Bagerhat News

Bagerhat News Frist multimedia online newspaper of Bagerhat

লায়ন্স ক্লাবের সদস্য হলেন ড. ফরিদুল ইসলামলতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সরকারের সাবেক সচিব ড. ফরিদুল ইসলাম বাব...
29/07/2025

লায়ন্স ক্লাবের সদস্য হলেন ড. ফরিদুল ইসলাম

লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সরকারের সাবেক সচিব ড. ফরিদুল ইসলাম বাবলু আন্তর্জাতিক সেবামূলক সংগঠন লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ক্যাপিটাল গার্ডেন-এর সদস্য হয়েছেন।

প্রশাসনিক জীবনে সৎ, দক্ষ ও দূরদর্শী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ড. ফরিদুল ইসলাম নিজ এলাকা বাগেরহাটে উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। তিনি লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশন-এর অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা।

লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সেবামূলক সংগঠন, যা ২০০টিরও বেশি দেশে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এর বিভিন্ন শাখা সংগঠন স্থানীয় পর্যায়ে চোখের চিকিৎসা, দুর্যোগ সহায়তা, শিশুস্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিজনেস স্কুলে বাগেরহাটের রেহান জাহিনযুক্তরাষ্ট্রের University of Michigan-এর Ross School of Busines...
28/07/2025

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিজনেস স্কুলে বাগেরহাটের রেহান জাহিন

যুক্তরাষ্ট্রের University of Michigan-এর Ross School of Business-এ ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রেহান জাহিন। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০ বিজনেস স্কুলের একটি, যা ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরিতে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।

রেহানের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার বেশরগাতী গ্রামে। শিক্ষাক্ষেত্রে রেহানের পূর্বসূরিদেরও রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। তার দাদা লতিফর রহমান ছিলেন বাগেরহাট অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষায় নিবেদিত এক মানবপ্রেমী। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করতেন, দিতেন আর্থিক সহায়তা, ছড়িয়ে দিতেন আশার আলো। এই কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে স্থানীয়রা ডাকতেন ‘বাগেরহাটের বাতিঘর’ নামে।

রেহানের পিতা মো. রফিকুল ইসলাম জগলু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারির শিক্ষার্থী ছিলেন। উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় গিয়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হয়ে সেখানেই কর্মরত। তার চাচা ড. ফরিদুল ইসলাম বাবলু সরকারের সাবেক সচিব। রেহানের বাবা-চাচার হাত ধরে বদলে যাচ্ছে গোটা বাগেরহাট। তাদের সহায়তায় গত সাত-আট মাসে সুন্দরবন ঘেঁষা জেলাটিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ এসেছে।

রেহান A Level করেছেন Brooklyn Technical High School থেকে। এটি নিউ ইয়র্ক সিটির সর্বাধিক প্রতিযোগিতামূলক পাবলিক স্পেশালাইজড হাই স্কুলগুলোর একটি। New York City Department of Education-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর লক্ষাধিক আবেদনকারীর মধ্য থেকে মাত্র অল্পসংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হতে পারেন।

রেহান অর্জন করেছেন Advanced Regents Diploma with Advanced Designation in Mathematics, যা New York State Education Department-এর মতে, A Level পর্যায়ে গণিত ও বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ স্তরের একাডেমিক স্বীকৃতি।

সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার গুলশান ক্লাবে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রেহানের শিক্ষাগত সাফল্য উদযাপন করে তার পরিবার। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে সরকারের প্রায় সব দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে দেখা যায়। ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের মতো রাজনীতিবিদও।

আগত অতিথিদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রেহান বলেন, তিনি তার দাদার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চান। শুধু বিদেশে পড়া নয়, কাজ করতে চান মাতৃভূমির জন্য, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমির সভাপতি হলেন ড. ফরিদুল ইসলামনিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার মোহাম্মদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেম...
16/07/2025

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমির সভাপতি হলেন ড. ফরিদুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার মোহাম্মদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি-এর নতুন গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাগেরহাটের কৃতি সন্তান ড. মো. ফরিদুল ইসলাম বাবলু। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত অনুমোদিত তালিকা থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ড. মো. ফরিদুল ইসলাম বাবলু ছাড়াও কমিটিতে সাধারণ শিক্ষক সদস্য হিসেবে আছেন মো. আব্দুল হক এবং অভিভাবক সদস্য হিসেবে আছেন রানী খাতুন। এই কমিটি ৬ মাস মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবে।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন ও সুষ্ঠু শিক্ষা প্রশাসনের লক্ষ্যে নতুন কমিটি অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।

বাপ-বেটার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ বাগেরহাটের একটি গ্রামনিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে কখনও মঞ্চে, কখনও সরকারি দপ্তরে দাপট দেখ...
05/07/2025

বাপ-বেটার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ বাগেরহাটের একটি গ্রাম

নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে কখনও মঞ্চে, কখনও সরকারি দপ্তরে দাপট দেখাতেন ক্ষিতীশ চন্দ্র বালা। আর এখন ছেলে সবুজ কুমার বালা পরিচয় দিচ্ছেন বিএনপি কর্মী হিসেবে। গ্রামে চাঁদা তুলছেন ঘরে ঘরে। বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের হালিশহর গ্রামজুড়ে এই ‘বাপ-বেটা’কে নিয়ে এখন চরম অসন্তোষ। স্থানীয় বিএনপি নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এই দুজনের সঙ্গে বিএনপির বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই।

ক্ষিতীশ চন্দ্র বালার এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শওকত হোসেন থেকে শুরু করে প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান পর্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ক্ষিতীশ বালা সম্পর্কে এমন অসংখ্য অভিযোগ বহু আগে তাদের কাছে পড়েছে বলে জানান।

হালিশহরের স্থানীয়দের ভাষ্য, ক্ষিতীশ বালা মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়কে ‘কলুষিত’ করে এলাকায় প্রভাব খাটিয়েছেন। বিভিন্ন অফিসে তদবির করে সুবিধাও নিয়েছেন। এমনকি নিয়োগে নয়-ছয় করে ছেলেকে প্রাইমারি স্কুলে 'দপ্তরি কাম প্রহরী' পদে চাকরিও পাইয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি সরকার পরিবর্তনের পর বাবা-ছেলে পরিচয় পাল্টে এলাকায় বিএনপি কর্মী সেজে চাঁদা তোলা শুরু করেছেন।

বিএনপির স্থানীয় নেতারা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, ক্ষিতীশ বালা ও সবুজ বালার সঙ্গে দলটির কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বিএনপির কোনো ইউনিট বা কমিটিতেও নেই।

সবুজ বালার চাঁদা দাবির একটি অডিও ক্লিপ এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেখানে তাকে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা চাইতে শোনা যায়। এক পর্যায়ে পুলিশি হয়রানির ভয় দেখিয়ে তিনি বলেন, “তোমারে ধরায় দিলি তোমার ধারদে (কাছ থেকে) ৪ হাজার নেবে (পুলিশ), সেখান থেকে আমাদের ২ হাজার দিয়ে যাবে। ঝামেলা মুক্ত।”

অডিও রেকর্ডটি স্বাধীনভাবে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সবুজ বালা এই ধরনের হুমকি ও দাবির মাধ্যমে একাধিক বাড়িতে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করেছেন।

অডিও রেকর্ডে সবুজকে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের নাম ব্যবহার করে দাবি করতে শোনা যায়, তিনি নাকি তাদের পক্ষে চাঁদা তুলছেন। তবে যাদের নাম তিনি বলেছেন, তারা জানিয়েছেন, এসব ঘটনার সঙ্গে তারা মোটেও জড়িত নন। বরং তারা দাবি করেন, সবুজ তাদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষিতীশ ও সবুজ বালার নামে বাগেরহাট ও চিতলমারীর বিভিন্ন এনজিওতে একাধিক ঋণ রয়েছে। এখন চাঁদা তুলে কিস্তির টাকা পরিশোধের চেষ্টা করছেন তারা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সবুজ বালার নামে নারী নির্যাতন এবং ছিনতাইসহ একাধিক মামলা চলমান।

সবুজ বালার মতো একজন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এভাবে চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত-এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “বিষয়টি এখন শুনলাম। অডিও রেকর্ড বা অন্য কোনো উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে বাগেরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন:
“পুলিশের নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো বেআইনি। অডিওটি যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের নাম ভাঙিয়ে কেউ সুনাম ক্ষুণ্ণ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

অভিযোগকারীদের একজন, যিনি পরিচয় গোপন রাখতে অনুরোধ করেছেন, বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কোথাও কোনো মামলা নেই, কেউ কোনো অভিযোগও কখনও করেনি। তবু সবুজ চাঁদা চাচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। ১৫০০ টাকা নিয়ে নিয়েছে, এখন আরও ৫ হাজার টাকা দাবি করছে। ওদিকে আমার মা অসুস্থ, ওষুধ কেনার পর্যন্ত টাকা নেই।”

গ্রামের একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, ক্ষিতীশ বালা মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়কে কলুষিত করেছেন বছরের পর বছর। তাদের ভাষ্য, “এই দুই বাপ–বেটাকে গ্রামের কোনো মানুষ ভালো চোখে দেখে না। ক্ষিতীশ এতদিন মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ে দাপট দেখিয়ে বহু মানুষকে হয়রানি করেছে। তারা মূলত মোড়েলগঞ্জের দক্ষিণ বারইখালি এলাকার বাসিন্দা। সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে এখানে এসে আবার সেই একই কাজ শুরু করছে।”

বাগেরহাট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শওকত হোসেন ক্ষিতীশ বালা সম্পর্কে বলেন, “তিনি সুবিধাবাদী লোক। এর আগে মোড়েলগঞ্জ ছিলেন। এলোপ্যাথি ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিতেন। সেখান থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন। ওনার বিরুদ্ধে এমন আরও অভিযোগ আমার কাছে আগে এসেছিল। একজন মুক্তিযোদ্ধার এসব কর্মকাণ্ডে আমরা বিব্রত।”

ক্ষিতীশ বালা সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আগে উনি মোড়েলগঞ্জ থাকতেন। নিজের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় কলুষিত করে গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সেজে বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছেন। মানুষকে হয়রানি করেছেন। তার এক ভাইপো একবার ধর্ষণচেষ্টার মামলায় পড়েন। এই তথ্য পেয়ে আমরা সংবাদ করতে যাই। তখন ক্ষিতীশ বালার ঔদ্ধত্য আমাদের বিস্মিত করে। আমরা বিভিন্ন সময় জেনেছি, তিনি লোকজনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেন।"

চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে সবুজকে অন্তত ১৫ বার ফোন করেন এই প্রতিবেদক। কল রিসিভ করে কথা বলেন না। শেষবার অভিযোগের বিস্তারিত বলার পর শুধু বলেন, 'এসব মিথ্যা।'

অন্যদিকে ক্ষিতীশ চন্দ্র বালাকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাগেরহাট মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কোটিপতি দারোয়ান  মনিরুলবাগেরহাট প্রতিনিধি: বেতন ১৮ হাজার টাকা। পদবিতে দারোয়ান থেকে অফিস ...
01/07/2025

বাগেরহাট মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কোটিপতি দারোয়ান মনিরুল

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বেতন ১৮ হাজার টাকা। পদবিতে দারোয়ান থেকে অফিস সহায়ক। অথচ ১৯ বছরের চাকরিজীবনে কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়ে উঠেছেন বাগেরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী মো. মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম বর্তমানে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত। তবে স্থানীয় শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য শিক্ষা অফিসের “অঘোষিত নিয়ন্ত্রক” তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র সচল রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, শিক্ষা অফিসে সবার আগে ধর্না দিতে হয় এই মনিরুলের কাছেই।

সম্পদের চিত্র

জানা গেছে, মনিরুল বাগেরহাট শহরের পিসি কলেজ রোডে ১০ শতক জমির উপর নির্মাণ করেছেন চারতলা বিলাসবহুল ভবন। একই সঙ্গে শহরের মুনিগঞ্জ ও গোটাপাড়া এলাকায় রয়েছে আরও ৮৯ শতক জমি। রয়েছে উল্লেখযোগ্য অংকের ব্যাংক ব্যালান্স। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তিন সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য ব্যয়ের পরও তার আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন ২০০৪ সালের ৬ নভেম্বর, বাগেরহাট সরকারি বালক বিদ্যালয়ের দারোয়ান হিসেবে, মাত্র ১৫০০ টাকা বেতনে। এরপর নানা পদে বদলি হয়ে ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট থেকে কর্মরত রয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসে। সেখান থেকেই তার বিত্তবৈভবের বিস্ময়কর উত্থান শুরু বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

স্থানীয়দের অভিযোগ

বাগেরহাট সদরের কেএম বাদোখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মেফতা উদ্দিন বলেন, “টাকা না দিলে শিক্ষা অফিসের ফাইল নড়ে না। আর ফাইল নড়াতে হলে মনিরুলদের ‘সন্তুষ্ট’ করতে হয়। এতে অফিসাররাও অনেক সময় নিরুপায় হয়ে পড়েন।”

মনিরুলের দাবি

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, “চাকরির পাশাপাশি পৈত্রিক ৯ কাঠা জমিতে চাষাবাদ করি। পরিশ্রম করেই আমি এই জায়গা-জমি করেছি। সবকিছু আইনগতভাবেই হয়েছে।”

প্রশাসনের বক্তব্য

বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস. এম. সাইদুর ইসলাম বলেন, “কে কীভাবে বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছে তা জানি না। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৌখিক অভিযোগ আসলেও লিখিত অভিযোগ না থাকায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।”

স্থানীয়রা বলছেন, একটি দারোয়ান পদে থেকে এমন সম্পদ অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

এক বছর পর প্রধান শিক্ষক পাচ্ছে বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়প্রায় এক বছর ধরে বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়...
26/06/2025

এক বছর পর প্রধান শিক্ষক পাচ্ছে বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

প্রায় এক বছর ধরে বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য পড়ে ছিলো। সেই পদে এখন মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে এতদিন দায়িত্ব পালন করছিলেন এই সিনিয়র শিক্ষক। সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তাকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলি করেছে।

বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ দীর্ঘদিন খালি থাকায় অবিভাবকেরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন সরকারের সাবেক সচিব, বাগেরহাটের কৃতি সন্তান ড. মো. ফরিদুল ইসলাম বাবলু। এরপর তিনি শহিদুল ইসলামকে প্রতিষ্ঠানটিতে আনতে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করেন।

ফরিদুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শহিদুল ইসলাম বলেন, "আমি ২০২৪ সালের মে মাস থেকে চলতি বছরের ২৩ জুন পর্যন্ত বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছি। প্রধান শিক্ষক আসার পর আমি সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। আজ সহকারী প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলির অর্ডার হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। যেহেতু সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নাই, তাই হয়তো প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিতে হবে। কৃতজ্ঞ তাঁর (ফরিদুল ইসলাম) প্রতি, যিনি নতুন বাগেরহাট বিনির্মানের রূপকার।"

26/06/2025

আবার নতুন করে, নতুনভাবে শুরু হচ্ছে বাগেরহাট নিউজের পথচলা। আঞ্চলিক সাংবাদিকতায় আমরা নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই।

04/04/2023

আ*গু*নের হুমকি

Address

Bagerhat
9300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bagerhat News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bagerhat News:

Share