11/09/2025
কর্মজীবী মায়েদের উদ্দেশ্যে আজকের Blog.....
বর্তমান সময়ে নানা কারনে হয়তো নারীদের কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে দেশে এবং বিদেশে। সেটা হতে পারে নিজেকে অর্থনৈতিক সাবলম্বি করার জন্য, সামাজিক স্ট্যটাসের কারনে, পুরুষের প্রতিদন্দ্বী হবার কারণে, অথবা পরিবারকে সাপোর্ট করার কারনে।
কারন যাইহোক না কেনো আপনি যখন বাহিরে কাজ করছেন তখন একটা প্রশ্ন চলেই আসে তা হলো, আপনি কি পরিবার এবং কাজ দুটোর মধ্যে সামঞ্জস্য করতে পারছেন??
টাকা উপার্জন করতে গিয়ে আপনার স্বামী এবং সন্তানের হক নষ্ট করছেন নাতো?
মহিলাদের প্রথম এবং প্রধান কর্মস্থল হলো তার বাড়ি। যেখানে তার সন্তানদের সুশিক্ষা এবং স্বামীকে আত্মীক এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়া তার প্রধান দ্বায়ীত্ব। যেহেতু প্রযুক্তির এই যুগে আমারা অনেক কিছুই কম সময়ে করে ফেলতে পারি তাই পরিবার সামলিয়েও কিছুটা সময় পাওয়া যায় যা আমারা হালাল উপায়ে টাকা উপার্জনের কাজে ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু সেটা অবশ্যই ঘর সামলানোর পর।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সত্য যে যখন আমরা টাকা উপার্জন করা শুরু করি তখন কেনো জানি বেপরোয়া হয়ে যাই। স্বামীকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বি ভাবতে শুরু করি এবং সারা দিন রাত কাজ করার নেশায় পরে যাই। তখন কেনো জানি ঘরের কাজ গুলোক তুচ্ছ মনে হয় কারন এই কাজে টাকা আসে না।
বোনেরা আমার আপনার শিক্ষা, জ্ঞান অভিজ্ঞতা কি কাজে আসবে যদি আপনার সন্তান আপনার সান্নিধ্য না পায়? আপনার দর্শন, চিন্তা, চেতনা, বিশ্বাস যদি আপনার সন্তানের ভেতর প্রতিস্থাপন করতে না পারেন তাহলে সে অন্যের দর্শন হৃদয়ে ধারন করবে যা আপনি চান না।
আমি বলছি না আপনাকে সারা দিন বাচ্চার সাথে থাকতে হবে, তবে দিনে বা সপ্তাহে আপনার কাজের সময় এবং ধরন অনুযায়ী তাদের জন্য কিছুটা সময় বরাদ্ধ রাখুন। আপনার নিজের জন্য এবং স্বামীর জন্য রাখুন যাতে আপনাদের একটা হেলথি সম্পর্ক তৈরি হয়। কারন আপনি যদি খুশি এবং সুস্থ থাকেন তার ইতিবাচক প্রভাব আপনার সন্তানের উপর পরে।
যতটা সম্ভব বাৎসরিক ছুটি কাটান, সিক লিভ নিন এবং যদি বিদেশ থাকেন তবে এক দিন কাজ কম করুন ৫ দিনের পরিবর্তে ৪ দিন এবং রাতে কাজ করাকে এড়িয়ে চলুন।
আপনি বাহিরে কম কাজ করে ঘরে স্বামী সন্তানদের সময় দিন যাতে করে আপনার স্বামী বাহিরে বেশি কাজ করার সুযোগ পায়, যা তার ফরজ দ্বায়ীত্ব।
- হুমায়রা কবির