01/07/2025
◉ আদম (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ নূহ (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ ইব্রাহিম (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ মূসা (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ ঈসা (আ:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ আবু বকর (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ ওমর (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ উসমান (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ আলী (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ খাদিজা (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ আয়েশা (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ ফাতেমা (রা:) এর শোক পালন করা হয় না।
◉ কোনো নবী-রাসূলদের শোক পালন করা হয় না।
◉ কোনো সাহাবীদের শোক পালন করা হয় না।
❐ যেখানে বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শোক পালন করা হয় না।
সেখানে আপনি কিভাবে প্রত্যেক বছর অন্য কারোর মৃত্যুবার্ষিকী/শোক পালন করেন? আপনার বাবা কে? আপনার মা কে? আপনার আত্মীয়স্বজনই বা কে?
তারা কি নবী-রাসূল; সাহাবীদের চেয়ে বেশি মর্যাদাবান হয়ে গেল?
নাউজুবিল্লাহ!
যেখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুর ৩ দিন পর্যন্ত আর স্বামী মারা গেলে শুধু স্ত্রীর জন্য ৪ মাস ১০ দিন শোক পালন করতে বলেছেন, সেখানে আপনি ৩ দিনের পরেও কিভাবে প্রত্যেক বছর মৃত্যুবার্ষিকী/শোক পালন করতে পারেন?
ধর্মকে কি হাওয়াই লাড্ডু পেয়েছেন যে, নিজের ইচ্ছামতো ধর্ম মানবেন!
❐ জি না। নিজের ইচ্ছামতো সব ধর্ম মানা গেলেও ইসলাম ধর্ম নিজের ইচ্ছামতো মানা যায় না। নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করেই ইসলাম মানতে হয়।
মৃত ব্যক্তির জন্য নিজে নামায পড়ে দোয়া করুন, এতে মৃত ব্যক্তি উপকৃত হবেন।
কিন্তু ইহুদী-খ্রিষ্টানদের মতো কালো পোষাক পরিধান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৃত্যুবার্ষিকী পালন - এসব করতে যাবেন কেন? আপনি কি ইহুদী-খ্রিষ্টান নাকি মুসলিম?
যদি নিজেকে মুসলিম দাবী করেন, তাহলে জন্ম দিবস; শোক দিবস; মৃত্যু দিবস ইত্যাদি দিবস পালন করা বর্জন করুন।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: "স্বামী ব্যতীত অন্য কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের বেশি শোক পালন করা বৈধ নয়।
অবশ্য স্বামীর জন্য স্ত্রী চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।" (বুখারী ১২৮০)
©