21/05/2024
প্রিয় আনেহ্,
আজ তোমাকে প্রথমবারের মতো লিখছি। সকালে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। কৃষ্ণচূড়া, জারুল, রাধাচূড়ায় ছেয়ে গেছে আমার ক্যাম্পাস। ইচ্ছা আছে এমন এক বাদল দিনে তোমাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরব।ইট-পাথরের নগরীতে মাঝে মাঝে বড্ড অসহায় লাগে। মন খারাপের দিনে তোমার কথা মনে পড়ে খুব। তবু সব কিছু মানিয়ে নিয়েছি। তোমার কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে ধৈর্য ধরতে হয়।অনুপ্রেরণাও পেয়েছি তোমার কাছ থেকেই।
মনে আছে? আমাদের বিদীর্ণ দিনগুলোতে লোকে বলাবলি করত, ছেলেমেয়েগুলোর কপাল খারাপ, আফসোস লাগে তাদের জুম চাষ করে খেতে হবে।
তারপর!
শূন্য থেকে আমাদের সংগ্রাম শুরু হলো। পথের সারথি ছিলে তুমি।আমরা অবোধ অনুসারী হলাম, ঠিক যেন ছোট্ট হলদে হাঁসছানারা মায়ের পিছে পিছে ঘুরছে। আত্মসম্মানবোধ বিসর্জন দিয়ে লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে আমাদের কলেজে ভর্তি করিয়েছিলে।
তাঁত বুননের বেলায় ঝাপসা চোখে রঙিন সুতার বাঁকে বাঁকে তোমার আঙুলগুলো যে অদ্ভুত সুন্দর নকশায় আমাদের স্বপ্ন বোনে, তার কথা এখন সবাই জানে। কিংবা কাঠফাটা রোদে বুনো মাটির শক্ত স্তূপে তোমার ফোঁটা ফোঁটা ভেজা নোনা ঘামের কথা। তা-ও তো জানা।সব কিছুর জন্য কৃতজ্ঞ, মা। হিমালয়ের মতো আমাদের আগলে রেখেছ সব সময়। অনেক ভালোবাসি তোমায়।
ওহ্, তুমি তো পড়তেই পারো না! বাংলাটাও তো জানো না। এতে কিচ্ছু যায় আসে না। আসলে পড়াশোনা জেনে কী হবে, বলো?
এই দুনিয়ায় বোকারা বেশি সুখে থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ হও, মা!
ইতিতোমার সুইতং খুমি
গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
https://www.kalerkantho.com/feature/oboshor/2024/05/21/1389759?fbclid=IwZXh0bgNhZW0CMTEAAR195WNYzbnfzs7ABDr9EK6hEKtVDLIsILFvGrbu0_gHADHg1rchHntv5TM_aem_ASF81q7PxDg2vvuHwbtqLELbI6ZEjMcnCT5dnck1-TYHOTXpgVnAv_t1856sx5rFrES16arsQUFwDCq4mmllFyGx
আজ তোমাকে প্রথমবারের মতো লিখছি। সকালে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। কৃষ্ণচূড়া, জারুল, রাধাচূড়ায় ছেয়ে গেছে আমার ক্যাম্পাস...