Shabz Diary

Shabz Diary ....where i keep all my random thoughts

20/09/2025

#অপ্রিয়কথা

বেশ কিছুদিন আগে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার সাঈদ আনোয়ার এর একটা কোটেশন পোস্ট দেখেছিলাম "মেয়েরা চাকরি শুরু করার পর থেকেই ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে"! সেই পোস্টে তখন পর্যন্ত প্রায় বিশ হাজার মানুষ লাইক দিয়ে তারাও যে একমত সে কথা প্রকাশ করেছে! আর সেইদিন দেখলাম বাংলাদেশি এক 'বিখ্যাত' (নাম ভুলে গেছি! তা না হলে মিডিয়াতে গুরুত্ব পেলো কেন) পরিচালক একিই ধরনের মন্তব্য করেছেন। অর্থাৎ মেয়েরা চাকরি করলে সংসার করতে চায়না টাইপ কিছু!

ভেবে দেখলাম এই দুজন আসলে ভুল কিছু বলেনি! আগের যুগে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থানের সুযোগ, বা নারীর চাকরি করার স্বাধীনতা কোনটাইতো এখনকার মতো এতো বেশি ছিলো না। তো তখন তারা মুখ বুজে ঘর সংসার করা ছাড়া আর কিই বা করবে! আজকে আমি নিজেই যদি লেখাপড়া না জানতাম, চাকরি করার সুযোগ না পেতাম, তাহলে নিজেকে একা চালিয়ে নেয়ার শক্তি বা সাহসই বা কোথায় পেতাম! বিয়ে করে স্বামী যেমনই হোক না কেন, যত নির্যাতন, নিষ্পেষনই করুক না কেন, সংসার নামের সেই দোজখকেই আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইতাম।

এখনকার পুরুষরা কথায় কথায় বলে, তাদের মা, খালা, নানি দাদীরা কত সুন্দর সংসার করে গেছে!কত সুন্দর সংসার, সন্তান সামলেছে। কত ধরনের পিঠা বানিয়ে খাইয়েছে। এখনকার যুগের নারীরা সংসারতো পরের ব্যাপার, সামান্য পিঠাও বানাতে জানেনা। যদিও এই 'সুন্দর করে পিঠা বানিয়ে খাওয়ানো টাইপ সংসার করা' ব্যাপারটাকে আমার কাছে জটিল গোলক ধাঁধার মতোই মনে হয়! খালি চোখে খুব সহজ সরল, আসলেই কি তাই! আগের যুগে ডিভোর্স কম হতো, বা হতো না বলেই যে সবাই খুব সুখী দম্পতি ছিলো সেটাকে ধ্রুব সত্য বলে কেন ধরে নেই!

'সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে' এই বস্তাপচা প্রবচণে নারীর যে গুনের কথা বলা হয়েছে, তার মাঝে সুনিপুণ অভিনয় করতে পারার সক্ষমতাও যে একটা বিশাল গুন, সে কথা কি 'পুরুষ কর্তামশাইরা' কখনো ধরতে পেরেছেন? সংসারে আপাতদৃষ্টির সুখ ধরে রাখার জন্য নারীকে কত ধরনের চরিত্রে যে অভিনয় করতে হয়, সে যদি আমাদের 'ক্ষুরধার বুদ্ধিমান' বাঙালী পুরুষরা বুঝতোই, তাহলে আজ আধুনিক পুরুষদের কাছ থেকে এই মহামুল্যবান 'সবক' শোনা লাগতো না।

আমাদের বুদ্ধিমান মা, চাচী, নানী, দাদীরা কখনো স্বামীর, কখনো ছেলের বা কখনো সমাজের পুরুষদের ইগো তুষ্ট করতে, হয় কখনো অবুঝ, কখনো দূর্বল, কখনো অক্ষমের বা কখনো সুখীর ভুমিকায় অভিনয় করে গেছেন। অভিনয় করতে করতে হয়তো নিজেরাও একসময় বিশ্বাস করে ফেলেছেন। যে মা, চাচীরা কখনো নিজেদের মনের কথা, চাওয়া পাওয়া, অভিযোগ, অনুযোগ প্রকাশ করেই নি বা করার সুযোগও পায়নি, সেই অপ্রকাশিত মতামতকেই পুরুষরা ধ্রুব সত্য বলে ধরে নিচ্ছেন উনারা কত 'সুন্দর সংসার' করেছেন!

আর তাই এ যুগের নারীদের নিয়ে বাঙালী পুরুষদের প্রধান সমস্যাই হচ্ছে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা। পুরুষদের যা কিছু খারাপ তা এখনকার নারীদের মুখ ফুটে বলে ফেলা, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া আর সহ্যের বাইরে চলে গেলে সংসারের বেড়াজাল ছিঁড়ে ফেলে বাইরে বেড়িয়ে আসা।
নিজের খারাপটা শুনতে কারই বা ভালো লাগে। আর আমাদের দেশি পুরুষদের সে অভ্যেস আরও নেই।

তাই মেয়েদের চাকরি করাটাকে যদি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত পুরুষরা ডিভোর্স এর কারন হিসেবে দেখেন আমি তাদেরকে দোষ দেবোনা। বরং এটাই ধরে নেবো যে একজন ভীরু, দূর্বল, পশ্চাদপদ চিন্তার অধিকারী আর আত্মসমালোচনা করতে না জানা পুরুষের যুক্তি এছাড়া আর কিইবা হতে পারে!

আর সাথে সাথে এও ভাবি যে দুনিয়া কোথায় চলে যাচ্ছে, মেয়েরা কোন মহাকাশ, গ্যালাক্সি ঘুরে আসছে আর আমাদের উপমহাদেশের অথর্ব পুরুষরা 'মেয়েরা চাকরী করলে সংসার টিকেনা' এই মন্ত্র জপছে! আচ্ছা এই পুরুষরা কয়দিন পর বিয়ে করার মতো মেয়ে পাবেতো! কারন 'অথর্ব পুরুষ' বিয়ে না করেও যে পরিপূর্ণ জীবন কাটানো যায় এ বুঝ নারীরা অলরেডি বুঝে গেছে। পুরুষরা কি বুঝতে পারছে তাদের 'অথর্বতা'!

©মুনলীন

To all my friends & family who haven’t received any updates on my health for a while. I was actually waiting for this ca...
16/09/2025

To all my friends & family who haven’t received any updates on my health for a while. I was actually waiting for this case study to be published in the journal of Kidney International! I had given my consent to the research team in July 2024 & after a long wait, finally it is out!

For some, this article maybe full of medical jargons! It may also come across dry to read & understand! But the purpose of this publication is to add to the evidence base of my condition & guide clinicians through the decision making process.

https://doi.org/10.1111/nep.70124 (it may not be accessible for everyone. My sister was able to through her University login & shared the PDF with me. Medical professionals, researchers or Uni students & professionals maybe able to accees using their workplace login details).

I'm copy pasting the Abstract of the case study below who are unable to access-

ABSTRACT
Pulmonary-renal syndrome (PRS) caused by double-positive ANCA-associated vasculitis and anti-GBM disease is rare, and management is primarily guided by case series evidence. We present an even rarer case of a 36-year-old female who developed PRS in early pregnancy due to double-positive disease. She required intensive care admission for respiratory support and was treated with high-dose steroids and two doses of rituximab (1 g), achieving a good pulmonary response. However, her renal function subsequently deteriorated. Given the high maternal and foetal risks associated with her condition, she chose to terminate her pregnancy at 8 weeks. A subsequent kidney biopsy revealed crescentic glomerulonephritis secondary to anti-GBM disease. She was treated with plasma exchange and cyclophosphamide, leading to normalisation of her kidney function. She was weaned off prednisone and completed a course of intravenous pulsed cyclophosphamide (500 mg ×6 fortnightly). At 1 year post-diagnosis, she remains in biochemical and clinical remission on maintenance rituximab every 6 months. This case highlights the complexity of managing double-positive disease in pregnancy, where evidence is limited, and decisions require careful consideration of maternal and foetal risks. Furthermore, it underscores the importance of early anti-GBM-specific treatment—plasma exchange and cyclophosphamide—in achieving remission.

Pulmonary-renal syndrome (PRS) caused by double-positive ANCA-associated vasculitis and anti-GBM disease is rare, and management is primarily guided by case series evidence. We present an even rarer ...

আজকে অস্ট্রেলিয়াতে ফাদার'স ডে! সেজন্যই কিনা জানিনা মনে হচ্ছিলো আব্বুকে নিয়ে কিছু লিখি! আব্বু বেঁচে থাকতে কখনো লিখিনি। উই...
07/09/2025

আজকে অস্ট্রেলিয়াতে ফাদার'স ডে! সেজন্যই কিনা জানিনা মনে হচ্ছিলো আব্বুকে নিয়ে কিছু লিখি! আব্বু বেঁচে থাকতে কখনো লিখিনি। উইশও করিনি। এমনকি তার বার্থডেও বেশীরভাগ সময় মনে থাকতো না। আব্বু বেঁচে থাকতে সে যতটা আমাদের সাথে দূরত্ব মেইনটেইন করেছে বা বাবা হিসেবে যতটা অ-বাবাসুলভ আচরণ করেছে, আমরা দুবোনই আসলে ততটাই শীতল কঠিন হয়ে গেছি 'বাবা' শব্দটার ব্যাপারে।

তারমানে যে আব্বুর সাথে আমাদের একদমই যোগাযোগ ছিলো না, তা না! যোগাযোগ, হৃদ্যতা সবই ছিলো অনেকটা স্কুল,কলেজের হাড়িয়ে যাওয়া সেই বন্ধুর মতো! যার সাথে অনেক অনেকদিন পর যখন দেখা হয়, তখন নতুন উচ্ছাসে, মন ভালো করা আড্ডা, গল্পগুজব হয়। আর যখন বিদায় নেয়ার সময় হয় তখন দু'পক্ষই খুব স্বাভাবিকভাবেই জানি যে আবার কবে দেখা বা যোগাযোগ হবে তার ঠিক নেই! বাবা সন্তানের মাঝে চিড়ায়ত দেয়া, নেয়া, মানসিক, অর্থনৈতিক কোন বাধ্যবাধকতা বা প্রত্যাশা ছিলোনা বলে, সেখানে দাবীদাওয়া বা সম্পর্কের অধিকারবোধের অনুভূতিও ছিলো না বললেই চলে!

আব্বুর সাথে আমার ছোটবেলায় একসাথে থাকার স্মৃতি খুব একটা মনে পড়েনা! শুধু একটা ব্যাপার ছাড়া। একদমিই যখন ছোট ছিলাম মানে চার/পাঁচ বছর বয়স। তখন 'হিসু চাপলে' আব্বু থাকলে নিশ্চিন্তে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে পারতাম আমার টয়লেটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য! যত গভীর রাতই হোক না কেন, ঘুম ভাঙানোর জন্য আব্বু কখনোই ঝাড়ি দিতোনা। আর দ্বিতীয় স্মৃতি হচ্ছে, আব্বুর সাথে ঘুমানো। ২০২০ এর জানুয়ারীতে আব্বুর মারা যাওয়ার আগে শেষবার যখন ডিসেম্বরে দেখা হলো, তখনও আমি আর এরিশা একসাথে আব্বুর সাথে ঘুমিয়েছিলাম। আর সকালে বাড়ির পুকুর থেকে ধরা ফ্রেশ মাছভাজা অন্য সবার সাথে আব্বু নিজেও খাচ্ছিলো আর আমাকে কাঁটা বেছে বেছে দিচ্ছিলো খাওয়ার জন্য! এরপর আমি জানুয়ারীতে অস্ট্রেলিয়া চলে আসার আগে, মেজোচাচাকে এয়ারপোর্ট থেকে তুলে, সকাল সাতটা/আটটার দিকে গাড়ি নিয়ে আমার বাসার নিচে এসে ফোন দিয়েছিলো চাচার সাথে দেখা করানোর জন্য। আব্বুকে দেখে হাগ দিতে ইচ্ছে হচ্ছিলো অনেক। কিন্তু জেদ করে দেইনি। কারন আমাকে দেখে আব্বু কেমন লজ্জা মেশানো ভঙ্গীতে হাত মেলানোর মতো করে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো! রাগ হচ্ছিলো সে কেন নিজে থেকে হাগ দিলোনা! ভেবেছিলাম যাওয়ার আগে সে নিজে থেকে ফোন না দিলে, আমিও ফোন করে বিদায় নেবোনা। কিন্তু ফোন দিয়েছিলো আব্বু। ফোন পেয়ে সেই চিড়াচরিত খোঁচা দিয়েছিলাম 'আমার যাওয়ার তারিখ তোমার মনে আছে'! আর আব্বুও কন্ঠে হালকা মনোক্ষুন্নতা এনে বলেছিলো 'কি যে বলোনা! মনে কেন থাকবে না'! এর ঠিক সাতদিন পর, অস্ট্রেলিয়ায়, সকালে কাজে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি, তখন খবর পাই 'আব্বু মারা গেছে'!

আমি অসম্ভব কঠিন মনের মানুষ! হয়তো এইজন্য খবরটা শুনে কান্না পায়নি! কাঁদতে যে চাচ্ছিলাম না, তা না। কিন্তু কিছুতেই পারছিলাম না। সব অনুভূতি কেমন দলা পাকিয়ে গলার কাছে এসে আটকে ছিলো! আর মনে হচ্ছিলো আমি বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছিনা। যতই চেষ্টা করি কিছুতেই লাংস সম্পুর্ন অক্সিজেন পাচ্ছে না! আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম নিজের মাঝে আব্বুকে দেখার জন্য। দেখি নাক, ঠোঁট, থুতনি ঠিক তার মতো। আব্বুর সাথে আমার মুখের যে সাদৃশ্য, জিনের যে বৈশিষ্ট সারাজীবন বিরক্তি উদ্রেক করেছে, যে মিল না থাকলেই সবচেয়ে বেশী খুশি হতাম, সে মারা যাওয়ার পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সেই মিলকেই সবার আগে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেছি। মনে মনে ভাবছিলাম এখনতো সে বেঁচে থাকবে শুধুমাত্র এই মিলগুলোর মাঝেই।

তবে আব্বু মারা যাওয়ার পর কষ্টের চাইতেও বেশি যুদ্ধ করতে হয়েছে নিজের 'conflicting emotions' এর সাথে। আগে ভাবতাম আব্বু মারা গেলেও আমার কিছু যাবে আসবে না। যার সাথে যোগাযোগই তেমন ছিলো না। তার মৃত্যুতে আর কিইবা যাবে আসবে। কিন্তু যায় আসছে তো! খুব অদ্ভুত ভাবেই অনেক কিছু যায় আসছে! আমি তার মৃত্যুতে কষ্ট পেতে চাইছি না! কিন্তু পাচ্ছি তো! কেন! নিজের কাছেই নিজের অনুভূতি অস্বীকার করতে পারি না! কার কাছে গেলে এই দূর্বোধ্য জট খুলবে তাও জানিনা! যে মানুষটার ব্যাপারে আমার এতো রাগ, অভিমান, অভিযোগ, সেই অনুভূতিগুলোকে এখন আমি কোথায় রাখি! এই মানুষটা মারা যাওয়ার সাথে সাথে কেন মনে হচ্ছে, সেই আসলে জিতে গেছে! আর আমি ভীষনভাবে হেরে গেছি! কেন মনে হচ্ছে দূরে বসে সে আমাকে দেখে হাসছে। তার সেই চিরাচরিত ঠোঁট চাপা হাসি! আম্মু বলে আব্বুর মতোই নাকি আমার হাসি! এখন সেই হাসিতেও আমি খুঁজি তাকে। আমি আসলেই আব্বুকে খুঁজি এখন নিজের মাঝে!

যদিও সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু এখন সহজ হয়ে গেছে। Conflicting Emotions কেও অনেকটাই আয়ত্তে এনে ফেলতে পেরেছি। কিন্তু তারপরও মাঝে মাঝেই মনে হয় আমি আব্বুকে মিস করি। কথার খোঁচায় ঘায়েল করার জন্য হলেওতো কাউকে লাগে! হঠাৎ হঠাৎ আব্বুকে স্বপ্নেও দেখি। কোনোটা মনে থাকে। কোনোটা থাকেনা। লাস্ট যখন আব্বুকে দেখেছিলাম, মনে হচ্ছিলো সে ভালো আছে। নিশ্চিন্তে, নির্ভাবনায়, আনন্দে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে হাসছিলো!
তারপর থেকে আমারও ভাবতে ভালো লাগে যে মৃত্যু মানেই হয়তো খুব ভয়ংকর কিছুনা। মৃত্যু মানেই সব শেষ হয়ে যাওয়া না। আব্বু এই ভুবনে ইতি টেনে, অন্য ভুবনে আবার শুরু করেছে। হয়তো সেই অদেখা ভুবনের জীবনটা, এই মানব জীবনের চাইতেও বেশি আনন্দের!
হ্যাপী ফাদার'স ডে, আব্বু!💖

©মুনলীন

 #লন্ডনজীবন১৯আমাদের বিয়ের একদিন পর ওমর নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ফ্লাই করে ওর বাবা মা'র সাথে দেখা করার জন্য! ওইভাবে প্ল্যান ক...
05/09/2025

#লন্ডনজীবন১৯

আমাদের বিয়ের একদিন পর ওমর নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ফ্লাই করে ওর বাবা মা'র সাথে দেখা করার জন্য! ওইভাবে প্ল্যান করেই ও অস্ট্রেলিয়া থেকে টিকেট করে এসেছিলো! আমাদের বিয়ের ডেইট ফিক্স করার ইচ্ছে ছিলো জুন এর শেষ বা জুলাই এর শুরুর দিকে। কিন্তু আমার সেমিস্টার ফাইনালের এক্সাম, মেজো মামার জাপান থেকে আসার একটা পসিবিলিটি, আর রেস্টুরেন্ট বুকিং এর জন্য এভেইলেবেল ডেইট পেতে পেতে বিয়ের তারিখ গিয়ে ঠেকেছিলো বিশ জুলাইতে!

ওর এই যাওয়ার ব্যাপারটা আগে থেকে জানলেও, যাওয়ার পর থেকে কেন যেন ভীষন রাগ লাগতে থাকে। কেমন একটা কনফিউজিং রাগ! একদিকে মনে মনে নিজেকে বলতাম আমিতো আগে থেকেই জানতাম এই যাওয়ার ব্যাপারটা! আবার পরক্ষণেই মনে হতো, আমাকে রেখে ওখানে গিয়ে নিজে খুব ফুর্তিতে আছে! আবার মনে হতো, আচ্ছা, বিয়েতো করলাম। কিন্তু ওমরকে কেন 'হাজব্যান্ড' মনে হয়না! তারমানে কি বিয়েটা ঠিকঠাক করিনি! আবার নিজেকে এ প্রশ্নও করছি, বিয়ে যে করেছি তার অনুভূতি আসলে কেমন হওয়া উচিৎ! সিনেমা, টিভিতে সেলিব্রিটিদের মুখে শুনি বিয়ের পরের অনুভূতি নাকি অন্যরকম হয়! কিন্তু আমার কেনো হচ্ছে না! আবার শুনি বিয়ের পর নাকি হাজব্যান্ডরা ওয়াইফের সব দায়িত্ব নেয়! ওয়াইফদেরও নাকি টাকাপয়সা সবকিছু হাজব্যান্ডের কাছে চাইতে হয়! এইটা কিভাবে সম্ভব! আমিতো মরে গেলেও কোনদিন ওমরের কাছে টাকা চাইতে পারবো না! নিজের বাবার কাছেই যেখানে চাইনি, হাজব্যান্ডতো অনেক পরের ব্যাপার! এমন নানারকম অনুভূতির সাথে যুদ্ধ করতে করতে, ফোনেও ওমরের সাথে প্রতিদিন ঝগড়া করতাম। আর ওমর বাসায় না থাকলে, শ্বাশুড়ির সাথে অনেক গল্প হতো ফোনে।

এর মাঝেই কনফার্মেশন পেয়ে গিয়েছিলাম যে মেজোমামার পরিবর্তে এরি মামী আমার আর ওমরের সাথে দেখা করার জন্য লন্ডন আসছে। মামী আসবে মাত্র পাঁচ দিনের জন্য! কিন্তু মামী আর ওমর যখন লন্ডন আসবে ততদিনে আমার আবার ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। যাইহোক পরের মাসে খুব বেশি কাজে যেন সময় দেয়া না লাগে এইজন্য আমিও যখনই ওভারটাইম পেতাম, কাজ করতাম। আর যেদিন কাজ থাকতো না সেদিন ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনা করতাম! লাইব্রেরিটায় ঢুকলেই মন ভালো হয়ে যেতো! মনে হতো বই এ কতবার এই লাইব্রেরির কথা পড়েছি! আর এখন নিজে সেই লাইব্রেরিতে বসে পড়ার সুযোগ পাচ্ছি! আমিতো আসলেই ভাগ্যবান!

যাইহোক, এক মাস পর ওমর যেদিন লন্ডন ব্যাক করলো সেদিন ওর ক্লান্ত, উদভ্রান্ত চেহারা দেখে মনে হচ্ছিলো 'হুদাই পেরেশানি' বেশি দিয়ে ফেলেছি! ওকে দেখেই ভীড়ের মাঝে দৌড়ে গিয়ে একটা হাগ দিয়েছিলাম। ও এসে কয়েকদিন রেস্ট নিতে না নিতেই এরি মামীর আসার সময় ঘনিয়ে এসেছিলো। আমার ক্লাস থাকায়, ওমরই মামীকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক আপ করতে গিয়েছিলো! মামীকে মেইলে আগে থেকেই বলে দিয়েছিলাম ওমর কোন কালারের শার্ট পড়ে যাবে। দুইজনেরই যেহেতু প্রথম দেখা হবে তাই একটু চিন্তায় ছিলাম ঠিক মতো চিনতে পারে কিনা।

আর আমি নিজেই যেহেতু তখন পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকি, তাই মামীকে বলেছিলাম বাসার কাছাকাছি কোন একটা হোটেল নিতে। যেন সহজেই হেঁটে গিয়ে দেখা করা বা মামীকে নিয়ে বের হওয়া যায়! মনে আছে ওমর মামীকে হিথ্রো থেকে পিক আপ করে একদম ইস্ট হ্যামের কাছে মামীর বুকিং দেয়া হোটেলে ড্রপ করে আসে। মামী জাপান থেকেই বুকিং দিয়ে এসেছিলো। খুব সম্ভবত Premier Inn বা Holiday Inn! হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে পৌঁছাতে তিন/চারটা বেজে যায়! মামী টায়ার্ড থাকায় ফোনে কথা বলে রেস্ট নিতে বলি। আর আমার ক্লাস শেষ করে বাসায় যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। তাই বলি একবারে পরদিন সকালে গিয়ে দেখা করবো!

তবে সত্যি কথা হচ্ছে মামীকে নিয়ে ওইসময়ের কথা আমার খুব বেশি মনে পড়ে না। কারন আমি মামীকে একটুও টাইম দিতে পারিনি ক্লাস আর কাজের ব্যাস্ততায়! পুরোটা সময় ওমর মামীকে নিয়ে লন্ডন ঘুরিয়ে দেখিয়েছে! জীবনে প্রথম তাদের দেখা হলেও ওমর আর মামী দুইজনই একজন আরেকজনের সাথে ভালো মিশে গিয়েছিলো! ওমরও আগ্রহ নিয়ে মামীকে সবকিছু ঘুরিয়ে দেখিয়েছে! মামীকেও দেখতাম খুব এঞ্জয় করছে লন্ডন! মামী অবশ্য আগে থেকেই ঘুরাঘুরি, নতুন জায়গা, নতুন মানুষ এসব কিছুই অনেক আগ্রহ নিয়ে এক্সপ্লোর করতে পছন্দ করে। একবার মনে আছে সবাই মিলে বাকিংহাম প্যালেসে ঘুরতে গিয়েছি, তখন মামীকে জিগ্যেস করেছিলাম ওমরকে তার কেমন লেগেছে! মামী বলেছিলো 'He is a good man! Has good heart'! তখন ধরে নিয়েছিলাম মামী হয়তো ভদ্রতা করে বলেছে। মামীকে সময় দিচ্ছে বলে! কিন্তু জীবনের এতো বছর পার করে, এতো মানুষের বহুরূপীতা দেখে, এখন উপলব্ধি করি সম্পুর্ন ভীনদেশি, ভিন্নভাষী মানুষ হয়েও, মামী মানুষ চিনতে ভুল করেনি!

মামী জাপানে ব্যাক করার পর আর অল্প কয়েক সপ্তাহ যে সময় পেয়েছিলাম, তখন আমরা নিজেরাই যতটুকু সময় পেয়েছি লন্ডনের ভেতরই এদিক সেদিক ঘুরেছি! ইনফ্যাক্ট লন্ডনে আমার যতটুকু ঘুরাঘুরি সেটা ওমরের সাথেই! তখনই যাওয়া হয়েছিলো মাদাম তুসোর জাদুঘরে। সে সময় বেশ ভালোই ছিলো টিকিটের দাম। কিন্তু দারুন লেগেছিলো তারকাদের মোমের মুর্তিগুলো! ২০০৭ এ যখন মিউজিয়ামে শাহরুখ খানের মূর্তি স্তাপন করা হয়েছিলো তখন খবরটা পত্র পত্রিকায় বেশ আলোরন তুলেছিলো! তখনই ভেবে রেখেছিলাম যাবো! ফাইনালি যখন গেলাম তখন শাহরুখের সাথে ছবি তুলতে ভুল করিনি। তবে মজা লেগেছে যখন দেখলাম মিউজিয়ামের অন্য সব এরিয়া থেকে বলিউড এরিয়াতে ভারতীয়দের ভীড় বেশি! পারলে ধাক্কাধাক্কি করে শাহরুখ, অমিতাভ, ঐশ্বরিয়ার মুর্তির সাথে ছবি তুলে। তো আমরাও বলিউড সেলিব্রিটিদের সাথে কোনরকমে ছবি তোলা শেষ করে, হলিউড আর ব্রিটিশ সেলিব্রিটিদের দিকে নজর দিলাম। প্রচুর ছবি তুলে ক্লান্ত হয়ে শেষমেশ বাড়ির পথ ধরলাম।

তবে ওমর ওর প্রথম লন্ডন ট্রিপে বেশিরভাগ সময় একা একাই সব জায়গায় গেছে। ইনফ্যাক্ট ওর দু'মাসের লন্ডন ভিজিটে যতটুকু ঘুরে দেখেছিলো, আমি নিজেও ততদিনে অতোটা ঘুরিনি। এভাবেই দেখতে দেখতে ওরও অস্ট্রেলিয়াতে ফেরার সময় ঘনিয়ে এসেছিলো। তারপর সেপ্টেম্বরের শুরুতে, আমার গ্র‍্যাজুয়েশনের সময় ব্যাক করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সত্যি সত্যিই একদিন বিদায় নিলো।

©মুনলীন (চলবে)

ইদানীং প্রায় সকালেই মেয়েকে স্কুলে ড্রপ করতে যাওয়ার পথে মনে হয় আমিও যদি ওর সাথে গিয়ে আবার স্কুল লাইফে জয়েন করতে পারতাম! আ...
25/08/2025

ইদানীং প্রায় সকালেই মেয়েকে স্কুলে ড্রপ করতে যাওয়ার পথে মনে হয় আমিও যদি ওর সাথে গিয়ে আবার স্কুল লাইফে জয়েন করতে পারতাম! আজকেও মেয়েকে মজা করে বলছিলাম সেকথা! শুনে আমাকে বুদ্ধি দেয় 'তুমি ইউনিতে গিয়ে ভর্তি হও'! আমি বলি 'ইউনিতে গেলেই কি আর তোদের মতো ফ্রেন্ডশিপ পাবো! Grownups are always busy'!

বাসায় ফিরে কাজও করতে ইচ্ছে হচ্ছে না আবার কিছু ভালোও লাগছে না এই ফিলিংস নিয়ে হোম অফিস করার জন্য ল্যাপটপ খুলতেই দেখি Alex এর মেসেজ! সকালেও হঠাৎ মনে হচ্ছিলো Alex এর কথা। কারন সোমবারে অফিসে গেলে এমনিতেই দেখা হয়! কিন্তু আজকে হোম অফিস করায় আর দেখা হবেনা!
আর তারপরই মেসেজ 'how's my friend! Miss you' দেখে ভীষন ভালো না লাগার মাঝেও মনটা ভালো হয়ে গেলো! কেউতো আমার অনুপস্থিতি তাহলে মিস করছে! আসলে আমিও মিস করছিলাম অফিস আওয়ারে আমাদের র‍্যান্ডম, ফান চিটচ্যাট!

আমি ব্যাক্তিগত লাইফে খুবই কম কথা বলা মানুষ! পারলে প্রয়োজনীয় কথাও মুখে না বলে আকারে ইংগিতে বলতে পারলে বেঁচে যাই! অফিসেও সেইম অবস্থা! একমাত্র ক্লোজ ফ্রেন্ড আর কলিগ এ্যালিস ছাড়া কারও সাথেই তেমন কথাবার্তা বলিনা। শুধুমাত্র হাই/হ্যালো ছাড়া!

আর Alex অন্য টিমের হওয়ায় আরও কথা হতো না। তাছাড়া মনে হতো এই কথা বেশি বলা আর সবার সাথে ফ্রেন্ডলি হওয়ার ট্রাই করা ছেলেটার কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো! একটু সন্দেহের চোখে দেখতাম হয়তো!🤨

কিন্তু কোভিডের সময় যে অল্প কয়েকজন অফিসে বসে কাজ করতো, তার মধ্যে আমি, Alex দুইজনই ছিলাম। তখন থেকেই আসলে ওর সাথে আস্তে আস্তে পরিচয়ের শুরু। আমি কথা বলতে খুব একটা আগ্রহী না হলেও, নিজে থেকেই এসে নানা গল্প জুড়ে দিতো! অফিসে আসলেই কেনো তার মেজাজ খারাপ হয়, কোন হার্বাল সাপ্লিমেন্ট খেলে কাজের ফোকাস বাড়ে, ঘরে একলা বসে কাজ করতে তার কত বোরিং লাগে, ওর বাবা মা, বোন, পার্টনার সবাইকে নিয়ে নানা গল্প।

প্রথম দিকে শুধুই শুনতাম ওর বকবকানি। ইনফ্যাক্ট যে কারও কথা শুনতেই আমার বেশ ভালো লাগে! তাই Alex এর কথা শুনতেও ভালো লাগতো! আর সবচেয়ে বড় সুবিধা আমার কিছু বলা লাগছে না! সে সময়ই একদিন কি কথায় বলেছিলাম 'আমার আজকে একটুও কাজ করতে ইচ্ছা হচ্ছেনা! কেমন টায়ার্ড লাগছে'। তখন সে আমাকে ফোকাস বাড়ানোর কি একটা ট্যাবলেটের মতো দেয় ট্রাই করার জন্য! দেখতে সিভিটের মতো ছিলো বলে আমি সরাসরি মুখে দিতেই বুঝলাম 'তিতা কাকে বলে আর কত প্রকার'! টয়লেটে গিয়ে অলমোস্ট বমি করার অবস্থা!
পড়ে Alex কে গিয়ে বলতেই ও হাসতে হাসতে শেষ! বলে ওইটা নাকি পানিতে গুলে খেতে হয়! এরপর থেকেই আমাদের ফ্রেন্ডশিপ শুরু হয়! কোভিডের সময় আমি, Alex, ভারতীয় কলিগ রাজু এই তিনজন একসাথে অফিসে গেলেই দারুন গল্প জমে যেতো!

নিজের বকবকানি দেখে নিজেই একসময় Alex কে বলা শুরু করলাম 'why did you make me talk? I used to not talk at all! But now im becoming like you Alex'! আমার কথা শুনে Alex হাসতো। এখনো হাসে। তারপর আবার শুরু করে অফিস, বস, ম্যানেজমেন্ট, ক্লায়েন্ট সবাইকে নিয়ে তার whinging!
তাই এখন কয়েক সপ্তাহ দেখা বা কথা না হলেই মনে হয় im missing out on my weekly talk therapy at work! I miss our random, non judgemental chitchat! I miss being around my friends who aren't friends based on same language or religion rather philosophy, depth & understanding!

আমার সবসময়ই একটা দুঃখবোধ কাজ করতো যে দেশের মানুষজনের সাথে আমার কেন এমন মন হালকা করা বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়না! কিন্তু Alex, Alice, Raju এদের মধ্যে দিয়ে বুঝে গেছি এরা আমার ধর্মীয়, জাতীয় বা রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা জেনে বুঝেও সে প্রেক্ষিতে বন্ধু হওয়া যায় কি না তার হিসাব করেনা! Alice বলে 'when i look at you, you are just You. Your religion, nationality never comes to play in my mind or define who you are'! এখন মনে হয় বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া এর চেয়ে বড় compliment আর কি হতে পারে!

তো যা বুঝতেছি, দেশে এখন 'বাংলাদেশপন্থী' মানে-১.জাশি, রাজাকারদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বুকে টাইনা নেওয়া।২.মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা,...
24/08/2025

তো যা বুঝতেছি, দেশে এখন 'বাংলাদেশপন্থী' মানে-

১.জাশি, রাজাকারদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বুকে টাইনা নেওয়া।

২.মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, জাতীয় সংগীত, বাঙালী সংষ্কৃতিকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, অপমান, অস্বীকার করা।

৩.জেন-জি নামের অশিক্ষিত, অভদ্র, মুর্খ, বেয়াদব আর ক্লাসলেস ইয়াং জেনারেশনরে লাই দিয়া মাথায় তোলা!

৪.দেখতে চকচকা, জামাকাপড় আর জীবনযাপনে প্রগতিশীল কিন্তু মনে, মগজে চরমভাবে বাঙালি জাতিসত্বা আর নারীবিদ্বেষী হওয়া। আর এই ধরনের 'ইনফ্লুয়েঞ্জা' দের 'অ-জ্ঞানগর্ভ' পোস্টে গিয়া 'সহমত ভাই' বইলা আছাড়ি পিছাড়ি খাওয়া!

৫.ভারত, রবীন্দ্রনাথ, শাড়ি, টিপ মানে 'শাহবাগী'। অতিরিক্ত পয়েন্ট যোগ হবে যদি-ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা, সনজীদা খাতুনের মৃত্যু পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা দেইখা মন ভইরা গালি আর 'রবীন্দ্র ধর্ম' নিয়া পোস্ট বা কমেন্ট কইরা থাকেন!

৬.গরমে ঘামতে, ঘামতে, ঘামের দুর্গন্ধ ছড়াইতে, ছড়াইতে নানা রঙ, ঢং এর বোরখা, নিকাব, জোব্বা পড়া, দেখতে চরম ক্ষ্যাত লাগা বা চেহারা দেখা না যাওয়া মানে 'আসল শাপলা বাংলাদেশি'!

৭.খুনী পাকিস্তানের মন্ত্রীর সাথে আহ্লাদ কইরা সম্পর্ক 'মধুর' করতে চাওয়া, আর তাগো কাছ থিকা 'হৃদয় পরিস্কার রাখার' উপদেশ শুইনা আসা।

৮. ৭১ এর চেতনা চাইনা কিন্তু ২৪ এর চেতনা খুব ভালো। কারন এইবার দেশ অনেক বাপ আর পোলা পাইসে, সবাই মিল্লা দেশ খুবলায় খাওয়ার জন্য!

৯. মুজিব, ভারত আর লীগ দেশের চরম শত্রু! কিন্তু পাকিস্তান আর জামাত শিবির দেশের সবচেয়ে বড় বন্ধু (কারন ইসলাম মানা মুচল্মান কখনো খারাপ হয়না! হইতে পারেনা🤐)

১০. ৩২ ভাঙায় যারা কষ্ট পাইসে, মুজিবের মৃত্যুতে যারা শোক জানাইসে তারা সবাই ফ্যাসিস্ট বা কালচারাল ফ্যাসিস্ট। কিন্তু শুধু ২৪ নিয়া খ্যামটা নাচ দিলে সে 'সাচ্চা দিল বাংলাদেশপন্থি' (aka ইনকিলাব জিন্দাবাদ😁)!

কত বছর ধরে হাতে বানানো রুটি খাওয়া হয়না হিসাব করে বলতে পারবো না। দেশে থাকতে যখন বয়স কম ছিলো, তখন বাসায় প্রতিদিন সকালে রুট...
19/08/2025

কত বছর ধরে হাতে বানানো রুটি খাওয়া হয়না হিসাব করে বলতে পারবো না। দেশে থাকতে যখন বয়স কম ছিলো, তখন বাসায় প্রতিদিন সকালে রুটি ভাজি দেখলেই মেজাজ খারাপ হতো! ভাবতাম বিদেশে লোকজন কত মজার মজার খাবার খায়! কত ধরনের ব্রেড, জ্যাম, জেলির ছড়াছড়ি! আর আমি কিনা প্রতিদিন সেই একই বোরিং নাশতা করছি!

আল্লাহ হয়তো আমার সেই বিরক্ত হওয়া দেখেই শাস্তি হিসেবে আমার ভাগ্যে অঢেল 'বিদেশি ব্রেকফাস্ট' এর ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন যেন নিজেই আবার রুটি ভাজির জন্য আফসোস করি!

হয়েছেও তাই! এখন ঘরের হাতে বানানো রুটি আর ভাজি আমার কাছে রেয়ারেস্ট অফ দা রেয়ার ডেলিকেসি! দু একবার ভাজি নিজে করলেও খেয়েছি ফ্রোজেন পরোটা দিয়ে। বাংলাদেশি গ্রোসারি শপে চাইলে হাতে বানানো রুটি কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু সেটাতো আর ফ্রেশলি মেইড না! নিজে যে বানাবো সে সময় বা ধৈর্য্য কোনটাই নেই। তাছাড়া পারিও না।

সেই ছোটবেলায় বাসায় আম্মু বা হেল্পিং হ্যান্ডকে রুটি বানাতে দেখে শখ করে হয়তো দু একবার ট্রাই করেছিলাম। আমার অভিজ্ঞতার দৌড় আসলে সে পর্যন্তই। মাঝে অবশ্য শুধু রুটি না, আলু পরোটা, নান রুটি, মোগলাই পরোটা সবই খেতে ইচ্ছে হয়েছে। কিন্তু পাবো কই!

যাইহোক বাসায় গত উইকেন্ডে আলু ভর্তা করেছিলাম! কিন্তু সাথে অন্যান্য আইটেম এতো বেশি রান্না করেছিলাম যে আলু ভর্তাটা মনে করে খাওয়া হচ্ছিলো না। চট করে বুদ্ধি আসলো আলুপরোটা করে ফেলি। যেই ভাবা সেই কাজ! বাসায় লাল আটা ছিলো, আলু ভর্তা আর সাথে একটা ডিম মিক্স করে ডো করে ফেললাম। আম্মু দেশ থেকে বহু বছর আগে রুটি বেলার একটা বেলুন এনে দিয়েছিলো নানুর স্মৃতি স্বরূপ। নানী বেঁচে থাকতে এই বেলুন দিয়ে রুটি বানাতো।

আমিও আল্লাহর নামে সাহস করে রুটি বেলতে বসলাম। গোল শেপটা একদম পারফেক্ট না হলেও খারাপ হয়নি। আটার রুটি বলেই হয়তো টেক্সচারটা কিছুটা শক্ত লাগছিলো খেতে। রুটির ভেতর আলুর পরিমান এতোই কম হয়েছিলো যে না বলে দিলে কেউ বুঝবেনা এটা আলুপরোটা। শুধু মুখে হালকা ঝাল ঝাল লাগছিলো। কিন্তু তারপরও আমি বলবো পাশ মার্ক পেয়েছি। আমার এডাল্ট জীবনে প্রথম বানানো হাত রুটি। দেখেও শান্তি। খেয়েও শান্তি। আর নানুকে মনে করাও অনেক শান্তির! আল্লাহ যেনো নানুকে বেহেশত নসিব করেন! 💖

অস্ট্রেলিয়াতে এখন চেরি ব্লসম সিজন শুরু হয়েছে। যদিও অফিশিয়ালি উইন্টার এখনো শেষ হয়নি! আমার বাসার পাশে ভীষন সুন্দর একটা জাপ...
18/08/2025

অস্ট্রেলিয়াতে এখন চেরি ব্লসম সিজন শুরু হয়েছে। যদিও অফিশিয়ালি উইন্টার এখনো শেষ হয়নি! আমার বাসার পাশে ভীষন সুন্দর একটা জাপানিজ গার্ডেন আছে। প্রতিবছরের মতো এবারও এই শনিবার থেকে সেখানে এক সপ্তাহের জন্য চেরি ব্লসম ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। অন্য সবাইকে টিকেট কেটে এই ফেস্টিভ্যালে ঢুকতে হলেও, যারা এই এলাকার লোকাল রেসিডেন্ট তাদের জন্য ফ্রি! সেই হিসেবে আমরাও এই সুবিধাটা পাই যেহেতু এই এলাকাতেই থাকি! আর প্রতিবছর এমনিতেও আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি এই চেরি ফুল দেখার জন্য! কারন এই ফুলের লাইফ স্প্যান খুবই অল্প সময়ের জন্য! এক কি দেড় সপ্তাহের জন্য চেহারা দেখিয়েই আবার এক বছরের জন্য অস্ত যাবে!

চেরি ব্লসম সিজনে গার্ডেনের ভেতর ট্রেইল ধরে দর্শনার্থিরা চেরি ফুল দেখতে দেখতে যায়, ছবি তোলে। গার্ডেনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করে। লেকের মাছ, বাগানে ঘুরে বেড়ানো ময়ুর দেখে! গার্ডেনের একপাশে থাকে চেরি ফুলের ট্রেইল। অন্য দিকে থাকে বিভিন্ন জাপানিজ ফুড স্টল! একদিকে সাজানো মঞ্চ করে সেখানে পারফরমাররা বিভিন্ন জাপানিজ নাচগান, ক্যারিক্যাচার শো করে! যেহেতু ফেস্টিভ্যালে যাওয়ার টিকেট ফ্রি, তাই অন্যান্য বছরগুলোতে এই এক সপ্তাহের প্রোগ্রামে বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়। কিন্তু এবছর ওয়েদার ফোরকাস্ট দেখাচ্ছে এই পুরো সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টি! গেলো শনি, রবিবারটা সানি থাকায় ফুড স্টলের লোকজন হয়তো কিছুটা ব্যাবসা করে নিতে পেরেছে। রবিবারে অন্য কাজে বাইরে বেড়িয়ে চোখে পড়েছিলো আশেপাশের রাস্তাঘাটে প্রচুর গাড়ি। দূরে দূরে গাড়ি রেখে লোকজন হেঁটে যাচ্ছে ভেন্যুতে!

তো উইকেন্ডে ফুল দেখতে যেতে পারিনি বলে, আজকে সকালে দিনটা ভালো থাকায় আমি একা গিয়েই ঘুরে আসলাম। নেক্সট উইকেন্ড আসতে আসতে বৃষ্টিতে চেরি ফুল আর থাকবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। আর তাছাড়া অফিস আর স্কুল ডেতে ভীড়ভাট্টা কম থাকে, তখন রিল্যাক্স মুডে বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়! ছবিও তোলা যায়! আমার মতো রিল্যাক্স করে ফুল দেখার জন্য অনেক বুড়ো বুড়িরাই দেখি হাজির। হাজব্যান্ড বা পার্টনারের সাথে ফুলের সামনে সেলফিও তুলছে। ইয়াং কাপল বা যাদের বাচ্চারা এখনো স্কুল এইজ না, তারাও অনেকে এসেছে দেখলাম।
আমি একা মানুষ তাই দ্রুতই হেঁটে যাচ্ছিলাম। আর ইচ্ছেমতো সেল্ফি তুলছিলাম। অবশ্য দ্রুত হাঁটার অন্য একটা কারন ছিলো ওয়েদার। রিপোর্ট বলছিলো রৌদ্রজ্জ্বল সকাল খুব দ্রুতই মেঘলা হয়ে, হালকা বৃষ্টিও শুরু হতে পারে। সাথে ছিলো না ছাতা। বৃষ্টি শুরু হলে গার্ডেন থেকে হেঁটে বাসায় যেতে যেতে পুরোই ভীজে যেতে হবে!

তাই ফুলের ট্রেইল ঘোরা শেষে দ্রুত ফুড স্টলগুলোর দিকে চলে গেলাম দেখতে যে এবার কি কি আইটেম এসেছে! সকাল সকাল কিছু খাওয়ার মতো ইচ্ছে হচ্ছিলো না। তাই সব দোকানগুলো দূর থেকে ঘুরে ঘুরে দেখে মনে হলো বাসার জন্য কিছু একটা কিনে নিয়ে যাই। সবাই মিলে পরে খাওয়া যাবে। যেই কথা সেই কাজ। একটা জাপানিজ চিজ কেইকের দোকানে ঢুকে তিন স্লাইস চিজ কেইক কিনলাম $২৪ দিয়ে! তারপরই দেখি হালকা হালকা বৃষ্টি ফোঁটা পরা শুরু হয়েছে। হাতে কেইকের বক্সটা নিয়ে দ্রুত পায়ে বাসার দিকে হাঁটা দিলাম। আর মনে মনে ভাবছিলাম এই স্টলগুলো এবার বিজনেস করবে কিভাবে! বৃষ্টির দিনে কেই বা ভিজতে ভিজতে ফুলের সাথে ছবি তুলতে আসবে আর কেই বা ছাতা মাথার উপর ধরে বেঞ্চে বসে আরাম করে খেতে পারবে। এদের কথা ভেবে মনটা একটু খারাপই লাগছিলো। কাউন্সিলকে ভালো একটা পেমেন্ট দিতে হয় ফেস্টিভ্যালে স্টল দেয়ার জন্য! এইজন্য ফুড আইটেমের দামও থাকে অনেক চড়া। কিন্তু ওয়েদার খারাপ থাকলে কয়জনই বা ঘুরতে আসবে আর কয়জনিই বা আরাম করে ফুড এঞ্জয় করবে! কিন্তু গুড নিউজ হচ্ছে নেক্সট উইকেন্ড আবার ভালো ওয়েদার দেখাচ্ছে। হোপফুলি তখন কিছুটা ব্যাবসা করে নিতে পারবে সবাই!

শুক্রবার আসলেই ভাবা শুরু করি উইকেন্ডে কী রান্না করবো! ইদানীং কী যে হয়েছে, খালি নিত্যনতুন আইটেম ট্রাই করতে মন চায়! সে কার...
15/08/2025

শুক্রবার আসলেই ভাবা শুরু করি উইকেন্ডে কী রান্না করবো! ইদানীং কী যে হয়েছে, খালি নিত্যনতুন আইটেম ট্রাই করতে মন চায়! সে কারনেই মেয়েকে সকালে স্কুলে ড্রপ করে মনে হলো বাঙলাদেশি সবজির দোকানে ঢুঁ মেরে আসি। যেই ভাবা সেই কাজ! পরিচিত বার্মিজ ছেলেটার দোকানে গিয়ে কি কিনবো ভাবতে ভাবতে চোখে পড়লো পাকা কাঁঠাল, দেখলাম কেজি বিশ ডলার! এতো দাম! বলতেই ছেলেটা বললো, একটু কমিয়ে রাখবে। শুনে ওজন করতে বললাম। দেখি এসেছে $৭৫, কিন্তু দশ টাকা কম রাখবে বললো! কিন্তু বাঙালি মন! এতো দাম দয়ে সামান্য কাঠাল খাবো! তারউপর মিষ্টি কেমন হবে, তার নাকি গ্যারান্টি দিতে পারবে না! তাই রিস্ক না নিয়ে এক প্যাকেট ফ্রোজেন সরপুঁটি আর অর্ধেকটা বাঁধাকপি কিনে গাড়িতে ব্যাক করলাম।

তখনই মনে হলো এসেছি যখন দেখি কোনো দোকানে ভাপা পিঠা পাওয়া যায় কিনা। গাড়ি ঘুরিয়ে গেলাম এখানকার বাঙালি পাড়ার পপুলার চা এর দোকানে। রাস্তা ক্রস করে দোকানে ঢুকবো, কিন্তু কি মনে করে মনে হলো আগে আশেপাশের অন্য সবজির দোকানগুলো একটু দেখে আসি।

প্রথম দোকানে গিয়ে দেখি বেশ কয়েক ধরনের ফ্রেশ শাক পাওয়া যাচ্ছে। সেখান থেকে পাঁচ ডলার দিয়ে দুই বাঞ্চ সরিষা শাক আর এক প্যাকেট ফ্রোজেন চিংড়ি কিনলাম। হঠাৎ মনে হলো কাঁচামরিচ লাগবে! অন্য আরেক দোকানে ঢুকে বেছেবেছে কয়েকটা কাঁচামরিচ নিলাম। সেখান থেকে সরে এসে দোকানের অন্য সবজি দেখতে দেখতে মনে হলো, পাশের অন্য আরেকটা দোকানে এর চেয়েও ভালো মরিচ আর সবজি দেখা যাচ্ছে।
প্যাকেটের সব মরিচ আবার বক্সে ঢেলে রাখতে গিয়ে দেখি এক বাঙালি ভদ্রলোক এতোক্ষন ছেলে কোলে ঘুরছিল, সে বক্স থেকে বেছে বেছে মরিচ নিচ্ছে। যাইহোক, ভদ্রলোককে পাশ কাটিয়ে সব মরিচ বক্সে রেখে এসে, অন্য দোকানটায় ঢুকলাম।

ঢুকেই দেখি চোখের সামনে বড় বড় সজনা ডাটা। মনটাই খুশি হয়ে গেলো! বেছে বেছে চার পাঁচটা ডাটা নিলাম। এখানকার মরিচগুলোও দেখতে গাড় সবুজ। মনে হচ্ছে ভালো ঝাল হবে। মরিচও নিলাম। যখন পে করতে যাবো চোখে পড়লো বক্সে রাখা একটা মাত্র কাঁঠাল। টিপে দেখলাম নরম। দোকানীকে জিজ্ঞেস করলাম, কত দাম? বললো $১৭ কিলো। আমি নিলে $১৬ এ দিবে। শুনে একটু আগ্রহ হলো! কিন্তু অনেক বড় সাইজ। এতো কাঁঠাল খেয়েতো শেষ করতে পারবো না। দোকানী নিজেই সাজেস্ট করলো অর্ধেকটা নিতে। শুনেতো আমি ভীষন খুশি, সাথে অবাকও। আমার বিদেশ লাইফে এই প্রথম কাঁঠাল কেনার চেষ্টা। জানিও না যে হাফ কেনা যায়। জিজ্ঞেস করলাম, মিষ্টি হবে? বললো, দারুন মিষ্টি! নিজেই তারপর ভেতরে গিয়ে বড় ছুড়ি দিয়ে যত্ন করে কাটলো কাঁঠালটা। দেখে নিজে থেকেই বললাম আমি একটু খেয়ে দেখি মিষ্টিটা! সামান্য একটু মুখে দিয়ে মনে হলো, বেহেশতি কিছু মুখে দিলাম মনে হয়। সাথে সাথেই দোকানিকে বললাম, আসলেই ভালো কাঁঠালটা! দোকানি বললো, 'খায়া মনটা শান্তি লাগতেসে না'? আমিও মাথা নেড়ে তার সাথে একমত হলাম। 😊

কাউন্টারে পে করতে গিয়ে দেখি সেই বাচ্চা কোলে নিয়ে আসা ভদ্রলোকও প্যাকেটে কাঁচামরিচ বা কিছু একটা পে করার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে কাঁঠাল নিতে দেখে বললো, 'এইটাকি রান্না করে খায়?' আমি আর দোকানি দুইজনই অবাক হয়ে বললাম, 'এইটা পাকা কাঁঠাল! আপনি খান নাই কখনো'! আমি অবশ্য সাথে এটাও এড করেছিলাম, 'খুব ভালো কাঁঠাল। চাইলে আপনি নিতে পারেন বাকি অর্ধেকটা! দোকানিও উৎসাহ দিলো সাথে সাথে।

লোকটা বোধহয় একটু অপ্রস্তুত হয়েই বললো, 'আমার বাড়ি চট্টগ্রাম। দেশে অনেক খাইসি। কিন্তু পাকা কাঁঠাল অতো খাইনা'!
যাইহোক, $৭৫ দিয়ে চার কেজির বেশি ওজনওয়ালা অর্ধেক কাঁঠাল নিয়ে বাসায় এসে দেখি, কাজ শুরুর আগে হাতে ১৫ মিনিট আছে। কিন্তু কাঁঠাল না খেয়ে আমিতো কাজ শুরু করবোই না। তড়িঘড়ি করে কোনরকমে কিছু অংশ খুলে, খেতে খেতে মনে হচ্ছিলো আমার জীবনে চাকড়ি করে, বেতন উপার্জন করে আর সেই বেতন দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জীবনের সবচেয়ে এক্সপেন্সিভ ফল খাওয়াটা পুরোপুরি স্বার্থক! ইনফ্যাক্ট দেশ ছাড়ার পর বিদেশের মাটিতে এই প্রথম আমার আর ওমরের কাঁঠাল খাওয়া।

আর তারচেয়েও বড় ব্যাপার মেয়েকে বাংলাদেশের জাতীয় ফলের সাথে পরিচয় করাতে পারা। স্কুল থেকে ফেরার পর ডাকলাম কাঁঠাল খাওয়ার জন্য! ব্যাখ্যা করলাম কেনো এটা জাতীয় ফল! মেয়ে জীবনে এই প্রথম কাঁঠাল দেখলো আর বেশ আগ্রহ করে খেলো! বললো পছন্দ হয়েছে টেস্ট! আমার দাদাবাড়ি শরিয়তপুর হওয়ায় বাড়িতে এতো এতো কাঁঠাল হতো যে দেশে যতদিন ছিলাম কখনো কিনে খাইনি! সেই কাঁঠালের স্বাদও ছিলো অন্য লেভেলের! গ্রামের বাড়িতে কাজিনরা মিলে বেড়াতে গেলে সকালে উঠে বাড়িতে দোয়ানো গরুর দুধ, বাড়িতে ভাজা মুড়ি আর গাছের মিষ্টি কাঁঠাল দিয়ে নাশতা করতাম। সাথে সাথে আব্বুর কথাও মনে পড়ছিলো! মিস করতে চাইনা! কিন্তু মিস করছিলাম। মেয়েকেও আব্বু আর বাড়ির কাঁঠালের গল্প বলছিলাম। মেয়ে হঠাৎ কেন যেন বললো, it would have been good if your dad was alive! আমি নিজেওতো মাঝে মাঝে তাই ভাবি! কি আশ্চর্য ব্যাপার, তাই না! মা মেয়ের ভাবনা কিভাবে মিলে গেলো। যদিও বুঝ হওয়ার পরে এরিশা মাত্র একবার দেখেছিলো আব্বুকে! যাইহোক, কোথাকার গল্প কই চলে গেলো! সামান্য কাঁঠালের সাথে নিজের দেশ, পরিবার, শৈশব কত স্মৃতিই না জড়িয়ে আছে! ৭৫ ডলারতো তার কাছে কিছুই না!

Address

Barangaroo, NSW

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shabz Diary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shabz Diary:

Share