
04/04/2025
ভূতুড়ে গল্প ¥ 👈সবাই এই পেজ টা ফলো দেন ভালো ভালো গল্প পাবেন
*গল্প:১
লাশ কাটা ঘরের অজানা অশুভ শক্তি*
অনেক বছর আগে, বাংলাদেশের একটি ছোট গ্রামের পাশ দিয়ে এক পুরনো হাসপাতাল ছিল। সেই হাসপাতালের কাছে একটি *লাশ কাটা ঘর* ছিল, যেখান থেকে মৃতদেহগুলি শহরের বড় হাসপাতালগুলোর জন্য পাঠানো হতো। যদিও এই লাশ কাটা ঘরটি গ্রামের এককেন্দ্রিক জায়গায় ছিল, তবুও একে ঘিরে অনেক রহস্য ছিল। গ্রামবাসীরা বলতো, ওই জায়গায় অনেক অদ্ভুত কিছু ঘটেছে, যা কখনও তারা ভুলতে পারে না।
গ্রামটির এক নতুন ডাক্তার, ডা. সাদিক, যখন প্রথম সেখানে চাকরি নিতে আসে, তখন তার কাছে এই জায়গার ভয়ের ব্যাপারে অনেক কাহিনী শোনা যায়। কিন্তু সে ভয়ের কোনো অস্তিত্ব বিশ্বাস করতো না। সে মনে করতো এসব লোকমুখে প্রচলিত গল্প ছাড়া কিছুই নয়।
[4/4, 4:52 PM] AI: একদিন রাতে, যখন ডাক্তার সাদিক তার কাজ শেষ করে হাসপাতালের লাশ কাটা ঘরটি পরিদর্শন করতে গেলেন, তখন তার মনে অজানা ভয় বাসা বাঁধতে শুরু করল। রাত গভীর হয়ে আসছিল এবং হাসপাতালের চারপাশে অদ্ভুত নীরবতা ছিল। সে জানত, লাশ কাটা ঘরে মৃত্যুর পরের কাজ হয় এবং এখানে কিছু ভুতুড়ে ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবুও, তার বিজ্ঞানী মনের মধ্যে এমন কিছু ছিল যা তাকে ঠেকাতে পারছিল না।
সে হাঁটতে হাঁটতে লাশ কাটা ঘরের দরজা খুলে ঢুকল। একটি কুৎসিত দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল, যা সাধারণত মৃতদেহ থেকে আসে। ভেতরে সবকিছু অন্ধকারে ঢাকা ছিল, আর একটি অস্পষ্ট আলো কেবলমাত্র একটি ঘরের কোণে ছিল, যেখানে মৃতদেহ রাখা হত। ওই ঘরটি অবিশ্বাস্যভাবে সজ্জিত ছিল, কিন্তু এত দিন যাবত অব্যবহৃত হয়ে থাকায় এর মধ্যে এক অজানা কুৎসিত অনুভূতি তৈরি হয়েছিল।
হঠাৎ, ডাক্তার সাদিক খেয়াল করল যে তার সামনে এক তরুণী মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন, যার চোখ দুটি অদ্ভুতভাবে লাল ছিল এবং শরীরের অধিকাংশ অংশের উপর শেতলা দাগ ছিল। প্রথমে, সাদিক মনে করেছিল যে এটি হয়তো কোনো রোগী বা সেবিকা, কিন্তু তাও ভিন্ন কিছু মনে হচ্ছিল। মহিলা হঠাৎ তাকে দিকে তাকিয়ে বলল, “এখানে কেন এসেছো? তুমি জানো না কি ঘটে এখানে?”
ডাক্তার সাদিক স্তম্ভিত হয়ে গেল, এবং যখন সে মহিলাটির কাছ থেকে এক পা এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন মহিলাটি মিলিয়ে গেল এবং ঘরের বাতি নিভে গেল। তার সঙ্গে মুহূর্তেই সব অন্ধকার হয়ে গেল।
[4/4, 4:52 PM] AI: ডাক্তার সাদিক বের হয়ে আসার চেষ্টা করল, কিন্তু ঘরের দরজা বন্ধ হয়ে গেল এবং সে একেবারে আটকে গেল। সে চিৎকার করে বলেছিল, “কেউ সাহায্য করো!” কিন্তু তার কণ্ঠ কোথাও পৌঁছাতে পারছিল না। ভিতরে গিয়ে সে দেখল, যেখানে সাধারণত মৃতদেহ রাখা হতো, সেখানে এখন একটি ভয়ঙ্কর অশরীরী দৃশ্য ছিল—মৃতদের চোখ খোলা, শরীর কাটা কাটা ছিল, এবং তাদের সমস্ত শক্তি যেন ঘরের ভেতরে একটি ভয়ঙ্কর শক্তি তৈরি করেছে।
ডাক্তার সাদিক তীব্র এক আতঙ্ক অনুভব করল এবং সে কোনোভাবেই ঘর থেকে বের হতে পারছিল না। রাতের অন্ধকারের মধ্যে, তার চারপাশে বিভিন্ন ভূতুড়ে চেহারা দেখতে পেয়ে সে হঠাৎ বুঝতে পারে যে, এখানে যা ঘটছে তা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি হয়তো সেই অশুভ শক্তি, যা সেই মৃতদেহগুলির আত্মা থেকে উদ্ভূত।
পরদিন সকালে, হাসপাতালে গিয়ে সাদিক তার সহকর্মীদের কাছে ঘটনাটি বলল, কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করলো না। তবে, এক বয়স্ক নার্স তখন বলেছিলেন, “এখানে এমন অনেক মৃতদেহ আসতো, যাদের হত্যা করা হয়েছিল। তাদের আত্মা এখনও এখানকার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যতদিন এ লাশ কাটা ঘর আছে, ততদিন এই ভয়াবহতা চলতে থাকবে।”
ওই ঘটনার পর, ডাক্তার সাদিক আর কখনোই সেই লাশ কাটা ঘরে পা রাখেননি। গ্রামবাসীরা তখন বিশ্বাস করতে শুরু করলো, যে লাশ কাটা ঘরটি সত্যিই একটি *ভূতুড়ে স্থান* হয়ে উঠেছে, যেখানে বহু অশরীরী আত্মা বিচরণ করছিল। এমন আরও কিছু গল্প এবং কাহিনী বিভিন্ন জায়গায় প্রচলিত রয়েছে, যেখানে লাশ কাটা ঘর বা এমন কোনও অন্ধকার জায়গা মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী রহস্য উন্মোচন করতে সাহায্য করে—এমন ভয়ের অনুভূতি নিয়ে।
ধন্যবাদ
আপনার গল্প থাকলে আমাকে পাঠান এই পেজ এ আপলোড দেওয়া হবে।
---
এই ধরনের গল্পগুলো শুনলে একদিকে ভয়ের অনুভূতি জাগে, আবার অন্যদিকে কিছু কিছু লোক এগুলোকে কল্পনার জগত হিসেবে বিবেচনা করে। এগুলি যে শুধুমাত্র কিংবদন্তি, বা কিছু মানুষের অভিজ্ঞতা, তা নিয়ে নানা মত থাকতে পারে।