19/09/2025
তুমি কারো জন্য অপেক্ষা করো না; নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যাও।
কেউ তোমার পরিবর্তে তোমাকে সফল করবে—এমন প্রত্যাশা রেখো না। জীবনটা তোমার রথ, আর তুমি হতে হবে তার সারথি। কারো ওপর ভর করে পথ চললে দ্রুত ভাঙে বিশ্বাস; নিজের পা-ই তোমার সবচেয়ে শক্ত ভিত্তি।
আসো, নিজের মতো হও — অন্যের মত হওয়ার চেষ্টা বন্ধ কর।
অন্যকে নকল করে তুমি হারিয়ে ফেলবে নিজের সত্তা। নিজের মনের মতো গড়ে উঠলে একদিন তুমি নিজের সৃজিত জীবনটাকেই নিয়ে ভরসা করবে আর তা হলে ভেতর থেকেই শান্তি আসবে।
জীবনের সবচেয়ে দামি বিনিয়োগ নিজের উপর সময় দেওয়া।
অনেকেই অন্যের পিছনে মন খরচ করে সময় নষ্ট করে ফেলে; তুমি নিজের পিছনে সময় দাও। তুমি যতটা খেয়াল করবে, ততটাই জীবনে অন্যরা তোমার প্রতি খেয়াল করবে। নিজে নিজে যদি মূল্য না দাও, পৃথিবীর কেও তা সহজে দেবে না। তাই নিজের মূল্য খোঁজো, নিজে নিজেই নিজের সাপোর্ট হও।
নিজেকে গড়ো, নিজেকে ভাঙো কিন্তু নিজের জন্যই।
ভুল থেকে শিখে নিজেকে সামলে তুলো; নিজের কমিকে শক্তিতে পরিণত করো। তবে সতর্ক থেকো যখন তুমি অন্য কারোর জন্য নিজেকে পুরোপুরি বদলে দাও, এবং শেষমেষ সেই মানুষটি চলে গেলে, তখন ভিতর থেকে ভেঙে পড়া সহজ। তাই বদলো নিজের উন্নতির জন্য, নিজের আনন্দ ও নিরাপত্তার জন্য।
একটি কঠিন সত্য স্বীকার করে নাও সামাজিক চোখ অনেক সময় নিয়ম বদলে দেয়।
টাকা এবং সৌন্দর্য,,,, সমাজে এগুলোর গুরুত্ব আছে, কিন্তু তারা কখনও তোমার আসল মূল্য নির্ধারণ করবে না। একজন পুরুষের যোগ্যতা কেবল আয় দিয়ে মাপা ঠিক নয়; একজন নারীর মূল্য কেবল দাঁড়ানোর রূপে বোঝা ঠিক নয়। এসব যেটুকু বাস্তব, তা সমাজের একটা অংশ; কিন্তু তোমার মূল্য তোমার চরিত্র, তোমার কীর্তি, তোমার মমতা, এবং তোমার সহমর্মিতায় লুকিয়ে আছে। তাই নিজেকে কেবল বাহ্যিক মাপ দিয়ে বড় করো না।নিজের ভিতরের শক্তিটাকেই বড় করো।
কঠিন সময়গুলোতে মনে রেখো,,,, তুমি একা লড়বে, এবং সেটা একেবারেই খারাপ কিছু নয়।
সাহায্য পাওয়া ভালো, পাশে কেউ থাকলে ভালো লাগে কিন্তু নির্ভরশীল হয়ে পড়বে না। নিজের লড়াই নিজে করো, নিজের দৌড় নিজে দাও। দিন শেষে নিজেদের মধ্যেই আমাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু পাওয়া যায় এটা অর্জন করা উচিত।
শেষে নিজেকে সম্মান দাও।
যদি তুমি নিজেকে মূল্য দাও, অন্যরাও ধারালো হয়ে উঠবে তোমাকে সম্মান করতে। আর যদি তুমি নিজেকে ছোটো করো, পৃথিবীর কেউ তুমাকে বড় করবে না। তাই নিজেকে সে মনোভাব দাও, যেভাবে তুমি চাও অন্যরা তোমাকে দেখুক।
তুমি নিজেই তোমার রথচালক, নিজের ভবিষ্যতের নির্মাতা। প্রতিদিন একটু একটু করে তোমার নিজের জন্য কাজ করো ধৈর্য ধরে, নিষ্ঠার সঙ্গে, নিজের প্রতি সদয় হয়ে। হতে পারে পথটা ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু প্রতিটি পদক্ষেপ তোমাকে নিজের কাছাকাছি নিয়ে আসবে। ভরসা রাখো,,,,একদিন তুমি নিজের তৈরি জীবনটা দেখে হাসবে, আর সেটা হবে সবচেয়ে শান্তিময় মুহূর্ত।