Jagrity Prokashoni - জাগৃতি প্রকাশনী

Jagrity Prokashoni - জাগৃতি প্রকাশনী উন্নত জীবনের জন্য বই

🌸বুক রিভিউ🌸বইয়ের নামঃ এবং কবিতাসম্পাদনাঃ শাহ মোহাম্মদ সানাউল হকবদিউল আলম, দিলওয়ার চৌধুরীসম্পাদনা সহযোগীঃ  আতিয়া চৌধুরী, ...
09/07/2025

🌸বুক রিভিউ🌸

বইয়ের নামঃ এবং কবিতা
সম্পাদনাঃ শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক
বদিউল আলম, দিলওয়ার চৌধুরী
সম্পাদনা সহযোগীঃ আতিয়া চৌধুরী, নাহিদা সুলতানা, আজাদী সুলতানা রুমী
প্রকাশনীঃ জাগৃতি প্রকাশনী
স্বত্বঃ কবিতার কথা গ্রুপ
নাম করনঃ আসাদ মান্নান
প্রথম প্রকাশঃ গ্রন্থমেলা ২০২১
প্রচ্ছদঃ আল নোমান

📚জানি না অন্যদের কাছে কেমন মনে হয় তবে আমার কাছে মনে হয় কবিতার বই রিভিউ করা অত্যন্ত দুঃসাহসিক একটি কাজ। কারন দেখতে ছোট আর সহজে পড়া শেষ করা গেলেও একেকটি কবিতা যেন একেকটি ছোট গল্প, একেকটি কবিতা যেন একেকটি উপন্যাস। ঠিক সেই জায়গাটিতে দাঁড়িয়ে আমি কীভাবে ৯৭ টি কবিতাকে কয়েকটি লাইন লিখে প্রকাশ করে ফেলব? আবার সে কাজটি যদি আমার মতো একজন আনাড়ি পাঠক করার দুঃসাহস দেখায় তখন প্রথমেই ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় আমার জানা নেই।

📚পারব না জানি তাই বলে কি চেষ্টা করবো না তা তো নয়।একটি বই পাঠ করে আমার অনুভুতি আমার মতো করে জানাতেই পারি সেই অধিকার থেকেই আজকের রিভিউটি লেখা।সেই সাথে বইটি পাঠ করে কেমন লাগল সেই অনুভূতিটুকুও জানাতে চাই সকল কবিতাপ্রেমীদের কাছে।

📚প্রায় একশোটি কবিতাকে নিয়ে কথা বলার ক্ষমতা বা সুযোগ বুক রিভিউতে আমি পাবো না।তাই ঠিক করেছি দু’একটি কবিতার হৃদয় খুঁড়ে যদি কবির সত্যিকারের আবেগকে অনুভব করতে পারি কিংবা পাঠক হিসেবে কবিতাগুলোর সত্যিকারের আবেগের কেন্দ্রবিন্দুটিকে স্পর্শ করতে পারি তাহলেই নিজেকে সার্থক মনে করতে পারবো।আর সেই আবেগ কে পুঁজি করে আলোচনা নিয়ে যাবো শেষ পর্যন্ত।সম্পূর্ণ বইটির ভাঁজে ভাঁজে যে ছন্দ, তাঁকে কেন্দ্র করে কবির কবিতাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করব।আজ বলব অনুভবের কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক,বদিউল আলম, দিলওয়ার চৌধুরী সহ বেশ অনেকজন একনিষ্ঠ কবিতাকর্মীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্পাদিত ‘এবং কবিতা’ বইটি নিয়ে।

📚’এবং কবিতা’ বইটি যে কারনে একটি আলাদা মোহ তৈরি করবে কবিতা প্রেমীদের কাছে সেটি হলো বাংলাদেশের সমসাময়িক বিখ্যাত বেশ কয়েকজন কবি যেমন, বিমল গুহ, ময়ুখ চৌধুরী, মিনার মনসুর, আসাদ মান্নান, শ্যাম সুন্দর সিকদার, মোহিত উল আলম , ওমর কায়সার, শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, বদিউল আলম সহ স্বনামধন্য অসংখ্য কবি এবং নতুন কবি সহ মোট ৫২ জন কবির কবিতা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে গ্রন্থটিতে। যা একজন কবিতাপ্রেমীর মনে কবিতার প্রতি ভালবাসা তৈরি করতে সাহায্য করবে বৈকি।

📚একটি কবিতা সার্থক হয়ে ওঠে তখনই, যখন কবি জীবনের অদৃশ্য বিষয়গুলোও আমাদের
সামনে দৃশ্যমান করে তুলতে পারেন তার কবিতার মাধ্যমে।সেদিক থেকে এই বইয়ের প্রতিটি কবিতাই সফল ও সার্থক। পাঠক প্রতিটি কবিতাতেই নতুন স্বাদ খোঁজে পাবেন বলে আমার বিশ্বাস।

📚এই কবিতার বইটি যে কারনে আলাদা বৈশিষ্ট ধারন করে তার কারন হলো এই বইয়ের প্রতিটি কবিতা ছন্দ-মাত্রা মেনে লিখা হয়েছে।ছন্দ-মাত্রা মেনে কবিতার চর্চা করা ,কবিতা লেখা খুব সহজ কাজ বলা যাবে না কারন নতুনদের জন্যতো কঠিন অবশ্যই তারপরও সকলের চেষ্টায় অতন্ত কঠিন একটি কাজ সুন্দর ভাবে উপস্থাপিত হলো বলে আমি মনে করি।প্রতিটি কবিতাই নিজ নিজ যোগ্যতায় পাঠক হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।আমরা জানি নিজস্বতা একজন সফল কবির অন্যতম বৈশিষ্ট্য আর প্রতিটি কবিতা পাঠ করার পর চোখ বন্ধ করে কল্পনা করলেই দেখতে পাবো সবগুলো কবিতারই আলাদা আলাদা নিজস্বতা রয়েছে।

📚ভিন্ন মাত্রা, ভিন্ন ছন্দে রচিত কবিতাগুলো পাঠকের চিন্তার জগতে ছন্দ-মাত্রা সম্পর্কে ধারনা সহ একটু হলেও দোলা দিবে বলে আমি মনে করি।গদ্য কবিতা লেখা যায় বলে অনেক কবিই কবিতা লিখেন তা যদিও শুদ্ধ তারপরও বলবো কবিতা এক রকম নিয়মানুবর্তিতা। চক্ষুদানের পর যেমন বাকী থাকে তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা তেমনি প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার পরও অন্ধ চোখে কল্পনা আর অনুভবের গভীরতায় গিয়ে তার উদ্বোধন ঘটাতে হয়। কবিতা রচনায় কল্পনা এবং অনুভব শক্তির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।এই কবিতাগুলোও তেমন করে পাঠকের কল্পনা আর অনুভব কে এক বিন্দুতে মিলিয়ে পাঠকের প্রাণে দোল দিয়ে যাবে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

📚পরিশেষে বলতে চাই, সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যে কবিতার যে খরা চলছে তার মাঝে দাঁড়িয়ে ছন্দ-মাত্রা মেনে রচিত এই অনবদ্য কবিতার বইটি কবিতার জগতে শুদ্ধ কবিতা চর্চার জয়গানই উচ্চারণ করবে বলে বিশ্বাস। আমি কবি এবং কবিতার সমৃদ্ধি কামনা করছি।

ছবি কৃতজ্ঞতা:Bipasha J❤️

রিভিউ লেখক: ফারজানা ভুঁইয়া

রম্য গল্পঃ পঁচিশের পঞ্চরসলেখকঃ মেহনুবা হক রুমাপ্রচ্ছদ শিল্পীঃ মায়িশা ফওজিয়া হকপ্রকাশনীঃ জাগৃতিপাঠ-প্রতিক্রয়াঃ আলেয়া আরম...
08/07/2025

রম্য গল্পঃ পঁচিশের পঞ্চরস
লেখকঃ মেহনুবা হক রুমা
প্রচ্ছদ শিল্পীঃ মায়িশা ফওজিয়া হক
প্রকাশনীঃ জাগৃতি

পাঠ-প্রতিক্রয়াঃ আলেয়া আরমিন আলো

রম্যগ্রন্থ "পঁচিশের পঞ্চরস" এ মোট ২০ টি ছোটো ছোটো গল্পকথা রয়েছে। যার সবগুলোই জীবনমুখী এবং লেখকের যাপিতজীবনের উপলব্ধি থেকে লেখা হয়েছে বলে আমার ধারণা।

"পঁচিশের পঞ্চরস" একটি রম্য হলেও এখানে আমি রম্যের চেয়ে বেশি জীবন দর্শনের দেখা পেয়েছি। লেখক "মাহবুবা হক রুমা" আপা বইটিতে তাঁর জীবনে ছোটোবেলা থেকে এই পর্যন্ত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনায় পাঠকদেরকে আঙুল দিয়ে যেন জীবনের নিরেট বাস্তবতাটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন। সরলসহজ শব্দের প্রয়োগে খুব সাবলীলভাবে প্রতিটি গল্পেই রম্যের পাশাপাশি জীবন দর্শনের বিশ্লেষণের মাধ্যমে সুক্ষ্ণভাবে একটি মেসেজও রেখেছেন। যা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।

"পঁচিশের পঞ্চরস" পড়ে আমি আলাদা করে কোনো লেখাকে গুরুত্ব দিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ, বইটিতে সবগুলো লেখাই সমান গুরুত্ব বহন করে। এটা শুধু রম্য নয়, আসলে বইটি জীবনের বাস্তবতার এক অনন্য প্রতিচ্ছবি। রুমা আপার কবিতা ও বিভিন্ন স্ট্যাটাস জাতীয় লেখা তো ফেসবুকে সবসময়ই পড়া হয়। কিন্তু এই বইটি একদম অন্য রকম স্বাদ নিয়ে পড়েছি এবং পড়ে আমি নিজেকেও অনেক ক্ষেত্রে শুধরানোর শিক্ষাও নিয়েছি।

পরিশেষে বলতে চাই যারা বইটি পড়তে চান, তারা অবশ্যই বইটি সংগ্রহ করে পড়ুন। বইটি সংগ্রহ করতে জাগৃতি প্রকাশনীর ফেসবুক পেইজে অথবা দেশের সকল অনলাইন বুকসপে অর্ডার করতে পারেন।

লেখক; আলেয়া আরমিন আলো

জাগৃতির বই
06/07/2025

জাগৃতির বই

দূরের হাতছানি ( কাব্যগ্রন্থ)অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম জাগৃতি প্রকাশনী প্রচ্ছদ: লিটন হালদার প্রকাশক: রাজিয়া রহমান মূল্য : ২৬০ ...
11/03/2025

দূরের হাতছানি ( কাব্যগ্রন্থ)
অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম
জাগৃতি প্রকাশনী
প্রচ্ছদ: লিটন হালদার
প্রকাশক: রাজিয়া রহমান
মূল্য : ২৬০ টাকা

অন্তর থেকে হৃদয় থেকে উপলব্ধিতে উপস্থাপন হয় প্রকৃত
কবিতা।কবির কবিতা পড়তে পড়তে লেখকের লেখা পড়তে পড়তে মনের অজান্তেই পাঠক কবির হৃদয় বা লেখকের হৃদয় আর দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একাত্ম হয়ে যায়।
কবি কী সব নিজের কথাই লেখেন? নাকি সবার কথাই নিজের মতো করে লেখেন?
অনেক সময় অনেক পাঠক প্রশ্ন করেন এই কবিতাটা কেন? কখন? কী ভেবে লিখেছিলেন? ইদানিং এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা প্রতিনিয়ত হই, ফেসবুকের কল্যাণে আর পাঠকদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েই যায়।
আর অনেকেই আমরা যারা কবিতা আবৃত্তি করি তাদের কাছে প্রশ্ন করেন? কেন লিখেছেন ?কোন প্রেক্ষাপটে লিখেছেন ?সেটা ব্যখ্যা করেন। আমার কবিতা অনেকেই যখন আবৃত্তি করেন আমিও ব্যাখ্যা দেই। দিতেও হয়।

তবে লেখক জীবনে লেখকদের মন মানসিকতা অবশ্যই তার লেখার মাধ্যমে ফুটে উঠে।আজ এমন এক গুণী কবি,লেখক সাহিত্যিকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ নিয়ে রিভিউ লিখছি। শ্রদ্ধার সাথে জানাই অসম্ভব মেধাবী একজন মানুষ।পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবক ডাক্তার এনতাজ উদ্দীন আহমেদ। রত্নগর্ভা মা মরহুমা আছিয়া আহমেদ। তাঁর পরিচিতি ছবিতে যুক্ত হলো।
আলোচনা করতে চাই তাঁর লেখা কবিতাগুলো নিয়ে। হৃদয় থেকে সহজসরল সাবলীল কবিতাগুলোর গভীরতায় জানি না পড়তে পড়তে বার বর বিরতি নিয়েছি।
বইমূলার শেষের দিকে তাঁর বইটি আমি প্রকাশ হয়।প্রথম আমার হাতে আসে বলতে পারি আমার সৌভাগ্য হয় প্রথম হাতে পাবার।
কিছু মানুষের ভাগ্য সহজে সৌভাগ্যের স্পর্শ বা পরশপাথর
আপনাআপনি পেয়ে যায়। আমি সবসময় তাদের একজন।
দূর্ভাগ্যকে আমি সবসময় দেখি বা দেখা পাই তা আমার জীবনের পেছনের গলি দিয়ে চলে যাচ্ছে। দূরে থেকেই তার সাথে দেখা হয় এজন্য নিজেকে সৌভাগ্যবানদের তালিকায় দেখি,রাখি সব সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।
অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের দূরের হাতছানি কাব্যগ্রন্থ পড়তে পড়তে সেই অনুভূতি আমার মধ্যে কাজ করছিল।
কিছু কবিতা কিছু লাইন সংক্ষেপে তুলে আনার ইচ্ছা হচ্ছে।

*হিংসা, অহংকার, পরশ্রীকাতরতা, আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে
আমার মুক্তি, আমাদের মুক্তি না হলে জটিলতা থাকবে জেঁকে।
(মানুষের ভালোবাসা)

* হেলায় হারানো নয় প্রতিপদে সচেতনতা
করতে হবে হিসেবী পদক্ষেপের আয়োজন
( চোরকাঁটার প্রেম)

* উন্নয়ন আর দূর্নীতি চলতে পারে কি পাশাপাশি
মানবিকতা, সহমর্মিতা নিয়ে হচ্ছে হাসাহাসি।
বিস্ময় জাগে মনে কি হচ্ছে চারিদিকে
এমন কি হয়? মানুষ হারিয়ে যায় বিবেকে?
(কি হচ্ছে চারদিকে)

* আশা প্রাপ্তি আর প্রত্যাশা সমান যেন হয়,
কারো প্রত্যাশা যদি প্রাপ্তিতে পরিণত হয়,
তবে দেশে থাকবেনা কোন দুঃখ দূর্দশা,
জণগনের হৃদয়ে থাকবে না কোন হতাশা।
সোনার বাংলা গড়ে উঠবে,
দূর্নীতিবাজরা পিছু হটবে।

( প্রাপ্তি বনাম প্রত্যাশা)

পুরো কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতা এক থেকে একাধিকবার পাঠ করে কবিতার সাথে মেলবন্ধনে এক অনাবিল পাঠ আনন্দ,পাঠ অনুসন্ধান, জীবনবোধের চেতনা জাগ্রত,মনের গহীনের গগনে ওঠা সূর্য, রাতের চাঁদ,সেই সাথে দেশ, রাজনীতি, সমাজ মানুষের মানবিক অমানবিক আচরণের
নেতিবাচকতা কত কিছু ভাবনায় এলো দোলা দিল।
কিছু কবিতা অনেক গবেষণামূলক ও তথ্য সমৃদ্ধ এটা উল্লেখ করতেই হবে।

অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম আপা আমাকে বইতে অটোগ্রাফ দিতে দিতে বলছিলেন। এক লেখক আরেক লেখকের লেখা বুঝতে পারবে।তুমি আমার বইটা পড়লে সমালোচনা লিখো।

সমালোচনা হলো নেতিবাচক ইতিবাচক আলোচনা থেকে একটা রায় তৈরি করা। অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমকে নিয়ে নেতিবাচক আলোচনার করার প্রশ্ন আসেই না।অগ্রজ ও অভিজ্ঞতার ভান্ডার তাঁর সমৃদ্ধ। শেখার আছে অনেক কিছু তাঁর কাছে।তবে আমি আগেও উনার প্রবন্ধ, ছোটগল্প জাগৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গ্রন্থ গুলো পড়েছি।সময় স্বল্পতার জন্য পাঠ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

তার একটি গ্রন্থ বৃষ্টি আর এক কাপ চা। বইমেলায় বৃষ্টির মধ্যে
বইটার দিকে চোখ গেল। সেই মূহূর্তে এক সাংবাদিক এসে জিজ্ঞেস করলো বইমেলায় দাঁড়িয়ে এই মূহুর্তে আপনার কোন বই আর কার লেখার কথা মনে পড়ছে।
আমি তাৎক্ষণিক সত্যটা বললাম,এই একটু আগেই বৃষ্টির সাথে আমার মনে পড়ছিল জাগৃতির স্টলে রাখা একটা ব্ই "বৃষ্টি এক কাপ চা " বইটির কথা।
সাংবাদিক বললো,আপনি হুমায়ূন আহমেদের কথা বলতে পারেন। আমি বললাম, "পারি "তবে এই মুহূর্তে যা মনে হচ্ছিল সেই সত্যটাই বললাম।
কবি লেখকরাই পারে মনের সাবলীল সত্য আর সুন্দরকে তুলে ধরতে। একজন আরেকজনের বন্ধু হতে। পাঠক হয়তো বইটা পড়ে আমাদের ফোন দেয়, ইনবক্সে মেসেজ করে।এতো ভালো লাগলো আপনার লেখা আরো লিখবেন।এমন কবিতা আরো চাই, এমন লেখা আরো চাই।
কিন্তু একজন লেখক লেখকের লেখাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে অনুসন্ধান করে লেখককে অন্তর দিয়ে আন্তরিকতায় স্পর্শ করে।

অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের সুস্থ সুন্দর নিরাপদ জীবন এর জন্য প্রার্থনা। এটি তাঁর অষ্টম গ্রন্থ।আরো গ্রন্থ সংযুক্ত হবে বাংলা সাহিত্য ভান্ডারে এই প্রত্যাশা।

মেহবুবা হক রুমা
(কবি ও লেখক)
১১/৩/২৫

তবুও আলো আছে জাগৃতি প্রকাশনী প্রচ্ছদ: লিটন হালদার প্রকাশক: রাজিয়া রহমান মূল্য: ৩০০ টাকা বইমেলা চলাকালীন সময় একটা উপন্য...
04/03/2025

তবুও আলো আছে
জাগৃতি প্রকাশনী
প্রচ্ছদ: লিটন হালদার
প্রকাশক: রাজিয়া রহমান
মূল্য: ৩০০ টাকা

বইমেলা চলাকালীন সময় একটা উপন্যাস পড়া শুরু করেছিলাম জাগৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত মিঠুন অধিকারীর লেখা "তবুও আলো আছে" একটা ইতিবাচক নাম আকর্ষণ করলো।বইয়ের ফ্লাপটা পড়ে সত্য ঘটনা অবলম্বনে তথ্যবহুল উপন্যাসটি পড়ার আগ্রহ থেকে নিজেকে আর বঞ্চিত করলাম না।কোভিট -১৯ ,৮ মার্চ ২০২০ একটা ভয়াবহ যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের মানুষের। ধীরে ধীরে কিভাবে আমরা বদলে যাওয়া পৃথিবীর সাথে যুদ্ধ করেছি।করোনা পজেটিভ এই শব্দটি কানে আসার সাথে সাথে শুরুতে কেমন অনুভূতি হতো? মনে পড়লে আজো আমি শিউরে উঠি। কেমন একটা ভয়াবহ সময় আমরা পার করেছি। মানুষ মানুষের মুখ দেখে না। স্পর্শ করে না, তিনফিট দূরত্ব। এখানে ভাইরাস সেখানে ভাইরাস অদৃশ্য ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।শ্বাস কষ্ট উঠে মৃত্যু। এরপর মৃতের প্রিয়জন বিহীন জানাজা।
মনে মনে ভেবেছি কত বড় পাপের শাস্তি ভোগ করতে বসেছি আমরা। একেকবার মনে হয়েছে একে একে সবাই আমরা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বের একটার পর একটা দেশ লকডাউন।
তখনো দেখেছি বিবেক বর্জিত মানুষের খাদক রূপ। বছরের বাজার একসাথে করে ফেলা। না খেয়ে মরা যাবে না। কাজকর্ম বন্ধ,ব্যবসা বন্ধ, পড়াশোনা বন্ধ। মন্দের ভালো হয়ে জীবন যোগাযোগ সহজ করেছিল এই অনলাইন।
বাহিরের ব্যস্ত জীবনের ব্যস্ততা ফেলে শুরু হলো ঘরমুখো জীবন। এরমধ্যে কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করলো মানুষের সেবা। চিকিৎসকরা,নার্সরা পেশায় নিয়োজিত থাকলেন। কত চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করলেন।
করোনাকালীন মৃত্যুকেও শহীদি মৃত্যুর মর্যাদা দিলেন মানুষ। উপন্যাসটি পড়তে পড়তে লেখকের আত্মজীবনীর সব ঘটনার সাথে নিজের ঘটনা মিলে যাচ্ছিল হুবহু। আমাদের পরিবারে আমার হাসব্যান্ড কে নিয়ে ভয়াবহ সাতটা দিন হাসপাতালে যা কোনদিন ভুলবো না।
কী ভয়! কী আতংক! করোনা পেসেন্টদের জোনকে বলা হচ্ছে রেড়জোন। দরজায় বড় করে একটা ক্রস চিহ্ন যেটা দেখেই বুকটা ধড়ফড় করতো। এরপরেও মৃত্যু সত্য এই সত্য মেনে নিয়ে বেঁচে থাকার যুদ্ধ আমরাও করেছিলাম।
একটা সময় সাহস সঞ্চার করলাম মৃত্যু হলে হবে।আমরা পরিবারের সবাই একসাথে থাকবো।কেউ কারো থেকে দূরে যাবো না।
ভালো থাকতে হবে, বাঁচতে হবে। হাসব্যান্ড সুস্থ হলে সাহস ফিরে পেলাম। এই উপন্যাস পড়তে পড়তে নিজের স্মৃতিতে হারিয়ে যাচ্ছিলাম বার বার। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা। এরপরেও যুক্ত হলো কত কত মৃত্যুর তালিকায় মানুষের নাম। পত্রিকার পাতায় এতো জন সনাক্ত এতো জনের মৃত্যু কী ভয়াবহ একটা সময় কাটিয়েছি।
এরপরেও এখন এই উপন্যাস পড়তে পড়তে ভাবলাম সব কী ভুলে গেছি আমরা? শুধরে যাবার কথা, শুদ্ধ হবার কথা। প্রকৃতির প্রতিশোধ রূপে করোনা ভাইরাস এসে থমকে দিয়েছিল পৃথিবী। আবার ভুলে গেলাম।
লেখকের লেখার ধরণ সাবলীল আর আকর্ষণীয়। লেখার দক্ষতায় পাঠককে টেনে শেষ অবধি নেবার আকর্ষণ আছে উপন্যাসটিতে। তাছাড়াও কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা, প্রজ্ঞাবানদের উক্তি,নীতি আদর্শের দিকনির্দেশনা উপন্যাসটিকে সমৃদ্ধ করেছে। পাঠে আনন্দের সাথে স্মৃতি,সেই সাথে জ্ঞান দুটোই পাবেন। লেখকের এটি বারোতম গ্রন্থ তাই লেখার সৌন্দর্য আর শৃঙ্খলা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
আমি লেখকের এই চমৎকার উপন্যাসটির পাঠক প্রিয়তা প্রত্যাশা করছি। পরবর্তী গ্রন্থের অপেক্ষা থাকলো।

মেহবুবা হক রুমা
(কবি ও লেখক)
৪/৩/২৫

বইমেলার অনুভূতি বইমেলা শেষ। মনটা শূন্য শূন্য লাগলেও। এদের ঘুরেফিরে দেখতে ভালো লাগছে। ছেলে মেয়ে জানতে চাইছে। কেমন গেল তো...
01/03/2025

বইমেলার অনুভূতি

বইমেলা শেষ। মনটা শূন্য শূন্য লাগলেও। এদের ঘুরেফিরে দেখতে ভালো লাগছে। ছেলে মেয়ে জানতে চাইছে। কেমন গেল তোমার ব্ইমেলা। অনুভূতি কী?

সফলভাবে প্রতিদিন টানা ২৮ দিন উপস্থিত থেকে রেকর্ড করেছি। এটা একটা অর্জন পঁচিশের পঞ্চরস নিয়ে জীবনের পঞ্চাশতম বছরে।

এরপর হারানোর শূণ্যতা সৃষ্টিকর্তা অন্যভাবে পূরণ করেন যদি মানুষ অন্তর থেকে ঈর্ষামুক্ত আর সৎ চিন্তা করে।
এরপর মানুষের জন্য কিছু করতে পারার কাজে অংশগ্রহণ
ছিল এবছর। এক নতুন লেখক বই মেলায় প্রবেশ করার অংশগ্রহণ করার কৃতিত্বের অংশীদার করেছে আমাকে
এটাও প্রাপ্তি আমার জীবনের।

এরপরেও বন্ধুদের সাথে, তাদের কাজের সাথে অনেকেই আমাকে অংশীদার করেছে ভালোবেসে।এই ভালোবাসা অমূল্য প্রাপ্তি।

সবকিছুর সাথে যে কথাটা বলতে চাই জাগৃতি প্রকাশনীর
কথা। আমার ১৬টি গ্রন্থ এই প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়েছে।
আমার সবগুলো গ্রন্থের প্রকাশক জাগৃতি প্রকাশনী। প্রকাশক রাজিয়া রহমান।

স্টলের পেছনে একজন শহীদ প্রকাশকের ছবি থাকে "ফয়সল আরেফিন দীপন"যিনি স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। অনেক হাসাহাসি আর আনন্দ করতে করতে ছবিটার দিকে চোখ গেলে আমিও ভাবি উনি দেখছেন, বলছেন ধন্যবাদ জলি জেগে আছে আছে জাগৃতি। অনেক ভালো তোমার নতুন নতুন লেখক লেখিকার দল। হাসি আনন্দে সবসময় করছে কলকল,ছলছল।

আমিও জেগে থাকি তোমাদের হাসির শব্দে,আনন্দে,দুঃখে।
সবাই তোমার কাছে আমার হয়ে আসে। প্রশ্ন করে কেমন আছে?
তুমি বল ভালো নেই, বেচাবিক্রি নেই, মাছি মারছি,মাছিও নেই। তুমিও হাসো তোমার সাথে আমিও হাসি।

অনেকেই যারা আমাকে চিনে চিনতো তারা আমাকে দেখতে আসে। যারা চিনে না নতুন প্রজন্ম অনেকেই প্রশ্ন করে উনি কে?
নতুন লেখকরা আমার পরিচয় করিয়ে দেয়। আমি দেখি সব দেখি। আমিও বলি আমি ফয়সল আরেফিন দীপন।
আমি জলির দীপন আমরা দীপাঞ্জলি।

দীপনের দীপ জলি জ্বালিয়ে রেখেছে। জাগিয়ে রেখেছে জাগৃতি। আমি জেগে আছি তোমাদের সাথে আছি। অপলক দৃষ্টিতে তোমাদের দেখি। আমার খুব ভালো লাগে।
ছবি তোলার সময়, ভিডিও করার সময় তোমরা আমাকে সাথে রাখো। এতো ভালোবাসা নিয়ে আমি জেগে থাকি চেয়ে থাকি। আমার ঘুমাতে ইচ্ছে করে না।

আমার মনে হয় এগুলো আমার কোন কল্পনা না।স্টলে থাকাকালীন সময় আমি অনুভব করি। জাগৃতি প্রকাশনী
আমার কাছে এমন প্রকাশনী কখনোই মনে হয় না। যেখানে টাকা দিয়ে বই ছেপে লেখক হয়ে ওঠা যায়।

জাগৃতি নামের অর্থ জাগরণের ডাক। ফয়সল আরেফিন দীপন কেমন প্রকাশক ছিলেন। একজন শুভবুদ্ধির নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন দক্ষ যোগ্য প্রকাশক ছিলেন।সে ইতিহাসের সাক্ষী অনেক আছে এখনো যারা নিজ মুখেই বলেন দীপন ভাইয়ের কথা।

আর জলি আপা যখন জাগৃতির হাল ধরেন ২০১৬ সাল
এবছর তাঁর প্রকাশক জীবনের দশবছর পূর্তি। আমার একক বই নিয়ে লেখক জীবনের আট বছর পূরণ হলো।

লোভ, প্রলোভন এসবের হাতছানি আমাকে কখনো আকৃষ্ট করে না। ভবিষ্যতেও করবে না। ভালোবাসা, সম্পর্ক আর হৃদ্যতার ডাক মানুষ উপেক্ষা করতে পারে না। আমিও পারি না। অনুভূতির ফুলের পাপড়িগুলো অনেক কোমল।

লেখা লিখতে লিখতে চোখ ভিজে যাচ্ছে।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার শুভ সমপণী হলো গতকাল। চলে গেল ঐতিহাসিক ফেব্রুয়ারি মাস। আজ থেকে মার্চ শুরু ৭১ এর উতপ্ত মার্চ এর চেতনা আমাদের অন্তরে। আর আজ থেকে শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান।

সুস্থ সুন্দর নিরাপদ হোক সবার জীবন
শুভ বুদ্ধির উদয় হোক
বোধের বোধদয় হোক

মেহবুবা হক রুমা
(কবি ও লেখক)
১/৩/২৫

বইমেলায় অসংখ্য মানুষের পছন্দ থ্রিলার কিং তুহিন রহমানের থ্রিলার বইগুলো:ওরা চারশো বছর বাঁচেওরা আশেপাশেই আছেবুড়োর কফিন
27/02/2025

বইমেলায় অসংখ্য মানুষের পছন্দ থ্রিলার কিং তুহিন রহমানের থ্রিলার বইগুলো:
ওরা চারশো বছর বাঁচে
ওরা আশেপাশেই আছে
বুড়োর কফিন

বইমেলায় ছাব্বিশতম দিন চলে গেল।চিড়া চানাচুর খেতে খেতে।
27/02/2025

বইমেলায় ছাব্বিশতম দিন চলে গেল।
চিড়া চানাচুর খেতে খেতে।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫। বই বিক্রির অবস্থা জানতে আসে সাংবাদিক। জীবনে টাকা পয়সা সব না মানসিক শান্তি দরকার। হাসিখুশি থা...
25/02/2025

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫। বই বিক্রির অবস্থা জানতে আসে সাংবাদিক। জীবনে টাকা পয়সা সব না মানসিক শান্তি দরকার। হাসিখুশি থাকা দরকার এজন্য টাকা ছাড়াই আমরা হাসিখুশি থাকি।

বিক্রি বিক্রি করে লাভ নেই। প্রকাশক আপার সাথে কিরিকিরি আলুর চিপস খাই।

23/02/2025

জাগৃতি প্রকাশনী দেখে মেয়েটির নাম জাগৃতি রেখেছে বাবা মা।পুরো গল্পটি ভিডিওতে।

জয়তু জাগৃতি প্রকাশনী

19/02/2025

তুহিন রহমানের "ওরা চারশো বছর বাঁচে" এর পাঠক রিভিউ।
Credits: নন্দিতা বৃষ্টি।

ওরা চারশো বছর বাঁচে'অতুল ভালোবাসা আর ক্ষমতার দ্বন্দ্বের এক অবাক উপাখ্যান'কেউ কি আসলে বাঁচে চারশো বছর!? বাঁচে না! না, বাঁ...
18/02/2025

ওরা চারশো বছর বাঁচে
'অতুল ভালোবাসা আর ক্ষমতার দ্বন্দ্বের এক অবাক উপাখ্যান'

কেউ কি আসলে বাঁচে চারশো বছর!? বাঁচে না! না, বাঁচে তো! এ উপন্যাসের নায়ক নিশান যুবকটি বাঁচবে এত বছর এ ধরায়!?

নিশান এরিনার কাছে এসে পরম সৌন্দর্যের অধিকারী এক যুবকে পরিণত হলো। এমন কী কারণ ছিল ওর এ রূপান্তরের! ও কি আসলেই ৪০০ বছর জীবন অতিবাহিত করবে? সব আপনজনরাই ধরার মাঝে রইল না, তো কী লাভ এত বছর বেঁচে?

শহরে আচমকাই দেখা মিলছে সম্পূর্ণ খুবলে খাওয়া মনুষ্য কংকাল। কোন বিভৎস, অতিমানবীয় দানব এমন কান্ড ঘটাচ্ছে নাকি এক বা একাধিক সাইকোপ্যাথের কারসাজি?

প্রেম, সন্দেহ, টুইস্ট, হিস্টোরিক ফ্যান্টাসি, সায়েন্স ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের অপূর্ব সমারোহ এ বইখানা।

ডার্ক ফ্যান্টাসি থ্রিলার জনরাকে বলা যায়, থ্রিলার জনরারই ১টি উপজনরা। এ জনরার এ বইটি থ্রিলার গোগ্রাসে গেলা পাঠকরা সাদরে গ্রহণ করেছে।

এক দৃষ্টিতে 'ওরা চারশো বছর বাঁচে'

বইয়ের নাম: ওরা চারশো বছর বাঁচে
লেখক: তুহিন রহমান
প্রকাশনা: জাগৃতি প্রকাশনী
বইমেলা স্টল নাম্বার ৬৪৪-৬৪৫-৬৪৬
জনরা: ডার্ক ফ্যান্টাসি থ্রিলার
মলাট মূল্য: ৪৫০/- টাকা।
বইমেলার দাম: ৩৫০ টাকা

Address

ঢাকা

Telephone

+8801998713539

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jagrity Prokashoni - জাগৃতি প্রকাশনী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jagrity Prokashoni - জাগৃতি প্রকাশনী:

Share

Category