আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ

আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’ এর একটি প্রকাশনা প্রকল্প

বিশিষ্ট রাজনীতিক-সমাজসেবী ‘হারুনুর রশীদ’। চার বারের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর কেন্দ্রীয় নেতা ‘হারু...
25/09/2024

বিশিষ্ট রাজনীতিক-সমাজসেবী ‘হারুনুর রশীদ’। চার বারের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর কেন্দ্রীয় নেতা ‘হারুনুর রশীদ ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’ এর ‘আজীবন সদস্য’ হলেন।

‘হারুনুর রশীদ’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপিরিমেন্টাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে এসএসসি এবং ১৯৮০ সালে রাজশাহী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।

বৃহত্তর রাজশাহী তথা উত্তরবঙ্গের অন্যতম সাবেক ছাত্রনেতা ‘হারুনুর রশীদ’ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হোন। কলেজের ছাত্র সংসদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক এবং ১৯৮৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির পরপর তিনবার সহ-সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। রাজপথে মিছিল-মিটিং সভা-সমাবেশে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় রিজভী-হারুন পরিষদে রাকসু নির্বাচনে অংশ নেন।

২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় তাঁকে। ২০১৬ সালের দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর তাঁকে পদোন্নতি দেয়া হয়। নির্বাচিত হোন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব। বর্তমানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

‘হারুনুর রশীদ’ ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রথমবারের মত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে ও ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানামুখী উন্নয়নে তাঁর গুরুত্বপূণ অবদান রয়েছে। ‘হারুনুর রশীদ’ এর সুযোগ্য স্ত্রী এ্যাড.সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া বিশিষ্ট রাজনীতিক, সাবেক সংসদ সদস্য ও আইনজীবী। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা।

‘হারুনুর রশীদ’ সম্পৃক্ত রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে। তাঁর সাথে নতুন ধারার গবেষণাধর্মী-সেবামূলক প্রতিষ্ঠান 'আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন' www.alokitochapainawabganjfoundation.com এবং চলমান প্রকাশনা প্রকল্প- দু'শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী-আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ www.alokito-chapainawabganj.com নিয়ে কথা বলছিলেন 'আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন' এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ‘মাহবুবুল ইসলাম ইমন’। তাঁর জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও শুভ কামনা...

শাহজাহান মিঞা’ একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিক, ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, রণাঙ্গণের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক। তৎকালীন র...
22/09/2024

শাহজাহান মিঞা’ একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিক, ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, রণাঙ্গণের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক। তৎকালীন রাজশাহী-১ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ থেকে নির্বাচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর একাধিকবারের সংসদ সদস্য। তিনি ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’ এর ‘আজীবন সদস্য’ হলেন। পর্যায়ক্রমে ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের সম্মানিত সদস্য হবেন।

১৯৭১ সালে তিনি ন্যাপ (মোজাফফর) এর প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। অসহযোগ আন্দোলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্র-শাহজাহান আলী মিঞা ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ লাভের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তিনি ২৩ আগস্টে কানসাট অপারেশনে বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এবং ১৪ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জকে শত্রুমুক্ত কারার জন্য মহানন্দা নদী পার হওয়ার সময় ডান হাতে গুলিবিদ্ধ হন। সেই সময়ে তিনি বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহীউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সহযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তৎকালীন রাজশাহী-১ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ এর পরপর ৫ বার সংসদ সদস্য এবং বিএনপি সরকারদলীয় হুইপ নির্বাচিত হোন। প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি পর্যায়ক্রমে ধর্ম মন্ত্রণালয়, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) এর উপদেষ্টা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি পেশাগত প্রথম জীবনে শিবগঞ্জের কানসাট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে শিবগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজও দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন। তাঁর সাথে নতুন ধারার গবেষণাধর্মী-সেবামূলক প্রতিষ্ঠান 'আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন' (www.alokitochapainawabganjfoundation.com) এবং চলমান প্রকল্প- দু'শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী-আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ (www.alokito-chapainawabganj.com) নিয়ে কথা বলছিলেন ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ‘মাহবুবুল ইসলাম ইমন’। তাঁর জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও শুভ কামনা...

বিশিষ্ট রাজনীতিক-সমাজসেবী ‘মোহা.লতিফুর রহমান‘। দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য, শিক্ষক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্...
21/09/2024

বিশিষ্ট রাজনীতিক-সমাজসেবী ‘মোহা.লতিফুর রহমান‘। দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য, শিক্ষক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান, ব্যবসায়ী ‘লতিফুর রহমান‘ ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’ এর ‘আজীবন সদস্য’ হলেন।

লতিফুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজারামপুর হামিদুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৭৪ সালে নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৮১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে বি.এ (সম্মান) এবং ১৯৮২ সালে এম.এ পাস করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংষ্কৃতি বিভাগে থেকে এম.এ পাস করে ডবল এম.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি আবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ রাজশাহী ল’কলেজ থেকে এলএলবি পাস করেন।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি কলেজ জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালে ইসলামী ছাত্রশিবির, নবাবগঞ্জ শহর শাখার সভাপতি নির্বাচিত হোন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পরপর দুইবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি, একবার সেক্রেটারী এবং সৈয়দ আমীর আলী হল শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্যও ছিলেন। ১৯৮৫ তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন এবং নবাবগঞ্জ শহর শাখার আমীর এর দায়িত্ব পালন করেন।

লতিফুর রহমান ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশ হিসেবে ১৯৮৭ সালের ৫ ডিসেম্বর সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং ১৯৮৮ সালে কারাবরণ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে পূণরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সেইসময় তিনি একই সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যর দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সংসদীয় দলের হুইপ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন সরকারের পার্লামেন্ট এর পক্ষ থেকে ১৯৯৩ সালে আমেরিকা,কানাডা,জাপান,সৌদি আরব এবং ইংল্যান্ড সফর করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা ব্রীজ (ক্যাপ্টেন মহীউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু), যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উদ্বোধন করেন। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পিটি আই স্থাপন, বিল্ডিং নির্মাণসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন অবকাঠামাগত উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় জামায়াতের সূরা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

শুধু রাজনীতিক-সমাজসেবী নয়, শিক্ষক ও ব্যবসায়ী হিসেবেও তাঁর সুনাম রয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। সুনাম ও সাফল্যের সাথে উক্ত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে ২০১৫ সালে অবসরগ্রহণ করেন ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লতিফুর রহমান। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন। নবাবগঞ্জ ইকরা ট্রাষ্ট পরিচালিত ফুলকুঁড়ি ইসলামিক একাডেমি, মহিলা ফাযিল মাদ্রাসা ও হাজ্বী ইউনুস মোল্লা এতিম খানার সাথে যুক্ত রয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহিপুর ডিগ্রী কলেজ ও বালুগ্রাম ডিগ্রী কলেজ এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি এবং নবাবগঞ্জ ক্লাব এর আজীবন সদস্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামী হাসপাতালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, রাজারামপুর এহিয়াসুন্নত আলীম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ সম্পৃক্ত রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে। তাঁর সাথে নতুন ধারার গবেষণাধর্মী-সেবামূলক প্রতিষ্ঠান 'আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন' www.alokitochapainawabganjfoundation.com এবং চলমান প্রকল্প- দু'শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী-আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ www.alokito-chapainawabganj.com নিয়ে কথা বলছিলেন 'আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন' এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ‘মাহবুবুল ইসলাম ইমন’। তাঁর জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও শুভ কামনা...

বাংলাদেশের প্রখ্যাত ভাস্কর শিল্পী ‘মৃনাল হক’ রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর পৈত্রিকনিবাস/আদিভিটা চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর-বাস...
22/08/2023

বাংলাদেশের প্রখ্যাত ভাস্কর শিল্পী ‘মৃনাল হক’ রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর পৈত্রিকনিবাস/আদিভিটা চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর-বাসুদেবপুর গ্রামে। চর-বাসুদেবপুর গ্রামটি মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববতী সময়ে তৎকালীন নবাবগঞ্জ মহকুমার খামার ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ৭০ এর দশকে খামার ইউনিয়ন ভেঙ্গে কিছু অংশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়, কিছু অংশ চরঅনুপনগর ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত হয়। বর্তমানে চর-বাসুদেবপুর গ্রামটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরঅনুপনগর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। ৬০ এর দশকের কোন সময় চর-বাসুদেবপুর গ্রাম থেকে রাজশাহী শহরে স্থায়ী হোন মৃনাল হকের পিতা অধ্যাপক একরামুল হক। একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ ও ভাষাসৈনিক ‘প্রফেসর একরামুল হক’ ছিলেন প্রগতিশীল আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্রনেতা, ১৯৫৫-৫৬ মেয়াদের ভিপি।

১৯৫৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহী শহরে মৃনাল হকের জন্ম। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করে ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ভাস্কর্য বিভাগে ভর্তি হন। পড়াশুনার পাশাপাশি ছাত্রাবস্থায় বিভিন্ন ভাস্কর্য বানানোর কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে কাজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকে। ছাত্রাবস্থায় জাতীয় জাদুঘরে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হাঙ্গর মাছ এবং তিমি মাছের ভাস্কর্য নির্মাণ করে পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়াও সেই সময় তিনি মোজাইক পেইন্টিং কাজ শুরু করেন।

বাংলাদেশে মোজাইক পেইন্টিংক বা ম্যুরাল শিল্পকর্মকে তিনি অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। মূলত তাঁর হাত ধরেই ম্যুরাল শিল্পকর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন, দেশীয় ঐতিহ্য, কৃষ্টি-কালচার প্রভৃতির উপর অসংখ্য ম্যুরাল, ট্যারাকোটা শিল্পকর্ম নির্মাণ করেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে তাঁর অসংখ্য শিল্পকর্ম।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ব্যবিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের উপর প্রায় ৩০০ ফিট দৈর্ঘ্য এবং ১০ফিট উচ্চতার মোজাইক পেইন্টিং বা ম্যুরাল শিল্পকর্ম, তৎকালীন ঢাকা জিয়া আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের ভি.ভিআইপি টারমিনালের বাংলাদেশ ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য, কৃষ্টি কালচারের উপর দৃষ্টিনন্দন প্রায় ৪৫০ফিট দৈর্ঘ্য ও ১০ফিট উচ্চতার ম্যুরাল শিল্পকর্ম নির্মাণ করেন।

তিনি রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের ‘বলাকা’ ভাস্কর্যটি ১৯৮৮ সালের দিকে নির্মাণ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি আমেরিকায় পাড়ি জমান এবং সেখানে কাজ শুরু করেন। নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে তাঁর প্রথম প্রদর্শনী হয়। এছাড়াও নিউইয়র্ক সিটির বিউটি ফিকেশনের জন্য মিনিষ্ট্রি অব কালচার কর্তৃক একমাত্র বিদেশী শিল্পী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে তাঁর ম্যুরাল শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। সেই সময় তাঁর ম্যুরাল শিল্পকর্ম এতবেশি জনপ্রিয় হয়েছিল যে, নিউইয়র্কের সরকারি টিভি চ্যানেলে তাঁর একটি সাক্ষাৎকার ২৬ বার এবং সিএনএন চ্যানেলে ১৮ বার প্রচারিত হয়।

২০০২ সালে মৃনাল হক দেশে ফিরে বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য, ম্যুরাল শিল্পকর্ম, ট্যারাকোটা ও ঝর্ণা ইত্যাদি নির্মাণ করেন। ২০০৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নির্মাণ করেন ‘গোল্ডেন জুবলী টাওয়ার’। এছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্যের মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে ‘রত্নদ্বীপ ভাস্কর্য ও ঝর্ণা’, শাহাবাগে অবস্থিত ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে ‘রাজসিক’, পরীবাগ মোড়ে “জননী ও গর্বিত বর্ণমালা”, মিন্টু রোডের ডিবি অফিসের পাশে “কোতোয়াল”, প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও কাঁকরাইল চার্চের সামনে নির্মিত “সাম্যবাদ”, সাতরাস্তায় ময়ূরের ভাস্কর্য “বর্ষারাণী” যা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এয়ারপোর্টের গোল চত্বরে মডার্ণ ভাস্কর্য, নৌ সদর দপ্তরের সামনে মাছের ভাস্কর্য ও ঝর্ণা “অতলান্তিকে বসতি”, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পুলিশের ভাস্কর্য, সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়ে ভাস্কর্য “অর্ঘ”, বঙ্গবাজার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের পাশে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য “প্রত্যাশা”, আর্মি গলফ্ ক্লাবে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত ট্যারাকোটা অন্যতম। এছাড়া তিনি প্রায় ২৫০টির উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি দেশের বিভিন্ন স্থানে যেমন- এলজিইডি কার্যালয়ে, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্মাণ করেন।

মৃত্যুর কয়েক মাস আগে শাহজালাল এয়ারপোর্টের সামনের বাউন্ডারি ওয়ালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উপর প্রায় ৩০০ফিট দৈর্ঘ্য এবং ১০ফিট উচ্চতার ম্যুরাল শিল্পকর্ম এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় অবস্থিত ভূ-উপগ্রহকেন্দ্রের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭১ফিট উচ্চতা সম্পন্ন ফুল সাইজ মোজাইক পেইন্টিং নির্মাণ করেন।

ভাস্কর্য শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ১২তম এশিয়ান চারুকলা প্রদর্শনীতে ‘এশিয়ান এ্যাওয়ার্ড ২০০৬’ (আন্তর্জাতিক পর্যায়ের), ভারত থেকে অল-ইন্ডিয়া মহাত্মাগান্ধী পুরস্কার ২০২০, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ‘ঢাকা সিটি বিউটিফিকেশন এ্যাওয়ার্ড (২০০৬) সহ জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। গুণি এই ভাস্কর শিল্পী ২০২০ সালের ২২ আগষ্ট মৃত্যুবরণ করেন। {অসমাপ্ত... / বিস্তারিত প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ www.alokito-chapainawabganj.com (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু'শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ১ম ও ২য় খণ্ড) লেখক- মাহবুবুল ইসলাম ইমন}

আজ মৃনাল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর স্মৃতির প্রতি রইল আমাদের গভীর শ্রদ্ধা...

Address

পুরাতন সেবা ক্লিনিক (৩য় তলা), ডিসি মার্কেটের সামনে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
৬৩০০

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

Share

Category

Our Story

পরিচিতি

# স্লোগান : ‘নিজেকে চিনি, নিজেকে গড়ি… / গড়ি আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গড়ি আলোকিত বাংলাদেশ…’

# লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের লক্ষ্যে এবং কৃতী, আলোকিত, গুণিজনসহ সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে ১৮০০-২০১৮ খ্রিস্টাব্দ (দু’শো বছর) পর্যন্ত বিভিন্ন অবদান ও অর্জনের প্রেক্ষাপটে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য পদমর্যাদাধারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী সংগ্রহ এবং গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ' যাত্রা শুরু করে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রথম প্রকাশনা প্রকল্প হিসেবে রুপান্তরিত হয় । জাতীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক, গবেষণাধর্মী-সেবামূলক প্রতিষ্ঠান- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’(http://alokitochapainawabganjfoundation.com/) এর প্রকাশনা প্রকল্প হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’। # কর্ম-পরিকল্পনা : 1. দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী গ্রন্থ প্রকাশ (প্রিন্ট এবং অনলাইন সংস্করণ)। 2. ভিন্নধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মোড়ক উন্মোচন (কৃতী-গুণিজন সমাবেশ ও প্রকাশনা উৎসব)। 3. কৃতী-গুণিজন সমাবেশ ও প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে ‘স্মরণিকা’ প্রকাশ। 4. অনলাইন নিউজ পেপার ‘দৈনিক আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (www.dailyalokito-chapainawabganj.com) এর কার্যক্রমসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জীবনীর ধারাবাহিক সংস্করণ প্রকাশ...