03/10/2025
“হাট্টিমাটিম টিম তারা মাঠে পাড়ে ডিম,
হাট্টিমাটিম টিম তাদের খাঁড়া দুটো শিং।”
প্রথম শ্রেণীতে পড়ার সময় দ্বিতীয় শ্রেণীর বড়ভাইদের সাথে দেখা হলে তারা প্রায়ই বলতো—
“ওয়ানের পড়াশোনা তো খুব সহজ, টু-তে উঠলেই বোঝবা আসল কষ্ট!”
তাদের মোটা মোটা বই দেখিয়ে এমনভাবে ভাব ধরতো যেন পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন পড়া তাদের।😅
কিন্তু মজার বিষয় হলো, যখন আমি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠলাম, তখন আবার তৃতীয় শ্রেণীর ভাইয়েরা একইভাবে ‘বাঁশ’ দিতে লাগলো।😌
শুধু ছাত্রজীবনেই নয়, বাস্তব জীবনেও অনেককে দেখি, যারা নিজেদের কাজ বা অভিজ্ঞতাকে ছোটদের সাথে তুলনা করে বড় ভাব দেখাতে চায়। অথচ তারা বুঝতে চায় না, ছোটদের মানসিক বিকাশ, চিন্তার ধরণ বা শারীরিক সামর্থ্য বড়দের মতো নয়।
হ্যাঁ, বড়দের অভিজ্ঞতা অবশ্যই বেশি থাকবে—সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর মানে এই নয় যে অনুপ্রেরণার নাম করে ছোটদের তুচ্ছ করা যাবে। অনেক সময় তাদের কথাবার্তা এমন মনে হয়, যেন জীবনের সব শিক্ষা কেবল তারাই অর্জন করেছে, আর ছোটরা কখনোই সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারবে না। ব্যাপারটা অনেকটা ক্লাস ওয়ান-টু’র মতো হাস্যকর।😅
মানুষ ছোট থেকে বড় হয়, নানা ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হয়। জীবনের কঠিন বাস্তবতা মেনে নিতেই হয়। ইতিহাসে দেখা যায়, অনেকেই দুঃসময়ে আত্মহত্যার মতো ভুল পথে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়ে তারা বুঝেছে—এটাই জীবনের শেষ সমাধান নয়।
প্রত্যেক মানুষের বিকাশ সময়, পরিবেশ ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। কারও দক্ষতা একদিনে গড়ে ওঠে না। ছোটবেলার আনন্দ, খেলার ঝোঁক একসময় বদলে যায় অন্য বাস্তবতায়। তাই বড়রা যদি সত্যিই অনুপ্রেরণা দিতে চায়, তবে আগে বুঝতে হবে—
সে মানুষটির চিন্তা, মানসিকতা, চরিত্র, স্বপ্ন ও পরিবেশ কেমন। আপনার বলা কথা তাকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে, নাকি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে—এটা ভেবে বলা উচিত।
নেতৃত্ব সবাই দিতে পারে না। আর নিজেকে সবজান্তা ভাবাটা বন্ধ করতে হবে। শেখার কোনো শেষ নেই।
যাই হোক, আমার কথাগুলো কেউ সিরিয়াসলি নেবেন না। ইটস নরমাল! 😎😂
✍️ Mohosin Reza