FITV

FITV News & Entertainment Television, Movie, Theater, Song, Live sow etc.
(1)

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে ছাড়া হলো আটক ১০টি বাসরাজধানীর বকশীবাজারে মৌমিতা বাসের ধাক্কায় জ...
16/07/2025

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে ছাড়া হলো আটক ১০টি বাস

রাজধানীর বকশীবাজারে মৌমিতা বাসের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা নিহত হওয়ার ঘটনায় ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে আটক করা ১০টি বাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বাসগুলো ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে গেছে মালিকপক্ষ।

এর আগে ৮ জুলাই বকশীবাজার এলাকায় মৌমিতা পরিবহনের বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত বিনতে জুহুরের বাবা জহুরুল হক নিহত হন। পরদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী মৌমিতা পরিবহনের ১০টি বাস ক্ষতিপূরণের দাবিতে ক্যাম্পাসে নিয়ে আটকে রাখেন।

গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বাসের মালিকপক্ষ। ওই আলোচনায় শিক্ষার্থীরা ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর কয়েক দফা আলোচনা শেষে গতকাল রাতে নগদ ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় মালিকপক্ষ। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরও ৫ লাখ টাকা আগামী তিন মাসের মধ্যে বাস কর্তৃপক্ষের কল্যাণ তহবিল থেকে দেবে, এমন লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। পরে রাত ১১টার দিকে বাসগুলো নিয়ে যায় তারা।

রিফাতের সহপাঠীরা জানিয়েছিলেন, রিফাতের ছোট ভাই ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। তাঁর চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন তাঁর বাবা জহুরুল হক। বাসের ধাক্কায় তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মারা গেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, বাস কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা নগদ দিয়েছে। ওই টাকা ভুক্তভোগীর সন্তান রিফাতের কাছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ৩ মাসের মধ্যে আরও ৫ লাখ টাকা দেবে, এমন লিখিত প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।
সব নিউজ দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন- https://fibd.tv/ https://www.youtube.com/

আজ টিভিতে দেখা যাবে যেসব খেলা (১৬ জুলাই)৩য় টি-টোয়েন্টিবাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কাসন্ধ্যা ৭-৩০ মিনিটি, টি স্পোর্টসত্রিদেশীয় টি-...
16/07/2025

আজ টিভিতে দেখা যাবে যেসব খেলা (১৬ জুলাই)

৩য় টি-টোয়েন্টি

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা
সন্ধ্যা ৭-৩০ মিনিটি, টি স্পোর্টস
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি

দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড
বিকেল ৫টা, টি স্পোর্টস টিভি ও অ্যাপ
মেয়েদের ওয়ানডে

ইংল্যান্ড-ভারত
সন্ধ্যা ৬টা, সনি স্পোর্টস ১
গ্লোবাল সুপার লিগ

দুবাই-রংপুর
রাত ৮টা, সনি স্পোর্টস ৫, টি স্পোর্টস ডিজিটাল

সব নিউজ দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন- https://fibd.tv/ https://www.youtube.com/

মস্কোতে হামলা চালানোটা জেলেনস্কির জন্য উচিত কাজ হবে না, বললেন ট্রাম্পযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ...
16/07/2025

মস্কোতে হামলা চালানোটা জেলেনস্কির জন্য উচিত কাজ হবে না, বললেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার মস্কোতে হামলা চালানোটা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্য উচিত কাজ হবে না। গতকাল মঙ্গলবার তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প আরও বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উচিত ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়া, না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।

রাশিয়ার আরও গভীরে হামলা জোরদার করতে ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে ইউক্রেনকে উৎসাহ দিয়েছেন বলে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তিনি এ কথা বলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের আলোচনার ব্যাপারে জানেন এমন কয়েকজন ব্যক্তির বরাতে গতকাল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। ট্রাম্প জেলেনস্কির কাছে জানতে চেয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র দেয়, তাহলে তিনি মস্কোতে হামলা চালাতে পারবেন কি না।

গতকাল হোয়াইট হাউসের সাউথ লনে সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তখন বলেন, ‘না, মস্কোতে হামলা করাটা তাঁর (জেলেনস্কি) উচিত হবে না।’

গত সোমবার ট্রাম্প ইউক্রেনে রাশিয়ার তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের জন্য মস্কোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন। ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে তিনি মস্কোকে ৫০ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন। না হলে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইউরোপীয় কর্মকর্তারা তৎপর হয়ে উঠেছেন। কীভাবে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায় এবং কীভাবে ইউক্রেনের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে ভাবছেন তাঁরা।

মঙ্গলবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, কিছু প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ইতিমধ্যে ইউক্রেনের পথে আছে। সেগুলো জার্মানি থেকে আসছে।

ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর ঘোষণার বিষয়ে এখনো পুতিনের সঙ্গে কথা হয়নি। তবে তাঁর ধারণা, চুক্তি করতে ৫০ দিন না–ও লাগতে পারে।

এর আগে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি এখন ইউক্রেনের পক্ষে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কারও পক্ষেই নই।’ এরপর ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি মানবতার পক্ষে। কারণ, তিনি ‘হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে চান’।

রাশিয়াকে চুক্তিতে রাজি করানোর জন্য দেওয়া সময়সীমা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলোর ওপর শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ ঠেকাতে এ সময়সীমা গুরুত্বপূর্ণ।

তবে চুক্তির বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা শুরু করার পরিকল্পনা আছে কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি তিনি।

ট্রাম্প বলেছেন, ৫০ দিনের সময়সীমা শেষে যদি কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে সেটা খুব খারাপ হবে।
সব নিউজ দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন- https://fibd.tv/ https://www.youtube.com/

ফিরে দেখা ১৬ জুলাই: আবু সাঈদের মৃত্যুতে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ রূপ নেয় স্ফুলিঙ্গে১৬ জুলাই ২০২৪ — অকুতোভয় রাষ্ট্রের প্রতীক ...
16/07/2025

ফিরে দেখা ১৬ জুলাই: আবু সাঈদের মৃত্যুতে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ রূপ নেয় স্ফুলিঙ্গে

১৬ জুলাই ২০২৪ — অকুতোভয় রাষ্ট্রের প্রতীক হয়ে উঠেন রংপুরের আবু সাঈদ। পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীর মৃত্যু একতাবদ্ধ করে গোটা দেশকে। এদিন কঠোর রূপ নেয় কোটা আন্দোলন; শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ছাত্রলীগের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই শিক্ষার্থীরা ঘুরে দাঁড়ায়। সারাদেশ থেকে আসে ৬ জনের মৃত্যুর সংবাদ। মোতায়েন করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বন্ধ হয়ে যায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হল। স্থগিত হয় এইচএসসি পরীক্ষাও।

শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা-নিপীড়নের পর, ১৬ জুলাই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোটা আন্দোলনের পরিস্থিতি। দুপুর থেকেই শুরু হয় অবরোধ ও সংঘর্ষ। সায়েন্সল্যাব মোড়ে কোটার পক্ষে আন্দোলনকারী এবং ছাত্রলীগের মধ্যে হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ। সন্ধ্যার দিকে মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে উভয় পক্ষ। আন্দোলনকারীরা হামলা চালায় পুলিশ বক্সে। এসব ঘটনায় বিকেলে দুই জন নিহতের খবর জানায় পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিজিবি মোতায়েন করা হয় ঢাকা কলেজের সামনে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও (জবি) চলছিল সংঘর্ষ; গুলিবিদ্ধ হয় ৪ শিক্ষার্থী। আহত হয়ে সেদিনই ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন দেড় শতাধিক। কোটা আন্দোলনকারীদের পদচারণা ও স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় আন্দোলনকারীরা।

এদিকে সারাদেশে দিনভর চলতে থাকে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ। চট্টগ্রাম, রংপুর, বরিশাল—সব জায়গাতেই উত্তেজনা; পাওয়া যায় ৬ জনের প্রাণহানির খবর। এরইমধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যু নাড়িয়ে দেয় সরকার ও প্রশাসনের প্রতি জনগণের বিশ্বাসের ভিত। ক্ষোভ রূপ নেয় স্ফুলিঙ্গে।

অন্যদিকে, বরিশালে সংঘাত চলাকালে হামলার শিকার হয় যমুনা টেলিভিশনের গাড়ি। বগুড়ায় আহত হন ব্যুরো প্রধান মেহেরুল সুজন। চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ ৩ জন নিহত হন, আহত হয় অর্ধশতাধিক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতের হামলায় আহত হন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। সেই তালিকায় ছিলেন ৫ সংবাদকর্মীও।

এদিন বিকেল ৩টায় দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-মিছিলের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের পরই, সব শিক্ষাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রলীগ। পরস্পরবিরোধী অবস্থানে বিরাজ করে চরম উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিরসনে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধের ঘোষণা আসে। ওই রাতেই হলচ্যুত করা হয় ছাত্রলীগ নেতাদের; ভাঙচুর করা হয় কক্ষে কক্ষে।

এদিন একাত্মতা প্রকাশ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ। ঘটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও। আন্দোলনে যোগ দেয় ইউআইইউ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মোহাম্মদপুরে অবরোধ করে ছাত্রছাত্রীরা। কোটার যৌক্তিক সংস্কার এবং হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আসে।

এদিকে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে চালানো হামলার প্রতিবাদে বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জানায়, সহিংসতা নতুন মাত্রা পেতে পারে। মার্কিন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের এমন মন্তব্যে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আক্রমণাত্মক বক্তব্য অব্যাহত রাখেন আওয়ামী লীগ নেতারাও।

কোটা আন্দোলনের পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় বিনিয়োগ বাতিল করে সরকার। কারণ জানতে চাইলে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বেড়েছে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা।

এদিন কোটা আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রদল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলও তার বক্তব্যে তুলে ধরেন সরকারের পৈশাচিক নির্যাতনের চিত্র।

আন্দোলনের মেঘ যে ক্রমান্বয়ে ঘনীভূত হচ্ছিল, সেটি আঁচ করতে পেরেছিলেন মন্ত্রীরা। তাই, নমনীয়তার বদলে কঠোর অবস্থানে যায় সরকার। বিপরীতে, জীবন বাজি রেখে দাবি আদায়ে সোচ্চার ছিল শিক্ষার্থীরা।

সব নিউজ দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন- https://fibd.tv/ https://www.youtube.com/

মা–বাবা হলেন কিয়ারা–সিদ্ধার্থ, কন্যাসন্তানের জন্মসুখবর এল বলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভা...
15/07/2025

মা–বাবা হলেন কিয়ারা–সিদ্ধার্থ, কন্যাসন্তানের জন্ম

সুখবর এল বলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানির ঘরে। মঙ্গলবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন কিয়ারা। পরিবার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, মা ও নবজাতক দুজনই সুস্থ আছেন। নতুন অতিথিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ‘সিড–কিয়ারা’ জুটি। যদিও এখনো পর্যন্ত দম্পতির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভিসহ বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খবরটি নিশ্চিত করেছে।
সিদ্ধার্থ ও কিয়ারার প্রেম শুরু হয়েছিল ‘শেরশাহ’ ছবির সেটে। ২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে অনস্ক্রিন রসায়ন দর্শকদের মুগ্ধ করলেও পর্দার বাইরের সম্পর্কও ধীরে ধীরে গাঢ় হয়ে ওঠে। অনেক দিন চুপিচুপি প্রেম করার পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজস্থানের জয়সালমিরে রাজকীয় আয়োজনে চার হাত এক করেন তাঁরা। বলিউডের তারকা বিয়েগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম আলোচিত ও জনপ্রিয় ছিল।

কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা

দাম্পত্য জীবনের এক বছর কাটতে না কাটতেই সন্তান আসার খবর দেন তাঁরা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছবিসহ ‘নতুন সদস্য আসছে’—এমন একটি পোস্ট দিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ ও কিয়ারা। তার পর থেকেই তাঁদের অনুরাগীদের অপেক্ষা শুরু হয়।
মঙ্গলবার রাতেই সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটে। জানা গেছে, কিয়ারার নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। সন্তান জন্মের সময় হাসপাতালে ছিলেন কিয়ারার বাবা ও স্বামী সিদ্ধার্থ। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি, চোখে আবেগ—সব মিলিয়ে নতুন জীবনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ছিলেন সবাই।
মাত্র কয়েক দিন আগেই তাঁদের একটি হাসপাতালের বাইরে দেখা গিয়েছিল। ছাতার নিচে কিয়ারাকে সাবধানে নিয়ে যাচ্ছিলেন সিদ্ধার্থ। তাঁকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল, সময় খুব কাছেই। ভিডিওটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই মনে করেছিলেন, যেকোনো সময় সুখবর আসতে পারে।

অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি, ইনস্টাগ্রাম থেকে

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন কিয়ারা। মাতৃত্বকালে তিনি নিভৃতে, পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চেয়েছেন। তবে মাঝেমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেছে তাঁর উচ্ছলতা, মাতৃত্বকে ঘিরে নানা মুহূর্তের ঝলক। এমনকি চলতি বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবেও তিনি লালগালিচায় হেঁটেছেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। গর্ভাবস্থার মাঝেও তাঁর স্টাইল ও উপস্থিতি নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন দুনিয়ায়ও।

সিদ্ধার্থ মলহোত্রাও এই সময়টায় স্ত্রীকে সময় দিয়েছেন। মাঝেমধ্যে কিছু বিজ্ঞাপনচিত্র ও চিত্রনাট্যের কাজ থাকলেও নতুন অতিথিকে ঘিরেই ছিল সব প্রস্তুতি।
সন্তান জন্মের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বলিউড তারকাদের শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কিয়ারার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আলিয়া ভাট থেকে শুরু করে করণ জোহর, বরুণ ধাওয়ান, ক্যাটরিনা কাইফসহ অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই নতুন মা–বাবাকে।
দুই থেকে তিন হলেন সিদ্ধার্থ ও কিয়ারা। তাঁদের জীবনের এই নতুন অধ্যায় যেন সুখ, ভালোবাসা ও আনন্দে ভরে ওঠে—এমনটাই প্রার্থনা ভক্তদের।
সব নিউজ দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন- https://fibd.tv/ https://www.youtube.com/

ডলার কিনে মুদ্রাবাজার শান্ত রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংকব্যাংকগুলো থেকে ডলার কিনে মার্কিন মুদ্রাটির দাম স্বাভাবিক র...
15/07/2025

ডলার কিনে মুদ্রাবাজার শান্ত রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কিনে মার্কিন মুদ্রাটির দাম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলারের দাম কমে আসছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত দুই দিনে ব্যাংকগুলো থেকে ৪৮ কোটি ডলার কিনেছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তথা মজুত বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দেশের মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করার পর থেকে ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক চর্চা মেনে নিজেদের মধ্যে নিয়মিত ডলার বেচাকেনা করছে। ফলে দীর্ঘদিন পর মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ডলার কেনায় ব্যাংকগুলো বেশ সংযত। অর্থাৎ তারা কম দামে প্রবাসী আয় কিনছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা আগের চেয়ে কম দামে ডলার পাচ্ছেন। আর উদ্বৃত্ত ডলার নিলামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কিনতে শুরু করেছে। এভাবে ডলারের দামে অস্বাভাবিক ওঠা–নামা ঠেকানো যাচ্ছে।

বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ডলারের বাজারে স্বস্তি ফিরে আসায় এখন আমদানি বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সময় এসেছে। পাশাপাশি বিলাসপণ্য আমদানিতে যেসব বাড়তি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো তুলে নিতে হবে। তাহলে আমদানি বাড়বে, যা ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

টানা চার দিন কমার পর গতকাল মঙ্গলবার দেশের মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে। চলতি মাসে গত সোমবার পর্যন্ত ডলারের দাম কমেছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই ডলারের দাম বেড়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, দেশের মুদ্রাবাজারে গতকাল ডলার সর্বোচ্চ ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয় এবং সর্বনিম্ন ১২০ টাকা ৮০ পয়সায় কেনা হয়। গত সোমবার ডলার বেচাকেনা হয় যথাক্রমে ১২০ দশমিক ১০ টাকা ও ১১৯ টাকা ৫০ পয়সায়। এদিন ডলারের গড় দাম ছিল ১২১ দশমিক ১১ টাকা, অর্থাৎ ডলারের বিক্রয়মূল্য বেড়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল নিলামের মাধ্যমে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনেছে। এই ডলার বিক্রি করেছে ২২টি ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি ডলার কিনেছে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দামে। এর আগে গত রোববার এই প্রক্রিয়ায় ১৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, বকেয়া আমদানি দায় পরিশোধ হয়ে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা কমেছে। অন্যদিকে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বেড়েছে। ফলে ডলারের সংকট কেটে গেছে। এদিকে ডলারের দাম কমায় আমদানিতে স্বস্তি দেখা যায়। অন্যদিকে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনেছে।

দেশে প্রায় তিন বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষের যে ভোগান্তি বাড়ছে, তার অন্যতম কারণ ডলারের উচ্চ দাম। ডলারের দাম কমলে তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়। অন্তর্বর্তী সরকারেরও অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। বর্তমানে ডলারের দাম যে পর্যায়ে রয়েছে, সেটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য দাম ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ব্যাংকগুলো এখন প্রবাসী আয়ের ডলার ১২১ টাকায় কিনছে, যা এক মাস আগে ১২৩ টাকার ওপরে ছিল। ডলারের দাম কমলেও অবশ্য প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়ছে। যদিও ব্যবসা-বাণিজ্যে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। আমদানিতে গতি নেই। ঋণপত্র খোলার হার কমছে। ব্যাংকগুলোয় ডলারের চাহিদা কম।

সব নিউজ দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন- https://fibd.tv/ https://www.youtube.com/

রোববার চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট আগামী রোববার (২০ জুলাই) চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২৪ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক...
15/07/2025

রোববার চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট

আগামী রোববার (২০ জুলাই) চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২৪ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশন।

চার দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির সদস্যসচিব মো. হুমায়ুন কবির।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান- এই পাঁচ জেলায় গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচল সকাল ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের অভিযোগ, সরকার কলকারখানাসহ বিভিন্ন শিল্প খাতে ভর্তুকি দিলেও পরিবহন খাত উপেক্ষিত। অথচ এই খাতে যন্ত্রাংশ, টায়ার, টিউবসহ যাবতীয় খরচ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। এই অবস্থায় বাণিজ্যিক যানবাহনের আয়করে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পরিবহন খাতের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চার দফা দাবি আদায়ে মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ধর্মঘট পালন করা হবে। ধর্মঘটের আগে সরকার দাবি মানার জন্য উদ্যোগ না নিলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের আহ্বায়ক সদস্য মোরশেদুল আলম কাদেরী, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের মৃণাল চৌধুরী, মো. মুছা, অলি আহম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চার দফা দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের মালিক-শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারা সংশোধন। যানবাহনের ‘ইকোনমিক লাইফ’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন স্থগিত। ফিটনেস সনদ প্রদান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে না দেওয়া। বাণিজ্যিক যানবাহনের ওপর আরোপিত বাড়তি অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার।

সব নিউজ দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন- https://fibd.tv/ https://www.youtube.com/

মৃত্যুর আগে শেষ মেসেজে কী লিখেছিলেন হুমায়রা পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের রহস্যজনক মৃত্যুর জট এখনো খোলেনি। ...
15/07/2025

মৃত্যুর আগে শেষ মেসেজে কী লিখেছিলেন হুমায়রা

পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের রহস্যজনক মৃত্যুর জট এখনো খোলেনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের মধ্যে নতুন তথ্য উঠে এল।

এক প্রতিবেদনে ডেইলি পাকিস্তান জানিয়েছে, হুমায়রা চরম আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন এবং মৃত্যুর আগে তিনি অন্তত দশজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন, যার মধ্যে তাঁর ভাইও ছিলেন।

গত ৭ অক্টোবর শেষবারের মতো তাঁর মুঠোফোন থেকে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। ভাইসহ অন্তত ১০ জনকে মেসেজটি পাঠিয়েছিলেন তিনি। মেসেজে লিখেছিলেন, ‘হ্যালো, আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’ কিন্তু কোনো উত্তর পাননি তিনি।

মৃত্যুর ৯ মাস পর করাচির এক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে হুমাইরা আসগরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, তাঁর দেহ ছিল পচে নষ্ট হওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কালো হয়ে গিয়েছিল, মুখমণ্ডল অচেনা হয়ে গিয়েছিল এবং দেহের চারপাশে ছিল পোকামাকড়ের উপস্থিতি।

হুমাইরা আসগরইনস্টাগ্রাম থেকে

বিষয়টি নিয়ে তদন্তের মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। একটি বিশেষ তদন্ত দল মামলার পরিধি বাড়িয়েছে এবং মোট ৬৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

লাহোরের মেয়ে হুমাইরা ২০১৫ সালে মিডিয়ায় পথচলা শুরু করেন। ছোট পর্দায় ‘জাস্ট ম্যারেড’, ‘এহসান ফারামোশ’, ‘গুরু’ ও ‘চল দিল মেরে’র মতো সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন। বড় পর্দায় কাজ করেছেন ‘জালিবি’ ও ‘লাভ ভ্যাকসিন’ (২০২১) চলচ্চিত্রে।
২০২২ সালে এআরওয়াই ডিজিটালের রিয়েলিটি শো ‘তমাশা ঘর’–এ অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন। ২০২৩ সালে ‘ন্যাশনাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডস’–এ সেরা সম্ভাবনাময় অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।

সব নিউজ দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন- https://fibd.tv/ https://www.youtube.com/

বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়ামালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেওয়ার সি...
15/07/2025

বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এতে করে এখন থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনে সে দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীরা সহজেই দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। পরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা প্রয়োজনে সহজেই দেশে এসে পুনরায় কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন। এতে তাদের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং পারিবারিক প্রয়োজনে দেশে আসা-যাওয়াও সহজ হবে।

মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে মালয়েশিয়া সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে এরইমধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলেও বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এছাড়া আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, গত মে মাসে মালয়েশিয়া সফরকালে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর গত ১০ জুলাই এই বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে মালয়েশিয়া সরকার।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘বৈঠকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরপর থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখেন। অবশেষে গত ১০ জুলাই প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালকের পক্ষে স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব বাংলাদেশি কর্মীদের পরিপত্র জারির আগে সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা এবং টেম্পোরারি এমপ্লয়মেন্ট ভিজিট পাস (PLKS) ইস্যু করা আছে, তাদের নতুন করে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা আবেদন করতে হবে না। PLKS নবায়নের সময় মাল্টিপল ভিসা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ইস্যু হয়ে যাবে।’

পাশাপাশি, এখন থেকে যে সকল বাংলাদেশি কর্মীদের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা ছিল এবং PLKS বৈধ আছে, তারা নতুন মাল্টিপল ভিসা ছাড়াই মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। এই বিষয়ে মালয়েশিয়ার সকল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে পরিপত্রের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘মালয়েশিয়া ১৫টি দেশ থেকে কর্মী নিয়ে থাকে। এর মধ্যে কেবল বাংলাদেশি কর্মীদেরই মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার পরিবর্তে সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা দেওয়া হচ্ছিল। এ কারণে বাংলাদেশি কর্মীদের বহু ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে, কষ্ট পেতে হয়েছে। মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালু হওয়ায় তাঁরা স্বস্তি পাবেন।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি এ বিষয়ে আহ্বান জানানো হচ্ছিল। সরকারের ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস।

সব নিউজ দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন- https://fibd.tv/ https://www.youtube.com/

ঘুমাচ্ছিলেন বিবিসির সাংবাদিক, হঠাৎ ট্রাম্পের ফোন, বললেন অনেক কথাহঠাৎ করেই সাংবাদিকদের ফোন করাটা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন...
15/07/2025

ঘুমাচ্ছিলেন বিবিসির সাংবাদিক, হঠাৎ ট্রাম্পের ফোন, বললেন অনেক কথা

হঠাৎ করেই সাংবাদিকদের ফোন করাটা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি অভ্যাসে পরিণত করেছেন। আর তিনি সম্ভবত ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকারের চেয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলাটাই বেশি পছন্দ করেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ছিল আমার পালা। সত্যি বলতে, হোয়াইট হাউস থেকে যখন ফোন এল, তখন আমি ঘুমাচ্ছিলাম।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে গত বছরের ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়ার বাটলার শহরে ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। পাঁচ দিন ধরে বেশির ভাগ সময় আমার মাথায় একটি চিন্তাই ঘুরছিল। তা হলো, ওই ঘটনার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ কি পাব?

বাটলারে ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছিলাম। সেগুলো বিশ্বজুড়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল। হয়তো ট্রাম্পেরও নজরে এসেছিল। ভেবেছিলাম, এই সূত্র ধরে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া যেতে পারে। গত রোববার রাতে আমাকে বলা হয়েছিল, কিছুক্ষণ পর ট্রাম্প ফোন করবেন। দলবল নিয়ে প্রস্তুতও ছিলাম আমি। তবে সে রাতে প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ফোন আসেনি।

পুতিনকে বিশ্বাস করেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে দীর্ঘ একটি বিরতি নেন প্রেসিডেন্ট। তারপর বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি প্রায় কাউকে বিশ্বাস করি না।’

সোমবার রাতে আমি সাক্ষাৎকারের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কোনো ছুটি ছাড়া কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় রাস্তায় থাকার কারণে ক্লান্তও ছিলাম। তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তখনই ফোনটা বেজে উঠল। ঘুম ঘুম চোখে ফোনটা ধরলাম। ওপারে ছিলেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট। তিনি বললেন, ‘এই যে গ্যারি। আমি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছি। এই নিন, কথা বলুন।’

আমি ছুটে গেলাম বসার ঘরে। আমার ডিজিটাল রেকর্ডারের খোঁজে হাতড়াতে শুরু করলাম। তখন লাইনটা কেটে গেল। মনে হলো, সুযোগটা কি হাতছাড়া হয়ে গেল? তারপরই আবার ফোন এল। প্রায় ২০ মিনিট ধরে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বললাম। বাটলারের সেই ভয়াবহ ঘটনা, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে ট্রাম্পের হতাশা, ন্যাটো নিয়ে তাঁর নয়া চিন্তাভাবনা—সবকিছু নিয়েই আলাপ হলো।
বাটলারের ঘটনায় অস্বস্তি

বাটলারে হত্যাচেষ্টা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বোঝা গেল, বিষয়টি নিয়ে আলাপ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না ট্রাম্প। জিজ্ঞাসা করলাম, ওই হত্যাচেষ্টা তাঁকে বদলে দিয়েছে কি না? ট্রাম্পের কথা বলার ইঙ্গিতে বোঝা গেল যে ঘটনাটি নিয়ে তিনি বেশ দুর্বল। এটি নিয়ে যতটা সম্ভব কম ভাবতে চান।

একসময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ন্যাটো ‘অচল’ হয়ে গেছে। আমি সেদিকে ইঙ্গিত করলাম। জবাবে ট্রাম্প বললেন, এখন তিনি মনে করেন, পশ্চিমা সামরিক জোটটি তাঁর আগের বক্তব্যের ঠিক বিপরীত দিকে যাচ্ছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এ নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না। কারণ, যদি ভাবি, বুঝতেই পারছেন, সেটা হয়তো জীবন বদলে দেওয়ার মতো কিছু হতে পারে। আর আমি চাই না, এটা তেমন কিছু হোক।’ পুতিনকে বিশ্বাস করেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে দীর্ঘ একটি বিরতি নেন প্রেসিডেন্ট। তারপর বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি প্রায় কাউকে বিশ্বাস করি না। আমি হতাশ। তবে পুতিনের সঙ্গে কাজ এখনো শেষ হয়ে যায়নি।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনফাইল ছবি: এএফপি
কতজন অভিবাসীকে বিতাড়ন করা হবে, সে প্রশ্নের জবাব নেই

পুতিনের বিষয়ে কথা বলতে বলতে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির দিকে দৃষ্টি ফেরালাম আমি। ট্রাম্পের কাছে জানতে চাইলাম, অবৈধ অভিবাসীদের গণহারে বিতাড়িত করতে তাঁর পরিকল্পনা কাজে আসছে কি না? তিনি জোর দিয়েই বললেন, তাঁর দল ‘চমৎকার কাজ’ করছে। এ সময় মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী প্রবেশ ব্যাপক হারে কমার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।

ট্রাম্পের প্রশাসনের কয়েকজন অবশ্য এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের ভাষ্য, অভিবাসীদের বিতাড়িত করার কাজ খুবই ধীরে হচ্ছে। জিজ্ঞাসা করলাম, নিজের দ্বিতীয় মেয়াদে কতজন অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠাতে পারলে সফলতা পাওয়া গেছে বলে ধরা হবে? এর কোনো জবাব দিলেন না ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বললেন, ‘ভালো কথা। আমি কোনো সংখ্যা উল্লেখ করব না, তবে এই সব অপরাধীকে আমি দ্রুত তাড়িয়ে দিতে চাই। আর আমরা যে সেটা করছি, তা আপনি জানেন। আমরা তাদের এল সালভাদরসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছি।’
পুতিনকে নিয়ে আরও হতাশা

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে আবারও হতাশা প্রকাশ করলেন ট্রাম্প। এর আগেই ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে মস্কোর অর্থনীতির ওপর আঘাত হানার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এই যুদ্ধ দ্রুত থামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন। পুতিনকে একটি চুক্তিতে রাজি করাতে না পেরে ট্রাম্পকে বিভ্রান্ত মনে হচ্ছিল।

পুতিনের কথা ও কাজের ফারাকের দিকে আবারও ইঙ্গিত করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘চারবার আমার মনে হয়েছিল, আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছি। আর তারপর আপনি বাড়ি যাবেন এবং দেখবেন, এইমাত্র একটি নার্সিং হোম বা কিয়েভের কোথাও হামলা চালানো হয়েছে। আমি বলে উঠেছিলাম, এত যে আলোচনা করলাম, তার কী হলো?’
হোয়াইট হাউসে গতকাল সোমবার ন্যাটোর প্রধান মার্ক রুত্তের সঙ্গে বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
হোয়াইট হাউসে গতকাল সোমবার ন্যাটোর প্রধান মার্ক রুত্তের সঙ্গে বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পফাইল ছবি: রয়টার্স
ন্যাটো নিয়ে নতুন সুর

একসময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ন্যাটো ‘অচল’ হয়ে গেছে। আমি সেদিকে ইঙ্গিত করলাম। জবাবে ট্রাম্প বললেন, এখন তিনি মনে করেন, পশ্চিমা সামরিক জোটটি তাঁর আগের বক্তব্যের ঠিক বিপরীত দিকে যাচ্ছে।

ট্রাম্প সবেমাত্র ন্যাটোর প্রধান মার্ক রুত্তের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দুজনের আলাপ বেশ উষ্ণ হয়েছে। ঘোষণা এসেছে যে ন্যাটোর সদস্যদেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র। সেসব অস্ত্র পরে কিয়েভে পাঠানো হবে।

আমাদের কথোপকথনের সময় ট্রাম্প এটি বুঝিয়ে দিলেন যে ন্যাটোর অন্যান্য সদস্যদেশের চেয়ে প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র বেশি ব্যয় করে, এ নিয়ে ক্ষোভ ছিল তাঁর। তবে সেই ক্ষোভ এখন তিনি ঝেড়ে ফেলেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটি খুবই অন্যায্য ছিল। কারণ, ন্যাটোর প্রতিরক্ষা খরচের শতভাগই যুক্তরাষ্ট্রকে বহন করতে হতো। তবে এখন অন্য সদস্যদেশগুলো নিজেদের খরচ নিজেরা দিচ্ছে। আমি মনে করি, এটি আগের চেয়ে অনেক ভালো। আমরা ন্যাটোকে বদলে দিয়েছি।’

গ্যারি ওডনহিউ, বিবিসির উত্তর আমেরিকাবিষয়ক প্রধান সংবাদদাতা

সব নিউজ দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন- https://fibd.tv/ https://www.youtube.com/

বিয়ের মেহেদী হাতেই প্ল্যাকার্ড ধরেছি: জুলাই যোদ্ধা লামিয়াবিয়ের মেহেদী তখনও তরতাজা। টকটকে। ফ্যাকাশে হয়নি। অথচ আমি চলে গেছ...
15/07/2025

বিয়ের মেহেদী হাতেই প্ল্যাকার্ড ধরেছি: জুলাই যোদ্ধা লামিয়া

বিয়ের মেহেদী তখনও তরতাজা। টকটকে। ফ্যাকাশে হয়নি। অথচ আমি চলে গেছি মিছিলে। বিয়ের মেহেদী হাতেই প্ল্যাকার্ড ধরেছি, টিয়ার শেল খেয়েছি। এই আবেগ আসলে এখন বলে বোঝানো যাবে না। মুক্তির নেশা আসলে আপনার সামনের সবকিছুকে তুচ্ছ করে তুলবে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা লামিয়া ইসলাম।

ছোটবেলা থেকেই লামিয়া রাজনীতি সচেতন। অনেক কম বয়সেই রাজনীতির জটিল বইগুলো অধ্যয়ন করেছেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক বর্ষে পড়ছেন এবং রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর বিশেষ আয়োজনে মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।

প্রশ্ন: নারী হিসেবে রাজনীতিতে আসায় কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন?

লামিয়া ইসলাম: রাজনীতিতে এসেছি রাষ্ট্র ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের স্বপ্ন নিয়ে। আর এই সংস্কার কেউ এসে করে দেবে না, আমাদের নিজেদেরই সেই সংস্কার করতে হবে। জন্মের পর থেকে আমাদের দেশটাকে যে লুটপাট করা হয়েছে, বলা চলে তা ‘সাংবিধানিকভাবেই স্বীকৃত’। আইনের নানান ফাঁকফোকর ও মারপ্যাচই কাঠামোগতভাবে এই দেশের সরকারকে রাষ্ট্রের সেবক নয়, শোষকে পরিণত করেছে। ফলে এই পুরো ব্যবস্থাপনার সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রটাকে আক্ষরিক অর্থে জনগণের করে গড়ে তোলার জন্য রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। আর আমি যখন রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিই, সেই সময়টা বাংলাদেশে চূড়ান্ত ফ্যাসিজমের সময়। কেউ তার নিজের অধিকারের পক্ষে কথা বলতে পারেন না। কেউ কথা বললেই, তাকে ভয়ভীতি দেখানো থেকে শুরু করে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে।

প্রশ্ন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কীভাবে যুক্ত হলেন?

লামিয়া ইসলাম: যেহেতু আমি আগে থেকেই রাজনীতির মাঠে লড়াই সংগ্রামে যুক্ত ছিলাম। রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের সাথে রাজনীতি করি। এর আগে আমরা আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে নানা সময়ে যুগপৎভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছি। কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন শুরু হলো, তখন থেকেই এই আন্দোলনের নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবেই যুক্ত থেকেছি। আমরা বিশ্বাস করতাম, আমাদের ঐক্যবদ্ধতাই আওয়ামী জাহেলিয়াত থেকে আমাদের মুক্ত করবে। ফলে যখনই আমাদের এমন কোনো সুযোগ তৈরি হয়েছে, আমরা তাতে অংশ নিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। এই ছাতা আমাদের এক করেছিল। আন্দোলনটা শুরু হয়েছিল জুনে। তখন থেকেই এতে যুক্ত থাকি। রাজপথে আসি, মিছিলে যুক্ত হই। নানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রাখি। এই আন্দোলন চলাকালেই আমার বিয়ে হয়।
বিজ্ঞাপন

প্রশ্ন: হ্যাঁ, বিষয়টি আপনি ফেসবুকে লিখেছেন, বিয়ের দুইদিন পরই আপনি আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।

লামিয়া ইসলাম: তথ্যে একটু ভুল আছে। আমি বিয়ের দুইদিন পর আন্দোলনে যুক্ত হইনি বরং বিয়ের জন্য দুইদিন বিরতি নিয়েছিলাম। আমি আন্দোলনের শুরু থেকেই ছিলাম। ১২ জুলাই আমার বিয়ে হয়। তার আগে আমি বিয়ের কেনাকাটা করে শপিং ব্যাগ হাতে নিয়েই মিছিল করেছি। ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছি। বিয়ে এবং তারপরের দিন আমি সশরীরে আন্দোলনের মাঠে থাকতে পারিনি। অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সরব ছিলাম। বিয়ের দুইদিনের মাথায় আর রাস্তায় না নেমে থাকতে পারিনি। আপনি নিশ্চয় জানেন, একজন নববধুর পক্ষে শ্বশুরবাড়ি থেকে এই সময়টা বের হওয়া কতটা কঠিন। ফলে আমাকে শ্বশুড়বাড়ি থেকে মিথ্যা অযুহাত দিয়ে বের হতে হতো। এ ব্যাপারে আমার বরের সহযোগিতা পেয়েছি। বিয়ের মেহেদী তখনও তরতাজা। টকটকে। ফ্যাকাশে হয়নি। অথচ আমি চলে গেছি মিছিলে। বিয়ের মেহেদী হাতেই প্ল্যাকার্ড ধরেছি, টিয়ার শেল খেয়েছি। এই আবেগ আসলে এখন বলে বোঝানো যাবে না। মুক্তির নেশা আসলে আপনার সামনের সবকিছুকে তুচ্ছ করে তুলবে।

ওই সময়টা খুবই অস্থিরতার ভেতর দিয়ে গেছে। তখন পুলিশ ছাত্র দেখলেই তাদের মোবাইল ফোন চেক করতো। আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা দেখতো। তখন একটা কৌশল নেওয়া শুরু করি। বাসা থেকে যখন বের হতাম, ফোন ফ্ল্যাশ মেরে বের হতাম। আর একটা কাগজে নিজের নাম, মায়ের ফোন নম্বর, হাসবেন্ডের ফোন নম্বর ও বাসার ঠিকানা লিখে নিতাম। আমি তো জানি না, বেঁচে ফিরবো কিনা। দেখা গেল গুলি খেয়ে রাস্তায় আমার লাশ পড়ে আছে। অন্তত লাশটা যেন আমার পরিবার পায়, এ জন্য এটা করতাম।

প্রশ্ন: ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের সঙ্গে ছিলেন। জুলাইয়ের আন্দোলনে আপনার সেই অভিজ্ঞতাকে কীভাবে কাজে লাগিয়েছেন?

লামিয়া ইসলাম: জ্বি, আমরা বেশ কয়েকটি সংগঠন মিলে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যে ছিলাম। কিন্তু জুলাই আসলে সবকিছু থেকে আলাদা ছিল। মানুষের ভেতর ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এখানে আসলে আমাদের আন্দোলনটাকে শুধু কন্টিনিউ করে যেতে হয়েছে; আর কিছু না। আমরা জানতাম, যদি আমরা মাঠে ঠিকমতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারি; তাহলে আরও বেশি মানুষ এতে অংশগ্রহণ করবেন। রাস্তায় নেমে আসবেন। ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের নির্যাতন-নিপীড়ন আর আন্দোলন দমনে তাদের যে দুর্বৃত্তায়ন- তা যেকোনো মানুষকেই ছুঁয়ে গেছে। মানুষ তার সন্তানকে রক্ষা করার জন্য মাঠে নেমেছে, বোন তার ভাইকে রক্ষা করার জন্য মাঠে নেমেছে। এই যে মানুষের স্রোত নামতে শুরু করেছিল, তা আটকানোর ক্ষমতা কারো ছিল না। আন্দোলনের ক্ষেত্রে সশস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে রুখে দাঁড়ানোটাই কাজে লেগেছে। আপনি সাহস করে দাঁড়িয়ে থাকবেন, দেখবেন আপনার সাথে এসে অনেকে দাঁড়িয়ে গেছে। আপনি তাদের ধাওয়া দিতে গিয়ে দেখবেন কোথা থেকে হাজার হাজার মানুষ এসে আপনার সাথে যুক্ত হয়েছে।

প্রশ্ন: জুলাইয়ের কোন ঘটনা বা স্মৃতি কী আপনাকে বারবার নাড়া দেয়?

লামিয়া ইসলাম: ২ আগস্ট শাহাবাগে একটা সংঘর্ষের মধ্যে পড়ি। সেখানে গুলি করা হচ্ছিল। আমার চোখের সামনেই দুইজন মানুষ রাস্তায় পড়ে গেল। চোখের সামনে মৃত্যু। সেই দৃশ্য এখনো মনে পড়লে শিউরে উঠি।

প্রশ্ন: রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে আপনারা (রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এখন সেই সুযোগ এসেছে। কেমন রাষ্ট্র দেখতে চান?

লামিয়া ইসলাম: আমরা আসলে জনগণের রাষ্ট্র গড়তে চাই। এমন একটা রাষ্ট্র যেখানে সরকার আইনের ঊর্ধ্বে না বরং এমন আইন করতে হবে যেন যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের জবাবদিহিতে বাধ্য করা যাবে। ক্ষমতা কোনো একক ব্যক্তির হাতে কুক্ষিগত থাকবে না। যেন কেউ চাইলেই টাকা পাচার করতে না পারে, নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। নারী, পুরুষ, ধর্ম, বর্ণ, জাত নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য যেন একটি নিরাপদ দেশ গড়তে পারি। প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সরকার। মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। রাজনীতি থাকবে তবে তা যেন ক্যাডারভিত্তিক না হয়। ক্ষমতাবান হবেন নাগরিকরা। জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র কাঠামো নির্মাণ করতে পারলেই আমরা আসলে সত্যিকার অর্থে একটা নাগরিকবান্ধব রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে পারবো।

প্রশ্ন: গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

লামিয়া ইসলাম: গণঅভ্যুত্থানের একটি বড় প্রত্যাশা ছিল, রাষ্ট্র ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। পুরোনো ব্যবস্থাপনা বাতিল, জনবিরোধী বিধিবিধান বাতিল, ভেঙে ফেলা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠন। তবে এসবের বাস্তবায়ন খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। তবে সময় এখনও শেষ হয়নি। অবিলম্বে জুলাইয়ের আহতদের সার্বিক চিকিৎসা চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং জুলাই সনদ দিতে হবে। সংবিধান ও আইনি কাঠামোর সংস্কার করতে হবে। ফ্যাসিবাদের বীজ যেখানে যেখানে আছে তা উৎখাত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সেইসাথে বর্তমান সরকারকেও তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে জনগণের সামনে জবাবদিহি করতে হবে।

সব নিউজ দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন- https://fibd.tv/ https://www.youtube.com/

Address

Baghadi

Telephone

+8801857615751

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when FITV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to FITV:

Share