Morrelganj, Bagerhat

Morrelganj, Bagerhat Morrelganj (Bengali: মোড়েলগঞ্জ) is an Upazila of Bagerhat District in the Division of Khulna, Bangladesh.

09/03/2025

১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসর ঘর সাজিয়ে প্রতিরাতে একজন ছাত্রীকে ধ*র্ষন করা হতো, এভাবে একশত ধ*র্ষন করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস করেছিলো তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের অংগ সংঘটন ছাত্রলীগের সোনার ছেলে "জসিমউদদীন মানিক"! এরও একটা বিচার হয়েছিলো, তবে ফাঁ*সি হয় নি। বরং মিডিয়ায় এসবের আলোচনা দেখে সে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল । এখন সে আমেরিকাতে আছে!

২০২১ সালে জুন মাসে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে বেড়াতে গিয়েছিল স্বামী-স্ত্রী! সেইখানে তাদের পথ রোধ করে ছাত্রলীগের সন্ত্রা/সীরা! স্বামীকে বেধে রেখে স্বামীর সামনেই সারা রাত Ra*pe করে স্ত্রীকে! পরদিন ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে! কিন্তু ক্ষমতার জোরে ১মাসেই সবার জামিণ হয়ে যায়! এখনও সেই মামলা বিচারাধীন!

দিবালোকে রামদা দিয়ে রাস্তায় প্রকাশ্যে খাদিজাকে কু*পি*য়ে তার মাথা কয়েক ভাগ করে সিলেটের বদরুল! সে ছাত্রলীগের স্থানীয় ক্যাডার! খাদিজার ভাগ্য ভালো মরতে মরতে বেঁচে গেছে।
বদরুলেরও একটা বিচার হয়েছে, তবে খুব বেশি হয় নি।

২০১৮ সালে বরিশালের বানারিপাড়ায় মা-মেয়েকে একসাথে ধর্ষন করে মাথা নেড়ি করে দেয় যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা তুফান! তুফানেরও একটা বিচার হয়েছে, তবে ফাঁসি হয় নাই । বর্তমানে তুফান জামিনে মুক্ত আছে ।

সংরক্ষিত এলাকা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরে তনুকে ধর্ষন করার পর হত্যা করা হয়, কে বা কারা জড়িত তা কিন্তু গোয়েন্দা বাহিনী ভালো করেই জানে, কিন্তু তনুর ধর্ষনকারী কেউ গ্রেফতার হয় নি। আজও তার বিচারও হয় নাই । ডক্টর আসিফ মাহাবুব উৎস স্যার বহু চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেন নাই ।

৩১শে ডিসেম্বর ২০১৮ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দিনের বেলা যুবতি মেয়ের সামনে তার মাকে দল বেঁধে ধ*র্ষণ করার পর প্রহার করা হয়, ১৭ কোটি মানুষ এর নীরব! সাক্ষী! ধর্ষক আওয়ামী লীগের নেতা রুহুল আমীনের ফাঁসির দাবি উঠলেও, ফাঁসি কিন্তু হয় নি। তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে! বর্তমাণে সে জামিণে মুক্ত হয়ে বাদীকে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ।

কিছুদিন আগে ঢাকার এক আবাসিক এলাকায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়, ধর্ষক আটক, তবে তারও কিন্তু ফাঁসি হবে না।

গত কয়েক বছর আগে দেখলাম গাজীপুরে ৩ বছরের শিশুর যৌ*নাঙ্গ ব্লে*ড দিয়ে কেটে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়, সেই ধর্ষকও গ্রেফতার হয়েছে, তবে ফাঁ*সি কিন্তু হয় নি।

-ওয়ালিওল্লাহ্

09/03/2025

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে জান্নাত নামের ১৬ বছরের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা। সালিশ ডেকে উল্টো এই কিশোরীকে ভর্ৎসনা করায় সে আত্মহত্যা করে।

কিছু অপরাধ থাকে যার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে কঠোর হতে হয়। ধর্ষণ তার একটা। যেমন ইসলামি দণ্ডবিধিতে খুনীকেও দণ্ড থেকে রেহাই দেওয়ার সুযোগ আছে ভিক্টিমের পরিবারের।

কিন্তু ধর্ষণের সাজা মওকুফের কোনও সুযোগ রাখা হয় নি। ধর্ষককে মাফ করে দেওয়ার ক্ষমতা ভিক্টিমকেও দেওয়া হয় নি। রাষ্ট্রকে এই দায় নিতেই হবে। বিচার কার্যকর করতেই হবে।

ধর্ষণের বিচার হতে হবে দৃশ্যমান স্বল্প সময়ের মধ্যে। ধর্ষকের সাজার খবর সরকার প্রয়োজনে ছবিসহ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করবে।

ধর্ষণ কেবল অপরাধ না, এটা একটা পলিটিকাল টুলও। দাপট, ক্ষমতা প্রয়োগের টুল। আওয়ামিলীগ আমলে ইন্টিমিডেশনের টুল হিসেবে ধর্ষণকে ব্যবহার করা হয়েছে।

ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় চার সন্তানের জননীকে আওয়ামিলীগ কর্মীরা আয়োজন করে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের পেছনের কারণগুলোও বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।

প্রাচীন রোমান সমাজে ধর্ষণকে মনে করা হত স্বামীর অসম্মান, অবিবাহিত হলে পিতার অসম্মান। সেই জায়গা থেকে সমাজ বিচার করত। নারীর যেন কিছুই না!

পরে যখন আরেকটু সভ্যভাবে সমাজ ভাবতে শুরু করলো তখন বললো নারীর 'শ্লীলতাহানি'।

ধর্ষণ যে করে তার নয় বরং ভিক্টিম নারীকেই আমরা সম্মানহীন দেখতে শুরু করলাম। এই অন্যায় আমরা করছি বলেই এখনও নারী ধর্ষিত হলে তাকে নীচু করে দেখে সমাজ।

নারীর দেহ নিয়ে বাজে মন্তব্য যে গারদের ভেতর থেকে করে, তাকে যখন ফুলের মালা, মাথায় পাগড়ি আর কোরআন শরিফ দিয়ে বরণ করা হয়, তখন নারী প্রসঙ্গে ঠিক কি বার্তাটা সমাজে যায়?

নারীদের যারা ঊনমানুষ মনে করে। তারা ধর্ষণের পক্ষে অন্যতম উৎপাদক। বিচারহীনতাই ধর্ষণের প্রধানতম কারণ। মানুষ যখন বুঝে, সে পার পেয়ে যাওয়া যাবে, তখনই সে এই সাহস করে। রাষ্ট্র, দ্রুত বিচার করুন, আমাদের দেখান, অপরাধীর অন্তরে ভীতির সঞ্চার করুন।

লেখা- Arju Ahmad

অবশেষে মারা গেলো😭 ৮ বছর এর শিশু বাচ্চাটি, বাংলার সকল ধর্ষিতাদের মৃত্যু কামনা করি 😔বহুল আলোচিত মাগুরার ধর্ষিতা শিশু মেয়েট...
07/03/2025

অবশেষে মারা গেলো😭 ৮ বছর এর শিশু বাচ্চাটি,
বাংলার সকল ধর্ষিতাদের মৃত্যু কামনা করি 😔

বহুল আলোচিত মাগুরার ধর্ষিতা শিশু মেয়েটির মৃত্যুর খবর আমায় যারপরনাই স্বস্তি দিয়েছে। বেঁচে থাকলে ট্রমা, শারীরিক ক্ষত, সামাজিক ও পারিবারিক অপমানের বোঝা নিয়ে তিলেতিলে মরতে হত পূজার মতো।

শিশু পূজা ধর্ষিত হবার পর, ওর প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হারিয়েছে। সর্বদা প্রস্রাব করে, তাই পড়ালেখা ও বাহিরে যাওয়া বন্ধ। অন্যদিকে ওদের চোখের সামনে মাইক্রোবাসে করে ধর্ষক জামিনে বের হয়ে আসে। সাইফুল বাহিরে ঘুরবে, রাতে বউ নিয়ে ঘুমাবে আর পূজা ঘরে পঁচে পঁচে মরবে এক সময় যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করবে।

সুতরাং পূজার মতন জঘন্য জীবন যন্ত্রণা থেকে মেয়েটি বেঁচে গেছে।

আমি আশংকা করি, যারা যারা ধর্ষণ ও বর্বরতার পক্ষে সাফাই গায়, এই সাইকোলজি ও কালচারকে রক্ষা করার চেষ্টা করে, তাদের ঘরের সন্তান ও নাতি পুতিরা কি নিরাপদে থাকবে!! ওদের উপর যেন পূজাদের অভিশাপ না আসে।
এই ধর্ষক হয়তোবা জেলে যাবে কোন দলীয় লিডার হয়তো তাকে জামিনে ছাড়িয়ে আনবে সে মহাদর্পে ফুলের মালা পরে জেল থেকে বের হবে এবং পরবর্তী শিকারের জন্য নিজেকে তৈরি করবে😡

নবগঠিত ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির যে লিডারশিপ স্ট্রাকচার - তার সবচেয়ে উপর এর যে লেভেলে তা তাকে ওরা বলছে সুপার টেন। দশজনের ...
06/03/2025

নবগঠিত ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির যে লিডারশিপ স্ট্রাকচার - তার সবচেয়ে উপর এর যে লেভেলে তা তাকে ওরা বলছে সুপার টেন। দশজনের এই গ্রূপ এ তিনজন মেয়ে - তা আমাকে আশ্বস্ত করলো। এরা প্রথম থেকেই ডাইভার্সিটি এবং ইনক্লুশন প্র্যাকটিস টা আত্মস্থ করেছে।

তবে নামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এক্সট্রাঅর্ডিনারি যে নামটা তা আমার মতে ডাঃ তাসনিম জারা’র নাম।

তাসনিম জারা আমাদের দেশের ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) গ্রেজুয়েট।

ডিএমসি থেকে গ্রেজুয়েশন করে সে ইংল্যান্ড চলে যায় - অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তে এভিডেন্স বেজড মেডিসিন নিয়ে এমএসসি কমপ্লিট করে।

এরপর সে রয়্যাল প্যাপওয়ার্থ হাসপাতাল আর কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হসপিটাল থেকে ইন্টারনাল মেডিসিন এ রেসিডেন্সি করে এমারসিপি ডিগ্রি অর্জন করে। সাথে সাথেই কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি জারা কে ইন্টারনাল মেডিসিন স্পেশিয়ালিস্ট আর টিচিং এটেন্ডিং হিসেবে নিয়োগ দেয়।

এমারসিপি ছাড়াও ছাড়াও জারা রয়াল কলেজ অব অবস্টেট্রিক্স এবং গাইনোকোলোজি তে নারী স্বাস্থ (উইমেন্স হেলথ) নিয়ে এডভান্সড ট্রেইনিং নেয় এবং এমারসিপির সাথে সে একজন ডি আর সি ও জি।

চিকিৎসা পেশায় ফ্রি টাইম খুবই কম। বিদেশে টিচিং হাসপাতল গুলোতে কাজ অনেক বেশি - সবচেয়ে জটিল রুগী গুলো দেখতে হয়; জুনিয়র চিকিৎসকদের ট্রেইন করতে হয়; রিসার্চ করতে হয় - রিসার্চ পেপার লিখতে হয়। জারা এগুলো সবই করেছে। কিন্তু এসব করার পর আমার মত বাড়ি ফিরে টায়ার্ড হয়ে বসে থাকে নি।

ডাঃ তাসনিম জারা একটা ইউটিউব হেলথ চ্যানেল মেনটেইন করে। বাংলাদেশের মেডিকেল সোশ্যাল মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপ যখন জাহাঙ্গীর টাইপের ভন্ড আর ডাঃ সংযুক্তা সাহাদের মতো ভয়ঙ্কর ব্যবসায়ী চিকিৎসক সহ সবধরণের বুজরুকির আখড়া সেখানে তাসনিম জারা র চ্যানেল টা সত্যিকারের এভিডেন্স বেসড মেডিসিন - একটা অনারেবল একসেপশন।

আমাদের কালচারে মেয়েদের স্বাস্থ্য একটা লুকানো ছাপানো ব্যাপার। কিশোরীরা - তরুণীরা - বিবাহিত - বা বয়স্ক মহিলারা অনেক শারীরিক সমস্যা নিয়ে ডাক্তার তো দূরের কথা - নিজের মা বা হাজবেন্ড বা এডাল্ট পুত্র কন্যার সাথে কথা বলতে অনীহা বোধ করে। সেই কারণেই হয়তো আমাদের দেশে ব্রেস্ট ক্যান্সার বা জরায়ু মুখ ক্যান্সার ইত্যাদি অনেক এডভান্সড স্টেজে এসে ডায়াগ্নোসিস হয়; তখন আর কিছুই করার থাকে না।

জারা তার ১২ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার এর ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে বাংলাদেশী কমিউনিটি ও ডায়াস্পোরা কমিউনিটির বিশেষ করে মহিলাদের স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। এর জন্যে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া তাকে লিনচিং করলেও - ব্রিটিশ সরকার ওর কাজের ভ্যাল্যু বুঝতে পেরেছে- ওকে বিশেষ পুরস্কারে / পদকে ভূষিত করেছে।

জারা ব্রিটেনে একটা পরিচিত মুখ - বিবিসি; স্কাই নিউজ; আইটিভি আর পৃথিবীর এক নম্বর নিউজপেপার ফাইনান্সিয়াল টাইমস এ ওর কাজ নিয়ে নিউজ হয়েছে; ওর ইন্টারভিউ প্রকাশিত / প্রচারিত হয় নিয়মিতই।

তাঁর হাজব্যান্ড খালেদ সাইফুল্লাহ (ওঁর কথায় পরে আসছি) এর সাথে মিলে ‘সহায়’ হেলথ নাম একটা বাংলা এপ ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ক্রিয়েট করেছে। এই সহায় হেলথ এপ বাংলা ভাষাভাষীদের বিশেষত নারীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এভিডেন্সড বেজড সমাধানের একটা অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম। এক লক্ষের মত বাংলাদেশী নারী নিয়মিত এই এপ থেকে সহায়তা নিচ্ছে।

কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হসপিটাল এ কাজ করতো - কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলের টিচার ছিল। ওর ১২ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার এর ইউটিউব চ্যানেল এর ইনকাম ই প্রচুর। সব ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে বাংলাদেশ এর জন্যে কাজ করার জন্য দেশে চলে এসেছে তাসনিম জারা।

ভেবে দেখুন আপনারা - আমাদের এই দেশ জারা কে কিভাবে ওয়েলকাম করলো। আপনারাই না অনুযোগ করে থাকেন ভালো মানুষ শিক্ষিত মানুষ কেন রাজনীতিতে আসে না!

জারার জন্য এতবড় একটি সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়েছে আরেকজন মানুষের উৎসাহে, স্যাক্রিফাইস আর সহায়তায় - খালেদ সাইফুল্লাহ - জারার লাইফ পার্টনার।

খালেদ সাইফুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের তুখোড় ছাত্র - ঢাকা ল’ রিভিউ এর ফাউন্ডিং চিফ এডিটর। এর পর সে অক্সফোর্ড ইউনিভারিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল হিউমেন রাইটস ল’ এর উপর মাস্টার্স করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের ফিল্ডে এক যুগের উপর দীপ্ত পদচারণা খালেদ এর।

জারার সাথে মিলে যে হেলথ কেয়ার টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম টা প্রতিষ্ঠা করেছে - সহায় হেলথ - সিইও হিসেবে ওটার মেইন ড্রাইভিং ফোর্স খালেদ। নুতন যে দলটা গঠিত হয়েছে - খালেদ তার জয়েন্ট কনভেনর।

এই তরুণ কাপল টা দেশে ফিরে এসেছে। আমরা বাকিরা আসি না। পশ্চিমা কমফোর্টে বসে বাংলাদেশের ইস্যু নিয়ে হাহা হুহু করি। জারা আর খালেদ এসেছে। এসে কুশি কমফোর্ট কর্পোরেট জব খোজ শুরু করে নি। রাজনীতির কঠিন পথ বেছে নিয়েছে।

প্রার্থনা করি জারা আর খালেদ এর জার্নি টা সহজ হোক। ওদের পথ ধরে আরো সহস্র জারা খালেদ দেশে ফিরে আসুক। আমাদের দেশটি আরো সুন্দর হোক।

টং দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম। বিল দিয়ে ঘুরতেই দেখি পাশের ইলেকট্রিসিটি পোলটার গায়ে কি একটা লিফলেট লাগানো। উৎসাহ নিয়...
06/03/2025

টং দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম। বিল দিয়ে ঘুরতেই দেখি পাশের ইলেকট্রিসিটি পোলটার গায়ে কি একটা লিফলেট লাগানো। উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে গেলাম। সাদা কাগজে লাল কালি দিয়ে বড় বড় করে লেখা, "আমি ১০০০ টাকার একটা নোট এখানে হারিয়ে ফেলেছি। যদি কেউ খুঁজে পান দয়া করে আমার কাছে পৌঁছে দিন। আমি একজন বৃদ্ধ মহিলা, চোখে খুব কম দেখি।" তারপর নিচে একটি ঠিকানা দেওয়া।

ঠিকানা কাছেই। হাঁটা পথে মিনিট পাঁচেক। কৌতূহল দমন করতে না পেরে আমি খুঁজতে খুঁজতে গেলাম সেখানে।

জং ধরা ভাঙাচোরা গেট দিয়ে সাবধানে ভেতরে ঢুকলাম। একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘর, উঠানে এক অশীতিপর বৃদ্ধা বসে আছেন।

আমার পায়ের শব্দে পেয়ে তিনি মুখ তুলে তাকালেন, "কে?"

আমার সম্বিত ফিরল, "গলির মাথায় আমি আপনার ১০০০ টাকা খুঁজে পেয়েছি!"

আমার কথা শুনে তিনি হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলেন। একটু পর, কিছুটা ধাতস্থ হয়ে বললেন, "বাবা, এই পর্যন্ত অন্তত ১০/১২ জন আমার কাছে এসেছে আর ১০০০ টাকা করে দিয়ে বলেছে, তারা নাকি রাস্তায় আমার টাকা খুঁজে পেয়েছে। আমার কোনো টাকা হারায় নাই, ওই লেখাগুলোও আমার না, আমি খুব একটা পড়ালেখা জানিও না!"

আমি নিচু হয়ে ওনার হাত ধরে বললাম, "যাই হোক, সন্তান মনে করে আপনি টাকাটা রেখে দিন।"

এই কথা শোনার পর তিনি টাকাটা নিয়ে বললেন, "বাবা, আমি খুব অসুস্থ। ভালো করে হাঁটতে চলতে পারি না। কি যে তোমায় খেতে দিই!"

এই বলে তিনি অনেক কষ্টে লাঠিতে ভর দিয়ে বারান্দায় উঠলেন, আমার মনে হলো তিনি এখনি পড়ে যাবেন। আমি তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলাম।

তিনি কম্পমান হাতে বাটিতে গুড়মুড়ি ঢালতে বললেন, "তুমি আমার অতিথি! তুমি বসো।"

আমার পেটে একটুও ক্ষুধা ছিল না। তবুও, কিছুটা বৃদ্ধার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে, বাকিটা তার সাথে আরো খানিকক্ষণ গল্প করার লোভে ধীরে ধীরে গুড়মুড়ি খেতে লাগলাম।

কথায় কথায় জানলাম এই পৃথিবীতে আপনজন বলতে ওনার কেউ নেই। আগে ভিক্ষা করতেন, অসুস্থ হবার পর আর বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন না।

ফেরার সময় বৃদ্ধা বললেন, "বাবা, একটা অনুরোধ, তুমি যাওয়ার সময় ওই কাগজটা ছিঁড়ে ফেলো।"

আমি ওনার বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় মনে মনে ভাবছিলাম, "সবাইকে উনি বলার পরও কেউ কেন কাগজটি ছেঁড়েনি?"

আর ভাবছিলাম ওই মানুষটির কথা যিনি ওই নোটটি লিখেছেন। সহায়সম্বলহীন অসুস্থ বৃদ্ধ মানুষটাকে সাহায্য করার জন্য এত সুন্দর উপায় বের করার জন্য আমি তাকে মনে মনে ধন্যবাদ দিলাম।

হঠাৎ ভাবনায় ছেদ পড়ল একজনের কথায়, "এই যে, শুনছেন?"

চল্লিশোর্ধ্ব এক ভদ্রলোক আমার দিকে এগিয়ে এসে বললেন, "এই ঠিকানাটা কোথায় বলতে পারেন? একটু আগে আমি রাস্তায় ১০০০ টাকার একটা নোট পেয়েছি, এটা আমি ফেরত দিতে চাই।"

ঠিকানা দেখিয়ে সামনে এগোলাম। কখন জানি আমার চোখদুটো ভিজে উঠেছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে আমি বিড়বিড় করে বললাম, এভাবেই বেঁচে থাকুক আমাদের মানবতা!

25/01/2025

⚠️ Urgent Help ⚠️
আমার বোনের জন্য
আজ রাতের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে
এ পজিটিভ (A+) রক্তের প্রয়োজন

স্থান : খুলনা মেডিকেল কলেজ (সার্জারি বিভাগ)

খুলনায় কেউ থাকলে দ্রুত আমার সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি

22/01/2025
16/12/2024

দাদাদের প্রজন্মের শত্রু ছিলো ইংরেজরা, দাদারা হারিয়েছে। 🇬🇧
বাবাদের শত্রু ছিলো পাকিস্তান, বাবারা তাদের হারিয়েছে। 🇵🇰
আমাদের শত্রু ভারত, আমরাও তাদের হারাবো ইনশাআল্লাহ্‌ । 🇮🇳

এই হোক এবারের মহান বিজয় দিবসের আমাদের অঙ্গীকার। 🇧🇩 🇧🇩

১৯শে জুলাই জুমার খুতবা চলাকালে পুলিশ যখন গু*লি চালাচ্ছিল, এই ছেলেটা সামনে এগিয়ে যায় কথা বলতে, যাতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ...
13/12/2024

১৯শে জুলাই জুমার খুতবা চলাকালে পুলিশ যখন গু*লি চালাচ্ছিল, এই ছেলেটা সামনে এগিয়ে যায় কথা বলতে, যাতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও সংঘর্ষ বন্ধ থাকে। আমরা কয়েকজন তখন আজমপুর বিডি আর মসজিদের দেয়াল ধরে ইট হাতে দাঁড়িয়ে দেখছি সব।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে হাসিমাখা ছেলেটার সামনে এসেই তারা কোমড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে সবার সামনে গু*লি করে দেয়। খুব সম্ভবত পেটের ডানপাশ থেকে নাড়ি*ভুঁড়ি বের হয়ে আসলে সে নিজের এক হাত দিয়ে তা চেপে ধরে ঐখানেই পড়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ছেলেটার নাম রাতুল, নওয়াব হাবিবুল্লাহর ছাত্র। এ যাত্রায় বেঁচে ফিরলেও চিকিৎসার অভাবে বেডে পড়ে কাতরাচ্ছে। উত্তরা ক্রিসেন্ট থেকে সিএমএইচ, পরিপূর্ণ চিকিৎসা কোথাও পায়নি।
ঘাতক পুলিশেরও কিছু ছবি পেয়েছি যা এই পোস্টে সংযুক্ত করে দিচ্ছি।

গু*লি চলার পড়ে মসজিদের মিম্বার থেকে খুতবায় ইমাম সাহেবের ঘোষনা আসে, "যারা বাইরে গু*লি চালাচ্ছেন, তাদের জন্য আমি জাহান্নামের সুসংবাদ দিচ্ছি"
শুধু আখেরাতে নয়, দুনিয়াতেও আমরা এদের জীবন জাহান্নাম বানায় দিতে চাই।

ছবির পুলিশ সদস্যদের চিনে থাকলে আমাদের জানান

সংশোধন: আজমপুর বিডি আর মসজিদকে কাচাবাজার মসজিদ লিখেছি, যা ভুল ছিল। এছাড়াও মসজিদের ভেতরে কোনো গুলি চলেছে আমি বলিনি, দুইটা বিজিবি এপিসি এবং ডজন খানেক পুলিশ ছিল যারা নিয়মিত বিরতিতে টিয়ারশেল, ছোড়রা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়ে যাচ্ছিল।

(কালেক্টেড).

‼️রেড এলার্ট‼️ইস্ট ওয়েস্ট এর একজন শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত!! গাজিপুরের কালিয়াকৈরে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ইস্ট ওয়েস্ট...
13/12/2024

‼️রেড এলার্ট‼️
ইস্ট ওয়েস্ট এর একজন শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত!!

গাজিপুরের কালিয়াকৈরে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ইস্ট ওয়েস্ট এর শিক্ষার্থী "তাজবির হোসেন শিহান" কে আজ ভোর ৫ টার কিছু পরে ৫ জন দুর্বৃত্ত ধাওয়া করে উপর্যুপরি ছুড়িকাঘাতের মাধ্যমে হত্যা করে!

শিহান ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী লেখালেখি করতেন ফেসবুকে!!! সে ইস্ট ওয়েস্ট এর সিএসই ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষার্থী।

আমরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই, দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার না করা হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে!

- PUSAB

Address

Bagerhat
9320

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Morrelganj, Bagerhat posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share