
07/08/2025
কোরিয়ান ইপিজেডে চাকরির আশ্বাস দিয়ে আনা হয় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়। একটি নির্জন ঝুপড়ি ঘরে এক তরুণীকে প্রথমে ধ*র্ষণ করে এক যুবক, পরদিন ভোরে একই স্থানে আরও চারজন মিলে গণ ধ*র্ষণ করে। এমন এক অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পারুয়াপাড়া এলাকার বৈদ্যের বাড়ির মৃত হাফেজ আব্দুল খালেকের পুত্র এনামুল হক ওরফে রিপন (২৭) এবং বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের নজীর আহমেদের পুত্র মোঃ সাইফুদ্দিন (৩৪)।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি চাকরির সন্ধানে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এক তরুণী চট্টগ্রামে তার আত্মীয়ের বাসায় আসেন। কর্ণফুলী ইপিজেডের একটি গার্মেন্টসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এনামুল হক গেল সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে নিয়ে যান। সারা দিন বিভিন্ন কারখানায় ঘোরানোর পর সন্ধ্যার দিকে ওই যুবক তরুণীকে আনোয়ারা থানাধীন বোয়ালিয়া এলাকার একটি নির্জন খামারের পাশে পলিথিনে মোড়া একটি ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধ*র্ষণ করেন। পরে তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেলে পারিবারিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রাতে পাশের একটি বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয় তার জন্য।
পরদিন, ৫ আগস্ট ভোরে ওই যুবক তাকে শহরে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলে আবারও একই পথ দিয়ে ফেরার সময় আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আরও চারজন, যাদের মধ্যে একজন চিহ্নিত ও বাকি তিনজন অজ্ঞাত, তরুণীকে জোর করে আবারও ওই ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে যায় এবং সংঘবদ্ধভাবে ধ*র্ষণ করে।
তরুণীর চিৎকারে এবং ওই যুবকের ৯৯৯-এ ফোন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তাকে উদ্ধার করে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এনামুল হককে আটক করা হয়। বাকি আসামিরা পালিয়ে যায়।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘আমরা ৯৯৯-এ নাম্বারে ফোন পেয়ে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করি। পরবর্তীতে থানায় মামলা দায়ের করে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। ভুক্তভোগী বর্তমানে আইনি সহায়তা ও চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন।’