25/05/2025
এই গরমে শিশুদের রোগ থেকে দূরে রাখতে যা যা করণীয় — সচেতন হোন এখনই!
গ্রীষ্মকালে আমাদের ছোট্ট সোনামণিদের শরীর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। অতিরিক্ত গরম, ধুলাবালি, ঘাম এবং পানিশূন্যতা শিশুদের সহজেই নানা ধরনের অসুস্থতায় ভোগাতে পারে — যেমন জ্বর, ঘামাচি, ডায়রিয়া, হিট র্যাশ, হজমের সমস্যা, পানিশূন্যতা, ইনফেকশন ইত্যাদি।
তবে একটু সচেতন হলেই শিশুকে সুস্থ রাখা যায় এই দাবদাহের মধ্যে। জেনে নিন গরমে শিশুর যত্ন নেওয়ার কিছু কার্যকর করণীয়:
১. পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:
প্রতিদিন ১-২ বার ঠান্ডা পানি দিয়ে শিশুকে গোসল করান। শরীরের ঘাম ও ধুলা মুছে ফেলুন, বিশেষ করে ঘাড়, পিঠ, বগল ও শরীরের ভাঁজে ভাঁজে।
২. হালকা ও সুতির জামা পরান:
ঘাম না ধরে এমন ঢিলেঢালা সুতির জামা শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো। সিনথেটিক বা মোটা কাপড় শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
৩. ঘামে ভেজা জামা দ্রুত বদলান:
শিশুর জামা ভিজে গেলে তা দ্রুত বদলে দিন। ভেজা জামা পরে থাকলে ঠান্ডা লাগতে পারে বা চর্মরোগ হতে পারে।
৪. পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার দিন:
শিশুকে পর্যাপ্ত পানি, ডাবের পানি, ফলের রস ও সহজপাচ্য তরল খাবার দিন। গরমে শিশু খুব সহজেই পানিশূন্যতায় ভুগতে পারে।
৫. রোদ এড়িয়ে চলুন:
দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদ খুব তীব্র থাকে। এই সময় শিশুকে বাইরে নিয়ে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।
৬. খাবারে সতর্কতা:
বাসি খাবার শিশুকে খাওয়াবেন না। ঘরে তৈরি, তাজা ও হালকা খাবার দিন। বাইরের খাবার থেকে বিরত থাকুন।
৭. ঘর ঠাণ্ডা রাখুন:
শিশুর ঘরটি যেন আলো-বাতাসপূর্ণ ও তুলনামূলক ঠাণ্ডা থাকে তা নিশ্চিত করুন। ফ্যান বা এসি থাকলে মাঝারি তাপমাত্রায় রাখুন।
৮. ত্বকের যত্ন নিন:
ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দিলে শিশুদের জন্য নির্ধারিত মেডিকেটেড পাউডার বা লোশন ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৯. অসুস্থতার লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যান:
শিশু যদি অতিরিক্ত ঘাম, খাওয়ায় অনীহা, ডায়রিয়া, বমি বা অস্বাভাবিক আচরণ করে, তবে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সন্তানকে সুস্থ ও হাসিখুশি রাখতে এই গরমে আপনাকেই হতে হবে সতর্ক।
এই তথ্যগুলো আপনার বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করুন, যাতে সকল শিশু সুস্থ ও নিরাপদ থাকে।
আপনার মতামত বা পরামর্শ কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। সকলে মিলে গড়ে তুলি সচেতন অভিভাবক সমাজ!❤️🧡