Ahsanul Hoque

Ahsanul Hoque

11/07/2025

📱 “একটা গবেষণায় দেখা গেছে—মানুষ দিনে গড়ে ৯৬ বার ফোন চেক করে, অথচ জীবনে একবারও নিজের ভুল চেক করে না।”

দিনে আমরা প্রায় ৯৬ বার ফোন আনলক করি। মানে প্রতি ১০-১৫ মিনিটে একবার! কেউ ম্যাসেজ দিল নাকি, রিচার্জ শেষ নাকি, কেউ ছবি তে লাভ দিল নাকি, কেউ “online” আছে কিনা—এইসব আর কি।

আমরা এত ‘নোটিফিকেশন’ নিয়ে ব্যস্ত, যে নিজের ভিতরের কোনো নোটিশই চোখে পড়ে না।

🙃 ভুল মানলেই কি ছোট হয়ে যাই?

আমরা ভাবি—ভুল মানলে নিজেকে ছোট দেখাবে। কিন্তু আসলে ভুল না মানাটাই মানুষকে ছোট করে।
একটা ফোনও তো মাঝে মাঝে “system update” চায়।
আর আমরা মানুষ হয়ে বছরের পর বছর একই attitude, একই ভুল, একই আচরণ নিয়ে ঘুরে বেড়াই।

আমরা চাই ফোনে “auto brightness”,
কিন্তু জীবনে “auto empathy” চালু রাখতে ভুলে যাই।

সবকিছুর মতো, মানুষ হিসেবেও মাঝে মাঝে “reset” দরকার হয়।
নাহলে জীবন শুধু নোটিফিকেশনে ভরে যাবে, কিন্তু নীরবতায় হারিয়ে যাবে নিজের ভিতরের শান্তিটা।

17/06/2025

“আমি দ্বায়ীত্ব নিয়ে বলছি”

সাম্প্রতিক কালে সোশ্যাল মিডিয়ায় টকশোতে একটি বাক্য প্রায়শই শোনা যাচ্ছে — “আমি দ্বায়ীত্ব নিয়ে বলছি।”

এই বাক্যটি এখন শুধুই একটি সাধারণ বক্তব্য নয়, বরং একটি মেম, ট্রেন্ড এবং অনেকের কাছে আত্মবিশ্বাস প্রকাশের মাধ্যম।

এই বাক্যটির সুনির্দিষ্ট উৎস একেবারে নিশ্চিত নয়, তবে ধারণা করা যায় একটি নির্দিষ্ট ভিডিও বা বক্তব্য থেকে, যেখানে একজন বিশেষ ব্যক্তি আত্মবিশ্বাসের সাথে কিছু বলার আগে বলেন, “আমি দ্বায়ীত্ব নিয়ে বলছি।” এরপরই সেই বক্তব্যটি ভাইরাল হয় এবং বাক্যটি meme culture-এর অংশ হয়ে যায়।

আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি” একটা বাক্য না, একটা অনুভূতি।
এটা এমন একধরনের ছাড়পত্র, যেখানে আপনি কোনো কথার আগে নিজেই বিচারক, স্বাক্ষী, সাংবাদিক — সব কিছু।

আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার? কেউ সত্য বললেও মনে হয়,
“মজা করতেছে নাকি?”
আর কেউ মিথ্যে বললেও ভাবি,
“দায়িত্ব নিয়ে বলছে তো… হয়তো ঠিকই!”

15/06/2025

আমরা সবাই আলাদা গল্পের চরিত্র। আমরা যদি নিজের প্রথম অধ্যায়ের সঙ্গে কারো মধ্যম অধ্যায় তুলনা করি, তাহলে সেটা কখনই ন্যায্য হবে না।

তাই, পরেরবার যখন নিজের জীবনের সঙ্গে অন্যের জীবন তুলনা করতে ইচ্ছে করবে, মনে রাখতে হবে:

“যেখানে তুলনার কোনো ভিত্তি নেই, , সেখানে প্রতিযোগিতা করাও অপ্রয়োজনীয়।”

একটা টিকটিকি (Skink) গোত্রের প্রাণী কি’বা করতে পারে??একটা ফোঁস করেই পুরো ফেসবুক-টিকটক-ইউটিউব কাঁপাই দিছে! 😳এই “সান্ডা” আ...
18/05/2025

একটা টিকটিকি (Skink) গোত্রের প্রাণী কি’বা করতে পারে??
একটা ফোঁস করেই পুরো ফেসবুক-টিকটক-ইউটিউব কাঁপাই দিছে! 😳

এই “সান্ডা” আসলে একটা মরুভূমির গুইসাপ 🦎
সৌদিতে কয়েকজন প্রবাসী ভাই মজা করে ভিডিও দিছিলো, আর কীভাবে যেন এইটা এখন “প্রবাসীদের স্বপ্ন”, “ভিসার জিনিস”, “গোপন শক্তি” সব কিছু হয়ে গেছে 🤣

লোকজন এখন সান্ডা ধরলে নাকি চাকরি পায়, ভিসা লাগে না, টাকাও এসে যায় — এইটাই এখন নতুন তাবিজ! 😂

আর মজার ব্যাপার;
এই সান্ডারে এখন তুলনা দেওয়া হইতেছে রাজনীতিবিদ, সেলিব্রিটি আর সমাজের বড় বড় মানুষদের সাথে!
কারণ:
👉 সান্ডা চুপচাপ বসে থাকে — কিছুর সময় কিছু বলে না (যেন কাওরে কাওরে বুঝায় 🤫)
👉 ফোঁস করে — কিন্তু সমাধান দেয় না!
👉 মানুষ দৌড়ায় এর পিছে — জানে না আসলে এর ভেতরে কিছুই নাই 😅

এইটাই বাংলার ট্রেন্ড এখন — একটা সান্ডা, যেইটা নীরব বিপ্লব চালায় দিতেছে! 😂

তাই, সাবধান — আপনার পাশে সান্ডা টাইপ কেউ থাকলে চিন্তা কইরেন! 😜

16/05/2025
আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ ফিরেছে… আবারও বরফ, কিন্তু এবার আসল কারণ মাথা ঠান্ডা রাখা!২০১৪ সালে সবাই বরফ ঢেলে ভাইরাল হলো —ভালো উদ...
30/04/2025

আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ ফিরেছে… আবারও বরফ, কিন্তু এবার আসল কারণ মাথা ঠান্ডা রাখা!

২০১৪ সালে সবাই বরফ ঢেলে ভাইরাল হলো —
ভালো উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছিল,
কিন্তু মানুষ এতটাই আসক্ত হয়ে গেল
ভিডিও-কমেন্ট-লাইক-সেলফিতে…
শেষে নিজের মাথা কোথায়, সেটাই ভুলে গেল!

তাই ২০২৫ সালে এটা আবার এসেছে —
এইবার বরফ ঠান্ডা পানি দিয়ে আবার সেই মাথাটাই ঠিক করতে!

27/04/2025

যখন কেউ খুব জ্ঞান দিতে থাকে, তখন আমার ভেতরের আমিটা অন্য হাজারটা জিনিস নিয়ে ভাবতে শুরু করে দেয়। 🗣️➡️💭 আমি হয়তো হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়ি, "হুম", "আচ্ছা" বলি, কিন্তু আসলে আমার মন তখন ভাবছে অন্য অনেক কিছু। 😅 এই "মনোযোগ" দেওয়ার অভিনয়টা একটা অলিম্পিক ইভেন্ট হওয়া উচিত – আমি নিশ্চিত অনেকেই গোল্ড মেডেল জিতবে! 🥇🎭

28/03/2025

বাংলার ভোট ও এক কাপ চা

নির্বাচনী মৌসুমে শেক হাসিনা, নরেন মোদী, ড. ইনূস, খালেদা জিহা, তারিক জিহা, সারজিস, আর নাহেদ একসাথে চা খাচ্ছিলেন।

শেক হাসিনা: এইবারও আমিই জিতবো!

খালেদা জিহা: কীভাবে?

শেক হাসিনা: ইভিএম তো আমার হাতে!

তারিক জিহা: আমিও ভোটে আসবো!

নাহেদ: ভাই, লন্ডনে বসে কীভাবে আসবেন?

তারিক: ভার্চুয়ালি প্রচারণা চালাবো!

ড. ইনূস: আপনারা রাজনীতি করেন, আমি তো শুধু শান্তির জন্য কাজ করি।

সারজিস: ঠিক বলেছেন! এই দেশে শান্তির জন্য ব্যাংক দরকার, আর ব্যাংকের জন্য কমিশন দরকার!

নরেন মোদী: আমি এসেছি, শুধু বলতে— “ভাইপো, বাংলাদেশের নির্বাচন মানেই ভারতীয় আমন্ত্রণ!”

শেক হাসিনা: (হাসতে হাসতে) তাই তো! ভারত ছাড়া তো আমার কোনো ভোটের ইতিহাসই নেই!

এদিকে, চায়ের বিল দিতে গিয়ে সবাই একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে! কারণ, কেউই নিজের পকেট থেকে টাকা বের করতে চায় না!

সারজিস: (ফিসফিস করে) “নাহেদ ভাই, আগের কমিশন থেকে কিছু থাকলে দেন!”

- A. H. Q.

25/03/2025

অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ: চাঁদ না ঘড়ি?

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি মুসলিমদের ঈদুল ফিতরের দিন ঠিক করতে গিয়ে যে কান্ড প্রত্যেক বারই হয়ে থাকে। আরব, ইন্দোনেশিয়ান, মালয়েশিয়ানরা একদিকে, আর বাংলাদেশি, ভারতীয়, পাকিস্তানিরা আরেকদিকে।

আরবরা বলে, “ভাই, ২০২৫ সালে চাঁদের পেছনে দৌড়ানোর সময় কই? আমাদের ক্যালেন্ডার আছে, স্যাটেলাইট আছে!” তাই ওরা ৩০ মার্চ ঈদ ফিক্সড করে বসে আছে। আর বাংলাদেশিরা বলে, “না, চাঁদ না দেখলে ঈদ হবে না। এটা আমাদের স্টাইল।” ৩০ তারিখ সন্ধ্যায় এরা ছাদে উঠে মেঘলা আকাশের দিকে হাঁ করে তাকায়। চাঁদ দেখা গেল না, তাই ফোন করে ঢাকায় খবর নেয়, “চাঁদ দেখা গেছে?” ঢাকা থেকে হ্যাঁ শুনে এরা ঠিক করে, “ওকে, ৩১ মার্চ আমাদের ঈদ!”

অস্ট্রেলিয়ায় হঠাৎ ছুটি পাওয়া তো খুব সহজ না, আরব’রা আগে থেকে বসকে বলে ৩০ তারিখ ছুটি নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশিরা ৩১ তারিখ সকালে বসের কাছে গিয়ে বলে, “বস, আজ ঈদ, ছুটি দেন।” বস তো মাথা চুলকে বলে, “কাল তো তোমার কলিগ ঈদ করলো, আজ আবার তুমি? তোমরা কি ঈদের সিজন টিকিট কিনে ফেলেছো?”

এক বাংলাদেশি ছেলে, নাম তানভীর, ওর বস একজন অস্ট্রেলিয়ান, নাম লিয়াম। তানভীর ৩১ তারিখ সকালে গিয়ে বললো, “লিয়াম, আজ আমার ঈদ, ছুটি চাই।” লিয়াম বললো, “কিন্তু গতকাল তো আমার আরব স্টাফরা ঈদ করলো। তোমার ঈদ কি আলাদা?” তানভীর গম্ভীর মুখে বললো, “লিয়াম, আমরা চাঁদ দেখে ঈদ করি।” লিয়াম হেসে বললো, “তোমার চাঁদ কি ঢাকা থেকে প্লেনে চড়ে আসে? তাই একদিন লেট?”

তানভীর একটু লজ্জা পেল, কিন্তু বললো, “লিয়াম, এটা আমাদের ট্র্যাডিশন।” লিয়াম তখন বললো, “ভাই, এই দুনিয়ায় সব ঘড়ির কাঁটায় চলে। তোমার বাস ছাড়ে ৭:৩০-এ, জুমার নামাজ পড়ো ১:১৫-এ, তাহলে ঈদে কেন চাঁদের পেছনে ছোটো? নাসা তো বলেই দিচ্ছে চাঁদ কবে আসবে!” তানভীর ভাবলো, “কথায় তো পয়েন্ট আছে। আমরা তো ঘড়ি দেখে ইফতার করি, তাহলে ঈদে এত ড্রামা কেন?” কিন্তু ঐতিহ্যের জোরে বললো, “লিয়াম, এটা আমাদের ফিলিংস।”

শেষে লিয়াম একটু হেসে বললো, “ঠিক আছে তানভীর, তুমি তোমার চাঁদের ঈদ করো। আমি ছুটি দিচ্ছি, তবে একটা শর্ত—তোমার বাসায় শেমাই রান্না হলে আমাকে এক বাটি পাঠাবা!” তানভীর হাসতে হাসতে বললো, “লিয়াম, তুমি শেমাই খেতে চাও? তাহলে আমার সঙ্গে চাঁদ দেখতে ছাদে আসো, দুজনে মিলে ঢাকার খবর চেক করবো!” লিয়াম বললো, “ডিল! আমি আসছি, তবে চাঁদ না দেখা গেলে আমি তোমার শেমাইয়ের দুই বাটি দাবি করবো!” দুজনে হাত মিলিয়ে হাসলো, আর তানভীর বাড়ি গিয়ে শেমাই রান্না করে লিয়ামকে এক বাটি পাঠিয়ে দিলো। পরে লিয়াম ফোন করে বললো, “তানভীর, এই শেমাইয়ের জন্য আমি পরের বছর তোমার চাঁদের দলেই যোগ দিচ্ছি!”

-A. H. Q.

21/03/2025

ভণ্ডামি অপরাধ না—একটা ‘স্টার্টআপ আইডিয়া’

ঢাকা শহরের যানজটের মধ্যে বসে ইমনের মাথায় এক বিশাল বিজনেস আইডিয়া এলো। সে তখন বসুন্ধরা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল, সিএনজি আসছে না, উবারের রাইডার ফোন ধরছে না, আর পাশে এক লোক জ্যামের সুযোগে ঝালমুড়ি বেচছে।

— “দোস্ত, এই দেশে যা কিছু চলে, তার পেছনে একটা যুক্তি থাকে। দেখ, ট্রাফিক আইন কেউ মানে না, কারণ সবাই ভাবে, ‘আমি আইন মানলে কি হবে, অন্য কেউ তো মানবে না!’ ঠিক এইভাবেই আমরা একটা বিজনেস শুরু করতে পারি,” ইমন উত্তেজিত কণ্ঠে বললো তার বন্ধু জুবায়েরকে।

জুবায়ের বিরক্ত মুখে বললো, “দোস্ত, তোর মাথায় আবার কি ভূত চাপলো?”

— “ভণ্ডামি! ভাই, এইখানে এইটা অপরাধ না, বরং একটা দক্ষতা! আমরা যদি এটাকে একটা স্টার্টআপ বানাই?”

জুবায়ের একদম অবাক! “মানে?”

— “ভাব , আমরা একটা সার্ভিস খুলবো—‘ভণ্ডামি লিমিটেড’! মানুষকে প্রফেশনালি ভণ্ডামি শিখাবো। সোশ্যাল মিডিয়ায় কীভাবে সাজানো লাইফস্টাইল দেখাতে হয়, অফিসে বসের সামনে কীভাবে ‘ডেডিকেটেড’ সাজতে হয়, ইন্টারভিউতে কীভাবে ‘প্রোফেশনাল’ মুখ করে বলতে হয়—‘আমি টিমওয়ার্কে বিশ্বাসী’—এসব শেখাবো!”

জুবায়ের তখনও বুঝতে পারছে না, “মানে তোর সার্ভিসটা কী?”

ইমন চোখ বড় করে বললো, “সোজা কথা, আমাদের কোর্স থাকবে:
1. ফেক লাইফস্টাইল ১০১—কীভাবে আইফোনের বক্স নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিলে সবাই ভাববে তোর আসলেই আইফোন আছে।
2. বসের সামনে কর্মঠ সাজা মাস্টারক্লাস—কীভাবে ‘এটা তো সহজ’ বলে দুঃসহ কাজের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানো যায়।
3. রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট—‘ব্রেকআপের পরেও কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুখী থাকা যায়’ ওয়ার্কশপ।
4. রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বুটক্যাম্প—সঠিক সময়ে কোন দলের সমর্থক হওয়া উচিত এবং কীভাবে দল বদল করলে সেটা ‘নীতিগত’ সিদ্ধান্ত মনে হবে!”

জুবায়ের হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি। “দোস্ত, এইটা চালু কর, আমরা লাখপতি হবো!”

ইমন গম্ভীর মুখে বললো, “ভাই, লাখপতি না, কোটিপতি! কারণ ৯৯% মানুষ আমাদের টার্গেট মার্কেট।”

- A. H. Q.

Address

Sydney, NSW

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ahsanul Hoque posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share