25/05/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                            যতটুকু আমি জানি, একজন পেশাদার নারী পতিতা টাকা নেয়ার পরেও যদি তার সার্ভিস দিতে ইচ্ছা না হয়, সে না করতে পারে। তার পরেও তার সাথে জোর জবরদস্তি করা হলে সে ধর্ষণ মামলা করতে পারে, সেক্ষেত্রে আইন তার পক্ষে থাকবে। এই আইন এর কারণ আমি মনে করি এখানে নারী কে দুর্বল হিসেবে ধরা হয়েছে, স্বভাবতই পুরুষ শাসিত সমাজে নারী ভিকটিম। কারণ টাকা পয়সা ক্ষমতা সবদিকে পুরুষ এখানে ডমিনেটিং তাই আইন এখানে নারীর পক্ষে। এই মামুন লায়লার কাহিনী তে ধরেই নিলাম মামুন একজন পুরুষ পতিতা। লায়লার সাথে তার সম্পর্কের শুরু হয়েছে ১৬/১৭ বছর বয়সে যখন লায়লার বয়স ৪০+। লায়লা তার টাকা এবং ক্ষমতা দিয়ে মামুনের কাছ থেকে সেক্সচুয়াল প্লেজার কিনে নিয়েছে। কিন্তু মামুন যতদিন টাকা নিয়েছে, সার্ভিস দিয়েছে। এখন সে টাকা ও নেবে না, সার্ভিস ও দেবে না। এখন প্রশ্ন হলো, এখানে ভিকটিম কে?? শুধু মাত্র জেন্ডার রিভার্স হলে, মামুনের জায়গায় আজ যদি একটি মেয়ে থাকতো, তখন পরিস্থিতি কেমন হতো?? তোলপাড় হয়ে যেতো, চাইল্ড এব-ইউজ এর মতো বড় বড় শব্দ উঠে আসতো! আমরা যে জেন্ডার ইকুয়ালিটি নিয়ে কথা বলি, সেটার লক্ষ্য কি নারী কে সুবিচার দেয়া, সমান অধিকার দেয়া?? নাকি তার জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে দেয়া?? যেখানে একই অপরাধে পুরুষ অপরাধী হলেও, টাকা এবং ক্ষমতা থাকার পরেও নারী ই ভিকটিম!! মামুন টাকার লোভ করে ফেঁসে গেছে! শতভাগ সত্য। কিন্তু সে তো টাকার বিনিময়ে সার্ভিস দিয়েছে। সেখানে সারাজীবন সার্ভিস দেয়ার মতো কোনো চুক্তি ছিলো না। একজন পুরুষ তো টাকা দিয়ে পতিতালয়ে যাওয়ার পরে সেই নারী কে বিয়ে করতে বা আজীবন তার কাছে যাওয়া আসার চুক্তি করতে বাধ্য থাকে না! জেন্ডার ইকুয়ালিটি এই কেস টা কে কিভাবে দেখছে??