27/11/2022
একটা শিশু ছিলো। নাম আয়াত.......
এই ছোট্ট বাচ্চাটা আজ থেকে ঠিক নয়দিন আগে হারিয়ে গিয়েছিলো। সোশ্যাল মিডিয়া মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, ইউটিউব সব সবখানে তার ছবি ঘুরপাক খাচ্ছিলো। সব সময় ওকে নিয়ে করা সব কিছুকে অবজারভেশনে রেখেছিলাম। প্রথম যেদিন ওর আর্জেন্টিনার জার্সি পরিহিত ছবিটা দেখলাম। আমার হার্ট হঠাৎ ধুপ করে উঠেছিলো। এখনো মনে করতে পারি ওই মোমেন্টটা। এত্ত সুন্দর একটা বাচ্চা। মায়াবী চেহারা। দেখলেই মায়া লেগে উঠে। কেউ না কেউ নিশ্চয়ই খুঁজে পেয়ে ওর বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিবে এতটুকু বিশ্বাস রেখেছিলাম।
তবে গত নয়টা দিন আমি এই ভুল ধারণা নিয়ে ছিলাম। আয়াত আমার কেউ না। তাকে আমি চিনিও না। সে কার মেয়ে আমি সেটাও জানিনা। এসব কিছু হওয়া স্বত্বেও মনের মধ্যে আশা ছিলো যে ওকে পাওয়া যাবে। প্রতিনিয়ত ঘেটেঘুটে যতটুকু পাওয়া যায় খবর নেওয়ার চেষ্টা করতাম।
তবে, আজ আমার সকল ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিয়ে মায়াবী চেহারার সেই অবুজ আয়াতের লাশ উদ্ধার করা হলো। কেটে ছয় টুকরা করা হয়েছে। ইয়া আল্লাহ আমার লিখতেও হাত কাঁপছে। চোখ ঝাপসা লাগছে। কে হত্যা করেছে, কয় টুকরো করেছে, কেনো করেছে তা নিয়ে লিখার আর রুচিবোধ কিংবা শক্তি কোনটাই নেই। নিউজ দেখলেই জানতে পারবেন।
আমরা নাকি আশরাফুল মাখলুকাত। আহা....আমরাই সেরা আবার আমরাই নিকৃষ্ট হয়ে বসে আছি।
আয়াত.....বোন
আমি তোমার কিছু হই না। তোমার বাবা-মা আত্বীয়-স্বজন কিংবা তোমার সাথে আমার কোনদিন দেখা হয়নি। তারপরেও বলছি, তোমাকে জন্ম দেয়া সেই শ্রেষ্ঠ বাবা মা যারা তোমাকে ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছে। উনারা মানুষ। তুমিও মানুষ। তোমার এই অজানা বড়ভাইটাও মানুষ এবং যে তোমাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিয়েছে সেও মানুষ। দেখো, আমাদের সবার মধ্যে কত অমিল তাই না?
আচ্ছা তুমি যখন মারা যাচ্ছিলে তখন তোমার এই পৃথিবী, এই বাংলাদেশ, এই সমাজ নিয়ে কি ঘৃণা জন্মেছিল আয়াত। তোমার এই অজানা বড় ভাই যদি পারতো তোমার খু*ন করা সেই অমানুষটাকে ঠিক তোমাকে যেভাবে মে*রে*ছে ঠিক সেভাবেই মে*রে ফেলতো।
তুমি ভালো থাকো সৃষ্টিকর্তার কাছে। তোমার অজানা বড় ভাইয়ের আজ মন খারাপ। প্রচন্ড মন খারাপ আয়াত।