSW

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shabz Diary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shabz Diary:

Share