Sisters creation

Sisters creation Assalamualaikum. Welcome to Sisters creation

“সন্ধ্যার ছায়া”সন্ধ্যা নেমেছে গ্রামটায়। বাতাসে এক ধরনের অজানা শূন্যতা। পাখিরা ডেকে উঠে বাসায় ফিরছে, গরুগুলোও ফিরে এসে...
02/07/2025

“সন্ধ্যার ছায়া”

সন্ধ্যা নেমেছে গ্রামটায়। বাতাসে এক ধরনের অজানা শূন্যতা। পাখিরা ডেকে উঠে বাসায় ফিরছে, গরুগুলোও ফিরে এসেছে খোঁয়াড়ে। কিন্তু ঝুমুর এখনও পথ চেয়ে বসে আছে উঠোনে, হাতে তার বই, চোখে একরাশ আতঙ্ক।

ঝুমুর একটা গ্রামের মেয়ে। সবে দশম শ্রেণিতে পড়ে। পড়ালেখায় ভালো, স্বপ্ন দেখে শহরে গিয়ে কলেজে পড়বে। কিন্তু সেই স্বপ্নে বারবার ছায়ার মতো ঢেকে যায় সন্ধ্যার অন্ধকার।

তার বাবা একজন দিনমজুর, সারাদিন মাঠে কাজ করেন। মা গৃহস্থালির কাজ সামলান। সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে থাকা এক ধরনের “নিষিদ্ধ” ব্যাপার যেন। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য।

ঝুমুরের সমস্যা শুরু সন্ধ্যার পর। পাশের বাড়ির রহিম চাচা — একজন বয়স্ক লোক, যিনি মাঝে মাঝেই অজুহাতে তাদের বাড়িতে আসে। ঝুমুরের দিকে তার দৃষ্টির ভাষা ঝুমুর বুঝে ফেলে ছোটবেলাতেই। সন্ধ্যা নামলেই সে দরজা বন্ধ করে পড়তে বসে। কিন্তু শান্তি পায় না। ছাদে পায়ের আওয়াজ, দরজায় হালকা ঠোকাঠুকি – সব যেন তার বুক কাঁপিয়ে তোলে।

একদিন সে সাহস করে মাকে বলেছিল, “মা, রহিম চাচা মাঝে মাঝেই অদ্ভুতভাবে তাকায়।” মা তাকে থামিয়ে বলেছিল, “ছেলেমানুষ এসব বলে না, কুলক্ষণ করিস না।”

ঝুমুর চুপ করে যায়। সেদিন সে বুঝে যায়, মেয়েদের সবচেয়ে বড় শত্রু শুধুই কোন অপরিচিত মানুষ নয়, সমাজের চেপে ধরা চুপ করিয়ে দেয়া রীতিও।

একদিন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে রহিম চাচা আবার আসে। বাবা তখনও বাড়ি ফেরেনি। মা রান্না ঘরে। ঝুমুর একা ঘরে। দরজার ছিটকিনি দেয়া, তবু হৃদয়ে ভয় ঢেউ তোলে।

তখনই সে সিদ্ধান্ত নেয় – আর না।

মোবাইলটা নিয়ে একটা ভিডিও রেকর্ড শুরু করে রাখে। দরজা খুলে বলে, “চাচা, কিছু দরকার?” রহিম ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে — তখনই ঝুমুর বলে, “আপনি আর এক পা এগুলেই আমি পুলিশে ফোন করব, আর ভিডিওটা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেব।”

রহিম থমকে যায়। কণ্ঠ শক্ত করে ঝুমুর বলে, “আমি ভয় পাই না আর। এই অন্ধকার আমার নয়, আপনার লজ্জা লুকায়। আমি আলো চাই, আমার মতো মেয়েদের জন্য।”

সেই রাতটা কেটে যায় নতুন ভোরের আশায়। পরদিন ঝুমুর তার মাকে আবার বলে, এবার মা তাকে বোঝে। বাবা থানায় যায় অভিযোগ করতে।

ঝুমুর আজ স্কুলে যায়, সন্ধ্যায় কোচিংও করে। নিজের জন্য, অন্য মেয়েদের জন্য — কারণ, সে জানে, অন্ধকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে একটুখানি আলোই যথেষ্ট।

সন্ধ্যা শুধু সূর্য ডোবার সময় নয়, বহু মেয়ের মনে ভয়, দুঃশ্চিন্তা আর অনিশ্চয়তার নাম। কিন্তু যদি কেউ একবার সাহস করে দাঁড়ায়, তবে আলো ফিরতেই বাধ্য।

02/07/2025

Good morning

❤️Good evening❤️
01/07/2025

❤️Good evening❤️

জীবন যুদ্ধনড়াইল জেলার এক অজ পাড়াগাঁয়ে জন্ম নেয় হাসিব। ছোট্ট একটা খড়ের ঘর, ভাঙা একটা খাট, আর বারান্দায় রাখা মাটির কলস—এই ...
01/07/2025

জীবন যুদ্ধ

নড়াইল জেলার এক অজ পাড়াগাঁয়ে জন্ম নেয় হাসিব। ছোট্ট একটা খড়ের ঘর, ভাঙা একটা খাট, আর বারান্দায় রাখা মাটির কলস—এই ছিল তার শৈশবের চিত্র। বাবা সাইফুল ছিলেন একজন দিনমজুর। মাটি কাটা, ইট টানা, ক্ষেত করা—যা কাজ পান তাই করতেন। মা রহিমা বেগম সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের বাড়িগুলোতে ঝিয়ের কাজ করতেন।

তিন ভাই-বোনের মধ্যে হাসিব ছিল সবার বড়। সেই ছোট্ট বয়সেই দায়িত্বের বোঝা যেন তার কোমরে বাঁধা ছিল।
তবুও প্রতিদিন সকালে স্কুলের পুরোনো ইউনিফর্ম পরে হাসিমুখে ছুটে যেত সে স্কুলে। তার ক্লাসে একটা পুরোনো বেঞ্চের কোণায় বসে সে যখন স্যারদের কথা শুনত, তখন চোখে-মুখে থাকত একরাশ বিশ্বাস। সে জানত, তার ভবিষ্যৎ অন্যরকম হবে।

ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠার পর বাবার আয়ের ওপর পুরো পরিবারের চলা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। মা বললেন, “হাসিব, তুই একটু হাটে গিয়ে সন্ধ্যাবেলা চা বিক্রি করবি, যাতে তোদের লেখাপড়া বন্ধ না হয়।”
হাসিব রাজি হয়। স্কুল শেষে হাটে গিয়ে ছোট্ট একটা চায়ের দোকানে কাজ নেয়। সারাদিন ক্লাস, বিকেলে কাজ, আর রাত হলে কুপির আলোয় পড়াশোনা।

তাকে অনেকে বলত, “এই কষ্ট করে কি হবে? চা-ওয়ালার ছেলে কি বড় হয়?”
হাসিব হাসত, বলত, “বড় হতেই হবে। এই যুদ্ধ জিততেই হবে।”

এসএসসি পরীক্ষার সময় তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। দোকান চালানোও বন্ধ হয়। তখন সে নিজেই একটা চায়ের দোকান খুলে বসে। দিনে স্কুল, রাতে দোকান। এমন করেই সে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পায়। সারা গ্রাম অবাক!

এরপর শহরে গিয়ে কলেজে ভর্তি হয়। খেয়ে-না খেয়ে দিন যায়। সে একাধিক টিউশন করে, বিকেলে একটা লাইব্রেরিতে পার্টটাইম কাজ নেয়। ছুটির দিনগুলোতে বাসায় বাসায় গিয়ে ছোটদের পড়ায়। শহরে কেউ জানত না, হাসিব নামের এই ছেলেটা প্রতিরাতে কখনো আধপেটা খায়, কখনো শুধু পানি খেয়ে ঘুমায়।

তবুও সে পড়ত। কারণ সে জানত, এ লড়াই একদিন তাকে অন্য মানুষ বানাবে।

হাসিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়। সবাই বলে, “তুই কি পারবি? শহরের বড় ছেলেরা কোথায়, তুই কোথায়!”
কিন্তু ফলাফল বের হলে দেখা গেল—হাসিব মেধা তালিকায় নাম লিখিয়েছে। পুরো গ্রাম আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরও যুদ্ধ থামে না। পড়াশোনা, টিউশন, খরচ চালানো—সব কিছু একা করে সে। তবুও হাসে। কারণ তার ভিতরে ছিল এক অদম্য শক্তি।

চাকরির সময় আসে। বিসিএস দেয়। তিনবার চেষ্টা করেও যখন চাকরি হয় না, সে ভেঙে পড়ে না। চতুর্থবার, শেষ সুযোগ। এবার সে সফল হয়। প্রশাসন ক্যাডারে জায়গা করে নেয়।

পাঁচ বছর পর গ্রামের স্কুলে অতিথি হয়ে আসে সে। নতুন পোশাক, চোখে চশমা, গায়ে আত্মবিশ্বাস। স্কুল মাঠে দাঁড়িয়ে সে বলে—
“আমি আজ এখানে দাঁড়িয়ে শুধু একজন অফিসার না, আমি একজন যোদ্ধা। জীবনের প্রতিটি ধাপে আমি যুদ্ধ করেছি—ক্ষুধার সঙ্গে, অবহেলার সঙ্গে, হারের সঙ্গে। তোমরাও পারবে, যদি নিজেকে বিশ্বাস করো, পরিশ্রম করো।”

ছাত্রছাত্রীরা দাঁড়িয়ে তালি দেয়। কেউ কেউ চোখ মুছে। স্যাররা চোখের কোণে জল লুকান।

শেষ কথা:

জীবন একটা যুদ্ধ, এখানে বড় হওয়ার জন্য রক্ত-ঘাম ঝরাতে হয়। যারা বাস্তবতা মেনে নিয়ে সংগ্রাম করে, তারাই একদিন পৃথিবী বদলে দেয়।

হাসিবের গল্প তোমারও হতে পারে। যদি হার না মানো। যদি লড়াই করে যাও।

❤️Good evening❤️        #বাগানবিলাস
29/06/2025

❤️Good evening❤️


#বাগানবিলাস

28/06/2025

assalamualaikum
Good night

28/06/2025

"একটা বউ যদি নতুন গাছ হয়,
তবে শাশুড়ি তার মাটি।
কিন্তু যখন দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকে দুই ননদ—
তখন সেই গাছটা ঠিকমতো বাড়তেই পারে না..."

Assalamualaikum ❤️জুম্মা মোবারক❤️
27/06/2025

Assalamualaikum
❤️জুম্মা মোবারক❤️

26/06/2025

Good Night

26/06/2025

"❣️❣️হিল, শাড়ি আর ম্যাচিং গয়না যতটা নজরকাড়া, তার চেয়েও বেশি গোছানো তার জীবনযুদ্ধের ছক।"❣️❣️

Address

Badda

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sisters creation posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share