03/09/2025
বাসর ঘরে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় শুয়ে আছে অধরা। চোখ দিয়ে টপটপ জল গড়িয়ে পড়ছে।
~~~
কিছুক্ষণ আগের কথা
বাসর ঘরে লাল বেনারসী পড়ে বসে আছে অধরা । মাথায় এক হাত পরিমাণ ঘোমটা । ঘরে এসি চলছে তবুও ঘাম ঝরছে কপাল বেয়ে । সাথে চোখ দিয়েও টুপটাপ জল ঝরছে । নিজের পড়াশোনা, নিজের স্বপ্ন সব তাকে বিসর্জন দিতে হলো ।
ভীষণ পেটে ব্যাথা উঠেছে অধরার । ওয়াশরুমে গেল । কিছুক্ষণ পরেই বাহিরে বের হয়ে এলো ।
মনে মনে,
-একি ! আমার যে পিরিয়ড হয়েছে , এখন উপায় ? ন্যাপকিন নেই তো ?
তারপরও কিছুক্ষণ ব্যাগে খুঁজলো, অবশেষে পেয়েও গেল।
একাই বিরবির করছে
- যাক মা ভাগ্যিস মনে করে দিয়েছিল । না হলে কি হতো ? কিন্তু এই অবস্থাই এইভারি কাপড় পড়ে যে আর কতক্ষন থাকতে হবে কে জানে ? পেট ব্যাথার কারণে তো থাকাও সম্ভব হচ্ছে না ।
মুখ বেজার করে একই ভাবে ঘোমটা দিয়ে আবারো বসলো অধরা । কিন্তু মানুষটা কোথায় ? অনেকক্ষণ কেটে গেল ।
~
অধরা হঠাৎ ঘড়ির টিংটিং আওয়াজে আওয়াজে ঘোমটা তুললো । পর্যবেক্ষণ করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো ২ টা বাজে । এবার অধরা বিরক্ত নিয়ে উঠে দাঁড়ালো । পেট ব্যাথায় তার জান যেন বেরিয়ে যায় । ব্যাগ থেকে থ্রি পিস বের করলো । ওয়াশ রুম থেকে শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এসে দেখে ঘড়ির কাঁটা ২:৩০ ছুঁই ছুঁই। বিছানায় গা এলিয়ে দিলো । সারাদিনের ধকলে চোখ জোড়া লেগে গেল।
~~~
অধরা সবে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে । বাবা মায়ের কথা রাখতেই নিজেকে বিসর্জন দিয়ে দেয় ।
তালুকদার বংশের মেয়ে অধরা । কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যায় তাদের আধিপত্য। বন্যায় বিলীন হয় তাদের সহায় সম্পত্তি। ভাই না থাকায় বাবার একার রোজগারে সংসারে টানাপোড়েন শুরু হয়।
তাই ভালো পাত্র হাত ছাড়া করতে চান নি আয়মান তালুকদার।(অধরার বাবা)
ছোট্ট মেয়েটিকে বলির পাঁঠা করতে তার হৃদয় কাঁপে নি একবারও ।
~~~
বাবা মার একমাত্র সন্তান সাদমান চৌধুরী। এসসি গ্রুপের একমাত্র উত্তরাধিকারি। পড়াশোনা শেষে বাবার ব্যবসাতেই মনোযোগী হন।
উচ্চতা প্রায় ছয় ফিট । গায়ের রং ফর্সা। কিন্তু চেহাড়াই অন্যরকম এক রাগ। অল্পেই রেগে যাওয়া তার স্বভাব । চুলগুলো ছোট কিন্তু গোছানো।
~~~~
সাদমান বাশর ঘরে ঢুকে দেখে অধরা ঘুমিয়ে পড়েছে।
সাদমান অধরাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে
অধরার........
চলবে........
#সুখের_কুঁড়েঘর
#লেখনীতে: #সুরাইয়া_সুমু
#সূচনা_পর্ব🥰🥰