29/07/2025
🛡️ একজন যোদ্ধার জীবন কাহিনী
নাম: অধ্যাপক ড. কাজী মোঃ মনিরুজ্জামান
ডাকনাম: মনির কাজী / কাজী মনির
জন্ম: ২৮ নভেম্বর ১৯৬৫
পিতাঃ কাজী আব্দুল হামিদ (হামিদ কাজী)
মাতাঃ মরিয়ম বেগম
জন্মস্থান: বারইখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড (বর্তমান পৌরসভা), কাজীবাড়ি – মেলার বাড়ি বা কালাচাঁদ আওলিয়ার বাড়ি।
📘 শিক্ষা জীবন
প্রাথমিক: বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
মাধ্যমিক: এ.সি. লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বিভাগে এসএসসি)
উচ্চশিক্ষা:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ও মাস্টার্স (প্রথম শ্রেণিতে)।
অধ্যাপক ড. সুলতানা জামানের অধীনে ৫ বছর ধরে উচ্চতর গবেষণা সম্পন্ন করেন।
গবেষণার বিষয়: বাংলাদেশের প্রতিবন্ধীদের অবস্থা ও ভবিষ্যৎ।
🎯 রাজনীতি
১৩ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সামনাসামনি দেখে রাজনীতিতে আগ্রহ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে ছাত্রদল নেতা হিসেবে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখসারিতে ছিলেন।
শিক্ষার্থী থাকাকালীন ছিলেন সূর্যসেন হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে আহ্বায়ক (ভিপি)।
রাজনৈতিক পদ ও দায়িত্বসমূহঃ
বিএনপির ওয়ার্ড, থানা, পৌর কমিটি ও জেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন।
জাতীয়তাবাদী তাতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির বিশেষ সম্পাদক, সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।
⚔️ আন্দোলন সংগ্রাম ও সাহসিকতা
১/১১ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ।
বেগম খালেদা জিয়ার "মার্চ ফর ডেমোক্রেসি" কর্মসূচিতে ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে পা ভেঙে যায়।
গুম, হামলা, মামলা, রিমান্ড, কারাভোগ—সবই সহ্য করেছেন দেশ ও দলের স্বার্থে।
২০১৩ সালে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত হওয়ার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গ্রীন সিগনাল পেয়ে ২৫টি পথসভার আয়োজন করেন এবং ২৪তম সভা থেকে গ্রেফতার হন।
১০ ডিসেম্বর ২০২২ গোলাপবাগ সমাবেশসহ বিভিন্ন বিভাগীয় সমাবেশে সাহসী বক্তব্য রাখেন।
প্রায় ৩,০০০ অনলাইন বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারের সমালোচনায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
আন্দোলনের ময়দানে ড. আবদুল মঈন খান, রিজভী আহমেদ, জয়নাল আবেদীন ফারুকদের সঙ্গে একসাথে সক্রিয় ছিলেন।
💼 কর্মজীবন
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই লেখালেখি ও ব্যবসার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হন।
১৯৯৭ সালে জাতীয় বিশেষ শিক্ষা কেন্দ্রে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।
পরে বরগুনা, পটুয়াখালী, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সমাজসেবা কর্মকর্তা ও বিশেষ শিক্ষাবিদ হিসেবে কাজ করেন।
২০০৬ সালে সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে নির্মাণ ব্যবসায় যুক্ত হন।
বর্তমানে একটি প্রাইভেট কলেজে অধ্যাপক পদে কর্মরত।
🤝 সামাজিক ও মানবিক অবদান
করোনাকালে একমাত্র "করোনা হেল্প ডেস্ক" চালু করে মাস্ক, ওষুধ, নগদ অর্থ, অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ করেন।
নিজ উদ্যোগে দ্বি-তল কলেজ ভবন, শহীদ মিনার, ৩টি মসজিদ ও ২টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ।
২০০টি মসজিদে সাউন্ড সিস্টেম প্রদান।
১৯৯০ সাল থেকে অসহায়দের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, নগদ অর্থ, সেলাই মেশিন ও ছাগল বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।
আসনের ৮০% নেতাকর্মীর মামলায় জামিন করিয়েছেন, জেলবন্দিদের পরিবারে সহায়তা দিয়েছেন।
🏛️ সংগঠনিক সম্পৃক্ততা
আজীবন সদস্য: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন
উপদেষ্টা: ঢাকাস্থ মোরেলগঞ্জ কল্যাণ সমিতি,
জাতীয় নাগরিক পরিষদ
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান: ৭১ মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ
নির্বাহী সদস্য: খুলনা সমিতি
উপদেষ্টা: জাতীয় পল্লী চিকিৎসক এসোসিয়েশন, জাতীয় ফার্মাসিস্ট এসোসিয়েশন, স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদ
✅ উপসংহার
বাগেরহাট-৪ আসনের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে, প্রতিটি বিপদের মুহূর্তে তিনি রাজপথে থেকেছেন। ত্যাগ, নিষ্ঠা, সাহস, এবং জনসেবায় যিনি জীবন উৎসর্গ করেছেন, তিনি আর কেউ নন —
অধ্যাপক ড. কাজী মোঃ মনিরুজ্জামান
তিনি জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের আস্থাভাজন এবং বাগেরহাট-৪ এর আপামর জনতার হৃদয়ের প্রার্থী — ধানের শীষের কান্ডারী।