Shabz Diary

Shabz Diary ....where i keep all my random thoughts

নতুন বাংলাদেশ!
05/08/2025

নতুন বাংলাদেশ!

থ্যাংক ইউ শিবির!

www.earki.co

05/08/2025

#অপ্রিয়কথা

লেখাটা প্রথমে শুরু করেছিলাম "৫ আগস্ট ২০২৪ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের মধ্যে দিয়ে আশা করি দেশে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো" এই লাইন দিয়ে! কিন্তু এর মাঝেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটাকে দাউদাউ আগুনে জ্বলতে দেখে মনে হচ্ছে, দেশ আসলে স্বাধীন না, দোযখের মালিকানাটা হয়তো এক হাত থেকে অন্য হাতে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র! প্রচন্ড দুঃখ, হতাশা আর ব্যার্থতা নিয়ে বলতে হচ্ছে আমরা দেশের জনগনরা আসলে এমনই! প্রতিহিংসাপরায়ণ! সুযোগের অভাবে সবাই ভালো আর সহজ সরল! সুযোগ পেলে প্রত্যেকে এক একজন রাবণ! কি ভীষন হিংস্রতা আর ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর মানসিকতা আমরা নিজেদের ভেতর ধারন করি তা ভাবলেও আমি শিউরে উঠি!

সত্যি কথা বলতে দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা লড়েছে, যারা প্রান দিয়েছে, ৭১ কি ২৪, সেই স্বাধীনতা আমরা এতো বছরেও পাইনি। সামনেও পাওয়ার আশা আছে কিনা জানি না। আজকে কোনভাবে আওয়ামীলিগ জিতে গেলে যা করতো, সাধারণ জনগনও ঠিক একি কাজটাই করছে! ধ্বংসযজ্ঞ, হানাহানী আর প্রতিশোধপরায়নতার উদযাপন! তাই হয়তো স্বাধীনতার দাবীতে অন্য সবার মতো অতি আবেগের আতিশয্যে স্রোতে গা ভাসাতে পারিনি। যুক্তিবোধটাই বেশী কাজ করেছে!

নাহ, শেখ হাসিনার বিকল্প নাই বা দেশ কে চালাবে এই ভাবনার চেয়েও শংকিত হচ্ছিলাম দেশের পলিটিক্যাল ট্র্যাকরেকর্ড চিন্তা করে। বিএনপি জামাত জেতার পর ২০০১ এ প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ছাপানো হিন্দুদের পুড়ে ছাই হওয়া বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপ আর ঘরপোড়া মানুষের আর্তনাদ আমি ভুলতে পারিনা! আর আওয়ামীলিগ ক্ষমতায় আসার পর ক্যাঙারু কোর্টে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ত্বকী হত্যা, সাগর, রুনী হত্যা, গুম খুনের সংস্কৃতি আর সর্বশেষ সাধারন ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণ, এসবই বা আমি কিভাবে ভুলবো! এইসব ক্ষত প্রতিটা মানুষের মনে এখনো তরতাজা! গণজাগরন মঞ্চের সময় আওয়ামীলিগের সৃষ্ট যে ডিভাইড আর রুল কালচার তা আমাদের নেক্সট কত জেনারেশন ধরে বহন করতে হবে কে জানে!

লীগের বিপক্ষে কথা বলা মানেই যেমন রাজাকার ট্যাগ দেয়া হতো, আজকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের সাথে সাথে বিজয়ী জনগন, 'লীগের দালালদের' লিস্ট করা শুরু করেছে! অর্থাৎ লীগের পক্ষে কেউ কিছু বললে সেও এখন 'বিপক্ষ দল' হয়ে যাবে! কেউ কোথাও ভারসাম্য রাখতে পারবে না! আর এই পক্ষপাতিত্বের রাজনীতিতে জয়ী হয় শুধু ক্ষমতাবান আর তাদের পক্ষ! এর বাইরে আমরা আর কিছু বুঝিনা! বুঝতে চাইও না। কারন ক্ষমতাইতো দিনশেষে আমাদের 'যাদুর কাঠি'!

আমরা বাঙালীরা আবেগী জাতি, যেই আবেগ দিয়ে ৭১ এ পূর্বপুরুষরা দেশ স্বাধীন করেছিলো, ঠিক একিই রকম স্পৃহা আর আবেগ দিয়ে আমাদের কিশোর তরুনরা ২০২৪ এ এসেও দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। কিন্তু তারপর! যারা শহীদ হয়েছে, তারাতো আর ফিরে আসবেনা, কিন্তু যারা বেঁচে আছি তাদের দায়িত্বতো আকাশসম! কিন্তু ইতিহাস বলে সেই দায়িত্ব পালনে আমরা আসলে খুব একটা সফল না। আমরা বিজয় উদযাপন করি হিংস্রতার মাধ্যমে। আজ যদি আওয়ামীলীগের বিজয় হতো তাহলে সাধারণ জনগন আর ছাত্রদের যা দশা হতো, এখন হয়তো লীগের সাধারণ নেতাকর্মী আর সাপোর্টারদের সেই একি দশাই হবে! এই লেখা লিখতে লিখতে ইতিমধ্যেই ভাংচুরের খবর দেখছিলাম সোশাল মিডিয়াতে! গণভবন লুটপাট, সংসদ ভবনের চেয়ারে বসে সিগারেট টানা, হিন্দু বাড়িতে ভাংচুর, মন্দিরে আগুন, ভয় দেখানো!

আচ্ছা এতে করে কি স্বাধীনতার স্বাদ নেয়া হচ্ছে আপনাদের! খুব মিষ্টি লাগছে এই স্বাধীনতা! ১৫/১৬ বছর যারা লীগের লুটপাট, হত্যা, গুম সহ্য করেছে তাদের অনেকেই এখন চাইবে যেভাবেই হোক তার প্রতিশোধ নিতে! কিন্তু কে বোঝাবে এই জাতিকে এই প্রতিশোধপরায়ন মানসিকতার পরিবর্তন না হলে, দেশ যতবারই স্বাধীন হোক না কেন, যতজনই শহীদ হোক না কেনো, সেই স্বাধীনতার সম্মান বা অস্তিত্ব বেশীদিন টেকেনা! যদি টিকতো তাহলে জনগনের ভয়ে 'শেখের বেটি'র লেজ গুটায় এইভাবে পালানো লাগতো না!

নেক্সট দেশ কে চালাবে, কি পরিকল্পনা, কি ভাবে কি হবে, কে যাবে, কে থাকবে আমি জানিনা। কিন্তু এইটুকু বুঝতে পারি আবেগ দিয়ে দেশ স্বাধীন করা গেলেও, দেশ চালানো যায়না! আর এটাও সত্য যে এতোদিন ধরে প্রশাসন চালানো আওয়ামী মনোভাবাপন্ন যারা তারা খুব সহজে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বরন করে নেবে বা নিশিন্তে দেশ পরিচালনা করতে দেবে সেটাও আমি ভাবিনা। কিন্তু খুব করে চাই দেশের সত্যিকার অর্থে ভালো চাওয়া তরুন আর প্রজ্ঞাবানরা মানুষেরা এক হয়ে দেশের জন্য মঙ্গলময় পরিবর্তনগুলোই আনুক!

দেশ যেমন কারো বাপের না, দেশকে তেমন নতুন করে অন্য কারও বাপেরও হতে দেয়া যাবেনা! দেশ আমাদের সবার-আমার মতের পক্ষে যারা অথবা বিপক্ষে! তারমানে এই না যে দেশের ক্ষতি করা বা দেশের সম্পদ নষ্ট করার অধিকার আমাদের কারো আছে!

পরিবারে বাবা, মা, ভাইবোনের সাথে অমত হলেও যেমন আমরা তাদেরকে চিরশত্রু ভাবা শুরু করিনা। দেশটাও তেমনি। আপনি, আমি, পক্ষ, বিপক্ষ সবাই মিলেই আমাদের দেশ। এক দল জনগনকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দিতে চায় তো আর এক দল ভারত! তাদের সাহস কি করে হয় যে তারা দেশের মানুষের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যায় কে কোন দেশে যাবে! অতীতের রাজনৈতিক ট্র্যাকরেকর্ড দেখলে উপলব্ধি করা যায় আমাদের পূর্বসুরীরা না অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছে, না তারা হিংসা, বিদ্বেষ উপেক্ষা করে জনগনের ভালোর জন্য দেশকে দৃঢ়ভাবে পরিচালিত করতে পেরেছে! তাই এই ২০২৪ এ এসে আমরা কি এবার আশা করতে পারিনা আমাদের নতুন প্রজন্ম অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আর প্রতিহিংসার রাজনীতিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে, প্রত্যেকের জন্য সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়ে তুলবে!

©মুনলীন

(২০২৪ এ লেখা সেই সময়ের অনুভূতি। কিছুই বদলায়নি ২০২৫ এ)

02/08/2025

পরম বন্ধুও কখন যে ভেতরে ভেতরে চরম শত্রু হয়ে যেতে পারে, কে বলতে পারে!
যে পেছন থেকে ছুড়ি মারে, সামনে এসে সেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়!
মানুষের মতো রাষ্ট্রও কিন্তু এমন দ্বিচারিতা লালন করতে পারে!

জানি, আজকের বাংলাদেশে এই documentary শেয়ার করাটা একদমই সঠিক সময় না। দেশ এখন পাকি হায়েনাপন্থিদের হাতে! সবাই তাই এখন পাকিদ...
30/07/2025

জানি, আজকের বাংলাদেশে এই documentary শেয়ার করাটা একদমই সঠিক সময় না। দেশ এখন পাকি হায়েনাপন্থিদের হাতে! সবাই তাই এখন পাকিদের মন জোগানো কথা আর দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতার জনককে ছোট করে বেশি বেশি লাইক, লাভ রিএকশন আর আলোচনায় থাকার পন্থা বেছে নিয়েছে! কিন্তু সবাই যা চায় বা করে, সেটা ফলো করা ব্যাপারটা হয়তো আমার রক্তেই নাই।পপুলারিটি দিয়েতো আমার জীবিকা নির্বাহ হয়না! আর তাছাড়া 'শেখ হাসিনা' যখন চরম প্রতাপশালী ছিলেন তখন রাগ, ক্ষোভ বা ইগ্নোরেন্সের কারনে ২০১৮ তে রিলিজ হওয়া এই জিনিস দেখার প্রয়োজনও বোধ করিনি!

যাইহোক, এইনিয়ে দুইবার বসে দেখলাম এই documentary! আর তিন চারবার ব্যাকগ্রাউন্ডে ছেড়ে রেখে অন্য কাজ করেছি! যেনো কানে ভাসতে থাকে প্রতিটা শব্দ, কথা, গান! প্রথমবার ভেবেছিলাম বাঙালির স্বভাবসিদ্ধ অতি আবেগে কাঁদছি! তাই আবেগ সরিয়ে, ক্রিটিক করার উদ্দেশ্যেই দ্বিতীয়বার দেখতে বসেছিলাম! কিন্তু failed miserably! দেখি সেই একই অবস্থা! চোখের পানি আটকাতে পারছিনা!

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা কেমন ছিলেন! কেমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা নিয়ে তর্ক, বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু 'প্রধানমন্ত্রী' হওয়ার আগ পর্যন্ত এই মানুষটা কেমন ছিলেন, কেমন পারিবারিক আবহ আর অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে মানুষটা আজকের নেত্রী হয়েছেন, জীবনের চড়াই উৎরাই পার হয়েছেন, জীবনের ভয়ংকর ট্রমা, সর্বোস্ব হাড়িয়ে ফেলার শুন্যতা, সবকিছু একদিকে সরিয়ে, দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাওয়া, দেশকে ভালোবাসা, নিজের পরিবারের হত্যার বিচার করা, এগুলো হয়তো শুধু বই পড়ে কখনোই এতো গভীরভেবে অনুধাবন করতে পারতাম না!

বাবার রাজনৈতিক জীবনের কারনে যে মানুষ জন্মের পর থেকে (আমিতো বলবো গর্ভে থাকা অবস্থায়ই) কখনো স্বস্তির শৈশব পায়নি, বাবাকে ঘিরে মায়ের চরম দুশ্চিন্তা, উৎকন্ঠা, নিরাপত্তাহীনতা দেখে দেখে বড় হয়েছে, তার আসলে অনেক কিছু সহ্য করার মানসিক দৃঢ়তা হয়তো অটোম্যাটিকিলি চলে আসে। তারসাথে যখন যুক্ত হয় নিজের পরিবারের প্রতিটা মানুষকে চীরতরে হারিয়ে ফেলার বিভৎসতা, তখন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে তার হাতে 'fight or flight' মোডে যাওয়া ছাড়া অন্য উপায় থাকে না!

এছাড়াও বাবার মৃত্য সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে যে দেখেছে মাথায় তুলে রাখা মানুষরা তাদেরকে মাথা থেকে ছুড়ে ফেলে দিতে এক মুহুর্ত দেরি করেনি। আবার এর মাঝেই দু একজন সহমর্মিতা, ভালোবাসার হাতও বাড়িয়ে দিয়েছে! ভীনদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন পরিবারহারা এক অসহায় তরুণীর মুখ দেখে বুঝে ফেলেন সারাদিনে হয়তো তার কিচ্ছু খাওয়া হয়নি, সেই অসহায়, ক্ষমতাহীন, 'আমি কেউ না' অবস্থায় থাকা একজন মানুষ সেই দু একজনকেই হয়তো পরমপ্রিয় হিসেবে আঁকড়ে ধরেন। আমার চরম দুঃসময়ে যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তাকে সুসময়ে ভুলে যাওয়ার মতো চরম কৃতঘ্নতার পরিচয় সবাই হয়তো দিতে পারেনা! হয়তো আমাদের 'প্রধানমন্ত্রী'ও তেমন 'কৃতঘ্ন' কখনোই হতে পারেননি!

ইনফ্যাক্ট documentary টা দেখতে দেখতে ভাবছিলাম আমি নিজেই কি সেই খুনীকে ক্ষমা করতে পারতাম যদি জানতাম সে আমার পুরো পরিবারকে হত্যা করেছে! আমি নিজেই কি আমার দুঃসময়ের বন্ধুকে কখনো ভুলতে পেরেছি! যার কারনে আমি আজকের আমি! আমি নিজে যা পারবো না, তা কেন অন্যের বেলায় প্রত্যাশা করি! নিজে যা করবো না, তা কেন অন্যের বেলায় 'স্ট্যান্ডার্ড' ধরে বিচার করি!

আজকের যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে অনেক চড়াই, উৎরাই, সম্মান, ঘৃনা, অপমান, অপ্রত্যাশিত ভালোবাসা আর সীমাহীন আবেগের যোগফোল! উনি নাকি বিশ, বাইশবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন। দোয়া করি উনি আরও দীর্ঘজীবি হোন। উনার অনুপস্থিতিতে আজকের বাংলাদেশ যদি আরও ভালো থাকতো, তাহলে হয়তো বলতে পারতাম দেশ আর মানুষ জিতে গেছে! কিন্তু এখন প্রতিদিন প্রশ্ন জাগে, আসলেই কি জিতেছি!

©মুনলীন

Ekta Gaaner Golpo - Hasina A Daughter's TaleHere is a song from the documentary film "Hasina: A Daughter's Tale".This is a tribute to Sheikh Mujibur Rahman, ...

30/07/2025

"আমি কখনো শেখ মুজিবকে জাতির পিতা বা বঙ্গবন্ধু লিখি নি। এটা আমার ইচ্ছা, এবং এর সুগভীর কারণ আছে। তার মানে এই নয় যে তিনি জাতির পিতা নন। বঙ্গবন্ধু নন। বা বাংলাদেশের জন্ম তাঁর হাত ধরে হয় নি। নষ্টদের সাথে এক কাতারে নামবো না বলেই তাঁকে নিয়ে লিখি নি। বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করি নি। তাঁর আত্মজীবনীও পড়ি নি। আগ্রহ জাগে নি। যখন জাগবে, পড়বো।

আমি মুজিবের প্রশংসায় ছিলাম না, নিন্দায়ও নয়। কিন্তু আসিফ নজরুলরা তাঁর জীবনী পড়েছে। কেঁদেকেটে বুক ভাসিয়েছে। কলামের পর কলাম লিখেছে। টিভিতে চোখ ভিজিয়েছে। এবং ক্ষমতা পেয়েই সর্বশক্তি দিয়ে মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে লেগেছে। আওয়ামী লীগের তুলনায় পাকিস্তান কিছুই করে নি, এমন নির্জলা কাদাকথা বাজারে ছেড়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, এমনটি শুনলে এককালে মানুষ সমীহের চোখে তাকাতো। জ্ঞানী, নির্মোহ, প্রজ্ঞাবান দেবদূত ভাবতো। এখন শুনলে ঠাহর করে, লোকটি আসিফ নজরুলের মতো টাউট নয়তো?

এক অধ্যাপকের মুখে শোনা। হুমায়ুন আহমেদ একবার টিচার্স ক্লাবে বসে ছিলেন। সাথে স্ত্রী গুলতেকিন। এমন সময় আসিফ নজরুল হাজির। সে গুলতেকিনকে ‘আপা’ ডাকতো। ব্যস, ডাক দিলেন ‘আপা’। কিন্তু ভুলে উচ্চারণ হয়ে গেলো ‘আব্বা’। হুমায়ূন হকচকিয়ে তাকালেন। আসিফ তাঁকে ‘আব্বা’ ডাকছে কেন বোঝার চেষ্টা করলেন।

হুমায়ূন প্রকৃতিবিভোর লোক ছিলেন। জীবদ্দশায় প্রকৃতি তাঁকে ‘আব্বা’ ডাক শুনিয়েছিলো, আসিফ নজরুলের মুখে। বেঁচে থাকলে এটাকে তিনি কীভাবে দেখতেন? নিগুঢ় রহস্য রূপে? সম্ভবত বই লিখতেন, ঠগীর খপ্পড়ে আদরের কন্যা।

সেই ঠগী আজ মুক্তিযুদ্ধে জিহ্বা লাগিয়েছে। মুছতে চাচ্ছে রক্তের দাগ, ধর্ষিতার ঘা। মুজিব মুক্তিযুদ্ধের ফিজিক্যাল এমবোডিমেন্ট। এটা শেখ হাসিনার নামে ভুলিয়ে দেওয়া, মূলত বাংলাদেশকে ভুলিয়ে দেওয়ার এক্সপেরিমেন্ট। আওয়ামী লীগের চেয়ে পাকিস্তান আর্মি ভালো ছিলো, এটা ‘বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তান ভালো ছিলো’, এমন বক্তব্যের পূর্বরাগ। দশ বছর পর বলবে, তারেক রহমানের চেয়ে ইয়াহিয়া খান ভালো ছিলো। কাঁঁচা প্রেমিক প্রথম চুমোয় তালগোল পাকায়। শীলাপতী আসিফ নজরুল তাই পাকিয়েছেন। পাকার্মির গালে পরের চুমোটি সাবধানে দিলে ভালো হয়।

খুব গভীর বন্ধ্যাকাল বলেই আসিফ নজরুলের মতো টাউট লোকরা কিসক্যাম পাচ্ছে। মন্ত্রী হচ্ছে। আবর্জনার খাদে আবর্জনা ছাড়া কী নিয়ে আলোচনা হবে? এমন একটি আবর্জনা ঘোষণা দিয়েছিলো— মহানবীর জীবনী লিখবো! মহাঠগী লিখবে মহানবীর জীবনী, ভাবতেই দম ফুরিয়ে আসছে, হাসিতে।”


—মহিউদ্দিন মোহাম্মদ
(সাক্ষাৎকার / ৩০ জুলাই ২০২৫)

23/07/2025

গরীব আর ক্ষমতাহীনদের আসলে নতুন করে হারানোর কিছু নাই! সে মানুষ হোক বা দেশ! কিছু না কিছু, কোন না কোনভাবে হারানোর জন্য প্রস্তুত থাকতেই হবে! এটাই হয়তো সিস্টেম! আমাদের আগেও অনেকে ভাঙতে চেয়েছে, আমরাও চেয়েছি, ভবিষ্যৎ এর ছেলেমেয়েরাও হয়তো চাইবে! কিন্তু বেঁচে থাকতে সেই পৃথিবী আসলে কোনদিন দেখে যেতে পারবো না! কি অসহ্য, দমবন্ধ করা এই অনুভূতি! কি অসম্ভব আশাহীনতা আর হেল্পলেসনেস নিয়ে পৃথিবীর কোটি, কোটি মানুষ এক জীবন পার করে দেয়, দিচ্ছে!

সেল্ফ টক # মাস খানেক আগে চুলায় ক্যারামেল তৈরি করতে গিয়ে এক্সিডেন্টলি সামান্য একটু ক্যারামেল নাকে, চোখে আর হাতে এসে পড়ে। ...
22/07/2025

সেল্ফ টক #

মাস খানেক আগে চুলায় ক্যারামেল তৈরি করতে গিয়ে এক্সিডেন্টলি সামান্য একটু ক্যারামেল নাকে, চোখে আর হাতে এসে পড়ে। চোখে চশমা থাকায় বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও, বেচারা নাককে একটু ভুগতেই হলো। প্রথমে একটু ব্লিস্টার আর সেখান থেকে নাকের এক সাইডে ছোট্ট একটু বার্ন মার্ক ।

এই বার্ন মার্ক নিয়েই অফিস, বাজার, ঘুরাঘুরি সব কিছুই নরমালি চলছিলো! কিন্তু মেয়ের ছোট্ট একটা প্রশ্নে কিছুক্ষণের জন্য থমকে গিয়েছিলাম!

মেয়ে জিজ্ঞেস করছিলো 'are you feeling self conscious Mummy? আমি বললাম 'No! Why would i feel self conscious!' মেয়ে শুনে খুব আস্বস্তের ভংগীতে বললো 'okay, good! You better not feel self conscious'!

আমি অস্বীকার করবো না যে নিজের এই দাগ নিয়ে শুরুতে আমার অস্বস্তি হচ্ছিলো না। কিন্তু এই অস্বস্তি কেন হচ্ছে সেটা নিয়েও নিজের উপর বিরক্ত হচ্ছিলাম। হয়তো নিজের ব্যাপারে আমি অন্যরকম ভাবি বলেই এই অস্বস্তি মেনে নিতে পারছিলাম না!

খুব সামান্য একটা দাগ, যেটা হয়তো কয়দিন পর চলেও যাবে কিন্তু তারপরও নিজের মধ্যে কুন্ঠা জাগছিলো এসব ভেবে যে সামনের মানুষটা আমাকে নিয়ে কি ভাববে! আমাকে দেখতে কতটা খারাপ লাগছে! এই দাগ কি কখনো আর ঠিক হবে! সবাইকে কি বলে বলে বুঝাতে হবে কিভাবে কি হয়েছিলো!
ছবি তুলতে গেলেও নিজের খুঁতটাই আগে চোখে পড়ছিলো। মনে হচ্ছিল এই দাগটাই ছবিতে বেশি চোখে পড়ছে। আর সবাই এই দাগই আগে দেখবে!

এইসব নেগেটিভ ভাবনা ভাবতে ভাবতেই মনে হলো আমাদের জীবনটাওতো ঠিক এমনি। আমাদের সবারই অনেক কমতি আছে, অনেক অপূর্ণতা আছে, অনেক কিছু না পারার আফসোস আছে! কিন্তু এই কমতি বা অপূর্নতা নিয়ে অন্যরা যতোনা বেশি সরব। তারচেয়েও বেশী সরব আমাদের মাথার ভেতরের কন্ঠস্বরটা। যে কিনা প্রতিনিয়ত বলে যাচ্ছে 'এই আমি যথেষ্ট না! এই আমি দেখতে ভালো না। আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না! এই আমি ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য না! পৃথিবীকে দেওয়ার মতো আমার কিছু নেই!

ব্যাপারটা চিন্তা করলেই তো কি ভয়ংকর লাগে, তাই না! নিজের সাথে আমাদের নিজের যে বসবাস এই পুরো ব্যাপারটাকে আমরা কতো নেগেটিভিটি দিয়ে ভরে ফেলছি। অনেক অনেক পূর্ণতা নিয়েও আমরা ভুলে যাই আমাদের সবার জীবনেই কমতি আছে, না পাওয়ার আক্ষেপ আছে, সবাই আমরা নিজেকে কোন না কোন দিকে দিয়ে অপূর্ণ ভাবি!

কিন্তু ভাবনাটা যদি এমন করতে পারি যে আমার যা আছে তা আর অন্য কারও নেই। আমার মতো অন্য আর একজনও এই পৃথিবীতে নেই! আমি যা দিতে পারি তা আর কেউ পারে না। তাহলেই কিন্তু আমাদের অন্যের চোখে নিজের সৌন্দর্য খুঁজে বেড়াতে হয়না! অন্যের এপ্রুভালের আশায় নিজেকে হারিয়ে ফেলতে হয়না! কারন অন্যরা ঠিক সেভাবেই আমাদের ভালোবাসে, যেভাবে আমরা নিজেরা নিজেদের বাসি!

©মুনলীন (রিপোস্ট)

First attempt at making my childhood favourite 'Chicken bun'! অনেকদিন ধরে দেশি স্টাইল ফাস্টফুড খাওয়ার ক্রেভিং হচ্ছিলো! ন...
13/07/2025

First attempt at making my childhood favourite 'Chicken bun'! অনেকদিন ধরে দেশি স্টাইল ফাস্টফুড খাওয়ার ক্রেভিং হচ্ছিলো! নাইন/টেনে থাকতে ঈদের সময় টাকা জমায়, বাসার কাছাকাছি 'চেরিশ' নামে একটা ফাস্টফুড শপ ছিলো, ওখানে যেতাম ফাস্টফুড খেতে! আমার সবচেয়ে পছন্দ ছিল এই চিকেন বানটা! নরম তুলতুলে রুটির ভেতর ইয়াম্মি চিকেনের পুর, টমেটো কেচাপ মেখে কামড় দিলেই মনে হতো 'বেহেশতি খাবার'! তখন এই বানের দাম পড়তো পনেরো/বিশ টাকা!

আজকে হাতে সময় থাকায় মনে হলো ট্রাই করা যাক! বাসায় ময়দা ছিলো না। স্বাস্থ্যকর জন্য সবসময় আটাই কিনি। মুরগীর কিমা আগেই কেনা ছিলো। আটা দিয়ে ডো বানাতে গিয়ে, ডো নরম বানানোর টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো নিয়ে আসলে শিওর ছিলাম না। আর আমি জীবনে কখনো রুটি বানিয়েও খাইনি। তাই আটা দিয়ে বান বানানোর পুরো প্রসেসটাই চ্যালেঞ্জিং ছিলো আমার জন্য। ইস্ট দিয়ে আটা মেখে দুই ঘন্টা রেস্টে রেখে দিয়েও দেখি খুব একটা ফুলেফেঁপে একাকার হচ্ছে না। কিন্তু কি আর করা। আল্লাহর নামে নেমে পড়লাম এই জিনিস বানাতে।
কিমা রেডি করে, আটার লেচি কেটে হাতে হাতেই ছোট্ট রুটি বানিয়ে, কিমা ভরে চেপে চেপে আবার বল বানালাম।

তারপর তিরিশ মিনিটের মতো ওভেনে বেক করে ফাইনালি আমার 'চিকেন বান' রেডি! ময়দা ব্যাবহার না করায় দোকানের সেই সফট, ফ্লাফি ভাবটা মিসিং ছিলো। কিন্তু খেতে মজা হয়েছে। ইনফ্যাক্ট স্বাস্থ্যকর ভেবে খেলে 'ময়দা মিসিং' অনুভূতিটা কিছুটা ভুলে থাকা যায়😞! কিন্তু মন থেকেতো আর মুছে ফেলা যায়না🥺! যদিও এরিশা খেয়ে নম্বর দিয়েছে দশের ভেতর এগারো। তার এতোই মজা লেগেছে। এইটা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকরটা আগে কখনো না খাওয়ার সুফল। আর ওমর দিয়েছে দশে সাত! সফট টেক্সচার আর ফ্লাফিনেসের অভাবে। তবে আমি নিজেকে দিয়েছি দশে দশ। কারন এই জিনিস আমি ঘরে ট্রাই করবো আর বানিয়েও ফেলতে পারবো, সেটা ছিলো ধারণার বাইরে! সেই effort আর accomplishment এর জন্য আমারতো ফুল মার্কস পাওয়াই উচিৎ, তাইনা!😄

Address

Barangaroo, NSW

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shabz Diary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shabz Diary:

Share